নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন নিয়ে, মনের কথা

ব্যাক্তিগত জীবনে আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সাইকোথেরাপিস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যাবিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। চেম্বার করি পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে সন্ধ্যা ও রাতে।লেখালেখি আমার কাজ নয়। পারিও না। চেম্বারে রোগী দেখতে গিয়ে নানা অভিজ

ডা. সুলতানা আলগিন

ব্যাক্তিগত জীবনে আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সাইকোথেরাপিস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যাবিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। চেম্বার করি পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে সন্ধ্যা ও রাতে।লেখালেখি আমার কাজ নয়। পারিও না। চেম্বারে রোগী দেখতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা হয়। ভাবলাম সেসব এই ব্লগে শেয়ার করবো। যাতে অন্যরা উপকৃত হন। আর হ্যা, চেম্বার ঠিকানা দিলাম; সেটা একরকম বিজ্ঞাপণ বটে। তবে ভুক্তভোগীরা বিএসএম এমইউ'র আউটডোর, এবং বিকালের বিশেষ চেম্বার-সেবার জন্য আসতে পারেন। ব্যাক্তিগত চেম্বারের চাইতেও আকর্ষনীয় আয়োজন। প্রতিটি রোগী দেখা হয়--একাধিক চিকিৎসক মিলে;মেডিকেল অফিসার ও অধ্যাপক সমন্বয়ে। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন আছে বিশেষায়িত চেম্বার। আসুন, মুগ্ধ হবেন অবশ্যই।

ডা. সুলতানা আলগিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি ডাক্তার বলছি-২ ওঝার হাতে হাজার মৃত্যু--কে দায়ী!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৬





শুধু মনোরোগ সেকটরেই অপচিকিৎসায় প্রতিবছর হাজার হাজার রোগী মারা যাচ্ছে । এ নিয়ে কোন আওয়াজ নেই কেন!!! এর জন্য কারা দায়ী! ডাক্তাররা না অন্য কেউ!! একটু ভেঙেই বলি।

মনোচিকিৎসাশাস্ত্র চিকিৎসা বিজ্ঞানের সমৃদ্ধ একটি ক্ষেত্র। এলোপ্যাথিক চিকিৎসার ক্ষেত্রের কথা বলছি। বিপুল গবেষনা_-দেশবিদেশের অসংখ্য চিকিৎসক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ধারায় আজকের পর্যায়ে নিবিড় ও যথার্থ চিকিৎসা দেয়ার জন্য আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি।



তবে ঝাড়ফুক ওঝাসহ মনব্যাধি বিশেষজ্ঞের নানা অপচিকিৎসা চলছে এই সেকটরে। বিশেষজ্ঞ সেজে অনেক অপচিকিৎসক চিকিৎসা শাস্ত্র না পড়েই--- সোজা কথায় ডাক্তর না হয়েও দিব্যি মনোচিকিৎসা করছে। তবে ভয়ংকর ব্যাপার হল এটি যে-- এরা কেউ কেউ এলোপ্যাথিক চিকিৎসাও দিয়ে থাকেন। এদের অনেকে ডিপ্রেশন চিকিৎসায় স্নায়ুশীতল কারী ওষুধ হরহামেশা দেন-- এমন অভিযোগ আমরা পাই। জ্বর হলে যেমন প্যারাসিটামল আমরা ডাক্তারকে না জিজ্ঞেস করে খাই-- তেমনি কিছু অপচিকিৎসক চিকিৎসা বিজ্ঞান না পড়েই ওইরকম হাতুড়ে জ্ঞানে কাজটা করেন-- যা ক্রিমিনাল অফেন্স।



ডাক্তারদের নানা খারাপ ব্যাবহার--চিকিৎসায় অবহেলা নিয়ে নানা আন্দোলন হয় এদেশে। এটা হওয়া উচিত। অন্যায়ের প্রতিবাদ অবশ্যই হওয়া উচিত। এটা অধিকারও বটে। কিন্তু দু:খজনক বিষয় হচ্ছে--মানসিক অপচিকিৎসায় প্রতিবছর দেশে কয়েক হাজার নারী শিশু পুরুষ মারা যাচ্ছে-- হাজার হাজার মানুষ অপচিকিৎসার শিকার হয়ে কষ্টের জীবন যাপন করছে-- সে ব্যাপারে কোন সচেতনতা দেখি না।



এই অপচিকিৎসার সাথে মেডিকেল চিকিৎসকদের দূরতম সংশ্রব নেই। অথচ তার বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন সচেতনতা দেখি না। হতে পারে--- এই যে মারা যাচ্ছে এরা গ্রামীন দরিদ্র জনগোষ্ঠির--তারা ওঝা তুকতাকসহ নানা পর্যায়ের অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন।



আমাদেরও দোষ স্বীকার করছি। আমরা সব পর্যায়ে সচেতনতা তৈরী করতে পারছি না।



শহরে নগরের কথা বলছি না কেন-- সেখানে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা ড্রাগ সেন্টারেও ধনবান পরিবারের সন্তানরা অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছে। সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না।



অনেকে আমাদের অর্থলোভের কথা বলবেন। অস্বীকার করি না আমাদের টাকার লোভ আছে। আমরা রোগী এলে ভিজিট নেই। কিন্তু তার বিনিময়ে অপচিকিৎসা দেই না। সময় নিয়ে সঠিক চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করি।



একটু বুঝিয়ে বলি। ওঝা-গ্রাম্য ডাক্তার এমনকি ডাক্তার নয় এমন সব মনোচিকিৎসক নামধারীর অপচিকিৎসার শিকার হয়ে আমার কাছে কিছু রোগী শেষ মুহুর্তে আসেন। ওই অপমনোচিকিৎসকরা করে কি--রোগী যখন প্রায় মরনাপন্ন তখন আমাদের কাছে পাঠায়।



ওঝারা তো মেরেই ফেলে বছরে কয়েক হাজার রোগীকে। আবার নগরের বুদ্ধিমান অপচিকিৎসকরা ড্রাগরোগীদের নানা ভুল চিকিৎসা দিয়ে অতি খারাপ পর্যায়ে আমাদের কাছে পাঠায়।



রোগী দেখেই আমরা কন্ডিশন বুঝি। কেননা আমরা আর যাই হোক--চিকিৎসা বিজ্ঞানের নির্দিষ্ট শৃংখলার মধ্যে পড়াশোনা করে এসছি। তারপরও চিকিৎসা করি। সেটা ভিজিট নিয়ে বলুন বা মানবিকতার জন্যে হোক-- আমরা রোগী ফেরাই না। এসব রোগী নিয়ে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। ঝুকি নিয়ে চিকিৎসা করতে হয়।



অনেকে ডাক্তারদের বিরাট ভিজিটের কথা বলেন। ঠিকই বলেন। কিন্তু আপনারা অবাক হবেন-- ওইসব রোগীরা ওঝা ও ড্রাগ সেন্টারে কি পরিমান টাকা পয়সা খরচ করে আসে তা বিস্ময়কর। ওঝাদের কাছে কমবেশী ১০ হাজার থেকে ৩০/৪০ হাজার টাকা খুইয়ে রোগীরা শেষে আমাদের কাছে আসেন। শুধু ডাক্তারদের কসাই বলে আত্মপ্রাসাদ লাভ করলে চলবে না-- ওই বড় কসাইদের বিরুদ্ধে জনমত চাই। তারা তো কোন চিকিৎসা না দিয়েই হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে রোগীকে মেরে পর্যন্ত ফেলছে।



আর ড্রাগ সেন্টারে খরচ করে আসে লাখ লাখ টাকা। সেখান থেকে আসা রোগীদের কাছে এমন সব চিকিৎসকের নাম ঠিকানা পাই যারা কোন দিন মেডিকেল কলেজে পড়েনি-- মেডিকেল শাস্ত্রে তাদের কোন ডিগ্রি নেই। জ্ঞান নেই। অথচ তারা নানা এলাপ্যাথিক ড্রাগ দিয়েছে। এটা ক্রিমিনাল অফেন্স। কেন! সেটা বলা দরকার। প্রতিটি ক্যমিকেল-- এলাপ্যাথিক ওষুধের ক্রিয়া -পাশ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। সেটা আমরা নির্দিষ্ট শৃংখলার মধ্যে প্রথমে পাচ বছর ; পরে হায়ার ডিগ্রি নিতে আরও অনির্দিষ্ট বছরের পর বছর পড়ি। এটা না জেনে ওষুধ দিলে সেটা কি ভয়ংকর-- ভেবেই দেখুন ।



গ্রামীন রোগীরা এমন অবস্থায় আসেন , তখন তাদের ভিজিট দেয়ার টাকা পয়সাও থাকে না। অথচ তারা হাজার টাকা খরচ করে এসেছেন। এই ব্যপারটায় সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন। একটু খোজখবর করলে দেখবেন--এই যে অপচিকিৎসায় যারা মারা যাচ্ছেন--শিকার হচ্ছেন--তারা আপনার আমারই কোন আত্মীয়।



তাকে আমার বা আমার কোন সহকর্মীর চেম্বারে আনতেই হবে-- এমন দাবি করছি না। কিন্তু সুচিকিৎসা তার অধিকার। টাকা পয়সা খরচ করে সুচিকিৎসা যেমন পেতে পারেন-- তেমনি অল্প খরচে সুচিকিৎসাও দেশে এখন সুলভ।





আমি অন্তত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতায় জোর গলায় বলবো-- এই বিএসএম এম ইউর মনোরোগবিদ্যা বিভাগে আমরা সবাই সুচিকিৎসা দেয়ার আপ্রান চেষ্টা করি। পরীক্ষা প্রার্থনীয়। রোগীদের আমরা চেম্বারে ভাগিয়ে নিই না। সর্বসাধারনের জন্য বৈকালিক চেম্বার রয়েছে। সেখানে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অধ্যাপক -সহযোগী অধ্যাপক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চিকিৎসা দেন। সময় নিয়ে সবাই চিকিৎসা দেন। যারা বলেন দেশের চিকিৎসকরা সময় দেন না-- তাদের বলি অন্তত এখানে এসে দেখুন--সময় নিয়ে আমরা দেখি। যেখানে ওই পর্যায়ের একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বার ফি--৭০০-১০০০টাকা-- সেখানে বৈকালিক চেম্বারে মাত্র ২০০ টাকা নেয়া হয়। এটি বর্তমান ভিসি স্যার অধ্যাপক প্রানগোপাল দত্তের অনন্য কাজ। আর আরও কম খরচে আউটডোর চিকিৎসা তো আছেই। সব বিভাগে নিবিড় রোগী দেখা হয়। আর আমাদের মনোরোগ বিভাগে তো আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম ---সময় দেই--রোগী চেম্বারে যেতে বলি না। তারপরও রোগীরা কেন চেম্বারে যায়--সে রোগী ও রোগীদের স্বজনদের আরেক মনস্তত্ব ---ডাক্তারদের নানা দোষের পাশাপাশি সেব্যাপারটিও দায়ী--তা নিয়ে আরেকদিন বলবো।











মনোরোগ কোন দৈব বা গায়েবী রোগ নয়। আর দশটা রোগের মত সাধারন রোগ। অন্য রোগে যেমন কেমিকেল অষুধ দেয়া হয়-- মানসিক রোগেও এলোপ্যাথিক ওষুধ খেয়ে দিব্যি ভাল থাকা যায়। দীর্ঘায়ু থাকা যায়।



আমার ইমেইলে আপনার সমস্যা জানাতে পারেন-- সময় সুযোগ মত আমার পরামর্শদেব। আমার ইমেইল ঠিকানা[email protected]





মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: শুধু ডাক্তার নয়, সব পেশাতেই ভুয়া জিনিস রয়েছে। আর আমরা সবসময় টাকার কথা চিন্তা করি। তাই যারা কম ভিজিট নেয়, তাদের কাছে দৌড়ায়। আর পরে অনেক টাকা খরচ করেও শেষ রক্ষা হয় না।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি।
মনোরোগ কোন দৈব বা গায়েবী রোগ নয়। আর দশটা রোগের মত সাধারন রোগ। অন্য রোগে যেমন কেমিকেল অষুধ দেয়া হয়-- মানসিক রোগেও এলোপ্যাথিক ওষুধ খেয়ে দিব্যি ভাল থাকা যায়। দীর্ঘায়ু থাকা যায়।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: খুব চমৎকার লিখেছেন। এই ধারাবাহিকতা বহাল থাকা দরকার। "- তেমনি অল্প খরচে সুচিকিৎসাও দেশে এখন সুলভ।"

সেটা কোথায় কীভাবে কোন জেলায় উপজেলায় কেমন আদৌ আছে কিনা তা নিয়ে বিস্তারিত লিখুন।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: আমি অন্তত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতায় জোর গলায় বলবো-- এই বিএসএম এম ইউর মনোরোগবিদ্যা বিভাগে আমরা সবাই সুচিকিৎসা দেয়ার আপ্রান চেষ্টা করি। পরীক্ষা প্রার্থনীয়। রোগীদের আমরা চেম্বারে ভাগিয়ে নিই না। সর্বসাধারনের জন্য বৈকালিক চেম্বার রয়েছে। সেখানে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অধ্যাপক -সহযোগী অধ্যাপক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চিকিৎসা দেন। সময় নিয়ে সবাই চিকিৎসা দেন। যারা বলেন দেশের চিকিৎসকরা সময় দেন না-- তাদের বলি অন্তত এখানে এসে দেখুন--সময় নিয়ে আমরা দেখি। যেখানে ওই পর্যায়ের একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বার ফি--৭০০-১০০০টাকা-- সেখানে বৈকালিক চেম্বারে মাত্র ২০০ টাকা নেয়া হয়। এটি বর্তমান ভিসি স্যার অধ্যাপক প্রানগোপাল দত্তের অনন্য কাজ। আর আরও কম খরচে আউটডোর চিকিৎসা তো আছেই। সব বিভাগে নিবিড় রোগী দেখা হয়।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: মাথা খারাপ, মনোরোগ ডাক্তার এর কাছে যাবো ? লোকে পাগল বলবে না

সিরিয়াসলি বলছি, কিছু ডাক্তারের আচরন হোমিও বা কলিকাতা হারবালের শ্রেণীতে চলে গেছে, আশংকায় আছি, আবার না "যাবতীয় চর্ম রোগের যম " লেভেলের দিকে গিয়ে রোগীর প্রতি "প্রাইভেট প্রশ্ন" করে !!!!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: যাকেই করিকাতা হার্বাল মনে হচ্ছে-- তাকে সবাই বর্জন করুন।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

সোহানী বলেছেন: প্রথমেই চমৎকার লিখা এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়ে লিখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আর রোগী দেখার পাশে আপনাদের এ ধরনের লিখা আমাদেরকে বিষয়টি নিয়ে সচেতন করে এবং আমরা ও এ বিষয়ে প্রচারে কিছুটা হলে ভূমিকা রাখতে পারি।

তবে আমাদের গরীব দূ:খী স্বল্প শিক্ষিত জনগন পাশের হাতুরে ডাক্তারের কাছেই যাবে যতক্ষন না সরকার থেকে ব্যাপক প্রচারনা আর শক্ত আইন প্রয়োগ না হয়.............. এটাই বাস্তব সত্য।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন:
আপনি সচেতনতা তৈরীর কথা বলেছেন-- আসুন সবাই একটু চেষ্টা করি না কেন!! আর সরকার আপনাকে আমাকে নিয়েই---সবাই কাজ করলে সরকারও বাধ্য হয় । এগিয়ে আসে।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

আজীব ০০৭ বলেছেন: খুব চমৎকার লিখেছেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

রাবার বলেছেন: একমত

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মুহাম্মদ এরশাদুল করিম বলেছেন: আপনার পোষ্টে মন্তব্য করার জন্য লগইন করলাম। খুব দরকারী একটা বিষয় উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশের বেশিরভাগ ডাক্তারই ভালো এব্ং মানবসেবার ব্রত নিয়ে এই মহান পেশায় আছেন। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে আমার নিজের আগ্রহ আছে প্রচুর। কারণ আমার এক ভাই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল এবং সে জন্য আমি ঢাকাতে মোটামুটি অনেক মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ডাক্তারের কাছে গেছি, ইনাদের অনেকেই খুব নামকরা এবং খ্যাতিমান (!!)। সত্যি বলতে আমার অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো নয়। ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে মিরপুরে ১১ নাম্বারে এক নামকরা ডাক্তারের ক্লিনিক আছে। উনার কাছে নিয়ে যাওয়ার পরে দেখলাম, প্রাইভেট কোন মেডিকেল থেকে পাশ করা নিজের ছেলেকে দিয়ে রোগী দেখাচ্ছেন, আর ছেলে বাপরে প্যাড়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। বাপরে নামে রোগী আসে আর পোলা চিকিৎসা দেয়। বাপে কোন খবর রাখে না রোগীর, পোলা বাপের প্যাডে সমানে 'সিজোফ্রিন' নামক অষুধ লেখে, আর বাপের নাম দিয়া ৫০০ টাকা করে বিল বানায়। নিজের চারতলা হাসপাতালে কোন রোগী সহজে ছাড়ে না, ব্যবসা কমে যাবে বলে। ছোটলোক কত প্রকারের হতে পারে বলেন। আমাদের মতো অসহায় আর গরীব লোকেদের থেকে এইভা্বে প্রতারণা করে যে টাকা আয় করবে, সে টাকায় কি কোন বরকত বা সুখ থাকবে? আমি অবশ্য আন্তরিকভাবে ঐ ডাক্তার নামের পশু আর তার গোষ্টীরে বদদোয়া করে আসছি। দেশের যেই অবস্থা আমাদের তো এছাড়া আর কিছু করার নাই।

আমার কথায় আহত হলে মাফ করবেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন:



ছেলে প্রেসক্রিপশন লিখছে ডাক্তার-বাপের প্যাডে: কী ভয়ংকর অভিযোগ!!!এটা ক্রাইম ও অপচিকিৎসা।

আপনার লেখা নিয়ে আমি আজকে লিখেছিও। পড়ে দেখতে পারেন।
এটাকে অপচিকিৎসা বলে সাব্যস্ত করছি যে---একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসাসংক্রান্ত জ্ঞান ও রোগ নির্নয়ের ক্ষমতা আর একজন নবীন ডাক্তারের দক্ষতা এক হওয়ার কথা নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান নিত্যনতুন জ্ঞান ও অনুশীলন উৎকর্ষ অর্জনের পেশা। এখানে সিনিয়র চিকিৎসকের জ্ঞান দক্ষতা রক্ত সূত্রে সন্তানের অর্জনের কোন সুযোগ নেই। পাঠক লিখেছেন-- পুত্রটি নাকি বাপের প্যাডে সমানে সিজোফ্রিন দিয়ে যাচ্ছে। না, এটা মেনে নেয়া যায় না। মানসিক রোগ যথেচ্ছ চিকিৎসা কোন সেক্টর নয়। কিন্তু ইদানিং এটা ড্রাগ সেন্টার--এর নামে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা ক্লিনিকে বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে তবু সন্তান নাকি ডাক্তার_- অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তার না হয়েও অনেকে এলাপ্যাথিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। ।এমন অভিযোগ পাই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নানা ফোরামে বলি। তারপরও এ নিয়ে সবচেয়ে বেশী দায়িত্ব স্বাস্থ্য প্রশাসনের। তারা এসব ভুয়া অপচিকিৎসা বন্ধের উদ্যোগ নেবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।

ভুক্তভোগী রোগীরা কি করবেন.....

ভুক্তভোগী রোগী বা প্রতারিত রোগী কি করবেন!! তাকে কি আমি আমার চেম্বারে ডাকব। না , আমার চেম্বারে আসতে বলছি না। আমি বরং আসতে বলব-- বংগবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ভার্সিটি হাসপতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগে। এখানে আসুন। সুচিকিৎসা নিন। এখানে এরকম বাপের প্যাডে ছেলের লেখার কোন সুযোগ নেই। এখানে আমার সন্তান কোন অবস্থাতেই আমার রুমে এসে প্রেসক্রিপশন লেখে না। লিখবে না। গ্যারান্টি দিচ্ছি।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল--
আমরা ওই ধরনের ভুয়া ড্রাগ সেন্টার বা প্রতারনার চেম্বারে কেন যাই। তারা কি বংগবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটির চেয়ে বেশী বিখ্যাত!! লোকজন কি বিএস এমএম ইউ বা সাবেক পিজির চেয়ে ওই প্রতারনা প্রতিষ্ঠানের নাম বেশী জানে। মিরপুর কি শাহবাগ থেকে অনেক অনেক দুরে। মিরপুর থেকে শাহবাগ আসতে কি শত শত টাকা লাগে!!
আসলে আমাদেরও সচেতন হতে হবে। ভুয়া অপচিকিৎসকদের থেকে দুরে থাকতে হবে। বর্জন করতে হবে। সরকার একা কতটা করবে! কোন সরকার বিশেষকে দোষ দিয়ে কি লাভ! তারা কতটা করবে যদি জনগন নিজে যদি সচেতন না হন। হাদিসেই তো আছে-- আল্লাহ তায়ালা সেই জাতিকে ততক্ষন পর্যন্ত সাহায্য করেন না ---যতক্ষন না তারা নিজেরা সচেতন ও জাগ্রত না হয়।

আবারও বলি প্রতারিত রোগীকে আমার বা আমার কোন সহকর্মীর চেম্বারে আনতেই হবে-- এমন দাবি করছি না। কিন্তু সুচিকিৎসা তার অধিকার। টাকা পয়সা খরচ করে সুচিকিৎসা যেমন পেতে পারেন-- তেমনি অল্প খরচে সুচিকিৎসাও দেশে এখন সুলভ।


আমি অন্তত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতায় জোর গলায় বলবো-- এই বিএসএম এম ইউর মনোরোগবিদ্যা বিভাগে আমরা সবাই সুচিকিৎসা দেয়ার আপ্রান চেষ্টা করি। পরীক্ষা প্রার্থনীয়। রোগীদের আমরা চেম্বারে ভাগিয়ে নিই না। সর্বসাধারনের জন্য বৈকালিক চেম্বার রয়েছে। সেখানে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অধ্যাপক -সহযোগী অধ্যাপক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চিকিৎসা দেন। সময় নিয়ে সবাই চিকিৎসা দেন। যারা বলেন দেশের চিকিৎসকরা সময় দেন না-- তাদের বলি অন্তত এখানে এসে দেখুন--সময় নিয়ে আমরা দেখি। যেখানে ওই পর্যায়ের একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বার ফি--৭০০-১০০০টাকা-- সেখানে বৈকালিক চেম্বারে মাত্র ২০০ টাকা নেয়া হয়। এটি বর্তমান ভিসি স্যার অধ্যাপক প্রানগোপাল দত্তের অনন্য কাজ। আর আরও কম খরচে আউটডোর চিকিৎসা তো আছেই। সেখানে খরচ মাত্র ৩০টাকা । সব বিভাগে নিবিড় রোগী দেখা হয়। আর আমাদের মনোরোগ বিভাগে তো আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম ---সময় দেই--রোগী চেম্বারে যেতে বলি না।

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:




চমৎকার একটি পোষ্ট। অপচিকিতসা নিয়ে আরো বিস্তারিত লিখে ধারাবাহিকভাবে লিখতে পারেন এই বিষয়টি নিয়ে। এতে আমরা যারা জানি না তাদের মধ্যে সচেতনা তৈরি হবে।


পোষ্টে +++

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

নবীউল করিম বলেছেন:
খুব ভালো পোষ্ট। ধন্যবাদ

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: ভালো লিখছেন। ধন্যবাদ দিচ্ছি। এই যে সারা দেশে , অপচিকিৎসা হচ্ছে, ভুল চিকিৎসা হচ্ছে, তার দায় দায়িত্ব ডাক্তারের ওপরেই বর্তায়!! জেলায় সিভিল সার্জনের একটা পদ আছে। তার ওপরই বর্তায় এই সব অপচিকিৎসার ভাল। সেই সঙ্গে উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার সমস্ত উপজেলার চিকিৎসা সেবার জন্য নিয়োজিত!!!

কিন্তু বাস্তবটা বড় ভিন্ন।
ডাক্তার শুধু মনে করে, রোগী দেখা, প্রেসক্রিপশন করাই তার কাজ। হাসপাতালের লিফ্ট চলে কিনা। পাম্পে পানি উঠে কিনা। ভুয়া ডাক্তার কি করে প্রেসক্রিপশন লিখছে, সেটা তার কাজ নয়!!
সত্যি বড় বিচিত্র আমাদের দেশ। এই দেশে, ডাক্তার রা রোগীর গায়ে হাত তুলে। সাংবাদিক পিটায়, এই দেশে ,,,কত কি যে হবে কে জানে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: আপনার প্রতিক্রিয়া ঠিক আছে। কিন্তু সিভিল সার্জনের যদ্দুর জানি--কোন নির্বাহী ক্ষমতা নেই। অপচিকিৎসা বা ভুয়া চিকিৎসা কোন সরকারি চিকিৎসক করলে তিনি বদলি-বরখাস্ত বা কোন শাস্তির উদ্যোগ নিতে পারেন। কিন্তু নন মেডিকেল- সরকারি নন-- এমন ভুয়া চিকিৎসক ভন্ড চিকিৎসক নামধারীর কাজে বাধা দেয়ার নির্বাহী ক্ষমতা আছে বলে শুনিনি।

১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

রিফাত ২০১০ বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

অদৃশ্য বলেছেন:





চমৎকার লিখা



শুভকামনা...

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.