![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাক্তিগত জীবনে আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সাইকোথেরাপিস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যাবিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। চেম্বার করি পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে সন্ধ্যা ও রাতে।লেখালেখি আমার কাজ নয়। পারিও না। চেম্বারে রোগী দেখতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা হয়। ভাবলাম সেসব এই ব্লগে শেয়ার করবো। যাতে অন্যরা উপকৃত হন। আর হ্যা, চেম্বার ঠিকানা দিলাম; সেটা একরকম বিজ্ঞাপণ বটে। তবে ভুক্তভোগীরা বিএসএম এমইউ'র আউটডোর, এবং বিকালের বিশেষ চেম্বার-সেবার জন্য আসতে পারেন। ব্যাক্তিগত চেম্বারের চাইতেও আকর্ষনীয় আয়োজন। প্রতিটি রোগী দেখা হয়--একাধিক চিকিৎসক মিলে;মেডিকেল অফিসার ও অধ্যাপক সমন্বয়ে। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন আছে বিশেষায়িত চেম্বার। আসুন, মুগ্ধ হবেন অবশ্যই।
কেমন আছেন প্রিয় পাঠক। ভাল আছেন নিশ্চয়ই। সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখতে শুরু করেছি মাত্র কয়েকদিন। এর মধ্যে সবার সাড়া পেয়ে আমি অভিভূত। পাঠ প্রতিক্রিয়ায় কিছু ভয়ংকর অভিযোগ পাচ্ছি। ডাক্তার বলে ডাক্তারির ব্যপারে এসব ভীতিকর অভিযোগ এড়িয়ে যেতে চাই না। আমার ২১ এপ্রিলের লেখায় একজন সহৃদয় পাঠক খুবই শংকাকর অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন_ কোন এক বড় বিখ্যাত ডাক্তারের ছেলে নাকি তার পিতার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে বসে দিব্যি বাপের প্যাডে প্রেসক্রিপশন লিখছেন। বাপের নামেই বড় অঙ্কের ফি নিচ্ছেন। কোন রকম শর্ত ছাড়াই আমি নিন্দা জানাই এই ঘটনার। খুবই দু:খজনক ঘটনা। অভিযোগ কারী সাম হোয়্যার ইন ব্লগ-পাঠক জানাচ্ছেন নিম্নরুপ। তার নাম
মুহাম্মদ এরশাদুল করিম ।
তিনি বলেছেন:
"""আপনার পোষ্টে মন্তব্য করার জন্য লগইন করলাম। খুব দরকারী একটা বিষয় উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশের বেশিরভাগ ডাক্তারই ভালো এবং মানবসেবার ব্রত নিয়ে এই মহান পেশায় আছেন।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে আমার নিজের আগ্রহ আছে প্রচুর। কারণ আমার এক ভাই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল এবং সে জন্য আমি ঢাকাতে মোটামুটি অনেক মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ডাক্তারের কাছে গেছি, ইনাদের অনেকেই খুব নামকরা এবং খ্যাতিমান (!!)। সত্যি বলতে আমার অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো নয়। ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে মিরপুরে ১১ নাম্বারে এক নামকরা ডাক্তারের ক্লিনিক আছে। উনার কাছে নিয়ে যাওয়ার পরে দেখলাম, প্রাইভেট কোন মেডিকেল থেকে পাশ করা নিজের ছেলেকে দিয়ে রোগী দেখাচ্ছেন, আর ছেলে বাপের প্যাড়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। বাপের নামে রোগী আসে আর পোলা চিকিৎসা দেয়। বাপে কোন খবর রাখে না রোগীর, পোলা বাপের প্যাডে সমানে 'সিজোফ্রিন' নামক অষুধ লেখে, আর বাপের নাম দিয়া ৫০০ টাকা করে বিল বানায়। নিজের চারতলা হাসপাতালে কোন রোগী সহজে ছাড়ে না, ব্যবসা কমে যাবে বলে। ছোটলোক কত প্রকারের হতে পারে বলেন। আমাদের মতো অসহায় আর গরীব লোকেদের থেকে এইভাবে প্রতারণা করে যে টাকা আয় করবে, সে টাকায় কি কোন বরকত বা সুখ থাকবে? আমি অবশ্য আন্তরিকভাবে ঐ ডাক্তার নামের পশু আর তার গোষ্টীরে বদদোয়া করে আসছি। দেশের যেই অবস্থা আমাদের তো এছাড়া আর কিছু করার নাই।
আমার কথায় আহত হলে মাফ করবেন। """"
একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার বক্তব্য
না ভাই, আহত হইনি আপনার কথায়। কিন্তু আপনার যে ভয়ংকর অভিযোগ--সেটা আহত করেছে আমাকে। আমাদের চিকিৎসক সমাজকে। এটা ভয়ংকর অন্যায় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। রীতিমত ক্রিমিনাল অফেন্স। ডাক্তারি কোন পৈত্রিক সম্পত্তি নয় যে বংশানুক্রমে তা ভোগ করা যাবে। বরং বলাই বাহুল্য এটি বিজ্ঞান। এটি অত্যাধুনিক জ্ঞান নির্ভর পেশা। যিনি ব্যপক পড়াশোনা করে , সর্বশেষ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্পর্কে জেনে এই বিদ্যা রপ্ত করবেন -- সেই অনুযায়ী প্রাকটিস করবেন--রোগী সেবা দেবেন-- তিনিই সঠিক ডাক্তার। কোন অবস্থাতেই বাপের অর্জিত সুনাম-প্যাড-দক্ষতা ব্যাবহার করতে পারেনা তার সন্তান। হ্যা, এটা ঠিক একজন ডাক্তারের সন্তানের ডাক্তার হওয়ার -- দেশের খ্যাতনামা দক্ষ ডাক্তার হওয়ার অবশ্যই অধিকার রয়েছে। অবশ্যই ডাক্তারের সন্তান তার মেধা দক্ষতা দিয়ে তার অবস্থান তৈরী করতে পারে। কিন্তু আমার সন্তান কোন অবস্থাতেই সে ডাক্তার হোক বা না হোক-- আমার প্যাড ব্যাবহার করতে পারে না। পাঠক তার লেখায় সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও তার সন্তান বা ক্লিনিকের নাম উল্লেখ করেন নি। তারপরও তার অভিযোগ সত্য বলে ধারনা করছি।। কেননা এধরনের অভিযোগ আমার চেম্বারে আসা কোন কোন ভুক্তভোগী রোগীর কাছে আমিও শুনেছি। এই বাপের প্যাডে ছেলের চিকিৎসা বিধান--সোজা কথায় এটা সুচিকিৎসা নয়। এটা অপচিকিৎসা । এটা আমার সন্তান করলেও আমি একই কথা বলবো। এটা খুবই লজ্জার ঘটনা।
বাপের প্যাডে ছেলে চিকিৎসা দিলে অপচিকিৎসা কেন.....
এই কারনে এটাকে অপচিকিৎসা বলে সাব্যস্ত করছি যে---একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসাসংক্রান্ত জ্ঞান ও রোগ নির্নয়ের ক্ষমতা আর একজন নবীন ডাক্তারের দক্ষতা এক হওয়ার কথা নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান নিত্যনতুন জ্ঞান ও অনুশীলন উৎকর্ষ অর্জনের পেশা। এখানে সিনিয়র চিকিৎসকের জ্ঞান দক্ষতা রক্ত সূত্রে সন্তানের অর্জনের কোন সুযোগ নেই। পাঠক লিখেছেন-- পুত্রটি নাকি বাপের প্যাডে সমানে সিজোফ্রিন দিয়ে যাচ্ছে। না, এটা মেনে নেয়া যায় না। মানসিক রোগ যথেচ্ছ চিকিৎসা কোন সেক্টর নয়। কিন্তু ইদানিং এটা ড্রাগ সেন্টার--এর নামে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা ক্লিনিকে বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে তবু সন্তান নাকি ডাক্তার_- অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তার না হয়েও অনেকে এলাপ্যাথিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। ।এমন অভিযোগ পাই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নানা ফোরামে বলি। তারপরও এ নিয়ে সবচেয়ে বেশী দায়িত্ব স্বাস্থ্য প্রশাসনের। তারা এসব ভুয়া অপচিকিৎসা বন্ধের উদ্যোগ নেবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
ভুক্তভোগী রোগীরা কি করবেন.....
ভুক্তভোগী রোগী বা প্রতারিত রোগী কি করবেন!! তাকে কি আমি আমার চেম্বারে ডাকব। না , আমার চেম্বারে আসতে বলছি না। আমি বরং আসতে বলব-- বংগবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ভার্সিটি হাসপতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগে। এখানে আসুন। সুচিকিৎসা নিন। এখানে এরকম বাপের প্যাডে ছেলের লেখার কোন সুযোগ নেই। এখানে আমার সন্তান কোন অবস্থাতেই আমার রুমে এসে প্রেসক্রিপশন লেখে না। লিখবে না। গ্যারান্টি দিচ্ছি।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল--
আমরা ওই ধরনের ভুয়া ড্রাগ সেন্টার বা প্রতারনার চেম্বারে কেন যাই। তারা কি বংগবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটির চেয়ে বেশী বিখ্যাত!! লোকজন কি বিএস এমএম ইউ বা সাবেক পিজির চেয়ে ওই প্রতারনা প্রতিষ্ঠানের নাম বেশী জানে। মিরপুর কি শাহবাগ থেকে অনেক অনেক দুরে। মিরপুর থেকে শাহবাগ আসতে কি শত শত টাকা লাগে!!
আসলে আমাদেরও সচেতন হতে হবে। ভুয়া অপচিকিৎসকদের থেকে দুরে থাকতে হবে। বর্জন করতে হবে। সরকার একা কতটা করবে! কোন সরকার বিশেষকে দোষ দিয়ে কি লাভ! তারা কতটা করবে যদি জনগন নিজে যদি সচেতন না হন। হাদিসেই তো আছে-- আল্লাহ তায়ালা সেই জাতিকে ততক্ষন পর্যন্ত সাহায্য করেন না ---যতক্ষন না তারা নিজেরা সচেতন ও জাগ্রত না হয়।
আবারও বলি প্রতারিত রোগীকে আমার বা আমার কোন সহকর্মীর চেম্বারে আনতেই হবে-- এমন দাবি করছি না। কিন্তু সুচিকিৎসা তার অধিকার। টাকা পয়সা খরচ করে সুচিকিৎসা যেমন পেতে পারেন-- তেমনি অল্প খরচে সুচিকিৎসাও দেশে এখন সুলভ।
আমি অন্তত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতায় জোর গলায় বলবো-- এই বিএসএম এম ইউর মনোরোগবিদ্যা বিভাগে আমরা সবাই সুচিকিৎসা দেয়ার আপ্রান চেষ্টা করি। পরীক্ষা প্রার্থনীয়। রোগীদের আমরা চেম্বারে ভাগিয়ে নিই না। সর্বসাধারনের জন্য বৈকালিক চেম্বার রয়েছে। সেখানে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অধ্যাপক -সহযোগী অধ্যাপক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চিকিৎসা দেন। সময় নিয়ে সবাই চিকিৎসা দেন। যারা বলেন দেশের চিকিৎসকরা সময় দেন না-- তাদের বলি অন্তত এখানে এসে দেখুন--সময় নিয়ে আমরা দেখি। যেখানে ওই পর্যায়ের একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বার ফি--৭০০-১০০০টাকা-- সেখানে বৈকালিক চেম্বারে মাত্র ২০০ টাকা নেয়া হয়। এটি বর্তমান ভিসি স্যার অধ্যাপক প্রানগোপাল দত্তের অনন্য কাজ। আর আরও কম খরচে আউটডোর চিকিৎসা তো আছেই। সেখানে খরচ মাত্র ৩০টাকা । সব বিভাগে নিবিড় রোগী দেখা হয়। আর আমাদের মনোরোগ বিভাগে তো আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম ---সময় দেই--রোগী চেম্বারে যেতে বলি না।
মনোরোগ কোন দৈব বা গায়েবী রোগ নয়। আর দশটা রোগের মত সাধারন রোগ। অন্য রোগে যেমন কেমিকেল অষুধ দেয়া হয়-- মানসিক রোগেও এলোপ্যাথিক ওষুধ খেয়ে দিব্যি ভাল থাকা যায়। দীর্ঘায়ু থাকা যায়।
আমার ইমেইলে আপনার সমস্যা জানাতে পারেন-- সময় সুযোগ মত আমার পরামর্শদেব। আমার ইমেইল ঠিকানা[email protected]
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: ধন্যবাদ
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৮
নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: আপু আপনাকে ধন্যবাদ!! আপনার মত ডাক্তার সত্যি বিরল!!
আপনি বলেছেন,
মনোরোগ কোন দৈব বা গায়েবী রোগ নয়। আর দশটা রোগের মত সাধারন রোগ। ,,
আচ্ছা এই যে হঠাৎ করে ডাক্তার রা সাংবাদিকদের পিটাতে শুরু করলো। ক্যামেরা দেখলেই ডাক্তারদের মনে হচ্ছে , হয়তো ফাস হয়ে গেল কোন অনিয়ম!!
এটা কি মনরোগের পর্যায়ে পড়ে। যদি এটা মনোরোগের মধ্যে পড়ে. তাহলে কি ডাক্তারদের যারা সাংবাদিক , রোগীয় স্বজনদের মারতেছে, তাদের চিৎিসা হওয়া প্রয়োজন।।
আরেকটা বিষয়, রুগীর স্বজনদের মতে, ডাক্তারা ভুয়া চিকিৎসা করছে। ভুল করছে। এটাও কি মানসিক রোগ নয়? তাই যদি হয়, সেই রোগ সারানোর জন্য ডাক্তারদের কি করতে হবে!!!
ধন্যবাদ!!
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: একদম ঠিক কথা। আমাদের এ্যাংগার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করা দরকার। এ নিয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে আছে। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ডাক্তার বাপ আর ছেলের মানসিক চিকিৎসা দরকার।
ডাঃ এর নামটা বলেন তো আর ঠিকানা থাকলে জানাবেন।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৭
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: ব্যাক্তিগত পরিচয় বড় কথা নয়-- আমরা লড়াই ও প্রতিবাদ করি অনাকাঙ্খিত কর্মের। বিষয়টি ব্যাক্তিগত পর্যায়ে প্রতিক্রিয়া কাম্য নয়।
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০২
জানা বলেছেন:
আপনার ব্লগে এর আগেও কয়েকবার এসেছি। আপনার সচেতনতা এবং অভিজ্ঞতা এই বিশাল কমিয়্যুনিটিকে সহযোগিতা করবে নিশ্চিত। একজন ডাক্তার হিসেবে আপনার এই দায়িত্বশীতাকে সম্মান জানাই। যেহেতু আপনি অল্প কিছুদিন হলো এখানে লিখছেন তাই হয়তো বা এই কমিয়্যুনিটির সাধারণ কিছু নিয়ম-নীতি এখনও বুঝে উঠতে পারেন নি।
এখানে কারোর ব্যক্তিগত বা কোন প্রতিষ্ঠানের সম্প্রচার/বিজ্ঞাপণ/প্রচারণা ইত্যাদি সম্পূর্ণ নীতিমালা বহির্ভূত। অর্থাৎ ব্যাক্তিগত বা কোন প্রতিষ্ঠানের ওয়েব লিঙ্ক, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইল আইডি সহ যে কোন যোগাযোগমুললক ঠিকানা দিলে আমরা তা আমাদের নীতিমালার আওতায় বিবেচনা করে ব্যবস্থা নিই। এতে কোন আলোচনা ছাড়াই যেকোন মুহূর্তেই আপনার ব্লগটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হতে পারে।
একজন ডাক্তার হিসেবে আপনার সৎ উদ্দেশ্য ও সৎ মানসিকতা এবং দায়িত্বশীলতার বিষয়িটি মাথায় রেখে আমরা আপনার ব্লগটি আজই বন্ধ করছি না। অনুরোধ থাকছে, আজই যাবতীয় লিঙ্ক, ঠিকানা এবং ইমেইল আইডি মুছে দিয়ে ব্লগটি সচল রাখুন।
অনেক ধন্যবাদ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: আমার বক্তব্য
জনাব/ জনাবা জানাকে
অনেক ধন্যবাদ। মাঝে মধ্যে মনের খেয়ালে লিখি। লেখালেখি আমার পেশাও নয়। আর নিজের পরিচয় গোপন করে কোন আততায়ীর মত বিতর্কিত কোন বিষয়ে আমি লিখছি না। নিছকই জনসচেতনতা বিষয়ে মনের খেয়ালে লিখি। সুতরাং পরিচয় গোপন করার আগ্রহ আমার নেই। তারপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ভার্সিটি--বিএসএমএমইউ হাসপাতাল সহ নানা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক কল্যানকর প্রচারনামূলক লিখি আমি। এটা লেখাও আমার অধিকার বলে মনে করি।এসব মানুষের জানার অধিকার আছে। এসব গোপন করার কি আছে। সেখানে যাতে সাধারন মানুষ গিয়ে কম পয়সায় সেবা পায় সেটা বার বার জানিয়ে চলছি আমি। আমার লেখা ব্লগ আপনার মত কারো হুমকির মুখে পড়লেও আমি এই কাজটা সবিনয়ে চালিয়ে যেতে চাই। কেননা সেবা হোক অনেকের--সেটা নিয়ে কোন কুটতর্ক হয় না। আমি লিখতে পারি বা না পারি_-আপনার মত কারো হুমকির মুখে পড়লেও এই সেবা আমি চালিয়ে যাব। সাধারন মানুষ যেখানে কম খরচে ভাল সেবা পাবে-- তা জানান আমার কর্তব্য বলে মনে করি।
অঅপনি যাই বলুন, যতদিন লিখতে পারি, আমি এই সেবা চালিয়ে যাব। এমনিতেই দেশের ডাক্তারদের ব্যপারে শত অভিযোগ। এসব অভিযোগ নিয়ে মিথষ্ক্রিয়া দরকার। পক্ষ বিপক্ষের কথা বলা দরকার। এটা উন্নত সমাজ গঠনে দরকার। অনেকেরই অভিযোগ মতে-- আমরা প্রাকটিসিং ডাক্তাররা চেম্বার নিয়ে এত ব্যস্ত থাকি যে অন্য কাজ করার ফুরসত পাই না। সেই অভিযোগ যে সত্য নয় আমি দাবি করছি না। তারপরও সময় নিয়ে লিখার চেষ্টা করছি-- এটা যদি আপনার মনে কোন কষ্টের সঞ্চার করে_- আমি দু:খ প্রকাশ করছি। তবে লেখাটা সাধ্য মত চালিয়ে যেতে চাই।
এখন আপনি বা আপনার মত শক্তিশালী ব্লগাররা যদি হুমকি দেন, ভয় ভীতি দেখান--লিখতে না দেন-- কি আর করার--বোঝাই যাচ্ছে-- সরে যেতে বাধ্যই করবেন আপনারা।
এখানে নিশ্চয়ই আপনার নজর এড়ায়নি --যেটা আপনি লিখেছেনও যে-- আমি ব্লগে নিজের ইমেইল ঠিকানা দিয়েছি। আপনি কেমন ভাবে নিয়েছেন জানিনা , তবে কিছু রেসপন্স পেয়েছি। একাধিক মেইলার তাদের সমস্যাদি লিখে জানিয়েছেন। এরমধ্যে সিঙগাপুর, কানাডার ভুক্তভোগী রয়েছেন। আমার ইচ্ছে আছে-- তাদের বলা সমস্যা নিয়ে আমার পরামর্শ দিব। তবে তাদের নাম ঠিকানা দেবনা। এরমধ্যে কি সমস্যা দেখলেন জানি না। তবে যদি আপনার অনুমতি করেন--জনস্বার্থে কাজটা চালিয়ে যেতে চাই। আপনার জানা থাকার কথা সবাই আইডি খুলে আমার কলামের নীচে তার সমস্যা বলার পদ্ধতি জানেনা। আবার অনেকে আগ্রহীও না। সাম হয়্যার ইন বলগের মাধ্যমে দেশ বিদেশের এই মানুষরা যদি একটু সুবিধা পায়_ আর আমিও যদি তাদের সঙ্গে যোগাযোগের সৌভাগ্য অর্জন করি--- একটু সহজভাবেই নিন না ভাই।
হ্যাঁ, আমার ব্লগপেজে আমার পরিচয় আছে। কোথায় কাজ করি, কি পড়াই-- পড়ি, কোথায় চেম্বার করি--তা উলেলখ আছে। এসব তো গোপন করার বিষয় না। কেন গোপন করব। আপনি জনৈক জানা_-নিশ্চয়ই এটা ছদ্ম নাম। নিশ্চয়ই আপনার আরেকটা নাম আছে -- পরিচয় আছে-- সেটা আপনি যদি দেন-- আমি তো আপত্তিকর কিছু দেখি না। আপনার সম্পর্কে যদি জানি সমস্যা কি!
তবে হ্যা, বনফুল ছদ্মনামে অনেক বড় লেখক হয়েছিলেন। আপনিও জানা নামে অনেক খ্যাতি অর্জন করুন। আমি গভীরভাবে প্রত্যাশা করি।
কিন্তু অঅমার তো ছদ্ম পরিচয়ে লেখার ইচ্ছে নাই। তাছাড়া আমি যেসব বিষয়ে লিখে থাকি-- তা বিতর্কিত বিষয় নয়। নাম গোপন করব কেন! পরিচয়ও বা কেন। আর আমার নাম পরিচয় উলেলখ আছে বলেই আমি প্রতিটি লেখায় রোগী ভুক্তভোগীদের চেম্বার মুখী হতে নিরুৎসাহিত করি। কোথায় সহজে কম টাকায় ভাল চিকিৎসা পাওয়া যায়-- তা বলি। এটা ভুক্তভোগীদের জানার অধিকার আছে। তারা বেশীর ভাগই তা জানেনা। জানলে কোন সমস্যা দেখিনা।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৭
শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ একজন ডাক্তার হয়েও অপর এক ডাক্তারের অপকর্মকে সায় না দিয়ে নিন্দা জানানোর জন্য। আজকাল মানুষ গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। আমার দলের সব কাজ ভাল, সব অন্যায়কে সমর্থন দিয়ে যাব ইত্যাদি মানসিকতা আমাদের সমাজকে ডুবিয়েছে। তাই আপনার নিরপেক্ষ ও ন্যায়বান মনোভাবের জন্য আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করুন।