![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাক্তিগত জীবনে আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সাইকোথেরাপিস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যাবিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। চেম্বার করি পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে সন্ধ্যা ও রাতে।লেখালেখি আমার কাজ নয়। পারিও না। চেম্বারে রোগী দেখতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা হয়। ভাবলাম সেসব এই ব্লগে শেয়ার করবো। যাতে অন্যরা উপকৃত হন। আর হ্যা, চেম্বার ঠিকানা দিলাম; সেটা একরকম বিজ্ঞাপণ বটে। তবে ভুক্তভোগীরা বিএসএম এমইউ'র আউটডোর, এবং বিকালের বিশেষ চেম্বার-সেবার জন্য আসতে পারেন। ব্যাক্তিগত চেম্বারের চাইতেও আকর্ষনীয় আয়োজন। প্রতিটি রোগী দেখা হয়--একাধিক চিকিৎসক মিলে;মেডিকেল অফিসার ও অধ্যাপক সমন্বয়ে। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন আছে বিশেষায়িত চেম্বার। আসুন, মুগ্ধ হবেন অবশ্যই।
ছাত্রছাত্রীদের উপর চড়াও হয়েছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষিকা। তার এমনটা করার কথা নয়। সুনামগঞ্জ শহরতলীতে তিনি সবার কাছে সুপরিচিত ভাল মানুষ হিসেবে। ভাল শিক্ষক হিসেবে। দীর্ঘদিনের সুনাম। তারপর হঠাৎ একদিন অদ্ভুত আচরন করলেন।কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না। কেন এমন করলেন--সেটা বিশ্লেষন করে দেখা দরকার। মধ্যবয়সী তিনি। কেন তিনি নিজের ওপর নিয়ন্ত্র হারালেন। কি হতে পারে তার!
পত্রিকান্তরে জানা যায় ৫০এর কোঠার এই নারী শিক্ষক হঠাৎ তার ছাত্রছাত্রীদের সাথে অদ্ভুত আচরণ করেছেন।
বাসায় অঙ্ক করতে দেওয়া হয়েছিল পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। তারা তা করেনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৪৮ শিক্ষার্থীর হাতে ব্লেড ধরিয়ে দেন শিক্ষিকা৷ এরপর নির্দেশ দেন নিজেদের হাত-পা কেটে রক্তাক্ত করতে। কোমলমতি শিশুরা বাধ্য হয়ে নিজেদের হাত-পা কেটে করল রক্তাক্ত।
সুনামগঞ্জ শহরতলির ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে গত বুধবার।
উনি কেন এমন আচরণ করলেন তা কি আমরা একবারও ভেবে দেখেছি? উনি যা করেছেন তা অবশ্যই বিচারযোগ্য আইনের নজরে। । কিন্তু এই অনাকাঙ্খিত ব্যবহারের পিছনের মানসিক / পরিবারিক / শারিরীক জটিলতা গুলো যদি একবার পরীক্ষা করে দেখা যেতো। তার সমস্যা সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করা দরকার। তাই নয় কি? এমনটা যে তিনি একা করলেন তা নয়। এই সমস্যায় আমরা আরও অনেকে ভুগতে পারি। উনি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে আজ অপরাধ কর্মের মুখোমুখি। এজন্য দরকার নিজেকে জানা। কোন বয়েসে কোন সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে_ তা ধারনা থাকলে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রন রাখা সহজ হয়।
হ্যাঁ, একথা সত্যি যে এই কোমলমতি শিশুদের মনে এই আচরণ একটা বড় দাগ কেটে যাবে। । এই স্মৃতি তারা হয়তোবা কখনও ভুলবে না । এদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো আতঙ্কজনিত ,উদ্বেগজনিত রোগে ভুগতে পারে ।
তবে আমাদের সবার অলক্ষ্যে থেকে যায় ৫০ এর কোঠার নারীদের মানসিক সমস্যা । যা এই বয়সের নারীদের জন্য অনাকাঙ্খিত কিন্তু এড়িয়ে যাবার উপায় নেই। পরিবারের সবাই ছেলেমেয়ে ,স্বামী--যার যার ব্যক্তিগত পরিমন্ডলে ব্যস্ত থাকে। ফলে মা / স্ত্রী হয়ে পড়েন একা। একাকীত্ব পেয়ে বসে । সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা ,¯স্বামীর উপেক্ষা চেপে বসে।
এ বয়সে শরীরে হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন মানসিক / শারীরিক জটিলতা গুলো অনেকের মধ্যে প্রকট ভাবে দেখা দেয় । জ্বালাপোড়া, হট ফ্লাশ, ঘাম দেয়া ,অস্থিরতা, ,ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া ,হাত-পা-কোমড় কামড়ানো, চিবানো / ব্যথা করা প্রায় প্রতিদিনের সমস্যা হয়ে দাড়ায় । বিরক্তিবোধ ,কাজে অনীহা পেছনই ছাড়ে না । সবাই বাড়ী ফিরে প্রতিদিন একই কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে যান। এড়িয়ে চলেন। সমবেদনা জানানোর জন্য কাউকে পাওয়া যায় না । সেক্সুয়াল লাইফের ক্ষেত্রেও আসে অনীহা । ফলে ¯স্বামীর সাথে শারীরিক পাশাপাশি মানসিক দূরত্ব বাড়তে থাকে।
ডায়বেটিস,উচ্চরক্তচাপ,হৃদরোগ,কিডনী সমস্যা ,থাইরয়েড সমস্যা তো লেগেই আছে। ওই শিক্ষিকার তাই ছিল বলে রিপোর্টে জেনেছি। এতদিন সংসারের সবাইকে উনি দেখে এসেছেন। অথচ আজ তাকে দেখার কেউ নেই। কথা বলার কেউ নেই।
মনোচিকিৎসক হিসেবে আমি নারী ও শিশু কাউকেই সেবা শুশ্রুষার বাইরে রাখতে পারছি না। কারও সেবা পাওয়ার অধিকারকে অস্বীকার করতে পারছি না। প্রত্যেকের পাশে আজ আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে। মেডিসিন দিয়ে, সাইকোথেরাপী দিয়ে সঠিক সমাধানের ক্ষেত্র তৈরী করতে এগিয়ে আসতে হবে মনে করি। স্কুল প্রশাসন, শিক্ষাদফতর,রাষ্ট্র ও আইনী ব্যবস্থা তার বিরুদ্ধে কি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবে জানি না। তার এই কাজঅবশ্যই পানিশমেন্ট যোগ্য তাও ঠিক। কিন্তু এটাও নিবেদন অবশ্যই দরকার মনোসেবাও দরকার। তিনি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে যা করেছেন_ সেটারও চিকিৎসা দরকার।
সামাজিক আলোচনার ডামাডোলে আমরা এই গুরুত্বপূর্ন মানবিক দিকটি ভুলে যেন না যাই। চলুন তার কাছে যাই। অবশ্যই ধারনা করতে পারি-- তিনি ভীষন মানসিক চাপে ছিলেন। তার স্বামী জানান, গুরুতর রোগে ভুগছেন তিনি।
চিকিৎসার পয়সাপাতি নিয়ে টেনশন। পরিবারে আরও অনেক সমস্যা থাকে। সেসব নিয়ে তাকে মনোসমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে। সেটা যেন আমরা অবহেলা না করি।
সবশেষে বড় সমস্যাটা বলি--অন্যান্য সব কিছু আমরা আমলে নেই কিন্তু এই যে নিয়ন্ত্রন হারানোর মানসিক সমস্যা সেটা আমরা সমাজের বেশীর ভাগ মানুষ একদমই পাত্তা দেই না গোড়াতে। যখন সেটির ফলশ্রুতিতে বড় ধরণের বিকৃতি/ অসঙ্গতি/ অপরাধের প্রকাশ ঘটে_ তখন ঝাপিয়ে পড়ি সবাই। পরিবার, মিডিয়া সমাজ রাষ্ট্র প্রশাসন সকলে। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে কেউ গুরুত্ব দেই না। এই জিনিসটাই নজরে দিলাম সকলের।
যে খবরটি নিয়ে এই মন্তব্য করলাম তা হল-----
রক্তাক্ত ৪৮ শিক্ষার্থী
ব্লেড ধরিয়ে দিয়ে শিক্ষিকা বললেন হাত-পা কাট
সুনামগঞ্জ অফিস | প্রথম আলো----
বাসায় অঙ্ক করতে দেওয়া হয়েছিল পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। তারা তা করেনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৪৮ শিক্ষার্থীর হাতে ব্লেড ধরিয়ে দেন শিক্ষিকা৷ এরপর নির্দেশ দেন নিজেদের হাত-পা কেটে রক্তাক্ত করতে। কোমলমতি শিশুরা বাধ্য হয়ে নিজেদের হাত-পা কেটে করল রক্তাক্ত।
সুনামগঞ্জ শহরতলির ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে গত বুধবার। এলাকার শতাধিক অভিভাবক গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তাঁদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে পরিস্থিতি শান্ত করে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী মঙ্গলবার অভিযুক্ত শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
গতকাল বেলা ১১টার দিকে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের দোতলার একটি কক্ষে ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করছে পরিচালনা কমিটি। কিন্তু যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সহকারী শিক্ষিকা স্কুলে আসেননি।
এরপর প্রধান শিক্ষক এই প্রতিবেদককে নিয়ে গেলেন পঞ্চম শ্রেণির ক্লাসে। তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা ব্লেড দিয়ে নিজেদের হাত-পা কেটে রক্তাক্ত করেছে, তাদের দাঁড়াতে বললেন। সঙ্গে সঙ্গে ২০ থেকে ২৫ জন ছেলেমেয়ে দাঁড়িয়ে গেল। তারা তাদের হাত, পা, পায়ের পাতা, হাতের আঙুল ও নখে ছোট ছোট কাটার চিহ্ন দেখায়। কারও কারও গায়ে একাধিক কাটার দাগও রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বুধবার বিকেলে শিক্ষিকা ক্লাসে এসে জানতে চান, বাসায় করার জন্য যে ৩০টি অঙ্ক দেওয়া হয়েছিল সেগুলো সবাই করেছে কি না? এ সময় অধিকাংশ শিক্ষার্থী ‘না’ বলে। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে তিনি এক শিক্ষার্থীকে পার্শ্ববর্তী বাজারের সেলুন থেকে তাঁর কথা বলে পরিত্যক্ত ব্লেডের টুকরা নিয়ে আসতে বলেন। ওই শিক্ষার্থী গিয়ে ৪৮টি ব্লেডের টুকরা নিয়ে আসে। পরে সেগুলো ৪৮ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দিয়ে নিজেদের হাত-পা রক্তাক্ত করতে বলেন শিক্ষিকা। পরে বাধ্য হয়ে তারা এই কাজ করে। ক্লাসে মোট ৫২ জন উপস্থিত থাকলেও ব্লেডের টুকরো কম হওয়ায় চারজন রক্ষা পায়৷
ঘটনাটি গ্রামে জানাজানি হলে অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ইব্রাহিমপুর গ্রামের অভিভাবক ফিরোজ আহমদ বলেন, তাঁর ছেলে নূর ফয়েজ রাজু আঙুল কেটেছে। তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ে এ রকম শাস্তির কথা জীবনে শুনিনি। এ জন্য ওই শিক্ষিকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’
বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানান, মধ্যবয়স্ক শিক্ষিকা ওই বিদ্যালয়ে ২২ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। কেন তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ করলেন তা কেউ বুঝতে পারছেন না।
প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম ঘটনার সময় শহরে একটি বৈঠকে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনা ঘটেছে, এটা অস্বীকার করছি না। ওই শিক্ষিকা বয়স্ক মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এখানে আছেন। তাই সবাইকে নিয়ে বিষয়টির একটা সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমির হোসেন জানান, অভিভাবকসহ সবাইকে নিয়ে বসে ঘটনাটির একটা মীমাংসা করা হয়েছে। ওই শিক্ষিকার প্রতি আর কারও কোনো অভিযোগ নেই।
শিক্ষিকার বাসায় গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি৷ তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়৷ তবে তাঁর স্বামী জানান, তাঁর স্ত্রী অসুস্থ৷ তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও কিডনিতে সম্প্রতি সমস্যা ধরা পড়েছে৷ চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, তাঁকে কেউ বিষয়টি জানায়নি। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
:#> :#> :#>
১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: পত্রিকার রিপোর্টের এই অংশ এবং তথ্য বিস্মিত করেছে আমাকেও।
২| ১৪ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ওই শিক্ষিকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’
আর দু:খিত আপনি এই সাইকো শিক্ষিকার প্রতি যে দরদ দিয়ে দেখতে চাইছেন- তারচে অনেক অনেক বেশী দরদ কোমলমতি শিশুদের প্রতি দিতে হবে।
তার মানসিক সমস্য, হরমোনাল সমস্যা তার ব্যখ্তিগত বিষয়। চাকুরী থেকে রিজাইন করুক। মানসিক হাসপাতালে যাক। কারো কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু কোন ভাবেই তাকে ফেভার করা যায় না।
তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’ যাতে কোন পাগলের পাল্লায় আর ভবিস্যতের কোন শিক্ষার্থীর কচি মনে সারাজভীনের জন্য ক্ষত না হয়।
১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: অবশ্যই ঠিক কথা বলেছেন আপনি।১০০ পার্সেন্ট ঠিক কথা। বাচ্চাদের প্রতি গভীরভাবে আমরা সহানুভূতিশীল। শিশুরা এখানে ভিকটিম। তাদের সুচিকিৎসা অবশ্যই সুনিশ্চিত করতে হবে। কেউ যেন অঅর এভাবে শিশুদের কষ্ট দিতে না পারে। আমরা সবাই গভীরভাবে দরদ প্রকাশ করছি শিশুদের প্রতি। তাদের সুস্থতা কামনা করছি। এই সহানুভূতি আরও কার্যকর ও মজবুত হত যদি ওই শিক্ষিকার নিয়ন্ত্রন হারানোর আগে তার দিকে নজর দিতে, পারতাম। সংসার, সমাজ, চিকিৎসা ব্যাবস্থা সেখানে ব্যার্থ হয়েছি। আমরা গোড়াতে শিক্ষকের সমস্যাগুলোকে অবহেলা করেছি--তাকে চিকিৎসা দিতে পারি নি-- সেটার ফল ভোগ করেছে কোমল মতি শিশুরা। শিক্ষকের অবশ্যই শাস্তি হবে। সেটা হলেও কিন্তু এরকম আরেকজন সমস্যাগ্রস্থ মানসিক রোগীর হাত খেকে আরেকজায়গায় আরেকদল ভিকটিমকে রক্ষা করতে পারব না। কেবল ক্ষোভ প্রকাশ করব। সমস্যার সমাধান হবে না। মনে রাখতে হবে--এটা কোন পেশাজীবীর আচরন নয়-- একজন মানসিক সমস্যাগ্রস্তর আচরণ বলে ধারনা করছি বলে এ ব্যপারে সবার নজর আকর্ষন করলাম।
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
শাহ আজিজ বলেছেন: বাচচা দের এ টি এস দেওয়া হয়েছে কিনা ।
শিক্ষিকার মানসিক ভারসাম্যতার চিকিৎসায় ডিম থেরাপি দিতে হবে ।
১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: যদি আপনি চিকিৎসক হয়ে থাকেন-- তাহলে নিশ্চয়ই ধারনা করতে পারছেন যে সুনামগজ্ঞের স্থানীয় হাসপাতালে ডাক্তাররা অবশ্যই এটিএস দিয়েছেন। পুরানা ব্লেড হতে পারে_ অঅশা করা যায় ডাক্তাররা ব্যাবস্থা নিয়েছেন উপযুক্ত।
আর শিক্ষকের প্রতি অঅপনি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন-- ধারনা করা যায় ক্ষুব্দ অনেকে এমনটা চাইছেন বলতে। কারও কারও আরও সহিংস হওয়ার ক্ষোভ তৈরী হতে পারে। কিন্তু এই ভাষাভিত্তিক কথিত শাস্তি কেবলই ঘৃনা ও বিদ্বেষর প্রকাশ মাত্র। বিদ্যমান আসল ক্ষত তাতে নিরাময় হয় না। সবিনয়ে বলি_ সমাজে বিদ্বেষ , ঘৃনার আবহ তৈরী করা নয়-- সেকারণে পোস্ট আমি দেই নি। দিয়েছি সমস্যার গোড়ায় আলো ফেলতে। যাতে অঅগামী আর ভিকটিম এভাবে অনাকাঙ্খিত আক্রমনের শিকার না হয়। রোগমুক্তির বা সমস্যা মুক্তির জন্য রোগের দাওয়াই দরকার--রোগীর প্রতি সহিংস হলে আসল ব্যাধি নিরাময়ের বাইরে থেকে যাবে।
৪| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
কেএসরথি বলেছেন: হ্য়ত, ওটাই ভালো জন্মের সাথে সাথে মানুষের জেনেটিক প্যাটার্ন নির্ধারণ করে সব সাইকোদের আগে থেকে জেলে ঢুকানো অথবা মেডিকেশনের ব্যবস্থা করা।
১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: সাইকোদের যখন চিকিৎসা ব্যবস্থার অধীনে আনা যায় তখন বেশী সংখ্যক মানুষ উপকার পায়। আর তাদের প্রতি চিকিৎসা না দিয়ে , আগে ভাগে তাদের তৎপরতা--মানসিক গতির ব্যাপারে সতর্ক না থেকে যদি তা বাড়তে দেই তখন অঘটনের মাধ্যমে তার বিকৃত প্রকাশ ঘটে। বেশী সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন ঘৃনা বিদ্বেষ কঠিন বাক্য প্রয়োগ করে আর ক্ষত নিরাময় করা যায় না । এই অসহায় অবস্থার নিরাময়ে পূর্ব সতর্কতা বেশী দরকার। তাদের মেডিকেশন দরকার।
৫| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
শাহ আজিজ বলেছেন: ডঃ আলগিন , আপনাকে হেয় করার জন্য উত্তর দেইনি । ১৯৬৭ সালে আমাদের জিলা স্কুলের অঙ্ক শিক্ষক একজন ছাত্রকে নিজে ব্লেড দিয়ে নখের পাশে চিরেছিলেন । আমি তার হাত চেপে ধরিনি , ধরেছিল অন্য কিছু উৎসাহী কিশোর । একটা গল্প আছে আমার , খুব শিঘ্রিই সামুতে দেব । ওই শিক্ষক পরে একজন নাবালিকাকে নিয়ে শহর ছেড়েছিলেন । ওই স্কুলের ৯০এর পরের প্রজন্ম শিক্ষকদের ধোলাই দেয় , পিস্তল দেখায় , বুঝতে পেরেছেন কেন । বেতের বাড়ি খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল কিন্তু ব্লেড দিয়ে আজ থেকে ৪৭ বছর আগে একই শাস্তিও ছিল । আমরা চাপিয়ে রাখতে পছন্দ করি সব কিছু । আর চেপে রাখাটাই আরেক অপরাধ ।
১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: ভাই, আপনার কিশোর বয়েসের এই কষ্টকর অভিজ্ঞতার কথা জেনে গভীরভাবে সমবেদনা প্রকাশ করছি। কিশোর বয়স ও শৈশবের দু:খজনক ঘটনাবলী গভীরভাবে মনে রেখাপাত করে। সারাজীবন সেজন্য ভিকটিম ভোগে। স্কুলে বেত্রাঘাতসহ নানাভাবে শিক্ষার্থীদের মনোপীড়ন করা হয়। তা রা সেসবের দীর্ঘমেয়াদী সমস্যায় ভোগে। এজন্য জেনারেল কোড বর্তমানে আছে বলে জানি, মানা হয় না সর্বত্র। এ বিষয়ে আমারও অঅলোকপাত করার ইচ্ছে রইল। আপনার লেখাটা পড়ার জন্য আগ্রহী হয়ে রইলাম।
৬| ১৪ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩
না পারভীন বলেছেন: আহারে খুব দু:খিত অনুভব করছি। পোস্ট মেনোপজাল মুড ডিসওর্ডার , খুব অবহেলিত সমস্যা। আমার এক্সাম সামনে না হয় আমিও লিখতাম।
১৪ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০২
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: আপনার সাথে পুরোই একমত না পারভিন। যত বেশী লেখা হয়--তত সচেতনতা তৈরী হয়। এটা খুবই দরকার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ১৪ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭
জাফরুল মবীন বলেছেন: আপনার কেস হিস্ট্রিটা পড়ে এটাকে পোষ্টমেনুপজাল সিম্পটোম বা তীব্র বিষন্নতার কেস বলে মনে হলো না।এসব ক্ষেত্রে মানুষ নিজের শরীরের ক্ষতি করতে পারে কিন্তু ইনটেশনাল মাস ইনজুরি করে না।তবে এটা যে মানসিক রোগ/সমস্যা সেটা প্রায় নিশ্চিত করে বলা যায়।যদিও পেশেন্টের অতীত ইতিহাস উল্লেখ নেই,তারপরেও বিষয়টাকে আমার কাছে Theodore Millon এর Enforcing sadist (compulsive features) এর কেস বলে মনে হলো।এই মানসিক রোগটা DSM-III-R এ থাকলেও পরবর্তীতে অপর্যাপ্ত তথ্যের দোহাই দেখিয়ে DSM-IV থেকে বাদ দেওয়া হয়।আপনিতো এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তাই আপনাকে এ বিষয়ে কিছু বলার ধৃষ্টতা ও যোগ্যতা আমার নেই;তবে অন্য যারা পাঠক যারা পাঠ করবেন তাদের জন্য Enforcing sadist এর একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা সংযুক্ত করলাম-Enforcing sadists can be found among military sergeants, deans of universities, prison overseers, police officers or other authoritative functions because they are in a position where they feel they should be the ones controlling and punishing people who have broken rules, regulations, or laws.Though they believe themselves to act in the common interest, they have deeper motives: these sadists generally seek rule-breakers in their domain of authority--or in society in general--and exercise the most severe punishments. Enforcing sadists who are police or prison staff are rarely perceived to be unjust and therefore have great freedom to dominate, victimize, or destroy others at will. Their personalities cannot appropriately respond to the emotions that drive their sadistically vicious behaviors. As these sadists dominate and punish others, so increases satisfaction and power they feel, reinforcing their self-perception of righteousness and increasing their ego. This intoxication can unleash their behavior and blind them to reality, usually without attracting any negative attention because they act within their legal authority to exert power and normally behave in everyday situations.
Ref.-http://en.wikipedia.org/wiki/Sadistic_personality_disorder
“তিনি এক শিক্ষার্থীকে পার্শ্ববর্তী বাজারের সেলুন থেকে তাঁর কথা বলে পরিত্যক্ত ব্লেডের টুকরা নিয়ে আসতে বলেন”-এ তথ্যটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এবিষয়ে আপনি বিস্তারিত কিছু জানতে পারলে তা শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।
আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।
১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৬
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: প্রিয় জাফরুল মবিন, আপনার চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। মনোরোগবিদ্যা ও মনোবিজ্ঞানের একজন ছাত্র হিসেবে একথা বলতে আমার খুবই ভাল লাগছে যে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে আপনার আগ্রহ নিষ্ঠা ও একাগ্রতা রীতিমত মুগ্ধকর। যা এখন বেশ বিরল। আপনি যে তথ্য উপাত্ত দিয়েছেন তা বেশ একাডেমিক হলেও আশা করি কৌতুহলী পাঠক তা পড়ে জানার তৃষ্ণা মেটাতে পারবেন। সেজন্য ধন্যবাদ। তবে এই লেখায় বা মনের কথা বিষয়ক এই কলামে অঅমি ঠিক উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের পাঠ্য বিষয়ের জটিলতায় যাওয়া সঙ্গত কিনা্, সেটাও ভাবছি। গড়পড়তা বিষয়গুলো যতটা সহজ করে বলতে পারি, সেই যৎসামান্য চেষ্টাই করছি। একাডেমিক গভীর তত্ব তথ্যাদির ভার --সেসব নিয়ে নানামুনির নানামত এখানে নে পাঠকের ওপর চাপাতে চাইছি না। তাতে পাঠক বিরক্তবোধ করতে পারেন। মনোরোগবিদ্যাকে গবেষনার আঙ্গিকে বা পাঠ্যবিষয়ের ঘেরাটোপে আটকে না রেখে যদি আমরা সরল ভাবে ব্যখ্যা করতে পারি--তাহলে অনেক জগদ্দল ভুল ধারনা নিরসন হবে। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার কলামে গিয়ে আপনার চমৎকার লেখাগুলো পাঠ করলাম। বেশ ভাল লাগল। চালিয়ে যান ভাই। সকলের সহযোগিতায় মনোরোগ কেবল পাগলবিদ্যা না হয়ে সাধারণ ব্যাধিবিদ্যা হিসেবে স্বীকৃতি পাক, এই কামনা করি।
৮| ১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫০
মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ
(উনি যা করেছেন তা অবশ্যই বিচারযোগ্য আইনের নজরে। । কিন্তু এই অনাকাঙ্খিত ব্যবহারের পিছনের মানসিক / পরিবারিক / শারিরীক জটিলতা গুলো যদি একবার পরীক্ষা করে দেখা যেতো। তার সমস্যা সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করা দরকার। তাই নয় কি?)
অবশ্যই। পুরোপুরি একমত।
১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৪১
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:০০
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:
@ ডা. সুলতানা আলগিন :
আপনি যে নিউজটি দিলেন, সেটার ইন্টারনেটের লিন্ক রেফারেন্স কি দেওয়া যাবে?
কত তারিখে ওটা ঘটেছিলো?
তাড়াহুড়ার জন্য পোস্টটি ঠিক মত পড়া হয়ে উঠেনি।
১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৪৪
ডা. সুলতানা আলগিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি লেখায় প্রথম আলোর লেখাটা কাটপেস্ট করে যুক্ত করে দিয়েছি। প্রবল ব্যস্ততার মাঝেও সামুর লেখা অপনার নজরে এসেছে জেনে ভাল লাগল। চাইলে এখানেই পড়ে দেখতে পারেন প্র আলোর লেখা। ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০০
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: পরে তিনি এক শিক্ষার্থীকে পার্শ্ববর্তী বাজারের সেলুন থেকে তাঁর কথা বলে পরিত্যক্ত ব্লেডের টুকরা নিয়ে আসতে বলেন।
!!!!!!!!!!!!!!!!