নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?
নিস্তব্ধ পুকুরে ঢিল ছুঁড়লে যেমন ঢেউয়ের বাঁকগুলো উঁচু থেকে নিচু হতে হতে কাছে এসে লুটোপুটি খায়, ঠিক তেমনি প্রিয়াদির হাসিটাও শুরুতেই প্রবলভাবে তরঙ্গাকারে দোলা দিয়ে আস্তে করে কাছে টেনে আপন করে নিত। আমার ছোট ছোট দুষ্টুমিগুলো পুকুরে ঢিলের মতোই কাজ করত সেসময় । আর আমিও ঐ হাসিটুকুর জন্য সঙ্গোপনে ঢিল ছুঁড়ে যেতাম।
অবশ্য বেশি বেশি ছুঁড়তে গেলে প্রিয়াদি কাছে এসে আমাকে উনার পালক নরম বুকের সাথে চেপে ধরে মৃদু চপেটাঘাত করার ছলে বলত, ‘মিট্টু, দ্যাখ বেশি দুষ্টুমি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু’।
আর আমি ঐ টুকুন বয়সে প্রিয়াদির বুকের পেলব উপত্যকায় মুখ ঘষে মায়ের নাকি প্রেমিকার ওম নিতাম তখনও তা বুঝে উঠার বয়স হয় নি। কারণ তখন আমার বয়স ছিল সবেমাত্র আট কি নয়। আর দিদি তখন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। ঐ বয়সেও আমি টের পেতাম প্রিয়াদির আগুনঝরা রূপের জৌলুস।
শহর সংলগ্ন পদ্মপুকুর গ্রামের ছেলেপেলে কিংবা সদরের হাইস্কুল কলেজের বোর্ডিং এ থাকা ছাত্ররা প্রায়ই দেখতাম প্রিয়াদির বাড়ির সামনে দিয়ে নিজেদের সদ্য কেনা ফনিক্স কিংবা হিরো সাইকেলে করে চক্কর দিতে। কদাচিৎ প্রিয়াদির দেখা পেলে ছেলেগুলো ধন্য হয়ে যেত।
আমার অবশ্য সে বাধ্য-বাধকতা ছিল না। এমনিতে পিচ্চি। আর প্রিয়াদির বাবা শিক্ষক হওয়ায় ওনার কাছে ছোট থেকেই বাবার বিশ্বস্ত শম্ভু দা আমাকে সন্ধ্যার আগেই পড়তে দিয়ে আসত। ক্লাস থ্রি তে উঠার পর প্রিয়াদির বাবা শৈলেন কাকা একবার অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার পড়াশুনার দায়িত্ব তখন গিয়ে পড়ে প্রিয়াদির কাছে। সেই থেকে আমি প্রিয়াদির উষ্ণ ভালোবাসায় সিক্ত হতে থাকি।
'-প্রিয়াদি, তুমি এত সুন্দর কেন গো?’ মিষ্টি করে আমি জানতে চাই একদিন।
-'তাই নাকি? তোকে কে বলল?’ প্রিয়াদি মুখে অনিন্দ্যসুন্দর হাসি নিয়ে মাথা দুলিয়ে আমার কাছে জানতে চায়।
-'শম্ভু দা বলছিল সেদিন।’- আমি নির্লিপ্তভাবে বলি।
-'শমভু দা আর কি কি বলে রে?’ প্রিয়াদি চোখ নাচিয়ে উৎসুক হয়ে জানতে চায়।
-'তোমাকে বলব কেন?’ বলে আমি দৌড়ে পালিয়ে যাই প্রিয়াদির নাগালের বাইরে। আর আমাকে ধরার জন্য ‘এই মিট্টু, এই মিট্টু শোন’ বলে আমার পিছু পিছু আসতে থাকে।
২
এই হল আমার প্রিয়াঙ্কা দিদি। আমি যাকে ডাকি প্রিয়াদি। তিনটা বাড়ির পরেই কালীমন্দির। পাশে শানবাঁধা পুকুর। আর পুকুরের ওপারেই থাকে দিদিরা।
এদিকে আমার বাবা আলতাফ মেহমুদ চৌধুরী তখন রাজনীতির সোনালী যুগ পার করছেন। সবেমাত্র উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আমার যখন দুইবছর বয়স, তখন নাকি আমার মা আত্মহত্যা করে। অনেকে এরজন্য বাবাকে দোষারোপ করলেও আমি বাবার সাথে এখানেই থাকি। যদিও বাবা লোকটার সাথে আমার তেমন দেখাই হত না উনার রাজনীতির কারণে। উনি আর বিয়েও করেন নি।
বাড়িতে অনেক কাজের লোক। বৃদ্ধ দিদাও ছিল। আর শম্ভু দা আমার সবসময় খেয়াল রাখত। ডিগ্রি পাস করে সুদর্শন শম্ভু দা বাবার ডান হাত হিসেবে বেশ কিছুদিন থেকেই আমাদের বাসায় থাকে । ব্যবসার দেখাশুনা করে। আমাদের বাড়িটা আবার উপজেলা সদর লাগোয়া হওয়ায় এখনও গ্রামের কিছুটা ভাব রয়েছে। তবে এর পরিবর্তনও হচ্ছে জোরেসোরে।
যাহোক, প্রিয়াদি কখনও আমাকে ডাকত মিট্টু, কখনও রাজকুমার। আমার চেহারা নাকি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করা কোনো এক রাজকুমারের মতো। দিদির এই ডাকগুলো শরতের স্নিগ্ধ বিকেলে সবুজ ধানগাছের উপর বয়ে চলা হাওয়ার দোলার মতো আমার মনকেও উদ্বেলিত, সবুজাভ ও রঙিন করে তুলত। কান পেতে আমি রাতের গভীরেও এই ডাক শুনতে পেতাম বহুদূর থেকে ভেসে আসা ইথারে।
কোনোদিন শম্ভুদা একটু দেরীতে আমাকে নিতে আসলে দিদির কোলে মাথা দিয়ে ঘুমে যেতাম। ঘুমেও আমি টের পেতাম প্রিয়াদি আমার মাথায় কি পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। শম্ভু দা কোলে করে আমাকে নিয়ে আসত।
একদিন আমার ভীষণ জ্বর হল। সেসময় আমি নাকি বিড়বিড় করে প্রিয়াদির নাম উচ্চারণ করছিলাম। ফলে দিদি এসে আমার সাথে বেশ কয়দিন আমাদের বাসায় ছিল। আমার সাথে আমার বেডেই ঘুমাত। আমিও দিদিকে জড়িয়ে ধরে কোনো এক অসীম শূন্যতাকে পুরুন করার অক্ষম চেষ্টা করতাম। দিদিও হয়ত টের পেত আমার সেই নিঃসীমতাকে। বুঝতে পেরে আরো শক্ত করে আমাকে চেপে ধরত। আমার জ্বর জনিত উষ্ণতা ও প্রিয়াদির প্রাকৃতিক উষ্ণতা মিলে মিশে একাকার হয়ে যেত।
এর কিছুদিন পরেই বাবা আমাকে ভারতের দার্জিলিং এর বিখ্যাত সেইন্ট পল স্কুলে ভর্তি করে দেয়। বাবা বলছিল আমাদের নাকি এখানে অনেক শত্রু। আমার মনে আছে যাওয়ার আগের দিন আমি পালিয়ে প্রিয়াদিদের বাসায় গিয়ে লুকিয়ে ছিলাম। পরে যখন শম্ভু দা জানতে পেরে আমাকে আনতে যায় তখন ভীষণ কান্নাকাটি করেছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল আমি প্রিয়াদিকে একদিন দেখতে না পারলে বাঁচতে পারব না। আমি বাবার কাছে আবদার করেছিলাম প্রিয়াদিকেও আমার সাথে পাঠানো দিতে। বাবা ধমক দিয়ে আমাকে থামিয়ে দিয়েছিল।
এরপর আমি প্রিয়াদিকে আর দেখি নি। কিন্তু আমার স্পষ্ট মনে আছে, আমি আসার দিন আমার পাশের রুম থেকে একজনের ডুঁকরে কান্নার আওয়াজ শুনেছিলাম। শম্ভুদাকে জিজ্ঞেস করলে বলেছিল বিলুর মায়ের কান্না, যে আমাদের বাসায় কাজ করে। কিন্তু তখন বিশ্বাস করলেও পরে নিশ্চিত হই ওটা প্রিয়াদিই ছিল। শম্ভু দা ঢাকাতে আমাকে কলকাতাগামী বিমানে তুলে দেওয়ার আগে বলেছিল, ‘প্রিয়াঙ্কাটার তোর জন্য অনেক মন খারাপ রে’।
এরপর আত্রাই নদীতে অনেক জল গড়িয়েছে। আমি আর কখনই গ্রামের বাড়ি যেতে পারি নি। বাবা তখন সংসদ সদস্য হয়ে ঢাকাতে থাকত। নতুন একটা বিয়ে করেছে। প্রথম প্রথম অনেক কাঁদতাম স্কুল হোস্টেলে থাকতে। একবছর পর পর বাবা গিয়ে আমাকে নিয়ে আসত। দেশে এসে ঢাকাতে আমাদের বাসায় উঠতাম। গ্রামের বাড়ি আসতে চাইলে বাবা আমাকে নিয়ে বিদেশ সফরে বের হত।
এভাবেই ‘ও’ লেভেল, ‘এ’ লেভেল শেষ করে আন্ডারগ্রাডের জন্য সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, জুরিখে ভর্তি হই। পরে বাবা মাঝে মাঝে সুইজারল্যান্ডে আসত। আমার আর দেশে আসা হয় নি। গ্রাজুয়েশন করে প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারস (পিডব্লিউসি) ফার্মে কন্সাল্টেন্ট হিসেবে লন্ডন অফিসে জয়েন করি। সেখানেই জুলিয়ার সাথে পরিচয়। ও স্প্যানিশ। এক সাথেই জব করতাম। পরে দুজনে বিয়েও করে ফেলি। এরপর নিজেরা প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম চালু করি। এর কিছুদিন পরে দেশে আসি বেড়াতে জুলিয়াসহ।
৩
এদিকে বাবা তখন ডাকসাইটে মন্ত্রী। ঢাকাতে এসে যখন গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য আমি কিছুটা উথলা, বাবা কিছুতেই আমাকে সেখানে যেতে দিবে না। আমি একপ্রকার জোর করেই যাচ্ছি প্রায় আঠারো বছর পর। বাবার মুখে শুনেছি শম্ভু দা নাকি কি একটা দুর্ঘটনায় মারা গেছে। গ্রাম এখন শহরের সাথে একিভূত। রাস্তা ঘাট সব পাকা আর পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত। আমাকে বাবার চাচাতো ভাই ও তাদের পরিবারেরা দেখে ভীষণ কান্না এবং শেষে অনেক আনন্দ উচ্ছ্বলতায় সবাই মেতে উঠল। জুলিয়ার কাছে সবকিছু নতুন। সে ভীষণ উপভোগ করছে এসব। এরপর আমি আমার এক চাচাতো ভাইয়ের কাছে জানতে চাই প্রিয়াদির কথা। ক্ষণিকেই দেখি চারপাশের সব কোলাহল থেমে গিয়ে শ্মশানের নিরবতা।
প্রত্যেকের মুখের দিকে তাকিয়ে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে সবাই যেন কিছু একটা লুকানোর আপ্রাণ চেষ্টায় রত। হঠাৎ করে আমার মধ্যে প্রিয়াদির সেই ঢেউ খেলানো হাসির রূপ চাক্ষুস হয়ে ধরা দিল। আমি ফিরে গেলাম সেই আঠারো বছর আগের সোনাঝরা দিনগুলোতে। তড়িঘড়ি করে জুলিয়াকে ওদের কাছে রেখে প্রিয়াদির বাসার দিকে রওয়ানা হলাম।
কালীমন্দির পার হয়ে কাছাকাছি এসে দেখি সেখানে প্রিয়াদিদের বাসার কোনো চিহ্নই নেই। আগের টিনের ছাউনি দেওয়া ইটের তিনটি ঘরের পরিবর্তে ঝাঁ চকচকে একটি ফ্লাট বাসা। সামনে ফুলের বাগানটা অবশ্য আগের মতোই আছে। কাছে গিয়ে দেখি নেমপ্লেটে লেখা আছে ‘সরদার বাড়ি’। আমার পিছে পিছে তিন চারজনকে দেখছি আসছে। এদের অনেককেই আমি চিনি না। আমাদের পরিবারেরই কেউ হবে।
দুটো ছেলে আমাকে হাত ধরে একটু জোর দিয়েই বলছে, ‘আয়মান ভাইয়া বাসায় ফিরে চলেন’।
টিনেজ এই ছেলেকে দিলাম একটা ধমক। একজনকে জিজ্ঞেস করলাম প্রিয়াঙ্কা দিদিরা এখন কোথায় থাকে? ছেলেটি আমার সাথে ট্রিকস করতে চাচ্ছিল। আমার রাগারাগিতে তারা আমার থেকে পালিয়ে গেল। আমি উদ্বিগ্ন হয়ে নতুন এই বাসার ভিতরে ঢুকলে বাসার অপরিচিত লোকেরা সবাই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ল। সবাইকে ভীষণ ভীত লাগছে। ততক্ষণে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে প্রিয়াঙ্কাদির পরিবারের সাথে মারাত্মক কিছু একটা ঘটে গেছে।
একজন বয়স্ক মহিলাকে একটু কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করলাম,
-'এখানে প্রিয়াঙ্কাদিরা থাকত না।’
-'উনারা অনেক আগেই চলে গেছে, বাবা।’ --ভীত সন্ত্রস্ত কণ্ঠস্বর।
-'কোথায় গেছে?’ ভীষণ উদ্বেগে জানতে চাইলাম।
-'ভারতে।'
-'আপনারা কি এই জমি কিনে নিয়েছেন?'
-'হ্যাঁ-বাবা।'
-'কে কে ভারতে গেছে?'
-'প্রিয়াঙ্কার বাবা, মা, দাদু, ওর চাচার পরিবার, বড় ভাই স্ত্রী সহ।'
-'আর প্রিয়াঙ্কাদি।' আমার তখন উত্তেজনায় রক্তচাপ বেড়ে গেছে।
এবার ও পক্ষ চুপ। এবার প্রায় কান্নাজড়িত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলাম,
-'প্রিয়াঙ্কাদি কোথায় গেছে।'
ফ্যাঁস ফ্যাঁসে গলায় বাড়ির একজন পুরুষ জানাল,
- 'এই পাড়াতেই থাকে'।
আমি ভীষণ বিস্মিত হলাম। এই পাড়াতেই থাকে। তাহলে এত লুকোচুরি কেন? পুরোপুরি খুলে বললেই তো হয়। ফোনটা বেজে উঠল। মন্ত্রী মানে বাবার ফোন।
-'তুমি প্রিয়াঙ্কাদের বাসার ওখানে কি করছ? এখনি তোমার চাচাদের ওখানে যাও। এলাকায় অনেক রাজনৈতিক শত্রু আছে। এভাবে একাকী কোথাও যেও না। আমি থানাতে বলে দিয়েছি। দুজন কন্সটেবল থাকবে তোমার সাথে।' বলেই লাইন কেটে দিলেন।
বাবার কথাও ফেলে দিতে পারি না। কারণ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ খুব একটা সুস্থ নয়। তাই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসার পথে কালীমন্দিরের কাছে ছেলেবেলার খেলার সাথি অখিলের সাথে দেখা। ঐ এগিয়ে আসল। হয়ত আমার আসার খবর শুনেছে। ছোটকালে কত মার্বেল খেলেছি একসাথে। অখিল হচ্ছে শম্ভুদার ছোট ভাই। অনেক দিন পর দেখা হলেও ওর গাছ থেকে পড়ে গিয়ে কপালের কাটা দাগটাই অপরিচিত হতে দিবে না।
আমাকে দেখে হাসিমুখে কাছে এল। কুশল বিনিময়ের পরই উদ্বেগে জানতে চাইলাম প্রিয়াঙ্কাদির ব্যাপারে। অখিল সাথে সাথে কাজের অজুহাত দেখিয়ে চলে যেতে চাচ্ছিল। আমি একপ্রকার জোর করেই মন্দিরের একপাশে নিয়ে বসালাম। ওর চোখে-মুখে স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ লক্ষ করলাম। সঙ্গে কিছুটা ক্ষোভও! অনেক জোরাজুরি করলাম। শেষে নিরাপত্তার আশ্বাস দিলে অখিল খুলে বলল সব।
ওর কাছে যা শুনলাম তাতে আমার কষ্ট ও ক্রোধ একিভূত হয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতির উদয় হল।
৪
আমি দার্জিলিং এ ভর্তি হওয়ার বছরখানেক পরেই দিদিকে আমাদের পদ্মপুকুর গ্রাম থেকে সাত-আট কিলোমিটার দূরের বিলের ধারে কাশবনের ভিতরে অর্ধমৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সাতদিন নিখোঁজ থাকার পর ওভাবে উদ্ধার হয় আমার প্রিয়াদি। পাপিষ্ঠরা মৃত মনে করেই ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু দিদি বেঁচে গেলেন অলৌকিকভাবে। তবে মাথায় আঘাতজনিত কারণে আগের সেই স্বাভাবিকতা আর থাকল না। পাগলের মতো আচরণ করতে থাকলেন। এরপর শৈলেন কাকা অজ্ঞাতনামা কিছু লোকের নামে মামলা করলে পুলিশ তদন্তে এলাকার প্রভাবশালী কিছু মানুষের নাম উঠে আসে। কিন্তু সুচারুভাবে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়া হয়। শম্ভুদার দুর্ঘটনায় মারা যাওয়াটাও ছিল সাজানো। কারণ শম্ভুদা জেনে ফেলেছিল সব। এগুলো এলাকার মোটামুটি অনেকেই জানে কিংবা সন্দেহ করে। কিন্তু কেউ এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করে নি ভয়ে।
আমি আগেই বলেছি প্রিয়াদির আগুনঝরা রূপ এলাকায় রীতিমতো রূপকথার মতো ছিল। ফলে অনেকেই চাইত ভাব করতে। এগুলো নিয়ে শৈলেন কাকাও বিব্রত থাকত। শম্ভুদার সাথে বিয়েও ঠিক হয়েছিল। আর বিয়ের মাসখানেক আগেই এই পাশবিক ঘটনা। এবং সবাই অপরাধীদের জানলেও সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে কেউ সাজাপ্রাপ্ত হয় নি। আর এই কষ্টে শৈলেন কাকারা দেশের সবকিছু বিক্রিবাটা করে ভারতে চলে যায়। প্রিয়াদিও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাকারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে নাকি পাগলী প্রিয়াদির আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বেশ কিছুদিন অপেক্ষার পরে পাগলীকে ফেলে রেখেই চলে যায় উনারা। আর ঠিক তার বছরখানেক পরে প্রিয়াদি আবার হঠাৎ উদয় হয় পদ্মপুকুর গ্রামে। এরপর ঐ পাকুড় গাছের গোড়া আর মন্দিরের বারান্দা হয়েছে আবাস। মন্দিরের প্রসাদ খেয়েই বেঁচে আছে। এসব শুনে আমার চোখের পানি বাঁধ মানে না। অখিলের চোখের কোণেও পানি। তার দাদার হত্যাকারীদের চিনলেও কিছু করার নেই।
ভীষণ কষ্টে শুধু বললাম, 'কোথায় পাওয়া যাবে দিদিকে এই মুহূর্তে'। জানালো মন্দিরের ওপাশের পাকুড় গাছের গোড়ায় তাকিয়ে দেখ। সাথে সাথে তাকিয়ে দেখে হাঁটা দেই পাকুড় গাছ বরাবর। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে কাছে এসেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়ি এক নারী মূর্তির সামনে। এই মুখ যতই পরিবর্তিত হোক হাজার মাইল দূর থেকে আমার ভুল হবে না।
অস্ফুট উচ্চারণে কান্নাজড়িত কন্ঠে ডেকে বলি, 'প্রিয়াদি, দেখ আমি তোমার মিট্টু রাজকুমার'।
প্রিয়াদি আমার দিকে তাকায় না। কথাও বলে না। নিশ্চুপ হয়ে মাথা নিচু করে বিড়বিড় করে কি যেন বলছে।
ভীষণ কষ্টে ভাঙা গলায় বলতে থাকি,' ও প্রিয়াদি, একটিবার তাকাও না আমার দিকে। আমি তোমার সেই ছোট্ট মিট্টু প্রিয়াদি। আমার দুষ্টুমিগুলো ভুলে গেলে দিদি। একটিবার তোমার মিট্টুর দিকে তাকাও'।
কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পরে আমার দিকে না তাকিয়ে জীর্ণকায় নারীমূর্তিটি কাঁপা কাঁপা হাতে একটি ছোট্ট বাঁশের কঞ্চি নিয়ে মাটিতে একটি ছবি আঁকছে নিঁখুতভাবে। দেখে মনে হচ্ছে আমার অতি চেনা একটি শিশুর অবয়ব। কান্নায় ভেঙে পড়ে আমি অস্ফুটে বলি, 'তোমাকে যারা কষ্ট দিয়েছে তাদের শাস্তি পেতেই হবে দিদি। শাস্তি তাদের পেতেই হবে। শাস্তি নিশ্চিত করা ছাড়া আমি দেশ থেকে যাচ্ছি না'।
এরপর অনেক কাজ করতে হল আমাকে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত। যার ফলাফলস্বরূপ, এলাকার কিছু অতি পরিচিত মুখের করাদ বাস নিশ্চিত হয়। এবং এ কাজে সাহায্য করেন দেশের একজন নামকরা মন্ত্রী। এছাড়া ব্রিটিশ এমব্যাসিতে দৌড়াদৌড়ি। আয়মান মেহমুদ চৌধুরীর নামের ‘মেহমুদ চৌধুরী’ অংশটি চিরতরে ফেলে দিয়ে সেখানে ‘আয়মান মিট্টু’ নামে এফিডেভিট করা।
একদিন সোনালী সকালে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে দেশত্যাগ। আমার বাংলাদেশ ত্যাগের দিন থেকে প্রিয়াদিকে নাকি আর কেউ কালীমন্দিরের আশেপাশে দেখে নি। অখিল একগাল হেসে ফোনে তাই বলছিল।
ও, হ্যাঁ। এর মাঝে দেশের সব কয়টা পত্রিকায় হেডলাইন হয়েছিল--- 'আকস্মিকভাবে নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকে এক ডাকসাইটে মন্ত্রীর আত্নহত্যা'র খবরে।
*******************************************************************************************
আখেনাটেন/২০১৯
ছবি: অন্তর্জাল
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: সু-স্বাগতম জনাব।
পুনরায় আসার অপেক্ষায় থাকলাম...।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার গল্প মানেই আমার কাছে বিশেষ কিছু (তেল কিন্তু মাঝে-মধ্যে স্বাস্থ্যকর!!)। গল্প অবশ্যই মচৎকার হয়েছে!!
ক্ষমতাধররা ক্ষমতার দম্ভে পর্দার আড়ালে অনেক কিছুই করে। সেগুলো ফাস করে দেয়া দুঃসাহসের কাজই বটে। তবে ব্যাটা বৃটিশ নাগরিক হওয়াতে বেচে গেছে, নইলে কপালে খারাবী ছিল।
নিস্তব্দ<নিস্তব্ধ, গল্পের প্রথম শব্দটা ঠিক করেন, চোখে লাগে!
আপনার মিশর কড়চা কতোদূর?? অপেক্ষা করছি ওইটার জন্য, দিলেন গল্প। কোন কথা হইলো এইটা??
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬
আখেনাটেন বলেছেন: গল্প ভালো লাগায় আপ্লুত হলুম।
ক্ষমতা আমাদের অন্ধ করে দেয়। তবে আশার কথা হচ্ছে ধীরে হলেও জাস্টিস পাচ্ছে মানুষ জাহলামের মতো।
*ঠিক করে দিয়েছি।
নেফারতিতির দেশের কাহিনির কায়রো পর্বটা লিখেছি। কিন্তু কেন জানি মনঃপূত হচ্ছে না। আর একটু ঘষামাজা দরকার মনে হচ্ছে। আর লেখাটা একটু বড়ও হয়ে গেছে। আর একটু কনসাইজ করতে হবে মনে হচ্ছে। এই কারণে ব্লগে পোস্ট করতে পারছি না। সামনের কোনো এক দিন...।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ব্লগার ভুয়া মফিজ ভাই। ভালো থাকুন।
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩
নজসু বলেছেন:
লাইক দিয়ে হাজিরা দিয়ে গেলাম।
গল্প পাঠ করার পর মূল মন্তব্য করবো।
ভাইজানের আমার কথা মনে আছে না নাই।
ক্ষুদ্র মানুষ আমি। মনে না থাকাই স্বাভাবিক।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: ভুলি ক্যামোনে ভাইজান... ...আমি নিজেও একটু ব্যস্ত আছি তাই অনেকের ব্লগবাড়িতে যাওয়া হচ্ছে না।
অপেক্ষায় থাকলাম.........
৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একজন বুদ্ধিমান ব্লগার। কেউ কপি পেষ্ট করলেই আপনি ধরে ফেলেন।
আমি নিজেও আপনার কাছে ধরা খেয়েছি।
আপনার পোষ্টে মন্তব্যও হিসাব করে করতে হবে।
সুন্দর গল্প। সহজ সরল ভাষা।
গ্রামের নামটা ভালো লেগেছে- পদ্মপুকুর। পদ্মপুকুর নামে আমাদের একজন ব্লগার আছেন সামুতে।
প্রিয়াদি কি বাস্তব কোনো চরিত্র?
ভালো থাকুন।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। আপনার এই সহজিয়া জিনিসটা বেশ চমকপ্রদ। আপনি এমনিতেই ভালো লেখেন। একটু লোভ সংবরণ করলেই হয়। অন্যের লেখা/আইডিয়া রেফারেন্স ছাড়া নিজ নামে চালানো মারাত্মক গর্হিত কাজ। এগুলো থেকে বিরত থাকাটাও ভালো মানুষের লক্ষণ। আর আপনি যেহেতু ভালো মানুষ তাই নাই-বা জড়িত থাকলেন কুম্ভিলকবিদ্যায়।
গল্পটি পড়েছেন জেনে ভালো লাগল। সেজন্য ধন্যবাদ। আর ভালো লাগার জন্য আরো একটি ধন্যবাদ। আর আপনি লেখার পর মনে হল ঠিকই তো 'পদ্মপুকুর' নামে...। নামটি আমারও পছন্দ। এই নামে আমার পরিচিত সত্যিই একটি গ্রাম আছে।
প্রিয়াদিরা কখনও কি অবাস্তব হতে পারে?
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: আখেনাটেন ভাই,
আপনি গল্প লিখবেন আর আমি পড়ব না সেটা হয় নাকি!
প্রিয়াদি মতো আহ, কেউ যদি আমার ছোট বেলায় থাকতো, তাহলে আর বড়ই হতাম না, সারা জীবনে ছোট্টটি থেকে যেতাম।
কি সুখের ঘুম না আপনি ঘুমিয়েছেন! নরম সরম আদুর আদুর ঘুম। ইস। এই রকম যদি সারা জীবন ঘুমাতে পারতাম!
এবার আসি মুল গল্পে- বস, ঘুষে না হয়ে ঘষে হবে.......
গল্প মারাত্মক হয়েছে। মেয়েদের বেশি সুন্দর হলে গ্রামে থাকাটা আসলেও খুব বিপদজনক। আমার এক বান্ধবী কাছে শুনেছি, ও প্রায় ছোটবেলা থেকেই শহরে আত্মী্যদের বাসায় বড় হয়েছে! গ্রামেই যেতে না। দেশে বিচার ব্যবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেছে।
ফিনিসটা ভালো লাগলো। জুলিয়ার সাথে এবার প্রিয়াদি। সময় তো সাহেবের উড়ু উড়ু কাটবে! কিন্তু মন্ত্রী সাহেব আত্মহত্যা করলেন কেন? নিজে করেছে, নাকি? উনি মনে হয় প্রথম দিকে বিচার হতে দেন নি। সেটাই বুঝাতে চেয়েছেন।
মাঝখানে ছবি দেয়ার পদ্ধতিটা খুব মনে ধরেছে। একবার ট্রাই করব।
দারুন একটা গল্প দেবার জন্য ধন্যবাদ। প্রিয়তে রেখেছি। কিছুদিন পরে আবার পড়ব।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। হুম, প্রিয়াদির মতো কেউ থাকলে আজীবন ছোট থাকাই যায়।
*বানান ঠিক করে দিয়েছি। ধন্যবাদ। আরো মনে হয় আছে। বাংলা ক্লাসে নতুন করে ভর্তি হতে হবে দেখছি।
মেয়েদের বেশি সুন্দর হলে গ্রামে থাকাটা আসলেও খুব বিপদজনক। -- হুম, আর সেজন্য বেশির ভাগ মেয়েরই অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে যায়।
জুলিয়ার সাথে এবার প্রিয়াদি। সময় তো সাহেবের উড়ু উড়ু কাটবে! কিন্তু মন্ত্রী সাহেব আত্মহত্যা করলেন কেন? নিজে করেছে, নাকি? --- গল্প কি বেশি জটিল হয়ে গেছে নাকি? নিচে গাজীদার মাথার হাত দশেক উপর দিয়ে গেল অন্য একটি বিষয়।
পরের বার পড়লে নিশ্চয় সব ফকফকা হয়ে যাওয়ার কথা।
প্রিয়তে নেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন ব্লগার নীল আকাশ।
৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আর একটু কনসাইজ করতে হবে মনে হচ্ছে। নো....নট এ গুড আইডিয়া। যতো ডিটেইল হয় ততো ভালো। বরং পর্ব বাড়িয়ে দিন না, অসুবিধা কি?
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩
আখেনাটেন বলেছেন: মনে করছিলাম কায়রো, আলেক্সান্দ্রিয়া, লুক্সর, আসওয়ান, আবু সিম্বেল প্রতিটার জন্য আলাদা একটি করে পর্ব লিখব। সেখানে...দেখি কোথাকার নীল জল কোথায় যায়?
আপনারা নীলের পাড়ে আমার সঙ্গী হলে আর কি চাই?
৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্লটটি মোটামুটি। লেখক দেশ ত্যাগ করার পর, প্রিয়াদি কোথায় গেলো?
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮
আখেনাটেন বলেছেন: খুশি হলুম আপনার কিছুটা হলেও ভালো লেগেছে জেনে।
লেখক দেশ ত্যাগ করার পর, প্রিয়াদি কোথায় গেলো? --- অখিল হেসেছিল ।
শুভকামনা নিরন্তর। ভালো থাকুন।
৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
মা.হাসান বলেছেন: ভাল লাগলো। +++
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
আখেনাটেন বলেছেন: খুশি হলুম।
মন্তব্যে জন্যে শুভেচ্ছা নিবেন ব্লগার মা. হাসান।
৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আখেনাটেনভাই,
সম্পূর্ণ ভিন্ন প্লটে লেখা গল্পটি ভীষণ ভালো লাগলো। দু- একটি টাইপো ও সংলাপে একটু ভাষাগত পরিবর্তন হলে আমার কাছে একশোতে একশো লাগত। বিশেষ করে একটি জায়গায় এমন দিলে কেমন হয় ,
অখিলের চোখে- মুখে স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ ! সঙ্গে ক্ষোভও।
বাবা আর আব্বা কথাটি একটা জায়গায় মিশে গেছে।।
যে কারণে গল্পটিকে মানে আপনাকে মিঃপারফেকশন লাগলো :-
১- হিন্দু- মুসলিম মিশ্র সংস্কৃতির এক প্রামাণ্য দলিল ; যার নিখুত বর্ননা।
২- যেখানে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ, সংখ্যালঘুদের ধনে প্রাণে মারার এক সার্বজনীন চিত্র।
৩- রাজনৈতিক অবক্ষয়তার চিরাচরিত চিত্র। যদিও গল্পে তার সঠিক বিচার হয়েছে। তবে বাস্তবে এরা ধরা ছোওয়ার বাইরে থেকে যায় চিরকালই । তবে এটা আশার যে পাপ চিরদিন গোপন থাকে না।
৪-নগরায়ন হয়েছে। অনেক জল বয়ে গেলেও আবার গ্রামে মিশ্র সংস্কৃতি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে - যেটা ভালো লাগলো।
৫- একটি নিরাপদ আশ্রয়।
সবমিলিয়ে দুর্দান্ত ঠেকলো প্রিয় ফ্যারাও ভাই।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য পদাতিক দা। আপ্লুত হলুম দেখে। আমার চোখ ফাঁকি দেওয়া ত্রুটিগুলো আপনার রাডারে ঠিকই আটকে গেছে। জহুরী মাইরি... অশেষ কৃতজ্ঞতা।
আসলে আমাদের গ্রামগুলোতে সব সম্প্রদায়ের লোকই মিলেমিশেই থাকতে চায়। কিন্তু কিছু উচ্চাভিলাশী মানুষ এই নিটোল পরিবেশকে বিষিয়ে তোলে। দেশ-কাল ভেদে শুধু ক্যারেক্টারগুলো পরিবর্তন হয় যা আপনি উল্লেখ করেছেন।
একেবারেই যে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে তা না। এর মাঝেও কেউ কেউ পাপের প্রায়শ্চিত্তও করছে ঠিকই।
অনেক অনেক ভালোলাগা আপনার মন্তব্যে। ভালো থাকুন।
১০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হা হা হা। আপনার এই সহজিয়া জিনিসটা বেশ চমকপ্রদ। আপনি এমনিতেই ভালো লেখেন। একটু লোভ সংবরণ করলেই হয়। অন্যের লেখা/আইডিয়া রেফারেন্স ছাড়া নিজ নামে চালানো মারাত্মক গর্হিত কাজ। এগুলো থেকে বিরত থাকাটাও ভালো মানুষের লক্ষণ। আর আপনি যেহেতু ভালো মানুষ তাই নাই-বা জড়িত থাকলেন কুম্ভিলকবিদ্যায়।
গল্পটি পড়েছেন জেনে ভালো লাগল। সেজন্য ধন্যবাদ। আর ভালো লাগার জন্য আরো একটি ধন্যবাদ। আর আপনি লেখার পর মনে হল ঠিকই তো 'পদ্মপুকুর' নামে...। নামটি আমারও পছন্দ। এই নামে আমার পরিচিত সত্যিই একটি গ্রাম আছে।
প্রিয়াদিরা কখনও কি অবাস্তব হতে পারে?
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
শুকরিয়া। মানুষ ভুল করেই শিখে।
মনে হয় না এই ভুল আর করবো।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩২
আখেনাটেন বলেছেন:
পরীর বাপের জন্য কাড়ি কাড়ি শুভেচ্ছা।
১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৯
সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা, উপস্থাপন আর কাহিনী মিলিয়ে গল্পে প্লাস। কিন্তু মাঝে মাঝে আবার ইমেজ দেবার প্রয়োজন নেই।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৫
আখেনাটেন বলেছেন: গল্প ভালো লাগায় খুশি হলুম।
অনেকেই একটানা পড়তে গিয়ে একঘেয়েমি অনুভব করে কিনা সেই জন্য গল্পের কিছু টুকরো নিয়ে ইমেজগুলো দেওয়া আর কি!
অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় কবি সুমন কর। ভালো থাকুন।
১২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,
কাহিনী গতানুগতিক হলেও আপনার লেখার গুনে পদ্মপুকুরের মতোই টলোমলো। গল্পের প্রিয়াদিরা এমন করেই হারিয়ে যায় ছেলেবেলার মিট্টুদের কাছ থেকে! কেন হারিয়ে যায়, তার কারন গল্পে স্পষ্টতর না করে খুব মুন্সিয়ানার সাথেই অস্পষ্ট রেখে গেছেন।
"প্রিয়াঙ্কাটার তোর জন্যে অনেক মন খারাপ রে'!" লাইনটি হু...হু... করে কিছু কান্না ভেজা বাতাসের ছোঁয়া বইয়ে দিয়ে গেলো গায়ে!
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: প্রিয়াদিরা যাতে এভাবে বেদনাদায়ক জীবন অতিবাহিত না করে সেজন্য সবাইকেই সচেষ্ট হতে হবে। বৈচিত্রেই সৌন্দর্য।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। ভালো থাকুন।
১৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: যাক কেউ তো বিচার পেলো ;
ভালোলাগা লেখায়।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৭
আখেনাটেন বলেছেন: বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে এভাবে কেউ বিচার পেলে অবিশ্বাস হওয়ারই কথা। আশা করি দেশ সত্যি সত্যিই একদিন এরকমই হবে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা মনিরাদি......।
১৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৪
ল বলেছেন: সেরা একটা গল্প পড়লাম -
দিদির জন্য চোখ ছলছল হয়ে ওঠে।
মেহমুদ চৌধুরী আয়মানের বাবা তবেই যত নাঠের গুরু হিন্দু সম্পত্তির উপর যার নজর পড়ে গিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে ওদের সংসার আর শম্ভু দা কে - সমাজে এই রকম এখনো অহরহ চলছে যার হিসাব হয়তো কারো জানা নেই।
ভালোলাগার সবটুকু আপনার সাবলীল চিন্তা ও লেখার স্টাইলে। +++
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০২
আখেনাটেন বলেছেন: স্পয়লার এলার্ট....হা হা হা। দিলেন তো হাটে হাড়ি ভেঙে।
সাথে মা বিহীন একটি শিশুর মনোজগতে এক তরুনীর মায়ের মর্যাদায় আসীন হওয়া।
ভালো লাগল ব্লগার ল আপনার মন্তব্যে। রাশি রাশি শুভকামনা।
১৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৮
নীলপরি বলেছেন: একটানা পড়ে গেলাম । অসাধারণ লিখেছেন । ++++++
শুভকামনা
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫২
আখেনাটেন বলেছেন: এতবড় লেখা ধৈর্য নিয়ে পড়েছেন জেনে ভীষণ খুশি হলুম।
গল্প ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা।
ভালো থাকুন ব্লগার নীলপরি।
১৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ একটা গল্প।
শুরুর দিকে অংশটা অত্যন্ত চমৎকার।
মা বা প্রেমিকার বুকের ওম- কথাটা অতুলনীয়।
প্রিয়াদির প্রতি যে টান, এবং প্রিয়াদিরও যে টান গল্পে ফুটিয়ে তুলেছেন, এর মাধুর্য উপভোগ করেছি খুব।
শেষের দিকে খুব তাড়াহুড়ো হয়ে গেছে। ফলে, দোষীদের জেলে যাওয়া নাটকীয় মনে হতে পারে।
ঠিক এভাবেই, প্রিয়াদিকে ফেলে তার বাবা-মার দেশত্যাগ ততখানি বাস্তব সম্মত মনে হয় নি। যেই প্রিয়াঙ্কার জন্য এত ঘটনা, সেই প্রিয়াঙ্কাকে ফেলে চলে যাওয়া যায় কীভাবে?
আপনার লেখার হাত ও গল্প বলার সাবলীলতা দেখে আমি মুগ্ধ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৭
আখেনাটেন বলেছেন: আপনি সময় করে গল্পটি পাঠ করেছেন দেখে চমৎকৃত হলুম।
প্রশংসায় কৃতজ্ঞতা।
শেষের দিকে খুব তাড়াহুড়ো হয়ে গেছে। --- ঠিকই ধরেছেন। গল্প কিছুটা বড় হয়ে যাচ্ছে দেখে আমি নিজেই অনেক কিছু লিখেও কেটে বাদ দিয়েছি। এখানে আমারও আক্ষেপ থেকেই গেল।
আর প্রিয়াদিকে ফেলে যাওয়াটা আমি বাস্তব এক ঘটনা থেকে নিয়েছি। শুধু প্রিয়াদির জায়গায় নামটা গৌরি (তবে ভিকটিম নয়, ন্যাচারাল মানসিক রোগী) বসবে। দুনিয়া আসলেই অদ্ভুত।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপনার জন্য সোনাবীজ ভাই। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৫
আরোগ্য বলেছেন: কসাই মন্ত্রী, শেষ পর্যন্ত পাপের ফল পেয়েছে। দেশের সব মন্ত্রীর সন্তান যদি আয়মানের মত হয় তাহলে দেশের ভবিষ্যত ভালো।
আয়মান প্রিয়াদির দায়িত্ব নেয়াতে বেশ স্বস্তি পেলাম।
মিশরীয় অধিপতি গল্পের পটভূমি দারুণ হয়েছে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১১
আখেনাটেন বলেছেন: দেশে এ জাতীয় মন্ত্রীর অভাব না থাকলেও বোধ করি আয়মানের অভাব রয়েছে আরোগ্য। আয়মানরা গল্পে বিচরণ করে বাস্তবে এদের পাওয়া মুশকিল হয়ত। এ ব্যাটা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে মনে হয়।
গল্প ভালোলাগায় অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল।
১৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৭
করুণাধারা বলেছেন: গল্পটা এমনভাবে এগিয়েছে যে শেষ পর্যন্ত কি হয় তা দেখার আগ্রহ অদম্য হয়ে ওঠে। সমাপ্তিটা অসাধারণ হয়েছে, এমনটা যদি বাস্তবেও হতো! ক্ষমতাধরদের ধরার ক্ষমতা কারো কি আছে এখন!! এইতো কিছুদিন আগে একজন এমপির পুত্রবধূকে তার ঘরে মৃত পাওয়া গেল। সন্দেহ এমপি ও তার পুত্রের উপরে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা ধামাচাপা পড়ে গেল। এমনই হয় সাধারণত।
শেষ পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কা কোথায় গেল সেটা বুঝতে পারিনি!!!
চমৎকার গল্প পড়বার সুযোগ করে দেবার জন্য ধন্যবাদ। ছবিটাও ভালো লাগলো।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯
আখেনাটেন বলেছেন: বাস্তব হয়ত গল্পের মতো না। ব্যতিক্রম দু-একটা থাকলেও বাস্তবে আসলে এরকম আয়মানদের খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে ঐ জাতীয় মন্ত্রীদের পেতে মনে হয় না বেগ পেতে হবে। আপনি ইতোমধ্যেই একটি উদাহরণ দিয়েছেন।
আর জাস্টিসও এখন উঁচুতলা-নিচুতলা গণনায় ধরে। না হলে অপরাধ না করেও জাহলামরা জেল খাটে আর জ্যাকবরা মুক্তি নিয়ে বিদেশে গমন করতে পারে।
শেষ পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কা কোথায় গেল সেটা বুঝতে পারিনি!!! -- আয়মান ব্রিটিশ এমব্যাসিতে বেশ দৌড়াদৌড়ি করেছিল মনে হয়।
গল্প ভালোলাগায় অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ব্লগার করুণাধারা'পার জন্য। ভালো থাকুন।
১৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পের শুরুতে চমকে গিয়েছিলাম এমন শিশু রোমান্স দেখে কিন্তু গল্পটির সেটিং যে যথেষ্ঠ পাকা তার শেষ অবদি পাঠ না করে বুঝা দায়। শুভ কামনা রইল।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩
আখেনাটেন বলেছেন: শিশু রোমান্স -- হা হা হা।
শিশুদের মন বড়ই বিচিত্র, বেখেয়াল। কখন যে কি করে বুঝা মুশকিল?
আর মানব জীবন আরো জটিল। নিশ্চয় গল্পের থেকেও আরো বেশি।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা নিবেন ব্লগার মাহমুদুর রহমান সুজন ভাই। ভালো থাকুন।
২০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৫৫
সোহানী বলেছেন: গল্প পড়ে পাঠকের মন খারাপের জন্য লেখক সম্পূর্নভাবে দায়ী।
মন খারাপকরা ভালোলাগা নাট ভাই।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৬
আখেনাটেন বলেছেন: সোহানী বলেছেন: গল্প পড়ে পাঠকের মন খারাপের জন্য লেখক সম্পূর্নভাবে দায়ী। --
হা হা 'মন খারাপ করা ভালোলাগা' ভালো বলেছেন সোহানীপা।
প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিবেন। ভালো থাকুন।
২১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৯
রাফা বলেছেন: গল্পের শুরুতেই যা অনুমান করেছিলাম ,শেষে এসে একেবারে হুবহু মিলে গেছে।তারমানে আপনার চিন্তার সাথে আমার চিন্তার অংশিক মিল খুজে পেলাম এই গল্পে।ভালোই লিখছেন।
ধন্যবাদ,আখে...।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। এরকম হয়।
গল্প ভালোলাগায় কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ব্লগার রাফা। ভালো থাকুন।
২২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩
তারেক ফাহিম বলেছেন: এমন একজন প্রিয়াদি থাকলে সবসময় ছোটই থেকে যেতাম
কি আরামের ঘুমই না ঘুমালেম প্রিয় ভাই।
প্রিয়াদি এ সভ্যতায় ৫ সন্তানের জননী হলেও ধর্ষন হত
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১
আখেনাটেন বলেছেন: ছোট থাকার বহুৎ সখ মনে হচ্চে........।
বড় হয়েছেন '...দি' কেটে দিয়ে চলুন। সুখে থাকুন।
সুন্দর মুখের জন্য ঐ পরিবেশে ঐ সামাজিক অবস্থায় টিকে থাকা আসলেই মুশকিল।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ব্লগার তারেক ফাহিম।
২৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
পরীর বাপের জন্য কাড়ি কাড়ি শুভেচ্ছা।
আমার কাছে সারা দুনিয়া একদিকে আর পরী একদিকে।
বাসার বাইরে থাকলে, শুধু পরীর কথা মনে হয়। মনে হয় কখন বাসায় যাবো। মেয়েটাকে দেখব।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৪
আখেনাটেন বলেছেন: সুখে থাকুন পরী মা-মণিকে নিয়ে...।
২৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২১
নাহিদ০৯ বলেছেন: আপনার পাঠক ধরে রাখার ক্ষমতা অসাধারন। এক নিঃস্বাসে পড়ে ফেললাম।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৫
আখেনাটেন বলেছেন: শুনে প্রীত হলুম।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ব্লগার নাহিদ০৯। ভালো থাকুন।
২৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯
রাকু হাসান বলেছেন:
বেশ তো এতটুকুর মাঝেই উত্তেজণা,রোমাঞ্চ ,শঙ্কা ঢুকিযে দিলেন । গল্প ভালো লাগছে আমার ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৭
আখেনাটেন বলেছেন: ভালোলাগায় এক বিরাট অনুপ্রেরণা দিয়ে গেলেন।
প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল ব্লগার রাকু হাসানের জন্য।
২৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়,
আপনার গল্পে প্রিয়াদির পবিত্র হাসির নিখুঁত বর্ণনা দেখে ভাষাবিদ রাহুল সাংকৃত্যায়নের কথা স্মরণ হয়ে গেলো।
এমন পবিত্র হাসির বর্ণনায় আপনি যে শৈল্পিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন তাতে প্রিয়াদির রূপের প্রকাশ আপনার না বলাতেই পাঠকের মনে এক ধরণের আলোরণ খেলে গেছে। আপনি শুধু হাসির সৌন্দর্য্য প্রকাশ গল্পে যেভাবে গেঁথেছেন তাতেই পাঠক মুগ্ধ না হয়ে পারবে না, আর প্রিয়াদির রূপ তো কল্পনাতীত এক বিশাল বিষয়। যার হাসিতে স্বর্গের জলরাশি থৈ থৈ করে হেসে উঠে সেখানে তার বাকি সৌন্দর্য্য তো বলে শেষ করার মত না। সবকিছুর পর গল্পে আপনার এমন শৈল্পিক প্রকাশ সত্যি বিপুল প্রশংসার দাবী রাখে।
আমি-আমরা যে সমাজে বাস করছি সেই সমাজ নষ্টের দায় কার?
এমন প্রশ্নে ক'জন নিজেকে জিজ্ঞাসিত করেছেন?
আমরা যে সমাজে বসবাস করছি সেই সমাজকে আমরা দিনদিন অতি নৃশংস করে তুলছি। আমাদের ভোগবাদী মানসিকতার কারণে আমরা প্রিয়াদির মত স্বর্গের টুকরোগুলোকে লালসা ভরা দৃষ্টি ছাড়া পবিত্রভাবে দেখতে পারি না। আমরা নিজ ঘরের বাহিরের সকল পবিত্রতাকেই নিজেদের লোলুপ চাহিদার আওতায় ফেলতে চাই। যদি সামান্য সুযোগ পাই, তাহলেই নিজেদের নিকৃষ্ট মানসিকতার প্রকাশ ঘটাই; কিন্তু সেই মাবসিকতা যেন অন্য কেউ দেখতে না পারে সেটারও চেষ্টা করি।
আরো মজার বিষয় হল, এই কুমানুষগুলোই আবার যখন অন্যকে একাজ করতে দেখে তখন নিজে সাধু হয়ে যায়। তখন এরা কত যে সাধুবচন প্রসব করে; তা দেখলে শয়তানও লজ্জা পাবে।
আজকের পত্রিকায় দেখলাম
"নারায়ণগঞ্জে দুই বোন গণধর্ষণের মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন"
ইদানিং এই সংবাদগুলো আমায় খুব হাসায়। হয়ত আমার মত অনেকেই হাসে, একমাত্র অভিনয়হীন হাসিটাই হাসে।
(১) খোঁজ নিয়ে দেখুন, এরা হয়ত কোনভাবেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়; আর তাই এরা আমাদের বিচার বিভাগের ন্যায়বিচারের(!) কাটগড়ায় শাস্তি প্রাপ্ত হয়েছে।
অথচ এমন দর্ষণের যে খবরগুলো আমাদেরকে পত্রিকাওয়ালারা অতি বেহায়াপনার সাথে প্রতিদিন জানান দিচ্ছে তার অধিকাংশ ঘটনার সাথে কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নেতারা ব্যাপকভাবে জড়িত। কিন্তু এগুলোর মধ্যে ক'টার এমন বিচার করেছেন আমাদের মহামান্য বিচার বিভাগ(?)
যে বোন ও তাদের পরিবার এই রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদেরকে প্রতিদিন ধর্ষিত হতে হচ্ছে(!) এমন নিউজ কী পত্রিকায় আসে?
কেউ হয়ত প্রিয়াদির পরিবারের মত পালাতে পেরেছে কিন্তু অধিকাংশরাই নতুন ধর্ষকদের হাতের খেলায় বন্দি হচ্ছে(!)
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৬
আখেনাটেন বলেছেন: তাজুল সাব 'ইহা আপনি কি করিলেন'........আপনার মহাকাব্যিক মন্তব্যে আমি লা-জওয়াব। শুকরিয়া জনাব চমৎকার মন্তব্যে।
বিচারহীনতার সংস্কৃতি সবসময়ের জন্য অভিশাপ জাতির জন্য। কারণ এতে ক্রিমিনালরা লাইসেন্স পেয়ে যায় কুকর্ম করার জন্য। সিস্টমের ভিতরে যেভাবে গলদ বাড়তেই আছে, জাতি এগুলো নিয়ে বেশি কিছু আশাও আর করে না মনে হয়।
এভাবেই হয়ত প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আমাদের অতিবাহিত করতে হবে। এই অপকর্মকারীদের দৌরাত্ম্য দাদা দেখেছে, বাপ দেখেছে, আমরা দেখছি, আমাদের সন্তানেরা আবার বাদ থাকবে কেন?
শুভবোধের উদয় হোক দেশের হর্তাকর্তাদের এসব অনাচার দূর করার জন্য।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য রাশি রাশি শুভেচ্ছা ব্লগার তাজুল সাহেবকে।
২৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিস্তরঙ্গ পুকুরে ঢিল ছুড়ে ঢেউ খেলানোর মতোই সকল পাঠক হৃদয়ে ঢেউ তুলে গেলেন ভায়া দারুন গল্পে
মুগ্ধ পাঠ!
আর প্রিয়া দির জায়গায় মালতি দির স্মৃতি মনে খেলে যাচ্ছিল!
আহা নিষ্পাপ শৈশব! আর লজ্জ্বা, ভয়, সূখ শিহরনের মিশ্র অনুভবের স্মৃতিগুলি!!!
জীবনে যদিও নাটকের মতো মন মতো সমাপ্তি পায় না গল্পের জীবনেই না হয় হোক স্বপ্ন পূরণ।
++++++++++++
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩০
আখেনাটেন বলেছেন: এই মালতি দি'টা কে আবার ভৃগু দা। রহস্য মনে হচ্ছে ঝেড়ে কাশুন দেহি...
আহা, জীবন যদি গল্পের মতো হত...তবে কতই মজা হত...আহা, কতই মজা হত....
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ভৃগুদার জন্য মটরশুটি ফুলের শুভেচ্ছা।
২৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৯
হাবিব বলেছেন: আপনার গল্পটা অসাধারণ হয়েছে। সুখপাঠ্য। মন্তব্য করতে দেরি হলো, দু:খিত
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৮
আখেনাটেন বলেছেন: খুশি হলুম জেনে।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল স্যারের জন্য।
২৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:০৭
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: কী কন মিয়া(!)
শুভবোধটা কী ভাই? এটা খায় না পরিধান করে?
দেখেন, এসকল মহামান্যদের জন্য শুভবোধয়ের আশা করার পক্ষে আমি নই, আমি বরং মিলাদ পড়ামু, যেন এদের খুব কাছের একাধিকজন এরকম ঘটনার স্বীকার হয়; এতেই হয়ত এদের ঘুম ভাঙবে (!)
আবার টেনশন হয়, যদি সমস্যা তখন বেড়ে যায়(!) যদি ঐসকল নেতা বা ক্ষমতাসীন লোকের মেয়েছেলেগুলো এই অপমানজনক দুর্ঘটনাকে আর্ট ভেবে বসে তখন(?)
(যাই হোক আমি কিন্তু ব্লগার নো, বলাগার বলা যেতে পারে )
বেশি ঠেলাঠেলি করলে আপনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের হলে মিলাদ পড়ামু কই দিচ্ছি
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬
আখেনাটেন বলেছেন:
তাজুল সাব আপনি ফানি আছেন মাইরি!!!!
মিলাদ পড়ায়ে দ্যান......ভাগে জিলাপী একটু বেশি দিবেন।
৩০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গল্পের শুরুটা দুর্দান্ত ছিল। আয়মান আর প্রিয়াদির উষ্ণ সম্পর্কের গল্প ভালই এগুচ্ছিল। কিন্তু শেষার্ধে এসে তাড়াহুড়ো হয়ে গেছে। গল্পের পরিসর বড় হলে হোক, লেখক লিখবে গল্পের তরে, পাঠক যদি প্রকৃত পাঠক হয়, সে পড়বেই।
আজ আপনার গল্পগুলো পড়ে দেখার ইচ্ছে আছে, যাই পরের (সরি আগের) গল্পগুলো পড়ে আসি।
ভাল থাকুন সবসময়, শুভকামনা জানবেন।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯
আখেনাটেন বলেছেন: গল্পের পরিসর বড় হলে হোক, লেখক লিখবে গল্পের তরে, পাঠক যদি প্রকৃত পাঠক হয়, সে পড়বেই। -- সহমত।
আমার ব্লগপাড়ায় ঘোরাঘুরির জন্য রাশি রাশি শুভেচ্ছা। বোকা মানুষদের মতো পাঠক থাকলে লেখা লিখেও শান্তি!! সে জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।
৩১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০২
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: গপ্পের কথা কি কমু ভাই, শুরুতে আমি প্রিয়াদির প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। শেষে এসে কপাল পুড়লো। এখন তো মন্ত্রীরে কোপাইতে মনচায়।
আমি এত লুল ক্যান???
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
আখেনাটেন বলেছেন: শুরুতে আমি প্রিয়াদির প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। ---
এখন তো মন্ত্রীরে কোপাইতে মনচায়। ---
আমি এত লুল ক্যান? ---উদাকে জিজ্ঞেস করে দেখতে হবে? জ্ঞানী মানুষ... কী ব্যাখ্যা দেয় পাপ্র সম্পর্কে? সেটা পাপ্রের হজম হলেই হয়। যতদূর জানি উনি ঠোঁটকাটা। অবশ্য বেশি তেড়িবেড়ি করলে টারজানকে পাশে রাখতে পারেন খাসি করার জন্য। বলা তো যায় না বিপদের কথা...
৩২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩
মুক্তা নীল বলেছেন: দারুণ জমিয়েছেন। গল্পতো গল্পই তারপরও কিছু কিছু গল্পকাহিনী মনে দাগ কেটে যায়। প্রিয়াদি!!!
দাঙ্গা কাহিনীকেও হার মানায় মন্ত্রীর আত্নহত্যা...
শম্ভুর জন্যে খারাপ লাগছে
ভালো থাকবেন।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৪
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যে আপ্লুত হলুম।
আপনাদের মতো নিঃস্বার্থ পাঠক আছে বলেই লেখা স্বার্থক।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকুন ব্লগার মুক্তা নীল।
৩৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার লেখা.......
শেষ পর্যন্ত ধরে রেখেছিল........
মনটা দুঃখে ভরে গেল......
তবে শাস্তি পেলে ভালো.......
ওম
তবে প্রিয়াদির কি হলো শেষে?????
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৮
আখেনাটেন বলেছেন: জীবনের জীবিকার গল্পে আমাদের বেশির ভাগ সময়ই দুঃখের মধ্যেই যেতে হয়। সুখ সে তো মরীচিকা।
ওম পেতে গিয়ে গুম হলে আমারে দোষ দিবেন না।
তবে প্রিয়াদির কি হলো শেষে?? --হাওয়া মে ওড়তা য্যায়ে.............।
৩৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কেউ কেউ জীবনে দাগ কেটে যায়......
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৯
আখেনাটেন বলেছেন: অবশ্যই। অবশ্যই।
আর রেখে যায় নিটোল স্মৃতির ঝাঁপি।
শুভেচ্ছা নিবেন প্রাচীন পক্ষী।
৩৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এই শীতে ওমই চাই
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৮
আখেনাটেন বলেছেন: ঢাকায় এবার শীত নাই...আগামীবারের জন্য কঠিন প্রস্তুতি নিয়ে তলপেটে ঝামা ইট বেঁধে রাখুন। সবুরে মেওয়া ফলে।
৩৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৭
ওমেরা বলেছেন: অসম্ভব ভাল লাগল গল্প !!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫৬
আখেনাটেন বলেছেন: খুশি হলুম জেনে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ব্লগার ওমেরা'র জন্য। আপনি কিন্তু ইদানিং গল্প লেখালেখি কমে দিয়েছেন। ভালো থাকুন।
৩৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: রসরাজ ব্লগ ফেরাও,
প্লটটা খুব ইউনিক তা হয়তো না । কিন্তু বর্ণনা খুবই জমজমাট। সেই জমাট বুননের গল্পটাই কিন্তু শেষে এসে মার্ খেয়ে গেলো মনে হলো আমার, " ও, হ্যাঁ। এর মাঝে দেশের সব কয়টা পত্রিকায় হেডলাইন হয়েছিল--- 'আকস্মিকভাবে নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকে এক ডাকসাইটে মন্ত্রীর আত্নহত্যা'র খবরে" এই লাইনের কারণে ।আপনিতো মহামানবের গল্প বলেননি নিশ্চই, তাই না ? নিজের কৃতকর্মের জন্য এমন প্রায়শ্চিত্ত করতেওতো উঁচু দরের নৈতিক দায় থাকা দরকার।আমারদের দেশের মন্ত্রীদের কিন্তু সেটা কখনোই ছিল না, এখনো নেই ।আমি ক্ষমতা বলয়ের কাছাকাছি থাকা দুজন বিখ্যাতের কথা বলি ।এদের একজনের একমাত্র ছেলে মনে হয় আমেরিকায় আমার শহর থেকে মাত্রই ষাট মাইল দূরে গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছিলো কয়েক বছর আগে । সেই গুণীজনের কার্যক্রমে কিন্তু কোনো পরিবৰ্তন আসেনি ।মন্ত্রিত্ব থেকে বিদায় নিলেও ব্যাংক ট্যাংক খুলে অর্থনৈতিক গুন্ডাবাজি করেই চলেছেন দেশের মানুষের সাথে । আরেক গুণীজনের অবস্থাও তাই । তার মেয়েটা (খুব সম্ভবত একমাত্র মেয়ে ) মারা যাবার পরে অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি সত্যি সত্যি দরবেশ হবেন ।কোথায় কি ? যাহা বাহান্ন তাহাই তিপ্পান্ন ।এখনো তিনি আগের মতোই ব্যস্ত আছেন ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে সদর্পে নিজেরঅর্থনৈতিক শক্তি পাকাপোক্ত করতে। এরা মুটামুটি দেবতা টাইপ -অমর শ্রেণীর। আপনার ওই শেষ লাইনটা তাদের অমরত্বের ইজ্জত মেরে দিয়েছে। আমার হাম্বল সাজেশন লাইনটা পারলে একটু পুনর্বিবেচনা করুন। গল্প জমাট হয়েছে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৪
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুরুতেই অভিনন্দন। ভালো একটি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন।
আসলে শেষের কয়েকলাইন বেশিই তাড়াহুড়ো হয়ে গেছে। গল্পে মন্ত্রীর আত্মহত্যার পিছনে বেশ শক্ত কিছু কারণ আছে যেগুলো আমি গল্পে দেখাতে পারি নি কিংবা দেখায় নি। যদি এমন হয় বিচারিক রায়ে মন্ত্রীও ফেঁসে গেছে এবং নিজের ছেলেই কচ্ছপের মতো কামড়ে ধরেছে সাজা নিশ্চিত করার জন্য। কারণ ছেলে নিশ্চিত হয়েছে যে তা আপন মাকে এই লোকটিই হত্যা করেছে। এবং অন্যতম প্রিয় মানুষটিকেও এই লোকটিই মৃত্যুর দুয়ারের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল।
মন্ত্রীবাবা-ছেলের দ্বন্দ্বে মন্ত্রী বিপর্যস্ত। এত এত মানসিক চাপ নিতে না পেরে...। যদি কখনও এই গল্প (আদৌ সম্ভাবনা দেখি না) ছাপার কাগজে যায় তাহলে সেই দ্বন্দ্বমুখর সময়গুলোও তুলে ধরার ইচ্ছে আছে।
আর আপনি যে উদাহরণ তুলে ধরেছনে তা এ দেশের নির্মম বাস্তবতা। এতে দ্বিমত করার কোনো উপায় নেই।
এরা মুটামুটি দেবতা টাইপ -অমর শ্রেণীর। ---হয়ত সুবিচার পাওয়ার দিনও একদিন আসবে...তখন মন্ত্রী নামের এইসব কু...তারই আগাম বার্তা না হয় এই গল্পের মধ্যেই...
অসাধারণ মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন ব্লগার মলাসইলমুইনা।
৩৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গল্প যেন গল্প নয়, তারচেয়ে বেশিকিছু। মনে দাগ কেটে গেল। প্রিয়াদি/প্রিয়াদিরা ভালো থাকুক।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৮
আখেনাটেন বলেছেন: মিষ্টি মন্তব্যে প্রীত হলুম।
অনেক অনেক শুভকামনা রূপক বিধৌত সাধুর জন্য।
৩৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫৯
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
মাইরি! আপনাগো জন্যই এখন আর আমাগো মিলাদ আপার গায়ে আগুন জ্বলে না
একসময় এই মিলাদ পড়াইয়্যা মহিলারা কত পরপুরুষের উপর বাটি চালান দিছে তা নাই বা বললুম !
সব জায়গায় এখন ফরমালিনে ভইরা গেছে আপনাগোরে খুশি করনের লাই আমগো পাড়ার ইমাম সাহেব একেকদিন একেক সুরে নামাজে তেলাওয়াত শুনায়; যেন জিলামির রস একটু বেশি মিষ্টি হয়।
জানি আপনাগোরে জিলাপি দিয়েই জয় করতে হইবো!)
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২২
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। মিলাদ আপাটা আবার কে?
..... ঐ মিঞা ফরমালিনের বদলে এই ভেজাল রং মিশানো জিলাপীর দাওয়াত কি জন্য? হার্ড অ্যাটাক নাকি সফট অ্যাটাকে নেফারতিতির ইয়েকে মারবার ধান্ধা......
৪০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০০
শায়মা বলেছেন: আরে ভাইয়া!
এই কদিন তো লেখাটা পড়াই হয়নি!!!!!!!!!
তুমিও একটু মন খারাপ করা লিখতে পছন্দ করো এবং লেখার স্টাইলে শ্রেষ্ঠ গল্পকার তবে প্রিয়াদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের কোন হসপিটালে ভর্তি করিয়েছিলে? এখন সে ভালো আছে তো?
আরেকটা কথা আজ থেকে লেখাজোকা মেলাতে আসবে!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
আখেনাটেন বলেছেন: প্রিয়াদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের কোন হসপিটালে ভর্তি করিয়েছিলে? এখন সে ভালো আছে তো? -- গাজীদার প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্লেভার অব বুকের বন্ধু অস্ট্রিয়া থেকে সেফু দা: কি হিংসে হয় প্রিয়াদিকে?
লেখাজোকার শুভকামনায়............মেলায় যাব কয়েকদিনের মধ্যে।
৪১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫
শায়মা বলেছেন: সেফুদা- কি হিংসে হয় প্রিয়াদিকে?
শায়মা- না ভাবছি সাথে তোমাকেও যদি কেউ সেখানে নিয়ে যেত........মানে সেই হসপিটালটার নাম সে কারনেই জানতে চাইছিলাম সেফু দা....
তবে আখেনাটেন ভাইয়া কি আর তোমাকে নেবে??? মনে হয় না
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬
আখেনাটেন বলেছেন:
হা হা হা। মাফ চাই। তারচেয়ে গাজীদা ভার্সাস ফ্লেভার অব বুক'র ভবিষ্যৎ ক্যাচালগুলোর অ্যালগরিদম নিয়ে ভাবছি।
এই ভীষণ মন খারাপ করা গানটা শুনছি।
৪২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮
শায়মা বলেছেন: হায় হায় এই গানা কেনো ভাইয়া!!
তোমার প্রাক্তন আবার কই গেলো!!!!!!!!!
একটা এডভাইস দেই-
প্রাক্তক জাহান্নাম যাক তাকে নিয়ে ভাবার দক্কাল নেই .....
শুধুই বর্তমান নিয়ে ভাবিবেক......
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫
আখেনাটেন বলেছেন: ঠিক তাই।
আপনার পরামর্শ মতো এখন ধামাকা এটা দেখছি।
৪৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২১
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
জিলাপি খাওয়ার পর মুখটা মিষ্টি হিয়ে আছিল ভাবিছিলুম, পুরো দিনটা মিষ্টিভাবে যাবে। কিন্তু আপনি নেফারতিতির কথা স্মরণ করাইয়্যা দিলেন সব কিছু টেংশি কইরা! আমি তাইরে ভুলার চেষ্টা করছি আর আপনি
বুঝবার পারছি, আপনি ফরমালিনযুক্ত জিলাপি খেয়ে অভ্যস্ত
দেখেন, মিলাদ ভক্ত খানকাহের তাবিজ বাবা নামের আরেক পীর সাহেব এই জীলাপির কী প্রশংসা নাই করেছেন
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। তাবিজ বাবার তাবিজ আমাকেও একটি এনে দিন। দেখি নেফারতিতি পরীর বেশে নামাতে পারি কিনা!!!!!!
৪৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সুন্দর। ভালো লাগা।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ব্লগার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
ভালো থাকুন।
৪৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮
স্পিহা বলেছেন: অনেক ভাল লিখেন আপনি । এটা পড়েছি আর কেদেছি । অসাধারন ।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫১
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে আপ্লুত হলুম। গল্পটার করুণরস যে আপনাকে আলোড়িত করেছে সেটা প্রমাণ করে আপনি একটি চমৎকার হৃদয়ের মানুষ। মানুষের বেদনা আপনাকে নাড়া দেয়। যে জিনিসটা দেশে এখন মরে যেতে বসেছে।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপনার জন্য। ভালো থাকুন।
৪৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০
ফয়সাল রকি বলেছেন: সবাই এতো এতো ভুল বের করে ক্যান!
চমৎকার গল্প, রেশ থেকে যাবার মতো। +++
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪
আখেনাটেন বলেছেন: গল্প আপনার মনে দাগ কেটেছে জেনে ভালো খুশি হলুম।
এভাবেই সঙ্গে থাকুন। আপনি নিজেও কিন্তু চমৎকার লিখেন।
শুভেচ্ছা নিবেন ব্লগার ফয়সাল রকি। ভালো থাকুন।
৪৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩০
জুন বলেছেন: আমাদের সমাজের নিষ্ঠুর এক চিত্র। পড়তে পড়তে মনটা বিক্ষুব্ধ হয়ে গেল। আমারো কেন জানি মনে হয়েছিল মিট্যুর বাবারই কাজ। ক্ষমতায় গেলে অনেকেই নিজেদের সামলাতে পারেনা। খুব ভালোলাগা রইলো আখেনাটেন।
+
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৬
আখেনাটেন বলেছেন: মুল্যবোধহীন সমাজে টাকা ও ক্ষমতাওয়ালারায় এখন ঈশ্বর। তাদের যেমন খুশি তেমন চলো নীতির পদতলে পড়ে দু একজন পিষ্ট হলে কি আসে যায়? তবে ঈশ্বরেরও একজন ঈ...।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা জুনাপাকে। ভালো থাকুন।
৪৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০৮
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: অখা ভাইয়া,
সোহানাজোহার পোস্টে তোমার শেষ মন্তব্যটা পড়ে হাসছি। লা জওয়াব মন্তব্য মাইরি...।
#"সমাজের এই নোংরা দিকটিকে নিয়ে ভাবছেন, এটাকে ঘৃণা করছেন, নির্মূল করতে চাচ্ছেন, লিখতে চাচ্ছেন, প্রতিবাদ করছেন। এগুলো অবশ্যই প্রশংসনীয়। এতে কারোই দ্বিমত থাকার কথা না। আমরা যে করছিনা তা না। শুধু পথটা হয়ত ভিন্ন। কোনো সমস্যার সমাধান করতে গেলে তারও কিছু অ্যালগরিদম আছে মানে একটি সুশৃঙ্খল উপায় আছে। আপনি যেভাবে চিতার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সব ব্লগারদের...। "
.. ওটা কিন্তু বাঘিনী।
@৩১এর প্রতিউত্তর প্রসঙ্গে,
পাপ্র কিন্তু সামুরাই
উদার মত পাঁঠাকে সে ভয় নাহি পায়।।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৮
আখেনাটেন বলেছেন: উনি ভালো মনের মানুষ বুঝা যাচ্ছে। তবে ব্লগে নতুন হওয়ায় ব্লগীয় কালচারটা এখনও হয়ত বুঝে উঠেন নি। কিছুদিন বিচরণ করলেই বুঝে উঠবেন আশা করি।
উদা কিন্তু আগের থেকে এখন অনেক পরিবর্তিত। বিজ্ঞান-টিজ্ঞান নিয়ে লিখলে ভালো লাগে। আশা করি ধর্ম নিয়ে ফাউল ক্যাচাল দু পক্ষই বিরত থাকবেন। থাকা উচিত।
৪৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গল্পটি পাঠে মনে হলো গল্প লেখাই যেন জীবনের সর্বাপেক্ষা একটি সৃষ্টিশীল পর্যায়। গল্পে পারিপার্শ্বিক সামাজিক ঘটনাবলির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির যেমন বাস্তব প্রতিফলন ঘটে তা অন্য কোন লেখনী মাধ্যমে মনে হয় তেমনটা সহজে তুলে ধরা যায়না । গ্রামবাসীদের সঙ্গে মেলামেশা করে তাদের জীবন থেকেই গল্পের উপাদান সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে গল্প লিখলে তা যে সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছেই ভাল লাগে তা বুঝা যায় এ গল্পের উপর পাঠকের মতামত থেকে । সমকালীন সমাজের দরিদ্র, নিগৃহীত ও নিপীড়িত জনগণের জীবনের প্রতি যে গভীর অন্তদৃষ্টি এ গল্পে সুন্দরভাবে ফুটে ্ঠেছে তা সকলের হৃদয়তন্ত্রীতে ঘা দিয়ে যাবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই । গল্পটি আমাদের সমসাময়ীক সাহিত্যে একটি মুল্যবান সংযোজনের অধিকারী, তাতে কোন সন্দেহ নাই । যাহোক প্রিয়াদি সম্ভবত লেখকের কল্যানে কোন একটি ভাল গতি পেয়েছে, অখিলের হাস্যময় বাণীটিই সে কথা বলে দেয় ।
আপনার 'কবিতার ট্রিলজি চাষবাস' এর উপর ছোট একটি মন্তব্য রেখে এসেছি , দেখে নিতে পারেন ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০২
আখেনাটেন বলেছেন: গল্পে পারিপার্শ্বিক সামাজিক ঘটনাবলির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির যেমন বাস্তব প্রতিফলন ঘটে তা অন্য কোন লেখনী মাধ্যমে মনে হয় তেমনটা সহজে তুলে ধরা যায়না । -- চিরন্তন সত্য কথা। এ জন্যই পদ্য থেকে গদ্য মানে ছোট গল্প, পরে উপন্যাসের আবির্ভাব ঘটেছে। কারণ বৃহৎ আঙ্গিকে সমস্যাকে বিন্যাস্ত করে তুলে ধরা যায়।
একটি ভালো গল্প বা উপন্যাস সমাজের নিঁখুত দর্পণ। যেখানে মুখ দেখিয়ে আমরা আমাদের মাপতে পারি। খুঁতগুলো কোথায় বের করতে পারি?
চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন প্রিয় ব্লগার। ভালো থাকুন।
৫০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩
আরোগ্য বলেছেন: আখেনাটেন ভাই আপনার মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যগুলো দেখে সেই পোস্টে আবার মন্তব্য রাখি।
আপনার তো অক্কা পাওয়ার দশা আর আমাকে তো জোরে চপেটাঘাত।
অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করার জন্য দুঃখিত। চাইলে কেটে দিতে পারেন। আশা করি এখন ভালোই আছেন।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৬
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।
ভুলেও ওদিকে আর যাবেন না। উনি রেগে আছেন মনে হচ্ছে। লেখাবোমা মারতে পারেন আবারও।
ইগনোর...।
৫১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: প্রিয়াদির জন্য কষ্ট লাগলো। কী সুন্দর একটা মেয়ের কী দুঃখজনক অবস্থা! বাস্তবের সাথে অদ্ভুত মিল। কারণ গাঁ-গ্রামে, মফস্বলে এমনকি খোদ ঢাকা শহরেও সুন্দরী একটি মেয়ের উপর নজর পড়ে শকুনের। প্রিয়াদির দুঃখজনক অবস্থার জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তিটা ভালো লেগেছে। আশা করি একসময় এই শাস্তিটা শুধু গল্পে নয় বরং বাস্তবেই ঘটতে থাকবে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: আশা করি একসময় এই শাস্তিটা শুধু গল্পে নয় বরং বাস্তবেই ঘটতে থাকবে। --সহমত... আমরা সবাই এটাই চাই। আমাদের দেশটাও একদিন...
আপনাকে অনেকদিন পর মন্তব্যের ঘরে দেখে ভালো লাগল।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর। ভালো থাকুন।
৫২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মন খারাপ হওয়া গল্প।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২১
আখেনাটেন বলেছেন: জাতি হিসেবে যতদিন না সভ্য হচ্ছি, যতদিন না আইনের শাসন চালু হচ্ছে, এরকম মন খারাপের গল্প হয়তবা শুনে যেতেই হবে।
বড় আপসোস!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ব্লগার অনিকেত। ভালো থাকুন।
৫৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ একটি ছোটগল্প পড়লাম! লিঙ্কটা দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। এ লেখাটা আমার নজর এড়িয়ে গিয়েছিল।
সাথে মা বিহীন একটি শিশুর মনোজগতে এক তরুনীর মায়ের মর্যাদায় আসীন হওয়া - ১৪ নং প্রতিমন্তব্যে দেয়া আপনার এই একটি বাক্য পড়ে আমি রীতিমত কেঁপে উঠেছি! অসাধারণ একটি কথা বলেছেন! গল্পের যে কোন বাক্যের চেয়ে প্রতিমন্তব্যের এই একটি বাক্য অধিকতর শক্তিশালী!!!!
পাঠকের মন্তব্যে অনেককে দেখলাম ভালবেসে ওনারা আপনার নামটাকে চমৎকার ভেবে ছেঁটে দিয়েছেন- কেউ ডেকেছেন নাট, কেউ আখে। ভালই লাগলো এসব আদুরে সম্বোধনগুলো শুনতে!!!
বোকা মানুষ বলতে চায় এর পাঠক যদি প্রকৃত পাঠক হয়, সে পড়বেই - এ কথাটির সাথে আমি একমত। তাই শেষের দিকে লেখকের তাড়াহুড়োর বিষয়টি আমার নজরেও ধরা পড়ায় এ কথাটি বললাম।
পদাতিক চৌধুরি, আহমেদ জী এস, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, করুণাধারা, সোহানী, মলাসইলমুইনা, শায়মা প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে।
পোস্টে ৩০তম প্লাস +।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৬
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার মন্তব্য মানেই অন্যকিছু। এই লেখায় আপনার মন্তব্য না থাকাতে মনে হয়েছিল চোখ এড়িয়ে গেছে, তাই লিংক দেওয়া।
পড়ে ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ খুশি হলুম।
পাঠকের মন্তব্যে অনেককে দেখলাম ভালবেসে ওনারা আপনার নামটাকে চমৎকার ভেবে ছেঁটে দিয়েছেন- কেউ ডেকেছেন নাট, কেউ আখে। ভালই লাগলো এসব আদুরে সম্বোধনগুলো শুনতে!!! -- ব্লগের এই জিনিসটা আসলেই বেশ উপভোগ্য। আপনার জহুরীর চোখ---ভালো জিনিস ক্যাচ করেছেন। আপনার মতো এত খুঁটিয়ে লেখা ও মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য আর কোনো ব্লগারই পড়ে না মনে হয়। তাই আপনার মন্তব্য যে কোনো লেখকের জন্যই বিশেষ কিছু।
ভালো থাকুন সর্বদা। সুস্থ থাকুন এই দুর্যোগের দিনে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের বুকিং দিলাম। পরে পড়ে মন্তব্য করবো...ওক্কে!!!