![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতার পক্ষে জাতীয় সংগীত গেয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব রেকর্ড করেছে গত ২৬ মার্চ ২০১৪ তারিখে। ঐ দিনে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতীয় সংগীত গাইতে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬ শত ৮১ জন জনতার উপস্থিতিতে রেকর্ড করা হয়। এর পূর্বে জাতীয় সংগীত গাইতে ভারতের ১ লাখ ২১ হাজার ৬ শত ৫৩ জনের উপস্থিতির রেকর্ড ভেঙ্গে বাংলাদেশ নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ল। সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং সশস্ত্র বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠেয় উক্ত কর্মসূচীকে দেশের সর্বস্তরের জনগণ সাধুবাদ জানিয়েছে। অথচ স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ ইয়াহিয়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে “লাখো কন্ঠে সোনার বাংলার” কর্মসূচীকে বিভিন্নভাবে খাটো করেছে। তার (ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক) মতে, তিনি বা তার সংগঠন নাকি বিনা পয়সায় উক্ত অনুষ্ঠানে দশ লাখ লোকের সমাগম ঘটাতে পারেন। এমনকি আগামী ষোলই ডিসেম্বরে তাকে বা তার দলকে যদি এ ধরণের দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে সে বা তার দল তা ভালভাবে করতে পারবেন ! তার হাস্যকর এই বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতার পক্ষের সিংহভাগ জনগণ মর্মাহত হয়েছেন। কলেজ জীবনে যে শিবির নেতা আন্ডার গ্রাউন্ডে থেকে রাজনীতি করেছে, ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হাত পায়ের রগ কেটেছে। তার মত এ রকম সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতা বিরোধী ছাত্রনেতার মুখে কি এমন মন্তব্য মানায় ? সাধারণ নির্বাচনে দেশের ষোল কোটি লোকের মধ্যে চার কোটি ভোটারের মাত্র তিন থেকে চার শতাংশ ভোট পাওয়ার সামর্থ্য জামায়াতের রয়েছে। সেই দলের ছাত্র সংগঠনের পক্ষে আবার এ ধরণের অনুষ্ঠানে বিনা খরচে দশ লাখ লোক সমাগমের বিষয়টি হাস্যকর এবং ভূতের মুখে রাম রাম বলেও অনেকে আখ্যায়িত করেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাদের রাজনৈতিক গুরু বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে ১৯ দলের সমন্বয়ে মাত্র লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটাতেও ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি গত ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে স্বাধীনতা বিরোধীদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকা ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচীতে স্বয়ং খালেদার পাশে নেতা-কর্মীতো দূরে থাক, কাজের বুয়া ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি । তাই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির পক্ষে স্বাধীনতার চেতনায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনে লক্ষ লোকের সমাগম ঘটনোর স্বপ্ন যেন বামন হয়ে চাঁদে হাত বাড়ানোর দুঃসাহস বৈকি !
আর যাই হোক, গোপনে বা আন্ডার গ্রাউন্ডে থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ ধরণের স্ট্যাটাস দিয়ে সস্তা সেন্টিমেন্ট তৈরী করা গেলেও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির পক্ষে এ ধরণের একটি পবিত্র কর্মসূচী সফল করার বক্তব্য কতটা যুক্তিযুক্ত তা প্রশ্ন রইল আপনাদের কাছে ।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩
জহির উদদীন বলেছেন: আপনি ৭দিন না হেগে থাকতে পারেন,
হাতের নখ,পায়ের নখ আলসেমি করে ৭ বছর বা তার াহখিক সময় কাটের না,
আপনার জিব্বা বাহির করলে হাটুতে আইসা পরে,
জ্যান্ত সাপ গিলা খাইয়া ফালাইতে পারেন টপাটপ....
এগুলা পারলে আপনি অনায়াসে গিনেজ রেকর্ডে নাম লিখাতে পারেন....কিন্তু মুক্তি্যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার গৌরব অর্জনের পরও আমাদের রাষ্ট্রের ৯০কোটি টাকা খরচ করে গিনেজ রেকর্ডের পিছু ছুটতে হয়....আমি শুনিনি কোন দেশ এভাবে অর্থ অপচয় করে কোন রেকর্ডে পিছু ছুটে.....কি লাভ এতে করে এই টাকা দিয়ে কতো মুক্তিযোদ্ধর খাওয়া ও বসত বাড়ি নির্মান করা যেতো এক বার কেউ ভেবেছে....আজ যারা রেকর্ডে হয়েছে বলে লাফাচ্ছে তারাই একদিন বুঝবেন চোখে ধুলো দয়ে বেশী দিন রাষ্ট্র শাসন করা যায় না.....ধন্যবাদ
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৫
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: অভিনন্দন।
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: আমার লেখাটি পড়বেন প্লীজ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
সামুরাই০০৮ বলেছেন: জাতীয় সংগীতের রের্কড করা আসলে কতটুকু দরকার? ৯০ কোটি টাকা কার পকেটে গেল?