নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু অদ্ভুত কিংবা অলৌকিক কাহানির কড়চা???

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৮



২০০৯ সাল। রাজশাহীর হেতেম খাঁ। ছুটিতে দীর্ঘ জার্নি শেষে আপার বাসায় সকালবেলা উপস্থিত। গিয়েই দেখি আপার অক্টাজেনারিয়ান শ্বশুর দেশের বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মুরুব্বির সাথে আমার চমৎকার সম্পর্ক। নানারকম মজার গল্পের ভান্ডার এই ওল্ড ম্যান। ধার্মিক ও অধ্যাত্মিক মানুষ। নিজের খেয়ে জিন-ভূতের বোতলবন্দী জাতীয় কাজবারও অতীতে করতেন কথিত আছে। এখন তিনকাল পেরিয়ে এই বয়সে এগুলো করেন না তবে ‘তেনারা’ নাকি উনার আশেপাশেই থাকেন।

উনাকে কিছুতেই গ্রামের বাড়ি থেকে রাজশাহীতে আনা যায় না। উনি বিভিন্নরকম অজুহাতে সেটা রোধ করেন। শুধু ফিস্ফিসিয়ে নাতিদের বলেন-- না যাওয়াই সবার জন্য মঙ্গল রে পাগলা। তো নাতিদের বিরাট কচলাকচলিতে উনি বহুদিন বাদে রাজশাহীতে গতকালই এসেছেন বেশ কিছুদিন থাকবেন মনস্থ করে। কিন্তু একদিন পরেই অস্বাভাবিক ঘটনার ঘনঘটায় উনার রাজশাহী থেকে এই অকাল-প্রস্থান সকলকে কিংকর্তব্যবিমুড় রেখে।

ঘটনা বলি। তিনতলা বাসার দু-তলাতে আপারা থাকেন। তিন তলায় এক ডাক্তার পরিবার থাকে। অন্ধকার রাত। পাশেই কবরস্থান থাকায় এমনিতে ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করে। সেদিন রাত দুইটার দিকে হঠাৎ ছাদের দরজাতে দড়াম দড়াম করে থাবা পড়ছে বেশ জোরে সোরে। মনে হচ্ছে কেউ মৌনমুখে দরজায় করাঘাত করে দরজা খুলে দেওয়ার আহবান করছে। বেশ কয়েকবার এরকম শব্দের পর আপা-দুলাভাই ঘটনা দেখার জন্য সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গিয়ে দেখেন তিনতলার ডাক্তার সাহেবও বের হয়েছেন কি ঘটছে দেখার জন্য। থেমে থেমে দরজায় মানুষের জোরে জোরে থাবা দেওয়ার মতো শব্দ চলতেই আছে। সকলে মিলে উপরে গেলেও ছাদের দরজা খোলার সাহস পায় না। শব্দ অবিরত চলছে। ছাদের দরজাটা আবার ইঞ্চি দেড়েক ফাঁকা নিচের দিকে। দুলাভাই সিঁড়ি থেকে লাইটের আলো ফেলে নিচ দিয়ে তাকিয়ে কোনো দাঁড়ানো মানুষের পায়ের উপস্থিতিও পাচ্ছেন না। শব্দ চলতেই আছে। সকলেই আতঙ্কগ্রস্ত। দরজা না খুলে সবাই নিচে নেমে এসেছে। ওল্ডম্যান অদ্ভুত ভঙ্গিতে শুয়ে হালকা গোঙানীর মতো আওয়াজ করছে। বাসার কারো কথার কোনো জবাব দিচ্ছে না। ইতোমধ্যে পাশের একটু দূরের বাসার মানুষও জেগে উঠেছে শব্দ পেয়ে। ছাদে কেউ আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে জানায়-- কাউকে দেখছেন না তারা। ছাদ ফাঁকা। এর ফলে সকলের ভীতি আরো বেড়ে যায়। সারারাত ঘুম হয় না। এভাবে বিরতি দিয়ে দিয়ে থাবার শব্দ ফজরের আজানের পর থেমে যায়।

আর সকাল বেলায় বৃদ্ধ বেশ কিছুদিন থাকার জন্য আসলেও কিছুতেই আর থাকবেন না রাজশাহীতে। ঐ দিনই রাজশাহী ত্যাগ করেন কোনো কারণ না জানিয়েই।
আমি এই বিষয়ে পরে উনাকে জিজ্ঞেস করলে উনি মৃদু হেসে জানান ‘শহর পছন্দ নয় তেনাদের’।

মনে প্রশ্ন জাগেঃ শহুরে দুপেয়ে ভূতের তাণ্ডবে কি গ্রামের ভূতেরা ভীত হয়ে শহর মাড়াতে ভয় পায় এখন? :P



২০১৫ সাল। গ্রামের বাড়িতে তুলকালাম। আট বছরের ভাতিজাকে ভূতে ধরেছে। শুনে একটু হাসিই পেল। এই পিচ্চি পোলাপানকে আবার কীভাবে ভূতে ধরবে? ভাবলাম বিশাল বাড়িতে একা একা থাকে। নানা কাজে ভাইয়াও হয়ত সময় পায় না। ভাবীও ‘ বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়াল দেখতে গিয়ে বাচ্চার দেখভাল করার ব্যাপারটা হয়ত বুঝতে পারছে না। এতেই হয়ত একাকীত্বের কারণে নার্ভাস ব্রেকডাউন ঘটেছে পিচ্চির। কিন্তু ঘটনা শুনার পর আমার আক্কেলগুড়ুম। বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচালে ঘুরপাক খেতে শুরু করলাম।

পিচ্চি ভাতিজা বিড়ালের বাচ্চাকে দেখার জন্য দু তলাতে গিয়েছে সন্ধ্যার সময়। যেহেতু উপর তলায় এখন আর মানুষ থাকে না ফলে একটু গা ছমছমে ভাব আমাদেরও আছে। তো পিচ্চি গিয়েই চিৎকার দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলছে-- একজন মানুষ বিশাল সাদা ঘোড়ার পিঠে চেপে টগবগ টগবগ করতে করতে তাকে ধাওয়া দিয়েছে। নেমেই নিচের ঘরে টিভি দেখারত ভাইয়া-ভাবীকে ভীষণ আতঙ্কিত অবস্থায় বলছে সাদা ঘোড়ার কাহিনি। বলতে বলতে মুখ দিয়ে ফেনা তুলে গোঙাতে গোঙাতে অজ্ঞান। ভাইয়া কিছুটা আঁচ করতে পেরে ছেলেকে কাঁধে নিয়ে প্রায় হাফ কিলোমটার দূরে একজনের (সম্পর্কে ভাবী হয়, উনার জীন-ভূতের কাজকারবার আছে, মাঝে মাঝে হাত উঠে মানে মেয়ে হয়েও পুরুষ কন্ঠে কথা বল শুরু করে হাত পাকাতে পাকাতে ইত্যাদি আজব সব কাণ্ড) কাছে নিয়ে চলছে।
কিন্তু অতি আশ্চর্যজনকভাবে সেই ভাবীর বিকট চিৎকার দিয়ে হাত উঠেছে একই সময়ে। এবং উনিও ভয়ঙ্করভাবে দৌড়াতে দৌড়াতে আমাদের বাড়ির দিকেই আসছে। মাঝামাঝি জায়গায় মসজিদ। মসজিদের পাশেই একজনের বাসায় বসে উনি ভাতিজাকে বিভিন্নরকম কথা জিজ্ঞেস করতে শুরু করেন। আর মারাত্নক ব্যাপার হচ্ছে এখন যখন পিচ্চি ভাতিজা কথা শুরু করেছে তখন তার গলার স্বর অন্যরকম ও অবশ্যই পূর্ণবয়স্ক মানুষের মতো।

মনে প্রশ্ন জাগেঃ পিচ্চির এই ঘটনা মহিলা সাথে সাথে কীভাবে টের পেলেন প্রায় হাফ কিলোমিটার দূর থেকে? আর গলার স্বর পরিবর্তনের হকিকত কি? :|



তখন হয়ত ক্লাস ফোর কিংবা ফাইভে পড়ি। গ্রামে প্রতিবছর মাদারের সিন্নি বলে একটি রেওয়াজ চালু ছিল। গ্রামের কবরস্থানের মাঝে এক বিশাল বটগাছ। সেই বটগাছে নাকি মাদার পীর বাস করে। তাঁর জন্যই এই সিন্নি মানে খানাপিনা। জন্মের পর থেকেই এটি দেখে আসছি।

বছরের একটি বিশেষ দিনে এই আয়োজন। সাধারণত কার্তিক মাসে। এই সকল কুসংস্কার গ্রামের অনেকেই মানতে চায় না। অনেকে আবার নিছক মজা মনে করে ভুরিভোজে যোগ দেয়। গোটা গ্রাম দেখেছি যেন উৎসব লেগে যায়।
গ্রামে তখন ছিলেন মাদারের বুড়ি নামে একজন অশীতিপর বৃদ্ধা। ইনিই হচ্ছেন বংশপরম্পরায় এর ঠিকাদার। বৃদ্ধা ভূত-প্রেতের কবিরাজিও করেন। তবে বিনা পয়সায়। এলাকায় উনার যথেষ্ট সুনাম।

ইতোমধ্যে গ্রামে কিছু শিক্ষিত জেনারেশন এই ধরনের কাজকর্মকে ভিন্ন চোখে দেখতে শুরু করেছেন।
ঘটনার দিন বিশাল পিতলের পাতিলে রান্নাবান্না চলছে। সেখানেই গ্রামের নানা মানুষ নানারকম হাসি মশকরায় রত। কেউ এর হাসির ছলে বিরোধিতা করছে। কেউ এর স্টোন্স সাপোর্টার। মাদারের বুড়ির বাড়ি সেই রান্নাস্থল থেকে শ দুয়েক গজ দূরে। রান্না চলাকালীন সময় মাদারের বুড়ি ঝিম মেরে অন্ধকার ঘরে বসে থাকে একা। সে সময় উনার সাথে কেউ কথা বলে না। আদিভৌতিক ব্যাপার স্যাপার। আমরা বাচ্চাকাচ্ছারা রান্নাস্থলে দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত।

হঠাৎ রান্নাস্থলে গ্রামের কিছু ত্যাড়া লোক বুড়ির এই আজগবি মাদার পীর নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে। এবং এই ধরণের ভণ্ডামী আমাদের করা উচিত নয় বলে ঘোষণা করে। একটু সোরগোল এ নিয়ে। কারণ পক্ষে বিপক্ষে মতামত দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে বুড়িকে কেউ একজন চ্যালেঞ্জ করে বসেছে এর উদ্দেশ্যে নিয়ে।

তখন সন্ধ্যারাত। দূর থেকে এক ভয়ঙ্কর চিৎকার। কয়েক সেকেন্ড পরেই সেই মাদারের বুড়ি হাত পাকাতে পাকাতে চিৎকার করে দৌড়ে আসছে রান্নাস্থলে। এসেই ভয়ঙ্কর পুরুষালী কন্ঠে সেই ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলছে, ‘তুই প্রমাণ দেখতে চাস, দেখ তাহলে”। বলেই মাদারের বুড়ি তাঁর ডান হাতটি বাহু পর্যন্ত ফুটন্ত পোলাও এর পাতিলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে হাতা দিয়ে নাড়া দেওয়ার মতো করে নেড়ে দিতে থাকে কয়েক সেকেন্ড।

ঘটনার আকস্মিকতায় উপস্থিত সকলে বিস্ময়ে বিমূড় হয়ে গেছে। আর আমরা ছোটরা এই দৃশ্য দেখে মিলিসেকেন্ডের ব্যবধানে নেংটি ইঁদুর স্টাইলে লেজ তুলে খিঁচে দৌড় নিজ নিজ বাড়িতে।

মনে প্রশ্ন জাগেঃ ঘটনার সবচাইতে অলৌকিক দিকগুলো হল-
১। সেই ব্যক্তির টিটকারী ও বুড়ির হুঙ্কার একই সাথে। যদিও তাদের দূরত্বের কারণে একজনের কথা আরেকজনের শোনা অসম্ভব ও অবাস্তব।
২। ঐ বয়েলিং হতে থাকা গরম পোলাও এর মধ্যে হাত দিয়ে নাড়া দেওয়ার পরেও বুড়ির হাতে পরের দিন কোনো প্রকার পোড়া বা ফোস্কা পড়ার চিহ্ন না থাকা।
B:-/

পুনশ্চঃ অক্টাজেনারিয়ান নশ্বর দুনিয়াকে বিদায় জানিয়েছেন ২০১৪-তে, থাবাও মইচে মনে কয়...। মাদারের বুড়ি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন ২০০৩-এ। এখন সেই গাছও নেই, বুড়িও নেই, সিন্নিও নেই, তবে এই নয়া ভাবী কিন্তু রয়েছেন শিক্ষিত জেনারেশনকে কিছু বিশ্বাস-অবিশ্বাসের পেন্ডুলামে ঝুল খাওয়াতে...আমরাও খাচ্চি, তাই এ বিষয়ে কাভা ভাইয়ের আহব্বানে পোস্টও দিচ্চি...আপনারাও খান দেকি...আর কোনো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ থাকলে সেটাও আওয়াজ দ্যান। :D
*****************************************************************************
@আখেনাটেন/আগস্ট-২০২০

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ পর্যন্ত পড়া ভূত কাহিনীর মাঝে বেশি ভৌতিক মালে ভরপুর ;) :P
হা হা হা

ব্যাখ্যাতীত কত সত্য নিয়েই তো বেঁচে আছি।
থাকুক না কিছু রহস্য ;) ভয়ের চাঁদরে মোড়া

+++


২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৯

আখেনাটেন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ পর্যন্ত পড়া ভূত কাহিনীর মাঝে বেশি ভৌতিক মালে ভরপুর --- হা হা। এগুলো এখনো পরিবারে ও গ্রামে মুখরোচক চর্চার বিষয়। যার কোনো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নেই। :(


ব্যাখ্যাতীত কত সত্য নিয়েই তো বেঁচে আছি।
থাকুক না কিছু রহস্য ;) ভয়ের চাঁদরে মোড়া
-------ঠিক তাই.........তবে বিজ্ঞান এগুলোর অনেকভাবেই হয়ত ব্যাখ্যা দিতে পারে.............। কিন্তু ঘটনাগুলো বাস্তবেই ভীষণরকম বিভ্রান্তিকর, বিশেষ করে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষের কাছে।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: এরকম কাহিনী গ্রাম বাংলায় প্রচলিত। যদি অভিজ্ঞতাগুলো আপনার নিজেরই হয়, তাহলে আসলে বলার কিছুই নেই, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ সব বিষয় 'অমুকের কাছে তমুক শুনেছে, তারপর সে বলেছে' এ রকম করতে করতে ভয়ংকর একটা গল্পে দাঁড়িয়ে যায়, বাস্তবে যেটা নিতান্তই একটা সাধারণ গল্প ছিলো।

অন্যদিকে, হুমায়ুনের আত্মজৈবনিক একটা বইয়ে তিনি বলেছিলেন- অনেক সময় এমন হয় যে ছোটবেলার কোনো ঘটনা, যেটা হয়তো আপনার স্পষ্টভাবেই মনে পড়ছে, পাত্র-পাত্রী, স্থান-কাল সবই পরিস্কার মনে পড়ছে, অথচ এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেইনি।.... আমারও এ রকম মনে হয়।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৪

আখেনাটেন বলেছেন: যদি অভিজ্ঞতাগুলো আপনার নিজেরই হয়, তাহলে আসলে বলার কিছুই নেই -- হুম; ঘটনাগুলোতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমিও জড়িত। আর ঘটনাগুলোর সাথে জড়িত বেশিরভাগই এখনও জীবিত। :( নিশ্চয় এরও কোনো না কোনো ব্যাখ্যা রয়েছে.........।


অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ সব বিষয় 'অমুকের কাছে তমুক শুনেছে, তারপর সে বলেছে' এ রকম করতে করতে ভয়ংকর একটা গল্পে দাঁড়িয়ে যায়, বাস্তবে যেটা নিতান্তই একটা সাধারণ গল্প ছিলো। ---- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাই দেখা যায়।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০০

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ভূতের আসরে ব্লগ এবার স্থবির হলে কি হবে ভাবছি!!!!!! :(

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ভূতের আসরে ব্লগ এবার স্থবির হলে কি হবে ভাবছি!!!! --- ক্যানে ক্যানে স্থবির হপে ক্যানে...ঝেঁড়ে কাশুন দেহি.......। B-)

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এক নম্বরে- জিনদেরও কথা তাহলে দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর। যে কারণে তাদের শহর ছেড়ে আবার গ্রামে প্রত্যাগমন।।
দুই নম্বর-হাফ কিমি দূরের মহিলা পিচ্চির ঘটনা টের পেলেন অন্তর্দৃষ্টিতে। বাবা মা নিয়ে গেছে মানে জানেনই এরৈ কিছু ঘটেছে।
তিন নম্বর-আপনি ছোট ছিলেন ফোর ফাইভে পড়েন। ভারী গলায় ধমক দিয়ে বাচ্চাদেরকে বাড়ি পাঠানোর জন্য বুড়ি পুরুষালী কন্ঠ করেছিলেন। মোটের উপর ভালো লাগলো......
শুভেচ্ছা প্রিয় ফারাও ভাইকে।
অফটপিক:-সাম্প্রতিক ভূত সিরিজের জন্য আমি আপনার লগ ইন দেখে ভেবেছিলাম, কি জানি এটাও একটা ভৌতিক কান্ড নয়তো। পোস্টের লেখা দেখলে দেখে বুঝলাম না অশরীর পোস্ট নয়, সত্যি সত্যিই শারীরিক একটা পোস্ট। হেহেহে

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এক নম্বরে- জিনদেরও কথা তাহলে দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর। যে কারণে তাদের শহর ছেড়ে আবার গ্রামে প্রত্যাগমন।। ---- আমিও ঐটাই ভাবছি......শহুরে ভূতেরা যেভাবে তান্ডব চালাচ্ছে, তাতে গাঁইয়া ভূতেরা এ তল্লাটে যে ভাত পাবে না তা তো দেখলেনই...... :P

তিন নম্বর-আপনি ছোট ছিলেন ফোর ফাইভে পড়েন। ভারী গলায় ধমক দিয়ে বাচ্চাদেরকে বাড়ি পাঠানোর জন্য বুড়ি পুরুষালী কন্ঠ করেছিলেন। --- পদাতিক দা, টিটকারী করবেন না......বুড়ি কিন্তু এই টিটকারী শুনেই.........সুতরাং সাধু সাবধান...নইলে কবর থেকে........আজ রাতে সাবধানে ঘুমাবেন.....বলা তো যায় না.....ঘাড় মটকালে আমার দোষ দিতে পারবেক লাই....... :((

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

জুন বলেছেন: আমাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য গেস্ট রুমটিকে ডাইনিং বানিয়েছি। বেশ বড় জানালার পাশে টেবিল পাতা। জানালার সাইডে আমাদের বিল্ডিং এর পর দুটো খালি প্লট জংগলে ভরা। তারপরও আরো তিন চারটা দোতালা তিন তালা বাড়ি। আমরা থাকি আট তালায়। গতরাত দশটার দিকে খাবো তাই ভাত সহ ইলিশ মাছ ভাজা টেবিলে রেখে পানি আনতে গেলাম। এসে দেখি জানালার নেটের ভেতর দিয়ে একটি সরু কাকলাশের মত হাত প্লেট থেকে ভাজা মাছ তুলে নিচ্ছে। আমিতো দেখেই চিতকার দিয়ে অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা আখেনাটেন :-&
আপনার গল্পগুলো পড়ে ভয়ানক ভয় পাইলাম। +

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৩

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। ভাগ্য ভালো যে অজ্ঞান হন নাই...আমরাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলুম। :D

তা সেই হাতটা কি পুরুষ হাত ছিল নাকি মহিলা.........। ভূতেরা কিন্তু বিপরীত লিঙ্গ... :P

দুলাভাইকে এ বিষয়ে না জানালেই বুঝি ভালো হয়...... B-))

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমিও একটা লিখবো ভূতের গল্প । আমাদের গ্রামের মনিদাদু মরে নাকি ভূত হয়েছে

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা..........।

তা মনিদাদু মরে ভূত হয়ে কি নেওয়াজ আলির রূপ নিয়েছে নাকি........আমার তো সন্দেহ হয়......মাঝে মাঝে ব্লগে নেওয়াজ আলি সাবের ব্লগে যেভাবে কমেন্টোর বন্যা বয়ে যায় সেটা ভূত মনিদাদুর কাজ ছাড়া হতেই পারে না। =p~

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আখেনটান ভাই,বিজ্ঞান উন্নতির চরম শিখরে পৌছলেও আসলে কিছু কিছু ব্যাপারের ব্যাখ্যা আজও বিজ্ঞান বা মানুষের
জ্ঞানের বাইরে।সব কিছুর ব্যাখ্যা কিংবা বিশ্লেষণ হ্য়না।

যেমন-দুই সমুদ্রের পানি কেন এক সাথে মিশেনা,বারমুডা ট্রায়াংগালে কেন প্রায়ই জাহাজ বা বিমান হারিয়ে যায় কোন প্রমান ছাড়াই,ক্যালিফোর্নিয়ার চলমান পাথর রহস্য,এন্টার্কটিকার ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালী ,তুর্কেমেনিস্তানের নরকের দরজা,জাপানের আওকিঘারা রহস্যময় জঙ্গল কিংবা নিউ বার্ণসউইকের মঞ্চটন চুম্বক পাহাড় রহস্য।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: কি জানি ভাই, ছোট মস্তিষ্কে এত কিছু ঢোকে না......তবে এইসব ঘটনার ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারি নাই......তবে বিশ্বাস করি...ব্যাখ্যা তো কিছু একটা রয়েছে...........।

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০০

শায়মা বলেছেন: ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৬০

লেখক বলেছেন: শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ভূতের আসরে ব্লগ এবার স্থবির হলে কি হবে ভাবছি!!!! --- ক্যানে ক্যানে স্থবির হপে ক্যানে...ঝেঁড়ে কাশুন দেহি.......। B-)


আরে আঁমরা বুঁঝি ভূঁত ভুঁই পাঁই নাঁ!!!!!!!!


জুঁন আঁপুর বাঁড়িতেও দেঁখো ভূঁত চঁলে গেঁলো!!!!

লাঁ হাঁওলা কুঁয়াতা..........

ব্লগে ঝাঁড় ফুঁক লাঁগবে!!

আঁমার কিঁ হঁভে!!!!!!!!!!!!!!!

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: আজকে রাতে সাবধানে থাকবেন......ভূত নিয়ে ভূতনামি মানে টিটনামি বা টিটকারী কিন্তু ভূত বাবাজিরা ভালোভাবে নেয় না.....পাশের জনকে জানিয়ে রাখুন ভূতনামির ব্যাপারে...কিছু ঘটলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে......আল্লাহ ভরসা.... :(

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০১

শায়মা বলেছেন: ৬. ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমিও একটা লিখবো ভূতের গল্প । আমাদের গ্রামের মনিদাদু মরে নাকি ভূত হয়েছে
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৫১

লেখক বলেছেন: হা হা..........।

তা মনিদাদু মরে ভূত হয়ে কি নেওয়াজ আলির রূপ নিয়েছে নাকি........আমার তো সন্দেহ হয়......মাঝে মাঝে ব্লগে নেওয়াজ আলি সাবের ব্লগে যেভাবে কমেন্টোর বন্যা বয়ে যায় সেটা ভূত মনিদাদুর কাজ ছাড়া হতেই পারে না। =p~



হা হা হা হা ভূঁতমনি দাঁদুরা!!!!!!!!!!!!!!!

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: এতদিন পর 'মনিদাদু'র খোঁজ পাওয়া গেছে তাহলে............. =p~

১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০১

জুন বলেছেন: আপনে হাইসেন না আখেনাটেন, ঘটনা সত্য, নেটটা একটুও ছিড়ে নাই কিন্তু ;)
আমি ভাবতেছি এর মধ্যে একটু রং টং চড়াইয়া কাভার দরবারে পেশ করবো /:)

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১২

আখেনাটেন বলেছেন: কা_ভা ভাই কিন্তু চালু জিনিস.........রং চড়ালে কট খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা.......সত্যটাই লিখুন.......নিশ্চয় ওটা দুলাভাইয়ের হাত.....ডায়েবেটিসের কারণে ইদানিং মিস্টি-টিস্টি মনে হয় খাওয়া নিষিদ্ধ করেছেন.......তাই ভূত হয়ে গোপনে...... ;)

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

জুন বলেছেন: আপনেও আছেন, মিষ্টি পাইলেন কই :-*
নিলো তো ইলিশ মাছ ভাজা :-/

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: =p~ =p~ :-P

ভাজাই তো নিবে.........ঠিক সে সময়ে যে ভূতের বউ ইলিশ মাছ নিয়া খাড়ায় আছে.....সামনে যা পাইছে..... :P

১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আজকের মতোন লগ আউট কইরা ফালাইছিলাম। আপনের পোষ্ট দেইখা আবার আইলাম। এতোদিন পরে আইছেন, শ্যাষে আবার চেইতা ডুব দিতে পারেন, এই ডরে তাড়াতাড়ি আইলাম। :-B

ঘটনাগুলির কোন ব্যাখ্যা কি আসলেই আছে? এই দুনিয়াতে কতো কান্ডই না ঘটে যার কোন ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারে না। আমাদের ব্লগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা কই? তারা আসে না ক্যান?

এইবার কানে কানে জিগাই, সবই কি আপনের নিজের চোখে দেখা? কোন ফেব্রিকেশান নাই আপনে নিশ্চিত?? :P

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২০

আখেনাটেন বলেছেন: এতোদিন পরে আইছেন, শ্যাষে আবার চেইতা ডুব দিতে পারেন, এই ডরে তাড়াতাড়ি আইলাম। -- হা হা হা।

আমাদের ব্লগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা কই? তারা আসে না ক্যান? ----- আমিও অপেক্ষায় আছি...কেউ এর ব্যাখ্যা দিবে...আমি ম্যালা চেষ্টাইছি মাগার ব্যর্থ.......বিশ্বাস করতে মঞ্চায় না.......আবার.....।

এইবার কানে কানে জিগাই, সবই কি আপনের নিজের চোখে দেখা? কোন ফেব্রিকেশান নাই আপনে নিশ্চিত? ---
তিনটি ঘটনায় নিশ্চয় লক্ষ করেছেন...একের অধিক প্রত্যক্ষদর্শী ছিল এবং তাদের বেশির ভাগই জীবিত। সুতরাং ফেব্রিকেশনের কোনো সম্ভাবনা নেই। আমি ক্রস চেক করেছি। সকলের বক্তব্য একই। :(

১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বুঝছি ব্লগে এখন ভুত প্রেতের বসবাস

বাপরে কী ভয়ংকর কাকতালীয় ব্যাপারগুলো।

ভালো লাগলো

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২২

আখেনাটেন বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বুঝছি ব্লগে এখন ভুত প্রেতের বসবাস --- :D

বাপরে কী ভয়ংকর কাকতালীয় ব্যাপারগুলো। --- কাকতালীয় নাকি ভূততালীয়। :P

১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১২

রাজীব নুর বলেছেন: একের পর এক ভূত নিয়ে পোস্ট আসছে ব্লগে। আমি ভূত ভয় পাই।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: আপনি তো যতটুকু জানি অন্ধকারকেই ভয় পান। লাঠিকে সাপ ভেবে নিশ্চয় দুই চারবার পিটানিও দিয়েছেন মনে কয়। :-P

১৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ঘটনার দিক পিতলের হাড়িতে কি কি রান্না হলো?

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৪

আখেনাটেন বলেছেন: পোলাও.................. :D

১৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বুড়ি হাত দিয়ে চুলার উপরে থাকা পোলাও নেড়ে দিয়েছে, এটা আসলেই ভৌতিক ঘটনা।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৭

আখেনাটেন বলেছেন:


বুড়ি হাত দিয়ে চুলার উপরে থাকা পোলাও নেড়ে দিয়েছে, এটা আসলেই ভৌতিক ঘটনা। --- এটা একটা ঘটনায় বটে। এখনও গ্রামে এ বিষয়ে কথা উঠলে এই ঘটনার কথায় বারংবার উঠে আসে। সেসময় এলাকায় ঘটনাটা হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল। কারণ ঘটনার প্রত্যেক্ষদর্শী অনেক ছিল। যাদের বেশিরভাগই এখনও জীবিত। শুধু মাদারের বুড়ি নেই। ব্যাখ্যাতীত ঘটনা। :)

১৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কিছু রহস্য মনে হয় কখনো কুয়াশা ভেদ করে বের করা যায় না। আবার কিছু রহস্যের মীমাংসা হয়।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কিছু রহস্য মনে হয় কখনো কুয়াশা ভেদ করে বের করা যায় না।
--- :|

১৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: পদ্ম পুকুরর কমেন্টের সাথে একমত। আমি যত ভুতের গল্প শুনেছি সবাই বলেছে যে অমুকের মুখে শোনা। যাক ভুত প্রেতে আমার বিশ্বাষ নাই =p~

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩২

আখেনাটেন বলেছেন: আমি যত ভুতের গল্প শুনেছি সবাই বলেছে যে অমুকের মুখে শোনা। --- কিন্তু এই অস্বাভাবিক ঘটনাগুলোর সাথে আমি প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলাম। আর প্রত্যেকটি ঘটনায় একের অধিক সাক্ষী....

.যাক ভুত প্রেতে আমার বিশ্বাষ নাই ----আমিও কিন্তু--সমস্যাতো এখানেই........বিশ্বাস না থাকার কারণেই তো গিট্টুটা লেগেছে। :D

১৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,




অদ্ভুত তো নয়ই কারন এরকমের ঘটনার কথা গ্রাম বাংলায় অহরহ শোনা যায় । এসব ঘটনার লৌকিক কোনও ব্যাখ্যা তৎক্ষনাত পাওয়া যায়না বলে "অলৌকিক" বলা চলে মাত্র।

তবে আপনার বলা এই সব অলৌকিক ঘটনাগুলো চৌকস হয়েছে।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩২

আখেনাটেন বলেছেন: অদ্ভুত তো নয়ই কারন এরকমের ঘটনার কথা গ্রাম বাংলায় অহরহ শোনা যায় । এসব ঘটনার লৌকিক কোনও ব্যাখ্যা তৎক্ষনাত পাওয়া যায়না বলে "অলৌকিক" বলা চলে মাত্র। ---- সহমত।


তবে আপনার বলা এই সব অলৌকিক ঘটনাগুলো চৌকস হয়েছে। ---- :D

২০| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: চারিদিকে কত ভুত প্রেতের ছড়াছড়ি!!! শুধূ শুনেই গেলাম- দেখলামনা একখানাও

তবে ভায়া আপনার কাহিনি কিংবা গপ্পো কিন্তু চমৎকার হয়েছে! ছোট বেলায় এমন অনেক শুনেছি দেখেছি- কিন্তু বড় বেলায় সব হারিয়ে গেল :(

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০১

আখেনাটেন বলেছেন: শেরজা তপন বলেছেন: চারিদিকে কত ভুত প্রেতের ছড়াছড়ি!!! শুধূ শুনেই গেলাম- দেখলামনা একখানাও --- ভূত দেখতে চাইলে ব্লগার রাজীব নূরের সাথে হাঁটতে হবে। উনি মাঝে মাঝে সুন্দরী ভূতের খপ্পরে পড়ে কিনা। :P


ছোটবেলার কাহিনিগুলো আমাদেরও শুনান দেখি শেরজা ভাই.......। আমরাও ভুই পাই। :D

২১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: সব অলৌকিক কাহিনীরই ব্যাখ্যা আছে, সমস্যা হচ্ছে তা খুঁজে পাওয়া মুশকিল! মাদারের বুড়ির হাত ও গরম পোলাওতে ঢোকাতে পারার কথা না, নাড়া দেয়া দূরের কথা!!

তিব্বতের লামারা নাকি জ্বলন্ত কয়লার উপর দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন, পায়ে ফোস্কা পড়ে না। এর একটা ব্যাখ্যা আছে। বুড়ির ব্যাপারটারও কোন ব্যাখ্যা আছে...

পরের দুই ঘটনা অবশ্যই ভাবনায় ফেলে... কিন্তু আমাদের চারপাশে তেনারা অদৃশ্য হয়ে ঘুরঘুর করছেন- এমনটা ভাবলে অবশ্য এটা স্বাভাবিক বলে মনে হয়।

বর্ণনার ভঙ্গি ভালো, এজন্য পড়তে ভালো লেগেছে।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০২

আখেনাটেন বলেছেন: করুণাধারা বলেছেন: সব অলৌকিক কাহিনীরই ব্যাখ্যা আছে, সমস্যা হচ্ছে তা খুঁজে পাওয়া মুশকিল! --- ঠিক তাই।

মাদারের বুড়ির হাত ও গরম পোলাওতে ঢোকাতে পারার কথা না, নাড়া দেয়া দূরের কথা!! --- সেটাও বিরাট রহস্য।

বর্ণনা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলুম। :D

২২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: পোলাও.

বাহ!!!
আমার নানা নানী পিতলের ব্যবসা করতেন। সমস্ত ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পিতলের কলস, হাড়ি পাতিল গ্লাস সাপ্লাই দিতেন।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: শুনে ভালো লাগল। দেখা গেল আপনার নানার থেকেই সেই ডেকগুলো বা পাতিলগুলো ক্রয় করেছে কারণ আমাদের গ্রামটাও কিন্তু ভারত লাগোয়া। :P


২৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: মাদারের বুড়ির ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং।এরকম পীর ফকিরদের নানা রকম বিচিত্র ঘটনার কথা জানা যায়।ভক্তরা যাকে মিরাকল বলেন।আপনি কি ভারতের সত্য সাই বাবার কথা জানেন? যদি না জানেন তবে এটা দেখতে পারেন। দেড় মিনিটের দিকে দেখলে হবে।

সত্য সাই বাবার মিরাকল

ওনার লাখের উপরে ভক্ত হবে হয়তো।এই ভিডিও ছাড়াও ওনার আর একটি মিরাকল হলো পবিত্র ছাই তৈরি করা।শূন্য পাত্র থেকে বিরামহীনভাবে ছাই পড়তে থাকে।

উনি প্রচুর ভালো কাজ করেছেন।স্কুল,হাসপাতাল করেছেন।তবে পি সি সরকার (জুনিয়র সম্ভবত।সিনিয়র ততদিনে মারা গেছেন) ওনাকে না কি স্ট্রিট ম্যাজিশিয়ান বলেছিলেন।একবার না কি ছদ্মবেশে তাকে এক্সপোজও করেছিলেন।কিন্তু সাই বাবার জনপ্রিয়তায় সেইটা ধোপে টেকে নি।উনি আজীবন ভারতের গডম্যান হিসেবে বেঁচে ছিলেন।বড় বড় রাজনৈতিক নেতারাও তাঁকে সমীহ করতো পড়েছি।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: কল্পদ্রুম বলেছেন: মাদারের বুড়ির ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। --- এ অদ্ভুত ঘটনা এলাকায় কিংবদন্তি।

আর সত্য সাই বাবার কথা শুনেছি অনেক। আমি ভারতে থাকাাকলীন অনেক বন্ধুকেই উনার ব্যাপারে উৎসাহ প্রকাশ করতে দেখেছি। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতীয়রা।

দুনিয়াতে কত আজব কিছুই ঘটে চলেছে........হয়ত সবকিছুর একটা ব্যাখ্যা আছে........

২৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:২৬

ওমেরা বলেছেন: এরকম কাহিনীর গল্প অনেক শুনেছি ছোট বেলায় আম্মুর মুখে সত্য মিথ্যা জানি না ।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: ওমেরা বলেছেন: এরকম কাহিনীর গল্প অনেক শুনেছি ছোট বেলায় আম্মুর মুখে সত্য মিথ্যা জানি না --- হুম; এগুলো কমন কাহিনি। মানুষ শুনতে ও বলতে ভালোবাসে। :D

২৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: :) অনেক কষ্টে একখানা মনে পড়ল- কিন্তু লেখার কথা চিন্তা করে ভয়ে আমার রাতে ঘুম হয় নাই :(

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।


দিনের বেলা চেষ্টা করেন। :)

২৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: ৩টা কাহিনীই পড়লাম। ২টা নাম্বারটার মতো আরো কিছু কাহিনী শুনেছি।
শোনা যায় বেশ কিছুদিনের ফাকা জায়গা গুলিতে জিনরা আস্তানা গেড়ে থাকে। ভুত প্রেত্মাতা বলে কিছু নেই তবে কুরআন শরীফে জিনের কথা বলা আছে।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: অদ্ভুত সব ঘটনাবলী................ :|

২৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

নতুন বলেছেন: এমন কাহিনি অনেক প্রচলিত আছে গ্রামে। শহুরে আলোতে তেনারা কম চলাফেরা করেন তাই শহরে এমন কাহিনি কম।

সবই লৌকিক আমাদের সামনে ব্যাক্ষাটানেই তাই আজব মনে হচ্চে।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: শহুরে আলোতে তেনারা কম চলাফেরা করেন তাই শহরে এমন কাহিনি কম। -- ;)


সবই লৌকিক আমাদের সামনে ব্যাক্ষাটানেই তাই আজব মনে হচ্চে। -- কিছু একটা ব্যাখ্যা তো রয়েছে নিশ্চয়....।

২৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখার সাথে যে ছবিটা দিয়েছেন সেটা একটূ বুঝিয়ে দিন না।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।

ওটা রমনার বেঞ্চিতে ঠাঁই বসে থাকা বিষন্নতায় ভোগা একজন যুবকের জন্য কোহেকাফ থেকে উড়ে আসা নীলপরীর বিমূর্ত চিত্র। যে নীলপরী জাদুর কাঠিতে সেই যুবকের হতাশাকে আশায় রূপান্তর ঘটাবে। :P

২৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০১

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক আছে লিখে ফেললাম দিনের বেলাতেই। ১ লা সেপ্টেম্বরে দিব। চাপাবাজ বললে কিন্তু খবর আছে

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১২

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।

আপনারা হচ্ছেন গিয়ে গুণী ব্লগার। আমরা নাদানদের কি চাপাবাজ বলার সে চান্স আছে.......... :D


তাড়াতাড়ি দিন........। B-)

৩০| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মানুষের কাল্পনিক ভয়, অজ্ঞতার কারণে ভূতগুলো সত্যি হয়ে ওঠে।

চুলার গরম খাবার হাতের খাবলা দিয়ে উঠিয়ে গপাগপ খাওয়ার অনেক গল্প শুনেছি, আমি নিজ চোখে দেখি নি। এটা শুধুমাত্র একটা প্র্যাক্টিসের ব্যাপার। জাদুকরগণ মুখের ভেতর থেকে আগুন বের করেন, খুব কমন জাদু এটা। কুপি বাতির শিখায় আঙুল দিয়ে দুদিকে নাড়াচাড়া করা আমাদের ছোটোবেলার মজার খেলা ছিল, কুপিবাতির সাথে পরিচয় থেকে থাকলে হয়ত আপনারাও তা করেছেন। তবে, ফুটন্ত হাঁড়িতে বুড়ির হাত ঢুকিয়ে নাড়াচাড়া করাটা একটু বেশিই মনে হয়েছে।

আমেরিকার এক ছেলে যদি ভূত দেখে, সেই ভূত হবে প্যান্টশার্ট পরা, মাথায় হ্যাট পরা। সেই ভূত ইংলিশে কথা বলবে। বাঙালিরা ভূত দেখলে সেই ভূত হবে লম্বা, সম্ভবত মুণ্ডু কাটা, বুকের মধ্যে মাত্র একটা চোখ, শরীরে পিচ্ছল পদার্থ মাখানো, সে নাকি সুরে বাংলায় কথা বলবে। দুটি উদাহরণ দিলাম এ কারণে, ভূতগুলো আমাদের কল্পনায় বানানো। আমরা যে সংস্কৃতির মানুষ, আমরা কল্পনাও করি সেরকম। ভূতও সেভাবেই বানাই। আর ভূতগুলো মানুষ ভূত হয়ে থাকলে ওরা পোশাক পরবে ওদের রীতি অনুযায়ী, কথাও বলবে ওদের ভাষায়ই। আমরা ভূতের গল্প বলার সময় নিজ নিজ ভাষা ও সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে গল্প বলি, যারা ভূত কখনো দেখে নাই, তারাও ভূতগুলো ওভাবেই কল্পনা করে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুটি ঘটনা একসাথে মিলে যায়, বা কখনো কখনো চাতুর্য ঢুকে পড়ে।

পৃথিবীতে ভূত বলে কিছু নাই। থাকলে আমি গোটা দশেক ভূত অবশ্যই দেখতে পেতাম। সব ভূতেরই ব্যাখ্যা আছে, আমরা ব্যাখ্যা বের করতে পারি না বলে ওটা রহস্যই থেকে যায়।

এ পর্যন্ত যে-কটা ভূতের কাহিনি পড়েছি, সবগুলোই খুব সরল মনে হয়েছে, তবে, আপনার গুলো যথার্থই অলৌকিকাময় হয়ে উঠেছে। কিন্তু, তারপরও আমি জানি, ঐ অকুস্থলে আমি থাকলে থাপ্পড়ের শব্দ হোক, আর ঘোড়াওয়ালা ভূতই হোক, ওগুলো আমার সামনে বেরিয়ে আসতো :) ভূত ধরার জন্য জীবনে কম দৌড়াই নাই

শেষ করি আমার একটা কাহিনি দিয়ে। ২০০৭ সালের ঘটনা। বেডরুমে বসে সবাই একসাথে টিভি দেখছি। হঠাৎ রান্নাঘর থেকে একটা দুম আওয়াজ এলো, মনে হলো দেয়ালে দাঁড় করিয়ে রাখা পাটা-টা ফ্লোরে পড়ে দুম করে গম্ভীর একটা শব্দ করেছে। ছোটো ছেলে ঘরময় ঘোরাঘুরি করে এটাসেটা ফেলে দেয়, ব্যথা পায় হরহামেশা। শব্দ পাওয়া মাত্রই ছোটো ছেলে রান্নাঘরে গিয়ে পাটা নাড়াচাড়া করে ওটা ফেলে দিয়ে পাটার নীচে পড়ে গেল কিনা তা দেখতে দৌড়ে রান্নাঘরে যাই। গিয়ে দেখি পাটা পাটার জায়গায়ই আছে। আর আমি বেখেয়ালে ভুলে গিয়েছিলাম যে, ছোটোছেলে আমাদের সাথে বেডরুমেই ছিল। তাহলে পাটা পড়ার এই আওয়াজ কোথা থেকে এলো? আমরা সবাই অবাক! শঙ্কিত। অন্যকিছু পড়ে শব্দ করে নাই তো? আমরা সারা ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম। কিন্তু এরকম রহস্যময় শব্দ কীভাবে হলো সেই রহস্য উদ্ধার করতে পারলাম না। এই যে ঘটনাটা বললাম, এর কোনো সমাধান আপনার জানা থাকলে বলুন। আমি আবার আসবো আমার ব্যাখ্যা নিয়ে।


২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৯

আখেনাটেন বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মানুষের কাল্পনিক ভয়, অজ্ঞতার কারণে ভূতগুলো সত্যি হয়ে ওঠে। ---- ঠিক তাই।

ঐ অকুস্থলে আমি থাকলে থাপ্পড়ের শব্দ হোক, আর ঘোড়াওয়ালা ভূতই হোক, ওগুলো আমার সামনে বেরিয়ে আসতো :) ভূত ধরার জন্য জীবনে কম দৌড়াই নাই ----- হা হা হা। কিন্তু আমার তো মনে হচ্ছে মাদারের বুড়ির ঐ হাত দিয়ে পোলাও নাড়া দেওয়া দেখে ধুলো ভাইও ধুলো উড়িয়ে খিঁচে দৌড় দেওয়ার দৃশ্য আমি কল্পনায় দেখতে পারছি। :P =p~

নিচের মিরোরডলের সাথে আমিও একমত। :D

৩১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন:



আনা, গল্পগুলো ভালোই লেগেছে পড়তে, উপস্থাপনা মজার ছিলো :)
কাছাকাছি সিমিলার অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছিলো যেটার ব্যাখ্যা জানা নেই ।
সেসময় ভয় পেলেও এখন ভাবলে হাসি আসে :)


২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০০

আখেনাটেন বলেছেন: কাছাকাছি সিমিলার অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছিলো যেটার ব্যাখ্যা জানা নেই । --- হুম; ব্যাখ্যাহীন ঘটনা মনে হয় সকলের জীবনেই রয়েছে। :D

৩২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

মিরোরডডল বলেছেন:



@সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

ধুলো, আমার ধারনা এই শব্দটা কিচেনে মনে হলেও আসলে এটা অন্য ফ্লোরে ওপরে বা নীচে বা পাশের ফ্ল্যাটে হয়েছিলো, কিন্তু মনে হয়েছে কিচেন থেকে । কেনো বললাম আমার এরকম করেকবার হয়েছে, আমার বাসা মনে হলেও নীচের ফ্ল্যাট থেকে আসছে । যেমন আজও একবার হয়েছে । সকালে লাউঞ্জে বসে অফিসের কাজ করছিলাম, ভেরি ক্লিয়ারলি শুনলাম বাসার দরজা আনলক করে খোলা হচ্ছে , আমি তাড়াতাড়ি তাকিয়ে দেখলাম কি হচ্ছে এটা, কিছুক্ষনেই বুঝলাম পাশের ফ্ল্যাটে চলে গেলো । তারমানে ওটা আমার বোঝার ভুল ছিল , মনে হচ্ছিলো আমার দরজায় । সবসময় অফকোর্স হয়না কিন্তু অনেক সময় খুব কোয়ায়েট থাকলে এমন হতে পারে ।



৩৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৫

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ঘটনাগুলো ভালো লেগেছে। কিছু ঘটনা আসলেই ব্যাখ্যাতীত। আমার সাথেও ঘটেছে এমন কিছু ঘটনা। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল। :D

৩৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

ঢুকিচেপা বলেছেন: ২ এবং ৩ পড়ে দারুণ লাগলো, জম্পেস।

আমার মনে হচ্ছে আপনার কালেকশনে আরো আছে, মাথায় একটু ঝাঁকি দিয়ে দেখবেন নাকি, বের হয় কিনা

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে আপনার কালেকশনে আরো আছে, মাথায় একটু ঝাঁকি দিয়ে দেখবেন নাকি, বের হয় কিনা -- হা হা হা। মন্দ বলেন নাই। :D

৩৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:৪৫

সোহানী বলেছেন: ব্লগের জাফরুল মবীন ভাই কই??? উনি আপনার সব গল্পের ব্যাখ্যা দিবেন এক নিমিষেই। আপাতত বিজি আছি তাই চুলচ্যারা ব্যাখাতে গেলাম না, তবে আবার আসিব এই নিয়া............

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১১

আখেনাটেন বলেছেন: সোহানী বলেছেন: ব্লগের জাফরুল মবীন ভাই কই??? উনি আপনার সব গল্পের ব্যাখ্যা দিবেন এক নিমিষেই। --- তাহলে তো ভাইজানকেই খুঁজছে এই পোস্ট সোহানী'পা। :D

আপনার ব্যাখ্যা কিন্তু শুনতে চায় ব্লগবাসী। :)

৩৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অদ্ভুত এই দুনিয়া, অনেক ঘটনাই ব্যাখ্যাহীন থেকে যায়...........

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১২

আখেনাটেন বলেছেন: মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অদ্ভুত এই দুনিয়া, অনেক ঘটনাই ব্যাখ্যাহীন থেকে যায়..... --- ঠিক তাই। তবে ব্যাখ্যা মনে হয় কিছু একটা রয়েছে..............যদিও এখনও কেউ ওপথে পা বাড়ায় নি। :D

৩৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোষ্টটিতে চিন্তার অনেক বিষয় আছে ।
অদ্ভুত বা অলৌকিক কাহিনী নিয়ে কিছু বলা বেশ কঠিনই বটে।
বিষয়গুলিকে অনেকেই অনেকভাবে দেখে কিংবা ভাবে ।
ভৌতিক অভিজ্ঞতার গল্প এখন ব্লগে বেশ দেখা যাচ্ছে।
অনেক বিবরণীতে ভূতকে নানাভাবে বর্ণনাও করা হচ্ছে,
কখনো অদৃশ্য বা অস্বচ্ছ বায়বীয় সত্ত্বায়, কখনও বা
বাস্তবসম্মত সপ্রাণ মানুষ বা জীবের আকারে।
শুনেছি প্রাক-শিক্ষিত সংস্কৃতিগুলোর সর্বপ্রাণবাদ
যুগেও কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় প্রথা বা ভূত-তাড়ানো
অনুষ্ঠানও হত মৃতের আত্মাকে তুষ্ট করার জন্য।
অনেক বর্ণনায় দেখেছি ভূতেরা একা থাকে,
তারা নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ঘুরে বেড়ায়, জীবদ্দশায়
যে সকল বস্তু বা ব্যক্তির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক
ছিল সেগুলিকে বা তাদেরকে তাড়া করে ফেরে।
জানিনা কখন যে কোন ভুতে তাড়া করবে
যাকে তাকে কিংবা আমাকেও !!
ভাল লাগল লেখাটি পাঠে ।

শুভেচ্ছা রইল

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪২

আখেনাটেন বলেছেন: শুনেছি প্রাক-শিক্ষিত সংস্কৃতিগুলোর সর্বপ্রাণবাদ
যুগেও কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় প্রথা বা ভূত-তাড়ানো
অনুষ্ঠানও হত মৃতের আত্মাকে তুষ্ট করার জন্য।
অনেক বর্ণনায় দেখেছি ভূতেরা একা থাকে,
তারা নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ঘুরে বেড়ায়, জীবদ্দশায়
যে সকল বস্তু বা ব্যক্তির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক
ছিল সেগুলিকে বা তাদেরকে তাড়া করে ফেরে।
জানিনা কখন যে কোন ভুতে তাড়া করবে
যাকে তাকে কিংবা আমাকেও !!
---- হা হা হা। আপনার রস আছে বেশ। :D

আপনার চমৎকার মন্তব্য পেয়ে ভীষণ খুশি হলাম। আপনার কয়েকটা লেখা এখনও পড়া হয়ে উঠে নি। বড় লেখা একটু সময় নিয়ে পড়তে হবে। ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।

৩৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: পোস্টে প্রিয়তে দিলাম। প্রথম ঘটনার ব্যাখ্যায় আসি , যে রাতে এই ঘটনা ঘটেছে সেদিন রাতে আপনার বাসায় সেই মুরুব্বি চাচা অবস্থান করছিলেন। তিনি জীন ভুত এসবে বিশেষ করেন এবং আপনাকে বলেছেন। আপনি জীন কিংবা ভুত বিশ্বাস না করলেও এই শব্দ গুলো আপনার অবচেতনেই আপনার মনের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলো। আপনি দরজায় যেই শব্দ পেয়েছেন সেটা বাতাসের ছিল , কিন্তু ঐযে আপনার সেই রিলেটিভের উপস্থিতি এবং তার ভুত নিয়ে আলোচনা ওই মুহূর্তেই কোনো ব্যাখ্যা না পেয়েই আপনার মধ্যে ভুতের ধারণা এনে দিয়েছিলো। এবং পর মুহূর্তেই দেখা যায় আপনি ভয় পেয়ে যান এবং এই ভয়টা আসে পাশের কিছু ব্যাক্তির মধ্যেও সংক্রমিত হয়। কগনিটিভ সাইকোলজি অনুসারে এটি স্থানান্তর গত ভীতি কিংবা ট্রমা। আপনি নিশ্চই মাস হিস্টিরিয়ার কথা শুনেছে যেখানে একসাথে অনেক ব্যাক্তি আক্রান্ত হয়। এটা গেলো সাইকোলজিকাল আলোচনা। আরেক ভাবে ব্যাখ্যা করলে বলা যায় যে , আমাদের চারপাশের প্রকৃতি এমনকি আমাদের বিল্ডিং যেসব মেটেরিয়াল দিয়ে বানানো হয় তার সবকিছু থেকেই কিন্তু ইলেক্ট্রোমেগনেটিভ রেডিয়েশন নির্গত হয় , যেমন কংক্রিট থেকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হবার কথা আমরা অনেকেই জানি , এসব ইলেক্ট্রোমেগনেটিভে রেডিয়েশন নির্গত হবার মাত্রায় কিন্তু তারতম্য দেখা যায়। যেমন দিন কিংবা রাত অনুসারে এসব রেডিয়েশন নির্গত হবার পরিমান কমবেশি হয়। সাধারণত রাতের বেলায় ইলেক্ট্রোমেগনেটিভ রেডিয়েশন নির্গত হবার পরিমান বাড়ে সূর্যালোকের অনুপস্থিতিতে। এজন্য রাতের ভাগে কিন্তু আমাদের ক্লান্তি কিংবা স্ট্রেস ও বড় করে বেশি। কারণ আমাদের চারপাশ থেকেই এমনকি বাড়ির দেয়াল থেকেও কিন্তু এই রেডিয়েশন নির্গত হচ্ছে। ইলেক্ট্রোমেগনেটিভ রেডিয়েশন আমাদের মস্তিষ্কের টেম্পোরাল লোব এর উপর ক্রিয়া করে হ্যালুসিনেশন ঘটাতে পারে। এজন্য সেরকম পরিবেশ পেলে আমরা অনেকেই রাতের বেলায় ভৌতিক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়ে থাকি। একই ঘটনা ঘটে কিন্তু বজ্রপাত সোহো ঝড়ের রাতে , কারণ বজ্রপাত প্রাচীর পরিমানে ইলেক্ট্রোমেগনেটিভ রেডিয়েশন ছেড়ে দেয় মাটিতে। কিন্তু অবস্যই এর সাথে যদি অন্যান্য ফ্যাক্টর কাজ করে তবে একজন ব্যাক্তি এরকম হ্যালুসিনেশনের মুখোমুখি হতে পারে। আপনার ক্ষেত্রে সেইরকম কিছুই হয়েছিল। আপনার ভুতে বিশ্বাসী সেই আত্ত্বীয় ঘটনাটির মানসিক প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।

দ্বিতীয় ঘটনার ব্যাখ্যা খুবই সাধারণ , ঘটনায় বর্ণিত মহিলার হাত যদি ভেজা থেকে থাকে তাহলে সহজে পোড়ার কথা নয়।
পানির তাপগ্রহন (Heat absorption) ক্ষমতাঅত্যধিক। এজন্য গরম কিছুতে যদি ঠান্ডা পানি ঢালা হয় তাহলে তা ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে আসে। তবে কখনোই তা পানির চেয়ে ঠান্ডা হয় না। আমাদের শরীরের মাংসপেশির তাপ গ্রহণ(Heat absorption) ক্ষমতা কিন্তু পানির মতোই কিংবা পানির কাছাকাছি। সাথে সাথে পোলাও যেই পাতিলে রান্না হচ্ছিলো সম্ভবত সেই পাতিল মেটালিক ছিল। মেটালের তাপগ্রহন (Heat absorption) ক্ষমতাও কিন্তু প্রচুর। সেই মহিলা যখন গরম পোলাও এর পাতিলে হাত ঢুকালো তখন ভেজা হাত , মাংসপেশির তাপ গ্রহণ ক্ষমতা পুড়ে যাওয়াকে ভালোভাবেই প্রতিহত করেছে , অন্যদিকে পোলাও এর পাতিল মেটালিক সেটা তো তাপ গ্রহণ করছেই। এই সবগুলোর কম্বিনেশনেই তার হাত পুড়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তাই বলে আমাদের এটি করে দেখা উচিত নয়। ওই মহিলা হয়তো অনেকবার এটি প্রাকটিস করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল , যা হয়তো আপনারা জানতেন না।

ভালো থাকবেন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য ব্লগার সোনালী ঈগল। :D

তিনি জীন ভুত এসবে বিশেষ করেন এবং আপনাকে বলেছেন। আপনি জীন কিংবা ভুত বিশ্বাস না করলেও এই শব্দ গুলো আপনার অবচেতনেই আপনার মনের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলো।আপনি দরজায় যেই শব্দ পেয়েছেন সেটা বাতাসের ছিল , কিন্তু ঐযে আপনার সেই রিলেটিভের উপস্থিতি এবং তার ভুত নিয়ে আলোচনা ওই মুহূর্তেই কোনো ব্যাখ্যা না পেয়েই আপনার মধ্যে ভুতের ধারণা এনে দিয়েছিলো। ------- আপনি মনে হয় প্রথম ঘটনা পড়ায় বেশ মনোযোগী ছিলেন না। আমি কিন্তু সেই ঘটনার সরাসরি ইনভলভ ছিলাম না। আর আমি কোথাও বলে নি, যে ভূতে বিশ্বাস করি। শুধুমাত্র ঘটে যাওয়া এসব ঘটনায় প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ সংযোগ ছিল, এখানে আমি বর্ণনাকারী...। কিন্তু অনেকেই জড়িত ছিল, তাদের সকলের ভাষ্য একই...। আচ্ছা... সেই রেডিয়েশন কি বুড়োর আসার দিনই নির্গত হতে হবে? ;) আপনার ব্যাখ্যাও চমকপ্রদ। ভালো লাগল। :)

আর হাত পুড়ে যাওয়া নিয়ে ব্যাখ্যাতেও যুক্তি আছে....কিন্তু ১০০ ডিগ্রির উপরে (সলিডিটি ও ভ্যাপারের কারণে টেম্প... আরো বেশি হওয়ার কথা) হাত ঘুরিয়েও ভেজা হাতের কারণে পুড়ে না যাওয়ার ব্যাখ্যাটা কেমন যেন বিশ্বাস করা মুশকিল.....সাথে বুড়ির একই সাথে টের পাওয়ার ঘটনাটা...?..। :(

আপনিও ভালো থাকবেন।

৩৯| ২০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভয় পাইয়ে দেয়ার মতই ভৌতিক তিনটে ঘটনা! বিশেষ করে জ্বলন্ত চুলোয় বসানো পোলাও এর পাতিলের ভেতরে বুড়ির হাত ঢুকিয়ে নাড়াচাড়া করার দৃশ্যটি।

লেখালেখির কাজটা আমি সাধারণতঃ ডাইনিং টেবিলের একটি কোণায় বসে এখন করে থাকি। রাতে খাওয়া দাওয়ার পর সবাই যার যার কক্ষে চলে যায়, আমি রাত বারটা পর্যন্ত ল্যাপটপে কাজ করি। একটু রাত হলে প্রায়ই রান্নাঘর থেকে টুংটাং শব্দের মত শুনতে পাই, মনে হয় কেউ বোধহয় রান্নাঘরে কাজ করছে। মাঝে মাঝে মনে মনে হয় সিঙ্ক এ কেউ বোধহয় প্লেট ধুচ্ছে। উঠে গিয়ে লাইট জ্বালিয়ে দেখি, কিচ্ছু না, কেউ নেই। মিরোরডডল এর মত নিজেকে বুঝ দিয়ে ফিরে আসি, যে "এই শব্দটা কিচেনে মনে হলেও আসলে এটা অন্য ফ্লোরে ওপরে বা নীচে বা পাশের ফ্ল্যাটে হয়েছিলো, কিন্তু মনে হয়েছে কিচেন থেকে"

০৯ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: খায়রুল আহসান বলেছেন: ভয় পাইয়ে দেয়ার মতই ভৌতিক তিনটে ঘটনা! বিশেষ করে জ্বলন্ত চুলোয় বসানো পোলাও এর পাতিলের ভেতরে বুড়ির হাত ঢুকিয়ে নাড়াচাড়া করার দৃশ্যটি। ---- ভীতিকর অভিজ্ঞতায় বটে! B:-)


একাকী নির্জনে কোনো কাজ করলে আমাদের অবচেতন মন হয়ত অনেক কিছুই ভাবতে থাকে।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.