![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাক্তিগত জীবনে আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সাইকোথেরাপিস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যাবিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। চেম্বার করি পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে সন্ধ্যা ও রাতে।লেখালেখি আমার কাজ নয়। পারিও না। চেম্বারে রোগী দেখতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা হয়। ভাবলাম সেসব এই ব্লগে শেয়ার করবো। যাতে অন্যরা উপকৃত হন। আর হ্যা, চেম্বার ঠিকানা দিলাম; সেটা একরকম বিজ্ঞাপণ বটে। তবে ভুক্তভোগীরা বিএসএম এমইউ'র আউটডোর, এবং বিকালের বিশেষ চেম্বার-সেবার জন্য আসতে পারেন। ব্যাক্তিগত চেম্বারের চাইতেও আকর্ষনীয় আয়োজন। প্রতিটি রোগী দেখা হয়--একাধিক চিকিৎসক মিলে;মেডিকেল অফিসার ও অধ্যাপক সমন্বয়ে। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন আছে বিশেষায়িত চেম্বার। আসুন, মুগ্ধ হবেন অবশ্যই।
ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তানসহ উপমহাদেশের দেশে দেশে সামাজিক কুসংস্কার, ধর্মীয় কুসংস্কার ও গোড়ামির নামে নারীর ওপর নানা সহিংসতা নির্যাতন অপমান চলছে। সম্প্রতি ভারতীয় গনমাধ্যম মিড ডের একটি রিপোর্ট পড়ে চমকে উঠলাম। কাবিন নামা , দেনমোহর , কাজী ডেকে বিয়ের নামে ভারতে ১৫ দিনের সাজানো বিয়ের নামে নারীর উপর চলছে চরম অপমান। কয়েক সপ্তাহের জন্য কেনা বউ
অনলাইন মাধ্যমে পাওয়া খবরে জানলাম-
প্রতিবছরই সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, ওমান, কুয়েত ও কাতার থেকে পর্যটকেরা যান ভারতে। ১০ থেকে ১৫ দিন ভারতে থাকেন তাঁরা। আর এ সময়টায় বিনোদনের জন্য খুঁজে নেন অনেক কিছুই।
১০ অথবা ১৫ দিনের মধ্যে ১৫ হাজার থেকে এক লাখ রুপিতে ভারতের নারীদের বউ হিসেবে গ্রহন করেন পর্যটকেরা। শুধু নামেই বউ নন, কাজি ডেকে রীতিমতো বিয়ে পড়ানো হয়। আর নতুন এসব বউকে নিয়ে ধনী পর্যটকেরা বেরিয়ে পড়েন মধুচন্দ্রিমায়। অবশ্য বেড়ানোর সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তালাক দেওয়া হয় তাঁদের। সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় অনলাইন ‘মিড-ডে’-এর সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে জানা গেছে এমন ভয়ংকর ঘটনার কথা।
খবরে বলা হয়, ভারতের একদল কাজি বিবাহ সম্পর্কে ইসলামিক আইনের অপব্যবহার করে এ ধরনের বিয়ে পড়ান। সেই কাজিদের মাধ্যমেই আবার চুক্তি শেষে তালাক হয় বর-কনের। এ জন্য তাঁদের মোট টাকার ৫০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়। যেসব দালাল গ্রাম থেকে দরিদ্র মেয়েদের অর্থাত্ বউদের জোগাড় করে আনে, তারা পায় ২৫ শতাংশ। এ ছাড়া পতিতালয়ের দালাল, গাড়ির চালকেরা প্রত্যেকে পান ৫০০ থেকে এক হাজার রুপি। তবে বিয়ের কনেটি পান সামান্যই। মাত্র দুই হাজার রুপি। আর এ জন্যই অনেক নারীই পর্যটকদের আকর্ষণ করতে দাঁড়িয়ে থাকেন রাস্তায় রাস্তায়। অর্থের বিনিময়ে বউ নিকাহ করে যৌন সেবায় নিয়োজিত করেন আরবের পর্যটকেরা।
এভাবে মুসলিম আইন ভেঙে কাজিরা বিয়ে দেন এবং বিয়ে ভাঙেন একের পর এক। তালাক হওয়ার পরে মেয়েটিকে আবার নতুন কোনো পর্যটকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।
কী ভয়ংকর সব তথ্য। পাকিস্তানেও এমনটা হয় শুনেছি। করাচী লাহোরে হয়-এধরনের পাতানো সাজানো বিয়ে সেখানে কোন কোন এলাকায় ডালভাত। সেখানে আরব শেখদের মনোরন্ঝনে এই বিয়ে বেশ আইনসিদ্ধ। ভারতেও দিল্লিতে রেওয়াজ আছে। এ নিয়ে বিখ্যাত একটা ছবি বাজার। যারা দেখেছেন মনে করতে পারেন। প্রশ্ন হল এই অপমান আর কতদিন! সবচেয়ে আপত্তির ব্যাপার হল এখানে একটি সম্প্রদায়ের বিবাহ রীতিকে ষোলআনা ব্যাবহার করে নারীকে অপমান অসম্মান করা হচ্ছে পাক- ভারতে। ভাবুন একবার! দেন মোহর দেয়া হচ্ছে কাজীর দরবারে। রীতিমত আইনের আওতায় নিকাহ হচ্ছে। এই অনাচার মেনে নেয়া যায় না। এর প্রতিবাদ হওয়া দরকার। পাকিস্তানে হচ্ছে সে অনেককাল ধরে। ওখানে এটা মুতা বিবাহ জাতীয় ধর্মীয় রীতি নীতির মোড়কে সোৎসাহে করা হচ্ছে। ইরানেও এমনটা হয়। ইনটারনেটে খববরটা পড়ে আমি আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানালাম। আমি জানি নারীর ইস্যুতে নারীদের প্রতিবাদ জানানো উচিৎ্ । নারীর প্রতিবাদ অন্য কেউ করে দেবে না। এই বিয়ে নয়। অথচ এমন সিস্টেমকে দরিদ্রকিশোরী কন্যাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তাদের জীবন যেমন ধংস করা হচ্ছে। তেমনি মানসিক ভাবে এরা সুস্থতা হারাচ্ছে। এরা সমাজ দেশ রাষ্ট্র সমাজ ধর্মীয় মূল্যবোধ সব কিছুর ওপর বিশ্বাস হারাচ্ছে।
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
খালেদা আকতার বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে লগইন করাটা দায়িত্ব বলে মনে করলাম। আসলেই এরা মানুষ নামের জানোয়ার। আর যার এসব আইন পাস করে আমি জানিনা আসলে মানুষের বিবেক মানুষকে কেন নাড়া েদয়না। যারা এসব কাজে সহযোগিতা করে তারা তো অবশ্যই মানুষ রুপি জানোয়ার। তবে সময় এসেছে ভুক্তভোগি এসব মেয়েদের সচেতন করার। দুনিয়াতে পয়সা রোজগার করার জন্য আরো অনেক পথ আছে। সেটি বোঝাতে হবে। ধন্যবাদ আপা আপনকে বিষয়টি তুলে আনার জন্য।
(আপনার প্রোফাইলটি পড়লাম, বিশেষ চেম্বার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ইচ্ছে করছে। এটা কখন এবং কোথায় হয়। জানালে উপকৃত হব। আবারো ধন্যবাদ)
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: বোন খালেদা, অনেক ধন্যবাদ। চেম্বার সম্পর্কে যতটুকু ইনফরমেশন দিয়েছি , তাতে আপনার দরকারি তথ্যাদি পাবেন। আর দিতে চাই না ভাই। কেননা এর মধ্যেই অনেকে অভিযোগ তুলেছেন--ব্লগে লেখার মাধ্যমে নিজের বিজ্ঞাপন করছি। তাই আর নয়। আমরাও ডাক্তাররাও তো মানুষ। নিজেদের সুখ দু:খ ব্লগে শেয়ার করতে চাই আমরাও। তাই না।
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২১
সুমন জেবা বলেছেন: মাত্র দুই হাজার রুপিতে বিয়ে ..??
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮
সামুরাই_কাতানা বলেছেন: ভারতে সবকিছুই সম্ভব।যত সব অদ্ভুত কান্ড এই দেশে ঘটে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: কেবল ভারত কেন, পাকিস্তান ইরান ইয়ামেনইরাক সহ বিশ্বের দেশে দেশে এমনটা ঘটছে। আমরা দুনিয়ায়ার যেখানেই অন্যায় ঘটুক প্রতিবাদ করি তাইনা । সেটাই তো উচিত।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: স্বয়ং সৌদী আরবের অবস্থা দেখুন না!! বলগার আবু তাহের তো আজকেই সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখেছেন----
বিয়ের প্রতীক্ষায় সৌদি নারীরা
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩ |
শেয়ারঃ
1 0
মুসলিম সমাজে বিয়ে শাদী সহজ হলেও সৌদি সহ বেশ কিছু আরব দেশে বিয়ে শাদী অনেকটা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। সৌদি সমাজ ব্যবস্থা এক কঠিন বলয় সৃষ্টি করে রেখেছে এই বিয়ে শাদীকে ঘিরে। বিশেষ করে অনারবদের কাছে নারীদের বিয়ের ব্যাপারে রয়েছে বিভিন্ন বিধি নিষেধ। একটি স্থানীয় দৈনিকের তথ্য অনুযায়ী, কোনো সৌদি নারী তার বয়স ২৫ না হলে কোনো বিদেশিকে ম্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন না। তবে পাত্রটি ওই নারীর নিকট কোনো আত্মীয় হলে এই বয়সসীমা ২১ বছরে নামিয়ে আনা সম্ভব। তদরূপ কোনো সৌদি পুরুষ যদি ভিনদেশি কোনো নারীকে বিয়ে করতে চায় তাহলে তার বয়স হতে হবে অন্তত ৩০ বছর। পাত্রী নিকট আত্মীয় হলে ২৫ বছর বয়স মেনে নেওয়া যাবে। তবে বয়সের পাশাপাশি ওই পুরুষকে তার পর্যাপ্ত আয় রয়েছে এর প্রমাণও নিশ্চিত করতে হবে।
কেন তৈরী হল এই আইন? রাষ্ট্রীয়ভাবে বলা হয়ে থাকে যে, নাগরিকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই ভিনদেশীদের সাথে বিবাহে এত আইন। তবে এক্ষেত্রে পাত্র বা পাত্রীকে হারাতে হবে তার সরকারী চাকুরী। আর এই বিবাহের জন্য তাদেরকে আবেদন করতে হয় বিবাহ লাইসেন্স এর। যা সংগ্রহ করতে ছয় মাসেরও বেশি সময় লাগে।
আর এ ক্ষেত্রেও রয়েছে চরম বৈষম্য। যদি কোন সৌদি পুরুষ কোন ভিনদেশী নারীকে বিয়ে করে তবে কিছুদিন পরে ঐ নারীকে নাগরিকত্ব দেয়া হয় কিন্তু কোন সৌদি নারী কোন ভিনদেশী পুরুষকে বিয়ে করে তবে তাকে নাগরিকত্ব দেয়া হয় না। এছাড়া অর্থনৈতিক সংকট ও বিয়ের জন্য পুরুষদেরকে বিপুল অর্থ-সমপদ যৌতুক হিসেবে দেয়ার ব্যয়বহুল প্রথা সৌদি মেয়েদের অবিবাহিত থাকার অন্যতম কারণ। সূত্র: আইআরআইবি।
যার ফলে সৌদি আরবে মেয়েদের চিরকুমারী থাকার সমস্যা দিনকে দিন বাড়ছে। দেশটিতে এ ধরণের নারীর সংখ্যা ২০১২ সালে ৪০ লাখে (৪ মিলিয়ন) উন্নীত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এদের অনেকেরই স্বাভাবিক বিয়ের বয়স পার হয়েছে অনেক আগে। এসব মেয়েদের মধ্যে ডাক্তার, শিক্ষক, সরকারী কর্মকর্তার মত উচ্চশিক্ষিত নারীও রয়েছেন।
সৌদি আরবের অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জরিপে দেখা গেছে, দেশটিতে ২০১১ সালে ৩০ বছর বা তার চেয়ে বেশী বয়সী অবিবাহিত নারীর সংখ্যাই ছিল ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৪১৮ জন। সেই অর্থে সে দেশে ত্রিশ বছরের কম বয়সী বিবাহযোগ্য মেয়ে যাদের বিয়ে আগেই হয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল তাদের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। বাস্তবতা হল সে দেশে প্রায় পরিবারেই চল্লিশোর্ধ কুমারী মেয়ে দেখা যায়।
ইদানিং অনেকেই তাদের এই সামাজিক বলয় ভেঙ্গে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। অনেকে আদালতে মামলাও করছে। কিন্তু এই ধরণের মামলায় জেতা খুবই কঠিন, কারণ এ ক্ষেত্রে কী কী বিষয় প্রমাণ করতে হবে সে বিষয়ে আইনে কোন পরিস্কার বা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। এই ধরণের মামলা গুলোর সিদ্ধান্ত বা রায়ের ক্ষেত্রে বিচারকদের একচ্ছত্র ক্ষমতা। ফলে পুরো বিষয়টা নির্ভর করে কোন বিচারকের আদালতে মামলাটির বিচার হবে এবং কোন বিচারক মামলাটির রায় দেবেন। কিন্তু এ ব্যাপারে জনমতের কথা ভাবলে দেখা যায় এই ধরণের মেয়েদের প্রতি, তাদের সমস্যার প্রতি এবং ইদানিং তাদের মামলার প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক সহানুভূতি রয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পরিবারও এর জন্য বিশেষ ভাবে দায়ী। কর্মজীবী নারীদের আয় ভোগ করা, উদাসীনতা এক্ষেত্রে প্রধান ভাবে দায়ী। যার ফলে কর্মজীবী নারীরা অনেক ক্ষেত্রেই ভিনদেশী পুরুষদের বিয়ে করার ব্যাপারে সাহসী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সৌদী নারী-পুরুষের বিয়ের ঘটনা দিনকে দিন বাড়ছে। সৌদি আরবের বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত বছরে ৩৪ জন সৌদি নারী এমন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। এদের মধ্যে ১৭ জন বাংলাদেশি পুরুষকে ও ১৭ জন আফগান পুরুষকে বেছে নিয়েছেন তাদের জীবনসঙ্গী হিসেবে। আর পুরুষদের মধ্যে ৫৫ জন আফগান নারীকে এবং ২৭ জন বাংলাদেশি নারীকে বিয়ে করেছেন। বিয়ের এই হার বেড়ে যাওয়াকে অস্বাভাবিক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সৌদি নারী-পুরুষের মধ্যে ভিনদেশিদের বিয়ে করার এই প্রবণতাকে স্বাগত জানিয়েছেন সৌদি আরবের সমাজ বিশ্লেষকরা।
বিয়ের ক্ষেত্রে সৌদিআরবে প্রথমেই পারিবারিক সদস্য এরপর নিকট প্রতিবেশিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। র্তমানে সৌদি কিংডমের বাইরেও বিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে এটি একটি ইতিবাচক দিক। সৗদি নারীরা কাজে যোগ দেওয়ার কারণেই তাদের মধ্যে ভিনদেশি স্বামী গ্রহণের এই প্রবণতা বাড়ছে বলে মত সমাজ বিশ্লেষকদের।
ইসলাম এ ধরনের বৈষম্য কখনোই সমর্থন করে না। রাসূল সা: এর যুগে এ ধরনের ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। হাবসী সাহবীদের সাথে আরবের মেয়েদের বিয়ে কিংবা সৌদি আরবের বাইরের দেশ যেমন: ইরান, ইরাক এসব দেশের সাহাবীদের সাথে আরবের মেয়েদের বিয়ে হয়েছিল। এছাড়াও সৌদী পুরুষ সাহাবীরা বাইরের দেশে গিয়েও বিয়ে করেছেন এরকম সংখ্যাও কম নয়।
যাহোক ইদানিং সৌদি সরকার এ ব্যাপারে কিছুটা উদারতা প্রদর্শন শুরু করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে সমপ্রতি বিদেশী অভিবাসীদের জন্য এমনই সুখবর জানিয়েছে দেশটি। কোনো প্রবাসী যদি সৌদি নারীদের বিয়ে করেন, তবে তিনি পেনশনসহ বেতন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌদির ইনস্যুরেন্সভিত্তিক একটি সংস্থার বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদিতে কোনো বিদেশী অভিবাসী যদি দেশটির কোনো নারীকে বিয়ে করেন তবে তিনি মাসিক বেতনসহ পেনশন পাবেন। তবে তাদের বেতন সৌদি তিন হাজার রিয়াল কিংবা তার চেয়ে কম হতে হবে। আর স্বতন্ত্রভাবে যাদের বেতন এর ওপরে তারা এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। তবে তারা বেতন সুবিধা পাবেন ঠিকমতো। সংস্থাটির এক মুখপাত্র আমাল আল-ঘামলাস জানান, এজন্য “সেপশাল এক্সপ্যাক্ট” সিস্টেমে তাদেরকে আগে থেকেই নিবন্ধন করতে হবে।
আমরাও আশা করি এরকম বিভেদ সৃষ্টি না করে সৌদি সরকার প্রকৃত ইসলামের ছায়াতলে এসে নিদেনপক্ষে সৌদী নারীদের বিয়ের পথ সুগম করবেন।
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
সোহানী বলেছেন: আগে আমার দেশের অনাচার বন্ধ হোক তারপর অন্য দেশের দিকে তাকাবো। আর ভারত বা পাকিস্তানের অনাচার নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে না, ওরা পারে না এমন কাজ নেই। গণ ধর্ষন বা মেয়েদের অপমান ওদের কাছে ডাল ভাত। কিন্তু আমরা কেন দিন দিন ওদেরকে ফলো করছি !!!! সেটাই বন্ধ করতে হবে...........................
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৯
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে মনে হল ভারতে এটা একটা ব্যাপার।ক্রাইম পেট্রোলের এপিজোডগুলো উল্টাতে মাঝে মাঝে ইউটিউবে ঢোকা হয়।সেখানেই এরকম একটা এপিজোড দেখি।কেরালার একটি গরীব এতিম মেয়েকে এতিম খানায় গিয়ে পছন্দ করে এক আরব।এরপর বিয়ে,হানিমুন আর কিছুদিন যেতেই ফাইনালী আরবে ফিরে গিয়ে ফোনে ডিভোর্স।বিস্তারিত দেখতে পারেন: