নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কতগুলি প্রশ্ন আমাকে ছেলেবেলা থেকেই চিন্তান্বিত করেছে, এগুলোর উত্তর আমি বহু জায়গায় খুঁজেছি, কিন্তু বৎসর বৎসর চলে যায় মেলেনি উত্তর

কত আজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই দূরকে করিলে নিকট,বন্ধু, পরকে করিলে ভাই।

সামছা আকিদা জাহান

ছন্নছাড়া, গৃহহারা, বাউন্ডুলে, ভবঘুরে, যাযাবর-------- কত হরেকরকম রংবেরঙ্গের শব্দই না আছে বাংলাতে ভ্যাগাবন্ড বোঝাবার জন্য। কিন্তু সত্যিকার বাউন্ডুলিপনা করতে হলে সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা------ গেরুয়াধারন। ইরান- তুরান- আরবিস্থানে আর বাংলাদেশে দরবেশ সাজা। ইউরোপে এই ঐতিহ্যমূলক পরিপাটি ব্যবস্থা না থাকলেও অন্যান্য মুষ্টিযোগ আছে যার কৃপায় মোটামুটি কাজ চলে যায়।

সামছা আকিদা জাহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথ ----সেকাল ও একালের বাঁশিওয়ালা

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৪

আজ বাইশে শ্রাবন। তাই কবি গূরু রবীদ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরন করে কিছু লিখতে ইচ্ছে হল। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের অনেক কবিতার মধ্যে থেকে এই কবিতাটি নিয়ে আমি ভাবি প্রায়ই। সেই কবে ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের ২ আষাঢ় তিনি লিখেছেন এই কবিতাটা। আর আজ ১৪১৬সালের ২২শে শ্রাবন।





বাঁশিওয়ালা







‘ওগো বাঁশিওয়ালা,

বাজাও তোমার বাঁশি,

শুনি আমার নূতন নাম;---

এই ব’লে তোমাকে প্রথম চিঠি লিখেছি,

মনে আছে তো?।





আমি তোমার বাংলাদেশের মেয়ে।

সৃষ্টিকর্তা পুরো সময় দেন নি

আমাকে মানুষ ক;রে গড়তে,

রেখেছেন আধাআধি করে।

অন্তরে বাহিরে মিল হয় নি--

সেকালে আর আজকের কালে,

মিল হয়নি ব্যথায় আর বুদ্ধিতে,

মিল হয়নি শক্তিতে আর ইচ্ছায়।

আমাকে তুলে দেন নি এ যুগের পারানি নৌকায়--

চলা আটক করে ফেলে রেখেছেন

কালস্রোতের ও পারে বালুডাঙায়।

সেখান থেকে দেখি

প্রখর আলোয় ঝাপসা দূরের জগৎ;

বিনা কারনে কাংগাল মন অধীর হয়ে ওঠে;

দুই হাত বাড়িয়ে দেই,

নাগাল পাই নে কিছুই কোনো দিকে।।



বেলা তো কাটে না,

বসে থাকি জোয়ার-জলের দিকে চেয়ে---

ভেসে যায় মুক্তিপারের খেয়া,

ভেসে যায় ধনপতির ডিঙা,

ভেসে যায় চলতি বেলার আলোছায়া।

এমন সময় বাজে তোমার বাঁশি

ভরা জীবনের সুরে,

মরা দিনের নাড়ীর মধ্য

দব্‌দবিয়ে ফিরে আসে প্রাণের বেগ।।



কী বাজাও তুমি,

জানি নে সে সুর কার মনে জাগায় কী ব্যথা।

বুঝি বাজাও পঞ্চম রাগে

দক্ষিন হাওয়ার নব যৌবনের ভাটিয়ারি।

শুনতে শুনতে নিজেকে মনে হয়

যে ছিল পাহাড়তলির ঝির্‌ঝিরে নদি

তার বুকে হঠাৎ উঠেছে ঘনিয়ে

শ্রাবনের বাদল-রাত্রি।

সকালে উঠে দেখা যায় পাড়ি গেছে ভেসে,

একগুঁয়ে পাথরগুলিকে ঠেলা দিচ্ছে

অসহ্য স্রোতের ঘূর্ণিমাতন।।





আমার রক্তে নিয়ে আসে তোমার সুর

ঝড়ের ডাক, বন্যার ডাক,

আগুনের ডাক,

পাঁজরের-উপরে-আছাড়-খাওয়া

মরন সাগরের ডাক,

ঘরের-শিকল-নাড়া উদাসী হাওয়ার ডাক।

যেন হাঁক দিয়ে আসে

অপূর্নের সংকীর্ন খাতে

পূর্ন স্রোতের ডাকাতি--

ছিনিয়ে নেবে ভাসিয়ে দেবে বুঝি।

অঙে অঙে পাক দিয়ে উঠে

কালবৈশাখির-ঘূর্ণি-মার -খাওয়া অরণ্যের বকুনি।।



ডানা দেননি বিধাতা--

তোমার গান দিয়েছে আমার স্বপ্নে

ঝোড়ো আকাশে উড়োপ্রানের পাগলামি।।



ঘরের কাজ করি শান্ত হয়ে;

সবাই বলে ‘ভালো’

তারা দেখে আমার ইচ্ছের নেই জোর,

সাড়া নেই লোভের,

ঝাপট লাগে মাথার উপর

ধুলোয় লুটাই মাথা।

দুরন্ত ঠেলায় নিষেধের পাহারা কাত ক’রে ফেলি

নেই এমন বুকের পাটা;

কঠিন করে জানিনে ভালবাসতে,

কাঁদতে শুধু জানি,

জানি এলিয়ে পড়তে পায়ে।।







বাঁশিওয়ালা,

বেজে ওঠে তোমার বাঁশি,

ডাক পড়ে অমর্তলোকে;

সেখানে আপন গরিমায়

উপরে উঠেছে আমার মাথা।

সেখানে কুয়াশার পর্দা-ছেঁড়া

তরুন সূর্য আমার জীবন।

সেখানে আগুনের ডানা মেলে দেয়

আমার বারন-না-মানা আগ্রহ,

উড়ে চলে অজানা শূন্যপথে

প্রথম-ক্ষুধায়-অস্থির গরুরের মতো।

জেগে উঠে বিদ্রোহিণী,

তীক্ষন চোখের আড়ে জানায় ঘৃনা

চারদিকের ভীরুর ভিড়কে--

কৃশ কুটিলের কাপুরুষতাকে।।





বাঁশিওয়ালা,

হয়তো আমাকে দেখতে চেয়েছ তুমি।

জানি নে, ঠিক জায়গাটি কোথায়,

ঠিক সময় কখন,

চিনবে কেমন ক’রে।

দোসরহারা আষাঢ়ের ঝিল্লিঝনক রাত্রে

সেই নারীতো ছায়া রূপে

গেছে তোমার অভিসারে

চোখ- এড়ানো পথে।

সেই অজানাকে কত বসন্তে

পরিয়েছ ছন্দের মালা--

শুকোবে না তার ফুল।



তোমার ডাক শুনে একদিন

ঘরপোষা নীর্জীব মেয়ে

অন্ধকার কোন থেকে

বেরিয়ে-এল ঘোমটা খসা নারী।

যেন সে নতুন ছন্দ বাল্মীকির,

চমক লাগাল তোমাকেই।

সে নামবে না গানের আসর থেকে;

সে লিখবে তোমাকে চিঠি

রাগিনীর আবছায়ায় বসে--

তুমি জানবে না তার ঠিকানা।

ওগো বাঁশিওয়ালা।

সে থাক তোমার বাঁশির সুরের দূরত্বে।।







এই কবিতায় যে আকুলতা তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন সেই সময় সেই সমাজের পরিপ্রেক্ষিতে তার কতটুকু বদল হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের অসস্থান। আর কত কাল যাবে যখন আমরা এই কবিতাটি পড়ে বলতে পারব, সেই সময় সমাজ বোধ হয় এমন ছিল। ওটা অতীত কালের কথা।





মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০২

আবু সালেহ বলেছেন:
সেকাল আর একালের ব্যবধান বড়বেশী....

সেকাল আর একাল ভাবায় অনেক অনেক বেশী

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৩৮

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ব্যবধান সামান্য সময় অনেক।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০৩

প্রমিত কুমার বলেছেন: সেকাল আর একালের পার্থক্য ঘুচিয়েছেন বলেই কবি মহাকবি। আমাদের বাংলাদেশের মেয়েদের অবস্থান আজও কি খুব বেশী পরিবর্তণ হলো?

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৩৯

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমাদের বাংলাদেশের
মেয়েদের অবস্থান আজও কি খুব বেশী পরিবর্তণ হলো?

আপনার কি মনে হয়??

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০৩

কালপুরুষ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। চমৎকার একটা কবিতা শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

কোন এক অনুষ্ঠানে এই কবিতার আবৃত্তি শুনেছিলাম মন্ত্রমুগ্ধের মতো। অসম্ভব দরদ আর আবগে নিয়ে যিনি আবৃত্তি করেছিলেন তাঁর নামটা মনে নেই। নামটা কখনোই মনে করতে পারিনি। তাঁকে দেখলে হয়তো চিনবো। তার কন্ঠে উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ এখনো আমার কানে বাজে।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৪২

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: হয়ত আমার আবৃত্তি শুনেছিলেন -- নামটা যখন মনে নেই আর আবৃত্তি খুব ভালো হয়েছিল যখন --তখন সেটা আমি অবশ্যই।

ধন্যবাদ দাদা।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:১১

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ভাললাগার কবিতা এটি।
অনেক ধন্যবাদ।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৪৩

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: সামান্য মেয়ে কবিতাটি পড়েছেন?ধন্যবাদ আপু।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: সেই সময়ের আর সেই সমাজের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে বাংলাদেশের মেয়েদের অবস্থান অনেক বদল হয়েছে বলেই আমি বিশ্বাস করি।

কবিগুরুর চমতকার একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৪৮

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: অনেক নয় যতটা হওয়া উচিত ছিল তার কিছুই হয়নি। যা হয়েছে তা খুব সামান্য।

কবির কবিতার নায়িকার বুকের আকুতি এখনও আকুতিই রয়েগেছে। মেয়েরা চার দেয়ালের বাইরে এসেছে ঠিকই কিন্তু

ডাক পড়ে অমর্তলোকে;
সেখানে আপন গরিমায়
উপরে উঠেছে আমার মাথা।
সেখানে কুয়াশার পর্দা-ছেঁড়া
তরুন সূর্য আমার জীবন।
সেখানে আগুনের ডানা মেলে দেয়
আমার বারন-না-মানা আগ্রহ,
উড়ে চলে অজানা শূন্যপথে
প্রথম-ক্ষুধায়-অস্থির গরুরের মতো।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:২০

কক বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ সাহেব যে স্কটিস সুর নকল করে নিজের নামে চালিয়া দিতেন, সেই সম্পর্কে কিছু জানেন কি?

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৫৬

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের হাজার হাজার গান তার হাজার হাজার সুর। একই সুরে তার অনেক গান আছে।

একজন সুরকার যখন সুর করেন তখন তার মধ্যে অন্য কোন সুর কাজ করতেই পারে তার প্রভাব থেকে যার তার সুরে।

রবীন্দ্রনাথ সারা বিশ্ব থেকে গন সংগ্রহ করতেন সে সব শুনতেন। হয়ত তার মাঝে কোন কোন সুর গেঁথে গিয়েছে। তিনি ওই সুরের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেননি অথবা তিনি সুরটি ছেড়ে দেননি। তার গানে ব্যাবিহার করেছেন কোন কোন জায়গায়।তাই তার অনেক গানেই বিভিন্ন ভাষার গানের সুরের মিল খুজে পাওয়া যায়।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:২৯

তাজা কলম বলেছেন: যুগ পরিবর্তন হয়েছে, হয়েছে মেয়েদের সামাজিক অবস্থার অনেক ক্ষেত্রেই। শুধু পরিবর্তন হয়নি আমাদের, এই পুরুষ প্রজাতির নারী জাতির প্রতি প্রদর্শিত মানসিকতার। ধন্যবাদ এ ২২শে শাবণে কবিগুরুর কবিতা উপহার দেওয়ায়।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৫৭

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ,

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:০০

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: কবিতাটি অনেক বিখ্যাত এবং প্রিয়।
এত বড় কবিতা কষ্ট করে লিখার জন্য ধন্যবাদ।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৫৮

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: এত ভালো লাগে কবিতাটা শেয়ার না করে পারলাম না। ধন্যবাদ।

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:০২

সহেলী বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ থেকে পালাতে চাইলা, তুমি আবার এক পা সামনে !
উনি দৈনন্দিন কাজে বড় ব্যাঘাত ঘটান !
সব ভুলিয়ে জগাখিচুড়ি করে দেন !

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:০০

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: একদম ঠিক বলেছ। আমার জীবনটাকে নষ্ট করেছে বা সুন্দর করেছে এই এক লোক।

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:১২

মেঘ_কম বলেছেন: "মরা দিনের নাড়ীর মধ্যে
দব্‌দবিয়ে ফিরে আসে প্রাণের বেগ"

রবি বাবুর কিছু পড়তে গেলে এই কথাই মনে হয়।

ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট এর জন্য।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:০২

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ। আর আমি যখ অসহায় বোধ করি তখন মনে পরে

নেমে এস আমার সমতলে
বিছানায় শুয়ে দেবতার কাছে যে অসম্ভব বর মাগি তা আমি পাব না জানি।

১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই বুলগে কে জানি একজন লেখছিলো, রবীচাচ্চু ছাড়া বাঙ্গালী অস হায়।

অনেক চিন্তা কইরা দেখলাম আসলে উনি না থাকলে আমার একটা বুর্বক জাতী হয়ে থাকতাম অনেকটা মধ্যপ্রাচ্যের পেটমোটা মাথামোটা জাতীদের মতো!

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:০৫

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের কথা আর বইলেননা ভাই ওদের উটের আর মরুভূমির ছবি দেখলেই গলা শুকায় কাঠ হয়ে যায়।

আসলেই মনে হয় "রবীচাচ্চু ছাড়া বাঙ্গালী অসহায়।"

১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৪৮

কালপুরুষ বলেছেন: তোমার বা আমার কোন এক পোস্টে আমি মন্তব্যে লিখেছিলাম তুমি মনে হয় আবৃত্তি করো- সেটা মন হয় একদম সত্যি। শুনবো তোমার আবৃত্তি- হয়তো সেই দিন বেশী দূরে নয়।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:০৬

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: হা হা হা।

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৫৫

শ।মসীর বলেছেন: প্রখর আলোয় ঝাপসা দূরের জগৎ;
বিনা কারনে কাংগাল মন অধীর হয়ে ওঠে;
দুই হাত বাড়িয়ে দেই,
নাগাল পাই নে কিছুই কোনো দিকে।।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:০৭

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ডানা দেননি বিধাতা--
তোমার গান দিয়েছে আমার স্বপ্নে
ঝোড়ো আকাশে উড়োপ্রানের পাগলামি।-------

.
.
.
.
.
...
.
.
.





তোমার ডাক শুনে একদিন
ঘরপোষা নীর্জীব মেয়ে
অন্ধকার কোন থেকে
বেরিয়ে-এল ঘোমটা খসা নারী।
যেন সে নতুন ছন্দ বাল্মীকির,
চমক লাগাল তোমাকেই।
সে নামবে না গানের আসর থেকে;
সে লিখবে তোমাকে চিঠি
রাগিনীর আবছায়ায় বসে--
তুমি জানবে না তার ঠিকানা।
ওগো বাঁশিওয়ালা।
সে থাক তোমার বাঁশির সুরের দূরত্বে।।

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৪০

অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: :( :( :(

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৩৪

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: মন খারাপ কেন ভাই?তোমার ডাক শুনে একদিন
ঘরপোষা নীর্জীব মেয়ে
অন্ধকার কোন থেকে
বেরিয়ে-এল ঘোমটা খসা নারী।
যেন সে নতুন ছন্দ বাল্মীকির,
চমক লাগাল তোমাকেই।
সে নামবে না গানের আসর থেকে;
সে লিখবে তোমাকে চিঠি
রাগিনীর আবছায়ায় বসে--
তুমি জানবে না তার ঠিকানা।
ওগো বাঁশিওয়ালা।
সে থাক তোমার বাঁশির সুরের দূরত্বে।।

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৬

মেহবুবা বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।
আজ আমার মেয়েকে বলছিলাম , অনেকজন একসাথে হয়ে একজন রবীন্দ্রনাথ ।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৩৫

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: খুব ভাল কথা বলেছতো, আর আমি বলি সব জায়গায় রবীন্দ্রনাথ।

১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:১৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: বেশ লাগল পড়তে।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৩৬

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার ভালো লাগাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম

১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:১০

কাব্য বলেছেন:
/:) /:) /:)
:| :| :|
:-* :-* :-*

০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:১৯

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: :-/:-/:-
:):):)

১৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৪৬

আকাশ অম্বর বলেছেন:

মাঝে মাঝে খুব আশ্চর্য হই। প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় - কয়টি সত্ত্বা ছিলো তাঁর ভেতর?

অনেক ধন্যবাদ।

০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:৩৬

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: বলুন তো কোথায় তিনি নেই? আমাদের জীবনের প্রেম ভালবাসা থেকে শুরু করে সব সমস্যা, আনন্দ, বেদনা, হাসি, কান্না সব সব অনুভূতিতে তার সরব উপস্থিতি।

১৯| ১০ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:২১

অগ্নিগিরি বলেছেন:
স্বপ্ন দেখাও কবি!

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪০

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: স্বপ্ন দেখাও। ধন্যবাদ।

২০| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মাহবুব সুমন বলেছেন: সময় বদলেছে, পোষাক বদলেছে , অনেক কিছুই হয়তো বদলেছে তবে মেয়েদের অবস্থানের বিশাল পরিবর্তন ঘটেনি।

১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:২০

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: সহমত। আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছি-- সেকাল আর একালের ব্যাবধান কতটুকু?

২১| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:১২

অপ্‌সরা বলেছেন: সেকাল আর একালের ব্যাবধান অনেকটুকু আবার একটুও না।

যাইহোক এই কবিতাটা আমার অনেক অনেক প্রিয়।

১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৪২

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ অপ্‌সরা, ভালো আছো তুমি?

আমি ব্যাবধানটা শুধু বাহ্যিক দেখি কিন্ত অন্তরে ব্যাবধান একেবারেই নেই।।

কবে হবে জানি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.