![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিবেক বিক্রি হলে দাস-মন ছাড়া কিছুই থাকে নাকো। আদর্শের তবু নৈতিক বিজয় থাকে।
(এক) ১৯৪৫ সালে হিরোশিমা-নাগাসাকিতে নিক্ষেপিত পারমাণবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তায় আজও যদি সেখানে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হয়, তাহলে ১৯৭১ সালে সংঘটিত বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং ১৯৭৫ সালে সংঘটিত বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা হত্যার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে আজও কি বিকৃতবুদ্ধির মানুষের বিজয়োল্লাস ধ্বনিত হচ্ছে না? (দুই) নিহত বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিকদের দীক্ষাবঞ্চিত সমকালের বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিকরা সমস্যায় জর্জরিত দেশকে সঠিক গাইডলাইন দিতে কতটা সক্ষম বা পরিপক্ব?
এসব আমার ছেলেবেলার জিজ্ঞাসা। তখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি। ইতোমধ্যে ম্যাক্সিম গোর্কির ‘পৃথিবীর পাঠশালায়’, রবীন্দ্রনাথের ‘ছেলেবেলা’ ও ‘জীবনস্মৃতি’ এবং হুমায়ুন আহমেদের ‘নন্দিত নরকে’ পড়া শেষ হয়েছে। আমার তখন মন্টুর মতো বেপরোয়া স্বভাব। ‘হিরোশিমা ও নাগাসাকি’ নিবন্ধ পড়তে গিয়ে মনে এসব প্রশ্ন জেগেছিল। শিশুর জিজ্ঞাসাকে অগ্রাহ্য করা যায়। কিন্তু বড়বেলায়ও আমার মন বলছে, কোনো দেশের বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিকদের হত্যার বিরূপ প্রতিক্রিয়া পারমাণবিক বোমার বিরূপ প্রতিক্রিয়ার চেয়েও ভয়ংকর ও দীর্ঘস্থায়ী। কখনো কি আমরা একথা বলেছি বা মেনেছি! উত্তরণের উপায়ও কি খুঁজেছি কখনো? সমকালের বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিকরা আমাদের মনের মধ্যে তেমন নৈতিক যন্ত্রণার জন্ম দিতে পেরেছেন কি, যেমন যন্ত্রণা থাকলে মানুষ ‘কর্মে ও কথায় সত্য আত্মীয়তা অর্জন’ করতে পারে!
আমাদের শিক্ষকদের আচরণ শিক্ষকসুলভ নয়, ডাক্তারদের আচরণ ডাক্তারসুলভ নয়; রাজনীতিতে নীতি নেই, সাংবাদিকতায় সংবাদ নেই। আমাদের সমাজে মেধাবীর শাসন আর নৈতিকতার অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যারা মেধাবী, কথায় ও কর্মে ভেতরে-বাইরে সমান নীতিবান, তাদের অসহায় মুখগুলোই আমাদের জাতীয় জীবনের পচনচিহ্ন, বাংলাদেশের আসল সংখ্যালঘু তারাই। সকল শ্রেণি-পেশার সংখ্যালঘু আসলের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৯৭১ সালে, রাজাকার আলবদরেরা আমাদের উচ্চ-শিক্ষিত শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ারদের প্ল্যান করে হত্যা করে জাতির ও উনাদের পরিবারের ক্ষতি করেছে; হায়েনাদের কয়েকজনকে ঝুলানো হয়েছে।
তবে, উচ্চ-শিক্ষিত শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ারগণ বুদ্ধজীবি ছিলেন না; বুদ্ধিজীবি হলে, উনারা বিপদ বুঝতে পারতেন; এবং স্বাধীনতার জন্য লড়তে যেতেন, হায়েনারা উনাদেরকে খুঁজে পেতো না।