নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলামিন বাদশা

আলামিন বাদশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

STOP RAPE

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১০



আমি প্রথমেই তাদের জবাব দিতে চাই যারা বলে যে আমেরিকায় ত ধর্ষণ হয়না, তারা খোলামেলা অবস্থায় চলাফেরা করে,রাতে যাতায়াত করে।সুতরাং আমাদের দেশের মানুষ খারাপ,তারা নারীদেরকে সম্মান দিতে জানেনা।
আমি আপনাদেরকে বলছি, থামেন। আপনারা যারা ধর্ষনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আর কথায় কথায় পাশ্চাত্যের কথা তুলে যুক্তি দাড় করান যে সেখানে ধর্ষন হয়না।আমি আপনাদেরকে হাজারটা পরিসংখ্যান দেখাতে পারি যে ওই দেশেই ধর্ষনের হার সব থেকে বেশি। নারীরা সেখানে ধর্ষিত হলেও ৬০%ই অভিযোগ করেনা। আমাদের দেশে কোথাও এখনো পর্যন্ত এমন কোনো রেকর্ড নেই যে পার্লামেন্টে ধর্ষিত হয়েছে কিন্তু আমেরিকায় তা হয়েছে।আমাদের দেশে যারা ধর্ষিত হচ্ছে বা হয়েছে তারা যদি আমেরিকান নারিদের মতো অভিযোগ না করতো তাহলে আমাদের দেশে ধর্ষন থাকতোই না


ধর্ষণের তালিকায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
ইউরোপে ৪৭ ভাগ নারী যৌন নির্যাতনের শিকার
আনোয়ার আলদীন০৭ জুলাই, ২০১৫ ইং (ডেইলি ইত্তেফাক)
ধর্ষণের তালিকায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
সারা বিশ্বে বেড়েই চলেছে ধর্ষণ আর নারী নিগ্রহের ঘটনা। নারীর সম্ভ্রম হরণের প্রবণতা বাংলাদেশের মতো দেশেও হচ্ছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলোতে ধর্ষণের সংখ্যা উদ্বেগজনক। তবে এই অপরাধ সবচে বেশি ঘটে যে ১০টি দেশে তার মধ্যে বাংলাদেশ নেই। এই অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেশী দেশ ভারত ধর্ষণের সংখ্যার হিসেবে পাঁচ নম্বরে আছে।

সম্প্রতি বিশ্বের কয়েকটি সংগঠন জঘন্য এই নারী নিগ্রহের ঘটনার শীর্ষে থাকা দেশগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সংগঠনগুলোর মধ্যে আছে ব্যুরো অব জাস্টিস স্ট্যাটিস্টিক্স, ন্যাশনাল ভায়োলেন্স এগেইন্সট উইমেন সার্ভার, কমিউনিটি অব ইনফরমেশন, এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাশনাল ক্রাইম রিপোর্টস ব্যুরো এবং জাস্টিস ইন্সটিটিউট অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া। তারা তাদের সমীক্ষার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ধর্ষণের যে মাত্রা সেটি তুলে ধরেছেন। তালিকার শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নাম আসা ওয়াশিংটনের জন্য বিব্রতকর বটে।

অনেক দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে রয়েছে মৃত্যুদণ্ড। তাতেও অনেক ক্ষেত্রে কমেনি এই অপরাধ প্রবণতা। ২০১২ সালে দিল্লিতে বাসের মধ্যে একটি মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা সারা বিশ্বে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। ভারতের সেই ‘নির্ভয়া কাণ্ড’ ঘটার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল সারা ভারতে। তা সত্ত্বেও রাজধানী দিল্লিতেই প্রতিদিন এই অপরাধ ঘটেই চলেছে। ভারতের ‘ওয়ান ইন্ডিয়া’ পত্রিকা এক প্রতিবেদনে বলেছে, সারা ভারতের চিত্র কমবেশি একই রকম।

যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণের শিকার হওয়াদের মধ্যে ৯১ শতাংশ মহিলা ও অবশিষ্ট ৯ শতাংশ পুরুষ। প্রতি ৩ জনে একজন নারী ধর্ষিত হয়। ১৮ বছরের পূর্বে ৪০ শতাংশ নারী এখানে ধর্ষণের শিকার হয়। প্রতি ১০৭ সেকেন্ডে একজন ধর্ষিতা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ১২-১৮ বছর বয়সী ২ লাখ ৯৩ হাজার শিশু-কিশোরীর ধর্ষিত হবার তথ্য পাওয়া গেছে। এখানে ৬৮ শতাংশ ধর্ষণের রিপোর্ট হয় না। ৯৮ ভাগ ধর্ষকের শাস্তি হয় না। এমনকি কারাগারেও নারীদের স্বস্তি নেই। ২ লাখ ১৬ হাজার নারী প্রতিবছর কারাগারে ধর্ষিত হয়।

যুক্তরাজ্যেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বিস্তর। তথ্য অনুযায়ী, বছরে প্রায় ৮৫ হাজার মহিলা ধর্ষিতা হন গ্রেট ব্রিটেনে। প্রতি বছর যৌন হয়রানির শিকার হন প্রায় ৪০ হাজার মহিলা। ইংল্যান্ড এন্ড ওয়ালসে প্রতিদিন ২৩০ জন ধর্ষিত হয়। প্রতি ৫ জন নারীর একজন ১৬ বছরের আগেই ধর্ষিত হয়। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকায় কমবয়সী ও শিশুকন্যার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি। সেদেশে ধর্ষণের অপরাধে সাজাও কম। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে মাত্র ২ বছরের জেল দেয়া হয়। এখানে প্রতিবছর ৫ লাখ ধর্ষণের মামলা হয়। ১১ বছরের নীচেই ১৫ শতাংশ মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। ৫০ শতাংশ নারী ১৮ বছরের আগেই নিগৃহীত হন।

এদিকে, সুইডেনে প্রতি চারজনে একজন নারী ধর্ষণের শিকার হন। আর পঞ্চম স্থানে থাকা ভারতে প্রতি ২০ মিনিটে একজন নারী ধর্ষিত হয়। ৯০ ভাগ ধর্ষণের ঘটনায় কোন মামলা হয় না কিংবা রেকর্ড থাকে না । অন্যদিকে, ইউরোপের উন্নত দেশ জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনার প্রাণ হারিয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার নারী। আর ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সে ধর্ষণের ঘটনা অপরাধ হিসাবে গণ্য হতো না। পরে তা অপরাধের তালিকায় স্থান পেয়েছে। বছরে ৭৫ হাজারের বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ফ্রান্সে। তবে ১০ শতাংশ ঘটনারও অভিযোগ জমা পড়ে না পুলিশে।

এদিকে, হাফিংটন পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী বছরে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ যৌন নির্যাতনের শিকার হন কানাডায়। বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটে বাড়িতে চেনা পরিবেশে এবং ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে পরিবার-বন্ধুবান্ধবরাই যৌন নির্যাতন করেন। ১৬ বছরের নীচে ধর্ষণের হার শতাংশ। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়াতে ২০১২ সালের হিসাব ধরলে পঞ্চাশ হাজারের বেশি মহিলা বছরে নির্যাতিতা হন। অর্থাত্ প্রতি ৬ জনে ১ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। এর বাইরে ডেনমার্কে ৫২ শতাংশ মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার হন প্রতিবছর।

মৌলিক অধিকার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংস্থা দ্বারা প্রকাশিত ২০১৪ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ফিনল্যান্ডে প্রায় ৪৭ শতাংশ নারী শারীরিক অথবা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। জিম্বাবুয়েতে প্রতি ৯০ মিনিটে একজন, মাসে ৯০ জন, প্রতিদিন ১৬ জন নারী ধর্ষিত হয়। নিউজিল্যান্ডে রোষ্ট গোষ্টার নামক একটি দল রয়েছে যারা অল্পবয়সী মেয়েদের গণধর্ষণ করে।

’সাহারা ওয়ান’ জানিয়েছে, ভারতের রাজধানী দিল্লি গত কয়েক বছরে অপরাধ মানচিত্রে দেশের মধ্যে একেবারে প্রথমদিকে স্থান করে দিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে এই জঘন্য অপরাধের মধ্যে বাংলাদেশের চিত্র কি। এই অপরাধ নিয়ে কয়েকটি এনজিও জরিপ পরিচালনা করেছে। তাদের জরিপ মূলত পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত ধর্ষণের খবর থেকে সংগৃহীত হয়।

সংগৃহীত তথ্য নিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন দাবি করেছে, গত এক বছরে ১৫৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩১ নারীকে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য বলছে, ২০১৫ সালের শুধু ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৬৩টি। জানুয়ারিতে ৫৫টি। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিন হাজার ৯২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বিভিন্ন পত্রিকা, মামলা ও অভিযোগের ভিত্তিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রে নিবন্ধিত তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার ৪৫৫ জন। এদের মধ্যে শিশু ১৩৫ জন। ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে ১১ জন।

নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে সরকারের মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রামের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে ধর্ষণসহ যত নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, তার ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই মামলা হয়নি। বিচারের হার এক শতাংশেরও কম।

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির দেয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সারা দেশে ২৪১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সংস্থাটির মতে, ২০১৪ সালে ৭৮৯, ২০১৩ সালে ৭১৯, ২০১২ সালে ৮৩৬, ২০১১ সালে ৬০৩ এবং ২০১১ সালে ৪১১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।

ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর মাত্র ২ শতাংশ ধর্ষণ মামলার বিচার হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে অভিযোগ দায়ের করার পর খুব কম ক্ষেত্রেই বিচার হয়।

পুলিশ ২০১৩ সালে ২ হাজার ৯২১ এবং ২০১৪ সালে ২ হাজার ৯১৮টি মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করলেও এখন পর্যন্ত এসব মামলার একটিরও বিচার হয়নি।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ৯(১) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে তবে সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে। একই আইনের ৯(২) ধারায় আছে, ‘ধর্ষণ বা ধর্ষণ পরবর্তী কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটলে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।’ একই সঙ্গে সর্বনিম্ন জরিমানা ১ লাখ টাকা। ৯(৩) ধারায় আছে, ‘যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে এবং উক্ত ধর্ষণের ফলে কোনো নারী বা শিশু মারা যায় তাহলে প্রত্যেকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড কমপক্ষে ১ লাখ টাকা জরিমানা হবে’।

বিশ্লেষকদের মতে, ধর্ষণের এই ব্যাপকতার পিছনের অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, ধর্মীয় মূল্যবোধ মেনে না চলা এবং অপরাধীর শাস্তি না পাওয়া। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ততাও যথেষ্ট দায়ী। নারীনেত্রী খুশি কবীর বলেন, আইন যদি কঠোরভাবে প্রয়োগ না করা হয়, যদি ধর্ষণের শিকার বিচার না পান সেক্ষেত্রে ধর্ষণ কমবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক বলেন, ধর্ষণ নিয়ে কথা বলা জরুরি এবং একই সাথে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রধান সালমা আলী বলেন, লুকানোর প্রবণতা থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষণের সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না।









পাশ্চাত্য দেশের সংস্কৃতি মানবেন আর ধর্ষন মানবেননা তা কি হয়? এ জন্যই আপনারা বিচার পাননা, এমন কি প্রধান মন্ত্রী নিজেও এর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনা।সংস্কৃতিকে শক্তি দিয়া পরাজিত করা যায়না, যত বেশি আমরা পাশ্চাত্য সংস্কৃতির দিকে যাচ্ছি ততই ধর্ষনের এক নতুন আর অভিনব পদ্ধতি বের হচ্ছে ।
আবার কিছু মানুষ এখন বলবে যে যারা বোরখা ও হিজাব পড়ে তারা ধর্ষিত হচ্ছে কেন?
তারা দুইটা কারনে ধর্ষিত হচ্ছে---
১) নিরাপত্তার অভাবে।
২) ধর্ষন করলে যেহেতু তেমন কিছুই হয়না এই মনোভাব থেকে।
ধর্ষণ কে চিরতরে রোধ করার ১০ টি কথা—
১) ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
২) যৌন উস্কানি দেয় এমন কালচার ও পোশাক পরিহার করতে হবে।
৩) বিয়েকে সহজ করতে হবে।
৪) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫) দুইজনের সম্মতিতে যৌন মিলন হলে তাকে ধর্ষন বলা যাবেনা।
৬) সরকারের উচিৎ কুরুচিপূর্ণ ওয়েব সাইট গুলি বন্ধ করে দেওয়া।
৭) ইন্টারনেটে এক শালীন ভদ্র সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
৮) জ্ঞান ও বিজ্ঞানের প্রসার বাড়ানো।
১০) বেকারত্বও একটা ধর্ষণের কারন। বেকারত্ব কমাতে হবে। প্রতিবাদি কন্ঠ হতে হবে।

https://www.google.com/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=2&cad=rja&uact=8&ved=0ahUKEwjrmu6p8ZLYAhWBqI8KHetyC6QQFggvMAE&url=http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/first-page/2015/07/07/59264.html&usg=AOvVaw3EcqoEK79Xgdd770BZKndV

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.