![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ক্রস-বর্ডার অফেন্স" বলে একটা কথা আছে। এর মানে হলো সীমানা পেরিয়ে ভিন্ন ভূখণ্ডে ঢুকে কোনো অপরাধ করা। আমাদের দেশে একটা সময় পর্যন্ত রাজনীতিতে ক্রস-বর্ডার অফেন্সের ব্যাপারে রাজনীতিকরা খুব সচেতন থাকতেন। এক পার্টির নেতা অন্য পার্টির অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলাটাকে ক্রস-বর্ডার অফেন্স মনে করতেন এবং এ থেকে বিরত থাকতেন। রাজনীতি থেকে সুরুচি ও সুস্থ সংষ্কৃতিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হয়েছে এবং সাধারণ যে চক্ষুলজ্জা সেটাও এখন উঠে গেছে। আওয়ামীলীগের নেতারা এখন রোজই বিএনপির ঘরোয়া ব্যাপার নিয়ে অশ্লীলভাবে নাক গলাচ্ছেন এবং অযাচিত অশোভন মন্তব্য করাটা তাদের কাছে ডালভাত হয়ে গেছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি এখন দফতরবিহীন মন্ত্রী। এটা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ প্রধানের এখতিয়ার। তাদের দলের সাধারণ সম্পাদককে তিনি সরকারের যে পর্যায়ে রাখতে চান রাখুন। তাতে অন্যের কোনো মাথাব্যাথার কারণ নেই এবং যায় আসে না।
সৈয়দ আশরাফ একটু আয়েশী মানুষ। মন্ত্রনালয়ের কাজে তার মনযোগের অভাব ও অলসতার অভিযোগ পুরনো। পানাভ্যাসসহ আরো কিছু অভিযোগও রয়েছে তার সম্পর্কে যেগুলো একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। তবে সাম্প্রতিককালে তার কিছু বেফাঁস মন্তব্য আলোচিত হয়েছে গণমাধ্যম এবং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে। তবে তার চেয়ে বেশি বেফাঁস মন্তব্যকারীরা আওয়ামীলীগে ও সরকারে দাপটের সঙ্গে বিরাজ করছে। সব চেয়ে বড় কথা সৈয়দ আশরাফের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক দুর্নীতি ও অসাধুতার তেমন কোনো অভিযোগ শোনা যায়নি এ পর্যন্ত। কাজেই অব্যাহতি পাবার মত তার কোনো গুরুতর অপরাধ আমাদের চোখে পড়েনি। তার পরেও সৈয়দ আশরাফের নিয়োগকর্ত্রী তাকে দফতরবিহীন করেছেন, এ নিয়ে মন্তব্য না করাই ভালো।
নাগরিকদের প্রশ্ন অন্য যায়গায়। পোকায় খাওয়া নিম্নমানের গম এনে দেশের লোককে খেতে বাধ্য করার সঙ্গে বিরাট অসাধুতা ও দুর্নীতি-অনিয়মের প্রশ্ন জড়িত। গম কেলেঙ্কারিতে রাষ্ট্র ও নাগরিকরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত। এ অভিযোগে মন্ত্রী-আমলা অব্যাহতি পায় না কেন?
দুর্নীতি মামলায় এক মন্ত্রী দোষী সাব্যস্ত হাইকোর্টে। আপিল করে আইনের ফাঁকে তার চুড়ান্ত সাজাটা বিলম্বিত করে রাখা হয়েছে। তাকে অব্যাহতি দেয়া হয় না। এরকম আরো ডজনখানেক অভিযোগে অভিযুক্তরা দাপটে মন্ত্রীত্ব করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় একটু আরামপ্রিয়তার দোষে যদি সৈয়দ আশরাফের দফতর যায় তাহলে তাহলে বলতেই হবে: কোথাও কিছু একটা গড়বড় হচ্ছে এই "কুইনডম" বা রাণীর রাজত্বে।
২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৪
আক্কাইসসা বলেছেন: হিরক রাজার শাষন চলছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:০৪
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: হিরকরাজ