নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন নিয়ে, মনের কথা

ব্যাক্তিগত জীবনে আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সাইকোথেরাপিস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যাবিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। চেম্বার করি পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে সন্ধ্যা ও রাতে।লেখালেখি আমার কাজ নয়। পারিও না। চেম্বারে রোগী দেখতে গিয়ে নানা অভিজ

ডা. সুলতানা আলগিন

ব্যাক্তিগত জীবনে আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সাইকোথেরাপিস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যাবিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। চেম্বার করি পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে সন্ধ্যা ও রাতে।লেখালেখি আমার কাজ নয়। পারিও না। চেম্বারে রোগী দেখতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা হয়। ভাবলাম সেসব এই ব্লগে শেয়ার করবো। যাতে অন্যরা উপকৃত হন। আর হ্যা, চেম্বার ঠিকানা দিলাম; সেটা একরকম বিজ্ঞাপণ বটে। তবে ভুক্তভোগীরা বিএসএম এমইউ'র আউটডোর, এবং বিকালের বিশেষ চেম্বার-সেবার জন্য আসতে পারেন। ব্যাক্তিগত চেম্বারের চাইতেও আকর্ষনীয় আয়োজন। প্রতিটি রোগী দেখা হয়--একাধিক চিকিৎসক মিলে;মেডিকেল অফিসার ও অধ্যাপক সমন্বয়ে। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন আছে বিশেষায়িত চেম্বার। আসুন, মুগ্ধ হবেন অবশ্যই।

ডা. সুলতানা আলগিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেতার বক্তব্যে গালির ফোয়ারা যখন রোগ

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯



হ্যা, গোড়াতেই বলছি নিবারণ যোগ্য এটিও। ভিডিওটি ভাল করে দেখুন--ইনি একজন নেতা। বক্তব্য শুনে ভাবভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে নিজ এলাকায় তার দলের বড় নেতাই তিনি। সমস্যা হচ্ছে কিছুক্ষণ পর পর তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে গালি দিচ্ছেন। গালি দেয়ার ভঙ্গিটা বেশ কৌতুককর। মনে হচ্ছে এটিও তার আচরিত ভাষা। তার আচার আচরনের অংশ। জানি, এই ভিডিও দেখে অনেকেই কটুমন্দ বলবেন। বাংলাদেশের রাজনীতি, রাজনীতিতিকদের ভাষা, বংশপরিচয়-লেখাপড়ার দৌড় নিয়ে অনেক কথা বলবেন। আবার কেউ হয়তো মজাই পাবেন।

আমি রাজনীতি টেনে আনতে চাই না। তার চেয়ে একজন চিকিৎসকের অবস্থান থেকে ব্যপারটা ব্যাখ্যা করতে চাই। সে হিসেবে এটা এক ধরণের রোগ। মানসিক--তথা আচার আচরণ গত চিকিৎসা বিজ্ঞান দিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা সম্ভব। এই রোগের চিকিৎসাও সম্ভব। লোকটা দেখা যাচ্ছে বেশ অবলীলায় বার বার গালাগালি করছে কাছের লোকজনকে। সে জানেই না এটা তার বাজে অভ্যাস। সে স্বাভাবিক মনে করেই কাজটা করছে। আবার মনের অজান্তেই কাজটা করতে পারে। সে আদৌ বুঝতে পারছে না বাজে অভ্যাসের বশে সে কি কান্ডই উপহার দিচ্ছে। দুটোই আচার আচরণগত রোগের মধ্যে পড়ে। তার চিকিৎসা সম্ভব। শুধু দরকার তার আত্মীয়স্বজনের উদ্যোগ। তারা যদি তাকে কোন মানসিকরোগ বিশেষজ্ঞর কাছে এনে চিকিৎসা সহায়তা নেন, এই বাজে অভ্যাস ত্যাগ করতে পারবে সে। তাকে আর কষ্ট করে অমন কদর্য কাজ করতে হবে না। পাবলিকও তার গালি যন্ত্রনা থেকে রেহাই পাবে।



হ্যা, গোড়াতেই বলছি নিবারণ যোগ্য এটিও। ভিডিওটি ভাল করে দেখুন--ইনি একজন নেতা। বক্তব্য শুনে ভাবভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে নিজ এলাকায় তার দলের বড় নেতাই তিনি। সমস্যা হচ্ছে কিছুক্ষণ পর পর তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে গালি দিচ্ছেন। গালি দেয়ার ভঙ্গিটা বেশ কৌতুককর। মনে হচ্ছে এটিও তার আচরিত ভাষা। তার আচার আচরনের অংশ। জানি, এই ভিডিও দেখে অনেকেই কটুমন্দ বলবেন। বাংলাদেশের রাজনীতি, রাজনীতিতিকদের ভাষা, বংশপরিচয়-লেখাপড়ার দৌড় নিয়ে অনেক কথা বলবেন। আবার কেউ হয়তো মজাই পাবেন।

আমি রাজনীতি টেনে আনতে চাই না। তার চেয়ে একজন চিকিৎসকের অবস্থান থেকে ব্যপারটা ব্যাখ্যা করতে চাই। সে হিসেবে এটা এক ধরণের রোগ। মানসিক--তথা আচার আচরণ গত চিকিৎসা বিজ্ঞান দিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা সম্ভব। এই রোগের চিকিৎসাও সম্ভব। লোকটা দেখা যাচ্ছে বেশ অবলীলায় বার বার গালাগালি করছে কাছের লোকজনকে। সে জানেই না এটা তার বাজে অভ্যাস। সে স্বাভাবিক মনে করেই কাজটা করছে। আবার মনের অজান্তেই কাজটা করতে পারে। সে আদৌ বুঝতে পারছে না বাজে অভ্যাসের বশে সে কি কান্ডই উপহার দিচ্ছে। দুটোই আচার আচরণগত রোগের মধ্যে পড়ে। তার চিকিৎসা সম্ভব। শুধু দরকার তার আত্মীয়স্বজনের উদ্যোগ। তারা যদি তাকে কোন মানসিকরোগ বিশেষজ্ঞর কাছে এনে চিকিৎসা সহায়তা নেন, এই বাজে অভ্যাস ত্যাগ করতে পারবে সে। তাকে আর কষ্ট করে অমন কদর্য কাজ করতে হবে না। পাবলিকও তার গালি যন্ত্রনা থেকে রেহাই পাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.