নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সচেতনতা নেই , ধরা পড়ছেনা শিশুর বধিরতা

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩০



জম্মানোর পর দু বছরের মাথায় জানা গেল যে সন্তানটি বধির । তার শ্রবন ক্ষমতা প্রায় বলতে গেলে নেই । শ্রবনের জন্য তার শ্রবন যন্ত্রের প্রয়োজন । একই সমস্যায় ভুগছিলেন অভি , প্রবাল, মাসুদ, রত্না, তন্ময়, সুরা্‌ইয়াসহ আরো অনেক পরিবারের সদস্যরা , মহাখালী শ্রবনপ্রতিবন্ধী শিক্ষন স্কুলের অভিজ্ঞতায় এরকমটি জানা যায় । তারা সকলেই জানান, সন্তান জম্মের অনেক পরে এমনকি এক/দুই বছর পরে তারা যখন কথা বলেনা, মা ,বাবা বলে ডাকেনা তখন ডাক্তারের সরনাপন্য হয়ে জানতে পারেন তাদের দুর্দসার কথা । জানতে পারেন তাদের সন্তান বধির ।
প্রায় সব ক্ষে্ত্রেই পরিবারের লোকজনকে জানানো হয় ছেলে মেয়ে দেরকে মহাখালী 'সাহিকে' নিয়ে যেতে । সেখানে পরিক্ষার পর জানানো হয় বাচ্চা বধির । শ্রবনযন্ত্র ছাড়া সে শুনতে পারবেনা । কারো কোন কথা বুজতে পারবেনা বা নীজেও কথা বলতে পারবেনা । এর ফলে সে সমাজের আর দশটি সুস্থ স্বাভাবিক বাচ্চার মত শুনতে ও কথা বলতে পারবেনা । তার স্বাভাবিক জীবন যাপন ও লেখাপড়া হবে বিঘ্নিত ।
শুধুই কি তাই, কোনমতে শ্রবনযন্ত্র ব্যবহার শুরু করলেও পরে এর সঠিক ব্যবহার কৌশল জানা না থাকায় বার বার বিকল যন্ত্রের ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে প্রতিবন্দী শিশু ও তার পরিবার লোকদেরকে, শাড়িরিক, মানষিক ও আর্থিক সবদিক থেকেই ।
দেশে প্রতি দিন হাজার হাজার বধির শিশু জম্ম নিচ্ছে । কিন্ত বাবা মায়ের সচেতনার অভাবে সন্তান জম্মের সংগে সংগেই সদ্য নবজাতকদের পরীক্ষা না করানোতে সমস্যা বেড়েই চলেছে । সদ্যজাত সন্তান শুনতে পারছে কিনা তা জন্মানোর সংগে সংগে বাড়ীতে বা হাসপাতালে পরীক্ষা করে নেয়া প্রয়োজন । যদি সময়মত বধিরতা ধরা পরে তাহলে বিশেযজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শ্রবনের জন্য উপযুক্ত শ্রবন যন্ত্র ও উন্নত প্রযুক্তির ককলিয়ার প্লান্ট ( অভিবাবকের সামর্থ অনুযায়ী )স্থাপন করলে ভাল সুফল পাওয়া যাবে । অনুরূপভাবে বধিরতা সনাক্ত হওয়ার পরে উপযুক্ত স্পিচ থেরাপীর মাধ্য়মে বধির বাচ্চাকে কথা বলানো শিক্ষা দেয়া যেতে পারে ।



ককলিয়ার ইনপ্লান্ট
ককলিয়ার ইনপ্লান্ট, এর সফল প্রয়োগে শ্রবন ও বাক প্রতিবন্ধী একটি শিশু প্রায় অন্য স্বাভাবিক শিশুর মতই শুনতে ও কথা বলতে পারবে ।
তাই সকলেরই উচিত অত্যাবশ্যকীয়ভাবে নবজাতকের শ্রবন পরীক্ষা করা । সে সমস্ত ক্লিনিকে বা হাসপাতালে বাচ্চা প্রসব সংক্রান্ত সেবা দেয়া হয় তাদের জন্য এটা বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে । এরকম করা হলে বার্তাটি সমাজের প্রায় সকল স্তরেই পৌছে যাবে । উপকার হবে সমাজের লক্ষ লক্ষ শ্রবন ও বাক প্রতিবন্ধী শিশুর ।
সামহয়ারইন ব্লগার এর সকল ভাইবোনদের প্রতি আকুল আবেদন, তারা যদি নীজ নীজ সৃজনশীল সৃষ্টি যথা কবিতা, গল্প, শিল্পকর্ম, আলোচনা, প্রচারনা, ফেসবুক , টুইটার প্রভৃতি মাধ্যমে একটি বড় ধরনের সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলেন তাহলে হয়ত অগনিত ভাগ্যাহত শিশু মুক্তিপাবে তাদের নীজ ইচ্ছা বহির্ভুত আনাকাংখিত ভয়ানক দুর্দশার হাত থেকে ।
ঢাকার মহাথালীতে অবস্থিত দেশের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সাহিক’ শ্রবন প্রতিবন্ধী সনাক্তকরন (Society for Assistance to Hearing Impaired Children (SAHIC) এর ক্ষেত্রে একটি বিশেষ বিশেষ ভুমিকা রাখছে । নিম্মের লিংক থেকে যে কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন ।
http://sahicbd.org/index.php/sahic-projects/national-centre-for-hearing-speech-for-children

এছাড়াও আন্তর্জাতিক ফোরাম আমাদের এই সমস্যাটি নিয়ে কি ভাবছে ও করছে তা দেখার জন্য London School of Hygiene and Tropical Medicine এর
“The Key Informant Child Disability Project in Bangladesh and Pakistan Main Report 2013”
শীর্ষক একটি রিপোর্ট নিম্মের লিংক থেকে দেখতে পারেন ।
file:///C:/Users/Admin/Downloads/Key-Informant-Child-Disability-Study-Main-Report1.pdf

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

বিজন রয় বলেছেন: সচেতনমূলক পোস্ট।
+++++

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন রায় , আপনার এই সহানুভুতির ফুল আছড়ে পরুক শ্রবন প্রতিবন্ধী হাজারো শিশুর কোমল হৃদয় মাঝে ।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিশুদের কল্যাণের কথা ভেবে আপনার এই দারুণ উপকারী, সচেতনতামূলক পোস্টটির জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি। এ পোস্টের কারণে যদি একজনও পাঠক সচেতন হয়ে কোন শিশুর শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়, তবে আপনার শ্রম সার্থক হবে। না হলেও ক্ষতি নেই। অন্ততঃ অর্ধশত পাঠক তো এ পোস্ট পড়েছেনই। তারা কথাগুলো মনে রাখলেই হলো।
আমার মনে থাকবে।
বধিরতা সনাক্ত হওয়ার পরে উপযুক্ত স্পিচ থেরাপীর মাধ্য়মে বধির বাচ্চাকে কথা বলানো শিক্ষা দেয়া যেতে পারে -- ধন্যবাদ এ কথাটির সাথে লিঙ্কগুলো দিয়ে দেয়ার জন্য।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এই পুরাতন পোষ্টে এসে মুল্যবান মন্তব্য করার জন্য । এ বিষয়টির উপর বেশ কিছু দিন ধরে অল্প অল্প করে আমি লিখছি, লেখাটির কলেবর এতই বড় হয়ে যাচ্ছে যে এটা সম্ভবত শেষ পর্যন্ত একটি পুস্তকে রূপ নিলেও নিতে পারে । এখন চিন্তা করছি এটাকে কি সামুর উপযোগী করে লিখব নাকি পুস্তক উপযোগী করে লিখব । প্রকাশের সুযোগ পেলে আগামী বই মেলার জন্য একটি বাসনা মনোমধ্যে আছে যদি সুযোগ ও সময় পাওয়া যায় । দোয়া করবেন যেন লেখার কাজটি শেষ করতে পারি ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি খুবই খুশী হ'লাম আপনার এই প্রতিমন্তব্যটি পড়ে এবং এতদসংক্রান্ত আপনার লেখাগুলোকে সংকলিত করে আগামী বই মেলায় একটা বই বের করার পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে। অবশ্যই আপনি বই বের করার কথাই আগে ভাবুন, পরে সেখান থেকে কিছু কিছু অংশ নিয়ে সামুতেও প্রকাশ করতে পারবেন।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দু:খিত বিলন্বিত উত্তরের জন্য । কোন নোটিশ পাচ্ছিনা বলে সময়মত এসে দেখতে পারিনি ।
খুব খুশী হলাম অআপনার মুল্যবান পরামর্শ শুনে । চেষ্টা করব অনুসরণ করতে ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.