![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিবেক বিক্রি হলে দাস-মন ছাড়া কিছুই থাকে নাকো। আদর্শের তবু নৈতিক বিজয় থাকে।
মা : তোর ফিরতে আজ এত দেরি হলো কেন?
ছেলে : কলেজে একটি সেমিনার ছিল তো, তাই।
মা : কীসের সেমিনার?
ছেলে : জানো মা, আজ না আমাদের কলেজে একজন মুক্তিযোদ্ধা এসেছিলেন। তাঁর আগমনেই তাৎক্ষণিকভাবে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। তিনিই সেমিনারের মূল বক্তা।
মা : তাই নাকি? কী কী বললেন তিনি?
ছেলে : তিনি বললেন, দেশ হলো মায়ের মতো, সন্তানেরা মাকে যেমন ভালোবাসে দেশকেও তেমনি ভালোবাসে।
মা : তিনি আর কী বললেন?
ছেলে : তিনি ভাষা-আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে তরুণ ছাত্রসমাজের ভূমিকার কথা বললেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কিছু লোমহর্ষক ঘটনার স্মৃতিচারণ করলেন। আমাদের সাথে খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিলেন। নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন। অতঃপর আমরা তাঁর পরিচালনায় শপথ গ্রহণ করলাম।
মা : তাই নাকি? তা তোরা কী শপথ করলি?
ছেলে : শোনো, আমরা সমস্বরে বলেছি—পড়ালেখা করে মানুষ হবো, সুনাগরিক হবো, নিজেকে দেশের সম্পদে পরিণত করবো। আমরা দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করবো, আমাদের পরিবার ও সমাজের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবো।
মা : বেশ তো!
ছেলে : প্রতিটি জাতীয় দিবসে যদি কলেজে এমন সেমিনারের আয়োজন করা হতো!
মা : বল তো কেন?
ছেলে : জানো মা, তাঁর সাথে পরিচিত হয়ে আনন্দ পেয়েছি; অন্তরে প্রেরণাও জেগেছে—ভালো মানুষ হওয়ার, ভালো কিছু করার।
মা : হ্যাঁ, ঠিকই বলছিস। গুণিজনদের সান্নিধ্য ছোটদের পথ দেখায়, চারপাশের জগৎ সম্পর্কে সচেতনতা ও সংবেদনশীলতা বাড়ায়। পড়ালেখায়ও আনন্দ আনে, উদ্দীপনা বাড়ায়। কল্পনা তথা সৃজনশক্তির বিকাশেও এর গুরুত্ব অনেক। তোর শিক্ষকদের বলিস। তাঁরা ঠিক বুঝতে পারবেন। খাবি এখন, হাত-মুখ ধুয়ে আয়।
ছেলে : ঠিক আছে মা, তুমি যাও, আমি আসছি।
©somewhere in net ltd.