নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কতগুলি প্রশ্ন আমাকে ছেলেবেলা থেকেই চিন্তান্বিত করেছে, এগুলোর উত্তর আমি বহু জায়গায় খুঁজেছি, কিন্তু বৎসর বৎসর চলে যায় মেলেনি উত্তর

কত আজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই দূরকে করিলে নিকট,বন্ধু, পরকে করিলে ভাই।

সামছা আকিদা জাহান

ছন্নছাড়া, গৃহহারা, বাউন্ডুলে, ভবঘুরে, যাযাবর-------- কত হরেকরকম রংবেরঙ্গের শব্দই না আছে বাংলাতে ভ্যাগাবন্ড বোঝাবার জন্য। কিন্তু সত্যিকার বাউন্ডুলিপনা করতে হলে সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা------ গেরুয়াধারন। ইরান- তুরান- আরবিস্থানে আর বাংলাদেশে দরবেশ সাজা। ইউরোপে এই ঐতিহ্যমূলক পরিপাটি ব্যবস্থা না থাকলেও অন্যান্য মুষ্টিযোগ আছে যার কৃপায় মোটামুটি কাজ চলে যায়।

সামছা আকিদা জাহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিবন্ধী কারা???

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

আমার আজকের পোস্ট কে প্রতিবন্ধী? তা নিয়ে।

আমার বড় ভাই, মানসিক প্রতিবন্ধী। আজ তার বয়স ৪২ বছর। আমার বাবা একজন ডাক্তার ছিলেন। যার সারাটা জীবন তিনি বিলিয়ে দিয়েছেন এই শিশুদের পিছনে। এই প্রতিবন্ধী একটি শিশুকে নিয়েই আমাদের পরিবারটি আস্থির হয়েছে বহুবার, বহুবার এলোমেলো হয়েছে। তারপর ও আমার ভাইকে তার যগ্যোতা আনুযায়ই সে যা করতে পারবে তা করার সুযোগ করে দিয়েছি।



পাগল আর প্রতিবন্ধী এক নয়।

আমি তাদের মানসিক প্রতিবন্ধী বলি। মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুর বাবা, মা আমি কখনই হব না এই গর্ব করা হাস্যকর। আপনি আমি যে কেউ এদের বাবা মা ভাই বোন হতে পারি।

আজ আমার পরিবারের কেউ প্রতিবন্ধী নয়, কিন্তু কালতো হতে পারে।

আমরা এত নিষ্ঠুর আচরন এদের সাথে করি, যা দেখলে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় কে প্রতিবন্ধী?





আমার ভাইকে স্বাভাবিক বাচ্চাদের সাথে মিশতে দিয়েছে আমার বাবা মা। কি ভাবে একজন বাচ্চাকে প্রতিটি কাজ শেখাতে হয় তা আপনারা নুশেরার পোস্টে দেখেছেন।

আমাদের সৌভাগ্য, আমার ভাই অন্য অনেক বাচ্চার মত খুব বেশী প্রতিবন্ধী নয়। আমার ভাই সব কাজই পারে। সবই বুঝে, শুধু বুঝেনা সমাজের জটিল দিকগুলি। ও ব্যাংকের কাজ করতে পারে, বাজার করতে পারে, কিন্তু দরদাম করতে পারে না। ও বাজারে যেয়ে কি কি আনবে সেই চিন্তা করতে পারে না। ওকে কেউ পরিচালিত করলে ও সব পারে। ও মিউনিসিপ্যল ট্যাক্স জমা দিতে পারে কিন্তু তার কাগজ বের করতে পারে না। সে সবই বুঝে কিন্তু প্রকাশ করতে পারে না, তার মধ্যে দ্বায়িত্ববোধ আছে কিন্তু কিভাবে করবে তা সে বোঝে না। আমি বোধ হয় তার সীমাবদ্ধটুকু বুঝাতে পেরেছি।



এবার তার সফলতার কথা বলি। ভাইয়া বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটি মহাদেশের ২৫টির ও বেশী দেশ ঘুরেছে নিজের যোগ্যতা বলে। ঐ যে বলেছি সে কিছুটা সুস্থ্য। এই কারনেই সে অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের চেয়ে বুদ্ধিমান। তাই সে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। Special Olympic খেলতে যেয়ে ভাইয়া ৪বার গোল্ড মেডেল ও একবার ব্রঞ্চ পদক নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন সেমিনারে তাদের বলা হয় বাংলাদেশের সোনার ছেলে। এই সোনার ছেলেদের বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন সময়ে দিয়েছে বিভিন্ন সার্টিফিকেট। তাদের জন্য বরাদ্দ টাকাটা কোথায় যে কোন খাতে হারিয়ে গেছে কেউ যানে না।





আমি অনেক মন্ত্রী, সচিব থেকে শুরু করে বহু বহু ধর্ণাঢ ব্যাক্তির প্রতিবন্ধী ছেলেদের দেখেছি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় দোকানে রাতে ঘুমায় ও প্রতিবন্ধী স্কুলে থাকে সেখানে কাজ করে যে দুই পয়সা পায় তাই দিয়ে ক্ষুধা নিবারন করে। বাবা-মা মারা যাবার পর ভাই বোনেরা তাদের এই প্রতিবন্ধী ভাইটিকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। আর প্রতিবন্ধী মেয়ে শিশুদের অবস্থাতো আরও করুন।



ভাইয়ার জীবনের অর্ধেক তো পার হয়ে গেছে। ভাইয়াকে নিয়ে আমাদের সমাজ আমাদের যত ভাবে পেরেছে আঘাত করেছে আর আমরা দুর্জয় মনবল ও অসীম সাহস নিয়ে তা মোকাবেলা করেছি। আমার ভাইএর বয়স ৪২ বছর। আমি অবাক হয়ে দেখি এই অর্ধশতক পার হয়ে যাবার পরও এই দেশের এই সমাজের মানুষের কোন পরিবর্তন হয়নি। যদি কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে তো তা নিচের দিকেই ধাবমান।



আমার ভাইএর দুইটি ফুটফুটে মেয়ে। বড়টা ক্লাশ সেভেনে পড়ে। ছোট্টটি পড়ে প্লেগ্রুপে।

বড়টি ক্লাশ ফাইভে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। ঢাকা শহরের স্বনামধন্য এক স্কুলের ছাত্রী সে।



এবারে এই মেয়েটির কথা বলি। কোন ব্যাপারে বিতর্ক হলে ওকে ওর এক সহপাঠী বলে--- তোর বাপতো পাগল, তোর আবার এত সাহস কত্থেকে হয়? এই শুরু, প্রায়ই ঐ সহপাঠী তাকে তার বাবার কথা বলে উত্ত্যক্ত করে।

এই আভিযোগ শিক্ষকের কাছে দিলে সেই শিক্ষক বলেছে “আসলে ও তো সচীবের মেয়ে একটু মন খারাপ হয়েছে তাই বলেছে। আমি নিষেধ করেছি।“



ভাইয়ার মেয়েটা তার ক্লাশের ফার্স্ট গার্ল। তার মার্ক্স সব সময় ২য় গার্লের চেয়ে ১০/১৫ মার্ক্স বেশী থাকে এটা তার অপরাধ, অনেক অভিভাবক ও তার এই সাফল্য মানতে পারে না। ওর চলার পথ রুদ্ধ করবার জন্য ব্যস্ত তারা। তাকে বলে ----এই তোমাকে কে পড়ায়, তোমার পাগল বাবা? ও নাচে ভালো, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির ছাত্রী ছিল। এখন নাকি তাকে কোন কোন মেয়ে এবং তাদের অভিভাবকরা ডেকে জিজ্ঞাসা করে-- তুমি নাচ না কেন? তুমি না নাচলে তোমার পাগল বাবার কিভাবে চলবে?



আমার মা কাঁদতে কাঁদতে আমাকে ফোন করে বলে--“ আর কত কাল আমি এসব কথা শুনব। আমি তো ছেলেটা জন্মের পর থেকেই যুদ্ধ করে যাচ্ছি। ভাবলাম নাতনিরা হয়েছে আমার যুদ্ধ শেষ। এখনতো দেখছি নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে হচ্ছে।“



ভাইয়ার মেয়েটা ফোন করে বলল “ফুমনি আমি তোমার কাছে থাকবো আমাকে নিয়ে যাও। ওখানে তো কেউ আমার বাবা কি করে তা জানবে না?”



যেদিন ভাইয়া প্রথম স্বর্নপদক গলায় ঝুলিয়ে প্লেন থেকে নেমেছে -তদানীন্তন প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়া তাদের এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে গ্রহন করেছে, সেই দিন যেভাবে অসম্ভব আনন্দে কেঁদেছিলাম -- এতদিন পরে আবার ঠিক সে ভাবেই কাদঁছি ঠিক তার বিপরীত কারনে।





কোন আহ্‌ উহ্‌ শোনবার জন্য আজ আমার এই পোস্ট না। কোন সমবেদনা জানাতে পারলে বলবেন, প্লিজ করুনা করবেন না। কোন প্রতিবন্ধী করুনার পাত্র হতে পারেনা। আপনাদের নিষ্ঠুরতা অনেক দেখেছি, দেখছি আরও হয়ত দেখব যতই বলি আমাদের নিষ্ঠূরতা দেখাবেন না ততই আপনারা মজা পান। কি করব বলুন? সয়ং সৃষ্টিকর্তাই তো আমাদের চরম নিষ্ঠূরতা দেখাতে পিছপা হন নাই।





তবুও এই প্রতিবন্ধী শিশুদের সাথে গেয়ে যাই"" আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।"





মন্তব্য ৮৫ টি রেটিং +২১/-১

মন্তব্য (৮৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৯

জটিল বলেছেন: আপনার ভাইয়ার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা রইল

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৫৭

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। ভাল থাকুন।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২০

একলব্যের পুনর্জন্ম বলেছেন: আপনি মনে হয় বুদ্ধি প্রতিবন্ধির জায়গায় মানসিক প্রতিবন্ধী বলছেন । অটিস্টিক আর মানসিক প্রতিবন্ধী এক কথা না ।

আপনার ভাই এর সাফল্য আরো ছড়িয়ে পড়ুক এই কামনা -

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:০২

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ভাই আমি এক করিনি। আমি বলেছি এই সব প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতিটি কাজ কত কষ্ট করে ধৈর্য ধরে শিখাতে তা যে ভুক্তভোগী কেবল সেই জানে।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।"

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৫৮

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমরা করব জয়,
আমরা করব জয় একদিন।"

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

ফালতু মিয়া বলেছেন: আমরা সবাই মানসিক প্রতিবন্ধী। আপনার পোষ্ট পড়ে অনেক ভাবনা হলো।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:২৩

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমাদের যদি সামান্য ভদ্রতা বোধ থাকত তবে এত কষ্ট পেতাম না।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

অন্যরকম বলেছেন: + এবং প্রিয়তে....!

প্রতিবন্ধীদেরকে শুনেছিলাম গড গিফটেড বলা হয়, তাদের এমন কিছু গুণ আছে যেটা আমাদের মত তথাকথিত স্বাভাবিকদের নেই! সেইগুণগুলোর বিকাশ ঘটাতে পারলে প্রতিবন্ধীরা আর বোঝা বা সমাজের জন্য হেয় এর পাত্র না হয়ে গর্ব ও অহংকার হয়ে ওঠে। আপনার ভাইয়ের ক্ষেত্রে যেটা আপনারা পেরেছেন......!!!

কিন্তু এখন আপনাদেরকে এক বিচিত্র অবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্চে যেটার জন্য আমাদের মত ২ পেয়ে অস্বাভাবিক মানুষরাই দায়ী.... এর জন্য আমরা লজ্জিত।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৩৯

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: কেন বলে যানি না। গিফট কখনও কি পীড়া দায়ক হয়।

এটা সম্ভবত বলে যেন আমরা ওদের ভালবাসি অবহেলা না করি সেই জন্য।
এই সব বাচ্চাদের লাখে দুই একজনের হয়ত বিশেষ গুন থাকতে পারে কিন্তু এটা খুব ভুল ধারনা যে তাদের এমন কিছু গুণ আছে যেটা আমাদের মত তথাকথিত স্বাভাবিকদের নেই!

ধন্যবাদ।

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

দীপান্বিতা বলেছেন: আমাদের ‘লোকসভা’ নামে একটা টিভি চ্যানেল আছে...সেখানে ‘হস্‌লা কি উড়ান’ নামে একটি পোগ্রাম হয়.....

সেখানে যে কোন প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে দাঁড়ান লড়াকু মানুষদের সাক্ষাতকার মত হয়...সেই অনুষ্ঠানটা দেখে কত কিছু যে শিখি কি বলব!......

প্রতিবন্ধকতা আসলে তো মনের!...

একজন বললেন --এটা আমার আসুবিধা......কিন্তু তা আমি কাটিয়ে উঠব......যেমন কেউ চোখে কম দেখলে চশমা পরেন......সেও তো এক রকম প্রতিবন্ধিই!......

জানিনা আমি ঠিক আমার অনুভূতিটা আপনাকে জানাতে পারলাম কি না!
তবে আপনার ভাইয়ার প্রতি আমারও অগাধ শ্রদ্ধা রইল .....

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪২

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ।।

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

কিরিটি রায় বলেছেন: " আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।"

বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়...

আমরা করব জয় একদিন।

-------------

ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধি!

যারা সোনার টুকরা শিশুদের মন ভেঙে দেয়া কথা বলে, ওদেরই সচেতনতার দরকার।

তাদের চরিত্রের এই হীনমন্যতা থেকে বের করে আনতে টিভি নাটক, সিনেমা সকল মাধ্যমে এই বিষয়গুলোর পজিটিভ দিক তুলে ধরা উচিত।যাতে সামাজিক সুশিক্ষার বিকাশ ঘটে। সবাই সচেতন হই।





০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪৩

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: " আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।"

বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়...

আমরা করব জয় একদিন।

৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:০১

সাজ্জাদ আহাদ বলেছেন: আপনার ভাইয়ের প্রতি রইল শুভেচ্ছা।

প্রতিবন্ধী কারা?? - দৃশ্যত আমরা যাদের শারীরিক/মানসিক প্রতিবন্ধীতাকে প্রতক্ষ্য করি তারাই কি শুধূ প্রতিবন্ধী। না।।। আমাদের প্রতিবন্ধী সমাজ ( যে সমাজে আমারা বাস করি) ওদেরকে প্রতিবন্ধী রূপে দেখতে শিখিয়েছে। সবার আগে বদলানো দরকার আমাদের এই প্রতিবন্ধী দৃষ্টিভঙ্গির।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪৬

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়...

আমরা করব জয় একদিন।

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:০২

শয়তান বলেছেন:
কিছুদিন আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে বলা হলো বধিরদের সুবিদার্থে টিভি নিউজে আলাদা ইনার উইন্ডোতে ইশারায় খবর দেখানো হবে । এটা সভ্য প্রায় সব দেশেই প্রচলিত আছে ।

কিন্তু আজও ঐ সিদ্ধান্তের বাস্তবতা দেখলাম না ।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪৮

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আশা রাখুন আপনার সন্তানেরা হয়ত বাস্তবায়িত হতে দেখবে।

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার এক বন্ধু, খুব মেধাবী, ওরকম মেধাবী আমি কম মানুষকেই দেখেছি। অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত। আমি দেখেছি, কি ভয়াবহ হতে পারে এটা,খুব কাছ থেকে। আর এটাও দেখেছি, কাছ থেকে দেখেও অনেকে না দেখার ভান করত, মজা লুটত, তাদের প্রতি আমার করুনা ভরা ঘৃনা।

আচ্ছা, মানুষ মানসিক হাসপাতালে ঘুরতে যায় কেন? যেন চিড়িয়াখানায় বেড়াতে যাচ্ছে। সত্যিকারের মানসিক অসুস্থ্য আমার এদেরকেই মনে হয়।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৫১

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: মানুষ মানসিক হাসপাতালে ঘুরতে যায় কেন?

কেন আবার, পাগল দেখতে। পাগল তো মানুষ না । ভুলে যায় যে কোন মুহূর্তে সে নিজেও পাগল হতে পারে।

১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:১৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: +++

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৫৩

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ভাল থাকুন।

১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:২১

অনন্যা রহমান বলেছেন: ভাইয়া, কোন সহানুভুতি নয়। আপনার ভাই সত্যিই একজন গর্ব করার মতো মানুষ। সর্ব প্রথম প্রয়োজন আমাদের প্রতিবন্দী মনের পরিবর্তন ঘটানো।

আপনার ভাগ্নীর উদ্দেশ্যে বলুন দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই । তুমি একজন সৎ, গর্বিত পিতার সন্তান। দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে পথ চলো জয় আসবেই।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৫৪

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।

বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়...

আমরা করব জয় একদিন।

ভাল থাকুন।

১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৪৪

শয়তান হন্তারক বলেছেন: অনন্যা রহমান বলেছেন: কোন সহানুভুতি নয়। আপনার ভাই সত্যিই একজন গর্ব করার মতো মানুষ। সর্ব প্রথম প্রয়োজন আমাদের প্রতিবন্ধী মনের পরিবর্তন ঘটানো। সহমত।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৫৫

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।"

বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়...

আমরা করব জয় একদিন।

১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪২

বৃত্তবন্দী বলেছেন:
আকিদা আপু, আমার ছোট বোনের সমস্যা ডাউন সিনড্রোম। তার মানসিক বয়স আটকে আছে ৭/৮ এ। তাকে নিয়ে বাইরের মানুষদের থেকে বেশি অবহেলা দেখেছি পরিবারের লোকদের ভিতরেই। আমার মাঝে মাঝে মনেহয় আসলেই আপনের চেয়ে পর ভালো, পরের চেয়ে জঙ্গল ভালো।


আপনার ভাইয়ার প্রতি শ্রদ্ধা। আর যারা তাকে নিয়ে এমন কথা বলে তাদের জন্য অন্তরের গভীর থেকে ঘৃণা আর করুণা ছাড়া আমার আর কোনো অনুভুতিই নেই।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৫৫

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ভাই তোমাদের বোনের প্রতি দায়িত্ব অনেক। একেতো সে স্বাভাবিক না তার উপরে মেয়ে। নন্দিত নরকে পড়েছেন ? এই সমস্যা এবং ভয় সব সময় থেকে যায়। আপনার বোনকে প্রতিবন্ধীদের স্কুলে দিন। সে সেখানে অনেক কিছু শিখবে। অবহেলা নয় ভালবাসা দিন। ভালবাসার কোন আর্থিক মূল্য নেই কিন্তু এর মূল্য অপরিসীম।

১৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪৬

এম এস জুলহাস বলেছেন:
একবার ভাবুনতো, আমরা যারা সুস্থ্য মানুষ বলে চিৎকার করি তারা কি প্রতিবন্ধীদের চে' বড় প্রতিবন্ধী নই ?
আমরা সুস্থ্য হয়েও অনেকেই প্রতিবন্ধীদের চে'ও প্রতিভাহীন, মনুষ্যত্বহীন।



ভাইয়াকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৫৬

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।"

বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়...

আমরা করব জয় একদিন।

১৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪৯

সহেলী বলেছেন: আসলে প্রতিবন্ধী কে বা কারা ? আমরা কি আসলেই বুঝতে পারি ? নাকি চিনতে পারি ?

এত এত বিকৃত মানসিকতার মানুষকে দেখি , অবাক হয়ে যাই ।
অনেক কিছু মনে আসছে , লিখতে পারছি না ।

আর তোমাকে বা তোমার জায়গার কোন মানুষকে এসব বলতে দেখে উহ্ আহ্ করবার মত দু:সাহস নেই ;
আছে শ্রদ্ধা । তোমার মায়ের ধৈর্য্য চিন্তা করে নিজেই অধৈর্য্য হয়ে যাচ্ছি ।

চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি , তথাকথিত অপ্রতিবন্ধী অহংকারী বাবা - মা এবং তাদের সন্তানেরা একদিন তোমার ভাইয়ের মেয়ের কাছে আসবে জাগতিক প্রয়োজনে । মেয়েটাকে আমার আদর দিও।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৫৯

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: সহেলী তুমি লেখ তোমার যা মনে আসছে তাই লিখ।
আমি অনেক কিছু পাব হয়ত তোমার লেখায়।

আমার লেখাটা পড়ে সবাই এত আন্তরিকতা দেখিয়ে মন্তব্য করেছে যে আমি আমার আবেগকে বেধে রাখতে পারছি না।

তোমরা সবাই ভাল থাক।

১৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৫০

সহেলী বলেছেন: এই পোষ্টে যিনি মাইনাস দিয়েছেন উনি কি একটু বলবেন কেন মাইনাস দিলেন ; গ্রহন যোগ্য কারন থাকতে পারে , জানতে ইচ্ছে করছে ।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:০১

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: হয়তো তার এই বিষয়টাই পছন্দ নয়। কি সব সমাজের অপাংতেয় দের নিয়ে লেখা?

১৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:০৩

বৃত্তবন্দী বলেছেন: অতটা মনোযোগ দিয়ে শিখায় না আপু। ওদের ধান্দা খালি অনুদানটা একটু হালাল করা। তারপরও যা শিখাচ্ছে তা ওর জন্য হেল্পফুল হচ্ছে সাথে আমরা তো আছিই...

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:১০

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আপনারাই ওকে সাহায্য করতে পারবেন। ছোট ছোট নিরাপদ হাতের কাজ শেখান। প্রচুর ধৈর্য্য লাগবে তবুও শিখে গেলেই দেখবেন আর ভুলবেনা।

ওকে ভালোবাসা দিন। ডাউন সিনড্রোম বাচ্চারা খুব বেশী দীর্ঘায়ু নিয়ে পৃথিবীতে আসে না। আশা করি আমার কথাতে মন খারাপ করেননি। তাই যত দিন বাঁচবে তাকে ভালবাসা দিয়ে হাসিতে খুশিতে রাখুন। আমি আমার ভাইকে নিয়ে কোথাও যেতে লজ্জা পাই না।

তাকে দেখে অনেকে অবাক চোখে দেখে আমি তাদের অবাক দৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ভাইয়াকে পরিচয় করিয়ে দেই আমার বড় ভাই।

১৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:১৮

ইমতিয়াজ জামিল বলেছেন: আপনার মত আমারও প্রশ্ন প্রতিবন্ধী আসলে কে? যাকে উপরওয়ালা বুঝার বোধ দিয়েছেন সে নাকি যাকে দেন নি সে? ভাইকে সালাম।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:১১

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।"

বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়...

আমরা করব জয় একদিন।

২০| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:২৪

বিষণ্ণ দুপুরে নির্জন নিষাদ বলেছেন: জগতের নোংরা থেকে বাঁচিয়ে ভাতিজীদের সব সময় সাহস আর আশাবাদিতা দিয়ে যান যেন যেকোনো পরিস্থিতিতে মনে হয় "জীবন সুন্দর।"

অভিযোগ নয়, নেতৃত্বের গুণাবলী করে তুলুন তাদের ভেতর।

আপনার লেখাটি অসম্ভব ভালো লাগল। ঝাঁপসা করল দৃষ্টি।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:৩৯

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।"

২১| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:২৬

কালপুরুষ বলেছেন: আমার নিজের পরিবারের মধ্যে দুজন প্রতিবন্ধী আছে। আমি তাদের বাবা মায়ের কষ্ট খুব কাছে থেকে দেখেছি। কি অমানুষিক পরিশ্রম করে দুটো পরিবার তাদের দুটো সন্তারকে দীর্ঘ ২৫ বছর টেনে আসছেন। তবুও তারা তাদের সন্তানকে কখনোই বোঝা মনে করেননি। আমার পরিবারের অন্য সদস্যরা সব সময় তাদের পাশে থেকেছি যে কোন প্রয়োজনে। সেই প্রতিবন্ধী সন্তানের একজন একটা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, নিজে গাড়ী ড্রাইভ করে। সবকিছু বঝতে পারে। বুদ্ধি করে অনেক কাজ করতে পারে। শুধু হাঁটা চলা ও কথার বলার ভংগি দেখেই শুধু বুঝতে পারা যায় সে প্রতিবন্ধী তবে শারিরীক প্রতিবন্ধী, মানসিক বা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নয়। আরেকজন ধীর্ঘকাল থেকেই অসুস্থ। সবকিছু বুঝতে পারে, ঠিক মতো হাঁটতে পারেনা, ঠিকমতো দাঁড়াতে পারেনা অথচ সে নিজেই নিজের কাপড় ইস্ত্রি করে। একা একা খাবে গোছল করবে। আমরা দেখে অবাক হই।

আসলে আমাদের সমাজের অনেক মানুষই আজ শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী না হলেও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তারা নিজেদের বোধটুকু কাজে লাগাতে ব্যর্থ। একটা অসুস্থ মানুষকে দেখেও তাদের বুদ্ধি বৃত্তি সক্রিয় হয়না। দুঃখ হয় তাদের জন্য যারা নিজেরাই সমাজের এক একটা বুদ্ধি বা বিবেক প্রতিবন্ধী। তাদেরকেই আমাদের করণা করতে হয় তাদের সংকীর্ণ মনোভাবের জন্য।

খুব ভাল লাগলো লেখাটা। অত্যন্ত দরদ ও মমতা দিয়ে লেখা। শুভ কামনা রইলো আপনার ভাই ও ভাইয়ের মেয়েদের জন্য। আল্লাহ্ ওদের সাহায় হউন।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:০৮

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।

২২| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৫৭

শ।মসীর বলেছেন: কোন প্রতিবন্ধী করুনার পাত্র হতে পারেনা।-- আপনার ভাই তাত প্রমান করেই দেখিয়েছে । সুস্হ আমরা দেশকে কি দিয়েছি, কি দিচ্ছি তাত সবায় দেখছে।

শুভ কামনা রইলো আপনার ভাই ও ভাইয়ের মেয়েদের জন্য। আল্লাহ্ ওদের সাহায় হউন। অনেক দুর এগিয়ে যাক তারা এই কামনা করছি।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:১৮

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: এই সব সোনার ছেলেরা সারা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে চিনিয়ে দিয়েছি।

বিল ক্লীন্টন থেকে শুরু করে যখন যে দেশে গিয়েছে সেই দেশের সব রাষ্ট্র প্রধানরা দাঁড়িয়ে ওদের সম্মান করেছে। প্রবাসী বাঙ্গালীরা ওদের বুকে করে রেখেছে। কে কাকে তাদের বাড়িতে একবেলার জন্য নিয়ে যাবে তাই নিয়ে কাড়াকাড়ি করেছে।

যদিও ওদের খেলার জন্য কোন মাঠ নেই। ওদের প্রশিক্ষন দেন যে শিক্ষকেরা তাদের ধৈর্য্য দেখে দেখে ভুলেই গিয়েছিলাম ওরা যে অপাংতেয় এই সমাজে।

সেই যে শুরু বাংলাদেশের স্বর্নপদক জয় করা ১৯৯৩সাল থেকে এখন ও প্রতিবার ওরা সবচেয়ে বেশী পদক নিয়ে আসে।

২৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার ভাইকে স্যালুট!!!

প্রতিবন্ধীরা আমাদেরই সন্তান, আমাদেরই কারো ভাই, কারো বোন। আপনার ভাই প্রতিবন্ধী নন-একজন মানুষ। তিনি আমারো ভাই, আমার বন্ধু। ভাইটি মোটেই প্রতবন্ধী নন। যারা তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে, যারা ভাইয়ের নিষ্পাপ মেয়েটিকে বিরক্ত করে-তারাই প্রকৃত প্রতিবন্ধী।
আমার সকল ঘৃনা সেই সব মুখোশ পড়া মানুষগুলোর জন্য-যারা সুস্থ্যতার নামে অন্যকে তাচ্ছিল্য করে।

ভাইয়ের মেয়েটির জন্য আমার অন্তরে যত শুভাশীষ আছে-সব তার জন্য। আমার অনেক অনেক আদর তার জন্য।

এই পোস্টে যে নরাধম মাইনাস দিয়েছে-তার মুখোশ/পরিচয় উন্মোচন করার জন্য সামহোয়ারইন কঋপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। অমন ঘৃনিত কীটের মুখোশ উন্মোচন করাও সামাজিক দ্বায়িত্বের পর্যায়ে পড়ে বলেই আমি বিশ্বাস করি।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:২৮

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন:

আমার ভাইয়া। আমার গর্ব, আমার অহংকার। সবাই কি সব কিছুর মূল্য বোঝে। আমি বুঝি তাই কেউ আমার অহংকারে এতটুকু চির ধরাতে পারে না।

জ্বলে পুড়ে মরি ছাড়খার তবু মাথা নোয়াবার নয়।

২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:৩৩

মমমম১২ বলেছেন: মানুষ ছোট একটা বাচ্চাকে কি ভাবে এসব বলতে পারে মাথায় আসেনা।

আর সচিবের মেয়ে হলে সব মাফ কি চমৎকার!

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৩৫

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন:

আমার মন্ত্রঃ

মহা বিশ্বের মহাকাশ ফারি
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি
ভূলোক দূলোক গোলক ভেদিয়া,

খোদার আসন আরশ ছেদিয়া
উঠিয়াছি আমি চীর বিস্ময়
বিশ্ব বিধাত্রীর

২৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৩২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আপনি তো ইতিহাস নিয়ে আগ্রহী।

http://www.livius.org/

এটি ইতিহাসের অসাধরন একটি সাইট। বুকমার্ক করে নিন।
আর মাঝে মাঝে বিষয় নির্বাচন করে অনুবাদ করে পোস্ট করুন।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৩৭

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৩৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: এই পোস্টে যে নরাধম মাইনাস দিয়েছে-তার মুখোশ/পরিচয় উন্মোচন করার জন্য সামহোয়ারইন কঋপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। অমন ঘৃনিত কীটের মুখোশ উন্মোচন করাও সামাজিক দ্বায়িত্বের পর্যায়ে পড়ে বলেই আমি বিশ্বাস করি।

একমত।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৩৯

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: মাইনাস দেবার কারনটা জানলে খুব ভালো হত।

ধন্যবাদ।

আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।"

জ্বলে পুড়ে মরি ছাড়খার তবু মাথা নোয়াবার নয়।

২৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০১

নুশেরা বলেছেন: ভাইয়াসহ আপনাদের পরিবারের সকলের সংবেদনশীলতার প্রতি অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা রইলো।


তারা কেবল শারীরিক বা মানসিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধকতার শিকার নয়, বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই পৃথিবী রাষ্ট্র সমাজ সভ্যতা সবকিছুই তাদের জন্য যেন পদে পদে প্রতিবন্ধক তৈরি করে রেখেছে। আমরা কে কতো নিষ্ঠুর হতে পারি তার প্রতিযোগিতাতে মেতে থাকি।

অটিজম আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে কাজ করছে, অভিভাবকদের এমন একটি সংগঠনে অটিস্টিক শব্দটির ব্যবহার নিয়ে অনেকের আপত্তি দেখলাম। বিষয়টি আমাকে বেশ ভাবিয়েছে। এর পর থেকে ব্যক্তিগতভাবে আমি আর "প্রতিবন্ধী" "রিটার্টেড" "অটিস্টিক" এই শব্দগুলো ব্যবহার করিনা। কেউ তো তার নিজের অযোগ্যতা বা নিজ কর্মদোষে এই ট্যাগিঙের আওতায় আসেনা। তাই এদের বর্ণনার জন্য বিকল্প শব্দ হওয়া উচিত "প্রতিবন্ধকতার শিকার" বা "অটিজম আক্রান্ত"। আমি বরং প্রতিবন্ধী বলবো সেই নেতা বা আমলাকে, একটা গাড়ির বিনিময়ে যে দেশের তেলগ্যাসের স্বত্ব বিকিয়ে দিতে পারে। আমি প্রতিবন্ধী বলবো আমার সেই মাস্টার্স ডিগ্রিধারী বান্ধবীকে; সরকারী কর্মজীবির কন্যা বা স্ত্রী হয়ে বিলাসী জীবনের অহঙ্কার প্রদর্শনে সতত যার নির্লজ্জ ব্যস্ততা।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:২৩

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: নুশেরা আপনাকে বলার আমার কিছুই নেই, কিভাবে যেন আপনার কথা গুলি আমার কথা হয়ে যায়। কিংবা আপনার কথার মাঝেই আমি আমার কথা খুজে পাই।

২৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৮

পুরাতন বলেছেন: আপনার ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪১

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: জ্বলে পুড়ে মরি ছাড়খার তবু মাথা নোয়াবার নয়।

২৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৩

শূন্য আরণ্যক বলেছেন: মানুষ নিজেদের চে আলাদা কিছু দেখে অভ্যস্ত নয় । তাই এইসব বিকার ।

আপনার ভাই আর ভাতিজীর জন্য শুভকামনা রইলো ।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪২

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।"

৩০| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৬

ফুলপাতা বলেছেন: চোখ ঝাপসা। কি লিখব ঠিক করতে একটু সময় লেগে যায়। ভাইয়ার জন্য ভালবাসা। আর বিরামহীন লড়াইয়ে জয়ী হওয়ায় অভিনন্দন আপনাদের জন্য। আর ভাইয়ার মেয়ের জন্য আলাদাভাবেই অকুন্ঠ দোয়া....ও জয়ী হবে ওরই প্রতিভাবলে। আমি বিশ্বাস করি।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪৩

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।"

৩১| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:০৬

মেহবুবা বলেছেন: তোমাদের এসব লেখায় অনেক কিছু মনে আসে , সময় হয় না ।

আমার একজন সিনিয়র আপা তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ( প্রাপ্ত বয়স্ক ) এখন পর্যন্ত যেমন করে যত্ন করছেন দেখলে নত হতে হয় তার কাছে ।
কতকিছু করবার আছে আমাদের সবার , অবলীলায় দায়িত্ব এড়িয়ে যাই ।
আমার এক বান্ধবীর ছোট বোন আমার অত্যন্ত স্নেহের চলতে পারে না , অনেক মেধাবী , ধৈর্য্যশীলা , লক্ষ্মী । ওদের বাসায় কেউ গেলে সবার সাথে স্বাভাবিক কথা বলে , ওর কাছে গেলে করুন স্বরে কথা বলে । ও বড় একটা মেয়ে , সব বোঝে । বিরক্ত হই এসব দেখলে ।
উচ্চবিত্ত পরিবার , তবু ওর বাবা মায়ের মধ্যে উৎকন্ঠা ।

মেয়েটা আমাকে খুব ভালবাসে । একদিন ওর বাবা আমায় বলেছিলেন , " মা আমরা যখন থাকব না তুমি ওকে দেখ " । জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি , এটা একটা শ্রেষ্ঠ পাওয়া আমার ।

আরেকটা কথা মনে আসছে । ছোটবেলায় আমাদের বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে একটা লোক কাপড়বিহীন যাচ্ছে আর কতগুলো ছোটবড় মানুষ ' পাগল , পাগল ' বলছে । আম্মাজী একটা পুরোন ফুলপ‌্যান্ট কাঁচি দিয়ে কেটে , রশি বেল্টের মত করে তার কোমরে বেঁধে দেওয়ালেন । এতে করে কিছুক্ষন পর তার রশিবাঁধা প‌্যান্ট নিয়ে তাকে ক্ষ্যাপানো শুরু হল । আম্মা মন খারাপ করে বললেন , উনি শুধু পাগল , পেছনের গুলি পাগল , অসভ্য এবং বর্বর , ক্ষতিকর প্রানী ।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪৬

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: এমন ভাবে তোমরা আমাকে ভালোবাসা দেখাচ্ছ যে আমি বার বার চোখ মুছছি। প্রতিটা মন্তব্য আমাকে একবার করে কাঁদাল। মনে হচ্ছে কেন বার বার ভুলে যাই যে আমি এবং আমরা একা নই তোমরা আছ আমার সাথে।

৩২| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৬:১৯

ফারহান দাউদ বলেছেন: আপা, আমরা যারা নিজেদের সুস্থ বলে দাবী করি তারা দেশের জন্য যা কোনদিন করতে পারিনি, আপনার ভাই আমাদের থেকে আলাদা (প্রতিবন্ধী শব্দটা ব্যবহারে আমার আপত্তি আছে) হয়েও সেটা করতে পেরেছেন, তাদের জন্যই অলিম্পিকে বাংলাদেশে সোনার পদক পায়, আমাদের জাতীয় সঙ্গীত বাজে, এই গর্ব কয়জন বাংলাদেশী করতে পারে? আমরা তো শুধু নিয়েই গেলাম, দিতে তো পারলাম না কিছু। কোনরকম সহানুভূতি নয়, নিজের যোগ্যতায় যারা এমন গর্বের জায়গায় দাঁড়াতে পারেন, তাদের জন্য শ্রদ্ধা। আর আমাদের মাঝে ভয়ঙ্কর পশু লুকিয়ে আছে, কেউ সেটা চেপে রাখতে পারে, কেউ পারে না, যারা পারে না তাদের কথায় মর্মাহত হবার দরকার নেই, সবাই মানুষ হবার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে না।

০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:১২

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: সবাই মানুষ হবার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে না। ---

মানুষ হবার সৌভাগ্য সবার হয় না, এটাই আমাদের সান্তনা। ভাল থাকুন ভাইয়া।

৩৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:০২

অন্যরকম বলেছেন: এক "পাগল, অসভ্য, বর্বর" মাইনাস দিয়ে গেল!

০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:৫৬

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: এই "পাগল, অসভ্য, বর্বর" আপনারে++++ হা হা হা।।

৩৪| ১০ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৫৫

আল্লাহ রাখা বলেছেন: আপনার ভাইয়ার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা রইল

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১৯

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।"

৩৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:২৪

রোবোট বলেছেন: প্রতিবারই ভাবি আপনার পোস্টে কিছু বলে যাবো। ঠিক বুঝি না কি বলবো। আমি এমনিতে খুব সাধারণ মানের মানুষ। তেমন কিছু বলতে/লিখতে পারি না।

একটা জিনিষ আমি বিশ্বাস করি, মানুষের জীবনে সবচয়ে বড় সত্য হলো লড়াই। আমরা কেবল লড়ে যাই। আশা করি এ লড়াইয়ে জিতবেন।

২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:০৪

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।"

আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

৩৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৪

নাজনীন১ বলেছেন: লেখাটি আজই পড়লাম। ভাবি আমরা কত নির্লজ্জ, মানুষকে কষ্ট দিতে আমাদের মোটেও বাঁধে না। এতো অহংকার আমাদের মনে!! কিসের জন্য??

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৩১

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। অনেক দিন পর আসলেন। ভালো থাকুন।

৩৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৮

নিলাচল বলেছেন: প্রতিবন্ধি আমার নিজেকেই মনে হয়, কারন কারও ভালো দেখতে পারিনা, কারও ভালো খবর শুনলেই তাতে খারাপ খোঁজার চেষ্টা করি, অন্যের সম্বন্ধে ভালো করে না জেনে শুনেই খারাপ মন্তব্য করি। আপনার ভাইয়ের মত মানুষরা তাতো করতে জানেনা, তারা সবাইকে অসম্ভব ভালো ভাবে। আর এই কারনেই তো তাদেরকে কেউ ভালো চোখে দেখেনা। তাদের সামনে দাড়ালে যে নিজের খারাপ দিকগুলি প্রকাশপেয়ে যাবে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৫৬

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনাকে আমি আর কি বলব শুধু ধন্যবাদ জানাচ্ছি।


আমি জাতি জানতে চায় কে পড়ার জন্য এই লিংক্টা দিয়েছি। উনিতো এলেন না। ওনাকে আমার স্বাভাবিক বোধ সম্পন্ন মানুষ মনে হয়নি। যুক্তির বাইরে তার অবাস্থান।

৩৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৬

এমডি লাভ বলেছেন: আমরা সুস্থ্য হয়েও অনেকেই প্রতিবন্ধীদের চে'ও প্রতিভাহীন, মনুষ্যত্বহীন।

উনি তো শুধু আপনার ভাই না, উনি আমাদেরও ভাই,
গোটা জাতির ভাই.,
আমার ভাইয়ার জন্য শুভকামনা রইলো ।

আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন।"+++++

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৩৮

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:২৫

এমডি লাভ বলেছেন: ভাই এই পোষ্টে মাইনাচ দিলো কন শালা?

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৩৯

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: একজন প্রতিবন্ধী নিশ্চই।?

৪০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪১

রিমি (স. ম.) বলেছেন: একজন মানুষ এত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও এতখানি কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, সেই পরিবারের কেউ না হয়েও একটা গর্ববোধ হচ্ছে। হয়ত একজন মানুষ হিসাবে আরেকজন মানুষের সাফল্য জানছি বলে।

সাফল্য অনেকেরই চক্ষুশূল। কিন্তু স্কুলপড়ুয়া বাচ্চা একটা মেয়েকে কেউ এমন করে বলতে পারে এটা ভাবতে খুব অবাক লাগে। আমি তো কিছুতেই পারব না, আরেকজন কি করে পারছে? জানি না।

সবাই ভাল থাকুন। আপনার ভাই আর তার পরিবার আরও সফল হোক জীবনের সকল ক্ষেত্রে, এই কামনা রইল।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৪৮

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমরা কাজ করি দেশের সকল প্রতিবন্ধীদের নিয়ে। আমি একক ভাবে আমার ভাই নয় সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে এদের সম্মান চাই।

ভাইয়া একক ভাবে আমার গর্বের নয়। বিল ক্লিন্টন, বুশ, চীনের প্রেসিডেন্ট বা অস্ট্রেলীয়ার প্রেসিডন্ট যাদের হাতে পদক তুলে দেন, যাদের হাতে থাকে দেশের পতাকা তারা কি আমাদের ব্যাক্তিগত?? কখনই নয়। তারা সারা দেশের সম্পদ, সারা দেশের গর্ব- অহংকার। ধন্যবাদ।

৪১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২৯

মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: যারা মানুষের অসহায়ত্বকে নিয়ে মজা করে তারাই জ্ঞান প্রতিবন্ধী

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:২০

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: কে করেনা বলতে পারেন?? কতটা বড় হৃদয় হলে মানুষ মানুষকে মানুষ ভাবে। ধন্যবাদ।

৪২| ২১ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৫৮

অযুত বলেছেন: :(

৪৩| ২৪ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৫৭

উপদেশ গুরু বলেছেন: রিমি (স. ম.) বলেছেন: একজন মানুষ এত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও এতখানি কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, সেই পরিবারের কেউ না হয়েও একটা গর্ববোধ হচ্ছে। হয়ত একজন মানুষ হিসাবে আরেকজন মানুষের সাফল্য জানছি বলে।

সাফল্য অনেকেরই চক্ষুশূল। কিন্তু স্কুলপড়ুয়া বাচ্চা একটা মেয়েকে কেউ এমন করে বলতে পারে এটা ভাবতে খুব অবাক লাগে। আমি তো কিছুতেই পারব না, আরেকজন কি করে পারছে? জানি না।

সবাই ভাল থাকুন। আপনার ভাই আর তার পরিবার আরও সফল হোক জীবনের সকল ক্ষেত্রে, এই কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.