![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু ভুল কিছু স্মৃতি ।
ব্যবসার দিক থেকে আমার অ্যালবাম সফল : আসিফ
দশ বছরের সঙ্গীত জীবন আর বিশটি একক অ্যালবামের সফলতার পর এবার পহেলা বৈশাখে সিএমভি-আর্বের যৌথ প্রযোজনায় বাজারে এসেছে আসিফ আকবরের একুশতম একক অ্যালবাম কিছু ভুল কিছু স্মৃতি ।
কেমন অনুভূতি থেকে অ্যালবামের এমন নাম রাখলেন?
গানের পথে চলছি দীর্ঘদিন হয়ে গেল। দেখতে দেখতে দশটি বছর পার। আমার কাজের ক্ষেত্রটিকে কখনো অবহেলা করিনি। প্রতিটি সেকেন্ড-মিনিট-ঘণ্টা, দিন-রাত-মাস-বছর কিভাবে চলে গেল বুঝতেই পারিনি। মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সেই অর্থে সময় দেইনি কোনোভাবে। আমার প্রাণ, আমার শ্রোতা-ভক্তদেরও খুশি রাখতে পারিনি পুরোপুরি। তাহলে কি করলাম এতোদিন! এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গিয়ে যে অনুভূতি হলো তা থেকেই অ্যালবামের নাম রাখলাম কিছু ভুল কিছু স্মৃতি।
কি ধরনের গান করেছেন এ অ্যালবামে?
এক কথায় শ্রুতিমধুর গান। আমার যে একটা নিজস্ব শিকড় আছে। ওই শিকড়ের ধারাবাহিকতায় গান করেছি। কথা ও সুরের দিক থেকে বিরহ ধারার গান এগুলো। মিউজিক কম্পোজিশনেও ভিন্নতা রয়েছে। আমি যেহেতু গানের মূলধারায় আছি, সেহেতু মিউজিকও করেছি মূলধারার মিউজিক যে ধরনের হয় সে ধরনের। আমার গানে ডিজিটাল ব্যবহার হয় না। ডিজিটাল সঙ্গীতের শ্রোতারা শহরকেন্দ্রিক। আর আমি কাজ করি সর্বজনীন শ্রোতা নিয়ে।
শ্রোতাদের সাড়া পাচ্ছেন কেমন?
যতোটা আশা করেছি ততোটা হয়নি। তারপরও বৈশাখে বাজারে আসা অ্যালবামগুলোর তুলনায় আমার অ্যালবাম বিশগুণ বেশি বিক্রি হয়েছে। সুতরাং বলতে পারি, সন্তুষ্টির দিক থেকে না হলেও ব্যবসায়িক দিক থেকে সফল। এখনো কোনো গানের মিউজিক ভিডিও করা হয়নি। শিগগিরই কিছু কিছু গানের মিউজিক ভিডিও করা হবে, সেগুলো যখন চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত হতে শুরু করবে তখন অ্যালবামটির বিক্রি আরো বেড়ে যাবে।
অন্যান্য অ্যালবামের সঙ্গে এ অ্যালবামের পার্থক্য কি?
অন্যান্য অ্যালবামে গান লিখেছেন এবং সুর করেছেন বিভিন্ন গীতিকার ও সুরকার। এবারের অ্যালবামে সব গান লিখেছেন প্রদীপ সাহা আর সুর করেছেন রাজেশ। এই গীতিকার ও সুরকারের হাত দিয়েই তৈরি হয়েছিল আমার ও প্রিয়া তুমি কোথায়, ও পাষাণী বলে যাও, বাঁচবো না মরে যাবোর মতো জনপ্রিয় গানগুলো।
সেসব গানের নিরিখেই অ্যালবামের গানগুলো তৈরি করেছেন এ জুটি। ফলে বাংলাদেশের মিউজিকের ক্ষেত্রে আসিফ ঘরানা বলে যে স্টাইল ছিল, সেটা আগের থেকেও শক্তিশালী হয়েছে। প্রদীপ-রাজেশের যে স্টাইল, সেটা আমারই স্টাইল, আবার আমার যে স্টাইল সেটাই প্রদীপ-রাজেশের স্টাইল। আর আমার আগামী অ্যালবামও এ স্টাইলেই হবে। অর্থাৎ, আগামী অ্যালবামের গানও লিখবেন প্রদীপ সাহা, সুর করবেন রাজেশ।
অ্যালবামের প্রচ্ছদ এবার নীল, অ্যালবামটি উৎসর্গ করেছেন প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নাকে- এ সব নিয়ে আরো কিছু বলুন?
বেদনার রং নীল। তাই নীল বেদনার রং নিয়ে অ্যালবামের প্রচ্ছদের রং করা হয়েছে। এ অ্যালবামের গানের কথায় এবং সুরের পরতে পরতে মানুষের ভেতরের লুকোনো বেদনার কথা এসেছে বারবার। যার ফলে, গানের সঙ্গে প্রচ্ছদ ধারণা মিলে গিয়েছে পুরোপুরি। আর অ্যালবামটি উৎসর্গ করেছি অকাল প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্না ভাইকে, যার ঠোঁটে চিত্রায়িত হয়েছে আমার জীবনের প্রথম ছায়াছবির গান।
বর্তমানে আর কি কি করছেন?
মনির খানের সঙ্গে একটি দ্বৈত অ্যালবামের কাজ করছি। ফকির শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে একটি মুর্শিদী গানের অ্যালবাম করছি। এছাড়া শেখ সাদী খানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় আতিক হাসানের সঙ্গে একটি দ্বৈত অ্যালবামের কাজ করছি। বেশির ভাগ সময়ই এখন রেকর্ডিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। পাশাপাশি স্টেইজ প্রোগ্রামেও অংশ নিচ্ছি।
সংগ্রহকৃতঃ
২| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:১০
আউটসাইডার বলেছেন: কঠিন!!!!!!!!১০ বছরে ২১ টা এলবাম। বছরে ২ টা কইরা। একই রকমের গান গায় এই লোক। কোন ভেরিয়েশন নাই। তয় গ্রামে গন্জে সাধারণ বাংলার মানুষ হের গান বড়ই খায় নাইলে হে ১০ বছর কেমনে টিকা থাহে !!!!!!!!!!!
৩| ১৪ ই মে, ২০০৮ রাত ১:০৮
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: এই এলবামের জন্য ২৬ লাখ টাকা নিছে নাকি?
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:৩১
মুহিব বলেছেন: মাগনা দিলেও শুনি না।