নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বদলে দিন সমাজ

সমাজের আর দশ জনের মতো আমি নই আমি একটু অন্য রকম কাউকে পরোয়া করি না নিজে যেটা ভাল মনে করি সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর বাকি সব কিছুই বৃথা আমি কাউকে ভয় করি না শুধু আল্লাহকে ছাড়া.....fb.me/itzzrifat

ব্‌লগার রিফাত

হারিয়ে গেছে আমার সকল আশা,,,,,এখন নিরুপায় মানুষ,,,,কাউকে আর বিশ্বাস করি না,,,,

ব্‌লগার রিফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসা কি

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

মিমি আর তুলি খুব ভালো বান্ধবী।

একই কলেজে যায়।

একই প্রাইভেটে পড়ে।

কিছুদিন হলো দুইটা ছেলে তাদের

ডিস্টার্ব

করে।

একটা এলাকার ছেলে।

আরেকটা হয়তো নতুন

এসেছে এলাকায়।

এলাকার ছেলেটা একটু বাজে।

মিমির

বান্ধবী তুলিকে দেখলে চোখ

দ্বারা সংকেত দেয়।(চোখ

মারে)।

কিন্তুু তুলি একদমই পছন্দ

করে না ছেলেটিকে।

কিন্তুু নতুন ছেলেটাকে ভদ্র ভদ্র

মনে হয়।

একেবারেই সাদামাটা।

প্রতিদিন এভাবে চলতে থাকে।

ছেলেদুটো মিমি এবং তুলিকে

প্রতিদিনই

কলেজ,প্রাইভেট

থেকে আসা যাওয়ার সময়

পিছনে পিছনে যায়

আসে।

এক পর্যায়ে মিমি,তুলি দুজই বিরক্ত

হয়ে যায়।

ওদেরকে বলে দিতে হবে যেন আর

পিছনে পিছনে না আসে।

মিমি ভাবে এলাকার বখাটেটার

সাথে কথা বলা যাবে না।

যা বলার নতুন ভদ্র

ছেলেটাকে একা পেলে বলতে হবে।

হঠাৎ একদিন নতুন

ছেলেটাকে একা পাওয়া যায়।

মিমি ডাক দেয়,

এই যে শুনছেন?

একটু এদিকে আসবেন??

ছেলেটা আবুলের মত

চারদিকে তাকাতে থাকে।

—এই আপনাকেই বলছি।

—জ্বি বলুন?

—এলাকায় কি নতুন?

—জ্বি মানে ……হ্যা।

—এলাকায় নতুন এসেই গুন্ডাদের

সাথে আড্ডা শুরু করলেন?

দেখেতো ভদ্র বলেই মনে হয়।

—না……… মানে ………ইয়ে।

—সমস্যাটা কি?

আমাদের পাহারা দেন কেন?

দেখেতো মনে হয় পড়া-

লেখা করেন।

কিন্তুু গুন্ডাদের চামচামি করেন

কেন?

ছেলেটা চুপ।

—কি ব্যাপার চুপ কেন?

লজ্জা করছে???

যখন আমাদের পিছনে পিছনে আসেন,

তখন

লজ্জা করে না???

—না…মানে…………

—না মানে কি?

—ঐ ছেলেটা আপনার ঐ

বান্ধুবীকে………

—পছন্দ করে এইতো?

আমার

বান্ধবী ওকে দুচোখে দেখতে পারে না।

আর শুনুন!এলাকায় নতুন

এসেছেন,ভালো হয়ে যান।

ভালো ছেলেদের

সাথে মিশুন।ভালো মানুষ

হতে পারবেন।এর

পরে যেন আপনাকে আর

না দেখি।আর আপনার দুই দিনের ঐ

বন্ধুটাকে বলবেন চোখের

ডাক্তার দেখাতে।

এসব কথা বলে মিমি আর

তুলি চলে এলো।

এদিকে ছেলেটি বিদ্যুৎের খুঁটির

মত

দাঁড়িয়ে রইল।

—মিমি তুই

যা বললি না,ছেলেটা পুরো স্টাটু

হয়ে গেছে।

—বাদ দে তো তুলি।

মাঝে মাঝে কিছু

বলা লাগে।

—তোর কি মনে হয়?

ছেলেটা কাল আবার আসবে?

—মনে হয় আসবে না।

পরদিন ছেলোটাকে আর দেখা যায়

নি।

কিন্তুু এলাকার গুন্ডা টাইপোর

ছেলেটা প্রতিদিন টহল দিতো।

—দেখলি মিমি ।

ছেলেটা ছেলেটা নিশ্চই

ভালো।একদিন

বলে দেওয়াতে এখন আর দেখা যায়

না।

—হুমম।দেখলাম।আস লে ভালোদের

একবার

বললেই হয়।

এক সপ্তাহ পর।

কলেজ ছুটির পর,

মিমি এবং তুলি কলেজ

থেকে বের হচ্ছে।

গেটের সামন এসে থমকে দাঁড়াল

মিমি।

—কিরে মিমি দাঁড়ালি কেন?

–দেখ কে?

—আরে সেই ছেলেটাইতো।

যাকে তুই

সেইদিন অপমান করেছিলি।

—হুম।চলে কথা বলি।

—তুই কি পাগল হলি?

—নাহ।সেদিন একটু বেশীই

বলেছিলাম।

চল কথা বলি।

এই যে ভাইয়া আপনাকে বলছি।

—জ্বি আমাকে?

—হ্যা আপনাকে।

—আমি কি করলাম?

আমি কি আবার ভূল করলাম?

—নাহ,আসলে আপনাকে সেদিন একটু

বেশীই

বলে ফেলেছিলাম।স্যরি ।

—আরে স্যরির কি হলো।

আমিইতো আপনাকে স্যরি বলা উচিৎ

ছিল।

আসলো আপনাদের ডিস্টার্ব করার

জন্যে দুঃক্ষীত।

আমি আপনাদের এলাকায় নতুন

তো তাই

এসেই ছেলেটার

সাথে পরিচয় হল।

এর পরের

ঘটনাটা তো আপনারা জানেন

………………

–আপনি কি এ কলেজেই পড়েন?

—হ্যা।আপনি?

—আমিও এ কলেজেই পড়ি।

—কোন ইয়ার?

—ফাষ্ট ইয়ার।আপনি?

—আমি ফাইনাল ইয়ার।

—আচ্ছা ভাইয়া আসি।

এ ভাবে চলে যায় মিমি।

প্রায়ই তাদের দেখা হতো।

দেখা মাত্রই দুজন

দুজনকে দেখে ১৮০

ডিগ্রী এঙ্গেলে হেসে দিত।

ছেলেটাকে মিমির

ভালো লেগে যায়।

কিন্তুু

মেয়েরাতো আগে কখনো প্রপোজ

করে না।

মিমি বুঝতে পারে ছেলেটাও

মিমিকে পছন্দ

করে।

মিমি ভাবে,আরে ছেলেটা কি ভীতু

না কি?

প্রপোজ পর্যন্ত করতে পারে না।

কিছু দিন পর মিমির আর

কলেজে আসে না।

এ দিকে তাসিন নামের

ছেলেটা মিমিকে খুঁজতে থাকে।

এবং জানতে পারে,মিমিরা বাড়িতে চলে

গেছে।

তাসিন অনেক কাঁদে।

যদিও ছেলেদের কান্না মানায়

না।

তাসিন নিজের মনকে বলতে থাকে,

কেন

সে প্রপোজ করলো না।

এমন

একজনকে হারিয়েছি যাকে আমি

ভালোবাসি।

মিমি এমন

একজনকে হারিয়েছে যে তাকে

ভালোবাসে।

৫ বছর পর।

অফিস থেকে বাসায় আসার

পথে একটা ফাষ্ট-ফুডের

দোকানে ঢুকলো তাসিন।

একটা খালি টেবিলে বসে কফির

ওয়ার্ডার

করল।

পাশের টেবিলে চোখ যেতেই নজর

পড়লো একটা মেয়ের উপর।

মেয়েটা দেখতে তো সেই মিমির

মতই।

মেয়েটার সাথে একটা তিন বছরের

বাচ্চা আছে।

তাসিন উঠে দাঁড়ালো ,মেয়েটার

সামনে যেতেই

মেয়েটা উঠে দাঁড়িয়ে বলল,

—আপনি এখানে???

—হুমমম।চিনতে পারলেন???

আমি সেই গুন্ডার চামচা টা।

—এখনো ও সব

কথা মনে রাখলেন??

—কিছু কিছু কথা সারাজীবন

মনে থেকে যায়।

—তাই নাকি? আচ্ছা।

ভাবী ভালো আছে?'

—কার ভাবী?

—আপনার Wife? ??

—আমি এখনো বিয়ে করি নি।

—তাহলে নিশ্চই হবু wife আছে?

—আছে।

তবে সে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।

—কি বলেন মেয়েটা এত নিষ্ঠুর

যে আপনার

ভালোবাসা বুঝলো না।

—জানি না।একদিন

আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল আর

এল না।

আচ্ছা আপার মেয়েটির নাম কি?

দেখতে খুব

সুন্দর।

—নাহ এটা আমার বাচ্ছা না।

এটা আমার

ভাগনী।

ওকে নিয়ে ঘুরতে এলাম।

দীর্ঘশ্বাস ফেলল তাসিন।

—আপনি বিয়ে করেন নি।

—নাহ।

একজনকে ভালোবেসেছিলাম কিন্তুু

বলতে পারি নি।

আমার

ধারনা সে এখনো ফিরে আসবে।

—ভালো।আচ্ছা ঐ দিনের পর

থেকে কলেজ

আসা বন্ধ করে দিলেন কেন?

—আসলে ঐ দিন বাবার মৃত্যু হয়।

তাই

আমাকে পরিবারের হাল

ধরতে হয়।

তাই বাড়িতে চলে গেলাম।

—Very sad.একটু বসুন আসছি।

এই বলে প্রায় দোড়েই কফিশপ

থেকে বেরিয়ে যায় তাসিন।

পাঁচ মিনিট পর একটি ফুলের স্টিক

নিয়ে হাজির হয় তাসিন।

এসেই হাঁটুগেড়ে বসে মিমির

দিকে ফুলের

স্টিকটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল,সে দিন

বলতে চেয়েছি কিন্তুু

বলতে পারি নি।তাই

তোমাকে হারিয়েছি।

কিন্তুু এখন তোমাকে আর

হারাতে চাই না।

"""আমি তোমাকে ভালোবাসি""""

মিমি ফুলের স্টিকটা প্রায়

ছোঁ মেরে নিয়েই

বলল,বুদ্ধু। এত দেরীতে বলা লাগে।

আমি যদি হারিয়ো যেতাম??????

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.