![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাক্তিগত জীবনে আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সাইকোথেরাপিস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যাবিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। চেম্বার করি পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে সন্ধ্যা ও রাতে।লেখালেখি আমার কাজ নয়। পারিও না। চেম্বারে রোগী দেখতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা হয়। ভাবলাম সেসব এই ব্লগে শেয়ার করবো। যাতে অন্যরা উপকৃত হন। আর হ্যা, চেম্বার ঠিকানা দিলাম; সেটা একরকম বিজ্ঞাপণ বটে। তবে ভুক্তভোগীরা বিএসএম এমইউ'র আউটডোর, এবং বিকালের বিশেষ চেম্বার-সেবার জন্য আসতে পারেন। ব্যাক্তিগত চেম্বারের চাইতেও আকর্ষনীয় আয়োজন। প্রতিটি রোগী দেখা হয়--একাধিক চিকিৎসক মিলে;মেডিকেল অফিসার ও অধ্যাপক সমন্বয়ে। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন আছে বিশেষায়িত চেম্বার। আসুন, মুগ্ধ হবেন অবশ্যই।
কেমন আছেন!
আমি এই ডাক্তারি কলামে সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে পরামর্শমুলক আলাপ জারি রাখতে চাই।
দক্ষিন কোরিয়ার ব্যাপারটা দেখুন। সেখানে স্মরণকালের শোকাবহ ফেরী দুর্ঘটনায় বিপুল মৃত্যু ঘটেছে। এরমধ্যে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থীও রয়েছে। গভীর শোক জানাই এই শিশুদের প্রতি। তারা অবকাশের জন্য একটি দ্বীপে যাচ্ছিল। পত্রিকায় পড়লাম-- ওই শিক্ষার্থীরা যে প্রতিষ্ঠানের ; সেটির ভাইস প্রিন্সিপাল শোক কষ্টে আত্মহত্যা করেছেন। খুবই দু:খজনক ঘটনা।
প্রথমটি ছিল দুর্ঘটনা। তাতে প্রিন্সিপাল নিজেই সুইসাইড করলেন! কেন করলেন! এটা কিভাবে ব্যাখ্যা করব আমরা!
পড়াশোনা ও ট্রেনিং নিতে কিছুকাল আমার দক্ষিন কোরিয়া থাকার সুযোগ হয়েছিল। কাছে থেকে দেখেছি এই কোরীয়দের। চাপা স্বভাবের কর্মমুখী জাতি। জাপানিদের মত কাজ ভালবাসে। আবেগ কম বলেই ধারনা হয়েছিল। কিন্তু এই কোরীয় শিক্ষক তো আবেগের চরম বাড়াবাড়ি করে ফেললেন। কেন করলেন!
অনেকে হয়তো বলবেন তাতে আমার কি আসে যায়! একজন মনোচিকিৎসক হিসেবে অবশ্যই আসে যায়। জীবন সুই সাইড করার জন্য নয়। বাচার জন্য। উপভোগের জন্য। সেই জন্য নিত্য কাজ--স্বপ্ন দেখা ও বাস্তবায়নের জন্য। এখানে সুই সাইডের কোন সুযোগ নেই। এটা মেনে নেয়া যায় না। সুইসাইড কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। এটা অস্বাভাবিক। একজন মনোরোগবিদ্যার ছাত্র হিসেবে আমরা সব সময় মানুষকে জীবনের পথ দেখাতে চাই।
এই প্রিন্সি পাল ভদ্রলোক ধরে নেয়া যায়-- ছাত্রদের অত্যধিক ভাল বাসতেন। স্নেহ করতেন। তাদের মৃত্যুর পর যে নি:সঙ্গতা সেটা তার জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছিল।
এই যে চাপ সহ্য করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা-- এটাই অতি আবেগ । এটা মানসিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মধ্যে পড়ে। এবং নিরাময় যোগ্য।
হতে পারে তিনি বিষন্নতায় ভুগতেন। ডিপ্রেশন।এই রোগটি আমাদের সমাজেও বেড়েই চলেছে। সাবধান হতে হবে আপনাকে আমাকে--সবাইকে। কখন যে এর স্বীকার হবো বলা মুশকিল। তবে আগাম ধারনা থাকলে সচেতন থাকলে সবারই সুবিধা।
ধান ভানতে গিয়ে একটু শিবের গীত গেয়ে নিই। আমাদের সবার বিষয় গুলে জানা থাকলে ভাল।
দেশে মহিলাদের মধ্যে বিষন্নতা রোগ বেশী। তবে শিশুকিশোর নারী পুরুষ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবাই এই রোগে ভুগতে পারেন। এই রোগের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে--কাজে কর্মে অনাগ্রহ। মনে নিরান্দ ভাব। ভুলে যাওয়া, ঘুম কম বেশী। খেতে অনীহা; যৌন আকাঙ্খা কমে যাওয়া; এই বিষন্নতা আর আত্মহত্যার প্রবনতা যেন পিঠাপিঠি ভাই। নিজের ভুতভবিষ্যত নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা;
ছাত্রদের মৃত্যুতে কোরীয় পিন্সিপাল সুই সাইড করলেন স্কুল ক্যাম্পাসে গলায় ফাস দিয়ে--কি এক অব্যাক্ত যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন তিনি। তার এই মর্মান্তিক বিদায় কখনওই কাম্য নয়।
দেশেও এমন রোগী পাই। স্বজনের মৃত্যু-কষ্ট সহ্য করতে পারেন না। নিজেকেই শেষ করে দিতে চান তিনি। অনেকে চেষ্টা করার পর মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে আসেন।
কিন্তু দক্ষিন কোরীয় প্রিন্সিপাল কি জানতেন-- তিনি মানসিক রোগে ভুগছিলেন। তিনি যদি সময় মত চিকিৎসা করাতেন-- কিংবা তার স্বজনরা সহকর্মিরা বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের নজরে আনতেন-- তবে ফেরী দুর্ঘটনার মহা বিয়োগান্তক ঘটনার পর এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটত না। দক্ষিন কোরিয়ার স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা ইর্ষনীয় পর্যায়ের। সব কাজে তারা সুদক্ষ। স্বাস্থ্যসেবাও নিবিড় জালে আটকানো। সেখানে রোগ জানলেই আগে চিকিৎসা--গাফিলতির সুযোগ নেই।
সেই দেশেই এই রকম অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে-- তাহলে ভাবুন আমাদের দেশের ডিপ্রেশন রোগীরা কি অবহেলায় রয়েছেন। এটাকে আমরা রোগ বলে স্বীকারই করতে চাই না। বলি পাগলামির লক্ষন। নানাভাবে এই রোগীদের সমাজে সংসারে যন্ত্রনা দেই। কিন্তু সবারই তো বাচার অধিকার আছে। আত্মহত্যা বা সেই চেষ্টা তো সুস্থতার লক্ষন নয়।
দক্ষিন কোরীয় প্রিন্সিপালের অনাকাঙ্খিত মুত্যু কি ঠেকানো যেত না! অবশ্যই যেত। তিনি রোগে ভুগছিলেন। শিক্ষক ; তার পরিবার স্বজন সহকর্মি যদি তার বিষন্নতা, অস্বাভাবিক নানা আচরনে দেখে সচেতন প্রতিক্রিয়া দেখাতেন ; তিনি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিলে এই ঘটনা ঘটত না।
আপনি আমি আমাদের চারপাশের লোকজন কি এইরকম সমস্যাতে ভুগছি। ভুগছি যে না-- এটা জোর গলায় বলতে পারি না।
এরকম সমস্যা হলেই কি ১০০ মাইল বেগে ডাকাতারের চেম্বারে ছুটতে হবে। নগদ নারায়ন দিয়ে কি চিকিৎসা নিতে হবে।
না। আমার পরামর্শ তা নয়।
আমার পরামর্শ ছোটখাট সমস্যাদি শেয়ার করুন। মনের মধ্যে পুষে রাখবেননা। আপনার অসন্তোষ কষ্ট কাছের মানুষকে বলুন। যাকে পছন্দ করেন, বিশ্বাস করেন; তাকে বলুন। একা নয় সবাইকে নিয়ে চলুন। নিজের মধ্যে যেন গুম না হয়ে থাকি। কাছের কোন মানুষকে নিজের মধ্যে গুম হয়ে থাকলে তাকে সহযোগিতার করুন। কথা বলুন। সমস্যাদি শেয়ার করতে বলুন। বাসায় নিকট জনকে বলুন। অফিসে পছন্দের বিশ্বাসী জনকে বলুন। তাতে বিষন্নতা রোগে ভোগার যে আশংকা তা রুদ্ধ হবে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না। আর যদি হয়ই -- শেয়ার করলে আপনার নিকটজন তা বলবেন। সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া তখন সহজ হবে।
ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। রোগ মুক্ত থাকুন। সেজন্য আত্মপ্রয়াসী হোন। মানসিক রোগ কোন দৈব বা গায়েবী রোগ নয়। আর দশটা রোগের মত সাধারন রোগ। অন্য রোগে যেমন কেমিকেল অষুধ দেয়া হয়-- মানসিক রোগেও এলোপ্যাথিক ওষুধ খেয়ে দিব্যি ভাল থাকা যায়। দীর্ঘায়ু থাকা যায়।
আমার ইমেইলে আপনার সমস্যা জানাতে পারেন-- সময় সুযোগ মত আমার পরামর্শদেব। আমার ইমেইল ঠিকানা[email protected]
২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোটখাট সমস্যাদি শেয়ার করুন। মনের মধ্যে পুষে রাখবেননা। আপনার অসন্তোষ কষ্ট কাছের মানুষকে বলুন। যাকে পছন্দ করেন, বিশ্বাস করেন; তাকে বলুন। একা নয় সবাইকে নিয়ে চলুন।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: মানসিক রোগ আছে সরি এখানে রোগের জায়গাতে সমস্যা হবে।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জাপানি ও কোরিয়ানরা খুবই আবেগপ্রবন। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালেও এইরকম অনেক দেখা গেছে।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: আপনার সাথে একমত হওয়া যায়। যাদের আবেগ বেশী অনেক ক্ষেত্রে তারা তা চেপে রাখে। তবে জাপান বিশেষ করে সেই হারিকিরি বিশেষ করে মায়েদের--সেটা এখন অতি চমৎকারভাবে মোকাবেলা করে এগিয়ে গেছে অনেকদুর।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: মর্মান্তিক একটা ঘটনা নিঃসন্দেহে। আপনার বিশ্লেষণের ধরণটা ইন্টারেস্টিং। ডিপ্রেশন ডিল করার ক্ষেত্রে মনোচিকিৎসকদের প্রতি একটি সাধারণ অভিযোগ যে, তারা কেবল স্নায়ু শীতলকারী ঔষুধ দিয়ে ছেড়ে দেন। এই অভিযোগের ভিত্তি কি? এটা কি সঠিক পন্থা?
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: মনোচিকিৎসাশাস্ত্র চিকিৎসা বিজ্ঞানের সমৃদ্ধ একটি ক্ষেত্র। এলোপ্যাথিক চিকিৎসার ক্ষেত্রের কথা বলছি। বিপুল গবেষনা_-দেশবিদেশের অসংখ্য চিকিৎসক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ধারায় আজকের পর্যায়ে নিবিড় ও যথার্থ চিকিৎসা দেয়ার জন্য আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি।
তবে ঝাড়ফুক ওঝাসহ মনব্যাধি বিশেষজ্ঞের নানা অপচিকিৎসা চলছে এই সেকটরে। বিশেষজ্ঞ সেজে অনেক অপচিকিৎসক চিকিৎসা শাস্ত্র না পড়েই--- সোজা কথায় ডাক্তর না হয়েও দিব্যি মনোচিকিৎসা করছে। তবে ভয়ংকর ব্যাপার হল এটি যে-- এরা কেউ কেউ এলোপ্যাথিক চিকিৎসাও দিয়ে থাকেন। এদের অনেকে ডিপ্রেশন চিকিৎসায় স্নায়ুশীতল কারী ওষুধ হরহামেশা দেন-- এমন অভিযোগ আমরা পাই। জ্বর হলে যেমন প্যারাসিটামল আমরা ডাক্তারকে না জিজ্ঞেস করে খাই-- তেমনি কিছু অপচিকিৎসক চিকিৎসা বিজ্ঞান না পড়েই ওইরকম হাতুড়ে জ্ঞানে কাজটা করেন-- যা ক্রিমিনাল অফেন্স।
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
আমিনুর রহমান বলেছেন:
জীবন সুই সাইড করার জন্য নয়। বাচার জন্য। উপভোগের জন্য। সেই জন্য নিত্য কাজ--স্বপ্ন দেখা ও বাস্তবায়নের জন্য।
ঘটনাটি সুন্দর করে বিশ্লেষন করেছেন। পোষ্টে +++
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: জীবন সুই সাইড করার জন্য নয়। বাচার জন্য।
প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।.।
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১১
ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: আমাদের দেশে মানসিক সমস্যাগুলোকে কম প্রাধাণ্য দেয়া হয়। মানুষ এখনো রোগ বলতে শারীরিক কষ্টকেই বুঝে। লেখা ভালো লাগল।
++++
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। +
৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২০
জেগে উঠার দিন বলেছেন: আমি আত্মহত্যার নৈতিকতার প্রশ্নে যেতে চাইনা। এমন মৃত্যু কেউ সমর্থনও করতে পারেনা। আমি ভাবছি অন্য একটা বিষয় নিয়ে। অনেক মানুষ এই দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এখানে হয়তো এই শিক্ষকের কোন দায়ই নেই; এটা শুধুই একটা দুর্ঘটনা। কিন্তু এর পেছনে তিনি হয়তো তারও কিছু দায় আছে মনে করেই এই পথ বেঁছে নিয়েছেন। ব্যাপারটা দায়িত্ববোধের। কত মানুষ আমাদের দেশে এমন অবেলায় অবহেলায় মরে যায়। কোন কোনটা তো দুর্ঘটনা ও না একদম খুন ও বলা যায়। কিন্তু তার পরও কেউ নুন্যতম দায় নিতে চায় না। রানা প্লাজা, তাজরিন ফ্যাশন এমন আর কত মৃত্যু। ইশ ! যদি এমন দায় বদ্ধতা আমাদের দেশে তৈরি হত।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: আত্মহত্যার নৈতিকতার প্রশ্ন --- এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত পোস্ট দেব আমি। অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর কথামালার জন্য।
৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩
আমি ইহতিব বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে অনুসরণে নিয়েছি। কারন আমার বিষয়ও ছিলো মনোবিজ্ঞান। নিজে কিছুটা পড়েছি বলে অনেক হতাশার মাঝেও অটোসাজেশনে চলেছি। আর তাই হয়তো পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়া থেকে নিজেকে সামলাতে পেরেছি অনেকবার।
ভালো লিখেছেন আপু। ডিপ্রেশন যে কতটা ক্ষতিকর হতে পারে তা আমি অনেক কাছ থেকে দেখেছি। আমার কাছে মনে হয় এটা একধরনের সাইলেন্ট কিলারের মত কাজ করে। ধীরে ধীরে শেষ করে দিতে পারে একজন মানুষকে যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হয়।
খুব শীঘ্রই হয়তো যোগাযোগ করবো আপনার সাথে।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষন।
আপনার লেখায় আবেগ ছুয়ে গেছে।
ইহতির আপুর মত আমিও আপনাকে অনুসরনে নিলাম।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: এই আত্মহত্যা করার ইচ্ছা ইদানীং আমার বেশী হচ্ছে। কারণ জীবনে কোন চোখে পড়ার মত সফলতা নাই। আমি অনেক ভীতু মানুষ। তাই অনেক ভেবে আত্মহত্যা করার কৌশল বের করেছি।যেটা করলে কেউ কোন সন্দেহ করবে না।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: আমি কোন অবস্থাতেই বিশ্বাস করিনা আপনি অসফল বা অসৃজনশীল মানুষ! কেননা আপনিই বলেছেন--"""অনেক ভেবে আত্মহত্যা করার কৌশল বের করেছি।যেটা করলে কেউ কোন সন্দেহ করবে না। """
তার মানে আপনি চমৎকার সৃজনশীল মানুষ। আত্মহত্যার মত দুরুহ বিষয়ে আপনি নিজের সৃজনশীলতাকে ব্যবহার করতে পেরেছেন। আপনি তো চাইলে আপনার মহৎ সৃজনশীলতা দিয়ে সবার জন্য কল্যানের কাজও করতে পারেন। যে চিন্তা কেবলি নিজেকে নিয়ে করছেন-- সেটা অন্যের কল্যানের জন্যেও করুন না। দেখবেন কি মহত্তম ব্যাক্তি হিসেবে সফলদের কাতারে আপনার নাম চলে আসবে। ভাল থাকুন। জীবন সৃজণ সাফল্যের জন্য-- আর মৃত্যু সব কিছুর অবসান।
১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: জীবন সুই সাইড করার জন্য নয়। বাচার জন্য। উপভোগের জন্য। সেই জন্য নিত্য কাজ--স্বপ্ন দেখা ও বাস্তবায়নের জন্য।
বেশ গুছানো লেখা। খুব সুন্দর বলেছেন আপা।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: ধন্যবাদ আলগিন আপু। প্রত্যেকটা লোকের মাঝে কিছু না কিছু মানসিক রোগ আছে। আমরা অনেকে বুজতে চাইনা। এক সময় মানসিক ডাক্তারের কাছে যাওয়া মানে সবাই মনে করতো পাগলের ডাক্তারের কাছে যাওয়া। ছোটবেলায় আমি খুব অস্থির ছিলাম সহজে পড়তে চাইতামনা। এখনো সেই ছোটবেলার মতো অস্থির আছি।