নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।

মোগল সম্রাট

মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...

মোগল সম্রাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাজে মসজিদের অবদান শুন্যের ঘরে

১০ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯




বাংলাদেশে কতটি মসজিদ আছে কেউ কি জানেন? বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের গতবারের হিসাব অনুযায়ী মসজিদের সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার। আর হিসাব ছাড়া কতটি আছে তার কোন পরিসংখ্যান আমার কাছে নাই। তবে তার সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
এবার একটু পিছনের দিকে তাকাই। ইসলামের প্রথম যুগে সমাজের অনেক ভালো কাজের, কল্যাণমূলক কাজের সূচনা হত মসজিদ থেকে। রাষ্ট্র পরিচালনাও হয়েছে মসজিদ থেকে। গরিব মানুষের নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল ছিল মসজিদ। সামাজিক অনেক সমস্যার সমাধান মসজিদ থেকে হয়ে যেত। মসজিদ থেকে মানুষ যে উপকার পেত সে উপকার শুধু পরকালের উপকার না ইহজীবনের অনেক প্রত্যক্ষ উপকরও মানুষ পেয়ে যেত।

এবারে আসা যাক আমাদের মসজিদ গুলোর চিত্র কেমন। বিগত জীবনের কোন প্রত্যক্ষ উপকারভোগী আমার চোখে আমি কোনদিন দেখিনি। আপনাদের কারো চোখে পড়লে জানাবেন। অবশ্য দুইজন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা হলো ইমাম আর মুয়াজ্জিন। তবে তাদের অধিকাংশের বেতন-ভাতা মোটামুটি পাবলিকের দান-খয়রাতের উপর নির্ভরশীল।

এদেশের মসজিদ গুলোর আরেকটা চিত্র হলো শহর থেকে গ্রাম, মফস্বল থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল প্রায় একই চিত্র বিদ্যমান। প্রত্যেকটা মসজিদে একটা কমিটি আছে মসজিদ পরিচালনা করার জন্য আর তারা সবাই ঐ এলাকার প্রভাবশালীর, রাজনৈতিক নেতা, হঠাৎ বড়লোক হওয়া ব্যবসায়ী এই টাইপের সব লোকজন। এদের জন্য মসজিদের প্রথম কাতার বরাদ্দ থাকে, দুই পাশে হাতলওয়ালা চেয়ার বসানো থাকে, নির্দিষ্ট জায়গায় জায়নামাজ বিছানো থাকে। এরাই সকল সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন।

প্রায় প্রতি শুক্রবার এরা দান-খয়রাত করে দো-জাহানের অশেষ নেকি হাসিলের জন্য শত শত হাদিস উগরে দিয়ে থাকেন। আপনার দানকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দিয়ে উদারহস্ত হবার আহ্বান জানান। অনেক মসজিদে রীতিমতো খিস্তি খেউর করতেও দেখেছি ওই কমিটির সভাপতি সেক্রেটারিদের। কেন টাকা দিবেন না? আপনারা মানুষ না ইহুদী নাসারা ইত্যাদি ইত্যাদি। আর এই দানের টাকা ব্যয় করা হয় টয়লেটে টাইলস লাগানোর জন্য, ফ্লোরে মার্বেল লাগানোর জন্য, মসজিদকে বহুতল ভবন বানানোর জন্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে দোকানপাট তৈরি করার জন্য।

হালের ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে এসি লাগানো। এসির টাকা উঠানোর জন্য বেহেশতে তার প্রতিদান ফজিলত কি সেজন্য ফেকাহ শাস্ত্র খুঁজে নতুনভাবে হাদিসের আমদানিও কম না। এসির টাকা উঠানো হলো, এসি লাগানো হলো। নতুম করে দানের খাত সৃষ্টি হলো বিদ্যুৎ বিলের টাকা। ইমাম সাহেব জুমার খুতবায় আরো দান আরো টাকা তোলার প্রতি বেশি মনোযোগী। কোনো কোনো মসজিদে এই বিদ্যুৎ বিলের টাকা কয়েক মাস কয়েক বছরও বাকি থাকছে। মসজিদ এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রধান ধর্মীয় উপাসনালয় তাই এখানে কোন কোন জোর জবরদস্তি চলেনা বিদ্যুতের লাইন কাটা তো অনেক দূরের ব্যাপার। তো প্রায় এরকম কাজের মধ্যে দিয়েই মসজিদের প্রায় সকল কার্যক্রম আবর্তিত হচ্ছে বছর জুড়ে।

অথচ আমাদের মসজিদগুলো হতে পারতো আমাদের সমাজ পরিবর্তনের বড় একটা সূতিকাগার। দানের টাকা দিয়ে এলাকার গরিব মেধাবীদের শিক্ষার ব্যয় করতে পারত। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার পাশে দাঁড়াতে পারতো। বেকার যুবকদের জন্য সহায়তা হতে পারতো, চিকিৎসাহীন হয়ে ধুকতে থাকা মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে পারতো। অর্ধাহারে অনাহারে থাকা মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে পারতো। হতে পারতো ঋণের দায়ে সর্বশান্ত হওয়া কৃষকের ভরসার স্থল। এরকম মহৎ এবং মানবিক কাজের উদ্যোগ কেন মসজিদগুলো থেকে মানুষ পায় না।



এ বিষয়ে দু চারজন ধর্মকর্ম ওয়ালা কমিটির লোককে প্রশ্ন করেও দেখেছি তাদের প্রতিক্রিয়া কি? অনেকের কাছে উত্তর পেয়েছি এরকম;- ওসব কাজ সরকারের। আমরা কেন করব সরকার শিক্ষা খরচ দিবে, সরকার চিকিৎসা সেবা দেবে ব্লা ব্লা সহ আরো অনেক কিছু।

মসজিদ কমিটির সভাপতি সেক্রেটারিরা মসজিদের ফান্ডে লাখ লাখ টাকার হিসাব আড়ম্বরে ঘোষণা করে অথচ নিয়মিত গরীবদেরকে একবেলা ফ্রি খাবার ব্যবস্থা তারা কয়জন করেন? মসজিদের আশপাশের রাস্তায় মানুষ বাধ্য হয়ে প্রসাব করতেছে তবুও মসজিদের টয়লেটে যেতে পারছে না। কারণ টয়লেটে তালা মারা। দুরের পথিক রাত হয়ে গেলে মসজিদের বারান্দায় একরাত ফ্রী থাকতে পারে না কারণ প্রধান ফটোকে তালা মারা।

আমাদের মসজিদ গুলো থেকে এলাকার বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য, বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য কোন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারতো। এরাই চিল্লায়া ওয়াজ করে সুদ খাওয়া হারাম অথচ মসজিদের ফান্ড থেকে কোনদিন কোন বেকারকে বিনা সুদে ঋণ দিয়ে বা কর্জে হাসান দিয়ে উপকার করছে কিনা কেউ সেরকম উল্লেখযোগ্য নজির বা দৃষ্টান্ত আমরা দেখিনি। সংশ্লিষ্ট এলাকার এরকম হাজারো ছোটখাটো সমস্যা মসজিদ থেকে হতে পারতো। আর আমাদের দেশ হতে পারতো মানবাধিকার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অথচ মসজিদের শহর আমাদেরই ঢাকা এবং আমরা ফেন্সি মসজিদ নির্মানে ব্যস্ত।

ছবিঃ অন্তর্জাল।



মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একমত।

১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩

মোগল সম্রাট বলেছেন:

ধন্যবাদ।

২| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: ভাল মত দিয়েছেন, ধন্যবাদ।

১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

মোগল সম্রাট বলেছেন:


সবকিছু গৌরিসেনই দেবে আজীবন এই অবস্থার পরিবর্তন করা জরুরী।

৩| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: চমৎকার আইডিয়া। মসজিদ কেন্দ্রীক যাকাত ফান্ড গঠর করে সহজে করজে হাসানা প্রদান করা যায়।

১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

মোগল সম্রাট বলেছেন:



কিছুদিন আগে একটা নিউজ পড়ছিলাম ইউরোপের কোন একটা চার্চ ব্যাংকের ক্লাসিফাইড লোনগুলো কিনে নিয়ে বহু লোককে ঋ্নমুক্ত করে দিয়েছিলো।

এটা আমাদের দেশে কল্পনাও করা যায়না। আমাদের কৃষকেরা মহাজনের দাদন আর এনজিওর ঋনে কংকালসার হয়ে মরে যাচ্ছে।



৪| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১১

তানভির জুমার বলেছেন: সহমত। রাসূল (সা) সময়ে মসজিদগুলো কেমন ছিল আমরা সবাই জানি। মসজিদ গুধু নামাজ পড়ার জায়গা নয়।

১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:২০

মোগল সম্রাট বলেছেন:



বিভিন্ন সময়ে মসজিদের দরজায় ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিয়ে অসুস্থ রোগীকে দাড়িয়ে হাত পাততে দেখেছি। অনেকে ১০/২০ টাকা সাহায্য করতেও দেখেছি। কিন্তু কোনদিন দেখেছেন কোন মসজিদ কমিটি কাউকে ঔষধ কিনে দিয়েছে? অমুকের শালীর মামাতো ভাইয়ের নানা শশুরের মরার খবর মসজিদের মাইকে বার বার প্রচার করা হয়। কিন্তু তমুকের বউ হাসপাতালে তার এক ব্যাগ রক্ত লাগবে সে খবর মসজিদের মাইকে প্রচার করতে শুনছেন?

৫| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬

কিরকুট বলেছেন: মসজিদ মন্দির প্যাগোডা গির্জা বলে যে বস্তু গুলা আছে এর কোনোটাই সাধারন মানুষের কাজে আসে না উহা কেবল কিছু সিলেক্টিভ লোকের আয়ের উৎস ।

১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪

মোগল সম্রাট বলেছেন:



আয়ের উৎস বানাইছেন ভালো কথা। সেই আয়ের সুষম বন্টন করলে আয় আরো শতগুনে বৃদ্ধি পাইতো।

৬| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: মনের কথা বলেছেন।

১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪

মোগল সম্রাট বলেছেন:



ধন্যবাদ

৭| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: মাদ্রাসার ছাত্ররা সাধারণ ছাত্রদের সমান সুযোগ পায় না বলে একদল আন্দলোন করলো, পরে দেখা গেলো মাদ্রাসায়ও সাধারণ লেখাপড়ার মত কিছু বিষয় চালু করা হলো, আর তার সুযোগে মাদ্রাসার ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে চান্স পাওয়া শুরু করলো। তখন ঐ যে যারা আন্দোলন করেছিলো, তারাই বলা শুরু করে দিলো যে বিশ্ববিদ্যালয় নাকি মাদ্রাসা হয়ে গেলো।

মসজিদ গুলি এক সময় পাওয়ারফুল ছিলো, সেটা ধীরে ধীরে কমানো হয়েছে। এখন আমরা অভিযোগ করছি মসজিদের কোন অবদান নাই। আগামীকাল যদি সরকার নিয়ম করে দেয় যে মসজিদের অবদান বাড়াতে হবে, দেখবেন আমরাই বলবো যে মসজিদ কেন্দ্রিক কেন হতে হবে? স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-কারীগরি-অফিস-আদালত এগুলি থাকতে কেন মসজিদ কেন?

তবে যদি মুসলিম হিসাব চিন্তা করা হয়, মসজিদকে পাওয়ারফুল করাটা জরুরী। সেটা করতে গেলে বহু কষ্ট করতে হবে, যোগ্য লোককে সামনে আনতে হবে মসজিদ পরিচালনা করতে। বিষয়টা খুবই জটিল ও কষ্ট সাধ্য।

১০ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

মোগল সম্রাট বলেছেন:



মসজিদকে পাওয়ার দেয়া, সেই পাওয়ার এক্সারসাইজ মনিটরিং করতে মেলেটারি নিয়োগ করা আরো কতে বিরাট ফিরিস্তি! কেনরে ভাই? এতো কমপ্লেক্স করে দেখছেন কেনো?

ছোট ছোট কতো কাজ সেচ্চায় করা যায় তাতে আনুষ্ঠানিক পাওয়ার নাযিলের অপেক্ষা করা লাগেনা। অহি আসার অপেক্ষা করা লাগে না। নওগার ভিক্ষুক গহের আলীর কথা মনে আছে? যিনি একাই নওগার মহাদেব পুরে পুরো এলাকা জুড়ে ১২ হাজার তালগাছ একাই লাগিয়েছিলেন।

এরকম হাজারো কাজ শুধু দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করলেই হয়ে যায়।

৮| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ইজমা/ কিয়াসের মাধ্যমে মসজিদের দানের টাকা ব্যয়ের নতুন পদ্ধতি চালু করতে হবে;পার্লামেন্টে আইন পাস করতে হবে।

১০ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

মোগল সম্রাট বলেছেন:



এখন দানের টাকা খরচের জন্য কোন পার্লামেন্টের আইনে খরচ করে?

৯| ১০ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।অনেক মসজিদে এখন রাজনীতিও চলে।

১০ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

মোগল সম্রাট বলেছেন:



রাজনৈতিক নেতারা যখন চালায়, রাজনীতিতে চলবে। তাছাড়া মসজিদে রাজনীতি না করার কোন নিষেধাজ্ঞা আছ? :|

১০| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কেন প্রতিদিন তো ওখানে পাঁচবার করে লোক সমাগম হচ্ছেই।

১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩১

মোগল সম্রাট বলেছেন:


হুমমম। ফজরের নামাজ অনেক মসজিদে শুধু ইমাম আর মোয়াজ্জেন এই দুইজনকে পড়তে হয়।

১১| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

শার্দূল ২২ বলেছেন: আপনার পোষ্টের বিষয় বস্তু গুলোই আমাদের সমাজ ব্যবস্থা মানসিকতা মান উন্নয়ন ঘটাতে পারে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এসব নিয়ে কেউ ভাবেনা। ইভেন সরকারও না, জামাত ইসলাম বা ইসলামিক শাষন তন্ত্র আন্দোলনকে ক্ষমতায় এনে দিলেও হবেনা। কারণ ধর্ম কর্ম করা আর তার ব্যবহার দুটো বিপরীত।

মসজিদ ব্যবসা দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশের মাটিতে রমরমা ব্যবসা হচ্ছে। এত সহজে পুজি ছাড়া ব্যবসা আর কিছুতে নেই। পাবলিকের টাকা আপনার মাথা মুখ। পাবেন আর খাবেন। আর দোজাহানের অশেষ নেকি হাসিল ।

নিউ ইয়র্কে ব্রুকলিনের এক জায়গায় একটা ইন্টারসেকশানে ৩ টা মসজিদ এক সাথে। ডুকুমেন্টে উল্ল্যেখ না থাকলেও মানুষ নাম রেখেছে আওয়ামিলীগ মসজিদ বিএনপি মসজিদ জামায়াত বা বিভিন্ন মাজহাবের মসজিদ হিসেবে। এখানে কোন মন্দির বা গির্জার সামনে পুলিশ থাকুক আর না থাকুক শুক্রবারে আমাদের মসজিদের সামনে আমেরিকান পুলিশ থাকতেই হবে। কারণ নামাজ শেষে মসজিদের সামনে গালাগালি হাতাহাতি না হলে নাকি বেহেশ্তের চাবিতে প্রপার শান দেয়া হয়না।

এখানে মসজিদ কমিটির নির্বাচন আমেকিার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কে হার মানায়। এ কেমন নির্লজ্জতা, নামাজি গন একজন কে ক্যাশিয়ার হিসেবে বিশ্বাস করছেনা কিন্তু সে বলছে আমাকে ভোট দেন আমাকে বিশ্বাস করেন আমি টাকা মেরে খাবোনা, মসজিদের টাকা খাওয়ার চিন্তা আমাদের মধ্যে কিভাবে আসে। আমরা আবার কোন মুখে বিশ্বাস করানোর জন্য ভোটা ভুটি করি। এ কেমন নামাজি এ কেমন মুসলিম। এ কেমন এবাদত।কেউ কি ভেবেছে কখনো?

আমার আব্বু নিজের কেনা জায়গা দান করে দিয়েছেন মসজিদ বানানোর জন্য, গত দশ বছরে আব্বুর পিছনে পড়ে আছে ওনাকে ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব নিতে। আব্বু সাফ কথা দোযখে যাওয়ার ইচ্ছে আমার নেই এই দায়িত্ব নিয়ে। একজন সঠিক মুসলিম এই পদের জন্য ভোট তো দুরের কথা উল্টো দৌড় দিবে।

যাইহোক আমার হিসেবে মসজিদ দিয়ে সমাজ উন্নয়ন করা অনেক সহজ। প্রথমত দেশ থেকে চেয়ারম্যান মেম্বার উঠিয়ে ইমাম কে চেয়ারম্যান করে মুয়াজ্জিন কে মেম্বার করে দেয়া উচিৎ। সমাজের সবাই তার যাকাতের টাকা ইমামের হাতে তুলে দিবে, এবং উপরন্ত যত টাকা আসবে সবাই ইমাম কে দিবে। ইমাম সমাজে হেটে হেটে দেখবে কার ঘর নাই, কার চাল নাই, কোন বুড়ো মানুষের শোয়ার খাট তোষক বা কম্বল নাই, কোন ঘরে সদ্য জন্মানো শিশুর নিরাপদ ঘর নাই। এসব সে হেটে হেটে খুজে বের করবে এবং দান করবে সেই সম্পদ থেকে। সামর্থ অনুযায়ী সবাই সবার কৃষিখাৎ থেকে শষ্য দান করবে মসজিদে যারা চাল ডাল কিনতে পারেনা ইমাম মুয়াজ্জিন তাদের খোজ খবর নিয়ে সাহায্য করবে। কারা অভ্যাস বশত গরীব আর কারা পরিস্থিতির শিকার তা মেধা দিয়ে বের করবে ইমাম নিজে। যেই মসজিদে লেখা হয় মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলা নিষেধ বা হারাম সেই মসজিদে লিখতে হবে মানব উন্নয়নের ক্লাব ঘর। মসজিদ হতে হবে বাশের বেড়া টিনের চালে। শুধু মাত্র মানুষের জীবন যাপন সহযোগিতার ঘর। সেই সাথে সালাহ মানে কোরান পাঠ।

বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটা মসজিদের ইতিহাস টানলে দেখা যায় কালোবাজারী আর অসৎ বয়বসায়ী বা চাকুরি জীবি তার অসৎ টাকার একটা ক্ষু্দ্র অংশ দিয়ে মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানা দিয়ে তার সারা জীবনের পাপ মুছন করতে চায়।আর হুজুররা তো দোয়াই করে আল্লাহ তার সম্পদ আরো বাড়ায় দাও, যে ব্যাক্তি আগের সম্পদ চুরি করে বানায়সে তার আরো টাকা হওয়া মানে তার চুরি আরো বাড়ায় দাও, কি সাংঘাতিক দোয়ারে বাবা।

আর আমরাও কেমন যেন , ৭ খুন করা ব্যাক্তি ৭ দিন মসজিদে গেলে আমরা কানাকানি করি, এই শুনছেন জব্বর খুনিতো ভালো হয়ে গেছে , সে এখন নামাজ পড়ে। কি সহজে সাত দিনের প্যাকজে চরিত্রের সার্টিফিকেট ইস্যু হয়ে গেলো। এই সার্টিফিকের সমাজিক ভালো কাজ করে পেতে হলে একটা মানুষের কম করে ৫ বছর ভালো কাজ করতে হবে, কে করে এত কষ্ট। যাই করো দিন শেষে মাথায় টুপি মুখে দাড়ি আর লম্বা জামা, শেষ, আপনার কবর জায়গায় হবে মসজিদের পাশে। আর কোন ভাবে যদি শুক্রবারে মরতে পারেন তাহলেতো কোন কথা নাই, আপনাকে ডিরেক্ট ইমেল করে পাঠায় দিবে জান্নাতে।

কোরানে বর্নীত একজন মুসলিমের চরিত্র যেমন হবার কথা তা যদি করা হয় এই পৃথিবী হয়ে উঠবে সাক্ষাৎ স্বর্গ।

চমৎকার পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৪

মোগল সম্রাট বলেছেন:












প্রথমেই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই এতো সুন্দর কমেন্টের জন্য। কারন আমার পোস্টের বাদ পড়া অনোক পয়েন্ট আপনার কমেন্টে আপনি উপস্থাপন করেছেন। এই মন্তব্যটি আপনি চাইলে পোষ্ট আকারেও দিতে পারতেন।

আমি যে মহল্লায় থাকি সেখানে প্রায় সাড়ে তিনশো বছর পুরনো একটি প্রত্নতাত্ত্বিক মসজিদ রয়েছে। এতোদিন ভালোভাবেই চলছিলো। সম্প্রতি ১১ লাখ টাকা খরচ করে এসি লাগানো হয়েছে। মসজিদের চারপাশে দোকানপাট আছে। তারা প্রায় সবই শুনি নানান ধরনের সমিতি, কো-অপারেটিব সোসাইটি, ব্যাংক ঋণে জর্জরিত। দোকান থেকে ভাড়া তোলে মসজিদ কতৃপক্ষ। কিন্তু কোনদিন কাউকে কোন লোন দেয়ার কথা চিন্তাও করেনি আবার দোকানদারগনও কল্পনা করতে পারেনা মসজিদ ফান্ড থেকে বিনা সুদে ঋণ নেয়ার কথা।

মহল্লায় শিশু কিশোরেরা বছরে দুই একদিন ফুটবল, ব্যাডমিন্টন খেলা আয়োজন করে। বছরের বাকিদিনগুলো এারা কোন খেলাধূলা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিছুটা পায় না। এতে কিশোর গ্যাং, নেশা, মাদাকে আসক্ত হবার পরিমানও বেড়ে চলছে। কমিটির লোকগুলো কি পারেনা তাদের নিয়ে মাসে মাসে দারুন সব সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করতে? এসব এখন আমাদের অলীক কল্পনা মনে হবে। আসলে এ সমাজে মসজিদের অবদান হবার কথা ছিলো সবচেয়ে বেশি। আমরা পুরো উল্টো চিত্র দেখছি।

দেশের আড়াই লাখ মসজিদ থেকে যদি দৈনিক ২ জন লোক উপকার পেলে দৈনিক পাচ লাখ লোক প্রত্যক্ষ ভাবে উপকৃত হতো।

শুভকামনা নিরন্তর।

১২| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৫

[email protected] বলেছেন: Moszid ta chna lagse
Ata ki joypur hat ?

১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৯

মোগল সম্রাট বলেছেন:


বাংলাদেশ সরকার এরকম ৫০০ মডেল মসজিদ দেশ জুড়ে নতুন করে তৈরি করেছে। আমি ছবিটি গুগল থেকে নিয়েছি। হতেও পারে এটা জয়পুরহাটের মডেল মসজিদ।

১৩| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩১

কামাল১৮ বলেছেন: জাকাত দান খয়রাত যে কোন মানুষকে দেয়া যায়,ইসলামের কোথায় আছে?আয়াত বা সহী হাদিস সহ জানান।

১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৫

মোগল সম্রাট বলেছেন:


۞ إِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلفُقَراءِ وَالمَسٰكينِ وَالعٰمِلينَ عَلَيها وَالمُؤَلَّفَةِ قُلوبُهُم وَفِى الرِّقابِ وَالغٰرِمينَ وَفى سَبيلِ اللَّهِ وَابنِ السَّبيلِ ۖ فَريضَةً مِنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عَليمٌ حَكيمٌ

যাকাত হল কেবল ফকির, মিসকীন, যাকাত আদায় কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদে হক এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে-ঋণ গ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সুরা তওবাহ আয়াত নং-৬০)

As-Sadaqât (here it means Zakât) are only for the Fuqarâ’ (poor), and Al-Masâkin (the poor) and those employed to collect (the funds); and to attract the hearts of those who have been inclined (towards Islâm); and to free the captives; and for those in debt; and for Allâh’s Cause (i.e. for Mujâhidûn – those fighting in the holy battle), and for the wayfarer (a traveller who is cut off from everything); a duty imposed by Allâh. And Allâh is All-Knower, All-Wise.

মসজিদে যাকাত দান খয়রাত দেয়ার কথা জানা থাকলে বলবেন।



১৪| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২২

শেরজা তপন বলেছেন: আমি এই নিয়ে ভেবেছি অনেক। কেন এত মসজিদ দরকার -জাতির কি বিশেষ উপকারে আসছে এসব।
আপনার নিবন্ধটা চমৎকার হয়েছে। প্রশ্নের পাশাপাশি উত্তর এসেছে। আরো অনেক কিছুই বলার আছে- কিন্তু বলা যায় না।

১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:২৩

মোগল সম্রাট বলেছেন:




ঠিক বলেছেন তপন ভাই, অনেক কিছুই বলা যায়না। কেউ কেউ অলরেডি ৩০ খন্ড তাফসির নিয়া বইসা গেছে। কেউ কেউ ফতোয়া তালাশেও নামবে। মোরতাদ, বা কাতেল ওয়াজেবের মাছালা বাইর করবে। ব্যবসা বানিজ্য বইলা কথা। গোমর ফাস হইবার পারে।

এসব সাধারণ বিষয় জানতে আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান বুদ্ধি একটু খাটালেই বোজা যায়।

ভালো থাকবেন।


১৫| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: এখানে কোথায় লেখা আছে সকল গরীব মানুষের জন্য।স্পষ্ট লেখা আছে মুসফিকদের জন্য।মুসফিক কারা।নিশ্চয় কাফেররা মুসফিক না।

১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:১৬

মোগল সম্রাট বলেছেন:



পাছা দিয়া দেয়াল ধাক্কাইয়া দেয়াল সরাইতেছেন না নিজে সরে যাচ্ছেন সেটা চিন্তা করেন।

১৬| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫০

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি ভুল অনুবাদ দিয়েছেন।আল বাইয়ানের অনুবাদ দেখুন।

১৭| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: সেখানে লেখা আছে আল্লাহর রাস্তায় মুসাফিরদের জন্য।তফসির দেখলে আরো বিশদ জানতে পারবেন।

১৮| ১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোগল সম্রাট,




সঠিক পর্য্যবেক্ষন।
মন্তব্যে - প্রতিমন্তব্যে অনেক সুন্দর এবং সঠিক ও যথাযথ বিষয় ফুটে উঠেছে।

১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:২৭

মোগল সম্রাট বলেছেন:


ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই। আপনার মতো গুনী ব্লগার যখন আমার পোষ্টের প্রশংসা করে তখন আমার মতো আনাড়ী লোকদের আনন্দই লাগে। সে আনন্দ বহুগুন।

এ অবস্থা থেকে উত্তরন কিভাবে ঘটানো যায় একটা পোষ্ট লিখতে পারেন ।

শুভ কামনা।

১৯| ১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩

ধুলো মেঘ বলেছেন: যাকাত কখনও মসজিদে বা মাদরাসায় দেয়া যায়না। কুরআনে বর্ণীত ৮টি খাতের বাইরে আর কোন খাতে যাকাত দেবার নিয়ম নেই। হাদীস অনুযায়ী যাকাত কেবলমাত্র মুসলিমদেরকে দেয়া যায়। কিন্তু অমুসলিম নাগরিকদেরও দেখভালের দায়িত্ব সরকারের।

১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৪০

মোগল সম্রাট বলেছেন:


যাকাতের খাত কোরানে বর্নীত এটাই আসল কথা। তবে এখন মসজিদের পরিচালনাকরী ব্যক্তিবর্গ, ইমাম মোহাদ্দেস সব হাদিসের মাছালা বের করে প্রচার প্রসারে সিদ্ধহস্ত।

যাই হোক সেটা ভিন্ন আলোচনা। আমি পোষ্ট লিখেছিলামা সমাজে মসজিদের অবদান নিয়ে। আপনি সে ব্যাপরে কিছু বলতে পারেন। কিংবা দিক নির্দেশনা কি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

২০| ১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:১৭

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: সুন্দর গঠনমূলক পোস্ট।

১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৪১

মোগল সম্রাট বলেছেন:


ধন্যবাদ।

২১| ১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার বাড়ির পাশের মসজিদ যখন প্রথম স্থাপনার কাজ শুরু হয়, তখন নিজে দু'হাতে মাটি দর্মুজ করে দিয়েছি, পানি দিয়েছি, বাশের বেড়া বেধেঁ দিয়েছি, নিজে আযান দিয়েছি, সকাল বেলা বাচ্চাদের আরবি পড়া শিখিয়েছি, সেটা ১৯৯৮/৯৯ সালের কথা। পরবর্তীতে যখন প্রথম দিকে পাকা করার কাজ শুরু হয়েছিলো তখন আর্থিক সহায়তা করেছি। ২০২২/২৩ সালে মসজিদটি এখন চারতলায় গিয়ে ঠেকেছে, শুনেছি সম্প্রতি এসি লাগানোর জন্য তারা অর্থ কালেকশান শুরু করেছে। মসজিদের কাছের বাড়ি হওয়ার সুবাদে ঈমাম, মুয়াজ্জিন সবাই আমাদের পরিবারের সবাইকে চেনেন। আমি প্রবাসে থাকি শুনে তারা মাঝে মাছে মা'র কাছে আসেন। "খালাম্মা, ভাইজানকে বইলেন কাজ চলতেছে.." এই জাতীয় কথা-বার্তা মা আমাকে প্রায়ই শুনিয়ে থাকেন, মা'কে বলে দিয়েছি এসি বা সৌন্দর্য বর্ধনের কোন কাজে আমি নাই।

আপনার উল্লেখকৃত "মসজিদ কমিটিতে" আমি বা আমার পরিবারের কেউই কখনোই ছিলো না, থাকার ইচ্ছেও নেই। কিছুদিন আগে মসজিদ কমিটির একজন হত্যা মামলায় জেলে গিয়েছে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

মোগল সম্রাট বলেছেন:


আসলে সমাজে আনেক ভালো লোকজনও আছে যারা মসজিদ কমিটিতে গেলে অনেক ভালো কাজ করতে পারতো সমাজের জন্য, মানুষের জন্য । তাতে সমাজও উপকৃত হতো মানুষও । কিন্তু সমস্যা্ হলো ভালো মানুষেরা এসব যায়গায় আসতে পারেনা এবং অনেক ক্ষেত্রে আসতে চায়ও না। কারন প্রভাবশালীদের এখানে না আসলে তাদের জাত ঠিক থাকে না। আর প্রভাবশালীদের সাথে ঝামেলায় জড়াতে চান না এই ভেবে কমিটি অনেকিই এড়িয়ে চলেন।

পোস্টে আপনান সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।



২২| ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটা পোস্ট।
অত্যন্ত মনোরম। এই পোস্ট স্টীকি করা যেতে পারে।
এরকম লেখা অব্যহত রাখুন।

১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

মোগল সম্রাট বলেছেন:

ধন্যবাদ রা-নু ভাই।

এ দেশে এসব অতিসংবেদনশীল বিষয় নিয়ে লেখা অনেক উদ্বেগ নিয়ে লিখতে হয়। কোন গোষ্টির বারা ভাতে ছাই পড়ে যায় বলা তো যায়না।

শুভকামনা নিরন্তর।

২৩| ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৫০

নতুন বলেছেন: ভালো মানুষেরা মানুষের উপকারের সুযোগ খোজে। তাদের হাতে মসজিদের মতন একটা প্রতিস্ঠান থাকলে সেটাকে তারা অবশ্যই মানুষের উপকারে কাজে লাগাবে।

কিন্তু বর্তমানে মসজিদের নিয়ন্ত্রন এলাকার মুরুব্বিদের মাঝে যাদের রাজনিতিক প্রভাব আছে, বেশি টাকা আছে তাদের হাতে।

তাই এতো বড় একটা প্রতিস্ঠানকে সামাজিক কাজে লাগানো যাচ্চে না।

১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:০১

মোগল সম্রাট বলেছেন:


সহমত আপনার মন্তব্যের সাথে।


আমিও তাই ভেবেছি। সারা দেশ জুড়ে যে প্রতিষ্ঠানের এতো ব্যাপ্তি, এতো বিশাল অবকাঠামো, এতো বিশাল নেটওয়ার্ক অথচ দেশের সমাজ উন্নয়নে, দেশের মানুষের কল্যানে আমরা তা কাজে লাগতে পারছিনা।

অশাকরি তাদের বোধদয় হবে কোন একদিন।

২৪| ১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- যৌক্তিক চিন্তার প্রকাশ।
- তবে শুধু মসজিদ কেনো আপনার নজরে এলো!! এমন আরো নানান ধরনে প্রতিষ্ঠান রয়েছে আমাদের দেশে।

১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০১

মোগল সম্রাট বলেছেন:


শুধু মসজিদ না আরো এরকম প্রতিষ্ঠান আছে। সামনে সে গুলো নিয়ে পোস্ট দিবো।

ধন্যবাদ।

২৫| ১২ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:৫৩

শার্দূল ২২ বলেছেন: @মরুভূমি জলদস্যু- মসজিদ ইমাম মুয়াজ্জিন সমাজে যতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে বাংলাদেশের আর কোন প্রতিষ্ঠান এতটা পারেনা, একজন ইমাম তার এলাকার প্রতিটা ঘরে হাড়ির খরব জানে, প্রতিটা মানুষের মনের খবর জানে, পকেটের খবর জানে। ধর্ম দিয়ে মানুষের কাছে যতটা দ্রুত আর গভীরে যাওয়া যায় দুনিয়াতে আর কোন মন্ত্র নাই মানুষের মধ্যে জায়গা করার। সমাজের ভালো মন্দ সব কিছু মসজিদ ধর্ম ঘিরেই। সরকার দেশের উন্নয়ন করবে দেশের অন্য সব প্রতিষ্ঠান দিয়ে। শুধু মাত্র ইমাম পারবে সরাসরি মানুষের মনে মাথায় চোখে হাত বুলিয়ে দিতে।

লেখকের চিন্তায় মসজিদ কে শক্তিশালি এবং আরো বেশি কার্যকর করার। আমি যতটুকু বুঝেছি।

@সম্রাট- আমি পোষ্ট দেইনা এই জন্য যে আমার মন্তব্য গুলো নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জন্য। যেমন আপনি এই পোষ্ট দিয়েছেন।, এই পোষ্টের বিষয় ভিত্তির উপর যাদের আগ্রহ তারাই আসছে। তারাই পড়েছে মন্তব্য করছে , আমার কথা গুলোও তাদের জন্য। সুতরাং আমি পোষ্টের চেয়ে মন্তব্যে বেশি আরাম পাই।

ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.