নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।

মোগল সম্রাট

মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...

মোগল সম্রাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিকিৎসার জন্য ব্যাঙ্গালোর (ভারত) ভ্রমনের জন্য কিছু তথ্য।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪

বাংলাদেশ থেকে অনেকে্ই চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অনেকেরই ভাল ধারনা আছে কিংবা অনেকেরই না্ই। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ভারতের কর্নাটক রাজ্যের ব্যঙ্গালুরুতে চিকিৎসার জন্য যেতে হলে কিছু তথ্য। ব্যঙ্গালোরে নারায়না হেলথ সিটি/বা নারায়না হাসপাতাল একটি ভাল মানের হসপিটাল রয়েছে যেখানে হার্টের সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ডাঃ দেবি শেট্টি রোগী দেখে থাকেন।
ভিসার জন্য আবেদনঃ বর্তমানে ভিসা আবেদন প্রকৃয়া পুরোপুরি অনলাইনে চলে যাওয়ায় ফরম জমা দেওয়ার সেই চরম ভোগান্তি একদমই নেই এখন। আবেদন প্রকৃয়া খুবই সোজা, দালাল বা অন্য কারো সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে এখানে https://indianvisaonline.gov.in/visa/ ঢুকে নিদৃষ্ট ফর্ম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। সফলভাবে সাবমিশন হলে আপনি সাবমিটেড ফর্মের একটা প্রিন্ট নিয়ে রাখুন। প্রিন্ট কপিটি আপনাকে নিজে গিয়ে ভিসা অফিসে জমা দিতে হবে। সাবমিশনের সাথে সাথেই আপনি জমা দেওয়ার সময় এবং তারিখ ফর্মের সাথেই পেয়ে যাবেন। সাধারণত অনলাইন সাবমিশনের ৫-৮ দিনের ভেতরেই এই তারিখ হয়ে থাকে।
আবেদন পত্রে কোন ভুল হওয়া চলবে না, বিশেষত যে সকল তথ্য পাসপোর্টে দেওয়া আছে সেগুলো কোনভাবেই ভূল হতে পারবে না। তথ্যে ভুল থাকলে আবেদন পত্র সঙ্গে সঙ্গে ফেরত দেওয়া হয়।
আরেকটা বিষয়, কোন সীমান্ত দিয়ে পার হবেন এই কলামে যদি শুধু বাই হরিদাসপুর (বেনাপোলের ওখানে ভারতীয় সীমান্তের নাম) লিখেন, তাহলে আপনাকে এই সীমান্ত দিয়েই ঢুকতে এবং ফিরতে হবে। কিন্তু আপনি যদি বাই হরিদাসপুর/এয়ার লিখেন, তাহলে বেনাপোল দিয়ে যাওয়া আসার সুবিধার সাথে সাথে এয়ারে যাওয়া/আসার সুবিধাও পাবেন। আর ভিসা অফিস থেকে মাঝে মধ্যে ফোন করে, তাই মোবাইল ফোন নাম্বারটা আপনার নিজের হলেই ভাল।
কিভাবে যাবেনঃ ভিসা পাবার পর আপনি এয়ারে অথবা কলকাতা হয়ে ব্যাঙ্গালোর যেতে পারেন। ঢাকা থেকে সরাসরি কোন ফ্লাইট নাই সম্ভাবত আপনাকে কলকাতা এয়ারপোর্টে হয়ত থামতে হতে পারে। অথবা বাস/ট্রেনে করে কলকাতা গিয়ে সেখান থেকে সরাসরি ব্যাঙ্গালুরু যেতে পারবেন। তাছাড়া কলকাতা হাওড়া ষ্টেশন থেকে প্রায় প্রতিদিন কলকাতা টু ব্যাঙ্গালোর ট্রেন রয়েছে। ট্রেনের ভাড়া ৭৫০ রুপী থেকে ১২০০ রুপীর মত এবং সময় লাগবে প্রায় ৩৬ থেকে৩৮ ঘন্টার মত। আর এয়ারে কলকাতা থেকে আড়াই ঘন্টার মত সময় লাগবে আর এয়ারে ভাড়া সময় সময় আপ ডাউন হয় তবে ইকোনমি ক্লাশে ৪০০০ রুপী থেকে ১২০০০ রুপী পর্যন্ত হতে পারে। যত আগে টিকেট কাটবেন তত কম দামে নিতে পারবেন

ব্যাঙ্গালোর এয়ারপোর্টে পৌছার পর আপনি ট্যাক্সি নিয়ে নারায়না হসপিটালে যেতে পারেন বাস সার্ভিস ও আছে তবে তাতে সময় অনেক লেগে যাবে। এয়ারপোর্টে ভিতরে প্রিপেইড ট্যাক্সি আছে তবে তাতে ভাড়া দ্বিগুন তার চা্ইতে বাইরে আসলে দেখবেন অনেক ট্যাক্সি দাড়িয়ে আছে আপনি দর দাম করে নিতে পারবেন তবে ভাড়া ১১০০ রুপী থেকে ১৫০০ রুপীর বেশিনা। হাসপাতালটি মুল সিটির বাইরে হওয়ায় এয়ারপোর্টৃ থেকে হসপিটালে পৌছাতে বাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম না থাকলে দেড় ঘন্টার বেশি লাগবেনা। ট্যাক্সি আাপনাকে হাসপাতালালের গেটে ড্রপ করে দেবে। আগে থেকে হোটেল বুকিং করা থাকলে সরাসরি হোটেলে উঠবেন। তা না হলে নেমে হসপিটালের আশে পাশে অনেক হোটেল রয়েছে আপনি আপনার সাধ্যের মধ্যে হোটেল খুজে নিতে পারবেন। হাসপাতালে রেজিশ্ট্রেশন করাতে হলে আপনার হো্টেলের ঠিকানা অবশ্যই লাগবে। হোটেলের ভাড়া ৬০০ রুপী থেকে শুরু মান অনুযায়ী ৩০০০, ৪০০০ বা আরো বেশি হতে পারে।লজিং সিস্টেমের অনেক হোটেল আছে অর্থাৎ সাথে কিচেন আছে আপনার খাবার আপনি রান্না করে খেতে পারবেন কারন ওখানে বাঙ্গালী খাবারের ভালো কোন রেস্টুরেন্ট নাই যা দুই একটা আছে যা জগন্য রকমের । যাদের অনেক দিন ধরে চিকিৎসা নিতে হবে তাদের জন্য এধরনের লজ ভালো এবং একরুমে ৪/৫ জন থাকার ব্যবস্থা আছে (ড্রিম লজ, বালাজী লজ এ দুটোতে এই ব্যবস্থা আমি দেখেছি) ।

হসপিটাল সম্পর্কিতঃ আপনার রোগের ধরন অনুযায়ী ওখানে আলাদা আলাদা বিল্ডিং বা ইউনিট রয়েছে প্রথমেই যে ভবন দেখবেন সেটা হার্টের রোগীদের জন্য এবং পিছনে মজুমদার বিল্ডিং আছে সেখানে অন্যান্য বিভাগ রয়েছে। নারায়না হাসপাতালে বিদেশী রোগীদের জন্য অবশ্যই প্রথমে রেজিশ্ট্রেশন ফরম পুরন করে সাথে পাসপোর্টের ফটোকপি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন কাউন্টারে জমা দিবেন তারপর যে রোগের ডাক্তার দেখাবেন তার নাম জানা থাকলে বলতে হবে অথবা বাংলাদেশ কাউন্টার নামে একটা ডেস্ক আছে সেখানে আপনি সাহায্য নিতে পারবেন। নির্ধারিত ফিস দিয়ে ডাক্তারের এ্যপয়েন্টমেন্ট নিযে নিতে হবে। তারপর নিদ্দিষ্ট সময়ে ডাক্তারের সাথে সাক্ষাত পাবেন। ডাক্তারের ফিস ৬০০ থেকে ৮০০ রুপির মধ্যেই বেশির ভাগ। আপনার ভাষাগত সমস্যার জন্য দোভাষী নিতে পারেন কারন ওখানকার ডাক্তাররা বাংলা ভালো বুঝেনা অধিকাংশ হিন্দি,ইংরেজি তামিল, কর্নাডা (কর্নাটক রাজ্যের ভাষার নাম কর্নাডা ভাষা) ভাষায় কথা বলে। তা্ই দোভাষীর সাহায্য নিলে তার জন্য আলাদা ফিস দেয়া লাগবে তবে তা যৎসামান্য । এরপর আপনার পরিক্ষা নিরিক্ষার প্রয়োজন হলে তার সব ব্যাবস্থা হসপিটাল কম্পাউন্ডের মধ্যেই পাবেন এবং তার খরচ বাংলাদেশের তুলনায় কমই বলা যায়।

যারা হার্টের জন্য ডাক্তার দেবী শেট্টিকে দেখাতে যাবেন তারা সরাসরি দেখাতে পারবেন না প্রথমে একজন হার্টের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে তিনি পরিক্ষা নিরিক্ষা করে যদি রেফার করেন তবে তার সাক্ষাৎ পাওয়া যাবে তবে খুব রিকয়েষ্ট করলে ডাক্তার রেফার করবেন।

খাবার দাবারঃ ওখানকার প্রায় সব রেস্টুরেন্টগুলোতে সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার দিয়ে সাজানো এবং ননভেজ খাবারের সংখ্যা কম সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার বেশিরভাগই ভেজ জাতীয়।ইডলি, ডোসা, ডোসা মাসালা, ওনিয়ন উথাপা, টেস্ট করে দেখতে পারেন হাসপাতালের পাশেইে এ টু বি নামের একটা রেস্টুরেন্ট আছে ভালো মানের সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার পাবেন সেখানে।

দর্শৃনিয়স্থানঃ চিকিৎসা শেষ হলে যদি হাতে সময় থাকে তাহলে ব্যাঙ্গালোরের কিছু দর্শনিয় স্থান ঘুরে আসতে পারেন যেমনঃ টিপু সুলাতানের প্যালেস, ব্যাঙ্গালুরু প্যালেস, কুব্বন র্পাক, মহিশুর, ন্যাশলাল পার্ক, বিধান সভা ই্ত্যাদি। টুরিস্ট স্পট তথা ঐতিহাসিক স্থাপনা গুলো দেখতে হলে আপনি বাস, ট্যাক্সি সার্ভিসের সাহায্য যেতে পারেন অথবা ঝামেলা এড়াতে চাইলে ওখানে লোকাল অনেক ট্যুর অপারেটর আছে তাদের মাধ্যমে যেতে পারে তবে খরচ হাতের নাগালেই।

ভাষাঃ সাধারন মানুষের বেশিরভাগ কর্নাডা, এবং তামিল ভাষায় কথা বলে হিন্দি কম বলে এবং কম বুঝে তবে ইংরেজি ভাষাও মোটামুটি চলে।

ফেরার সময়ঃ ফেরার সময় আপনি ট্রেন অথবা এয়ারে আসতে পারেন তবে হার্টের কোন সার্জারি হলে এয়ারে আসতে পারবেন না আপনাকে ট্রেনে আসতে হবে। হসপিটালের আশপাশে অনেক ট্রাভেল এজেন্সি আছে চাইলে তাদের কাছ থেকে টিকেট নিতে পারেন অথবা নিজে গিয়ে টিকেট করতে পারেন ট্রেনের টিকেটর জন্য এম.জি রোড যেতে হবে পাশেই ইশ্টিশন থেকে টিকেট করতে পোরবেন। আর এয়ারে আগে টাইম জানা থাকলে আগে টিকেট নেয়া ভালো তাতে খরচ কম পড়বে, না হলে এয়ার পোর্টে পৌছেও টিকেট নিতে পারেন সেক্ষেত্রে পয়সা অনেক বেশি লাগতে পারে ১২000রুপী পর্যন্ত হতে পারে। এয়ারে রাতের টিকেটের মূল্য কম থাকে এর এয়ার পোর্টে যাবার আগে হাতে অন্তত ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় নিয়ে বের হবেন কারন রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম পেতে পারেন। আপনার হোটেলে বলে রাখলে তারাই ট্যাক্সির ব্যবস্থা করে দেবে ভাড়া ১৫০০ রুপী।

পরিষেশেঃ পরিশেষে বলব সফর শুরুর আগে যথেষ্ট ভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন আর সব সময় পাসপোর্ট সাথে রাখবেন প্রায় সব যায়গায় আপনার পাসপোর্ট দরকার পড়বে। আর খরচ খরচা আপনার উপর অনেকটা নির্ভর করবে কারন কেমন খাবার খাবেন, কেমন হোটেলে থাকবেন কিংবা কোন ধরনের পরিবহনে চড়বেন তার উপর। আর প্রায় সব যায়গায়ই কার্ডে লেনদেন করা যায় ঝামেলা এড়াতে আপনি আপনারে ক্রেডিট কার্ডের এন্ডোর্স করে নিয়ে যেতে পারেন।

আজ এ পর্যন্তই শেষ করছি সবার সুসাস্থ্য কামনায়।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


পরিস্কার করে লেখা, ভালো।
টাকা কিভাবে কোথায় বদলাটে হবে, রেট কতো?

ডা: শেঠি ভালো কেন? আপনি নিজেই দালাল কিনা?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

মোগল সম্রাট বলেছেন: আমার লেখা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, টাকা বদলানোর কথাটা বাদ পড়েছে এটা ধরিয়ে দেবার জন্য আর একবার ধন্যবাদ।

টাকা আপনি হসপিটালের ভিতরে একটা ডেস্ক আছে সেখান থেকে বদলাতে পারেন কিংবা বর্ডারে অনেক মানি এক্সেঞ্জ আছে সেখান থেকে বদলাতে পারবেন অথবা হসপিটালের আশেপাশে অনেক মানি একচেঞ্জ আছে । তবে হাসপাতালের ভিতর থেকে বদলালে কম রেট দেয় বাইরে থেকে বদলানো ভালো।

আর ডাঃ শেটি ভালো কেন তার বিষয়ে অনেক তথ্যই ইন্টারনেটে পাবেন তার প্রোফাইল দেখে নিতে পারেন।

আর ভাই আমি কোন দালাল না সম্প্রতি সেখানে আমার একজন রিলেটিভ নিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম ট্রিটমেন্ট করাতে সেখান থেকে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে হার্টের জন্য কোন ডাক্তার ভালো?

ভারত যাওয়া কেন?

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: আচ্ছা আমাকে একটা ব্যাপারে তথ্য দিয়ে হেল্প করতে পারেন?

পুরাতন পাসপোর্ট না থাকলে করনীয় কি? আমি ফরেন থেকে পাসপোর্ট করেছি, পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি+জিডি কপি দিয়ে। নতুন পাসপোর্টে তো পুরাতন পাসপোর্টের নম্বর আছে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯

মোগল সম্রাট বলেছেন: কোন দেশের ভিসার জন্য তা বলেননি, তবে ভারতের ভিসার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে নতুন পাসপোর্টের সাথে জিডির কপি এবং হারানো পাসপোর্ট এর জন্য একটা গেজেট আছে সেই গেজেটের ফটোকপি জমা দিতে হবে ।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: গত বছর পাসপোর্ট করেছি জিডির কপি কি এখনো আছে নাকি? গেজেট টা কি?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

মোগল সম্রাট বলেছেন: আপনার মেইল আইডি দেন আমি মেইল করে দিব

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: [email protected]

অগ্রিম ধইন্না।

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫২

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: এখনো অপেক্ষায়....

৭| ২৪ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা বাংগালোরে কোন থাকার যায়গা ভাড়া দেন?

২৫ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

মোগল সম্রাট বলেছেন: দেয়। তবে তারা সবাই কোলকাতার বাংগালী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.