নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্ভীক৭১

নির্ভীক৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লন্ডনে তারেক বাহিনীর চাঁদাবাজি !

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২

২০০১ সালে কুচক্রী বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতকে নিয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে রাজনীতিতে অভিষেক ঘটে তারেক রহমানের। পরবর্তীতে জনাব তারেক প্রতিষ্ঠিত করেন দুর্নীতি, অরাজকতা ও অর্থ-পাচারের পরামর্শ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান "হাওয়া ভবন’। পেলেন "দুর্নীতির বরপুত্র’ নামক খেতাব। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্বাধীন ০৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে সোনালী ব্যাংকে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছেন শীর্ষ দুর্নীতিবাজ তারেক রহমান। তরুণদের জন্য দুর্নীতির পথ প্রদর্শক তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র তারেক রহমান তার মালিকানাধীন ডান্ডি ডায়িং এর নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কথায় আছে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। দুর্নীতির তকমা মাথায় নিয়ে মুচলেকা দিয়ে তারেক রহমানকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল, সেই প্রবাসে গিয়েও দূর্নীতিমুক্ত থাকতে পারছেন না হাওয়া ভবনের এক সময়ে দোর্দন্ড প্রতাপশালী দূর্নীতির মডেল তারেক রহমান।



সম্প্রতি জিয়াকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বানাতে তারেক রহমান গং লন্ডনে ‘সুধী সমাবেশে’র নামে সেমিনারের জন্য ভাড়া নেওয়া ওয়েস্টমিনিস্টার হলের ভাড়া পরিশোধেও অর্থ জালিয়াতি করেছে। পাশাপাশি অনুষ্ঠানের নাম করে ও দলে বড় পদ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লন্ডনস্থ দলের নেতাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চাঁদা উত্তোলন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জনাব তারেক দেশের সম্পদ লুন্ঠন করে নিয়ে লন্ডনে "কাশিমবাজার কুঠি’ গড়ে গণতন্ত্র নস্যাতের সকল ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত পৃথক সুধী সমাবেশে ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি’ আর ‘শেখ মুজিব অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’-এই দুই উদ্ভট তত্ত্ব প্রদান করেন তারেক রহমান। ইতিহাসবিদরা তারেক রহমানকে অর্বাচীন, অশিক্ষিত বালক, হতাশাগ্রস্ত দুর্নীতিবাজের পাগলের প্রলাপসহ নানা বিশেষণে ভূষিত করে চলেছেন। ইতিহাসবোদ্ধাদের মতে, তারেকের পিতা জিয়াউর রহমান তিনটি জিনিস ভালবাসতেন- উন্নত সাফারি স্যুট, দামী সানগ্লাস আর পার্কার কলম। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেই জেনারেল জিয়া প্রথমে পার্কার কলম দিয়ে ৪১৯ জন সামরিক অফিসারকে হত্যা করেছিলেন। তাই জিয়াউর রহমান দেশের প্রথম ‘খুনী রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। বর্তমানে তারেক রহমান তার নানা অপকর্মেও গোমর ফাঁস হওয়ায় নানা টেনশনে পাগলপ্রায় হয়েই হয়তো সেই ‘খুনী’ শব্দটি বলতে গিয়ে ভুলে ‘প্রথম’ বলে ফেলেছেন। তার ক্লাসমেটদের মাধ্যমে জানা যায়, তারেক রহমান এইচএসসিতে ফেল করেছেন আর তার মা খালেদা জিয়ার এসএসসি’র গন্ডি পার হওয়া/না হওয়া নিয়ে আজও সংশয়ের ধুম্রজাল কাটেনি। তাই এহেন শিক্ষিত পরিবারের কাছে জাতি এরূপ উদ্ভট তত্ত্ব ছাড়া আর কিইবা আশা করতে পারে ?



বর্তমানে লন্ডনের যে এলাকায় তারেক রহমান অবস্থান করছেন, সে এলাকায় একজন বসবাসকারীর মাসে ন্যূনতমপক্ষে ০৪ হাজার পাউন্ড (প্রায় ০৫ লক্ষ) খরচ হয়। এ পরিমাণ টাকা তিনি প্রায় ০৬ বছর যাবৎ খরচ করে আসছেন যার পরিমান প্রায় ০৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। তার এই বৃহৎ অংকের খরচের পিছনে আয়ের উৎস কোথায় জনগণ আজ তা জানতে চায়। কেননা, বিএনপি’র কতিপয় শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের ভাষ্যমতে, জিয়া পরিবারের নাকি টাকা নেই, বাড়ী নেই, ভাড়া বাড়িতে থেকে তাদের নেত্রী বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে পারছেন না ইত্যাদি। যদি তাই হয়, তাহলে তারেকের এত মোটা অংকের মাসিক খরচের টাকা কোথা থেকে আসে ? আর এসব খরচ যোগাতেই কি তাহলে তারেক লন্ডনে নতুন পদ্ধতিতে পুনরায় দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছেন ?



সুখ ও শান্তিকামী খেটে খাওয়া বাংলার মানুষ ও তরুণ প্রজন্মের কাছে আর যাই হোক, দুর্নীতির স্থান নেই। তাই সব ভন্ডামী ছেড়ে দুর্নীতিবাজ তারেককে সঠিক পথে ফিরে এসে ইতিহাস জেনে ও বুঝে কথা বলার আহবান জানাচ্ছে এ দেশের সতের কোটি মানুষ। অন্যথায়, সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নচারী বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষদের পক্ষে দুর্নীতির মহানায়ক তারেককে এদেশে ‘অবাঞ্চিত’ ঘোষণা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না। আর ততক্ষণে হয়তো তারেক দূর্নীতিতে বিশ্বরেকর্ড গড়বেন বৈ কি !!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.