![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীতে মানুষ এক চিন্তাশীল সৃষ্টি। তার দেহ মরে যায়, পচে যায়। কিন্তু তার চিন্তা ও কর্ম অবিনশ্বর। ঠিক প্রিয়তমার গালে লেপ্টে থাকা তিলের অকৃত্তিম সৌন্দর্যের মত।
আজকে যে শিশুটি মায়ের কোলে ভূমিষ্ঠ হয়েছে তারও আছে অজানা ঋণ। বর্তমানে বাংলাদেশের জনগনের মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা। এই তথ্য আমাদের জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার সংসদ বক্তৃতায়।
১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। স্পিকারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে বিষয়টি উত্থাপিত হয়।
সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ/সংস্থার সঙ্গে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণ চুক্তির পরিমাণ ৯৫ হাজার ৯০৮ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৪৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় হয়েছে। ছাড়ের অপেক্ষায় আছে ৪৬ হাজার ৪৫০ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন, এখন বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ৪৯ হাজার ৪৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরিসংখ্যান ব্যুরো হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। এই হিসেব অনুযায়ী মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৯২ দশমিক ১১ মার্কিন ডলার।
বর্তমানে প্রতি ডলার সমান ৮৫.২১ টাকা। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা ৬৯ পয়সা।
একটা দেশ কৃষি, শিল্প ও কাচামাল নিজস্ব পর্যায়ে উৎপাদন করতে না পারলে অর্থনীতির ভিত মজবুত হয়না। এখন কৃষিতে যে ভর্তুকি দেওয়া হয় তা যথেষ্ট না। ফলে খাদ্যশস্যের একটা বড় চালান দেশের বাইরে (ভারত, মিসর, চিন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, রাশিয়া) থেকে আমদানি করতে হয়। যার ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যায়, মুদ্রাস্ফীতি ঘটে, বিভিন্ন সংস্থার থেকে ঋণ নিতে হয়। দেশীয় দুর্বল উৎপাদন কাঠামো এই ঋণের বোঝা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে নিয়ে যায়। তাই আজ আমরা লক্ষ্য করছি যে, দেশের আপামর জনতার এই ঋণ ক্রমশ বাড়ছে।
অর্থমন্ত্রীর সংসদ বক্তৃতার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই পোস্টের গদ্যাংশ লেখা হয়েছে। ছবিসুত্রঃ The Economic Times.
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: টাকায় ডলারের বিনিময় মূল্য আপনি ধরেছিলেন ৮৫.২১ টাকা। গতকাল সেটা ছিল ১০৯.০০ টাকা। আজ হয়তো সেটা আরও বেড়ে গেছে। সে অনুপাতে জনপ্রতি ঋণের পরিমাণ আরও অনেক বেড়ে গেছে।