নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অাল- হেলাল ৭৩

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান

মোহাম্মদ আতীকুর রহমান

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুখী পরিবার

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮


পরিবার রাষ্ট্রের প্রথম স্তর, সামগ্রিক জীবনের প্রধম ভিত্তিপ্রস্তর। সমাজের শান্তি-শৃংখলা, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন-অগ্রগতি ইত্যাদি পারিবারিক ব্যবস্থার সুস্থতা ও দৃঢ়তার উপরই বহুলাংশে নির্ভরশীল। পরিবারের বিকশিত রূপ রাষ্ট্র। পারিবারিক জীবনের ভীত যদি দুর্বল ও নড়বড়ে হয় তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে নানা ধরণের অশান্তি বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে পড়ে। এ কারণে সমাজ বিজ্ঞানীরা সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই পারিবারিক জীবনের স্থিতিশীলতা ও সুস্থতার উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন।
আমরা সবাই সুখ প্রত্যাশা করি। কিন্তু কিভাবে পাব তা আমরা ভেবে দেখি না। পরিবার সুখী করার জন্য নিুে কয়েকটি প্রধান বিষয়ের উল্লে¬খ করা হলো ঃ
১. ভালোবাসা ঃ প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও মনের প্রশান্তি লাভই হচ্ছে বিয়ের প্রধান উদ্দেশ্য। এ বন্ধন নড়েবড়ে হলে তা আর জোড়া লাগানো সম্ভব নয়। সূরা রুমে ২১ নং আয়াতে আল্ল¬াহ বলেন, “তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের সংগীনীদের সৃষ্টি করেছেন। যাতে তোমরা তাদের নিকট শান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন, চিন্তাশীল স¤প্রদায়ের জন্য এতে অনেক নিদর্শন রয়েছে।
২. ধৈর্য-সহিষুতা ঃ মনোমালিন্য, কথাকাটাকাটি, ঝগড়া বিবাদ পরিহার করে ধৈর্যসহকারে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। আল্ল¬াহ বলেন, “তোমরা নিজেদের মধ্যকার সদাশয়তা ভুলে যেও না” (বাকারা : ২৩৭)।
মহানবী (সা.) বলেন, “কোন মুমিন পুরুষ যেন কোন মোমিন মহিলাকে তার কোন একটি অভ্যাসের কারণে ঘৃণা না করে। কেননা একটি অভ্যাস অপন্দ হলে অপর একটি অভ্যাস দেখে সে সন্তুষ্টও হয়ে যেতে পারে।”
৩. স্ত্রীকে অপ্রস্তুত অবস্থায় না ফেলা ঃ স্ত্রীকে কোনরূপ অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলে বিব্রত করা কাম্য নয়। প্রয়োজনে তাকে প্রস্তুতির সময় দিতে হবে। মহানবী (সা.) বলেছেন, “তোমাদের কেউ যদি দীর্ঘ দিন বাড়ীতে অনুপস্থিত থাকার পর ফিরে আসে, তাহলে পূর্বে সংবাদ না দিয়ে রাতের বেলা হঠাৎ বাড়ীতে পৌছে যাওয়া উচিত নয়।”
৪. স্ত্রীর প্রতি যুলুম না করা ঃ স্ত্রী জীবন সঙ্গী। কারণে-অকারণে মারধর করা, নির্যাতন করা করা যাবে না। আল্ল¬াহ বলেন, “স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের শয্যা বর্জন কর, অত:পর তাদের প্রহার কর। যদি তারা তোমাদের অনুগত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অন্বেষণ করো না। নিশ্চয় আল্ল¬াহ মহান, শ্রেষ্ঠ” (নিসা-৩৪)। মহানবী (সা.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে উত্তম লোক হচ্ছে তারা, যারা তাদের স্ত্রীদের প্রহার করে না বরং তাদের অনেক কিছুই তারা সহ্য করে নেয়।”
৫. স্ত্রীর সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করা ঃ কারণে অকারণে, ওঠতে বসতে দুর্ব্যবহার করা যাবে না। বরং সৌজন্যমূলক আচরণ করতে হবে। মহানবী (সা.) বলেছেন, “যার চরিত্র সবচেয়ে উত্তম, সে পূর্ণাঙ্গ মুমিন। আর তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর নিকট সবচেয়ে ভালো।
৬. পারস্পরিক উপহার বিনিময় ঃ নবীজী (সা.) বলেছেন, “তোমরা পরস্পর উপহার উপঢৌকনের আদান প্রদান কর। এর ফলে তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রেম ও ভালবাসা সৃষ্টি হবে।”
৭. পারস্পরিক দোষ প্রকাশ না করা ঃ সহনীয় পর্যায় পর্যন্ত কারো দোষ প্রকাশ না করাই উত্তম।
৮. গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করা : পরিবারের সদস্যদের সাথে বিশেষ করে স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে যেকোনো কাজ সম্পাদন করা।
৯. গুণের স্বৃকৃতি প্রদান : নবীজী (সা.) বলেন, মহান আল্ল¬াহ এমন স্ত্রীর প্রতি (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকান না, যে তার স্বামীর কাজে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।” অনুরূপভাবে স্বামীরও উচিত স্ত্রীর কাজের স্বীকৃতি দেয়া।
১০. কাজের ছেলে মেয়ের সাথে সদাচরণ : অধীনস্তদের সাথে দুর্ব্যবহারকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
১১. দীনের প্রয়োজনীয় শিক্ষা দান : পারিবারের সদস্যদেরকে প্রয়োজনীয় দীনী শিক্ষা দেওয়া ও তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হওয়া দায়িত্বশীলদের কর্তব্য।
উপরোক্ত বিধানগুলো মেনে চললে একটি সুখি পরিবার গঠন করা সম্ভব।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: ভালো লাগা রইল।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.