নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন নিয়ে, মনের কথা

ব্যাক্তিগত জীবনে আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সাইকোথেরাপিস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যাবিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। চেম্বার করি পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে সন্ধ্যা ও রাতে।লেখালেখি আমার কাজ নয়। পারিও না। চেম্বারে রোগী দেখতে গিয়ে নানা অভিজ

ডা. সুলতানা আলগিন

ব্যাক্তিগত জীবনে আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সাইকোথেরাপিস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যাবিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। চেম্বার করি পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে সন্ধ্যা ও রাতে।লেখালেখি আমার কাজ নয়। পারিও না। চেম্বারে রোগী দেখতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা হয়। ভাবলাম সেসব এই ব্লগে শেয়ার করবো। যাতে অন্যরা উপকৃত হন। আর হ্যা, চেম্বার ঠিকানা দিলাম; সেটা একরকম বিজ্ঞাপণ বটে। তবে ভুক্তভোগীরা বিএসএম এমইউ'র আউটডোর, এবং বিকালের বিশেষ চেম্বার-সেবার জন্য আসতে পারেন। ব্যাক্তিগত চেম্বারের চাইতেও আকর্ষনীয় আয়োজন। প্রতিটি রোগী দেখা হয়--একাধিক চিকিৎসক মিলে;মেডিকেল অফিসার ও অধ্যাপক সমন্বয়ে। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন আছে বিশেষায়িত চেম্বার। আসুন, মুগ্ধ হবেন অবশ্যই।

ডা. সুলতানা আলগিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একই লোক: সাংবাদিক-ডাক্তার-মানবাধিকার...কত কি!

১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬





ভদ্রলোককে আমি চিনি না। তার এই ভিজিটিং কার্ডের ছবিটি পেয়েছি একটি ওয়েবসাইটে। অবাক হয়েছি এতটাই যে--সামহ্যোয়ার ইন ব্লগে সবারসঙ্গে শেয়ার না করে পারলাম না। দেখুন তিনি ডাক্তার--ডিপ্লোমা ইন মেডিসিন। কিসব রেজি: নম্বর রয়েছে। চেম্বার করছেন চাদপুরে। একই সঙ্গে তিনি সাংবাদিক। নিজস্ব লোক একটি কাগজের। আবার সাংবাদিক নেতাও। তিনি হারবাল ডাক্তারও। তারও চেম্বার রয়েছে। তিনি অঅবার মানবাধিকার নেতাও। একই অঙ্গে কত রুপ।



কেন এই ছবি পোস্ট দিলাম। কেবলি কি সবাইকে সাবধান করতে। সাবধান হতে হবে সবাইকে--সে তোবটেই। তিনি যে ডাক্তারি করেন তাতে উপকার হওয়ার কথা নয়। অন্তত যে ডিগ্রি যোগ্যতার কথা বলা আছে। সেটা দেখে ভলছি। আর সাংবাদিক কিনা--মানবাধিকার নেতা কিনা--সেটা বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতারা ভাল বলতে পারবেন। এইধরনের ডাক্তারদের হাতে অপচিকিৎসার শিকার হয়ে অনেক রোগী খুব খারাপ অবস্থায় আমাদের কাছে আসেন। খুবই সমস্যায় পড়ি। ঘুমের ওষুধ--নানা হারবাল-এলাপ্যাথি ওষুধ দিয়ে রোগীর বারোটা বাজান। তারপর পাঠায় আমাদের কাছে। এখানে রোগীদের আত্মীয়দের সচেতন হওয়া দরকার।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

মুহামমদল হািবব বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:০২

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

কুবের মাঝি১০৭০০৭ বলেছেন: সাংবাদিকতার কোনো বয়স বা শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগেনা....

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:০৬

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: পেশা যেটাই হোক--তার একটা নীতিমালাদরকার। ডাক্তারির নামে ডিগ্রিধারীও যদি অপচিকিৎসা করেন_শাস্তি দরকার। এখানে সে ডিগ্রিই নেই। সবার উচিত সতর্ক ও সোচ্চার হওয়া।

৩| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

মদন বলেছেন: ++++++++++++

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:০৩

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

নতুন পাঠক বলেছেন: আর কয়েকদিন পর গরু ছাগল ও নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিবে।

কুবের মাঝি১০৭০০৭ বলেছেন: সাংবাদিকতার কোনো বয়স বা শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগেনা...

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:০৬

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: পেশা যেটাই হোক--তার একটা নীতিমালাদরকার। ডাক্তারির নামে ডিগ্রিধারীও যদি অপচিকিৎসা করেন_শাস্তি দরকার। এখানে সে ডিগ্রিই নেই। সবার উচিত সতর্ক ও সোচ্চার হওয়া।

৫| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

হেডস্যার বলেছেন:
ঢাকার বাইরের জেলাগুলোর বিভিন্ন থানায় উপজেলায় যারা সাংবাদিক পরিচয় দেয় এটা তাদের তাদের এক রকম পার্ট টাইম বিজনেস।
সাংবাদিকতার নামে এরা বেশিরভাগই করে চাঁদাবাজি।

বেশিরভাগেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা কোন রকম স্কুলের গন্ডি পার।

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১০

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: বোঝাই যাচ্ছে জনঘনিষ্ট কয়েকটি পেশা এখন নানা অপ-কারবারের শিকার। ডাক্তারি-সাংবাদিকতা-জনসেবা-রাজনীতি--সবকিছুর নামে অপকর্ম হচ্ছে। শুধু রাষ্ট্র বা সরকারকে দুষলে হবে না--আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে!!

৬| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

গ্রাসহোপার বলেছেন: hmm

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১০

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

ঢাকাবাসী বলেছেন: এ মনে হয় আম্লীঘার! এই বাজারে এত সাহস আর কার?

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১২

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: এটা সাহস নয়। এটা অপসাহস। এটি রুখতে সামাজিক মানুষকে জাগতে হবে। মন্ত্রী এমপির দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না।

৮| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

রাজীব দে সরকার বলেছেন: কুবের মাঝি১০৭০০৭ বলেছেন: সাংবাদিকতার কোনো বয়স বা শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগেনা...

সাংবাদিকতার কোনো বয়স বা শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগেনা....

সত্য কথা

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১২

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

রাজীব দে সরকার বলেছেন:
ম্যাডাম

বাংলাদেশে সাংবাদিক হতে কোন যোগ্যতা লাগেনা, সাংবাদিকরা নিজেরাই এটা স্বীকার করেন

অথচ নিজের এমবিবিএস শেষে দীর্ঘ সংগ্রামময় পড়াশোনা এবং অর্থনৈতিক দৈন্যতার চ্যালেঞ্জের ঘাট উতরে পোস্ট-গ্রাজুয়েশনের মতো সোনার হরিণ যখন একটা ছেলে/মেয়ের হাতে আসে, তার ভুল ধরতে অর্ধশিক্ষিত সাংবাদিকদের অভাব হয় না!!!

বাংলাদেশে এমনই হবে, কারন এমনটাই হয়ে এসছে
আপনার জন্য যা হবে, আপনার পরবর্তী চিকিতসক প্রজন্মও একই বোঝা বয়ে বেড়াবে

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১৪

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: ডাক্তারদের মর্যাদা ডাক্তারদের কাজের মাধ্যমে---সাংবাদিকতার সম্মান প্রকৃত সাংবাদিকদেরই রক্ষা করতে হবে।

১০| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

হু-কেয়ারস বলেছেন: একলাই ৫০০ !!!!!!!!!!!!!!!!

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১৫

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১১| ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১৩

পীরবাবা বলেছেন: ভিজিটিং কার্ড থেকে তো আমি জাতীয় পরিচয় পএের নতুন আইডিয়া পেলাম। =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১৬

ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: মজার মন্তব্য

১২| ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৫০

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: বাংলাদেশে শত বাধার পরেও স্বাথ্যখাত যা যা অর্জন করেছিল, কোন একটা সংঘবদ্ধ শক্তির কাছে তাও আস্তে আস্তে বিতর্কিত হয়ে পড়ছে।

স্বাস্থ্যখাতের উন্নতি আশা না করে চিকিতসক দের বিরুদ্ধে, ইন্টার্ন দের বিরুদ্ধে, (এরপর হয়ত মেডিকেল স্টুডেন্ট দের বিরুদ্ধে) ক্ষোভ উস্কে দিচ্ছে তারা। এ ক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকা একদল মানুষ, যাদের হাতে অস্ত্রের বদলে ক্যামেরা আর ফ্লাশলাইট তুলে দিছে তারা। সাথে এডিটিং তো আছেই। দেশ কে বাঁচানোর, দেশের স্বাস্থ্যখাত এর জন্য নিরাপত্তা নিয়ম তৈরি করার কথা যাদের তারা এসমস্ত গুন্ডাদের কথায় উঠে বসে সময় অসময় চিকিতসক দের উপর খড়গহস্ত হচ্ছেন। নিজেদের কাজের প্রতি, আত্মনিবেদনের প্রতি কোন রকম স্বীকৃতি না পেয়ে, নিজেদের নিরাপত্তার অভাবে, আজ সর্ব স্তরের চিকিতসকেরা খেপে উঠছেন।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা সামনের দিনগুলাতে মেধাবী, কষ্টসহিষ্ণুরা আমাদের দেশে আর মেডিকেল এ আসবে না। সারা বিশ্বে যখন মেডিকেল ছাত্রদের সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যত, ঠিক তখন আমাদের দেশে মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভবিষ্যত খারাপ। আর তাই, বিজ্ঞানে ছাত্রদের সংখ্যা কমছে। মানুষ চিকিতসা করতে যাচ্ছে বিদেশে, দেশে কন্সট্রাকশন করতে বিদেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার আনা হচ্ছে। আর চারিদিকে চলছে সাংবাদিক নামধারীদের দৌরাত্ম্য। দেশের অনেক ভাল চিকিতসক বা ইঞ্জিনিয়ার রা চলে যাচ্ছে বিদেশে এবং যথেষ্ট ভাল ভাবে জীবন যাপন করছে। দেশে যারা সত্যিকার নিবেদিত প্রাণ চিকিতসক, রাজনীতির সাথে যুক্ত নন, তারা থাকছেন না পাদপ্রদীপের আলোয়, তাদের কেউ চিনে না। কেননা রাজনৈতিক লবিং না থাকায় তারা কোন সরকারের আমলেই প্রমোশন বা ভাল পোস্টিং দেখেন না।

তারা যে এলাকায় থাকেন, সেখানে তারা চিকিতসা করবেন কখন, আপনার শেয়ার করা ভুয়া ডাক্তারদের দৌরাত্ম্য সেখানে। নিজস্ব আইন চলে সেখানে। চারিদিকে যখন দুর্নীতি থাকে, তখন সততা নিয়ে বেঁচে থাকাই অসম্ভব হয়ে উঠে একসময়। একজন অসম্ভব সম্ভাবনাময় নিবেদিত প্রাণ চিকিতসক হারিয়ে যায় কালের গভীরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.