![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাক্তিগত জীবনে আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সাইকোথেরাপিস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যাবিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। চেম্বার করি পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে সন্ধ্যা ও রাতে।লেখালেখি আমার কাজ নয়। পারিও না। চেম্বারে রোগী দেখতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা হয়। ভাবলাম সেসব এই ব্লগে শেয়ার করবো। যাতে অন্যরা উপকৃত হন। আর হ্যা, চেম্বার ঠিকানা দিলাম; সেটা একরকম বিজ্ঞাপণ বটে। তবে ভুক্তভোগীরা বিএসএম এমইউ'র আউটডোর, এবং বিকালের বিশেষ চেম্বার-সেবার জন্য আসতে পারেন। ব্যাক্তিগত চেম্বারের চাইতেও আকর্ষনীয় আয়োজন। প্রতিটি রোগী দেখা হয়--একাধিক চিকিৎসক মিলে;মেডিকেল অফিসার ও অধ্যাপক সমন্বয়ে। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন আছে বিশেষায়িত চেম্বার। আসুন, মুগ্ধ হবেন অবশ্যই।
পত্রিকান্তরে জানলাম যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে ১৫জন কিশোর নিজেদের শরীর কাচের টুকরো দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে । তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে । মাত্র তিন মাস আগে টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে ২০জন কিশোর একই পদ্ধতিতে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে
প্রতিবাদের এই প্রকাশভঙ্গী অনাকাঙিক্ষত ।কারাকর্তৃপক্ষের উচিত ছিল এই কিশোরদের পাশে দাড়িয়ে বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা ।
কিশোরদের দাবিদাওয়াকে সংবেদনশীল ভাবে দেখা । এই কিশোররা তো অন্য কোন গ্রহ থেকে আসে নাই । এরা আমাদের সমাজেরই অংশ । এটি কোন কারাগার নয় । শিশুকিশোর সংশোধনাগার । এদের সংশোধন করা রাষ্ট্রের কর্তব্য । কর্তৃপক্ষের কাজ ।
কিন্তু কি ভাবে ?
এরা সবাই পারিবারিক / পারিপার্শ্বিক / মানসিক সমস্যার কারণে এই অপরাধজগতের সাথে জড়িয়ে পড়েছে । মানসিক রোগ যেমনConduct Disorder,ADHD,Substance Abuse (drug addiction), Adjustment Disorder ,Mental Retardation,Depression
প্রভৃতি রোগে ভুগতে পারে ।
যে ৬জন কিশোরকে টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছিল তাদের ২জন বর্তমান ঘটনার সাথে জড়িত বলে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে । এদের সকলেরই মানসিক অবস্থার পরীক্ষানিরীক্ষা করা প্রয়োজন। শিশুকিশোর অপরাধীদের জেলখানায় রেখে তাদের প্রতি বিশেষ কোন ব্যবহার/ ব্যবস্থা নেয়া বা গুরুত্ব দেয়া হয় না ।
প্রায়শই তাদের সাথে বয়স্কদের মতই আচরণ করা হয় । সমাজে বসবাসরত শিশুকিশোদের মতই এই জুভেনাইল ডেলিকুয়েন্টদের স্বাভাবিক কিছু চাহিদা থাকে । উঠতি বয়স । এ সময়ে যথেষ্ট শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে । খাদ্যের চাহিদা বেড়ে যায় । খেলাধূলা,টিভি দেখা ,বয়সজনিত দুষ্টমি করা স্বাভাবিক । ক্ষুধাপেটে কোন কিছুই ভাল লাগার কথা নয় । দুষ্টুবুদ্ধি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে । এদের মধ্যে যে অনৈতিক বোধগুলো রয়েছে তা সুস্থদিকে ধাবিত করার জন্য প্রয়োজন সুস্থ মমত্ববোধপূর্ণ পরিবেশ । যাদের সুস্থ হওয়ার / ভাল পরিবেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে থাকে তাদের আগে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
এদের প্রত্যেকের রিস্ক ফ্যাক্টর,প্রটেক্টিভ ফ্যাক্টরগুলো পর্যালোচনা করা দরকার। এরপর প্রয়োজনে স্কুলিং এর পাশাপাশি ভোকেশনাল ট্রেনিং এর মাধ্যমে স্বনির্ভর করে তোলা উচিত । ফলে স্বা ভাবিক জীবনে ফিরে এলে স্বস্ব কর্মে নিয়োজিত থাকবে। অন্ধকার পথে পা বাড়ানোর আগ্রহ থাকবে কম। আর যাদের মোটিভেশন কম তাদের জন্য সাইকোথেরাপী মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে ।
০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
নিশাত তাসনিম বলেছেন: এদের প্রত্যেকের রিস্ক ফ্যাক্টর,প্রটেক্টিভ ফ্যাক্টরগুলো পর্যালোচনা করা দরকার। এরপর প্রয়োজনে স্কুলিং এর পাশাপাশি ভোকেশনাল ট্রেনিং এর মাধ্যমে স্বনির্ভর করে তোলা উচিত । ফলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলে স্বস্ব কর্মে নিয়োজিত থাকবে। অন্ধকার পথে পা বাড়ানোর আগ্রহ থাকবে কম। আর যাদের মোটিভেশন কম তাদের জন্য সাইকোথেরাপী মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে ।
কঠিন সহমত।
তবে তাদের পরিবার যদি মুসলিম হয় ছোট বেলা থেকে নামাজ ও কোরান শিক্ষা দিতে পারে। কারণ এটা প্রমাণিত যে নামাজ একজন মানুষকে সকল মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। ন্যায় অন্যায় উপলব্ধি করতে শেখায়। নামাজের মাধ্যমের সৎ কাজ এর উৎসাহ সৃষ্টি হয় ও মন্দ কাজ থেকে নিজে বেচে অন্যকে বাঁচানোর মানসিকতা সৃষ্টি হয়।
কারণ " লা হাউলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহি আলিউল আজীম "
অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া মূলত কোন শক্তি সামর্থ্য নেই।
তবে নামাজটা হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। লোক দেখানো নয়।
০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: নিশাত তাসনিমের লেখা খুবই ভাল লাগল।
আত্মিক উন্নয়নের জন্য সব ধর্মেই মনোসহায়ক বিধান /ইবাদাত/উপাসনা র নানা পদ্ধতি রয়েছে। মুসলমানদের ধর্ম ইসলামে আছে সালাত;আপনি অতি চমৎকারভাবে ফার্সিভাষীদের নামাজের কথা বলেছেন। ঠিক কথা। পার্সিয়ান বা ইরানিরা ৫/৬ হাজারের বেশী সময় আগে থেকে নামাজ নামক ধ্যানযোগ উপাসনার মাধ্যমে আত্মিক শান্তি সাধনা করে আসছে।ইসলাম আসার পরও তারা সেই ধ্যানের পরিভাষা নামাজ শব্দটি চালু রেখেছে। তেমনি অন্যান্য ধর্মেও চমৎকার সব পদ্ধতি রয়েছে। হাজার হাজার বছর ধরে এটা চলে আসছে। ইশ্বর/ আল্লাহ/ভগবান/...সব ব্যাক্তিধ্যান কেন্দ্রিক ইবাদাত/উপাসনা যে কোন মানুষের মনোসহায়ক কল্যান বয়ে আনতে পারে। হিন্দি সিরিয়ালে দেখবেন দেবীর সামনে সংগীত সাধনা/ মান্নত করে চরিত্রগুলো মনোশান্তি ও মনোশক্তি অর্জন করছে।
ধ্যানকেন্দ্রিক ইবাদত অবশ্যই চমৎকার মানসিক মেডিসিন।
প্রানায়াম আছে। ইয়োগা করতে পারেন। সবই মনো-উন্নয়নমূলক উপাসনা। মেডিটেশনও আত্মউন্নয়ন মূলক।জাপানে রয়েছে রেইকি। এটাও চমৎকার। রেইকি করা স্ব স্ব বিশ্বাসের অবস্থান থেকে। যেমন মুসলমান আল্লাহ্র ইবাদত, খ্রিস্টান গড; সনাতন ধর্মাবলম্বী ভগবান/ইশ্বর উপাসনা করতে পারেন । কোন বারন নেই।
৩| ০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
ভিটামিন সি বলেছেন: আপনাকে একদিন একটা মেইল করেছিলাম, রিপ্লাই পাইনি।
০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: সাম হয়্যার ইন ব্লগে যদদুর জেনেছি ইমেইল ঠিকানা দেয়া যোগাযোগ নিরুৎসাহিত করা হয়। ভেবেছিলাম আপনার ও অন্যদের সমস্যাদি নিয়ে কিছু লিখব। পরে কর্তৃপক্ষের প্রতি সম্মান জানিয়ে আর লিখিনি। অঅমি চেষ্টা করব আপনার জবাব দিতে মেইলেই।
৪| ০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: শিশু-কিশোরদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ দেয়া উচিৎ। পোস্ট ভালো লেগেছে।
০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৩
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার লেখা আমাকে ভালো লাগে। আপনার চিন্তাধারা ধ্যান জ্ঞান সবই সমাজের কল্যাণে কাজে দেবে বলেই আমার বিশ্বাস।