নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?
তিন পুরুষের গরুর দালালী। ছাতন ব্যাপারী নিজেও পাঁচ দশক ধরে এই ব্যবসার সাথে জড়িত। এখন বহু সম্পদের মালিক। দিনাজপুরের প্রত্যন্ত সীমান্তবর্তী গ্রামে বাস। একমাত্র ছেলে মকবুল ওরফে কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারীর সাথে বাবা ছায়েতুন পাটোয়ারীর ওরফে ছাতন ব্যাপারীর বিরাট গণ্ডগোল চলছে। গরুর দালালী বাদ দিয়ে ছেলের মহাকবি হওয়ার লালিত স্বপ্নে ছাতন ঠান্ডা বরফ কুচি ঢেলে দিয়েছেন। সাথে ১৪৪ ধারা জারি বাড়ির আশেপাশে। শোনা কথা, এখন নাকি কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারী আত্রাই নদীর পাড়ে টং ঘর করে এলাকার উঠতি পোলাপানদের কবি হওয়ার তালিম দিচ্ছেন। এদিকে ভাতিজা বাতাসু কাকা ছাতনের মহা ভক্ত। ব্যবসাটা ভাল বুঝে নিয়েছে সে কাকার থেকে।
সেই ভাতিজা বাতাসু বেশ কিছু দিন থেকে ছাতনকে বুঝানোর চেষ্টা করছে ঢাকা শহরটা দেখার। ছাতন ব্যাপারীর নিজেরও বহুদিনের খায়েস রূপের নগরী ঢাকা দেখার। কিন্তু খরচের কথা উঠলেই ছাতন চুপ।
তবে বাতাসু ছাতনকে বশ করেছে অবশেষে। স্থানীয় ময়ূরপক্ষী পরিবহনে করে গাবতলীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় তারা। এত বড় বাসে ছাতন এই প্রথম উঠেছে। বড় বড় সোজা ছিটগুলো দেখে ছাতনের মন ভালো হয়ে যায়। ভাবে, ঢাকাতে সব বড় বড় লোকেদের কাজ কাজবার, বাসের সিট তো বড় হবেই।
এরপরে বাসে একে একে লোক উঠতে শুরু করে। সব সিটে বসা হলে সুপারভাইজার কয়েকটা টুলও যোগাড় করে এনে মাঝের আইলে দিয়ে দেয়। ছাতন ব্যাপারী দেখে আর অবাক হয়। কী চমৎকার! কী চমৎকার! কত আয়োজন ঢাকা যাওয়ার!। বাসের ছাদে মাছের ঝুড়ি তোলা হচ্ছে। তারই কিছু আইসটা পানি জানালা গলে ব্যাপারীর কাপড়ে লেগে যায়। কী খাইস্টা গন্ধ! ছাতন নাকে রুমাল চাপা দেয়। এরপর এক লোক ভিতরে দুটো রাজহাঁস নিয়ে উঠে পেছনের দিকের টুলে বসে পড়ে। ছাতন বিস্ময়ে এসব অবলোকন করছে।
একটু পরেই আরেক লোক দুটো বৃহদাকার পাঁঠা নিয়ে বাসের পেছন দিকে চলে যায়। লোকজন হৈ হৈ করে উঠে। ছাতনের অবশ্য ভালই লাগে, পশু পাখিরাও এভাবে তাদের সাথেই ঢাকা যাচ্ছে দেখে। কারণ তার নিজের এই ব্যবসা থাকায় পশুদের প্রতি আলাদা একটি দরদ রয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু মানুষ সুপার ভাইজারকে বকাবকি শুরু করেছে, বাসের ভিতরে পাঁঠা কেন? জবাব চাই? জবাব দিতে হবে?
সুপারভাইজার গব্বর সিং স্টাইলে অট্টহেসে, ‘৪০০ কিলোমিটার রাস্তা দুইশ টাকায় যাবেন। সাথে প্রাকৃতিক আতরের ব্যবস্থা তো থাকবেই। প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকা শিখুন মশাই। আপনারা সোনার বাংলাদেশে আছেন ভুলে যাবেন না’। সুপারভাইজারের কথাটা ছাতনের বেশ পছন্দ হয়, ‘সোনার বাংলাদেশ’। বাস ছেড়ে দিয়েছে।
এদিকে পাঁঠার বেসম্ভব গন্ধ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তেই আছে। ছাতন ভাবে, হা***দা পাঁঠা মিনিমাম ছয় মাস গোসল করে নি। তার নিজেরও অনেক পাঁঠা আছে। কিন্তু এরকম খাইস্টা গন্ধ নয়।
একলোক চিৎকার করে বলছে, পাঁঠার মা*রে বাপ। গন্ধে নেশা ধরে গেল যে বড়! গাঁজা খেলেও এত নেশা হত না। দেখা যাচ্ছে, তীব্র সুবাসে(?) কিছু লোক রানীক্ষেতে আক্রান্ত মুরগীর মতো ঝিমাচ্ছে।
এভাবেই পান্তা বেলা পার হয়ে ছাতনেরা গাবতলী পৌঁছে যায়।
২
গাবতলী বাস থেকে নেমে প্রথমে মিরপুরে চিড়িয়াখানা দেখতে যাবে তারা। ছাতন গবাদিপশুর দালালী করলেও কখনও সরাসরি বাঘ দেখে নি। ছাতনের একসময় সখ ছিল একটি বাঘ পোষার। অবশ্য এখন আর সে হাউশ নেই। তার কারণও আছে। একবার এলাকায় ধরা পড়া একটি বনগাবড়া(মেছোবাঘ) কিছুদিনের জন্য লালন-পালন করেছিল। কিন্তু একদিন, ছাতনের ভাষ্যমতে, হালার পো টসটসা দুটা বুড়ানি মুরগী সাবাড় করে পালিয়ে যায়। এরপর অবশ্য বাঘ পোষার চিন্তা মাথায় আসে নি। তবে দেখার খিদেটা আছে।
দ্বিপ্রহরের কিছু আগে দুজনে চিড়িয়াখানার গেটের সামনে হাজির হয়। সেখানে হাজির হওয়া মাত্র রকেট গতিতে কমপক্ষে বিশজন লোক তাদের টানাটানি শুরু করে। কেউ লুঙ্গি ধরে টানে, কেউবা পাঞ্জাবী। লুঙ্গি টেনে খোলার উপক্রম। ছাতন খালি বলে, কী তাজ্জব! কী তাজ্জব! তাদের উদ্দেশ্য সস্তায়(!) কিছু খেয়ে দেয়ে যেন চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করে। রীতিমতো প্রায় কোলে করে হোটেলে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। ছাতনের ব্যাপারটা মনে ধরে। বাড়ি থেকে বুড়ির কিছু বেঁধে দেওয়া শুকনো খাবার বাসের মধ্যে খেয়েছে। ক্ষুধাও বেশ লেগেছে। ওয়েটাররা তাদের বেশ আদর যত্ন করে খাওয়ায়। ছাতন ভাবে, ঢাকার মানুষগুলো কত্ত আন্তরিক ও ভালো। আর এলাকার হোটেলের বয়-বেয়ারাগুলো তো এক একটা হাড়ে হা**জাদা। শনিবারে খাবার অর্ডার দিলে রবিবারে টেবিলে দিয়ে যায়। আর এখানে কত তড়িৎগতি।
খাওয়া-দাওয়া শেষে বিলের কাগজ দিয়ে যায় বেয়ারা। একটু পরে দেখা যায় দুজন বেয়ারা ও ভাতিজা বাতাসু ছাতনকে আবার প্রায় কোলে করে হোটেলের বাইরে নিয়ে আসছে। আর ছাতন তড়পা-তড়পি করছে আর চিৎকার করে বলছে, ‘ওরে বাতাসু, এত যত্ন-আদর মুই ক্যান আগে বুজা পানু না। বান্দির পুতরা তো মোক শ্যাষ করে দিলো। চলেক, গাওত চলে যাই, বাতাসু’।
যাহোক, খাওয়ার শোক সামলে তারা চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করে। বাঘ-টাঘ দেখে সেখান থেকে বের হয়ে মিরপুর-১০ আসে।
মিরপুর দশে ডাবল ডেকার বাসে বসে আছে। গন্তব্য মহাখালী। একসাথে চার-পাঁচজন ইষ্টিকুটুম সাইয়া সাইয়া হাত তালি দিতে দিতে কোমর দুলায়ে বাসে উঠে।
ছাতন ব্যাপারী ভাবে, কী সুন্দর! কী সুন্দর! মেয়েগুলো সেজেগুঁজে নাচতে নাচতে বাসে উঠছে। ব্যাপারী মুগ্ধ হয়। মুগ্ধ হয় আর ভাবে ঢাকা শহরে বুঝি সব সুন্দরীরাই এভাবে নাচতে নাচতে বাসে উঠে। কী ভালো! কী ভালো!
একটু পরে ছাতনের কাছে এসে একজন তার গাল টিপে দিতে দিতে বলে, বুড়ো সোনাজাদুর গালটা কী নরম! কী নরম!। একজন ফিসফিস করে বলে, তা জাদু সোনার ‘ও’টাও কি নরম নাকি শক্ত? ছাতন ভাবে, কী লজ্জা! কী লজ্জা! শরমে কিছু বলতে পারে না। ভাবে, ঢাকা শহরের মেয়েগুলো একটু বেশিই দুষ্টু। কী দুষ্টু! কী দুষ্টু! একজন ছাতনের কাছে টাকা চেয়ে বসে। ছাতন সানন্দে টাকা দিতে চাইলে দুষ্টুটি ওয়ালেটটি নিয়ে নেয়। সেখান থেকে বড়সড় দুটো নোট নিয়ে নিলে ছাতনের মনটা খারাপ হয়ে যায়। ভাবে, মেয়েগুলো কী খারাপ! কী খারাপ!
ছাতনরা মহাখালী নেমে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ দড়াম শব্দে ভীষণ আওয়াজ। ছাতন ও ভাতিজা বাতাসু ফুটপাত থেকে ঝাঁপ দিয়ে রাস্তায় নেমে খিঁচে দৌড় লাগায়। সাথে চিল্লাচিল্লি। কেউ বলছে বোমা মারছে।
আসলে ঐ নির্মাণ চলাকালীন ভবনের উপর থেকে একটি ইট ভবনের চারপাশে দেওয়া টিনের ছাউনির উপর পড়েছে। নিচেই ছিল ছাতনরা। মাথার উপরে টিনে ইট পড়ায় বোমার মতো আওয়াজ হতেই ছাতনদের জান-প্রাণ যায় যায়। ছাতন ভাতিজাকে বলে, ‘এ কুন শহরত আসনু, বাতাসু’।
৩
ছাতনের মহাখালী হয়ে বনানীতে যাওয়ার কথা। সেখানে সে এরশাদ কাকার বাড়িটা দেখতে চায়। বলে রাখা ভালো, ছাতন হুমু এরশাদের একনিষ্ঠ ভক্ত। কারণ হিসেবে গোপন সূত্রে জানা যায়, ঐ বয়সেও ‘চাচা’ কীভাবে ভ্রমর হয়ে টপাক করে মধুর বোতল হাতড়া হাতড়ি করত সেটা ছাতনকে আকৃষ্ট করে। ছাতন ভাবে, ভাইজান একজন কামেল আদমী মাইরি? ছাতন এমন বীর্যবান পুরুষের ভক্ত হবে নাতো…? কিন্তু মহাখালীর এই ঝামেলা সাথে সময়ের অভাবে তারা বাস ধরে পুরান ঢাকার দিকে রওয়ানা হয়।
চাচা-ভাতিজা লালবাগ কেল্লা দেখে সদরঘাটের দিকে যায়। ইতোমধ্যে ছাতনের ঢাকার প্রতি কিছুটা ক্ষোভ জন্মে গেছে। বুড়িগঙ্গা নদীর কুচকুচে কালো পানির দিকে তাকিয়ে ছাতন চিৎকার করে বলে, বাতাসু, এই শহরত কী মানুষ বাস করে, নাকি ঘুন্দড়েরা থাকে? পাশের এক লোক ঘোঁত করে জানতে চায়, হুজুরে আলা, ঘুন্দড়ের অর্থ...? ছাতন আরো উচ্চৈঃস্বরে বলে, যে প্রাণী ঘোঁত ঘোঁত করে, তার নামই ঘুন্দড়। বাতাসু পরিবেশের গরম হওয়া দেখে, ছাতনকে টানতে টানতে বলে, ঢাকা শহরের সবাই ঘোঁত ঘোঁত করে না কাকা। যদিও এই ‘ঘোঁত’ শ্রেণির সংখ্যা নগণ্য, কিন্তু সত্যটা হলো এরাই ঢাকা চালায়। ছাতন গরুর দালালী করলেও সবই বোঝে। নিজেও কৃত্রিম ‘ঘোঁত’ শব্দ করে সামনে এগুতে থাকে।
বাতাসু সামনে, ছাতন পেছনে। একটু পরেই বাতাসু অস্পষ্টভাবে শুনতে পায় ‘আল্লা গো, মরে গেনু গা, বাতাসু, এই বাতাসু, ভাতিজা মোক বাঁচা’। বাতাসু পেছন ফিরে দেখে কাকা আশে পাশে নেই। অবাক হয়। পেছনে এসে দেখে ম্যানহোলের ভেতর থেকে ছাতন ওভাবে চেঁচামেচি করছে। ছাতনের ভাগ্য ভালো ম্যানহোলের ভেতরে শুকনো আবর্জনা পড়ে ছিল। লোকজনের সহায়তায় ছাতনকে উদ্ধার করা হয়। বেশ ব্যথা পেয়েছে ছাতন। আহসান মঞ্জিলের কাছে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয় দুজনে। একটু সুস্থ বোধ করলে ছাতন বাতাসুকে বলে, আর এক মুহূর্ত নয় এই শহরত। সন্ধ্যারাতে তারা গাবতলীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় লোকাল বাসে করে।
তিনদিন পর ছাতন ও বাতাসু নিজেদেরকে আবিষ্কার করে দিনাজপুর সরকারী হাসপাতালে। ঢাকা সদরঘাট থেকে কীভাবে দিনাজপুর হাসপাতালে আসল সে রহস্যময় কাহিনি না হয় ‘সোনার বাংলাদেশ’ এর জনগণ পরেই শুনল!!!
***************************************************************
আখেনাটেন-এপ্রিল/২১
@ছবি: Pexels
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০১
আখেনাটেন বলেছেন: ওমেরা বলেছেন: এত বড় ঢাকা শহর একদিনে সফর করে এত কিছুর পরেও ক্লান্ত হয়নি কিন্ত ——- হা হা হা হি হি হি ———-হাসতে হাসতে এখন টায়ার্ড হয়ে যাচ্ছি । --- ওমেরা জী, আপনি হাসছেন। ওদিকে বেচারারা হাসপাতালে.....
গ্রামের লোকের ঢাকা দেখার অভিজ্ঞতাটা বেশির ভাগেরই সুখের হয় না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো।
ঢাকা দেখার সাধ তো আমারও ছিল ছোডোবেলায়। এখন মনে হয়, ঢাকা ছাড়তে পারলে ভালো হতো। আসলে ঢাকা ছাড়লেও আবার ঢাকাতেই আসতে হবে নানান কারণে।
শব্দচয়ন ও ভাষা ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছি।
কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারীর ব্যাপারে আরো কিছু জানার আগ্রহ ছিল।
ছাতন সাহেব সদরঘাট গেছিলেন কি বুড়িগঙ্গা দেখার জন্য? আহারে!
অ ট : বললাম না কিছু
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১০
আখেনাটেন বলেছেন: আসলে ঢাকা ছাড়লেও আবার ঢাকাতেই আসতে হবে নানান কারণে। --- এই এক সমস্যা। সবকিছুই এক জায়গায় কেন্দ্রভূত হওয়ায় ঢাকা আসতে ইচ্ছুক না হলেও অনেককেই আসতে হয়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়, চট্টগ্রামের লোকজন ঢাকা না আসতে পারলেই বেঁচে যায়। এগুলো নিয়ে সরকারের দীর্ঘমেয়াদে ভাবা দরকার।
শব্দচয়ন ও ভাষা ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছি। -- ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারীর ব্যাপারে আরো কিছু জানার আগ্রহ ছিল। --- হা হা হা; এটা কিন্তু আমার প্রিয় চরিত্র। গত চার বছর ধরে ওকে পুষতেছি। উনার কর্মকান্ড নিয়ে সামনে লেখা আসতেও পারে।
ছাতন সাহেব সদরঘাট গেছিলেন কি বুড়িগঙ্গা দেখার জন্য? আহারে! -- সারা বাংলাদেশে একটি ব্যাপক জনপ্রিয় শব্দবন্ধ প্রচলিত আছে, বাইরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট। তাই গ্রামের মানুষের সেই সদরঘাটের চালচিত্র স্বচোক্ষে পর্যবেক্ষণের খায়েস যে অতি মাত্রায় থাকবে তা বলতে।
অ ট : বললাম না কিছু -- আর বেশি কিছু না বলাই উত্তম। সুখে থাকুক জগতের সকল প্রাণী।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোলাগা সোনাবীজ ভাই। ভালো থাকুন।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৯
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: হাস্যরসের সাথে ঢাকা শহরের কিছু খারাপ অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেছেন। এই সবগুলোর ব্যাপারেই কম-বেশি শুনেছি।চিড়িয়াখানার আশেপাশের রেস্টুরেন্টগুলো গলাকেটে রেখে দেয় কাস্টমারের। ভাগ্য ভালো ছাতন আর বাতাসু গুলিস্তানে এসে বালুভর্তি মোবাইল কেনে নি অথবা পুরান ঢাকায় পলিথিনে মনুষ্য-বর্জ্য নিয়ে তাদেরকে কেউ তাড়া করে নি। গল্প ভালো লেগেছে। ঘুন্দড় শব্দটা নতুন জানলাম।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৬
আখেনাটেন বলেছেন: বাতাসু গুলিস্তানে এসে বালুভর্তি মোবাইল কেনে নি অথবা পুরান ঢাকায় পলিথিনে মনুষ্য-বর্জ্য নিয়ে তাদেরকে কেউ তাড়া করে নি। -- তাই নাকি..........এ ব্যাপারে তো জানতাম না। হা হা হা। কত আজব জিনিস যে ঢাকা শহরে ঘটে বলা মুশকিল।
নওগাঁর, দিনাজপুরের ওদিকে মনে হয় এই 'ঘুন্দড়' শব্দটা বেশ চলে। কেউ অগোছালো হলে, নোংরা কাজ করলে সাধারণত এভাবে বাক্য থ্রো করে। আর আক্ষরিক অর্থে 'শুয়োর'। তবে ভাবগতভাবেব এর অর্থ ব্যাপক।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার। ভালো থাকুন।
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪২
পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা, পড়ে মন্তব্য করবো কি হাসতে হাসতে মরে যাওয়ার দশা।
তবে সোনারবাংলার নিয়ন্ত্রনহীন পরিবহন ব্যবস্থা, হোটেলে গলাকাটার ব্যবস্থা, হিজরাদের অত্যাচার, ঢাকা চালানো পিগীকূলের সুন্দর ব্যবস্থাপনায় ম্যানহোল পরিদর্শন এবং সবশেষে অজ্ঞান পার্টির ভালোবাসা সব মিলিয়ে রম্যের মধ্যেও সমাজ এবং দেশের চিত্র সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে খুব ভাল লাগলো।
এ প্রসঙ্গে একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করতে ইচ্ছে করছে।
একবার গুলশান এক নম্বরে স্ট্যান চার্ট ব্যাংকে যাবো। আমরা দুই নম্বর থেকে এক নম্বরের মেইনরোড ব্যবহার না করে বনানীর ভিতর দিয়ে ব্যাংকের পিছনের রাস্তা দিয়ে আসছি, ভাগ্নে ড্রাইভিং এ আমি পাশে, এমন সময় দেখি সামনে একটা হাতী পথরোধ করে দাড়িয়ে আছে।
আমাদের গাড়ী থামালাম, হাতীটা ভয়ানক ডাক ছেড়ে শূর দিয়ে কাঁচে আঘাত করতে লাগলো। আমরা জানতাম হাতীর খাবার যোগাড় করার জন্য মাঝে মাঝে এরা রাস্তায় নেমে পড়ে। আমরা ২০০ টাকা দিলাম, হাতীটা না নিয়ে টাকাটা গাড়ীর ভিতরে ফেলে দিল।
এরপর ৫০০ টাকার নোট দিলাম সেটাও ফেলে দিয়ে একটা পা তুলে গাড়ীটা বেশ জোরেশোরে ঝাকি দিল।
আমরা ভয় পেয়ে ১০০০ টাকার নোট দিলাম এবার হাতীটা নোটটি মাহুতের হাতে দিয়ে সরে দাড়ালো।
ভয় পাওয়ার কারন ছিলো, হাতীটা সবসময় যে মাহুতের কথা মানবে এমন তো নাও হতে পারে, কারন পোষা হাতীর পাগলামী করে তান্ডব চালানোর ভিডিও নেটেই আছে।
টাকা খোয়ানোর পর মনে হচ্ছিলো মাহুতের মাথায় ইট মেরে শিক্ষা দেই! কিন্তু দুঃখের বিষয় অভিজাত পাড়ার রাস্তা বলে কথা! ইট পাবো কোথায় !
তারথেকে হাত কামড়ানো আর নিজের চুল ছেড়াই সহজ বলে মনে হলো।
ভাগ্যিস আপনার আত্মীয়রা এমন দুর্ভোগে পড়েনি !!!
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৪
আখেনাটেন বলেছেন: টাকা খোয়ানোর পর মনে হচ্ছিলো মাহুতের মাথায় ইট মেরে শিক্ষা দেই! কিন্তু দুঃখের বিষয় অভিজাত পাড়ার রাস্তা বলে কথা! ইট পাবো কোথায় ! --- হা হা হা; তখন গান ধরতে পারতেন, হাতী মেরা সাথী.....এতে যদি হাতী মশাইয়ের দিলখোশ হত।
তাহলে আপনিও ঢাকা শহরের চলতে ফিরতে বিড়ম্বনার বিরাট ভুক্তভোগী। ছাতনের শিষ্য। (
ভাগ্যিস আপনার আত্মীয়রা এমন দুর্ভোগে পড়েনি !!! ---- হা হা হা............বেচারাদের জীবন নিয়ে টানা টানি চলছে, আর আপনি বলছেন.......
চমৎকার অভিজ্ঞতার বয়ান ভালো লাগল। এই নিয়েই আমাদের প্রাণপ্রিয় ঢাকা।
কত বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখীই না হতে হয় ঢাকাবাসীকে প্রতিনিয়ত।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
অভাগার বুকে দুখের চিনচিনে ব্যথার ধাক্কায় হাসির দমকা হাওয়াটা চাপা পড়ে যায়।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৬
আখেনাটেন বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: অভাগার বুকে দুখের চিনচিনে ব্যথার ধাক্কায় হাসির দমকা হাওয়াটা চাপা পড়ে যায়। -- ঠিক তাই.........যারা এসব ভুক্তভোগী তারাই জানে এর বেদনা............।
অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন ব্লগার।
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: গ্রামের মানুষ প্রথম প্রথম ঢাকা এলে দিশেহারা হয়ে যায়।
ঢাকা শহর নিষ্ঠুর এবং অমানবিক শহর। পুরো বাংলাদেশ থেকে সমস্ত দুষ্টলোকেরা ঢাকা এসে ঢাকার বারোটা বাজিয়েছে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১৩
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা; কাহিনি আপনার ফরমেটে পড়েছে মনে হচ্ছে।
ঢাকা শহর নিষ্ঠুর এবং অমানবিক শহর। পুরো বাংলাদেশ থেকে সমস্ত দুষ্টলোকেরা ঢাকা এসে ঢাকার বারোটা বাজিয়েছে। ---- একেবারে মন্দ বলেন নাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ফাইহার জন্য শুভকামনা জানাবেন।
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাসটার ছবি শৈশবকাল মনে পড়লো
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাসটার ছবি শৈশবকাল মনে পড়লো -- তা মানুলুম নেওয়াজ আলি ভাই। তা বাসের ভিতরে যে এত কান্ড ঘটে গেল সেটার ব্যাপারে কিছু বলুন।
ধন্যবাদ ছাতন কাহিনির সাথে থাকার জন্য।
৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
পুলক ঢালী বলেছেন: আপনাকে এবং ভুয়া মফিজ ভাইকে নিয়ে একটু মজা করেছি মাইন্ড খায়েন না কলাম কিন্তুক !
view this link
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩৪
আখেনাটেন বলেছেন:
নিজের মাল্টির কথায় মাইন্ড খাওয়া কি ঠিক? হা হা হা;
অনেক শুভকামনা প্রিয় ব্লগার পুলক ঢালী ভাই। ভালো থাকুন।
৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৩
মিরোরডডল বলেছেন:
আনা রম্যের মধ্যে দিয়ে ঢাকার অনেক চিত্র তুলে ধরেছে । মজার পোষ্ট কিন্তু শেষটা বেশী ফান ছিলো
পুলকের হাতি কমেন্ট পড়ে আমারও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে ।
ঘটনা ঘটার আগে আমার হাতির এসব স্টোরি জানা ছিলোনা । একদিন ফ্রেন্ডের সাথে ৩০০ ফিটে ড্রাইভে গেছি । হঠাৎ দেখি একি কাণ্ড !! সামনে এসে এক হাতি ব্লক করে আছে , ওপরে এক ছোট বাচ্চা বসে আছে । যা হয়, টাকা নিয়ে তবেই যাবে । পুলকের মতো আমার ওরকম বেশী নেয়নি, ৪০০ টাকা নিয়েই রাস্তা ছেড়ে দিলো ।
আমি মুগদ্ধ চোখে তার চলে যাওয়া দেখলাম ।
বাসায় ফিরে আমি সুপার ডুপার এক্সসাইটেড হয়ে মা আর বোনদেরকে গল্প করছি কিন্তু কারো কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই ।
আমিতো অবাক, এরকম বিরল ঘটনা কিন্তু কারো সেরকম রিএকশন নেই কেনো !!
পরে যা জানলাম, এরা সবাই মহাবিরক্ত । বলে এ ঘটনা প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাটে ঘটছে আর মানুষকে এভাবে বিরক্ত করছে
তখন জানলাম শুধু হাতিই না, আরও নাকি এরকম অনেক কিছুই হয় ।
কিন্তু ইউ নো হোয়াট ?
এতো প্রবলেম থাকা সত্ত্বেও আমার প্রানের ঢাকা আমার অনেকই প্রিয় !
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩৮
আখেনাটেন বলেছেন:
এই হাতি নিয়ে ছাতি বিগড়ানো অভিজ্ঞতা মনে হচ্ছে কম বেশি অনেকের রয়েছে। যদিও এখন মনে হয় এদের অত্যাচার কমে গেছে।
এতো প্রবলেম থাকা সত্ত্বেও আমার প্রানের ঢাকা আমার অনেকই প্রিয় ! ---- সেটাই। যতই খারাপ লাগুক। দিনশেষে এটাই আমার সোনার বাংলাদেশ।
পোস্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা নিরন্তর। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঢাকার অনেক রূপ
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪১
আখেনাটেন বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: ঢাকার অনেক রূপ ---- এ রূপের জেল্লায় বুড়ির (বুড়িগঙ্গা) শরীর নেতিয়ে পড়েছে।
তবে এই রূপের জৌলুস কমলেই মনে জনগণ কিছুটা শান্তি পায়। কী বলেন?
শুভেচ্ছা নিবেন। ভালো থাকুন, সাবধানে থাকুন করোনাকালে বিড়ম্বনায়।
১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অমন করে বলো নাগো তুমি
উন্নয়নের কথা বলো শুনি
রাতের ভোটের কথা
সুশিল হবার ব্যাথা-মুছে দিতে
শোনাও চেতনা কাহিনি
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৩
আখেনাটেন বলেছেন:
চক্রাকারে ঘুরিতেছি আমরা ভৃগুদা। এভাবেই হ্য়ত আমজনতার পুলসেরাত পার হবে।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানবেন। ভালো থাকুন।
১২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মেছোবাঘ মুরগী সাবাড় করলো কি হিসাবে? এতো দেখি বিরাট খবিশ!! নামের প্রতি কিছুটা হইলেও সুবিচার তো করা উচিত!! আমার তো এখন এর বাঘত্ব নিয়েই সন্দেহ হচ্ছে। ছাইয়া বাঘ নয়তো!!!
এই দ্যাখেন, ছাইয়া বাঘের কথা বলতে না বলতেই আপনে অরিজিনাল ছাইয়া হাজির করছেন। এনিওয়ে, ছাতনের উচিত ছিল, ঢাকায় আসার আগে ঢাকার সব বিষয়ে ভালো করে গুগল করা। তাহলে এসব দূর্গতিতে পড়তে হতো না।
তবে দুই নিরীহ আদমকে মলম পার্টি বা শরবত পার্টির খপ্পড়ে না ফেললেও পারতেন। এরা কি আর কোনদিন ঢাকায় আসার দুঃসাহস দেখাবে? আপনি মনে হচ্ছে আমাদের প্রিয় ঢাকার শত্রুপক্ষের লোক। ঢাকার এই রকমের চিত্র অঙ্কন করা ঠিক হয় নাই। দুঃখু পাইছি!!!
তবে এটা ঠিক, ঢাকা ভ্রমন পড়ে মজাই মজা পাইলাম!!!
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫০
আখেনাটেন বলেছেন: ভুয়া মফিজ বলেছেন: মেছোবাঘ মুরগী সাবাড় করলো কি হিসাবে? এতো দেখি বিরাট খবিশ!! -- গ্রামে এগুলার অত্যাচারে ছোটকালে দেখতাম নানামুখি তৎপরতা। তবে দেখতে ভীষণ কিউট এই জিনিস। মুরগীর প্রতি ভীষণ লোভ।
ছাতন ঢাকায় এসে এই অবস্থা আর ওদিকে কবি ম্যাকবেল এলাকায় ঘটে ফেলেছে বিরাট তুলকালাম। আমি টেনশনে আছি, বেচারা হাসপাতাল থেকে গিয়ে আবার না হাসপাতালে ফেরত আসতে হয়, কবির মহান কান্ডে।
আপনি মনে হচ্ছে আমাদের প্রিয় ঢাকার শত্রুপক্ষের লোক। ঢাকার এই রকমের চিত্র অঙ্কন করা ঠিক হয় নাই। দুঃখু পাইছি!!! ----- সত্য কথা শুনলে তো আপনাগোর গায়ে ফোসকা পড়বই। বুড়িগঙ্গার পানিতে লাস্ট কবে গোসল সেরেছিলেন।
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলুম। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন ।
১৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এর চাইতে একমাত্র ছেলে মকবুল ওরফে কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারী ই ভালো আছে দেখছি
যাই হোক কবি হবার কিছু সুবিধা বয়ান করার জন্য ধন্যবাদ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৩
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা।
কবিরা হচ্ছে সুখের আধার। প্রকৃত সুখী না হলেও সুখের যে ভান সেটাও মজার। ম্যাকবেলও ভানে আছে কিনা কে জানে? তবে উনাকে লাইমলাইটে আনার প্রচেষ্ঠা চলতেছে।
অশেষ ধন্যবাদ মনিরাপা। ভালো থাকুন।
১৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০
করুণাধারা বলেছেন: ভ্রমণ কাহিনী বেশ ভালো লাগলো!! ঢাকায় বেড়াবার মতো এতো জায়গা আছে একথা ভুলেই গেছিলাম!! ছাতনের সাথে ভার্চুয়াল সফর করে কিছুক্ষণ মুক্তির স্বাদ পেল একবছরের প্রায় গৃহবন্দী আমার আত্মা! অনেক ধন্যবাদ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৪
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা;
ছাতনের সাথে ভার্চুয়াল সফর মানে নিশ্চয় বেচারার বিপদগুলোতে মজা লুটেছেন।
ধন্যবাদ আপা মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন নিরন্তর।
১৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৪
স্থিতধী বলেছেন: ছাতন ও বাতাসুকে আরেকবার হরতালকালীন ঢাকা শহরে নিয়ে আসা হোক। মহাখালী অথবা পল্টনে হরতালকালীন বোমাবাজী শিল্পগুলো ওরা মিস করবে কেন? জাদুর শহড়ে হরেকরকম জাদু দেখার বন্দোবস্ত আছে আসলে..কপালদোষে দিনাজপুরের হাসপাতালে যখন পৌঁছে গেলোই তাঁদের কে দিনাজপুরের বিখ্যাত লিচু পথ্য হিসেবে দেওয়া হোক এখন, জোড় দাবী জানাই ( ওটা আমার নিজের প্রিয় তাই আরকি )
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৭
আখেনাটেন বলেছেন: স্থিতধী বলেছেন: ছাতন ও বাতাসুকে আরেকবার হরতালকালীন ঢাকা শহরে নিয়ে আসা হোক। --- ছাতনকে রশি দিয়ে বেঁধেও আর ঢাকামুখি করা যাবে না মনে কয়।
ঐ লিচুই শেষমেষ ভরসা।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার স্থিতধী। ভালো থাকুন।
১৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছে সেটা জানতে।
এবং আপনাকে ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।
১৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৯
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমার সা এখনও পড়তে পারিনি ......... ইমন কল্যান নিয়েই বিজি .......
০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৩
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা।
ইমন কল্যাণের পর কি রাগ ভৈরবী.........।
১৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০২
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
আচ্ছা, দিনাজপুর হাসপাতালে গেলো কেনো? বঙ্গবন্ধু হাসপাতালের তাইলে কাজ কী? যাক এইডা বাদ দিলাম! কষ্ট পেলুম রাজধানীর উন্নয়ন তার চোখে পড়ে নাই দেইখা! আচ্ছা, হালায় কী বিএনপি নি কোন? আপনি কিন্তু ভাইলোক বুদ্ধিমান, জব্বর কৌশলে চাচা ভাতিজার রাজনৈতিক আদর্শ লুকাইলেন! আমি কনফেরাম, ওরা বিএনপি কিংবা জামাত, তা না হলে রাজধানীর এতো এতো উন্নয়ন কেন তাদের চোখে পড়বে না! এখনো কোটি কোটি ভাই-বোনলোক গ্রাম থেকে রাজধানীতে এসে চেল্পি তুলে নিয়ে যান! এই বিষয়টাও আপনি কৌশলে এরাই গেলেন! আচ্ছা, আপনারা আমাগো আওয়ামী বিরোধী লোকসকলের কথা বলেন কেলা? এইডা কার মুদ্রাদোষ বুঝতে পারতাছি না! আমার চোখে প্রব্লেম নাকি....!
০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৫
আখেনাটেন বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
আচ্ছা, দিনাজপুর হাসপাতালে গেলো কেনো? ---- তাজুল সাব, এটা একটা ধাঁধাঁ কীভাবে সেখানে গেল। এখন ধাঁধার উত্তর খুঁজে বের করে আমাকে বলুন।
১৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৩
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: তারপর আপনের দিনকাল যাচ্ছে কেমন?
০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৮
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো............পরমার বোনটারেও সুখে রাইখেন।
কুশলে প্রীত হলুম...........। ভালো থাকুন।
২০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪০
ঢুকিচেপা বলেছেন: গল্পটা দারুণ মজার হয়েছে। ফলমূল নিয়ে দিনাজপুর সরকারী হাসপাতালের সামনে দাঁড়াতে হবে নাকি দ্বিতীয় পর্ব এমনি এমনিই আসবে ?
দ্বিঘাত সমীকরণের কথা কিন্তু ভুলি নাই, ঝুলে আছি।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৯
আখেনাটেন বলেছেন: ঢুকিচেপা বলেছেন: গল্পটা দারুণ মজার হয়েছে। ফলমূল নিয়ে দিনাজপুর সরকারী হাসপাতালের সামনে দাঁড়াতে হবে নাকি দ্বিতীয় পর্ব এমনি এমনিই আসবে ? === হা হা হা; তা যা বলেছেন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ব্লগার ঢুকিচেপা। ভালো থাকুন।
২১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সোনার র্বাংলা সোনার গল্পটি এত দেরীতে
পাঠকরলাম কেন বুঝতি পারিনা্ই বাহে।
তাও ভালো মিস করিনাই।
ঢাকা দর্শনের স্বাদ
মিটিয়ে মিটিলোনা !!
০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২১
আখেনাটেন বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সোনার র্বাংলা সোনার গল্পটি এত দেরীতে
পাঠকরলাম কেন বুঝতি পারিনা্ই বাহে।
তাও ভালো মিস করিনাই।
ঢাকা দর্শনের স্বাদ
মিটিয়ে মিটিলোনা !! ----
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ব্লগার নূরু ভাই। ভালো থাকুন।
২২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৫০
মা.হাসান বলেছেন: নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে দিনাজপুর থেকে ঢাকা আসার ভাড়া ছিল ১২৫ টাকা, তবে আমি কুড়ি টাকা দিয়েও লোকদের ঢাকায় আসতে দেখেছি । তবে এই পয়সায় ভিতরে আসা যেতো না, ছাদে আসতে হতো। ছাদে মুরগির খাচা তোলা হতো, মুরগির পটি লেগে জানলা সাদা হয়ে যেতো। কিছু লোক ছিল যারা গাড়িতে উঠলেই বমি করত (মূলত বাচ্চা আরা মহিলারাই )। ভিতরে সিগারেট , গুল সবই চলত। মোবাইল ফোন আসেনি, কাজেই উচ্চস্বরে গান-বাজনা এটা ছিল না (এখন আছে)।
আমার ইউনিয়নের দুই ছেলে জাহাঙ্গির নগরে ভর্তি পরীক্ষা দেবে। সকালবেলা গাবতলীতে এসে নামার পর (বেচারারা জানতো না, ঐ পথে আসার সময়ে জাহাঙ্গির গর পার হয়ে এসেছে) ৭ নম্বর বাসের কন্ডাক্টর জিজ্ঞাসা করলো- কোথায় যাবেন ?ওদের জবাব- জাহাঙ্গীরনগর যাব। আসেন বলে দুইজনকে উঠিয়ে নিয়ে গুলিস্তান নামিয়ে দিয়ে বলল- সামনে জাহাঙ্গীরনগর , একটু হাঁটেন।
বাতাসু এবং ছাতন খুব অল্প সময় ছিল বলে ঢাকার সব অভিজ্ঞতা পূর্ণ হয়নি। পরের বার আশা করি সবকিছু দেখে যেতে পারবে, ৩ নম্বর মন্তব্যের অভিজ্ঞতা ও নিতে পারবে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬
আখেনাটেন বলেছেন: গ্রাম থেকে ঢাকা দেখতে আসা লোকেদের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর হয় না। নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
বাতাসু এবং ছাতন খুব অল্প সময় ছিল বলে ঢাকার সব অভিজ্ঞতা পূর্ণ হয়নি। পরের বার আশা করি সবকিছু দেখে যেতে পারবে, ৩ নম্বর মন্তব্যের অভিজ্ঞতা ও নিতে পারবে। ----ওরা আর এমুখো হবে নিশ্চিত থাকেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার মা. হাসান ভাই। ভাালো থাকুন।
২৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:২২
জুন বলেছেন: আহারে ছাতন ব্যাপারী আর বাতসুর জন্য মায়া লাগতেছে আখেনাতেন, ঢাকা এসে কি হেনস্তাই না হলো তারা ঢাকাত বেড়াত আসিচ্ছে তো হামাক কলোনা ক্যানে
একবার গুলশান ১ নং সিগনালে বসা, এক বেদেনী পিচ্চি এক কেউচ্চা নিয়া আমার জানালার কাছে এসে ভয় দেখিয়ে টাকা চাইলো। আমি এক ধমক দিলাম যে সে বাক্স টাক্স নিয়া দৌড়, মনে মনে কই আরে ও বাইদানী হামরা তো অমপুর থিকা আসি নাই বাহে
মজার একটি লেখায় অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো।
+
০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮
আখেনাটেন বলেছেন: একবার গুলশান ১ নং সিগনালে বসা, এক বেদেনী পিচ্চি এক কেউচ্চা নিয়া আমার জানালার কাছে এসে ভয় দেখিয়ে টাকা চাইলো। আমি এক ধমক দিলাম যে সে বাক্স টাক্স নিয়া দৌড়, মনে মনে কই আরে ও বাইদানী হামরা তো অমপুর থিকা আসি নাই বাহে ---- আপা, আপনি তো দেখি অভিজ্ঞতার জীবন্ত ফসিল...........।
আপনার নানামুখি এইসব অভিজ্ঞতা নিয়েও কিন্তু দু্র্দান্ত সিরিজ হতে পারে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা জুনাপা। ভালো থাকুন।
২৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৮
শায়মা বলেছেন: ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৩০
লেখক বলেছেন: হা হা।
ইমন কল্যাণের পর কি রাগ ভৈরবী.........।
হ্যাঁ .....
০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: রাগ ভৈরবী মনে হয় বেশিই ক্লাসিক্যাল হয়ে যায়। এখনকার ইয়াং জেনারেশন এ জিনিস মনে হয় না সহ্য করবে।
২৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯
জুন বলেছেন: এই রকম অভিজ্ঞতা নিয়ে এইমাত্র একটা পোস্ট দিলাম দেইখেন আখেনাটেন। আপনি বলার আগেই আমি লিখছিলাম কি ভাবে সম্ভব
০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১১
আখেনাটেন বলেছেন: পড়লাম আপা আপনার পোস্ট। যতটুকু জানি আপনি এ ধরনের দেশ বিদেশের নানা অভিজ্ঞতায় ভরপুর। সেগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করুন আমরাও জানি।
২৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছাতন ব্যাপারী ও বাতাসু’র একদিনের ঢাকা সফরের চমকপ্রদ কাহিনী পড়ে বিনোদিত হ'লাম। নামগুলি সুচয়িত, বিশেষ করে কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারীরটা, যিনি এ গল্পে সামান্যই আলোচিত হয়েছেন। ঘুন্দড় শব্দের ব্যাখ্যাটাও যথার্থ এবং উপভোগ্য।
এভাবে দৈনিক কত লোক যে ঢাকায় পা রেখে কতভাবে হেনস্থা হচ্ছে! পৃথিবীতে আর কোন দেশ কি আছে, যাদের শহুরে ঠগরা নিরীহ স্বদেশীদেরকে এভাবে দিনের পর দিন ঠকিয়ে যায় এবং ঠকানোটাকে এক ধরণের শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যায়? সামান্য লাভের আশায় খাদ্যে এবং ফলমূলে বিষ মিশিয়ে ক্রেতাদের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে?
২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:০৫
আখেনাটেন বলেছেন:
কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারীরটা, যিনি এ গল্পে সামান্যই আলোচিত হয়েছেন। --- চিন্তা করছি এই মহাকবিকে ব্লগে একটি গ্রান্ড এন্ট্রির ব্যবস্থা করতে।
পৃথিবীতে আর কোন দেশ কি আছে, যাদের শহুরে ঠগরা নিরীহ স্বদেশীদেরকে এভাবে দিনের পর দিন ঠকিয়ে যায় এবং ঠকানোটাকে এক ধরণের শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যায়? -- চমৎকার বলেছেন। আমার মনে হয় নেই। অতিরিক্ত মানুষ ও আইনের শাসনের নিম্নমুখী যাত্রায় এই শহরে নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা যেভাবে টিকে থাকছে সেটাও একটা বিস্ময়।
সামান্য লাভের আশায় খাদ্যে এবং ফলমূলে বিষ মিশিয়ে ক্রেতাদের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে? -- দুর্নীতি গোটা সিস্টেমকে খেয়ে ফেলার রাস্তায় আছে। সামান্য কিছু ভালো মানুষের জন্য হয়ত কলাপ্স করছে না।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানবেন। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
২৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৮
শেহজাদী১৯ বলেছেন: ছাতন ব্যাপারীর ঢাকা ভ্রমন চমকপ্রদ। সদরঘাট থেকে দিনাজপুর হসপিটাল কেমনে গেলো জানতে ইচ্ছা করে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:০৯
আখেনাটেন বলেছেন:
সদরঘাট থেকে দিনাজপুর হসপিটাল কেমনে গেলো জানতে ইচ্ছা করে। -- সেটাও কোনো একদিন হয়ত মি: ছাতন তাঁহার বিড়ম্বনার ফিরিস্তি জাতির সামনে পর্দা উন্মোচন করবেন। আমরাও সে অপেক্ষায় থাকি। উন্মোচিত হলেই আমি বান্দা হাজির লেখা নিয়ে......
পাঠ ও মন্তব্যে শুভেচ্ছা নিবেন। ভালো থাকুন করোনাকালে। সাবধানে থাকুন।
২৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২৫
শেহজাদী১৯ বলেছেন: মিঃ ছাতনকে বলেন আমরা অপেক্ষা করতে পারবোনা। তাড়াতাড়ি পর্দা উন্মোচন করুন।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৩
আখেনাটেন বলেছেন: ছাতন করোনা ভীতিতে আছে। এখন নিজেরে উন্মোচন করতে ন চায়। ব্যবসা নাই। বিপদ কাটুক। বাজারে গরুর আনাগোনা বাড়ুক। ঠিকই গরুর কেনাবেচায় হাজির হয়ে লাথি-গুতা খেয়ে উন্মোচন পর্বও সেরে ফেলবেন। আর তখনই....
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫১
ওমেরা বলেছেন: এত বড় ঢাকা শহর একদিনে সফর করে এত কিছুর পরেও ক্লান্ত হয়নি কিন্ত ——- হা হা হা হি হি হি ———-হাসতে হাসতে এখন টায়ার্ড হয়ে যাচ্ছি ।