নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি মাতৃভুমি!

মুহাম্মদ ফয়সল

মুক্তচিন্তা ও যুক্তিনির্ভর তথ্যলিপ্সা আমার প্রবল। পছন্দ করি পড়তে এবং লিখতে।বন্ধুদের খুব ভালবাসি, প্রানের চেয়েও বেশি। হালকা হাস্যরস আমার পছন্দ। আমার বিশ্বাস আমার সঙ্গিরা আমার সঙ্গ খুব পছন্দ করে।

মুহাম্মদ ফয়সল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাপ ও পূণ্য

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

আমরা ছোটকাল থেকেই যে শিক্ষাটি বেশি পেয়ে থাকি, তা হচ্ছে পাপ ও পূণ্য কি এবং তার কোনটি আমাদের জন্যা কর্তব্যত বা পরিত্যাজ্য। একটি সাধারন দৃষ্টিকোন থেকে দেখা যায় যে, পূণ্য হচ্ছে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে যা কিছুই করা হয় এবং অপরের ক্ষতির চেয়ে লাভ বেশি যাতে হয় সেরকম সব ধরনের কাজ। আর পাপ হলো অপরের ক্ষতিকারক এবং নিজের স্বার্থ হাসিল ধরনের কাজগুলো। তবে পাপের ধরন ও সংখ্যা অনেক বেশি এবং বিস্তৃত। সাধারনত দেখা যায়, মানুষের ছোট ছোট চাহিদাগুলোর গন্ডি পেরিয়ে একটু বেশি আনন্দ পাওয়াই এ সমাজে পাপ হিসেবে চিহ্নত করা হয়েছে। এ পৃথিবীতে আনন্দ পাওয়ার অনেক ব্যবস্থাই কিন্তু এর বেশিরভাগই পাপকার্য বলে চিহ্নিত! আমার কাছে খুব অবাক লাগে যখন কোন খাবার একজন মানুষের কাছে পছন্দের তাও যদি সে একটু বেশি খায়, তা ও পাপ! আর এই পাপের সঙ্গার কবলে পড়ে সকল ধনীই পাপী। অথচ ধনসম্পদ অর্জন সকলেই অবৈধ পন্থায় করে না। তারপরও ধন হলেই সে পাপী হয় কারন পাপের সঙ্গা বিস্তৃত ও বিশাল। তবে কি এ পাপের সঙ্গা শুধু সমাজের একটা (বড়)অংশ এ ভোগবিলাসে অংশগ্রহন না করতে পারার ব্যা থা হতে উ‌‍তপন্ন হয়েছে। অনেক জায়গায় পড়েছি এমনকি গরিব হতে পারাটাই না কি পূণ্যাবান হওয়ার লক্ষণ! এ ধারনা বা তত্ত্ব কতটুকু বাস্তবতার সাথে সম্পৃক্ত! নাকি কতিপয় ধান্দাবাজ মানুষের উপরে ওঠার সিড়ি হিসেবে এ তত্ত্ব কাজ করে?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

মুহাম্মদ তৌহিদ বলেছেন: আমরা চিন্তা করি তাহলে দেখব যে আমি যা উপার্জন করছি তাতে আমার নিজের অবদান খু্বই সামান্য। প্রথমত আমার জীবন, স্বাস্থ, মেধা, কর্মক্ষমতা – কোন কিছুই আমি নিজে তৈরী করিনি। আমি এসবকিছুই রেডিমেড হিসেবে নিজের প্রয়োজনে ব্যাবহারের সুযোগ পেয়েছি। দ্বিতীয়ত অন্য মানুষ সমাজ বা সামাজিক ব্যাবস্থা ছাড়া আমি একা কিছুই করার ক্ষমতা রাখি না। আমি চাকরী ব্যাবসা কৃষিসহ যেভাবেই উপার্জন করি না কেন তার সাথেই আরো হাজার হাজার মানুষ সম্পৃক্ত থাকে। যদি এই মুহুর্তে শুধুমাত্র আমি ছাড়া আর কোন মানুষ না থাকে তাহলে কী হবে? আমার মৌলিকতম চাহিদা খাদ্যের সন্ধানেই আমাকে ঘুরে বেড়াতে হবে বনে জঙ্গলে। তাহলে আমি যাকিছু উপার্জন করছি, এমনকি আমি যা খেয়ে বেঁচে আছি, যে কাপড় পরে আছি তার সবকিছুর পিছনেই হাজার হাজার মানুষের অবদান নিহিত আছে। তাহলে আমার উপার্জনের মাঝে আমার অংশ কতটুকু? সুক্ষ্মভাবে হিসেব করলে হয়ত দেখা যাবে আমার অবদান অতি সামান্য। তাহলে এই উপার্জনকে নিজের বলে দাবি করাই কি অযৌক্তিক নয়? মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদের জন্য বড় অনুগ্রহ এটাই করেছেন যে আমাদের উপার্জন থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় অংশ গ্রহনকে বৈধতা দিয়েছেন। তিনি যদি সুক্ষ্ম হিসেবের ভিত্তিতে মানুষকে তার উপার্জনের সবকিছু দান করে দেয়ার নির্দেশ দিতেন তাহলেও তাকে অযৌক্তিক বলা যেত না। সুতরাং প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ দান করাই যৌক্তিক, সঞ্চয় করে রাখাই অযৌক্তিক এবং ব্যাক্তি ও সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।


লেখাটি এখান থেকে নেয়া। সময় হলে পড়ে নিবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.