নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি।

কাজী নজরুলের ছাত্র

পরিচয় দেয়ার মত কিছু নাই,, আমার জন্য কেউ স্পেশাল কিছু রেখে যায়নি, তাই এখন আমি স্পেশাল হইনি, আর আমার জন্য স্পেশাল কেউ নেই শুধু আমার মা ছাড়া।।

কাজী নজরুলের ছাত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন বাবা অতঃপর বৃদ্ধাশ্রম।।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৪


ঘটনা ১→
হঠাৎ করেই বুকের ব্যাথাটা বেড়ে গেল।
বুকের বাম পাশে এক প্রকার চিনচিনে ব্যাথা
অনুভব করতে লাগলেন রায়হান সাহেব।
ব্যাথাটা কোথায় থেকে আসলো? চীন থেকে নাকি জাপান থেকে?
.
বয়স ত আর কম হয়নি, নাতী - নাতনীর মুখ দেখেছি।
এবার তো যাবার পালা। এসব ভাবছেন রায়হান সাহেব।
একটা পেইন কিলার খেলেন ইতিমধ্যেই।
বুকের ব্যাথা নাহয় এতে কমে যাবে, মনের মধ্যে যে ব্যাথা বাসা বেধেছে, সেটার কি হবে?
আর এ জীবনের কি মুল্য আছে এখন।
.
ঘটনা ২→
জনাব আবির সাহেব, শহরের নামকরা একজন ডাক্তার।
বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে তিনি। বাবা অনেক স্বাদ
-আল্লাদ করে ডাক্তার বানিয়েছিলেন উনাকে।
আজ উনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তি।
উনার স্ত্রী সুলতানা বেগমও একজন গাইনী ডাক্তার।
.
সকাল নয়টা, জনাব আবির ও মিসেস আবির দুজনেই আলাদা আলাদা গাড়িতে করে নিজেদের অফিসে যাচ্ছেন।
রায়হান সাহেব একা একাই বাড়িতে প্রায় বদ্ধ একটি কক্ষে বসে আছেন।
উনার নাতী অভ্র ও নাতিনী আনিকা দুজনেই বড় বড় স্কুলে পড়ছে।
.
রায়হান সাহেবের সময় কাটানোর মত মানুষ নাই।
কখনো কখনো রায়হান সাহেবের স্ত্রী বেগম রাহেলার
কথা মনে করে কিছুটা কাঁদেন।
ঘটনা ৩→
রায়হান সাহেব খুব চিন্তিত, উনার স্ত্রী রাহেলা বেগম অসুস্থ।
অসুস্থ নয়, উনার বাচ্চা হবে তাই উনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
.
রোগীর অভিভাবক কে,
রায়হান সাহেব উত্তর দিলেন, জ্বী আমি রোগীর স্বামী।
আপনার স্ত্রীর সমস্যা খুব নাজুক। কি হবে বলা যায়না। আপনি বরং আল্লাহকে ডাকুন,
রায়হান সাহেব ভাবছেন আমার স্ত্রীর কিছু হলে আমি
বাঁচব কি নিয়ে?
.
ঘন্টা খানেক পর রায়হান সাহেব খবর পেলেন উনার
একটি ছেলে সন্তান হয়েছে।
আর উনার স্ত্রী সন্তান জন্ম দেয়ার সময় প্রাণত্যাগ করেছেন।
স্ত্রী শোকে কাতর রায়হান সাহেব তখনি প্রতিজ্ঞা করলেন উনার ছেলে আবির কে ডাক্তার বানাবেন।
.
ঘটনা ৪→
রায়হান সাহেব অনেক দূর্বল হয়ে পরেছেন দিনে দিনে,উনার সেবা সশ্রুষা করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে জনাব আবির ও বেগম আবির উনাদের
জরুরী ভিত্তিতে অন্যত্র যেতে হচ্ছে কিছুদিনের জন্য।
জনাব আবিরের স্ত্রী জনাব আবিরকে পরামর্শ দিলেন
রায়হান সাহেব কে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিতে।
নিজের বাবা তারপরেও জনাব আবির ভাবতে লাগলেন,
বাবাকে সাথে নেয়া ঠিক হবেনা, বাবা বৃদ্ধ মানুষ আর
আমরা সারাক্ষণ কাজে ব্যাস্থ থাকি।
.
অতঃপর বৃদ্ধাশ্রমই রায়হান সাহেবের জন্য নির্ধারিত করা হল।
বাবা আমাদের কাছে আর কোন রাস্তা নেই।
আপনার জন্য একটি ভাল বৃদ্ধাশ্রম দেখেছি,সেখানে
আপনার ভাল যত্ন করবে।
আর আমি মাসে মাসে টাকা পাঠিয়ে দিব, আপনি
সেখানে ভাল থাকবেন।
.
রায়হান সাহেব ভাবছেন,
ছেলেকে কষ্ট করে লিখাপড়া করিয়ে ডাক্তার বানালাম।
আর ছেলে আমার আমাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিল।
নিজের জীবনের সমস্ত সুখ বিসর্জন দিয়েছিলাম এই ছেলের জন্য।
আর আজ উপহার স্বরুপ যেতে হল বৃদ্ধাশ্রমে।।
লিখা:Al-Amin Ahmed।
( কাজী নজরুলের ছাত্র)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

বিপরীত বাক বলেছেন: সমস্যা টা রায়হান সাহেবের।।। আবীর সাহেবের নয়।।।
দোষ যদি করে থাকে তা রায়হান সাহেবই করেছেন।।। that is the real bustard...

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২২

কাজী নজরুলের ছাত্র বলেছেন: আপনি কিভাবে প্রমাণ করবেন যে দোষটা রায়হান সাহেবের?

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৩

কাজী নজরুলের ছাত্র বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ, কিন্তু অশ্লীলতা নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.