নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা: কিউএস র‍্যাঙ্কিং-এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হালহকিকত ও কিছু বাঁকা কথা!!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯



এবারই প্রথম বুয়েট কিউএস বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং-এ বিশ্বের প্রথমসারির ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢুকেছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবেধন নীলমনি হিসেবে কয়েক বছর ধরে ঐ একই কাতারে থাকলেও বছর বছর অবনমন ঘটছে। ২০১২ সালে যেখানে ৬০০+ ছিল, সেখানে এখন ৮০১-১০০০ ক্যাটেগরিতে। পরের বছর পৈতা হারিয়ে ফেলতে হয় কিনা কে জানে? দেশের বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিশানা নেই।

অথচ প্রতিবেশী ভারতের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম ৫০০ বিশ্বসেরার মধ্যে ঢুকে পড়েছে। ২৪টি ভার্সিটি ১০০০’র মধ্যে। এর মধ্যে Indian Institute of Technology, Bombay (IITB): ১৬২তম; Indian Institute of Science, Bangalore: ১৭০তম। প্রতিবছর এগুলোর উন্নতি ঘটছে।

এমনকি জঙ্গীসমৃদ্ধ পাকিস্তানেরও সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। এর মধ্য দুটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের প্রথমসারি ৫০০'র মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। Pakistan Institute of Engineering and Applied Sciences (PIEAS): ৩৯৭তম; National University of Sciences And Technology (NUST) Islamabad: ৪১৭তম।

অনেক শিক্ষিত-অশিক্ষিতরা বলেন এই র‍্যাঙ্কিংকে অতটা গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই। আমি মনে করি এটা তারা বলেন অজ্ঞতাপ্রসূত। এই র‍্যাঙ্কিং ব্যবস্থা একটি দেশের উচ্চশিক্ষার মেদ-মাংস-কংকাল সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়। কারণ এগুলো নির্ধারণ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণার হালহকিকত, সাইটেশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল লিংকিং, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতসহ নানা ধরণের মাপকাঠির উপর বিবেচনা করে। তাই এগুলোকে গুরুত্ব না দেওয়ার অর্থ হচ্ছে ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’।



মনে রাখতে হবে শিক্ষাও এখন একটি পণ্য। আর পণ্যের গুণগত মান যদি তথৈচব হয়, সে পণ্য আমরা উপায় না পেয়ে গলাধ:করণ করলেও সমঝদার মানুষ কিন্তু সেটা করবে না। তারা পরখ করে দেখে তবেই তা কিনবে।

আর এ জন্যই দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে প্রায় ৩৪ হাজার ছাত্রের মধ্যে মাত্র ৪৮ জন ছাত্র বিদেশি। এমন কি দেশের পয়সাওয়ালারাও আর এদেশের উচ্চশিক্ষার উপর ভরসা পায় না। ফলে দেশ থেকে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে পাশের দেশ কিংবা উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হচ্ছে।

যে মালয়েশিয়া আশির দশকেও বাংলাদেশের ইউনিগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দিয়ে পড়তে পাঠাত, সেই মালয়েশিয়া এখন এশিয়ার অন্যতম শিক্ষাকেন্দ্র। লাখেরও উপর বিদেশী শিক্ষার্থী পড়ছে তাদের পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

শত কোটি টাকা গবেষণার জন্য বরাদ্দ করছে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে। বিদেশ থেকে মেধাবীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে। প্রায় প্রতিটি দেশে শিক্ষক নিয়োগে সহকারী অধ্যাপককে বেইজ ধরা হচ্ছে। মানে পোস্ট-ডক করা ছাড়া নিয়োগ নাই।

ব্রেইন ড্রেইন থেকে রক্ষা পেতে নতুন নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করছে। কিছুদিন আগে ভারতের মোদি সরকার সে দেশের আইআইটি থেকে মেধাবীরা যাতে উন্নত দেশে চলে না যায় সেজন্য ডক্টরাল ফেলোশিপ হিসেবে ক্ষেত্রভেদে ৮০ হাজার রুপী পর্যন্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভাবা যায়।

চীন মেধাবীদের দেশে ফেরত আনতে নানামুখী প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তুরস্ক নিজেদের উচ্চশিক্ষার খোলনোলচে পালটে ফেলেছে। ব্রেইন গেইনের জন্য উচ্চ বেতনে তাদের নিজেদের রিসার্চ ক্ষেত্রগুলোতে ডেকে এনে নিয়োগ দিচ্ছে।

এগুলো দেখেও কি আমাদের শেখার কিছু নেই। আর কতদিন অন্ধ হয়ে থেকে জাতিকে মৃত্যুকূপের দিকে টেনে নিয়ে যাব।

আমাদের শিক্ষাপণ্ডিত, দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদরা কি এগুলো নিয়ে কখনই ভাববেন না? নাকি ক্ষমতা ও গদির মধু উনাদের বিবেক নামক বস্তুটিকে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন।



ছোটকাল থেকেই আমরা ভাবসম্প্রসারণ মুখস্ত করে আসছি ‘শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড’। মানে মেরুদন্ড যেমন মানুষকে খাড়া রাখতে সাহায্য করে, সেরকম শিক্ষাও জাতিকে খাড়া রাখতে সাহায্য করে। অথচ আমাদের সেই শিক্ষা নামক মেরুদন্ড এখন কুঁজো হতে হতে মাটিতে খত দেওয়ার পর্যায়ে চলে গেছে।

একজন সেইন মানুষও কি নেই উপরতলায়, যিনি এগুলো নিয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

কেউ সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হলে লোকরঞ্জনবাদের ঢোল পিটিয়ে কয়েকটি চড়ামূল্যের নন-সাসটেইনেবল ফ্লাইওভারের উন্নয়নের চেয়ে জাতির আত্মিক ও মেরুদন্ডের উন্নয়নেই সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হবেন। যেমনটা, দক্ষিণ কোরিয়ার পার্ক, সিঙ্গাপুরের কুয়ান, মালয়েশিয়ার মাহাথিররা হয়েছিলেন ষাট, সত্তর ও আশির দশকে। ঠিক একই সময়ে সুহার্তো, ইন্দিরারা, আইয়ুব-ভুট্টো-জিয়াউলরা, মার্কোসরা লোকরঞ্জনবাদকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন। ফলাফলটা এখন আমরা দেখছি। কবে হুঁশ ফিরবে এ জাতির?

কিছু পরামর্শঃ

১। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে সহকারী অধ্যাপক ছাড়া নিয়োগ না দেওয়া। এবং অবশ্যই প্রার্থীর বিদেশের হায়ার র‍্যাঙ্ক ইউনি থেকে পিএইচডির সাথে ভালো ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরের আন্তর্জাতিক জার্নালে দুই বা ততোধিক আর্টিকেল প্রকাশিত হতে হবে। পোস্ট-ডক থাকলে অগ্রাধিকার পাবে। পাশের ভারত-পাকিস্তান দুই দেশও তাই করছে।

২। পাবলিক ভার্সিটির ভিসি, ডিন ও শিক্ষক নিয়োগে একটি গার্ডিয়ান প্যানেল থাকবে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদদের নিয়ে। উনারায় এই নিয়োগে নিয়োজিত থাকবেন। দল-মত-ধর্ম-বর্ণ এখানে দেখা হবে না। মেধায় চুড়ান্ত।

৩। দলীয় ছাত্র রাজনীতি চিরতরে বিলুপ্ত করতে করতে। ছাত্রদের অধিকার নিয়ে সংগঠন থাকবে। ডাকসু-বাকসু-চাকসু-হাগসু'র নির্বাচিত সদস্য থাকবে, তবে অবশ্যই দলীয়ভাবে নয়।

৪। মেধাবীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো করতে হবে। এবং অবশ্যই স্থায়ী শিক্ষক হতে হলে কিছু শর্ত পুরুন করেই তবে সে মর্যাদা পাওয়া যাবে।

৫। পাবলিক ভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীর বেতন কাঠামোতেও পরিবর্তন আনা দরকার। কেবল অসচ্ছল মেধাবীরাই বিনা বেতনে পড়বে। ক্ষেত্রবিশেষে তাদের জন্য বৃত্তি ও বিনা সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা সরকারীভাবে করতে হবে। বাকী সচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীরা মোটামুটি বেতন কাঠামোই পড়াশুনা করবে। এভাবে ইউনির আর্থিক সামর্থ বাড়াতে হবে। যেগুলো গবেষণা ও বুদ্ধিরৃত্তিক কাজে ব্যয় করা হবে।

৬। কঠোরভাবে শিক্ষকদের আমলনামা বছর বছর মুল্যায়ন করতে হবে। অযোগ্যদের আইনের আওতায় নিয়ে নিয়োগ বাতিল করে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। ( এটা করলে পাবলিক ভার্সিটিগুলো ধূ ধূ মরুভূমি হয়ে যাবে এতে কারো সন্দেহ আছে কী?)

৭। সর্বোপরি মাথামোটা রাজনীতিবিদ- সর্ব বিষের হাতুড়ে ওঝা আমলারা ও অসাধু শিক্ষাগরুরা যাতে কোনোভাবেই উপরের বিষয়গুলোতে নোংরা নাক গলাতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরও কেউ নাক গলালে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইটের লেজে বেঁধে মহাকাশে নিক্ষেপ করতে হবে।

আর এগুলোর জন্য একজন সত্যিকারের…(নিজেরা পুরুন করুন)।
*********************************************************************************************
@আখেনাটেন/এপ্রিল-২০১৯

এ বিষয়ে আমার আগের লেখাগুলো পড়তে চাইলে:

*বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার লেজেগোবরে অবস্থাঃ অচিরেই কি আমরা একটি মেধাহীন জাতিতে পরিণত হতে যাচ্ছি????
*বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কী অভ্যন্তরীণ র‍্যাঙ্কিং জরুরী হয়ে পড়েছে?
*বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কতটা উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসেবে আমাদের গড়ে তুলছে?
*বাংলাদেশের শিক্ষার মান কী এতটাই খারাপ!

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জাহাঁপনা দেখি আজ প্রথম হতে পারি কিনা।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা; আপনি ফাস্টো হলেও আমরা যে লাইনচ্যুত হয়ে যাচ্ছি পদাতিক দা।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

করুণাধারা বলেছেন: দেশপ্রেমিক।(শূন্যস্থান পূরণ)

বাকি কথা পরে হবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১

আখেনাটেন বলেছেন: দেশপ্রেমিক--ঠিক তাই। গলার রগ ফুলিয়ে বলা দেশপ্রেমিক নয়। সত্যিকারের চৌকস দেশপ্রেমিক প্রশাসক। যিনি জাতির স্বার্থে নিজেকে...

অপেক্ষায় রইলুম...করুণাধারা'পা।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

ইনাম আহমদ বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি বিলুপ্ত করার মতো মেরুদন্ড বাঙালি রাজনীতিবিদদের আছে? বায়ান্ন-একাত্তরের চেতনার দোহাই দিয়ে হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় ক্যাডার টিকিয়ে রাখতে মরিয়া তারা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পড়াশুনা করতে যায়না এদেশে। সামাজিক স্ট্যাটাস বৃদ্ধির জন্য আর বিয়ের বাজারে নিজের দাম তোলার জন্য যায়। সবারই লক্ষ্য পাশ করে চাকরি হাতানো, আর বিয়ে করে বাচ্চা পয়দা করা।
স্টুডেন্ট লোন জিনিসটার ধারণা এখনো নেই এদেশে কারও। আফসোস।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: ইনাম আহমদ বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি বিলুপ্ত করার মতো মেরুদন্ড বাঙালি রাজনীতিবিদদের আছে? -- আমি বলব আছে? শুধু সৎ সাহসটা দেখাতে হবে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে নিজের কায়েমী স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে দৃঢ় ঘোষণা করতে হবে। চেতনার দোহায়ই দিয়ে জাতিকে পেছনে টানার অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

জাতির সত্যিকারের চ্যালেঞ্জগুলোকে খুঁজে বের করে সেগুলোতেই পাঞ্জ করতে হবে। এগুলো দেশের মাথা চাইলেই পারেন। কিন্তু...।

দেশের উচ্চশিক্ষার কংকালটা দেখার জন্য পাবলিক লাইব্রেরী, সায়েন্স লাইব্রেরী, ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে গেলেই টের পাওয়া যায়। সবাই এমপিথ্রি গাইড বই নিয়ে ব্যস্ত। এ জাতির কপালে শনি আছে।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জাহাঁপনা সংগত কারণেই অদ্য দিবসে আপনার পোস্টে মন্তব্য দান থেকে বিরত রইলাম। তবে যাওয়ার আগে এটুকু শুধু বলতে চাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীযুক্ত নরেন্দ্র মোদিজির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দিল্লির জে এন ইউ বা কিছু আই আই টি, এমনকি শিবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বি ভি পি'র নেতৃত্বে যে পার্টি অফিস তৈরি করতে পেরেছেন তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। দেশের যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উনি এখনো এবিভিপি শাখা স্থাপন করতে পারেননি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখনো বিজেপির পার্টি অফিসে রূপান্তরিত করতে পারেননি, আগামী দিনে দিল্লির সিংহাসনে বসে সেখানে রন্ধ্রে রন্ধ্রে পার্টি তন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন এই আশা রাখি। আজি দেখলাম প্রতিবেশী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পরবর্তী ইলেকশনে মোদিজীর আগমনের আশা ব্যক্ত করেছেন। একজন সাধারন ভারতবাসী হিসাবে গৈরিক ভারত গড়তে, সাম্প্রদায়িক ভারত গড়তে, উগ্র জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করতে, সম্প্রদায়কে মূলধন করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ করতে দিল্লির মসনদে মোদীজিকে আবারো দেখতে চাই। আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হোক জয় শ্রীরাম ধ্বনি।


শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

আখেনাটেন বলেছেন: আপনাদের নির্বাচনের ডামাডোল আমিও লক্ষ রাখছি। মিডিয়ারা একচেটিয়া মোদীকে সাপোর্ট দেওয়া ভালো ঠেকছে না। তারপরও সুপ্রিম কোর্ট, ইসি'র দৃঢ় ভূমিকার প্রশংসা না করে পারা যায় না। বিশেষ করো রাফায়েল কান্ড নিয়ে কোর্ট; আর মোদী সিনেমা নিয়ে ইসি'র নির্দেশনা। এগুলো আমাদের দেশে ভাবায় যায় না।

আর এটাও ঠিক মোদী জমানায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এবিভিপির দৌরাত্ম্য চরম পর্যায়ে চলে গেছে। জেএনইউ'র পরপর ঘটা ঘটনাগুলো। কানাইয়াকে তো দেখছি নির্বাচনে প্রার্থী হতে। এগুলো শুভ লক্ষণ।

এর পরেও আপনাদের শিক্ষাব্যবস্থা একটা পর্যায়ে দাঁড়িয়ে গেছে। সেখান থেকে এত সহজে চ্যূত হবে না এটা বলা যায়। আইআইটিগুলোর উন্নতি বেশ দেখা যাচ্ছে। আমরা তো সে অবস্থায় নেই। এখানে শিক্ষা নিয়ে একটি লোকেরও মাথাব্যথা নেই।

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

আনু মোল্লাহ বলেছেন: অথচ আজ থেকে ১৫/২০ বছর আগেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান আরো এগিয়ে ছিল। আমারা দিনকে দিন শুধু পিছিয়ে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষার গুণগত মানের চেয়ে সংখ্যাকেই প্রাধান্য দিই বেশি।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: আমরা শিক্ষার গুণগত মানের চেয়ে সংখ্যাকেই প্রাধান্য দিই বেশি। -- সংখ্যাকে গুরুত্ব দিচ্ছি কারণ সংখ্যার সাথে গদির সম্পর্ক রয়েছে তাই।

গতবছরের চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের গবেষণা বরাদ্দ আরো কমেছে। এই বরাদ্দকৃত টাকাও নাকি আবার বছর শেষে থেকে যায়। কারণ শিক্ষকেরা গবেষণা বিমুখ নতুবা অপ্রতুল বরাদ্দের ও শর্তের বেড়াজালে পলায়নমুখ। হা হা হা।

কত রকমের কাণ্ড যে ঘটে দেশের পাবলিক ভার্সিটিগুলোতে কে জানে?

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই র‍্যাঙ্কিংকে গুরুত্ব না দেয়ার সাথে 'যে কোনও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের রিপোর্ট বিপক্ষে গেলে সরকার যেভাবে সেটাকে প্রত্যাখান করে' তার কোথায় যেন একটা মিল আছে। আমাদের স্বভাব হলো কোন কিছু পক্ষে না গেলে সেটার ছিদ্র-অন্বেষণ করা। কিন্তু এতে করে নিজেদের ছিদ্র যে উন্মোচিত হয়ে যায়, সেদিকে হুশ থাকে না।

এদিকে দেশের কোন সমস্যার কথা বললে আবার কেউ কেউ ঝাপিয়ে পড়েন। দেশদ্রোহী, রাজাকার বলতেও ছাড়েন না। মনে হয় সরকারীভাবে ইনডেমনিটি জারী করা আছে! আসলে ঘরের-বাইরের জ্ঞানপাপীরা সবই জানে, কিন্তু এগুলো বাস্তবায়িত করতে গেলে তাদের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে, তাই তাদের এতো আপত্তি।

অন্যান্য দেশ যেখানে দিনকে দিন সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে......আমরা সেখানে ঠিক উল্টা পথে হাটছি!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২১

আখেনাটেন বলেছেন: এই 'ডিনায়াল সিনড্রোম' দেশে একটি ডিজিজে রূপ নিয়েছে। অথর্ব লোকদের ভার্সিটির মাথাতে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে যুগ যুগ ধরে। যাদের না ছিল বা আছে কোনো ভিশন না আছে কোনো মিশন। শুধুমাত্র চাটুকারীতা ছাড়া।

বিশ্ব যেখানে দশধাপ এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমরা একধাপ এগুনো বা পেছানোকেও ঢাকঢোল পিটিয়ে জানিয়ে মূল লক্ষ থেকে চ্যূত হয়ে যাচ্ছি।

আপসোস করা ছাড়া আর কি-ই-বা করার আছে।

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: দুঃখিত, আপনার এই মূল্যবান লেখাটি পড়ার জন্য এদেশের মানুষকে ভিপিএন ব্যবহার করে আসতে হচ্ছে।
আমরা স্বপ্ন দেখছি, কিন্তু সেই স্বপ্নটাকে প্রতিনিয়ত দুঃস্বপ্ন বানানোর প্রচেষ্টা চলছে।
ভালো পোষ্ট, অনেক কিছু জানলাম।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: দুঃখিত, আপনার এই মূল্যবান লেখাটি পড়ার জন্য এদেশের মানুষকে ভিপিএন ব্যবহার করে আসতে হচ্ছে। --- এই অপরাজনীতির কুশীলবরাই যুগ যুগ ধরে দেশকে পেছনে টেনে ধরে রেখেছে। এরা চায় না নিজেদের ছেলেমেয়েদের মতো চাষা-ভূষাদের ছেলেমেয়েরাও জ্ঞানভিত্তিক সমাজের অংশ হোক।

আমরা স্বপ্ন দেখছি, কিন্তু সেই স্বপ্নটাকে প্রতিনিয়ত দুঃস্বপ্ন বানানোর প্রচেষ্টা চলছে। -- মনে ধরেছে বাক্যটা। চমৎকার।

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষা নিয়ে দারুন ব্যবসা হয় আমাদের দেশে।
সবচেয়ে বেশী দূর্নীতিও হয় শিক্ষাখাতে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আখেনাটেন বলেছেন: শুনতে খারাপ শুনালেও শিক্ষাও এখন একটি বিলিয়ন ডলারের বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যবসা বা পণ্য। পশ্চিমারা এটি ধরতে পেরেছে অনেক আগেই। এখন পূর্বের নেতারাও কেউ কেউ ধরতে পেরেছেন। তবে এই ব্যবসা আর দশটা ব্যবসার মতো নয়। নিজের স্বার্থ ঠিক রেখে জাতিকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যায় সেটা হচ্ছে এই ব্যবসার একটি অন্যতম কর্মকৌশল। এভাবে তারা শিক্ষিত হচ্ছেন আবার বিলিয়ন ডলারও কামায় করছেন।

আর আমরা হুন্ডিতে ডলার পাঠিয়ে খুশি।

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯

পুলক ঢালী বলেছেন: সুন্দর এবং উপযুক্ত সময়ে সঠিক কথা বলেছেন। তবে এদেশে তা কখনোই প্রয়োগ করা যাবেনা
১। বালির ভিতর মাথা গুজে রাখা অষ্ট্রিচ আমরা।
২। শূন্যস্থান পূরন করার মত যোগ্য কেউ এদেশে নেই।

ভাল থাকুন মিশরীয় ভাই। :)

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০২

আখেনাটেন বলেছেন: ১। বালির ভিতর মাথা গুজে রাখা অষ্ট্রিচ আমরা।
২। শূন্যস্থান পূরন করার মত যোগ্য কেউ এদেশে নেই।
---এটাই তো দেখে আসছি বছরের পর বছর ধরে হতাশাজনকভাবে। এর অবশ্যই পরিবর্তন দরকার। এরপরও তো গলার রগ ফুলিয়ে নন-টেকসই উন্নয়নের বুলি আওড়ানো কমছে না নেতাদের।

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

আরোগ্য বলেছেন: জাতি বেশি শিক্ষিত হলে অন্ধভাবে কে বলবে, দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে? :#)

পরামর্শগুলো চমৎকার হয়েছে। সাত নম্বর পরামর্শে সাতখান লাইক। :P

খাড়া মেরুদন্ড দরকার। [শূন্যস্হান পূরণ করে দিলাম] ;)

অফটপিকঃ আমার ব্লগের ঢেউতে ভাসার জন্য মিশরের অধিপতিকে সসম্মানে নেমন্তন্য জানাচ্ছি। সেই সাথে ভুলত্রুটির সংশোধন সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা কামনা করছি।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১২

আখেনাটেন বলেছেন: লোকরঞ্জনবাদের প্রধান উপায় হচ্ছে এসব নন-টেকসই উন্নয়নের বুলি গাঁথা। এটা শুধু আমাদের দেশের আজকের সমাজের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই অতিত, বর্তমান, ভবিষ্যতের জন্যও প্রযোজ্য। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এভাবেই টিকে থাকে নেতারা। এর ফলে মূর্খ জনগণকে বড় বড় প্রজেক্টের মূলা দেখিয়ে বশে রাখা যায়। আর এসব প্রজেক্টের একটি দিক হচ্ছে দীর্ঘসূত্রিতা। মানে যে প্রজেক্ট করতে লাগার কথা ৩ বছর সেটা শেষ হবে ১৫ বছরে। ব্যয় বাড়বে ৫ গুণ। ফলে এর কার্যকারিতা বহুলাংশে কমে যায় অর্থনৈতিক ভাষায়। লোকরঞ্জনবাদের এটি গ্লোবাল মডেল। আমাদের দেশেও এর সফল ব্যবহার হচ্ছে। চারিদিকে তাকালেই এর যোগসূত্র খুঁজে পাবেন। কিছু ধূর্ত শেয়াল রয়েছে এসবের পেছনে।

অথচ একটি জাতিকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে এই উন্নয়নগুলোই হত সাসটেইনেবল। দূর্নীতিও লাঘব হত বহুলাংশে। শাসককেও আর এভাবে ঢোলে বাড়ি দিয়ে জানান দেওয়া লাগত না উন্নয়নের বাণী।

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুচিন্তত গঠনমুলক ও পরামর্শ সমদ্ধ লেখা ।
কামনা করি সংস্লিস্টদের মধ্য হতে অন্তত একজন হলেও এই মুল্যবান লেকাটি পাঠ করুন ।
উল্লেখ্য বাংলাদেশী ইউনিগুলিতে অনেক মেধাসম্পন্ন গুণী শিক্ষক রয়েছেন ,
তাঁদের অনেকের সাথেই বিভিন্ন সুযোগে দেখা সাক্ষাত ও দেশের ভার্সিটির বর্তমান হালচাল নিয়ে কথা হয় ।
সকলেই বলে থাকেন ইউনিগুলি রাজনৈতিক প্রভাব বলয় হতে বের হতে না পারলে এর উন্নতি সহজ সাধ্য হবেনা
এর জন্য প্রয়োজন সকলের সহযোগীতা ও মেধাবীদের যথাযোগ্য মুল্যায়ন ও তাঁদের প্রফেশনাল দায়িত্ব নিষ্ঠার সহিত
প্রতিপালনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও মেধা বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠ পোষকতা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারী ও বসেরকারী খাতকে প্রনোদিত করা , এ খাতে বাজেট বরাদ্ধ বৃদ্ধি করা ,সে সাথে শিক্ষকদের দৃষ্টিভঙ্গিকেও প্রসারিত করা ।
ধন্যবাদ মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: কামনা করি সংস্লিস্টদের মধ্য হতে অন্তত একজন হলেও এই মুল্যবান লেকাটি পাঠ করুন --- সেই রাস্তাও তো বন্ধ। এটি তো পর্ন সাইটের লেখা। এইরকম সাইটে কি দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা পা মাড়ান?

বাংলাদেশী ইউনিগুলিতে অনেক মেধাসম্পন্ন গুণী শিক্ষক রয়েছেন --- হ্যাঁ, কম হলেও এখনও কিছু অসাধারণ শিক্ষক রয়েছেন বলেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আস্তাকূঁড়ে নিক্ষেপ হচ্ছে না। তা না হলে এগুলোকে অনেক আগেই লাইফ সাপোর্টে চালাতে হত।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থার খোলনোলচে পালটে ফেলা দরকার অতি শিঘ্রই।

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমরা দিন দিন মেধা শূন্য জাতীতে পরিণত হচ্ছি।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২১

আখেনাটেন বলেছেন: এখনও কিছু মানুষ নিঃস্বার্থভাবে উদারচিত্তে সমাজের জন্য কিছু দিয়ে যাচ্ছে।

আর অপরাজনীতির কুশিলবরা মাঠ গরম করছে ধূর্ত শিক্ষিত ও মূর্খ জনগণদের নিয়ে।

১৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

করুণাধারা বলেছেন: শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড- মেরুদন্ড সোজা করলে জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে, আর মেরুদন্ড ভেঙে দিলে দাস মনোবৃত্তির নাগরিক তৈরি হবে যারা সমস্ত অন্যায় এর মধ্যেও জীবন কাটিয়ে দিতে পারবে, যেমন আমরা দিচ্ছি। আজ এ দেশে প্রাইমারি লেভেল থেকে শিক্ষাকে পণ্য করে তৈরি করা হচ্ছে, এই ধারা অব্যাহত থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পর্যন্ত। একটা দেশের উন্নয়নের জন্য দরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা বিষয়ে গবেষণা, বুদ্ধিবৃত্তির উৎকর্ষতা সাধনের। আমাদের দেশে ঠিক তার বিপরীত কাজটা করা হচ্ছে। কেন, কে জানে!!!!!

আপনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান উন্নয়নের জন্য কিছু ভালো, সুচিন্তিত প্রস্তাবনা দিয়েছেন। ভালো, কিন্তু এগুলো বাস্তবায়ন যোগ্য নয়। আপনি ভিসি নিয়োগ নিয়ে একটি কথাও বলেনি। তার মানে, এখন যেভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় ভিসি নিয়োগ করা হয়, কখনো কখনো ২৫/২৬ জনকে ডিঙিয়ে, সেটাকে আপনি দূষণীয় মনে করছেন না! আপনি দেখুন, কিছুদিন পর পর এক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ছাত্ররা আন্দোলন করে, এই মুহূর্তে এমন আন্দোলনে দেশের তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ আছে। ভিসির পর যে সমস্ত শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়, তাদের প্রধান যোগ্যতা লেজুড়বৃত্তি করার মানসিকতা। দেখেননি কি, কদিন আগে গোল্ড মেডেলিস্ট শিক্ষক পদপ্রার্থীকে ছাত্রলীগ অপহরণ করল ভাইভার আগে, এমন অন্যায়ের কোন প্রতিকার হয়নি। ভিসি বললেন, এর জন্য আরেকবার ভাইভা নেয়া সম্ভব নয়। এমন অসংখ্য ঘটনা আছে। কদিন আগে একজন ভিসি তার মেয়ে এবং জামাইকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নতুন একটা বিভাগ খুললেন। মেয়ে-জামাইয়ের সিজিপিএ অত্যন্ত কম হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিলেন। আপনি যেসব কথা বলেছেন দল-মত নির্বিশেষে যোগ্যতা সম্পন্নরাই কেবলমাত্র শিক্ষকতার জন্য নিয়োগ পাবেন, এটা কখনোই সম্ভব হবে না, কখনোই কেউ হতে দেবে না।

আপনার সাথে আমি একমত, ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন হওয়া উচিত অভিভাবকের আয়ের সমানুপাতিক হারে। এই কাজটা করা সম্ভব।

তবু, আপনি এত ভেবেছেন, তারপর সুচিন্তিত পোস্ট লিখেছেন, সেজন‍্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন: আপা, আমি নিজেও মনে করি শিক্ষা একটি পণ্য। তবে সেটা আর দশটা আলু-পটল জাতীয় পণ্য নয়। বুদ্ধিবৃত্তিক পণ্য। আর এই উৎকৃষ্ট পণ্যটি ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের একই অনুপাতে পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এবং সেটা নিশ্চিত করবে সরকার নানা প্যাকেজের আওতায়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, অসৎ রাজনীতিবিদ ও দূর্নীতিগ্রস্ত আমলাদের সহায়তায় এটিকে আলু-পটল জাতীয় পণ্যই বানিয়ে ফেলেছে। এখানেই দেশপ্রেমিক ভিশনারী নেতার অভাব বোধ করছে জাতি যুগ যুগ ধরে।

অথচ হওয়া উচিত ছিল সরকার এই পণ্যটির সর্বোত্তম মান বজায় রেখে জাতির বিকাশমান সকল স্তরে সঠিকউপায়ে চালান করা। এবং মনিটরিং, ইভ্যালুয়েশন ও রিফর্মের মাধ্যমে যুগের সাথে এটিকে আপ-টু-ডেট রাখা। এতে পণ্য গ্রহণকারীরা এর বুদ্ধিবৃত্তিক গুণে সমাজের উৎকর্ষে নিয়োজিত থাকতে পারত তাৎপর্যমন্ডিতভাবে। যেমনটা ঘটছে পশ্চিমা সমাজে কিংবা ফারইস্টের দেশগুলোতে।

আর ভিসির কথা যেটা বলছেন তা আমার দুই নম্বর পয়েন্টে লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম। ঠিক করে দিয়েছি। এটি ঠিকই বলেছেন রাজনৈতিক তাঁবেদারীতে নিয়োগ পাওয়া ভিসিরা হচ্ছেন ভার্সিটিগুলোর দুষ্টুক্ষত। এই ব্যবস্থার মূলোৎপাটন দরকার।

দল-মত নির্বিশেষে যোগ্যতা সম্পন্নরাই কেবলমাত্র শিক্ষকতার জন্য নিয়োগ পাবেন, এটা কখনোই সম্ভব হবে না, কখনোই কেউ হতে দেবে না। -- সেজন্যই তো দরকার একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ভিশনারি নেতার। তথাকথিত ভিশনারি নয়।

১৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



অসাধারণ একটি লেখা। +++

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: শিক্ষার এই হাল দেখে মেজাজ ঠিক রাখা দায়।

১৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,




ছোটবেলার সেই ভাবসম্প্রসারণ এখন আর নেই। জাতির মেরুদন্ডে এখন “কাইফোস্কোলিওসিস” হয়েছে। অর্থাৎ আইক্কাওয়ালা বাঁশের মতো শক্ত হয়ে মাথা ঝুঁকে পড়েছে বাঁকা হয়ে। ত্রিভঙ্গমুরারীর মতো।

আপনি কাদের পরামর্শ দিচ্ছেন ? শিক্ষাকে যারা চাল-ডালের মতো পণ্য বানিয়েছেন এমন সব ভূঁইফোঁরদেরকে যারা প্রভুত জীবিকার্জন ও মুনাফার আশায় লেজুড়বৃত্তি করে করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিদ্যাবিক্রয়ের বিপণীবিতান বানিয়েছেন ? ঠিক কাওরান বাজারের মাছের আড়তের মতো ?

হালে শিক্ষা পণ্য বটে কিন্তু তা হওয়া উচিৎ ব্রহ্মবিদ্যা বা মন্ত্রজ্ঞান পন্য। তা কি হয় কোথাও? এখন আর কেউ এসব কেনা বেচা করেনা। যা করে তা সার্টিফিকেট।

আপনার দেয়া নিজেরা পুরণ করুনের জায়গাটি চীরকালই অপুরণীয় থেকে যাবে! আপনার কাছে যাদুই চেরাগ থাকলে পরে তাতে ঘসা দিয়ে দেখুন একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ভিসনারী নেতা পান কিনা! তাহলে জায়গাটি পুরণ হতে পারে!!!!!!!!!!

বড় কষ্ট হয়, একটা জাতি ধংশ হয়ে গেলো...... এই নিদানকাল বড় কষ্টের....................


১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: হালে শিক্ষা পণ্য বটে কিন্তু তা হওয়া উচিৎ ব্রহ্মবিদ্যা বা মন্ত্রজ্ঞান পন্য। তা কি হয় কোথাও? এখন আর কেউ এসব কেনা বেচা করেনা। যা করে তা সার্টিফিকেট। --- এটির বিনাশ দরকার। এবং অতিসত্ত্বর। কিন্তু কীভাবে? কবি এখানেই নিরব।

চাঁদগাজীর ভাষায় একটি মগজহীন জেনারেশন তৈরি হচ্ছে। এটা বাস্তব। তবে এই তৈরির পেছনে কে বা কারা রয়েছে তা যদি আরো ভালোভাবে জাতির সামনে তুলে ধরা হত? অন্তত: লজ্জায় হলেও এর কুশিলবরা কিছু করার চেষ্টা তো করত।

এখনও এ দেশে টেনে টুনে মাস্টার্স পাশ ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বানানো হচ্ছে, যাদের না আছে কোনো ভালো মানের গবেষণাপত্র, না আছে এর পেছনের ন্যূনতম জ্ঞান। আশ্চর্য এক জাতি এটি।

১৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করে দেন।
গবেষণা বৃদ্ধি করুন।
বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানের সাগরে পরিণত করুন।
সব হবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করে দেন। গবেষণা বৃদ্ধি করুন।
বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানের সাগরে পরিণত করুন।
সব হবে।
-- এটি যদি আমাদের মাননীয় ভিশনারী নেত্রী বুঝতেন। সাজ্জাদ ভাই, কোনোভাবে কি উনাকে শিক্ষার কি কি ভালো দিক আছে তা বোঝানো যায় না? আপনার পরামর্শ কি?

১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২২

মুক্তা নীল বলেছেন: আখেনাটেন ভাই,
কেমন আছেন? বিশব্বিদ্যালয়গুলো বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং-এ পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষক নিয়োগে মেধার পরিবর্তে রাজনৈতিক আদর, সোনার ছেলেদের চামচামি ও স্বজনপ্রীতিতো আছেই। গবেষণা বা পিএইচডি মূল কারণ না, ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি মূল ধ্বংস। মেধা যাচ্ছে সেই সাথে ক্যারিয়ার বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করছে।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্যে ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো। :D

লেজুড়বৃত্তির রাজনীতিই ইউনিগুলোর শাঁস খেয়ে ফেলেছে। এক একটি শিক্ষক না যেন দলগুলো পেশিশক্তির ক্যাডার নিয়োগ দিয়েছে। এগুলোর মূলোৎপাটন ছাড়া দেশের উচ্চশিক্ষার অবস্থার গুণগত উন্নয়ন সম্ভব না।

উচ্চশিক্ষাখাতে এই অরাজকতা উনারা দূর থেকে ঠিকই অবলোকন করছেন। কিন্তু...। আপসোস।

১৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ছাত্র শিক্ষক সব পাচাটা গোলাম হলে আর কি আশা করতে পারি।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০২

আখেনাটেন বলেছেন: এর থেকে বের হওয়া দরকার! কিন্তু কোনো আশার আলো নেই। এভাবেই হয়ত খুঁড়ে খুঁড়ে এগুতে হবে।

১৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৬

মা.হাসান বলেছেন: ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশের মাধ্যমে শিক্ষকদের সরাসরি সক্রিয় রাজনীতিতে নিয়ে আসা শিক্ষাঙ্গন এর জন্য একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছিল যা রাজনৈতিক দলগুলি কখনোই স্বীকার করবে না। এরশাদ সম্রাটের আমলে এবং এর পরে বিএনপির প্রথম পাঁচ বছরে পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতিমালা মোটামুটি মানা হলেও ১৯৯৬ এর পর থেকে চক্ষু লজ্জার সীমা অতিক্রম করে দলীয় ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। । চাকুরী জীবনে একাধিক দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণি/ বিভাগ থাকার পরেও অনেকে শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা পূরণ করতে পারেনা এমন লোককে নেওয়ার জন্য এমনকি শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করে বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে। চিটাগাং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির আত্মীয় কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রথমে তাকে কলেজের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পরে ওই কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারপর ওই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্তীকৃত করা হয়েছে। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ আছে, যার অন্তত কয়েকটি সত্য বলে জানি (প্রমাণ করা সম্ভব না)। দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় বলে দাবীদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে এমন একজনকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল যিনি এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্যতাই রাখেন না। পাস করছিলেন পাস কোর্স থেকে। বুয়েটে অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কথিত আছে জিয়াউর রহমানের চামচামি করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর চামচামি করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হন। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় নামের একটি বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হয়েছে। সরকারের ঘনিষ্ঠ অত্যন্ত প্রভাবশালী একজনের বন্ধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। কিছুদিন আগে তিনি গাজীপুর আই ইউ টির ভিসি ছিলেন। চরম অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য তার বিরুদ্ধে ছাত্ররা বিক্ষোভ করলে সরকার বাধ্য হয় তাকে সরিয়ে দিতে। এম আই টি থেকে বি এস করা , স্ট্যানফোর্ড থেকে এম এস করা , এবং কেমব্রিজ থেকে পিএইচডি করার পর ডঃ মাহবুবুল আলম মজুমদার ইম্পেরিয়াল কলেজে পোস্ট ডক হিসেব কাজ করেছিলেন, কিন্তু তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে চাইলে নিয়োগ বোর্ড তাকে যোগ্যতা সম্পন্ন বলে মনে করেন নি । অথচ এই ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টেই কিন্তু ফুল প্রফেসর এমনও আছেন যাদের কোন পিএইচডি নেই। পিএইচডি বিহীন ফুল প্রফেসরের মোট সংখ্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম না। অথচ জাতীয় অধ্যাপক ডঃ কাজী মোতাহার হোসেনের মতো প্রজ্ঞাবান লোকও কিন্তু চাকরি শুরু করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ডেমোন্সট্রেটর হিসেবে। বুয়েটের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা অনেক ভালো। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তার কথিত গৃহ শিক্ষক কে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি নিয়োগ দেওয়ার পর কিছু ন্যাক্কারজনক ঘটনায় যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল তা প্রতিষ্ঠানটি সম্ভবত কাটিয়ে উঠেছে। আমার জানামতে এখনো এখানে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। তবে এদের একটা বড় অংশ দেশে থাকেন না, কারণ উল্লেখ করে মন্তব্য আরো দীর্ঘায়িত করলাম না।
এটা সত্য যে টাকা এখন আর কোন প্রবলেম না। রিসার্চের জন্য ইউজিসি, মিনিস্ট্রি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, ব্যানবেইস, হেকাপ প্রজেক্ট ইত্যাদি থেকে বিশাল বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রতি বছর। অনেক ক্ষেত্রেই এ টাকা দিয়ে দরজা জানালার পর্দা , কম্পিউটার, চেয়ার টেবিল এসব কেনা হয়। এসব প্রজেক্ট এর অর্থ ছাড় করাতে কিছু অসাধু লেনদেনের কথা কানে এসেছে তবে সত্যি কিনা যাচাই করার সুযোগ আমার ছিল না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মরত বন্ধুদের মধ্যে একাধিক জন বলেছেন রিসার্চ প্রজেক্ট এর টাকা বিভিন্ন শিক্ষকের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রজেক্ট এর মেয়াদকাল শেষে শিক্ষকরা একটি রিপোর্ট তৈরি করেন । যেনতেনভাবে তবে তৈরি এ রিপোর্ট এর মধ্যে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর নাম রাখা হয়। এতে সাত খুন মাফ। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে যন্ত্র কেনার পর তা বাক্সবন্দি বা অব্যবহৃত পড়ে থাকার ঘটনাও প্রতিনিয়ত দেখছি। শিক্ষক নিয়োগে কি রকম নগ্ন চামচামি করা হয় তা আমার একটি পোষ্টে উঠে এসেছে (পোস্টটিতে আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যও দিয়েছিলেন)। মেধাবিহীন ও নৈতিকতা বিহীন শিক্ষক নিয়োগ করা হলে তা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়ন করা কখনও সম্ভব হবে না।
তবে আশার কথা এই যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি উপরে উঠে আসছে। আজ থেকে ১১ বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিবিএ অধ্যয়নরত আমার এক আত্মীয় আমাকে জানিয়েছিল অনেক চাকরির জন্য তারা এপ্লাই ও করতে পারে না। কারণ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তে লেখা থাকে। আইবিএ, এনএসইউ, এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বাহিরে কারো আউট এপ্লাই করার প্রয়োজন নাই। ছাত্র আকৃষ্ট করার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো র‌্যংকিং এর উপরে উঠে আসার জন্য খুব চেষ্টা করে যাচ্ছে। রিসার্চ এর জন্য এদের ভালো বরাদ্দ থাকে। আমার জানা মতে এ বছরে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাধিক প্রবন্ধ নেচার কমিউনিকেশন এবং ল্যানসেট এর মত জার্নালে পাবলিশ হয়েছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালোছাত্রদের জন্য টিউশন ফি ওয়েভার দিয়ে থাকে। যার কারণে একজন ভাল ছাত্র খুব কম টিউশন ফিতে বা বিনা টিউশন ফিতে এখান থেকে পাশ করে আসতে পারে। এছাড়া প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদের টিএ হিসেবে চাকরি করার সুযোগ আছে যার মাধ্যমে তারা কিছু পকেট মানি পেয়ে থাকে, বাইরে টিউশনি করার প্রয়োজন পড়ে না। পুরাতন এবং প্রতিষ্ঠিত ৪/৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বাকি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অবস্থা মোটামুটি ভালো রকমের খারাপ । খুব দূরে না যেদিন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো মেধাবি ছাত্র পাবে না এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্থান দখল করবে।

আপনি বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় গুলোর কথা বলেছেন। এগুলো অনুসরণ করার কোন ইচ্ছা আমাদের রাজনীতিবিদদের কখনোই ছিল না। আমার ব্যক্তিগত মত এই যে এই অবস্থার উন্নতি হবে না।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

আখেনাটেন বলেছেন: মা.হাসান বলেছেন: ১) ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশের মাধ্যমে শিক্ষকদের সরাসরি সক্রিয় রাজনীতিতে নিয়ে আসা শিক্ষাঙ্গন এর জন্য একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছিল যা রাজনৈতিক দলগুলি কখনোই স্বীকার করবে না। --- অদূরদর্শী ও জাতিবিধ্বংসী সিদ্ধান্ত।

২) নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা পূরণ করতে পারেনা এমন লোককে নেওয়ার জন্য এমনকি শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করে বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে। --- এ ধরনের লোকেরাই দেশের পলিসি মেকিং করছে ও দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। এক একটা ধূর্ত শেয়াল।

৩) কথিত আছে জিয়াউর রহমানের চামচামি করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর চামচামি করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হন। --- রসুনের কোয়া গিয়ে মিলিত হয়ে সেই একই.....। তালে সবাই এক।

৪) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি উপরে উঠে আসছে। --- সময়ের চাহিদা পুরুন করতে হলে তো গ্যাপগুলো কারো দ্বারা পুরুন করতেই হবে। ভালো লক্ষণ।

৫) আমার ব্যক্তিগত মত এই যে এই অবস্থার উন্নতি হবে না। --- -- আমিও তাই মনে করলেও আশা করতে তো দোষ নেই। ভাবি একদিন এসব অনাচারের সমাপ্তি হবে।

২০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

বলেছেন: চিন্তাশীল পোস্ট,, ১-৭ যদি কার্যকর করা হয় তবে মুক্তি আসবেক কিন্তু কে শুনবে!!
শুনার কেউ নাই শুধু স্বা্র্থ ডিজিট্যালি পরিবর্ধিত পরিবর্তিত হয়েছে।


পোস্টে মিলিয়ন লাইক।

ভালো থাকুন।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: এগুলো শুনার মতো অবস্থায় গদীনশীনরা নেই। উনারা পরের পাঁচ বছর আবার কীভাবে গদিতে থাকা যায় সে ছক কষছেন এখন থেকেই। শিক্ষা কি উনাদের গদি রক্ষা করবে? বরং মূর্খ ও কুশিক্ষিতরাই ভরসা।

২১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৬

নীলপরি বলেছেন: ভাবনার মতো পোষ্ট । ++

শুভকামনা

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: আমরা ভাবলেও যাদের ভাবার দরকার তারা ঘুমিয়ে আছে। :(

২২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

নাসির ইয়ামান বলেছেন: আমলাতন্ত্রের অবসান ঘটাতে পারলেই ,কেবল শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সম্ভব!

যারা জ্ঞানী আর যারা জানে না,তারা ক এক হতে পারে না (আল কোরান)

ভালো লেখেছেন,

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: আমলাদের খামখেয়ালী ও দূর্নীতি বড় একটা কারণ শিক্ষার অবনমনে। এরা শিক্ষক সমাজের কখনই ভালো চায় না। কিছুদিন আগে বেতনস্কেল নিয়ে কি কাণ্ডটাই না করল?

২৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রাজনীতি নামে চলমান অধ:পতিত ব্যবস্থা বহাল রেখে কোন নীতিকথাই কার্যকর হবে না।
কারণ তাদের মাথা পঁচে গ্যাছে। যা পুন:স্থাপন অসম্ভব।

একটা পূর্ণ বিপ্লবই পারে চলমান ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন ঘটাতে।
এছাড়া বাকী কল্পনা বিভ্রম হয়েই মরিচিকা ধোঁকায় বারবার গোলক ধাঁধাঁয় ঘুরে মরা মাত্র!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের মাননীয় নেত্রী চাইলেই এসকল যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন। উনার তো কোনো পিছুটান নেই। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কেন তিনি...আমার বুঝে আসে না। নিজেকে ইতিহাসের পাতায় পজিটিভলি ঠাঁই নেওয়ার সুযোগ থাকতে উনি নেগেটিভলি নিজেকে দাঁড় করাচ্ছেন নানাভাবে। আপসোস করা ছাড়া আর কিইবা করা যেতে পারে।

শিক্ষা নিয়ে কোনো সরকার কোনোকালেই প্রকৃতপক্ষে ভাবে নি। এটা যে জাতিকে শতগুণ এগিয়ে নেবে এটা কেন তাদের বোধোদয় হয় না।

২৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫২

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার সব কথা। কিন্তু কেউ শুনবে না, মানার তো প্রশ্নই আসে না !! এখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ হয় রাজনৈতিক সুপারিশে এবং ভিসি'র আত্মীয়দের !! তবে, ২/১ ফেয়ার নিয়োগও হয়। পরামর্শগুলো যুক্তিসংগত। তবে দেশের কেউ গ্রহণ করবে না। গঠনমূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। বিগত দশ বছরে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা একদম ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এখন দেখি, আগামীতে কি হয়.............
+।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: কিন্তু কেউ শুনবে না, মানার তো প্রশ্নই আসে না !! -- সে জন্যই বলা এগুলো অরণ্যে রোদন। তারপরও আমপাবলিক হিসেবে দেশ-বিদেশের শনৈঃ শনৈঃ অবস্থা দেখে কিছু করতে না পারলেও দু কলম লিখে অন্তত: নিজের অভিব্যক্তি বলেন আর ক্ষোভ বলেন জানিয়ে দিলুম। বাকিটা ক্ষমতাবানদের ইচ্ছা...।

বিগত দশ বছরে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা একদম ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এখন দেখি, আগামীতে কি হয়.... -- সেটাই। ভালো কিছু হোক। সেটাই চাওয়া। প্রধানমন্ত্রী চাইলেই অনেক কিছু করতে পারেন। উনার বোধোদয় হোক।

২৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



ভাই অনেক কিছু বলার ছিল কিন্তু কিছুই বলতে পারলাম না

দেশের অবস্থা ভাল না

আর শিক্ষা সেতো বাদ ই দিন । শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কবে সামনে যাবে সেটা কেউ জানে না । আমাদের মেরুদন্ড নাই ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২০

আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের মেরুদন্ড নাই । --- বাস্তবেই আমাদের মেরুদন্ড নেই। তারপরো ক্যামনে ক্যামনে যেন খাড়া হয়ে আছি। আল্লাহ মালুম।

হুঁশ ফিরে আসুক ক্ষমতার মসনদের পালোয়ানদের। দেশের স্বার্থে। জাতির স্বার্থে। অতিত সরকার কি করেছে। আগের বছরগুলোতে কি ঘটেছে সেদিকে না তাকিয়ে এখন থেকেই কাজ শুরু করুক নতুন প্রত্যাশায় এই কামনা।

২৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১৭

সোহানী বলেছেন: ভাইরে কেন যে এসব বলে লজ্জা দেন.....। আপনি কি ভুলে গেছেন এ দেশে শিক্ষা মানে ব্যবসা। আর ভালো পড়াশোনা করার জন্য তাদের পোলাপান বিদেশ যাবে আর দেশে থাকবে হাড়গিলগিলে কিছু গিনিপিগ। যাদের রক্ত দিয়ে ইউরোপ কানাডায় ম্যানশান তৈরী হবে। কেন এসব রেংক এর কথা বলে নিজেদেরকে লজ্জা দেন।

বলতে পারবেন একটা গবেষনায় সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার কথা? একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের আগ্রহর কথা?? লাল নীল কালার এর ঘষামাজায় পোলাপান যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ও সার্টিফিকেট নিয়া বের হয় এইটাইতো বেশী।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: অদ্ভত এক সমাজের অংশ আমরা! নিজেদের উপরে তুলতে গিয়ে মাড়িয়ে দিচ্ছি কতজনের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ নির্বিচারে। এবং এতে আমাদের কোনো বিকারও নেই, অনুশোচনাও নেই।

আবার এইসব লোকেদের দালালি করার জন্য কিছু কুশিক্ষিত লোকের দাপাদাপি দেখলে মনটায় খারাপ হয়ে যায়।

নিশ্চয় এসব কিছুর একদিন অবসান হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও যুগের সাথে তাল মিলাবে।

২৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৪৩

এম.জে. রহমান বলেছেন: পড়াশোনা করে কাজ নেই লাঠিয়াল হওয়াতে লাভ। X(

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

আখেনাটেন বলেছেন: :(

২৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

জুন বলেছেন: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি এমন ঘাটি গেড়ে বসেছে যে তার শেকড় ওপরানো অসম্ভব। রাজনীতি আর কুটকচালী যারা পছন্দ করে তারাই টিকে থাকে। বাকিরা পালিয়ে যায় নিজের নীতিকে অতখানি নীচে নামাতে না পেরে। আমার অনেক প্রিয় টিচারদের যখন দেখি দলীয় রাজনীতিতে অন্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য দিচ্ছে তখন মন আমাকে প্রশ্ন করে "ওরে একেই কি তুই এতটা শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছিলি"!!!!
ভালোলাগা রইলো আখেনাটেন আপনার লেখাটিতে।
+

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪

আখেনাটেন বলেছেন: জুন বলেছেন: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি এমন ঘাটি গেড়ে বসেছে যে তার শেকড় ওপরানো অসম্ভব। -- দেখে তো তাই মনে হয়! বিভিন্ন দলে-গোত্রে শিক্ষক-ছাত্ররা এজেন্ডা বাস্তবায়নে রত। জ্ঞানার্জনের কোনো চিন্তা নেই। আর তথাকথিত মেধাবীদের বৃহদাংশ আমলা নামের কামলা হওয়ার জন্য জান বাজি রাখছে।

২৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

অন্তরা রহমান বলেছেন: আচ্ছা, একটা প্রশ্ন ছিল। এই যে র‍্যাংকিং সেখানে কি মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজগুলো আলাদা জায়গা পাবে? নাকি যেহেতু সেগুলো ঢাকা ভার্সিটির অধীনে কাজেই সেই আনন্দেই আমাদের তুষ্ট থাকতে হবে?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: নাকি যেহেতু সেগুলো ঢাকা ভার্সিটির অধীনে কাজেই সেই আনন্দেই আমাদের তুষ্ট থাকতে হবে? -- হা হা হা; এটাই বাস্তবতা। সেটাই বা কম কিসে? :D






৩০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিক্ষাও এখন একটি পণ্য - অবশ্যই! এবং এই পণ্যের বিপণনে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
এ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে প্রায় ৩৪ হাজার ছাত্রের বিপরীতে মত্র ৪৮ জন ছাত্র বিদেশি। অথচ এক সময় আসিয়ান দেশ সমূহ তাদের ছাত্রদেরকে বৃত্তি দিয়ে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য পাঠাতো।
পোস্টে বেশ কিছু লিঙ্ক দিয়েছেন, যা খুঁজে বের করতে নিশ্চয়ই অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় হয়েছে। ধন্যবাদ এ প্রয়াসের জন্য।
যে ৭ টি পরামর্শ দিয়েছেন, তার সাথে দ্বিমতের কোন অবকাশ নেই। ২ নম্বরটা বেশী কাজে দিবে, আর ৩ নম্বরটা বাস্তবায়ন করতে পারলে শিক্ষায়তনে শান্তি ও শৃঙ্খ্লা ফিরে আসবে।
পোস্টে প্লাস +

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: এক সময় আসিয়ান দেশ সমূহ তাদের ছাত্রদেরকে বৃত্তি দিয়ে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য পাঠাতো। -- হুম; কয়দিন আগে ময়মনসিংহ মেডিকেলের ছাত্র ভুটানের প্রধানমন্ত্রীও ঘুরে গেলেন এ দেশ।

ঐতিহ্যগুলোও আমরা আর ধরে রাখতে পারছি। দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি-কৃষ্টি উন্নত হয়। আর আমাদের কী হচ্ছে আল্লাহ মালুম!!

ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ ফরয হয়ে গেছে এ দেশে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.