নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দরতর

আলআমিন১২৩

একজন অতি সাধারন মানুষ

আলআমিন১২৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চন্দন নাকি ভালো আছে।শেষপর্ব)

১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

সে রাতেই তারা ভারতের উদ্দে্শে রওনা হল। এিপুরার হাফানিয়া ক্যাম্পে পৌছলো পরদিন ভোর হওয়ার একটু আগে। পরদিন ট্রাকে আগরতলায়। সেখান থেকে ওরা বিভিন্ন যায়গায় ছড়িয়ে পড়লো। কেউ মেলাঘর,কেউ পালাটোনা বা অন্যকোন প্রশিক্ষন ক্যাম্পে। প্রশিক্ষনের দেড় দুই মাস পরে ওরা দেশে ফিরে এল। তবে আগের চন্দন আর রহিম হয়ে নয়। এদেশের স্বাধীনতার সৈনিক হিসাবে।ওদের কাধে স্টেনগান,এস এল আর,হাতে শক্তিশালী গ্রেনেড আর বুক ভরা স্বাধীনতার আগুন। তবে এবার চন্দন আর রহিম একই ক্যাম্পে-দুলালপুর ক্যাম্পে। পাক সেনাদের বুকে কাপুনি ধরান দুটি নাম হয়ে উঠলো চন্দন আর রহিম।দেশ ১৬তারিখ স্বাধীন হলেও তাদের এলাকা মুক্ত হল ২৩ ডিসেম্বর। আর্মস জমা দিয়ে দুবন্ধু চলে এলো নিজ নিজ কাজে।যোগাযোগ হতো কালেভদ্রে। তখনতো আর সেলফোন ছিলনা।
রহিম সাহেব ব্যাস্ত হলেন পড়াশোনায় আর চন্দন তার নতুন ব্যবসায়। সময় গড়িয়ে গেল।রহিম সাহেব পাশ করে সরকারি চাকরিতে ঢুকলেন আর চন্দনের ব্যবসাও ততদিনে বেশ ফুলেফেপে উঠেছে। চন্দন আর রহিম সাহেবের লাইফষ্টাইল তখন দু মেরুতে।চন্দনের মাসিক আয় তখন রহিম সাহেবের বেতনের প্রায় শতগুন।কোন কারন ছাড়াই দুজন মানসিকভাবে যোজন দুরে যাচ্ছিলেন প্রতিদিনই।
রহিম সাহেব বিয়ে করলেন।সেটেলড মেরেজ। চন্দনও বিয়ে করলো তার পছন্দের মেয়েটিকে।
রহিম সাহেবের ঘর আলো করে একটি কন্যা এলো। মেয়েটিকে দেখতে এলো চন্দন আর তার বউ নীলা। মেয়েটিকে বুকে নিযেই নীলা অঝোর ধারায় কান্নায় ভেংগে পড়লো।বাসার সবাই বেশ বিব্রত। চন্দন চুপ করে সোফায় বসে। একসময় একটুস্হীর হয়ে বল্লো-রহিম ভাই আল্লহ আপনাকে দিলো আপনার বন্ধুকে কেন বন্চিত করলো।আপনারাতো মানিকজোড় ।বলেই আবার কান্নায় ভেংগে পড়লো নীলা।পরে চন্দন আর রহিম বারান্দায় যেয়ে সিগারেট ধরিয়ে ধোয়ার রিং বানতে বানাতে চন্দন বললো-নীলার কিডনি খুবই খারাপ পর্যায়ে।কনসিভ করাটা
তার জন্য লাইফ থ্রেটেনিং। সে মুহুর্তে দুজনই আর কোন কথা না বলে সিগারেটের ধোয়ার রিং বানিয়ে শুন্যে ছুড়ছিল।এ ছাড়া আর কিইবা করার ছিল?
নীলাকে এখন সপ্তাহে দুবার ডায়ালেসিস করাতে হয়।চন্দন সারাদিন নীলার কাছে বসে থাকে। দু কোটি টাকা আলাদা করে রেখেছে চন্দন।স্কুল আর কলেজ বানাবে।সেখানে পড়বে খেলবে নীলা আর চন্দনের হাজারো সন্তানেরা। দুর আকাশে বসে নীলা আর চন্দন চেয়ে চেয়ে দেখবে ওদের হাজারো সন্তানদের...
চন্দন ফোন করলে রহিম সাহেব বলতে পারেন না-চন্দন কেমন আছিস? চন্দন কেমন আছে তা রহিম সাহেবের চেয়ে বেশি আর কে জানে?





মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ কাজ করে, কারণ সে মনে করে কেবল কাজ করলেই এমনদিন আসবে যেদিন আর কাজ করতে হবে না। সে আসলে ভালোবাসে অবসর।
কাজ পার করে অবসরে যাওয়া যায়, এই অলীক বিশ্বাস নিয়ে সে কাজে বুঁদ হয়ে যায়।

১৩ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

আলআমিন১২৩ বলেছেন: আমার লেখার সাথে এ মন্তব্যের যোগাযোগ ঠিক বোধগম্য হলো না। একটু সহজ করে বলবেন কি?

২| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

প্রথমকথা বলেছেন: কে জানি মনে হয় দ্রুত শেষ করে ফেলেছেন। আরেকটু সময় নিলে আরো ভাল হতো। সময় করে আমার ব্লগে আসুন।

১৩ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

আলআমিন১২৩ বলেছেন: আচ্ছা স্পীড কম দেবো।সময় নিয়ে আপনার লেখা পড়বো।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

কাইকর বলেছেন: বাহ....সুন্দর লিখেছেন

১৩ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

আলআমিন১২৩ বলেছেন: কাইকর-ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.