নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলামিন বাদশা

আলামিন বাদশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকর হওয়ার মানসিকতা বাদ দিন।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫




ভালো চাকরী আমাদের দেশকে কখনো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনা সরকারি আমলারাও দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারেনা। তারা শুধু তাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য সামান্য একটা চাকরি করতে পারলেই হলো, যেন মনে হয় বিশ্ব জয় করে ফেলেছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, দেশকে স্বয়ং সম্পূর্ন সুখী সমৃদ্ধশালী করতে হলে, বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াতে হলে আমাদের নতুন নতুন আয়ের উৎস তৈরী করতে হবে। আপনি ত টাকা ইনকাম করবেনি, আপনার অধীনে যেন আরো ১ হাজার বা ১ কোটি মানুষ জীবন নিরবাহ করতে পারে। আমাদের তথ্য ও প্রযুক্তির দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেয়া প্রয়োজন। চাকরির দিকে ঝোকে পড়ে আমরা আমাদের শুধু ইনকাম সোর্সই কমাচ্ছি না বরং নিজেদের স্বকীয়তা নষ্ট করছি, গরীব মানুষ যারা দিন মজুর খেটে খাওয়া মানুষ তাদের প্রতি আমরা অবিচার করতেছি। তাদের উপর ধার্য করা কর দিয়েই আমলাদের বেতন ভাতা দেওয়া হয়। চাকরী করা ভালো তবে জীবনের লক্ষ্য শুধু মাত্র একটা চাকরি হওয়া উচিত নয়। যারা ভালো ছাত্র, মেধাবী তরুন তাদের আমি আহ্বান করব যে আপনারা চাইলে এই সামান্য একটা চাকরির চাইতেও ভালো কিছু মানুষের জন্য করতে পারেন। আপনারা হয়ত ভাবছেন যে ঐ সরকারি চাকরিটাই আপনার জন্য বিশেষ কিছু, কিন্তু না। আপনি চাইলে নিজের জন্য মানুষের জন্য আরো অনেক কিছু করতে পারেন আর এর কারনে দেশ ও জাতি আপনার কাছে চিরদিন ঋণী থাকবে। জিবনের ২৫ থেকে প্রায় ৩০ টা বসর বিসিএস পরীক্ষায় টিকার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাই কিন্তু চাকরী পাবে কত জন? বেশি করে বললে ২৫০০ জন বা ৩০০০ জন তাই না? এখানে সবাই যতই মেধাবী হোকনা কেন ঐ ৩০০০ জনই নেওয়া হবে। কিন্তু যারা চান্স পেলোনা তারা কি একেবারেই অযোগ্য? তারা কি কিছুই পারেনা?অনার্স করেছেন, মাস্টার্স করেছেন আশা ছিলো একটা সরকারি চাকরি পেলেই এবার বিয়ে করবেন। জীবনের বাকিটা সময় ভালো করে কাটাবেন কিন্তু যখন চাকরিটা হলোনা অনেক কিছু করেও একটা চাকরি মেনেজ করতে পারলেন না ঐ সময় আপনার বয়স ৩০ বসর। এই সময় অন্য দিকে তাকানোর আর সময় নাই। এখন আপনার বয়স ১৮ কিবা ২০ নয় যে আপনি গোরা থেকে সব কিছু করবেন।

আমি কখনোই চাকরির বিরুদ্ধে না বরং লেখা পড়া করে ভালো একটা চাকরি করা আপনার উচিত কিন্তু চাকরি না পেলে আপনি কি করবেন? তাহলে কি আমি ব্যবসা করার কথা বলছি? লেখা পড়া ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছি? না। আপনি আমি যা কিছুই করিনা কেন অবশ্যই লেখা পড়া করতে হবে।



আমাদের সবার উচিত চিন্তা ভাবনার ইতিবাচক পরিবর্তন করা। মৌলিক জ্ঞান লাভ করা, জ্ঞান অর্জন করা ব্যতিত কোনো জাতিরি কি বা যেকোন মানুষেরি কি উন্নতি করা সম্ভব নয়। আমারা এলোমেলো চিন্তাভাবনা গুলো যদি একসূতোয় বেঁধে মালা সাজাই তাহলে অবশ্যই একটা অর্থবহ কিছু করা সম্ভব। আমি একটা বিষয় পর্যবেক্ষন করে দেখেছি যে
১)অধিকাংশ মানুষই মন্তব্য করে কোনো কিছু না জেনেই।
২)মূর্খ কিংবা শিক্ষিত, জ্ঞান অর্জন করুন তার কাছ থেকেই যার কথায় আপনার লক্ষ খোজে পান।
৩) জীবনের স্বাদ নিতে হলে, জীবনকে জানতে ও বোঝতে হলে আর প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে হলে বাস্তব শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
৩) আপনার আইডিয়া ভালো না খারাপ তা অন্যের কাছে কখোনোই জিজ্ঞেস করবেননা, কারন আপনি আপনার আইডিয়াটা নিয়ে চিন্তা করেছেন হয়ত প্রায় ৩ বসর কিন্তু যার কাছে উত্তর জানতে চাইলেন সে হয়ত ৩ ঘন্টাও এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করেনি।
৪) একই আইডিয়া আপনি হয়ত ভিন্ন ভাবে চিন্তা করতে পারেন, তাই একই কাজ করে অন্যরা ব্যর্থ আর আপনি সফল।
৫) মূর্খরা সারা জীবন লেখা পড়া করলেও শিক্ষিত হয়না তারা লেখা পড়া শিখে শুধুমাত্র পরিবেশ নষ্ট করার জন্য।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
সবাই যদি চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে কিছু করতে চাইত তাহলে হয়তো দেশটা আরও এগিয়ে যেত।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

আলামিন বাদশা বলেছেন: হ্যা, ভাই। আমাদের উচিৎ নিজের মধ্যে যে প্রতিভা লুকিয়ে আছে তার বিকাশ ঘটানো। লেখাটা বুঝতে পারার জন্য মোস্তফা ভাই কে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.