![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিবেক বিক্রি হলে দাস-মন ছাড়া কিছুই থাকে নাকো। আদর্শের তবু নৈতিক বিজয় থাকে।
আমি কৃষক। শোনো কবি, আমিও সবুজ বিলাই। তুমি সবুজ বোনো মনে, আমি বুনি মাটিতে। আমার সবুজ-মাঠ, সবুজ-উদ্যানই তোমার সবুজচিন্তার উৎস। তুমি যে মানবধর্মের কথা বলো তাও আমাদেরই সৃষ্টি। আমরা একে সামাজিক ধর্ম বলি। কোরান-পুরাণের বাইরে সমাজের যে রীতিনীতি ও সভ্যতা-ভব্যতা হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতিকে যুগযুগ ধরে অটুট রেখেছে, ঘরে-মাঠে-ঘাটে-হাটে আমরা তার চর্চা প্রতিনিয়তই করি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের চর্চার বিষয়কে তোমরা কদাচিৎ চর্চা করো মাত্র। তোমাদের সবুজচিন্তা, মানবতার চর্চা প্রায়শ কৃত্রিম; আমাদের সবুজচিন্তা, মানবতার চর্চা স্বভাবগত। এ বিষয়ে আমরাই পেশাদারিত্বের দাবিদার।
তোমরা মানুষের চিন্তার বৈচিত্র্য ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যকে স্বীকার করো, সম্মান করো। এমন আশা করো না যে, সবাই তোমাদের পছন্দ করবে, তোমাদের প্রশংসা করবে। মনে করো না যে, তোমাদের ভাবনাটাই শুধু ঠিক। স্বীকার করো আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অবদানগুলোকেও। কৃতজ্ঞ হও, পরমতসহিষ্ণু হও; আর অস্বীকার করো ভেতরের পশুবৎ অহমকে।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫২
বেলায়েত হোসেন আখন্দ বলেছেন: আমি ইসলাম ধর্মের কথা বলিনি, মানবধর্মের কথা বলেছি। খুব সহজ কথা, সহজ করে বোঝার চেষ্টা করুন; এখানে কিছুই অস্পষ্ট নয়।
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬
ঐশিকা বসু বলেছেন: লেখকের প্রতি চূড়ান্ত সহমত পোষণ করি। কিন্তু আগের মন্তব্য পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন কিছু অশিক্ষিত আর অর্ধশিক্ষিত মানুষ কিভাবে মানবতার আগে ধর্মকে টানতে চায়। এরা ঘোড়ার আগে গাড়ি লাগায়, ফলে সামনের দিকে না এগিয়ে গাড়ি পেছন দিকে চলে। বস্তুত দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টিতে এরাই তো বারবার ইন্ধন দিয়ে আসে। আগে আদর্শ বলে যাও বা কিছু ছিল এখন ধর্ম এসে সব খেয়ে ফেলেছে। এখন এদের আদর্শ হচ্ছে জামায়েত - ই - ইসলামি। আইএসের ভাবশিষ্য যতসব বুজরুক।
তবে লেখককে আবারো কুর্নিশ। তাঁর খোলা বাস্তববাদী আদর্শনিষ্ঠ মন চিরকাল বেঁচে থাকুক।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
বেলায়েত হোসেন আখন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২২
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: কিছু বলতে চেয়েছিলাম,
ঔশিকা বসু বলে দিলেন।
তুমি যে মানবধর্মের কথা বলো তাও আমাদেরই সৃষ্টি।
এই লাইনটা বোধগম্য হতে অশিক্ষিত আর অর্ধশিক্ষিত কিংবা শিক্ষিত হতে হয় না। শুধুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার।
আমি অনেক প্রফেসরকে দেখেছি মন্দিরে পূজো দিতে মাজারে ধর্ণা দিতে। আবার একজন কৃষককে দেখেছি ধর্মের লেবাস শিকোয় তুলে মানবতার জয়গান করতে। শুভ কামনা রইলো। এগিয়ে যান।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫৫
বেলায়েত হোসেন আখন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১৯
সালাউদ্দিন শাহরিয়া বলেছেন: তুমি যে মানবধর্মের কথা বলো তাও আমাদেরই সৃষ্টি
ইসলাম ধর্ম মানুষের সৃষ্টি না। আল্লাহ প্রদত্ত নবী-রাসূগণের মাধ্যমের প্রেরিত ইসলাম ধর্ম। আপনি মনে করেন যে, ধর্ম মানুষ নিজের নিয়মেই শান্তি করার জন্য বানিয়ে ফেলে। যদি এরকম হতো তাহলে পৃথিবীটাও এমনিতেই হয়ে যেত ?