নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলম 1

সাধারন ব্লগার

আলম 1 › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূমিকম্প কী ও তার ইতিহাস ও করনীয়

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪১

ভূমিকম্প মানেই আতঙ্ক। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। পৃথিবীতে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে চলেছে৷ কিন্তু এসবের মধ্যে ভুমিকম্পই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ। কারণ এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে অনেক বেশি।

ভুমিকম্প কেন হয়ে থাকে? বিশেষজ্ঞদের মতে গোটা ভূপৃষ্ঠই কয়েকটি স্তরে বিভক্ত। আবার প্রতিটি স্তর একাধিক প্লেটে বিভক্ত। এসব বিশাল আকারের টেকটোনিক প্লেটগুলো যখন একের সঙ্গে অপরে ধাক্কা খায় তখন কেঁপে ওঠে মাটির নীচের তলদেশ। আর আমরা ভূপৃষ্ঠের ওপর ভূকম্পন অনুভুত করি।

বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিদিনই ভূপৃষ্ঠের ভেতরে কোথাও না কোথাও ভূমিকম্পের সৃষ্টি হচ্ছে৷ তবে সবগুলো অত জোরালো নয়৷ ভূমিকম্পের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে জমে থাকা শক্তি নির্গত হয়৷ এই শক্তিকে মাপা হয় রিখটার স্কেলের মাধ্যমে৷ সাধারণত ভূমিকম্পকে ১ থেকে ১২ মাত্রা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়৷ ৩ থেকে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প বোঝা গেলেও ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয় না৷ তবে ৫ কিংবা ৬ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেই সেগুলোকে উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে ধরা হয়৷ রিখটার স্কেলের এক মাত্রা পার্থক্যের অর্থ হচ্ছে আগেরটির চেয়ে পরেরটি ভূত্বকের ভেতর ৩২ গুন বেশি শক্তিশালী৷ তবে ভূপৃষ্ঠে এই তীব্রতার পরিমাণ হয় ১০গুন বেশি৷

দুর্ভাগ্যবশত: আমাদের বাংলাদেশ ভারতীয়, ইউরেশিয় এবং মায়ানমার টেকটনিক প্লেটের মাঝে আবদ্ধ। ফলে এই প্লেটগুলোর নাড়াচাড়ার ফলে আমাদের দেশে মাঝেমাঝেই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাছাড়া ভারতীয় এবং ইউরেশিয় প্লেট দুটো হিমালয়ের পাদদেশে আটকা পড়ে রয়েছে এবং ১৯৩৪ সনের পর তেমন কোন বড় ধরনের নাড়াচাড়া প্রদর্শন করেনি। এ কারণে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে এই প্লেট দুটো হয়তো নিকট ভবিষ্যতে নড়ে উঠবে যা বড় ধরনের ভূমিকম্পের কারণ হবে। বাংলাদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল তথা সিলেট এবং ততসংলগ্ন এলাকা প্রবল ভূমিকম্প প্রবণ। এর পরের অংশগুলোও যেমন ঢাকা ও রাজশাহী শহরও ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা।

১৮৯৭ সনের ১২ জুন ৮.৭ মাত্রার ‘দ্যা গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক’ ভারতবর্ষকে আঘাত হানে যা আজও পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ভূমিকম্প হিসেবে পরিচিত। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভারতের শিলং শহর তবে এর প্রভাব বর্তমান বাংলাদেশ সহ বহু দূর পর্যন্ত অনুভূতি হয়েছিল।আবহাওয়াবিদরা এটাও মনে করেন যে ছোটছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের বার্তা বহন করে। সে হিসেবে বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প যে কোন সময় আঘাত হানতে পারে।

তবে স্মরণকালের ইতিহাসে ২৫ এপ্রিল শনিবার বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ভুমিকম্প হয়েছে বলে মানছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। এই ভূমিকম্প উৎপত্তি হয়েছে নেপালের লামজং স্থান থেকে। একইসাথে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ভুটানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের সময় করণীয়

১) ভূমিকম্পের সময় আত্মরক্ষার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো কোনো শক্ত টেবিল, ডেস্ক বা নিচে জায়গা আছে এমন শক্ত ও দৃঢ় আসবাবের নিচে আশ্রয় নিন ।
২) সম্ভব হলে সিঁড়ি ব্যবহার করে দ্রুত ভবন থেকে বেরিয়ে পড়ুন।

৩) বড় ভূমিকম্পের পর পরই আরেকটা ছোট ভূমিকম্পের জন্য মানষিকভাবে প্রস্তুত থাকা।

সূত্র: ইন্টারনেট।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: খুব প্রয়োজনীয় একটা পোস্ট

যদি ও কয়েক দিন না যেতেই আমরা সব ভুলে যাবো।

আর ভূমিকম্পের সময় করণীয় সব গুলো গুলিয়ে খেয়ে ফেলবো :P

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০০

আলম 1 বলেছেন: হ্যা তারপরেও যদি কিছু মনে থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.