নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...
“ভিড় করে ইমারত আকাশটা ঢেকে দিয়ে চুরি করে নিয়ে যায় বিকেলের সোনারোদ, ছোট ছোট শিশুদের শৈশব চুরি করে গ্রন্থকীটের দল বানায় নির্বোধ”
নচিকেতার একটা গান দিয়ে লেখাটা শুরু করলাম-
আমার মেয়ের নাম ‘পলা’ বয়স পুরো পাঁচ বছর এখনো হয়নি। জানুয়ারী-১৮তে বাসার পাশে ১টা কিন্ডারগার্ডেনে ভর্তি করিয়ে ছিলাম নার্সারীতে।স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তার পড়ার বিষয় কয়টা জানতে চাইলে আমাকে জানানো হলো ৮টি বিষয়। আমি ভর্তি করাতে চাইলাম না। কিন্তু আমার বউয়ের চাপাচাপিতে ভর্তি করাতে হলো। এখন তার ডেইলী রুটিন এমন হয়ে দাড়িয়েছে- সকালে ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যাওয়া তারপর স্কুল থেকে ফিরে আরবী টিউটরের কাছে পড়া তারপর গোসল, দুপুরের খাবার খেয়ে উঠতে না উঠতে তার আবার টিউটর আসবে স্কুলের পড়া দেখানোর জন্য তার পর আবার তার মা বই খাতা নিয়ে বসবে তার হোমওয়ার্ক করানোর জন্যে। এর মধ্যে প্রতি সপ্তায় তথা কথিত পরীক্ষা, ফিস, চিত্রাংকন, আরো নানান ফন্দি-ফিকির।
মেয়েটা আমার তিন মাসের মাথায় অসুস্থ্য হয়ে পড়ল। তাকে নিয়ে ডাক্তার দেখালাম, ঔষধ খাওয়ালাম এখন সে সুস্থ্য অনেকটা। আমি তার মায়ের সাথে কাউন্সেলিং করলাম বিষয়টা নিয়ে বাচ্চার মা আমার কোন যুক্তির সাথে একমত নয়। তার কথা মেয়ে পাশের ফ্লাটের ভাবীর মেয়ে এতো এতো পারে ও পারবেনা কেন? তারও পারতে হবে। আমি বোঝাতে ব্যার্থ হলাম, এক পর্য়ায় রাগা রাগী কথা কাটাকাটিতে পৌছালো।
এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি মেয়েকে আর ওখানে পাঠাবো না আগামি বছর আমি সরকারী প্রাইমারি স্কুলে শিশু শ্রেণীতে ভর্তি করাবো। এমনিতেই আমার বাচ্চাদের শৈশবটা কেটে যাচ্ছে এক প্রকার বন্দি দশায়, শহুরে ফ্ল্যাট বাসার চারদেয়ালের মধ্যে।তারউপর এত এত চাপ দিয়ে পড়ালেখার ইদুর দৌড়ে তাদের যন্ত্র বানিয়ে চলেছি।তাদের মানসিক বিকাশ কিভাবে হবে? বাচ্চাদের সুন্দর একটা শৈশব কিভাবে উপহার দিবো সেটাই ভাবতেছি।
আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যাবস্থা এমন অবস্থায় আছে যেখানে শিশুদের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট করে দিচ্ছে শুরুতেই। বৈষম্য মুলক মানসিক অবস্থা তৈরি করে দিচ্ছে শিশুকালেই।কারন নিম্নবিত্তের, মধ্যবিত্তের, উচ্চবিত্তের স্কুল আলাদা আলাদা এতে করে নিম্মবিত্তের প্রতি ঘৃনার এবং উচ্চ বৃত্তের প্রতি অকৃষ্টতা অতি বাল্যকাল থেকেই তৈরী হচ্ছে।
মনে মনে ভাবি আমি তো কোনদিন ভালো রেজাল্ট করিনি, ফার্স্ট হবার পিছনে দৌড়াইনি, খুব কমই ভালো রেজাল্ট করেছি, আমাদের ছেলেবেলা কতো আনন্দে কেটেছে আর ওদের জীবনটা শুরুই করতেছে বইয়ে মুখ গুজে। মায়েদের অতিরিক্ত সতর্কতা আর সেরা হবার প্রতিযোগীতায় তাদের প্রতিনিয়ত চাপ নিতে নিতে প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে বাইরের জগৎ সম্পর্কে তারা উদাসিন ভাবে বেড়ে উঠতেছে।এর কি কোন প্রতিকার নেই?
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪০
মোগল সম্রাট বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: আপনার সিদ্ধান্ত সঠিক ভাই।
আপনার বাচ্চার জন্য শুভকামনা রইল।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০৬
মোগল সম্রাট বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১
মামুনুর রহমান খাঁন বলেছেন: একমত। কিন্তু সিদ্ধান্তে অটল থাকা কষ্টকর হয়ে পড়বে যখন পরিবার ও পরিবারের বাইরে থেকে প্রচন্ড চাপ আসবে। তবে আপনার সিদ্ধান্তকে স্যালুট জানাই।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০৬
মোগল সম্রাট বলেছেন: ধন্যবাদ আমার লেখাটা পড়ার জন্য। আপনি সত্যি বলছেন ভাই, আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল থাকতে অনেক কস্ট হচ্ছে এখনই।
৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
সিসৃক্ষু বলেছেন: আপনার মেয়েটা আমার কিছু না, তবুও আমি একটা শান্তি পেলাম আপনার সিদ্ধান্তের কথা শুনে। সরকারি প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করার মত সবচেয়ে ভাল আর আপনার স্ত্রীকে অবাক করে দেওয়ার মত সিদ্ধান্তটা যে আপনি নেবেন, তা ভাবতে পারিনি। বর্তমান কালে মোটামুটি সচ্ছ্বল প্রতিটি পরিবারে বাচ্চাদের পড়াশোনার অবস্থা এইই। অতি দুক্ষজনক অবস্থা। আপনার মেয়েটা এর থেকে বেঁচে গেল বলে আমার শান্তি লাগছে। অভিনন্দন আপনাকে।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪০
মোগল সম্রাট বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, কিন্তু স্থায়ী সমাধান কি ভাই? ভালো থাকবেন সবসময় !!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১১
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: শিশুর জীবন থেকে কেড়ে নেয়
আনন্দ হাসি
তারপর চুমুখেয়ে বলি তারে
খুব ভালবাসি।