নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্ভীক৭১

নির্ভীক৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইদানিং মা-বেটার দ্বন্দ্ব লেগেই আছে, সর্বশেষ কথাও বন্ধ

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বংশগত বা আত্মীয়তার চেয়ে বড় কিছু নেই। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই বা বলি কেন? পাক-ভারত উপমহাদেশেও একই ধারা চলে আসছে। কত সুন্দর নিয়মনীতি। পাকিস্তানের জুলফিকার আলী ভুট্টোর মেয়ে বেনজির ভুট্টো। বিশ্ব সুন্দরীদের কয়েক জনের মধ্যে একজন ছিলেন। এটা তার বড় গুণ নয়, তার বড় পরিচয় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর মেয়ে। পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদে তার চেয়ে উপযুক্ত আর কে? হয়েছেনও তাই। আবার তার পুত্র বিলওয়াল ভুট্টোও পরবর্তীতে নিশ্চিন্তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী’ই হবেন এটাই নিয়ম। রাজিব গান্ধীর ছেলে রাহুল গান্ধী। বয়স ৪০ এর নিচে। তাতে কি বা আসে যায়? তিনিই ভারতের মত বিশাল, সমৃদ্ধশালী ও পরাক্রমশালী দেশের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের একেবারে সাধারণ সম্পাদক বনে গেছেন। কংগ্রেসের ঝানু ঝানু বয়স্ক ও ডক্টরেট ডিগ্রীধারী নেতারাও তার বন্ধনায় বিভোর। তিনি ছাড়া আর কে হতে পারেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বা পরবর্তীতে সভাপতি? আর ভারতের ভবিষৎ প্রধানমন্ত্রীও এক বাক্যে তিনিই। যে যেখানে আছে, তার পরবর্তী চৌদ্দ গোষ্ঠীও সেখানেই থাকার ব্যবস্থা হয়েছে বা অটোমেটিক হয়ে যাচ্ছে।



যাক সেসব কথা, বাংলাদেশের রাজনীতিতেও একই ধারা চলমান আছে। ভবিষ্যতেও চলমান না থাকার কোন কারণ নেই। এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা, রাজনৈতিক চর্চা, রাজনৈতিক পরিমন্ডলে গড়ে উঠা, নিজেকে তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে গড়ে তোলা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও নেতৃত্বের গুণাগুণ ইত্যাদি কোন কিছুরই প্রয়োজন নেই। স্বামী হঠাৎ করেই ধুমকেতুর মত রাজনৈতিক নেতা হয়েছিলেন। তাঁর অবর্তমানে তাঁর স্ত্রী বা সন্তান রেডিমেড নেতা হবেন এটাই স্বাভাবিক, হয়েছেনও তাই। একজন দলের চেয়ারপার্সন আর তার বেটা (আমাদের বগুড়া অঞ্চলে ছেলেকে আঞ্চলিক ভাষায় বেটা বলে) হয়ে গেছেন একধাপে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। আল্লাহ না করুন, ভবিষ্যতে মা মারা যাওয়ার সাথে সাথেই বেটাই হবেন দলের চেয়ারম্যান। এটাই ইউনিভার্সাল ট্রুথ। আল্লাহ ছাড়া কারও ক্ষমতা নাই এটা খন্ডানোর। কিন্তু ইদানিং মা-বেটার দ্বন্দ্ব লেগে থাকায় আমারা আছি বিপদে। এর মাশুল দিতে হচ্ছে আমাদের মত নেতা এবং জনগণকে। গত জাতীয় সংসদ নির্বচনের পূর্বে মা কিছুটা নমনীয় ছিলেন। তাঁরও ইচ্ছা ছিল সরকারের সাথে সংলাপে গিয়ে শেষ বয়সে কিছুটা একটা হওয়ার। কিন্তু বাদ সাধলেন বেটা। লন্ডন থেকে লাদেনীয় কায়দায় ভিডিও বার্তায় হুংকার ছাড়লেন, "কোন সংলাপ নয়, সমঝোতাও নয়, সবাই ঝাঁপিয়ে পড় সরকার উৎখাতের আন্দোলনে’। আমরাও ঝাঁপিয়ে পড়লাম। সময় ভাল ছিল না। তাই মাও বেটার কথার বিপরীতে না গিয়ে চুপ থাকলেন। পরিণতি কি হল তা আর বলে মনের দুঃখ জাগাতে চাই না। ০৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করার বিষয়ে অনৈক্যের পর পুনরায় শুরু হয় মা-বেটার মধ্যে সংলাপ ইস্যু নিয়ে অনৈক্য। বেটা বললেন, বর্তমান সরকার অবৈধ, তার সাথে কোন আলোচনা নয়। কিন্তু মা তা খন্ডন করে সরকারের সাথে আলোচনার বা সংলাপের প্রস্তাব দিলেন। এতে বেটা হল চরম ক্ষিপ্ত। আর অতি সম্প্রতি দলের ঢাকা মহানগর কমিটি নিয়ে মা-বেটার মধ্যে চলছে আরও চরম দ্বন্দ্ব/বিরোধ। মা'র পছন্দ খোকা সাহেবকে ঢাকা মহানগরীর দায়িত্ব দেয়া আর বেটা'র পছন্দ মির্জা সাহেবকে। এ দ্বন্দ্ব এখন চরমে। সিনিয়র এক নেতা বললেন বিগত ২/৩ সপ্তাহ থেকে ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মা ছেলের মধ্যে কথাবার্তাও বন্ধ রয়েছে। এরূপ পরিস্থিতিতে শুধু আমাদের মত নেতারা নই, শীর্ষ নেতারাও ভয়ে রয়েছেন দু’কান বিশিষ্ট গাঁধার মত। কান দুটোই দু’দিকেই দেয়া আছে! দেখা যাক কি হয়!!!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: আসলে পরোক্ষভাবে আপনার লেখাও খালেদা-তারেক ও হাসিনা-জয়কে সাপোর্ট করে যাচ্ছে।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

মদন বলেছেন: এক মা বেটা ঠেলাঠেলি করে, আরেক মা-বেটা আবোল-তাবোল বকে। জনগন পড়ছে মাইনকা চিপায়...

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৬

এম আর ইকবাল বলেছেন: আমরা মুখে গণতন্ত্র বলি ।
বাস্তবে কিন্তু কোথাও তার দেখা নেই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.