নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দরতর

আলআমিন১২৩

একজন অতি সাধারন মানুষ

আলআমিন১২৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সকালের চা বনাম সংবাদপত্র।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশে সব সরকারের আমলে সব বিষয় নিয়ে সবসময় প্রানখুলে কথা বলা এবং লেখালেখি করা কোন ভাবেই সম্ভব হয়না। গনতন্ত্র এবং মানবাধিকারের সংগা অদৃশ্য হাতের ইশারায় স্থবীর হয়ে পড়ে অথবা সংগা রং বদলায়। একই সাথে লেখক,বক্তা যদি তাদের সুর না বদলান তবে অজানা আতংক সারাক্ষন তাদের তাড়া করে বেড়ায়। অবশ্য সবসময়ই কিছু পাগল(ভাল অর্থে) থাকেন যদের হজম শক্তি কম।অন্যদের মত সবকিছু হজমও করতে পারেন না-বা ক্ষনে ক্ষনে রং ও বদলাতে পারেন না। তাদের মাধ্যমে সত্যিটা বেড়িয়ে আসে। এদের সংখ্যা অনেক কম। যাদের প্রফেশন লিখালিখি করা সেই সাংবাদিক কমিউনিটির মধ্যে আরো অনেক কম।

সমস্যা হয়ে গেছে আমরা যারা সকালে চায়ের সাথে সংবাদপত্র নিয়ে বসতাম। এখন চা খাই-কিন্তু সংবাদপত্র পড়িনা।কারন সংবাদপত্র এখন আর আমাদের প্রানের ক্ষুধা মিটাতে পারেনা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: সংবাদ পত্রের বেহাল দশা। তারা কেউই ভালো নেই। তাদের ইনকাম দিন দিন কমছে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

আলআমিন১২৩ বলেছেন: ইনকাম বাড়ার তো সংগত কোন কারন নেই। Sell তখনই বাড়তো যখন কোয়ালিটি বাড়তো।কথায়ইতো আছে "Ensure quality-Quantity will eventually follow.পাঠকের প্রানের খোরাক না থাকলে গাটের পয়সা খরচ না করার economics এ আজকালকার পাঠক অনেক সচেতন।হাটুভাংগা ভীরু সাংবাদিক আর কোমরভাংগা সম্পাদকরাই এ দুর্দশার জন্য দায়ী।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: সংবাদপত্রের দুঃসময়ঃ
বর্তমানে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার দিনকাল ভালো যাচ্ছে না। মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রিয় যন্ত্র কেড়ে নিচ্ছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কলেবর দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। তথ্য প্রযুক্তি বিকাশের সাথে সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রিন্ট মিডিয়ার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সারা বিশ্বে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ক্রান্তিকাল চলছে। সেটা উন্নত দেশ হোক বা অনুন্নত। সব দেশের সাংবাদিকরা অহরহ চাকরি হারাচ্ছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন যত হচ্ছে ততই সাংবাদিকতা পেশা হুমকির মূখে পড়ছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সংবাদপত্র। বিশেষ করে প্রিন্ট মিডিয়ার অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

আলআমিন১২৩ বলেছেন: ভাই নূর মোহাম্মদ নূরু আপনি আপনার মনতব্যে যে কথাগুলি বলছেন তা অবশ্যই বাস্তব।কিন্তু আমি জানতে চাই -এত পুরাতন একটি শিল্পে যাকে মর্যাদা দেয়া হতো রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ হিসাবে,তার এহেন পরিনতির জন্য কি শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রই দায়ী।অনেকে প্রতিবেশী একটি দেশের শক্তিশালী গোয়েন্দা সংগঠনের সুদুরপ্রসারী চাল বলেও সন্দেহ করেন।যাই হোক-যেভাবেই হোক,সংবাদপত্রর মালিক,সম্পাদক আর সংবাদকর্মীদের কি কোন ভুমিকাই নেই।মানসিক সততার কারনেওতো মিথ্যা আর তেলবাজি থেকে বেড়িয়ে আসার সাহসটুকু দেখাতে পারেন।
তাদের বিখ্যাত উত্তরসুরীদের অবদান ভূলে তারা আর কতদিন আত্মসমর্পিত কেচো হয়ে বাচবেন?

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

সাইন বোর্ড বলেছেন: সত্য কথা ।

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল আমিন ১২৩ ভাই
আপনার অবগতির জন্য বলছি,
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন যত হচ্ছে ততই সাংবাদিকতা পেশা হুমকির মূখে পড়ছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সংবাদপত্র। অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা যত বাড়ছে, কাগজে ছাপানো পত্রিকার বাজার ততই ছোট হয়ে আসছে।
যুগের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিশ্বের শতাব্দী প্রাচীন ও বড় পত্রিকাগুলো অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে রূপান্তরিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হয় লিয়োডস লিস্টের কথা। ১৭৩৪ সালে লন্ডনে পত্রিকাটি যাত্রা শুরু করে। একটানা ২৮০ বছর ধরে প্রকাশিত হয়ে আসছিল এটি। কিন্তু সম্প্রতি এর মুদ্রণ ভার্সন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পত্রিকাটি এখন একটি পূর্ণাঙ্গ অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে রূপান্তরিত হয়েছে। ব্রিটেনের ৩০ বছরের পুরনো সংবাদপত্র দি ইন্ডিপেনডেন্টের সবশেষ প্রিন্ট সংস্করণ ২৭ মার্চ বাজারে এসেছে। এখন থেকে আর কাগজে নয়, শুধু অনলাইনেই প্রকাশিত হবে পত্রিকাটি। বলা হচ্ছে, পত্রিকার কাটতি না থাকায় শুধু বিজ্ঞাপন বেচেই টিকে আছে অনেক কাগজ।

কয়েক বছর আগে সিয়েটল পোস্ট-ইন্টেলিজেন্সারের ছাপাখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটি এখন অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে। ক্রিস্টিয়ান সায়েন্স মনিটরও তাদের কাগুজে সংস্করণ বন্ধ করে দিয়ে অনলাইনে আত্মপ্রকাশ করেছে। একদা মার্কিন পত্রিকা নিউজ উইক ৮০ বছর দাপটের সঙ্গে চলে তার মুদ্রণ মাধ্যম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে

ব্রিটেনের ইন্ডিপেডেন্ট তিন দশকের পুরনো ওই সংবাদপত্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইউএস নিউজ এবং ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের মতো জনপ্রিয় সাময়িকীগুলোও তাদের প্রিন্ট এডিশন বন্ধ করে দিয়েছে। ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যের ইন্ডিপেনডেন্ট, লন্ডন ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড এর আংশিক মালিকানা বিক্রি করে দেয়া হয়। ২০০৯ সালে লোকসানের মুখে পড়ে যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল কর্মী ছাঁটাইয়ে বাধ্য হয়।

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মও এখন অনলাইনেই সংবাদ দেখছে। অনেক বাসা-বাড়িতে এখন আর পত্রিকা রাখতে দেখা যায় না। পথে রাস্তার জ্যামে কিংবা ট্রাফিক লাইটে কেউ বিক্রি করতে আসছে না ‘আজকের তাজা খবর’, বাসে-ট্রেনে যাত্রীদের হাতে হাতে নেই আর দিনের কাগজটি। নলাইন এসে বিপদে ফেলে দিয়েছে খবরের কাগজকে। কারণ এখন আর মানুষ বিরাট এক কাগজজুড়ে খবর খুঁজে সময় নষ্ট করতে চায় না। গুগল কিংবা ইয়াহুতে একটি সার্চ দিলেই চলে আসে খবর। সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে প্রয়োজনীয় সব লিঙ্ক। ইন্টারনেটের এই যুগে হয়ত একদিন ঘুম থেকে জেগে দেখবেন নাস্তার টেবিলে আর নেই আজকের কাগজ। আমরা যেমন ছেড়ে এসেছি গ্রামোফোন, টেপরেকর্ডার, ক্যাসেট প্লেয়ারের যুগ, ঠিক তেমনি করেই হয়ত আগামী দিনে ভুলে যেতে হবে খবরের কাগজের যুগ। বাস্তবতা মেনে নেবার মানসিকতা তৈরী করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.