নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অাল- হেলাল ৭৩

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান

মোহাম্মদ আতীকুর রহমান

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকুরীর মাধ্যমে অর্জিত সম্পদে নারীর অধিকার

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৩


ইসলামের মূলনীতি হলো, “ক্ষেত্র বিশেষে কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত সাধারণভাবে যে কাজ বা পেশা পুরুষের জন্য বৈধ তা নারীর জন্যও বৈধ”। ইসলামের নীতিমালা ও নৈতিকতার সাথে সংগতি রেখে মহিলারা তাদের জন্য সহজসাধ্য যে কোন চাকুরী বা পেশায় নিয়োজিত হতে পারে। সহজসাধ্য পেশার কথা এজন্য বলা হয়েছে যে, ইসলাম নারীদেরকে কঠোর শ্রমসাধ্য কাজে, যেমন খনির অভ্যন্তরে, লৌহজাত দ্রব্যাদি নির্মাণ কারখানায় ইত্যাদিতে নিয়োজিত হওয়া পছন্দ করে না। তাদের জন্য শিক্ষকতা, ডাক্তারী, সেবাধর্মী কার্যক্রম ইত্যাদিতে নিয়োজিত হওয়া পছন্দনীয়। সে তার শালীনতা, মর্যাদাবোধ ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য রক্ষা করে চলবে।
ইমাম আবু হানীফা, ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ (র.)-এর মতে, নারী শ্রম-বিনিয়োগের চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারবে।
এ অভিমত থেকে নারীর চাকুরীতে নিয়োগের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। ইসলাম নারীকে মসজিদে, বাজারে ও হজ্জে যাবার অনুমতি দিয়েছে। তবে স্বামীর ঘরে অর্থ যোগানদানে সে বাধ্য নয়, তার অর্থ ব্যয় হবে স্বামীর প্রতি অপূর্ব প্রীতির দৃষ্টান্ত।
কোন অবিবাহিত নারী যদি কোন পেশা অবলম্বনের মাধ্যমে সম্পদের মালিক হয়, তবে সে তার উপার্জন থেকে নিজের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তবে একথা স্বত:সিদ্ধ যে, কন্যার বিবাহের পূর্ব পর্যন্ত পিতা তার ভরণ- পোষণের জন্য দায়ী।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত এক হাদীসে আছে, তার খালা স্বীয় খেজুর বাগান থেকে খেজুর কেটে সংগ্রহ করার জন্য নবী (সা.)-এর নিকট অনুমতি চাইলে তিনি বললেন: “বের হয়ে বাগানে যাও, তোমার খেজুর কাটো। এর বিক্রিত অর্থ হয়ত তুমি দান-খয়রাত করবে অথবা অন্য কোন ভাল কাজে ব্যয় করবে” (সহীহ মুসলিম)।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর স্ত্রী এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মহিলা সাহাবী হযরত যয়নব (রা.)-এর কুটির শিল্প ছিল। তিনি তার উপার্জিত অর্থ দিয়ে স্বামী ও সন্তানদের ব্যয় নির্বাহ করতেন। তিনি নবী (সা.)-এর নিকট গিয়ে তাঁকে অবহিত করলেন, “আমি একজন কারিগর মহিলা। আমি তৈরী করা দ্রব্য বিক্রয় করি। এছাড়া আমার স্বামী একজন গরীব লোক। তাঁর সন্তানের জীবিকার অন্য কোন ব্যবস্থাও নেই। তিনি জানতে চাইলেন, তিনি কি তার উপার্জিত অর্থ এ পথে ব্যয় করতে পারবেন? নবী (সা.) বললেন: হাঁ, তুমি তাদের জন্য ব্যয় করো এবং এজন্য তুমি দ্বিগুণ সওয়াব লাভ করবে” (আত-তাবাকাত)।

কর্মক্ষেত্রে নারী তথা নারীর ঘরের বাইরে যাওয়া এবং চাকুরীতে যোগদান নিষিদ্ধ নয়, বরং এজন্য অনুমতি রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেছেন: “(হে নারী সমাজ!) আল্লাহ প্রয়োজনে তোমাদেরকে ঘরের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেছেন” (সহীহ বুখারী)।

পুরুষের ন্যায় নারীরও দুনিয়ার সুখ দুঃখে অংশীদার হওয়ার ন্যায্য অধিকার রয়েছে। ইসলাম নারীকে হালালভাবে অর্থ উপার্জনের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। যেমন মহিলা সাহাবী আসমা বিনতে মাখরা (রা.) আতর ব্যবসায়ী ছিলেন। খাওলা বিনতে সা‘লাবা (রা.) তাঁর স্বামীর সংসারের ব্যয় নির্বাহ করতেন।

এ থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, প্রতিটি কর্মক্ষম নারীর ঘরের বাইরে গিয়ে শালীনতা ও পর্দা সহকারে অর্থ উপার্জনের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে ইসলাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.