![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিবেক বিক্রি হলে দাস-মন ছাড়া কিছুই থাকে নাকো। আদর্শের তবু নৈতিক বিজয় থাকে।
বাংলাদেশে সবাই শিক্ষানুরাগী, সবাই সমাজসেবক। তবুও বারবার কেন যে শিক্ষা আর সেবার মান নিয়েই প্রশ্ন ওঠে! স্বঘোষিত শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক এবং তাদের চেলাগণ মুখ খুলুন।
পরিবর্তন তো আসবেই। আমি স্কুল-পালিয়ে মাঠে খেলতে বা খেলা দেখতে যেতাম; আমার ছেলে-মেয়েরা ক্লাসে বসেই ফেসবুকে চ্যাটিং করে। ওদের বয়সে আমার মোবাইল ফোন ছিল না, ওরা এখন মোবাইল ফোন ছাড়া স্কুলে যেতে চায় না । এসবও পরিবর্তন, কিন্তু উন্নতি বা অগ্রগতি নয়। উন্নতি-অগ্রগতির সম্পর্ক প্রগতির সঙ্গে, গতির সঙ্গে নয়। আত্মিক উন্নতি ছাড়া শুধু বাহ্যিক উন্নতিতে প্রগতি আসে না। মোদ্দাকথা এই, গতি কার্যকর হওয়া চাই, ইতিবাচক হওয়া চাই। ফলদায়ক নয় এমন গতিকে কেউ প্রগতি বলে দাবি করলে, আমিও দাবি করব—“ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল, কিছুদূর গিয়া মর্দ রওয়ানা হইল।”—অর্থাৎ মর্দের পথচলা ফলদায়ক নয়, মর্দের পথচলায় অগ্রগতি নেই।
পরিবর্তন তথা ভাঙা-গড়া সময়ের ধর্ম। পরিবর্তনকে গঠনমূলক করা, পরিবর্তককে ঠিক পথ দেখানো ধ্যানীর ধর্ম। আমরা ধ্যানী-কর্মী সকলেই দায়িত্ব এড়াতে কুতর্কে লিপ্ত হই। নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর গিলি। অসভ্যতা-পলায়নপরতা বা পশ্চাৎপদতার এর চেয়ে বড় দৃষ্টান্ত আর কী চাই?
অগ্রগামীরা কথা বলে না, কাজ করে। কাজে ভুল হলে দায়িত্ব নিয়ে ভুল শুধরে সামনে এগিয়ে চলে। আসুন, আমরা দায়িত্ব নিতে শিখি, ছেলে-মেয়েদের দায়িত্ব নিতে শেখাই।
©somewhere in net ltd.