নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দরতর

আলআমিন১২৩

একজন অতি সাধারন মানুষ

আলআমিন১২৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তপসে মাছ ও আমার স্যার

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৭




বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত সাহিত্যিক ও কলেজে আমার অন্যতম প্রিয় শিক্ষক রাহাত খান স্যার ও
দীর্ঘ একবছর জুড়ে স্যারের পড়ানো এক পৃষ্ঠার একটি কবিতা"তপসে মাছ" নিয়েআজ কিছু লিখতে খুব ইচ্ছা হচ্ছে।স্যার বছরের শুরুতে কবিতাটি পড়ানো শুরু করেছেন-বছর শেষ, কিন্তু তপসে মাছ কবিতা নিয়ে স্যারের বর্ননা আর আলোচনা অসমাপ্তই রয়ে গেলো।এমন নয় যে তিনি নিয়মিত ক্লাস নেননি বা আমরা অমনোযোগী ছিলাম।আমরা স্যারের কথাগুলি এত মনোযোগ দিতাম যে দুষ্ট ছেলে গুলি সবচেয়ে সুন্দরী ছাত্রী শামিমাকে জ্বালাতেও ভুলে যেত।শামিমারও স্কেল দিয়ে দুষ্টগুলিকে সামলানোয় ব্যাস্ত থাকতে হতোনা
প্রায় পঞ্চাশ বছর পর সেদিন আমার ইন্টারমেডিয়েট পড়ার অনন্য স্মৃতির জগন্নাথ কলেজে ঘুরে আসার সুযোগ পেলাম। ঢাকা আইনজিবী সমিতি অডিটরিয়মে যুবদের একটি সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ পাঠক হিসাবে অংশ গ্রহন করতে যেয়ে আমার প্রিয় কলেজ(বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়)কে ছুয়ে এলাম।একসাথে রাহাত খান স্যার-স্যারের তপসে মাছ আর শামিমাকেও হৃদয়ের গহীন থেকে উকি দিয়ে দেখলাম।
স্মৃতি এত সুন্দর......।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। জানলাম।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আলআমিন১২৩ বলেছেন: জানার জন্য ধন্যবাদ।

২| ৩১ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনর শিক্ষক ও বিখ্যাত সাহিত্যিক রহাত খানের প্রতি র্‌ইল শ্রদ্ধা । তাঁর সাহিত্য কর্মের আমিও একজন গুনমুগ্ধ পাঠক । কর্ম জীবনের শুরুতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োজিত থাকলেও ষাটের দশক হতে সাংবাদিক জগতেই রাহাত খানের বিচরণ । উল্লেখ্য যে তপসে মাছ কবিতার রচয়িতা ঈশ্বর চন্ত্র গুপ্তও কর্ম জীবনে ছিলেন একজন সাংবাদিক। কবি ও সাংবাদিক ঈশ্বর চন্ত্র গুপ্ত ছিলেন বিশুদ্ধ সমাজ পর্যবেক্ষক; সমাজের বাঁকে-বাঁকে তাঁর চোখ তির্যকভাবে নিবিষ্ট হতো; সামাজিক অসংলগ্নতার ঘোমটা মুহূর্তে টান দিয়ে খুলে ফেলতেন; কালোকে তিনি কালো-ই বলতেন, রহস্য করে ‘উজ্জ্বলশ্যাম’ বলতেন না। আমার মনে হয় তপসে মাছের কবি ঈশ্বর চন্ত্র গুপ্ত রাহাত খানের উপর প্রভাব ফেলেছিল দারুন ভাবে,যার উল্লেখ যোগ্য দিক হলো রহাত খানের সংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত হওয়া ।

বাংলা সাহিত্যে ঈশ্বরচন্দ্র যদিও খুব গুরুত্বপূর্ণ কবি নন তবু বাংলা কবিতার পথ বিনির্মাণে রয়েছে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। উনিশশতকের তৃতীয় দশক থেকে পঞ্চমদশক পর্যন্ত বাংলা সাহিত্য কেবল ঈশ্বরগুপ্তময়; সাহিত্য সমাজে তাঁর প্রভাব ছিল অভাবনীয়। তিনি খুলে দিয়ে গেছেন বাংলা সাহিত্যের অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখকের হৃদয়-কপাট। বিস্মৃতির অতল তলে তাঁর আর সকল কর্মযজ্ঞ হারিয়ে গেলেও বাংলা কবিতার বিশেষ অলংকৃত সিংহাসনটি কখনও হারাবার নয়। তাঁর রচিত তপসে মাছ কবিতা পাঠদান কালে তাকে নিয়ে রাহাত খানের মত শিক্ষক আলোচনা করতে পারেন বছর খানেক ধরেই তাতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। ‘তপসে মাছ’ ও এর রচয়িতার জীবন নিয়ে তাঁর আলোচনা যে খুবই প্রাণবন্ত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই, আলোচনা কালে শ্রোতার মনযোগ যে অন্য দিকে ডাইভার্সনের সুযোগ পায়না তা আপনার পোষ্টেও বিবৃত।

তপসে মাছ সে কি যে সে মাছ, একে নিয়ে কবির রঙ্গরস কি ভুলা যায়। প্রায় পঞ্চাশ বছর পুর্বে কবিতাটি আমাদের ইন্টার মিডিয়েটের বাংলা পাঠ্যসুচীতে ছিল।এই কবিতাটি এবং এর কবিকে নিয়ে আমাদের বাংলার শিক্ষক ড.শফিউদ্দিনের জ্ঞনগর্ভ ও রসালো আলোচনা মানসপটে এখনো ভেসে উঠে ।মনের কোনে উকি দেয় রঙ্গরসে ভরা তপসে মাছ কবিতার কিছু চরণ
কষিত কনক কান্তি, কমনীয় কায়।
গালভরা গোঁফদাড়ি, তপস্বীয় প্রায় ॥
মানুষের দৃশ্য নও, বাস কর নীরে।
মোহন মণির প্রভা, ননীর শরীরে ॥
........................................
........................................
অপরূপ হেরে রূপ পুত্রশোক হরে।
মুখে দেওয়া দূরে থাক গন্ধে পেট ভরে॥
কুড়ি দরে কিনে লই দেখে তাজা তাজা।
টপাটপ খেয়ে ফেলি ছাঁকাতেলে ভাজা॥
না করে উদরে যেই তোমায় গ্রহণ।
বৃথায় জীবন তার বৃথায় জীবন॥

ঈশ্বর গুপ্তের কাব্য চালের কাঁটায়, রান্নাঘরের ধুঁয়ায়, নাটুরে মাঝির ধ্বজির ঠেলায়, নীলের দাদনে, হোটেলের খানায়, পাঁঠার অস্থিস্থত মজ্জায়। তিনি আনারসে মধুররস ছাড়া কাব্যরস পান, তপসে মাছের মৎস্যভাব ছাড়িয়ে তপস্বীভাব দেখেন ।

আপনার পোষ্টের সুবাদে আমিউ তপসে মাছ ও এর কবিকে নিয়ে কিছুটা স্মৃতি রোমন্থন করে গেলাম ।

শুভেচ্ছা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.