নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...
(এক)
বাসার ফ্লোর মোছার জন্য ছুটা বুয়া ফরিদা প্রতিদিন সকাল নয়টায় এসে ঘর মুছে দিয়ে যায়। বয়স পয়ত্রিশ ছত্রিশ হবে। ঝুঁকে পড়ে ফ্লোর মোছার সময় ব্লাউজের ফাঁক দিয়ে ক্লিভেজ দেখা যায়। ছুটির দিন সোফায় বসে পত্রিকা পড়ার সময় আমারো একদিন চোখে পড়েছে। আমি মুখের সামনে পত্রিকা আরো উঁচু করে নিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিয়েছি।
গত তিন দিন আগে ফরিদা আমারা বউকে এসে বলেছে;
- আফা, এই বেল্ডিংয়ে আর কাজ করুম না, নিচের বাসার সাহেবে বিরাট লুইচ্চা। আইজকা একদম যাইত্তা ধরছে।
নিচের বাসার ভদ্রলোক রিটায়ার্ড আমলা। ষোলশো বর্গফুটের নিজের ফ্ল্যাটে থাকেন। আমার বউয়ের কাছে ফরিদা বলে গেছে এই নিয়ে তিন দিন তার গায়ে হাত দিয়েছে। আজকে কোন মতে ছুটে আসছে।
আমার বউ বিরাট টেনশনে আছে। ঠান্ডায় তার এ্যাজমা বাড়ে।
(দুই)
ফারুক ভাইয়ের নিউমার্কেটে ক্রোকারিজের দোকান আছে উনার একছেলে এক মেয়ে। পরিবারে সাথে একটা ডিভোর্সী বোনও থাকে। ছেলে মেয়েদের আরবি শিক্ষা দেওয়ার জন্য মসজিদের মোয়াজ্জেন মোবারক আলীকে ঠিক করেছে। প্রতিদিন আসরের পরে সে আরবি পড়ায়।
হঠাৎ ফারুক ভাইয়ের বোন প্রেগন্যান্ট হয়ে যাওয়ায় গত সপ্তায় মোবারক আলী সাথে ঐ বোনটার বিয়ে হয়েছে। ফারুক ভাই অন্য এলাকায় চলে যাবে।
বিকেলে আমি আর ফারুক ভাই বাইক নিয়ে আশেপাশের এলাকায় রাস্তায়। "টু-লেট" লেখা বাসার সামনে বাইক থামিয়ে কখনো দারোয়ানের কাছ থেকে কখনো বাড়িওয়ালার মোবাইল নম্বরে কল করে বাসা ভাড়ার তথ্য নিয়েছি। পছন্দ মতো বাসা পায়নি ফারুক ভাই।
(তিন)
শেলী ভাবী একটা বেসরকারি স্কুলে খন্ডকালীন চাকরি করে। উনার হাজব্যান্ড বিডিআরে চাকরি করতো। দশ বছর আগে সাতক্ষীরার বর্ডারে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। একটা মেয়ে আছে। মেয়েটা এবার ক্লাস নাইনে পড়ে।
স্কুলের হেডমাস্টার প্রথম থেকেই শেলী ভাবীর দিকে কুনজর দিয়ে আসছে।
এবার লাইব্রেরিতে একা পেয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে হঠাৎ দপ্তরের উপস্থিত হওয়ায় বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত গড়িয়েছে। হেডমাস্টারের চাকরি চলে গেছে। শেলী ভাবীও আর ওখানে চাকরি করার পরিবেশ পাচ্ছে না।
সহকর্মী শিক্ষক থেকে ছাত্রছাত্রীরা পর্যন্ত তাকে দেখলেই এই কাহিনী নিয়ে আলোচনা করে, টিটকারিও মারে। শেলী ভাবি আমাকে বলেছে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে তার বাপের বাড়ি চলে যাবে আগামী মাসে।
(চার)
ভূমি অফিসের কেরানী আব্দুল মালেক সাহেব। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার রামমোহোন। থুতনির নিচে এক মুঠো দাড়ি আছে। সারাক্ষণ পান খায়।আমি তাকে কাকু বলে ডাকি।
ঢাকার এই এলাকায় তার একটা দোতলা বাড়ি আছে। পাঁচটা ছেলে উনার। একটাও মেয়ে নাই। একদম ছোট ছোট ছেলেকে হাফেজ বানানোর উদ্দেশ্য কুমিল্লার একটা হেফজখানায় দিয়েছিলো।
গতকাল রাত দশটায় মালেক কাকু চাচিকে নিয়ে কুমিল্লার যাবার জন্য রেডি।
ছেলেটা মাদ্রাসার এক শিক্ষক কতৃক বলাৎকারের শিকার হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এখনো জ্ঞান ফেরেনি। রক্ত লাগবে দুই ব্যাগ। আমার রক্তের গ্রুপ ছেলের রক্তের গ্রুপের সাথে মিলে গেছে তাই আমাকে রিকোয়েস্ট করেছিলো সাথে যাবার জন্য।
এই কনকনে ঠান্ডার মধ্যে কুমিল্লা থেকে ঘুরে এসে আমার বুকে কফ জমে গেছে এখন খকখক কাশছি। বউ হেব্বি বিরক্ত।
(পাঁচ)
মহুয়া আমার স্কুলের বান্ধবী। একসাথে পড়ালেখা করেছি মাষ্টার্স পর্যন্ত। এখন সে একটা প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরি করে। ওর স্বামীও একটা বিদেশি এনজিওর বড় কর্মকর্তা। বহু বছরের সংসার হলেও এখনো কোনো সন্তান হয়নি। কার যে সমস্যা সেটা মহুয়াও আমাকে কোনদিন বলেনি।
মহুয়া উত্তরায় থাকে। আমার সাথে সরাসরি দেখা হয় না অনেকদিন। যোগাযোগ কথাবার্তা যা হয় সবই মোবাইলে।
দিন দশেক আগে মহুয়া জরুরী ভাবে দেখা করার জন্য ডেকেছিল পান্থপথের একটা হসপিটালে। মহুয়া ওর শাখার ম্যানেজারের সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে গেছে। খবর পেয়ে ম্যানেজারেে বউ অফিসে এসে লংকা কান্ড করেছে।
মহুয়া ইনডিসিশনে আছে। এ্যাভোর্সন করবে না স্বামীকে ডিভোর্স দেবে? ইস্যুটা ম্যানেজারের। আমি ডিভোর্সের পরামর্শ দিয়েছি।
বাসায় এসে নিজের কাছেই খটকা লাগছে। ভুল না সঠিক পরামর্শ দিলাম।
(ছয়)
ডাক্তার পরেশ বিশ্বাসের সাথে পরিচয় ১৮ বছর আগে। তখন আমি ব্যাকে চাকরি করতাম। পোস্টিং ছিল সাভারে। ডাঃ পরেশ মেডিসিনের ডাক্তার। অত অল্প বয়সে দারুন ডাক্তারি করতো। তার চেম্বারে গিয়ে প্রায়ই আড্ডা দিতাম। আমি জানতাম সে প্রচন্ড রকমের সেক্স মেনিয়াক। আড্ডায় বসলেই টপিকে অবধারিত ভাবে সেক্স নিয়ে আসতো। আমি চাকরি ছাড়ার পর বহু বছর তার সাথে কোন যোগাযোগই ছিল না।
মাস দুয়েক আগে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে সামনে তার সাথে দেখা। আমার এক আত্মীয় ওখানে সাজা খাটছে। তার সাথে দেখা করতে আমি ওখানে গিয়েছিলাম। ডাঃ পরেশকে দেখে প্রথমে আমি চিনতেই পারিনি। অনেক বছর সাজা খেটে ঐ দিন পরেশ বাবু মুক্তি পেয়েছিলো।
একজন নার্সের স্বামী ও সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করে নারী ও শিশু আদালতে দায়ের করা মামলায় এতো বছর জেল খাটিয়েছে।
ডাঃ পরেশ আবারো চেম্বার খুলে ডাক্তারী শুরু করেছে। আমাকে আড্ডার জন্য ইনভাইট করেছে আগামী সপ্তাহে।
ঢাকা
১৩ মাঘ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫২
মোগল সম্রাট বলেছেন:
হুমমৃমমম....
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪০
মিরোরডডল বলেছেন:
আমাদের সমাজের কিছু অপ্রত্যাশিত বিচ্ছিন্ন দৃশ্যপট।
থ্যাংকস সম্রাট।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৭
মোগল সম্রাট বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, মিরোরাপু।
সবগুলো ঘটনাই খুব কাছ থেকে দেখা। দিনকে দিন সমাজের মানুষের কতো অবক্ষয় দেখছি সবাই। এটা কমছে না বরং বেড়েই চলছে।
শুভকামনা নিরন্তর।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৩
কামাল১৮ বলেছেন: আমি ভাবলাম আপনার বিরোদ্ধে নালিশ দিয়েছে এই বলে যে সাহেবের চোখ খারাপ।পত্রিকার ফাঁক দিয়ে আমার দিকে তাকাত।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০০
মোগল সম্রাট বলেছেন:
হা হা হা।
একবার তাকিয়ে ছিলাম তো আর একবার তাকানো জায়েজ আছে
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি দুইবার তাকিয়েছেন নিশ্চিত। জায়েজ কাম শেষ
এক পর্বে অনেক অনেক ঘটনা জানলাম।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩১
মোগল সম্রাট বলেছেন:
হা হা হা ।
তপন ভাই একবার তাকায়া শরম পাইয়া পত্রিকা উপর উঠাইয়া চোখ ডাইকালাইছি । পরের বার দেখনের জন্য পত্রিকা নিচে নামায়া দেহি সামনে বউ খারায়া রইছে।
শুভকামনা।
৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৫
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: বিচ্ছিন্ন সব ঘটনা, এ যেনো এক সুতোয় গাঁথা...
জীবনের গল্প গুলো কেমন যেনো!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৮
মোগল সম্রাট বলেছেন:
জীবনের অন্ধকারের গল্প ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
পড়লাম প্র্যাতহিকি।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৭
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ধন্যবাদ ।
৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: এই সমাজ এই রকমই।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩
মোগল সম্রাট বলেছেন:
সমাজের এসব ঘটনার বেশিরভাগই আড়ালে আবডালে থেকেই যায়।
শুভকামনা রানু ভাই।
৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৩
এম ডি মুসা বলেছেন: সমাজের নানা রকম ঘটনা, এই রকম ঘটে বাংলার চরিত্র বড় অদ্ভুত
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪
মোগল সম্রাট বলেছেন:
এরকম প্রকাশিত অপ্রকাশিত কতো ঘটনা ঘটে এই দেশে। তারপরও খুব কমই লোকই শিক্ষা নেয় । কারন এই সব অবক্ষয়ের গ্রাফ উর্দ্ধমুখি সবসময়।
শুভ কামনা।
৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬
শার্দূল ২২ বলেছেন: সমাজের এমন অনেক ঘটনার আমি নিরব সাক্ষি। নাম না নিয়ে কিছু ঘটনা এখানে বলতে পারি। যদিও এসব গল্প থেকে কেউ শিক্ষা নিবেনা। ধার্মিক এবং ডাক্তার নিয়ে একটা ঘটনা বলতে ইচ্ছে করছে ।
আমার ক্লিনিকের মার্কেটিং ম্যানজার তার বউ আবার ডিপ্লোমা নার্স আমার ক্লিনিকেই জব করে। ঢাকা সলিমুল্লাহ হাসপাতালের একজন স্বনামধন্য ডাক্তার আমার ক্লিনিকে প্রতি শুক্রবার রুগি দেখা সাথে সকল অপারেশন গুলো করে শনিবারে চলে যেত, ওনার বউ ঢাকা মেডিক্যালের ডাক্তার ভদ্র মহিলা এক কথায় সুন্দরী। ডাক্তার সেই হাসপাতালের জামাতের সমর্থক বলা যায় সক্রিয় কর্মি।খুব বেশি প্রকাশ্যে না হলেও জামাতে মিটিং গুলোতে তার উপস্থিতি থাকতো।ছোট করে থুতুনির নিচে এক ফসলা দাড়ি রাখতেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো, রুগি মরে গেলেও উনি এত অস্থির হতোনা যতটা হতো সময় মত নামাজ পড়তে না পারলে হাউ কাউ লাগিয়ে দিতো। আমার মার্কেটিং ম্যানাজার আমাকে প্রায় বলে তার বউ এর সাথে ঐ ডাক্তারের ইটিসপিটিস ( এই শব্দটা আমি বললাম,সে অন্যভাবে বলেছে) চলছে, আমি একদিন ধমক দিয়ে বললাম খবরদার এমন ফালতু কথা আর কোনদিন বলবেননা, একেতো আপনার বউ, তার উপর যাকে নিয়ে বলছেন সে একজন ফরহেজগার মানুষ এবং জামাত করেন। অনেক নামি দামি মানুষ।
আমার ধমক খেয়ে ম্যনাজার প্রমাণের জন্য পিছে পড়েছে। বড় ধরণের কোন অপারেশানের রুগি পোষ্ট অপারেটিভ রুমে থাকা অবস্থায় ঐ নার্স তার ফলোআপ রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের রুমে যাওয়া আসা করতেন যত রাত হোক।সেটা নিয়ে কেউ সন্দেহ করার কথা নয়। আমার ক্লিনিকের ৮ ফ্লোরে ডাক্তারদের থাকার জন্য রাত্রী যাপনের ব্যবস্থা ছিলো। একদিন সেই নার্স ডাক্তারের রুমে যায় রিপোর্ট নিয়ে। তখন রাত ২ টা । এইদিকে নার্সের হাজব্যন্ড মানে আমার মার্কেটিং ম্যানাজার পাশের আরেকটি বিল্ডিংএর ৮তলার ছাদে গিয়ে বসে আছে বউকে পাহারা দিতে। সেখান থেকে জানালার পর্দার ফাঁকে দিয়ে রুমের ভিতরটা দেখা যায় এবং সেখানে বসে সে জুম করে যতটা পেরেছে তাদের বিশেষ মুহুর্তের ভিডিও করে । এবং খুব দ্রুত হাসপাতালের বিল্ডিংএ এসে ডাক্তার এর রুমের বাইরে থেকে লক করে পুলিশ ডাক দেয়। রাত তিনটায় আমার মোবাইলে ডাক্তারের ফোন, একদম শিশুর মত কান্না করছে আর আমাকে বলছে - আমাকে বাঁচান, আমি এই অবস্থায় আছি, পুলিশ আসলে সব জানাজানি হলে আমার জীবন শেষ, আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার উপায় নেই, ডাক্তারের বড় মেয়ে বয়স ১৪। ছোট ছেলে ৯ বছর। বউ নিজেও একজন নামিদামি ডাক্তার। মারকেটিং ম্যনাজারের প্রতি আমার একটা বিশ্বাস ছিলো যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়া সে এটা করেনি। আমি ১০ মিনিট ধরে ভেবেছিলাম, কি করবো। ছেড়ে দেবো নাকি এমন মানুষকে শিক্ষা দেবো।
পরে তার বউ আর বড় মেয়ের কথা মনে হলো। অন্তত ঐ নিষ্পাপ সন্তান গুলোর মান সন্মান জীবনের কথা ভেবে পুলিশকে সামলে নিলাম, এবং ইডি কে বললাম তালা ভেঙ্গে ওনাকে বের করে নিরাপদে ওনার বাসায় পৌছে দেন। সেই দিনের পর থেকে আমি আর ঐ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করিনি।
আমি ছোট মন্তব্যে করতেই পারিনা।
আপনার লেখার ধরণ এত ক্রিষ্টাল ক্লিয়ার যে মনে হয় দৃশ্য গুলো দেখতে পাচ্ছি।
শুভ কামনা প্রিয় লেখক
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৩
মোগল সম্রাট বলেছেন:
একটা গান আছেনা, প্রতিদিন কতো খবর আসে কাগজের পাতা ভরে, জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগচরে। এসব ঘটনার ৮০% শতাংশই আড়ালে ঘটে যায়। মান সম্মানের ভয়ে অথবা আপনি যেটা বল্লেন তার ডিপেন্ডেন্টদের কথা বিবেচনা করে আশপাশের লোকজনও সেটা কোন রকম ম্যানেজ করে দেয়। এটাই স্বাভাবিক।
অনেকে যুক্তি দিয়ে থাকেন সঠিক ভাবে শাস্তি প্রয়োগ করতে পারলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না বা কমে যেতো। আমার কাছে এই ধরনের যুক্তিও দুর্বল মনে হয়। কারন হিসাবে যদি দেখেন আরব দেশে যে অপরাধের জন্য কল্লা কাটার আইন আছে সেই অপরাধের গ্রাফ সবসময় নিম্নমুখি হবার কথা ছিলো। কিন্তু খোজ নিয়ে দেখবেন কল্লা কাটার হার ওবছরের চাইতে এবছর আরো বেশি। তার মানে কঠিন আইনও করেও মানুষের সংশ্লিষ্ট অপরাধের সংখ্য হ্রাস করতে পারছে না । আর শুধু আরবে কেন আমাদের দেশে মার্ডার করলে ফাসি হবার আইন থাকলেও মার্ডার কেসের সংখ্যা ক্রম বর্ধমান।
আসলে এধরনের ঘটনা থেকে মানুষ শিক্ষা না নেয়ার হাজারটা কারনের মধ্যে একটা কারন বলি; সেটা হলো প্রাকৃতিক নিয়মে মানুষের জৈবিক চাহিদা বিদ্যমান থাকে সেটা নিয়ন্ত্রন করতে না পারা । আর এই নিয়ন্ত্রন করার জন্য যে ব্যাকওয়ার্ড
লিংকেজ থাকা দরকার মানে পরিবেশ,সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং ওগুলোর সুসম সমন্বয় কেই বা করেছে এদেশে। জৈবিক তাড়না তো অস্বিকার করার মতো না। ধার্মিককে ধর্মপ্রান করার জন্যও স্বর্গে ইনটেক ভার্জিন রমনীদের লোভ দেখাতে হয়েছে।
সুতরাং নিরাপদ নিয়ন্ত্রিত যৌন অভ্যাস না করতে পারাও একটা অন্যতম কারন। পাশাপাশি মানুষ নিজে যদি নিজের পাশবিকতা চিন্হিত করে সেগুলো পরিহার বা নিয়ন্ত্রন না করতে পারে তাহলে এগুলো কমবেনা আমার মনে হয়। আর আপনি যেহেতু উন্নত কোন এক দেশে আছেন সেখানে এই ধরনের অপরাধের ধরন হয়তো আরো ভিন্ন। সেখানে সমাজ ব্যবস্থাও ভিন্ন। সেগুলো নিয়ে অল্প বিস্তর আমরা হয়তো জানি কিন্তু আপনি আরো বেশি অবগত ।
আপনার কমেন্ট যতই বড় হোক কোন সমস্যা নাই । নিজের ভাবনাকে পুরোপুরি প্রকাশ করতে দেয়া তো উচিৎ। সেটা যতই প্রলম্বিত হোক ।
আর আপনি আামকে একটু বেশি ভালোবাসেন তাই হয়তো লেখার প্রশংসা করেন। আামর লেখার কোয়ালিটি নিয়ে আমি নিজেই সন্তুষ্ট না। যাই হোক সেটা ভিন্ন প্রসংগ। আমার আরো কিছু বলার ছিলো পোস্টের বিষয়ে আপনার কমেন্টে। সময় পেলে পরে লিখবো । আর আমার আগের পোষ্টে করা আপনার কমেন্টের রিপ্লাই এখনো রেডি করতে পারনি এজন্য দুঃখিত।
যেখানেই থাকুন সুস্থ্য থাকুন। শুভকামনা সব সময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বড়ই সৌন্দর্য।