নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি।

কাজী নজরুলের ছাত্র

পরিচয় দেয়ার মত কিছু নাই,, আমার জন্য কেউ স্পেশাল কিছু রেখে যায়নি, তাই এখন আমি স্পেশাল হইনি, আর আমার জন্য স্পেশাল কেউ নেই শুধু আমার মা ছাড়া।।

কাজী নজরুলের ছাত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি মৃত্যু।।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১২

এটা কোন লাভ স্টোরি নয়,একটু ভিন্নরুপী গল্প।
.
শুভ তার বাবা মায়ের এক মাত্র ছেলে।
বাবা মায়ের খুব আদরের ছেলে শুভ, যা চাইতো তাই পেতো।
.
একদিন শুভ তার বন্ধুর কাছে জানতে পারল
সাদা আর নীলের জগত মানে ফেইসবুক সম্পের্কে।
শুভর খুব আগ্রহ জাগে ফেইসবুক সম্পর্কে।
কত মানুষ ফেইসবুক চালায়, ফেইসবুকে প্রেম করে।
সেও ঠিক করল একটা ফেইসবুক একাউন্ট খুলবে।
.
যেই কথা সেই কাজ, তার বন্ধুর সাহায্যে সে একটি ফেইসবুক আইডি খুলে।
নতুন অবস্থায় আগ্রহ একটু বেশীই থাকে। প্রতিদিনকম পক্ষে ১২ঘণ্টা ফেসবুকে পড়ে থাকে শুভ।
আর অন্য মানুষের স্ট্যাটাসে লাইক কমেন্ট করে।
এভাবে অন্যের স্ট্যাটাসে লাইক কমেন্ট করতে করতে একসময় শুভ ৫ হাজার ফ্রেন্ড এবং ১০হাজার ফলোয়ার এর মালিক হয়ে যায়।
.
এভাবে ফেসবুকে একটিভ থাকতে থাকতে শুভ একসময় ফেসবুকে বড় সেলিব্রেটি হয়ে যায়।
ফেসবুকে প্রায় সারাদিন স্ট্যাটাস প্রসব করত।
কোনদিন সে মানুষকে শিখার মত কোন স্টেটাস ফেসবুকে দিত না।
এক সময় তার একটি খারাপ অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় ফেইসবুক।
এর সবচেয়ে বড় খারাপ অভ্যাস হলো ফেসবুকে অনেক মেয়ের সাথে চ্যাট করত।
এবং মেয়েকে তার প্রেমের জালে ফাসাঁইতো।
.
এভাবে অনেক মেয়ের সুন্দর জীবণ নষ্ট করেছে সে।
লেখাপড়ায় ছিল অমনোযোগী। পড়ালেখাও করত না এবং নামাজ কালামও পড়ত না।
নামায রোযা ছেড়ে দিয়ে সবসময় ফেইসবুকেই দিন কাটাইতো।
ফেসবুক চালানোর কারণে শুভ পরিক্ষায় রেজাল্ট খারাপ হয়।
ফলে পাড়ার লোকে থাকে নানান কথা বলত।
সে এগুলা কেয়ার করত না। তার মা তাকে নামায পড়তে বলেন, ফেসবুক ছাড়তে বলেন তবুও সে ফেসবুক ছাড়ে না।
আর মসজিদ কোন দিকে শুভ সেটা জানেই না।
নামাজ না পড়ার জন্য তাকে অনেক বকা ঝকা শুনতে হত।
তবুও সে নামাজ পড়তে যায় না।
.
কিছুদিন পর শুভ রাস্তা দিয়ে হাটছে আর ফেইসবুক চালাচ্ছে, একটি মেয়ের সাথে চ্যাট করছিলো শুভ।
মেয়েদের সাথে চ্যাট করায় এত নিমগ্ন ছিল, তার পিছনদিক থেকে একটি ট্রাক আসছে তার কোন খেয়াল নেই।
.
কিছুক্ষণ পর শুভ রাস্তার পাশে পরে থাকতে দেখে লোকজন ছুটে আসে।
কিন্তু শুভ কে তারা পায়নি। শুধু পরে আছে শুভর প্রাণহীন নিতর দেহটি।
তারপর, শুভ দেখতে পারেনি তার মায়ের সন্তান হারানোর কান্না।
তার বাবা যখন তার লাশটি খাটিয়ায় তুলেছিল তখন, তার বাবার চোখের কোণে বুক ফাটা আর্তনাদের চিন্হ সে দেখেনি।
.
শুভ কি নামায রোযা ছেড়ে দেয়ায় কবরে শান্তিতে থাকবে।
সে এই কথা গুলী কখনো চিন্তা করেনি।
.
কথাগুলী যদিও কাল্পনিক, কিন্তু বাস্তবে শুভর মত অনেকেই আছেন।
অনেকেই আছেন যারা ভার্চুয়াল নিয়ে পরে আছেন।
কিন্তু বাস্তবতা নিয়ে চিন্তা করেন না।
একবারও ভাবেন না ফেইসবুক ছাড়াও আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু পরে আছে।
একবার সকলকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।।
সবাই ভাল থাকুন।।
লিখা : Al-Amin Ahmed।
( কাজী নজরুলের ছাত্র)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.