নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলম 1

সাধারন ব্লগার

আলম 1 › বিস্তারিত পোস্টঃ

উলকি - শরীরে নকশা করার অভ্যাস নিয়ে কিছু কথা ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:১২

উলকিকে বলা যায় ত্বকের নকশা । ওয়ার্ল্ড বুক এনসাইক্লোপিডিয়া বলে :

“ উলকি আঁকা হল শরীরে স্থায়ীভাবে নকশাগুলো করার অভ্যাস। ধারালো সরু কাঠি, হাড় বা সূচ দিয়ে চামড়ার ওপর ছোট ছোট ছিদ্র করে করা হয়, যেটাকে প্রাকৃতিক রঙের রঞ্জক পদার্থে ডোবানো হয় ।” বহু কিশোর-কিশোরী রক সঙ্গীতের তারকা, বিখ্যাত খেলোয়াড়, ফ্যাশন মডেলদের উদাহরণগুলো অনুকরণ করে গর্বের সঙ্গে তাদের কাঁধে, হাতে, কোমরে ও গোড়ালির ওপরে আঁকা উলকিগুলো প্রদর্শন করে। কারও কারও কাছে, উলকি আকর্ষণীয় রোমান্টিক ভাবভঙ্গি প্রকাশ করার একটি উপায় । কিছু যুবক-যুবতী উলকিগুলোকে এক শিল্পকলা হিসেবে দেখে থাকে। অন্যেরা এগুলোকে স্বাধীনতার প্রতীক, বিদ্রোহ অথবা বিকল্প জীবনধারার এক প্রতীক হিসেবেও ব্যবহার করে। তবে অধিকাংশ যুবক-যুবতীই হয়তো শুধুমাত্র ফ্যাশনের কারণে এমনটা করেছে।



উলকি আঁকার প্রাচীন কলা । মিশরের ও লিবিয়ার উলকি আঁকা মমিগুলো পাওয়া গেছে, যেগুলো খ্রিস্টের সময় থেকে শত শত বছর পূর্বের। গবেষক স্টিভ গিলবার্টের কথা অনুযায়ী, “প্রাচীনকালের এক পরিচিত উলকি যেটা ছিল এক বিমূর্ত প্রতিকৃতির পরিবর্তে কিছু একটার ছবি, তা বেস দেবতাকে চিত্রিত করে। মিশরের পৌরাণিক কাহিনীতে বেস হল আমোদপ্রমোদের এক কামুক দেবতা। ”

তবে এই ফ্যাশন স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারন হতে পারে। চর্মবিজ্ঞানের একজন সহযোগী অধ্যাপক ডা. রবার্ট ট্যামসিক মন্তব্য করেন: “আসলে তুমি তা করে তোমার চামড়াকে দুভাগ করছ এবং সেই জায়গাগুলোতে রঞ্জক পদার্থ প্রবেশ করাচ্ছ। এমনকি যদিও সূচটি চামড়াকে একটুই চিরছে কিন্তু যখনই তুমি চামড়ায় ফুটো করছ, তখনই তোমার ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থাকে।



উলকিগুলো স্থায়ী রাখার ইচ্ছা সত্ত্বেও, এগুলোকে তুলে ফেলার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়: লেসার দ্বারা তুলে ফেলা (উলকিকে পুড়িয়ে দেওয়া), অস্ত্রোপচারের দ্বারা তুলে ফেলা (উলকি কেটে ফেলা), সালাব্রেশন (উলকিযুক্ত চামড়ার অংশকে সিক্ত করতে নুন জল সলিউশন ব্যবহার করা) এবং স্ক্যারিফিকেশন (অ্যাসিড সলিউশন দিয়ে উলকিকে তুলে ফেলা এবং সেই জায়গায় একটি ক্ষত তৈরি করা)। এই পদ্ধতিগুলো ব্যয়বহুল ও বেদনাদায়ক হতে পারে। “একটা উলকি আঁকানোর চেয়ে সেই উলকিকে লেসার দিয়ে তুলে ফেলা আরও বেশি বেদনাদায়ক,” টিন পত্রিকা অনুযায়ী, “ডাক্তাররা অনুমান করে যে, যারা উলকি তুলে ফেলে তাদের সকলের মধ্যে ৩০ শতাংশের বেশি, কিশোরী তা করে থাকে যারা তাদের প্রাক্তন ছেলেবন্ধুর নাম তুলে ফেলতে চায়।” তাই ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। উলকি নিয়ে একটি ভিডিও ।







সূত্র : ইন্টারনেট।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: ভয়াবহ ব্যাপার

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আলম 1 বলেছেন: সত্যিই তাই।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২২

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: এত কিছু জানা ছিল না।
বুঝি না এত কস্ট করে আকাঁর কি দরকার আর তোমার কি দরকার।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:২১

আলম 1 বলেছেন: হয়তো শুধুমাত্র ফ্যাশনের কারণে এমনটা করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.