নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদের জামাত নিয়ে ডাক্তার জাকের নায়েকের উপর লিখা এবং এ সম্পর্কিত কতিপয় মন্তব্য প্রসংগে

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

ঈদের জামাত ও জুম্মার নামাজ আদায় সম্পর্কে একটি লিখা এবং এর উপর কয়েকটি মন্তব্য চোখে পড়েছে । ভাবছিলাম এড়িয়ে যাব, কিন্তু দু একটি প্রাসংগিক ভাবনা সকলের সাথে শেয়ারের ইচ্ছে থেকে গুটি কয়েক কথা পোষ্ট করার বাসনা হলো।

প্রথমেই মনে হলো প্রতিটি মুসলমানের জন্য অবশ্য পালনীয় হলো কোরান ও হাদিছ [( রাসুল (সা:) যা বলেছেন ও করেছেন]। কোরান ও হাদিসে যা পরিস্কার, তার মধ্যে কোন বিভেদ বিভ্রান্তি টেনে আনা কি জায়েজ ? কোরান হাদিসের মিমাংসিত অতি সহজ সরল বিষয়াবলী নিয়ে তর্ক বিতর্ক জোরে দেয়ার জন্যই মূলত পরবর্তীতে বিভিন্ন মজহাবের সৃস্টি হয়েছে বলেই প্রতীয়মান হয়, কেননা বিভিন্ন মজহাবের মধ্যে বৈপরিত্ব মূলক অনেক বিষয়ের অবতারণা দেখা যায় । মজহাবের প্রবক্তা চিন্তাবিদগন ধর্ম বিষয়ে খুবই পন্ডিত তাতে কোন সন্দেহ নেই, তাদের ধারালো যুক্তিরসামনে দাঁড়ানো সাধারন কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় । প্রশ্ন হলো কোরান হাদিস আগে না মজহাব আগে । কোরান হাদিস থেকে মজহাব পয়দা হয়েছে না মজহাব থেকে কোরান হাদিস হয়েছে । যেহেতু মজহাব পয়দা হওয়ার অনেক পুর্বেই কোরান ও হাদিস আবির্ভুত হয়েছে সেহেতু এর সাথে বিরোধপুর্ণ কোন কিছু, সে যে মজহাবই হোক না কেন অটোমেটিক নাল এন্ড ভয়েড হয়ে যায় ।

বর্তমান যুগে যেখানে ইসলামের মূল অনুসরণীয় কোরান ও সুন্দর প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত এর সঠিক অনুবাদ পাওয়া যায় , সে ক্ষেত্রে কোরানে যা বলা হয়েছে এবং হাদিসে যে সমস্ত পরিস্কার নির্দেশনা ও উপমা রয়েছে তা অনুসরন করাই একান্ত ভাবে উচিত । কোরান হাদিসে কোথাও বলা নেই মজহাব অনুসরন করতে । বরং কিছু অতি সম্মানিত বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ সৃজিত সব মজহাবেই বলা হয়েছে কোরান ও হাদিসকে অনুসরন করতে । যেহেতু কোরান ও সহি হাদিস প্রন্থ এখন সহজেই পাওয়া যাচ্ছে সেহেতু পুর্ব পচ্মিমে অনুসরিত কয়েকটি বিছ্ছিন্ন ঘটনাকে মজহাবের কাঠামোই ঢেলে তা অনুসরন করতে বলা কোন মতেই ইসলামী দর্শন হতে পারেনা । মজহাব নিয়ে মাতামাতি করে তো দেখা যায় যে শুধুই দেশে দেশে ইসলামী মতবাদের বিভক্তিই হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে । তাই সকল ধরনের বিভ্রান্তির হাত থেকে মুক্ত হয়ে কোরানে ও হাদিসে অতি সহজভাবে যা করতে বলা হয়েছে তা করাই কর্তব্য । আল্লা তায়ালা কোরানকে বলেছেন একটি পরিপুর্ণ বিষয়, এর সাথে আর কিছু যুক্ত বিযুক্ত হতে পারেনা । নবি করিম( সা:) ও বিদায় হজে বলেছেন ইসলামকে আজ থেকে পরিপুর্ণ হিসাবে ঘোষনা করা হলো । এর পর সংগত ভাবেই এর সাথে আর কিছু যোগ বিয়োগের সুযোগ নেই । তবে হা বিশেষ প্রয়োজনে যথা প্রাকৃতিক কারণে ক্ষেত্র বিশেষে ইসলামী আচার অনুষ্ঠান প্রতিপালনে দুই একটি ব্যতিত্রম হয়েছে তবে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যতিক্রমি কোন বিষয় স্বত:সিদ্ধভাবে একটি নিয়মে পর্য়বেশিত হয়না , শুধুমাত্র অনুরূপ ব্যতিক্রমি ক্ষেত্রের জন্যই তা প্রযুয্য হয়। পবিত্র কোরানের সাথে যদি কিছু সাংগর্ষিক হয় তবে তা অনুসরন না করার জন্যই তাগিদ দেয়া হয়েছে । তাই পরিপুর্ণ ইসলাম থেকে বিচ্যুত হয়ে শুধু শুধু অতি পান্ডিত্যপুর্ণ কথামালার ফুলঝুরীতে পরিপুর্ণ বিভিন্ন মজহাবের বিভিন্ন মতবাদের অাস্টে পৃস্টে বন্দি না ধেকে সিরাতুম মুসতাকিম সহজ সরল পথের দিশারী কোরান অনুযায়ী ব্যাক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক , রাস্টিয় ও বৈশ্বিকভাবে ইসলামকে পালন করাই শ্রেয়তম । তাই বিশিস্ট কোন চিন্তাবিদ যথা চিকিৎসক জাকের নায়েক, কিংবা প্রাথমিক যুগ থেকেই ইসলামের নীতি আদর্শের প্রতি পরস্পর বৈপরিত্বমূলত ধারণা ও মতবাদ জম্মদানকারী বিভিন্ন মজহাবী ধ্যান ধারনাকে প্রাধান্য না দিয়ে, কোরান ও সহি হাদিস এর শ্পস্ট নির্দেশনা ও পদ্বতি আনুসরন করাই অধিক যুক্তি সংগত ।

ইসলামী বিষয়াদি নিয়ে কোন আলোচনাকে নিছক প্যাচাল না বলে একে নিয়ে একটি সঠিক ধারণায় আসার জন্য মুক্তমনা লেখকদের আলোচনার একটি মাধ্যম হিসাবে গন্য করাই শ্রেয় মনে করি । এখানে এ দেশের একজন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ প্রয়াত মৌলানা আকরাম খা রচিত 'আহকাম ও আখলাক' শীর্শক একটি বিখ্যাত প্রবন্ধের একটি অতি মূল্যবান বক্তব্য কে তুলে ধরছি । তিনি উপযুক্ত যুক্তি তর্ক ও প্রাসংগিক রেফারেন্স দিয়ে বলেছেন যে ইসলামী বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা সমালোচনাকারী উভয়েই পুন্যের ভাগী হবেন । কারণ আলোচনা সমালোচনা থেকেই বেরিয়ে আসবে সঠিক সত্য । কাওকেই তাই নিরোৎসাহিত করা কাম্য নয় ।

উপরে বর্ণিত দৃস্টি ভংগী নিয়ে ইসলাম সম্পর্কিত বিষয়াদির আলোচনাকে বিবেচনা করলে এ নিয়ে অহেতুক হানাহানি বন্ধ হতে পারে । মুক্তমনাদের উপর মৌলবাদীদের ধ্যান ধারণাতেও পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে । ধর্মীয় বিশ্বাস এর বাইরে তাদের যদি অন্য কোন মিশন থাকে তবে অবশ্য তা আশা করাই বৃথা।




মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৬

কালনী নদী বলেছেন: সুন্দর একটা বিষয় সাবলিলভাবে তুলে দড়েছেন।
আপনার সাথে একমত।
ধর্মের মাধ্যমে কিছু মানুষ যেমন বেহেস্তের তালাস করছেন তদ্রুপ কিছু মানুষ ধর্মকে পোজি বানিয়ে ব্যবসাও করছেন আর কিছু সাধারণ মানুষ না বোঝে খারাপ ভাষা ব্যবহার করে সমালোচনার সৃষ্টি করে, আরেকদল ঠিকই তার সদ্ব্যবহার করে রাজনীতি করছেন।
এসবই গোড়মি! ভিত্তিহীন।
কোরান হাদিস নিজে পড়ে বিবেক জাগ্রত করার বিকল্প নেই।
এটা ভালো হয় সবকিছু বাদ দিয়ে কুরআন হাদিসকে জানা ও নিজের মধ্যেই তার রহস্য বেদ করা। আরেকজন কি করছেন বা না করছেন সেটা আসল ব্যাপার না। আত্নসুদ্ধিটাই জরুরি।
বেহেস্ত পাওয়া যেমন এত সহজ না তেমনি হয়তো দোযখ থেকে বাঁচাটাও এতটা কঠিন না।
আবারও লেখককে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটা বিষয় উপস্থাপন করার জন্য। (নিজেস্য ধারণা)

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার কথার সাথে একমত। আত্মসুদ্ধিটাই জরুরী । আত্মসুদ্ধিই মুক্তি ও শান্তির উপায় এ শীরুনামে একটি প্রবন্ধ লিখার কাজ চলছে । লিখা শেষ হলে পোষ্ট করব । লিখার জন্য উৎসাহটা বেড়ে গেল ।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মাজহাব কিন্তু ক্বোরআন ও হাদীসের বাইরের কিছু নয়। ক্বোরআন ও হাদীস বুঝায় ভিন্নতার কারণে মাজহাবে ভিন্নতা এসেছে সেটা এখনো হতেন পারে। সুতরাং মিমাংসিত বিষয় আবার ভাবতে গিয়ে মুসলমানদের দলের সংখ্যা বাড়িয়ে মূলত কোন লাভ নেই।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । মাজহাব বেশ পুরাতন বিষয় , জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে এ বিষযটি তেমন ভাল বুঝিনা , তবে জানার ও বুঝার চেষ্টা করি । তাই ইসলাম সম্পর্কিয় কোন কিছু বুঝতে হলে প্রথমেই চেষ্টা করি পবিত্র কোরানে কি বলা হয়েছে । সেখানে গিয়ে যে প্রশ্নের পরিস্কার বোধগম্য উত্তর পাওয়া যায় সেখানে অন্য কোন তথ্য, মতবাদ বা ব্যাখা বিশ্লেষনের কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়না । তার পরেও যদি তা বুঝতে কোন অসুবিধা হয় তাহলেতো পবিত্র হাদিছ আছেই । এর বাইরে যাওয়ার কি কোন প্রয়োজন আছে । এখন আসা যাক মুল কথায় - মাজহাব ক্বোরআন ও হাদীসের বাইরের না ভিতরের তা একটু দেখা যাক কোনটা আগের আর কোনটা পরের এবং কে কোনটা তৈরী করেছেন এবং কে বা কারা তা আনুসরন করতে বলেছেন এবং কোনটা অনুসরণ করলে ফলটা কি দাঁড়াতে পারে আখেরে ।

বর্তমানে সারাবিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা আড়াইশো কোটিরও বেশী। অমুসলিমদের কাছে আমরা অর্থাৎ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা মুসলমান বলে পরিচিত হলেও মুসলিমরা নিজেদের মধ্যে অনেক নামে পরিচিত। যেমন, হানাফী, শাফেয়ী, মালেকী, হাম্বলী প্রভৃতি। এই নাম গুলি আল্লাহ বা মুহাম্মাদ (সা) এর দেওয়া নয় এমনকি যাঁদের নামে এই মাযহাব তৈরি করা হয়েছে তারাও এই নাম গুলো দেননি। মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত চারটি মাযহাব, দল বা ফিকাহ ইসলামের কোনো নিয়ম বা বিধান মেনে কি তৈরি করা হয়েছে ? এক কথায় বলা যায় হয়নি। কারন ইসলাম ধর্মে কোনো দলবাজী ( মাজহাবের আভিধানিক অর্থ দল ) বা ফিরকাবন্দী নেই।

মুসলমানদের বিভক্ত হওয়া থেকে এবং ধর্মে নানা মতের সৃষ্টি করা থেকে কঠোরভাবে সাবধান করা হয়েছে। এই মাযহাবগুলো রসুল (সা.) এবং সাহাবাদের (রা.) সময় সৃষ্টি হয়নি। এমনকি ঈমামগনের সময়ও হয়নি। চার ইমামের মৃত্যুর অনেক বছর পরে তাঁদের নামে মাযহাব তৈরি হয়েছে। কোরআন হাদীস ও চার ইমামের দৃষ্টিতে মাযহাব কি, কেন, মাযহাব কি মানতেই হবে, মাযহাব মানলে কি গোনাহ হবে, সে সব বিষয় নিয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি তার কিছু তুলে দিলাম । আশা করি এ বিষয়ে আপনার মত ইসলামিক বিষয়ে বিদ্ধান একজনের কাছ হতে মুল্যবান কিছু আলোচনা শুনতে পারব । এবং নীজের ভুলভ্রান্তি কিছু থাকলে তা শুধরাতে পারব ।

মুসলমানেরা যাতে বিভিন্ন দলে আলাদা বা বিভক্ত না হয়ে যায় সে জন্য আল্লাহ পাক আমাদেরকে কঠোরভাবে সাবধান করেছেন। যেমন আল্লাহ তা’আলা কুরআনের সূরা আন-আমর এর ১৫৯ নম্বর আয়াতে বলেছেন ‘যারা দ্বীন সন্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন, দলে বিভক্ত হয়েছে হে নবী! তাদের সাথে তোমার কোনও সম্পর্ক নেই; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অবগত করবেন। আল্লাহ তা’আলা সরাসরি বলেছেন যারা দ্বীন বা ধর্মে অর্থাৎ ইসলামে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভক্ত হয়েছে, তাদের সাথে আমাদের নবী মহাম্মাদ (সা) এর কোনো সম্পর্ক নেই। যার সাথে নবীজীর (সা) কোনো সম্পর্ক নেই সে কি মুসলমান? সে কি কখনো জান্নাতের গন্ধও পাবে। তাহলে বিশ্বাস করে অআমাদের অবস্থাটি শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়াতে পারে বলে মনে হয় , এটা একটা গভীর চিন্তার বিষয়, কোন ভুল করে গেলে দুনিয়াতে ফিরে এসে তা সংশোধনের উপায় কি কিছু আছে । তাই যতদুর পারা যায় এপারে থাকতেই ভুল ভ্রানিতির বিষয়ে যতদুর পারা যায় সাবধান হতে হবে ।

আমরা মুসলমান কোরআন হাদীস মানি এটাই আমাদের একমাত্র পরিচয়। আল্লাহ বলেন এবং তোমাদের এই যে জাতি,সেতো একই জাতি; এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক, অতএব আমাকে ভয় করো। (সূরা মুউমিনুন ২৩/৫২)। তাই বলা যায় ফরজ ওয়াজীব ভেবে যা অনেকেই মেনে চলছেন আল্লাহ তা মানতে কত কঠোরভাবেই না নিষেধ করেছেন তবে শুধু এইটুকুই নয় আল্লাহ আরও অনেক আয়াতে এ ব্যাপারে মানুষকে সাবধানবানী শুনিয়েছেন। যেমন সূরা রূমের একটি আয়াত দেখা যায় যেখানে আল্লাহ পাক বলছেন ‘….. তোমরা ঐ সকল মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না যারা নিজেদের দ্বীনকে শতধা বিচ্ছিন্ন করে বহু দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক দল নিজেদের কাছে যা আছে তা নিয়ে খুশি’ – (সূরা রুম ৩০/৩১-৩২)।

বর্তমানে আমাদের সমাজের অবস্থাও ঐকমই । ইসলামকে তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত করেছেন এবং তাদের নিজেদের কাছে যা আছে তা নিয়েই তাঁরা খুশি। তাঁদের সামনে কোনো কথা উপস্থাপন করলে তাঁরা বলেনা যে কুরআন হাদীসে আছে কি না। তাঁরা বলেন আমাদের ইমাম কি বলেছে। এরা কুরান হাদীসের থেকেও ইমামের ফিকাহকে অধিক গুরুত্ব দেয়। অথচ ইসলামের ভিত্তি হচ্ছে কুরআন হাদীস। তা ছাড়া অন্য কিছু নয়।

উপরের আয়াতে আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপদেশ দিয়েছেন তোমরা ইসলামে মাযহাবের সৃষ্টি করো না। অথচ আমরা কুরআনের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে দ্বীনে দলের সৃষ্টি করেছি এবং নিজেকে হানাফী, মালেকী বা শাফেরী বলতে গর্ব অনুভব করছি। আল্লাহ বলেন ‘হে ইমানদারগন তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সামনে অগ্রগামী হয়ো না, এবং আল্লাহকে ভয় করো; আল্লাহ সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী (সূরা হুরুরতে/০১) তাই বলা যায় এরকম কোরআনের স্পষ্ট নির্দেশ জানার পরও কি কেও মাযহাবে বিশ্বাসী হতে পারেন ।

পরম শ্রদ্ধেয় ইমামগন মাযহাব সৃষ্টি করেননি এটা অনেক ইসলামী চিন্তাবিদদের বক্তব্য । ভারতবর্ষের বিখ্যাত হাদীসশাস্ত্রবিদ ও হানাফী মতাবম্বিদের শিক্ষাগুরু যাকে হানাফীরা ভারতবর্ষের ‘ইমাম বুখারী’ বলে থাকেন সেই শাহ আলিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী (রহ) বলেছেন – ‘ই’লাম আন্না না-সা-কা-নু ক্কারলাল মিআতির রা-বিআতি গাইরা মুজমিয়ীনা আলাত্-তাকলীদিল খা-লিস লিমায় হাবিন্ ওয়া-হিদিন্ বি-আইনিহী’ অর্থাৎ তোমরা জেনে রাখো যে, ৪০০ হিজরীর আগে লোকেরা কোন একটি বিশেষ মাযহাবের উপর জমে ছিল না’ (হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগাহ; ১৫২ পৃষ্ঠা)। অর্থাৎ ৪০০ হিজরীর আগে নিজেকে হানাফী, শাফেরী বা মালেকী বলে পরিচয় দিতো না। আর চারশো হিজরীর অনেক আগে ইমামরা ইন্তেকাল করেন। ইমামদের জন্ম ও মৃত্যুর সময়কালটা একবার জানা যাক তাহলে ব্যাপারটা আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে।
ইমামের নাম জন্ম মৃত্যু
আবু হানীফা (রহ) ৮০ হিজরী ১৫০ হিজরী
ইমাম মালেক (রহ) ৯৩ হিজরী ১৭৯ হিজরী
ইমাম শাকেরী (রহ) ১৫০ হিজরী ২০৪ হিজরী
আহমদ বিন হাম্বাল (রহ) ১৬৪ হিজরী ২৪১ হিজরী

বিশিষ্ট হানাফী বিদ্বান শাহ ওলিউল্লাহ দেহেলভী (রহ) এর কথা যদি মেনে নেওয়া যায় যে ৪০০ হিজরীর আগে কোনো মাযহাব ছিল না, এবং ৪০০ হিজরীর পরে মানুষেরা মাযহাব সৃষ্টি করেছেন, তার মানে এটা দাঁড়ায় যে আবু হানীফার ইন্তেকালের ২৫০ বছর পর হানাফী মাযহাব সৃষ্টি হয়েছে। ইমাম মালেকের ইন্তেকালের ২২১ বছর পর মালেকী মাযহাব সৃষ্টি হয়েছে। ইমাম শাফেয়ীর ইন্তেকালের ১৯৬ বছর পরে শাফেয়ী মাযহাব এবং ইমাম আহমাদের ইন্তেকালের ১৫৯ বছর পর হাম্বলী মাযহাব সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ ইমামদের জীবিত অবস্থায় মাযহাব সৃষ্টি হয়নি। তাঁদের মৃত্যুর অনেকদিন পরে মাযহাবের উদ্ভব হয়েছে। আর একবার চিন্তা করলে দেখা যাবে মাযহাব বা দল সৃষ্টি করাতে কোরআন ও হাদিসে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মহামান্য ইমামরা ছিলেন কোরআন হাদীসের পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসারী এবং ধর্মপ্রান মুসলিম। তাঁরা কি কোরআন হাদীসকে উপেক্ষা করে মাযহাব তৈরি করবেন যা কঠোরভাবে আল্লাহ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছেন , এটা কি কখনো হতে পারে? যারা বলেন ইমামরা মাযহাব সৃষ্টি করেছেন তাদের কথা কি আদৌ যুক্তিপুর্ন ।

আজ এ পর্যন্তই , এ বিষয়ে আশা করি অআপরার মুল্যবান আলোচনা হতে অনেক কিছু জানতে পারব ও আমার বিশ্বাসের বা ঈমানের ভিত্তিকে আরো অনেক মজবুত করতে পারব।

যাই হোক, আপনি যতার্থই বলেছেন মুসলমানদের দলের সংখ্যা বাড়িয়ে মূলত কোন লাভ নেই । তাই দোয়া করি আল্লাহপাক বিশেষ রহমতের মাধ্যমে বিভাজন মিটিয়ে না দিলে এইসব বিভাজন মিটার কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা বরং দিনদিন বিভাজন বাড়ছেতো বাড়ছেই।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল । আল্লাহ সহায় হোন । অামীন

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন,‘ইন্নাল্লাযিনা তাফাররাকু দ্বীনাহুম ওয়াকানু শীয়াআন লাসতা মিনহুম ফি শাইয়িন, ইন্নামা আমরুহুম ইলাল্লাহি, ছুম্মা ইউনাব্বিয়ুহুম বিমা কানু ইয়াফয়ালুন – যারা তাদের দ্বীনকে পৃথক করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য তোমার কিছুই করার নেই।তাদের কাজের বিষয় আল্লাহর দায়িত্বে। অতঃপর আল্লাহ তাদের কাজের বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করবেন’।সূরা আনআম-১৫৯।
এ সংক্রান্ত প্রথম তিনটি দল হলো মোনাফেক, যাকাত অস্বীকারকারী ও ভন্ড নবীর অনুসারী দল।কারণ মুসলমানদের আমলের সাথে তাদের আমলের মিল ছিলনা। মোনাফেকদের কথা আল্লাহ বলেছেন,‘ইন্নাল মুনাফিকুনা হুমুল কাযিবুন – মোনাফেকেরা মিথ্যাবাদী।যাকাত অস্বীকারকারীরা ইসলামের একটি ভিত্তি অস্বীকার করেছে।ভন্ড নবীর অনুসারীদের সঠিকতার কোন প্রমাণ নেই বরং বেঠিকতার প্রমান আছে।
শীয়ারা বলে প্রথম ইমাম হজরত আলী (রাঃ), তারা হজরত আবুবকর (রাঃ), হজরত ওমর (রাঃ) ও হজরত ওসমানকে (রাঃ)অস্বীকার করে। সুতরাং তাদের দ্বীনে ঘাটতি পড়েছে। যারা হজরত আবুবকর (রাঃ), হজরত ওমর (রাঃ) ও হজরত ওসমানকে (রাঃ) স্বীকার করে তাদের শতকরা হার নব্বই আর শীয়াদের শতকরা হার দশ।যেহেতু চোখ থেকে দেহ আলাদা হওয়া সম্ভব নয় কারণ দেহ চোখে থাকেনা বরং দেহ থেকে চোখ আলাদা হওয়া সম্ভব কারণ চোখ দেহে থাকে। বড় ছোট থেকে আলাদা হতে পারেনা কারণ ছোটতে বড় থাকতে পারেনা। নব্বইতে দশ থাকা সম্ভব হলেও দশে নব্বই থাকা কিছুতেই সম্ভব নয়। সুতরাং আয়াত ও বাস্তবতার আলোকে দ্বীন পৃথক করেছে শীয়া।সুতরাং তারা বিভ্রান্ত।
খারেজীরা হজরত আলীকে (রাঃ) অস্বীকার করে অথচ তাঁকে স্বীকার করে শতকরা নিরানব্বই জন।সুতরাং আয়াত ও বাস্তবতার আলোকে দ্বীন পৃথক করেছে খারেজীরা। সুতরাং তারা বিভ্রান্ত।
আহলে ছুন্নাতের চারমাযহাব শতকরা ৮৭ জন, শীয়া খারেজী ও অন্নান্য মাযহাব শতকরা বার জনের বেশী মোট মাযহাবী বা তাকলিদী শতকরা নিরানব্বই জনের বেশী আর আহলে হাদীস বা লা মাযহাবী বা গাইরে তাকলিদী শতকরা একভাগের কম।সুতরাং আয়াত ও বাস্তবতার আলোকে দ্বীন পৃথক করেছে আহলে হাদীস বা লা মাযহাবী বা গাইরে তাকলিদীগন ।সুতরাং তারা বিভ্রান্ত।এ ফিতনার শায়েখ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাই বাংলাদেশে জঙ্গি আমদানী করেছে। যা এখনো চলছে।এদের একজন নেতা ডাঃ জাকির নায়েক। এরা নামাজে বুকে হাত বাঁধে। এরা নিজেদের আহলে হাদীস দাবী করে যদিও তারা আসলে হাদীস মানেনা। আচ্ছা একটা হাদীস মেনে দশটা খেলাফ করলে তাকে কি হাদীস মানা বলে? ক্বোরআনের সাথে এদের আমলের মহা গরমিল বিধায় আহলে ক্বোরআন নাম না নিয়ে এরা আহলে হাদীস নাম নিয়ে মুসলিম মিল্লাতকে বিভ্রান্ত করার কাজে নেমেছে। অনেক টাকা দিয়ে এরা ভাড়াটিয়া ডাঃ জাকির নায়েককে দলের দায়ী বানিয়েছে নিজেদের জাতে তোলার জন্য। হাদীসে এদের কথা বলা হয়েছে যে চিত্তাকর্ষক কথা দ্বারা এরা লোকদের বিভ্রান্ত করবে। যার মধ্যে সামান্য এলেম আছে সে সহজে এদের ধোকাবাজি ধরতে পারে। আর যার এলেম নেই তার কথা বলে আর কি লাভ! আল্লাহ এ ভয়াবহ ফেতনা থেকে আমাদেরকে হেফাজত করুন – আমিন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
দয়া করে ১৫ নং মন্তব্যের ঘরে প্রতি উত্তরটি দেখে নিন ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মহানবী (সঃ) তাঁর বিদায় হজ্জের ভাষনে ক্বোরআন ও হাদীস আঁকড়ে ধরলে হেদায়েত পাওয়ার কথা বলেছেন।তথাপি সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) হাদীস সংকলন করতে দেননি, মানুষ ক্বোরআনের চেয়ে হাদীসের গুরত্ব বেশী দেবে বলে। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) মক্কা মদীনা ও কুফা থেকে সত্তর হাজার হাদীস সংগ্রহ করে সেগুলোর সাথে ক্বোরআনের সমম্বয় করে ফিকাহ সংকলন করলেন। আর এভাবে আল্লাহ ফিকাহতে হাদীস সংরক্ষণ করলেন।সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) বিরুদ্ধে গিয়ে ইমাম আবু হানিফা (রঃ) হাদীস সংকলন করা থেকে বিরত থাকলেন।তাঁর দু’শ বছর পর হাদীস সংকলকগন হাদীস সংকলন করলেন।এখন সহাবায়ে কেরাম (রাঃ) যে আশংকা করেছিলেন সেটাই সত্য হলো।একদল লোক ক্বোরআনের চেয়ে হাদীসের গুরুত্ব বেশী দিয়ে নিজেদের নাম রাখল, ‘আহলে হাদীস’।
মক্কা মদীনা ও কুফায় যারা হাদীস বর্ণনা করতেন ইমাম আবু হানিফা (রঃ) তাদের কাউকে বাদ না দিয়ে সবার সব হাদীস গ্রহণ করলেন।তাঁর দু’শ বছর পর তিনি যে হাদীস পাননি সে হাদীস হাদীস সংকলকেরা কোথায় পেল সেটা কোটি টাকার প্রশ্ন। সে হাদীস যদি মক্কা মদীনার বাইরে পাওয়া গিয়ে থাকে তাও একটা প্রশ্ন। কারণ মক্কা মদীনার লোকেরা যে হাদীস জানেনা সেটা অন্য এলাকার লোকেরা কিভাবে জানে? মহানবীতো (সঃ) মক্কা মদীনায় বসবাস করতেন! তিনি একা কখনো মক্কা মদীনার বাইরে বসবাস করেছেন কি? কাজেই ইমাম আবু হানিফা (রঃ) না পাওয়া হাদীস, তার দু’শ বছর পর হাদীস সংকলকদের পাওয়ার মাঝে কিছু কথা থেকে যায়।বাস্তব কথা হলো ইমাম আবু হানিফা (রঃ) সেসব হাদীস পেয়েছন কিন্তু গ্রহণ করেননি। কারণ সেসব হাদীসছিল মানসুখ। আর মানসুখ হাদীসের আমল করলে আমল বরবাদ হয়।
আচ্ছা মহানবীর (সঃ) সব হাদীস কি সব সাহাবা (রাঃ) জানতেন? না জানলে সে অনুযায়ী আমল করতেন কি ভাবে? এখন বোখরীর (রঃ) দু’একটি হাদীসের সাথে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) ফতোয়া না মিল্লে ইমামের অনুসরন না করে ফিতনা করা কি খুব জরুরী? ফিতনাতো হারাম। ছুন্নত পালনের জন্য তবে কি হারামের আমল করতে হবে? অতি বুদ্ধি আর কাকে বলে।কিন্তু ওগুলো ছুন্নত নয়। কারণ মানসুখ হাদীসের আমল আপনি নামাজে করলে তা’ আমলে কাছির হিসেবে গন্য হয়ে আপনার নামাজ বরবাদ করবে।কাজেই এগুলো ইবলিশি খেয়াল যা মুসলমানদের আমল বরবাদ করার জন্য আহলে হাদীস করে থাকে।
মুসলমানরা দেড় হাজার বছর একরকম ইবাদত করেছেন। এখন আহলে হাদীসগন বলছে ভিন্ন কথা। তবেকি এতকাল মুসলমানগন ভুল পথেছিল? আর আহলে হাদীস আধুনিককালে এসে একটা শুদ্ধপথ আবিষ্কার করল। এ এক মহা বিস্ময়কর কথা।বাস্তবে সবটাই শয়তানী। আর তা’মুসলমাদের বিভ্রান্ত করার জন্য।
হাদীস গ্রন্থ সমূহে সে সব হাদীস কেন আছে তা’তো পরিস্কার! আর তা’হলো একদা মহানবী (সঃ) এমন করতেন সে কথা মানুষকে জানানো। তারপর তিনি (সঃ) তা’ বাদ দেওয়ায় ইমাম সে অনুযায়ী ফতোয়া দেননি। এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। তথাপি যারা বিভ্রান্ত হয়েছে তারা শীয়া খারেজীদের মতই বিভ্রান্ত। তাদের সাথে মুসলমানের কোন সম্পর্ক নেই।আমি ঠিক করেছি আমার তিন মেয়ের কোন মেয়েকে এদের কোন ছেলের সাথে বিয়ে দেবনা। আল্লাহ এসব বিভ্রান্ত সম্প্রদায় থেকে আমাদের হেফাজত করুন - আমিন।
বিঃদ্রঃ ক্বোরআনের সব আয়াত যেমন বিধি-বিধান সংক্রান্ত নয়, তেমনি সব হাদীসও বিধি-বিধান সংত্রান্ত নয়।বিধি বিধান সংক্রান্ত ক্বোরআন ও হাদীস নিয়ে ইসলামী আইন শাস্ত্র ফিকাহ।মহানবী (সঃ) ক্বোরআন ও হাদীস আঁকড়ে ধরতে বলেছেন, বিধিবিধান সংক্রান্ত বিষয়ে এ ক্ষেত্রে ফিকাহ টু ইন ওয়ান।
আহলে হাদীসগণ ইসলামের মিমাংসীত বিষয় অমিমাংসীত করে মুসলমানদের বাহাস বিতর্কে লিপ্ত করে বেহুদা কাজে তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে অমুসলীমদের সামনে মুসলমানদের বেউকুফ হিসেবে উপস্থাপন করছে। তারা এখন তারা দাঁত কেলিয়ে হাসছে আর বলছে যারা দেড়হাজার বছরে ঠিক করতে পারেনা নামাজে হাত কোথায় বাঁধবে তারা নাকি শুদ্ধ, আমরা নাকি ভুল? এবার বুঝুন এরা মুসলমানদের কতটা হেয়নেস্তা হওয়ার কারণ।সময় থাকতে সবাই মিলে এদের প্রতিরোধ করতে না পারলে এ ফেতনা মুসলমানদের অস্তিত্ব সংকটের কারণ হতে পারে।আর এ জন্য ইসলাম বিরোধীরা এদের মদদ দিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
দয়া করে ১৫ নং মন্তব্যের ঘরে প্রতি উত্তরটি দেখে নিন ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ বলেন,‘ওয়ালা তাফাররাকু – তোমরা পৃথক হয়োনা’ সুতরাং যারা মুসলমানদের থেকে পৃথক হয় তারা ইসলামের বাইরে চলে যায়।উহুদ যুদ্ধে একহাজার মুসলমান থেকে তিনশত মুনাফিক আলাদা হয়েছে। ক্বোরআন ও হাদীস উভয় এদের মুসলমান নয় বলে ঘোষণা দিয়েছে। যদিও এরা আগ কাতারে জামাতে নামাজ পড়তো।
ক্বোরআনতো বল্লাম এবং যে ঘটনা বল্লাম উহা হাদীস। উভয় অনুযায়ী যারা সংখ্যায় কম তারা পৃথক হয়েছে যারা সংখ্যায় বেশী তাদের থেকে এবং সংখ্যায় কম যারা আলাদা হয়েছে তাদেরকে ক্বোরআন ও হাদীস মুসলমান নয় বলে ঘোষণা দিয়েছে। যদিও তারা ছিল অতি হুজুর।
আর কিয়াছ বলে চোখ থেকে দেহ আলাদা হওয়া অসম্ভব। কারণ চোখের ভিতর দেহ থাকেনা। বরং দেহ থেকে চোখ আলাদা হওয়া সম্ভব। তেমনি আশি থেকে বিশ আলাদা হওয়া সম্ভব কিন্তু বিশ থেকে আশি আলাদা হওয়া সম্ভব নয়। কারণ বিশের ভিতর আশি নেই বরং আশির ভিতর বিশ আছে। সুতরাং ইসলামে রয়েছে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী শতকরা আশিভাগ মুসলমান। আর তাদের থেকে পৃথক হয়ে বিশ ভাগ ইসলাম থেকে বাইরে চলে গেছে।
যেহেতু আশিভাগ মুসলমান ইমাম আবু হানিফার অনুসারী সুতরাং সংখ্যা গরিষ্ঠ উম্মত বা আলেমের মত বা ইজমায়ে উম্মতও ইমাম আবু হানিফার (সঃ) অনুসারীদের পক্ষে।সুতরাং ইসলামের চার মূলনীতি ক্বোরআন হাদীস ইজমা ও কিয়াছ অনুযায়ী বিশুদ্ধ ইসলাম হলো ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ইসলামের যে পথ দেখিয়েছেন সে পথে চলা।
ইমাম আবু হানিফার (রঃ) ইসলামের পথ দেখানোর দরকার হয়েছিল, এর মধ্যে মুসলমান বহু দল হয়ে গিয়েছিল সেই কারণে। ক্বোরআনে আছে সংখ্যা গরিষ্ঠের মত ভুল হতে পারে। তেমন ঘটনা ঘটেছে বদর যুদ্ধে। বন্ধি মুক্তি বিষয়ে অধিকাংশের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে ক্বোরআন সনাক্ত করে কিন্তু ক্বোরআন সে সিদ্ধান্ত বাতিল করেনি। বরং অধিকাংশের ভুল সিদ্ধান্তই কার্যকর হয়েছিল।
আমি আমার মতের পক্ষে অন্তত দশ হাজার প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারব –ইনশাআল্লাহ। তারপরো কারো পথ ভ্রষ্ট হতে মন চাইলে আমার কিছুই করার নেই।
বিঃদ্রঃ ডাঃ জাকির নায়েক ও তার দল আহলে হাদীস ইসলামের বাইরের একটি দল। তারা যাদের মুসলমান বানিয়েছে তারা মুসলমান না হয়ে আহলে হাদীস হয়েছে। আচ্ছা কেউ আহলে ক্বোরআন ওয়াল হাদীস না হয়ে শুধু আহলে হাদীস হলে তারাকি মুসলমান হয়? অবস্থাটা কি? মাথা আছে কিন্তু মগজ নেই।ক্বোরআন বাদ দিয়ে আহলে হাদীস হওয়াতো মগজহীন মাথার মতই। আচ্ছা কেউ যদি বলে ছেলেটা সর্ব রকমে ভাল শুধু মাথাটা নষ্ট তো এমন ছেলের কাছে কেউ মেয়ে দিবে কি? গিরিশ চন্দ্র সেন ক্বোরআনের অনুবাদ করলো বলেই কি তাকে মুসলমান বলা যাবে? তো ডাঃ জাকির ক্বোরআনের যারা ভুল ধরেছে তাদের মোকাবেলা করেছেন বলে তাঁকে মুসলমান বলতে হবে সেটা কেমন কথা? মুসলমান দাবী করলেই যদি কেহ মুসলমান হতো তবেতো মোনাফেকরাও মুসলমান। আচ্ছা আপনারাকি ‘হুদাল্লিল মুত্তাকীন’ কথাটা ক্বোরআনের শুরুতে পাননি? ক্বোরআনই যদি হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট হয় তবে ডাঃ জাকিরের অন্য ধর্ম গ্রন্থ অধ্যয়নের মানে কি? এর মানে একটাই জাকিরের দেখাদেখি মুসলমানেরা সেসব গ্রন্থ পড়বে এবং বিভ্রান্ত হবে।কারণ যাদের ক্বোরআনের জ্ঞান নেই তাদের সে সব গ্রন্থ ভাল লাগতে অসুবিধা কোথায়? সুতরাং হজরত আদমকে (আঃ) যে দরবেশভেসী ইবলিশ ধোকা দিয়ে ছিল এরা তারা। চিনতে ভুল করলে জাহান্নামের পথ পরিস্কার। আল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে অবিচল রাখুন- আমিন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
দয়া করে ১৫ নং মন্তব্যের ঘরে প্রতি উত্তরটি দেখে নিন ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইসলাম হলো আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি আত্মসমর্পণ। যেহেতু আল্লাহ একমাত্র শান্তি দাতা সেহেতু আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি আত্মসমর্পণ করলে শান্তি পাওয়া যায়। এ জন্য ইসলামের এক অর্থ শান্তি।যেহেতু আল্লাহর ইচ্ছার কথা আল্লাহ সবার কাছে বলেন না সেহেতু যাদের কাছে আল্লাহ তাঁর ইচ্ছার কথা বলেন তাদের তাকলীদ বা অনুসরন না করলে ইসলাম পাওয়ার কোন উপায় থাকেনা।কাজেই যাদের কাছে আল্লাহ তাঁর ইচ্ছার কথা বলেন নাই তাদের ইসলাম হলো আল্লাহ যাদের কাছে তাঁর ইচ্ছার কথা বলেছেন তাদের তাকলীদ বা অনুসরণ করা।সুতরাং তাদের জন্য তাকলীদ বা অনুসরনই ইসলাম।কাজেই তাকলীদের বিরোধীতা করা কুফুরী।
যেহেতু মহানবী (সঃ) ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে মাসয়ালা সমূহ লিপিবদ্ধ করেন নাই। সেগুলো লিপিবদ্ধ করেছেন ফিকাহ এর ইমাম আর সাধারণের পক্ষে ক্বোরআন ও হাদীস থেকে মাসয়ালা খুঁজে বের করে আমল করা সম্ভব নয় সেহেতু সাধারণের জন্য ইমামের তাকলীদ না করার অপারগতা বিদ্যমান।কাজেই যাদের ক্বোরআন ও হাদীস থেকে মাসয়ালা বের করে আমল করার অপারগতা রয়েছে তাদের জন্য ইমামের তাকলীদ করা ফরজ।কারণ এ ছাড়া তাদের পক্ষে আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী আমল করা সম্বব নয়।
আল্লাহর ইচ্ছা তাঁর বান্দা সব একদল হবে বহুদল হবেনা। আল্লাহর এ ইচ্ছা বাস্তবায়ন করতে হলে সবাইমিলে এক ইমামের তাকলীদ করতে হবে।নতুবা বহুদল হওয়া থেকে আত্মরক্ষা কারা যাবে না।ক্বোরআন ও হাদীস অনুযায়ী যে ইমামের অনুসারী বেশী সংখ্যক আল্লাহর বান্দা ও নবীর (সঃ) উম্মত সবাই মিলে সেই ইমামের তাকলীদ করতে হবে। সে হিসেবে সাব্যস্ত ইমাম হলেন ইমাম আবু হানিফা (রঃ)। সুতরাং আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে হলে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) তাকলীদ না করে উপায় নেই।আর এসময় ইমাম আবু হানিফার অনুসরনই একমাত্র ইসলাম। এর কোন বিকল্প নেই। ইমাম যেহেতু ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে মাসালা প্রদান করেছেন সেহেতু ইহাদের ইমামের তাকলীদ বাদ দিয়ে আহলে হাদীস হওয়ার দরকার পড়ল কেন, কিছুতেই বুঝা যাচ্ছে না।একদল থাকা যেখানে ফরজ সেখানে এরা দল থেকে পৃথক হয়ে ফরজ তরক করে কেমন কি আহলে হাদীস হয়? হাদীস কি এদের ফরজ তরক করতে বলেছে নাকি? এতো এক মহা অদ্ভুত বিষয়! আল্লাহ আমাদেরকে তাকলীদ বিরোধী ফিতনাবাজদের থেকে হেফাজত করুন – আমিন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
দয়া করে ১৫ নং মন্তব্যের ঘরে প্রতি উত্তরটি দেখে নিন ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মাযহাব অর্থ পদ্ধতি। পদ্ধতি হলো ক্বোরআন ও হাদীসের সমম্বয় করে বিধি নির্ধারন করে সেইমত জীবন যাপন। যে এটা নিজেপারে তাকে আর অন্যকে অনুসরন করার দরকার নেই।কিন্তু যে নিজে পারেনা তাকেতো যে পারে তাকে মানতেই হবে। এছাড়া উপায়কি? সুতরাং মাযহাব ক্বোরআন ও হাদীসের বাইরের জাতীয় কিছু নয়।যারা এর বিরোধীতা করে তারা বিভ্রান্ত।
মাযহাবের সংখ্যা বেশী হওয়ার কারণ যারা ক্বোরআন ও হাদীস সম্বয় করে বিধি নির্ধারন করতে পারতেন তাদের সংখ্যাছিল অনেক, তাদেরকে ইমাম বলা হতো। এর মধ্যে চারজনের অনুসারী ছিল।যার ফলে মাযহাব চারটি।
আহলে ক্বোরআন বলছে মাযহাব বাদ ক্বোরআন মানতে হবে। আহলে হাদীস বলছে মাযহাব বাদ হাদীস মানতে হবে।তারচেয়ে মাযহাবইতো ভাল কারণ এতে ক্বোরআন ও হাদীস দু’টোই রয়েছে।তবে আহলে হাদীস বলে তারা ক্বোরআনও মানে। তা মানে মানুক। কিন্তু ক্বোরআন ও হাদীস অনুযায়ী আগেই যেখানে মাযহাব চারটি হয়েছে এখন তবে একটি হবে কেমন করে? চার মাযহাব যদি থেকেই গেল তবে আহলে ক্বোরআন ও আহলে হাদীসের আর দরকার কি? সুতরাং একদল সিলেক্ট করতে লাগবে ইজমা।
ইজমা হিসেব করলে হানাফী মাযহাবে মুসলমান সংখ্যা শতকরা আশিভাগ আর বাংলাদেশে সে সংখ্যা শতকরা পঁচানব্বই ভাগ।সুতরাং হানাফী মাযহাবে সকলের একত্রিত হওয়া সংগত।
ঝামেলা হলো কয়খান হাদীসের সাথে হানাফী মাযহাবের মত মিলেনা।এর কারণ সেইসব হাদীস মানসুখ। যা আমল করলে ইবাদত বরবাদ হবে।আহলে হাদীস সে সব হাদীস মানসুখ মানতে নারাজ। তারা বলছে ইমাম আবু হানিফা (রঃ) সেই সব হাদীস জানতেন না বিধায় সে অনুযায়ী তিনি ফতোয়া দেননি।তাদের এ দাবী সঠিক নয়।
ইমাম আবু হানিফা (রঃ) খোলাফায়ে রাশেদার শেষ খলিফা হজরত আলীর (রাঃ) রাজধানী ইরাকের কূফার বাসিন্দা। তিনি ইসলাম পেয়েছেন তাদের কাছ থেকে যারা ইসলাম পেয়েছেন হজরত আলীর (রাঃ) কাছ থেকে। তারপর তিনি মক্কা ও মদীনায় ছয় বছর থেকে হাদীস সংগ্রহ করেছেন।তো যে হাদীস মক্কা মদীনা ও কূফায় ছিলনা সে হাদীস পরে কোথা থেকে এল? বিষয়টা অদ্ভুত। সুতরাং যে হাদীস ইমাম আবু হানিফা (রঃ) পাননি কিন্তু ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনেক পরে ইমাম বোখারী (রঃ) পেয়েছেন সে হাদীস তবে কি হতে পারে? এখন বোখারী যদি ছহী হয় তবে সেই হাদীস অবশ্যই মানসুখ।তারমানে ইমাম আবু হানিফাও (রঃ) সেই হাদীস পেয়েছেন তবে সে অনুযায়ী ফতোয়া দেননি উহা মানসুখ বলে।কাজেই এখন সেই সব মানসুখ ছহী হাদীসের উপর আমল করলে ইবাদত বরবাদ হবে।কাজেই কলিকালের আহলে ক্বোরআন ও আহলে হাদীসদের কথায় কান দিয়ে নিজের পায়ে নিজে কুড়োল মারার কোন দরকার নেই। মানতে হবে ইসলামের সোনালী যুগের ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ)।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
দয়া করে ১৫ নং মন্তব্যের ঘরে প্রতি উত্তরটি দেখে নিন ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মহানবী (সঃ) তাঁর উম্মতকে ক্বোরআন ও হাদীস অনুযায়ী জীবন যাপন করতে বলেছেন।কিন্তু বিভিন্ন হাদীস সংকলক যে সব হাদীস গ্রন্থ সংকলন করেছেন, এসব হাদীস গ্রন্থ যে মহানবীর (সঃ) হাদীসের সংকলন এমন কথা ক্বোরআন ও হাদীসে নেই।এখন হাদীসে না থাকলে যদি বেদাত হয় তবে এসব ক্বোরআন হাদীসের স্বীকৃতি বিহীন হাদীস গ্রন্থ সমুহের হাদীস মানাও বেদাত হবে।যেমনঃ বোখারী শরীফ যে হাদীস সংকলন এ কথা ক্বোরআন ও হাদীসে নেই।সূতরাং হাদীসে না থাকলে বেদাত হলে বোখারী শরীফ মানাও বেদাত।সুতরাং যে কথায় মাযহাব মানা বেদাত সেই একই কথায় লা মাযহাব ও আহলে হাদীস হওয়াও বেদাত। কারন তারা ইমামের তাকলীদ বাদ দিয়ে যে সব গ্রন্থ মানতে বলছে সে সব গ্রন্থের কোন স্বীকৃতি ক্বোরআন ও হাদীসে নেই।
হাদীস গ্রন্থ সমূহ ও ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন ইজমা স্বীকৃত। এখন ইমাম মাযহাব বা তাকলীদ কারীদের বাদ দিলে হাদীস গ্রন্থ সমূহ ও আহলে হাদীসদের পক্ষ থেকে ইজমাও ছুটে যায়।তখন আর সে গুলো হাদীস গ্রন্থই থাকেনা এবং এগুলোর অনুসারীরাও আহলে হাদীস থাকেনা।। আহলে হাদীসগন তাহলে কেমন কি আহলে হাদীস হয়?
শতকরা আশিভাগ মুসলমানের দল কখনো তাদের ইমাম আবু হানিফার (রঃ) তাকলীদ বাদ দিয়ে আহলে হাদীস মত স্বীকার করবে না। তাহলে আহলে হাদীস দলের সঠিকতার ভিত্তি কি? সুতরাং এরা ভিত্তিহীন ও ভুয়া।
হাদীসের ব্যাপারে হানাফীদের ইজমা হলো ইমামের মতের বিপরীত হাদীস মানা যাবেনা, তাই বলে ইমামের মতের পক্ষে ক্বোরআন ও হাদীস নেই ঘটনা এমন নয়।আমি ইমাম আবু হানিফার (রঃ) যে কোন মতের পক্ষে ক্বোরআন ও হাদীস উপস্থাপনে সক্ষম- ইনশাআল্লাহ।আর হানাফীদের বাদ দিলে আহলে হাদীস মতের পক্ষে ইজমাও থাকেনা। তো যাদের মতের পক্ষে না আছে ক্বোরআন না আছে হাদীস না আছে ইজমা তো তারা এ কোন পদের মুসলমান? ইমাম যেহেতু ক্বোরআন ও হাদীস অনুযায়ী ফতোয়া দিয়েছেন তো ইমামের ফতোয়া বাদ দিয়ে অন্য দিকে দৌড়ানোর মানে কি? সুতরাং ভিত্তিহীন এ দল থেকে দূরে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।আল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে অবিচল রাখুন - আমিন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
দয়া করে ১৫ নং মন্তব্যের ঘরে প্রতি উত্তরটি দেখে নিন ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন, ‘ওয়ালা তাফাররাকু – তোমরা আলাদা হয়োনা’। মহানবী (সঃ),‘ইন্নাল্লাহা লা ইয়াজমায়ু উম্মতিন আলা দালালাতিন – আল্লাহ আমার উম্মকে পথ ভ্রষ্টতার উপর ঐক্যবদ্ধ করেন না।তিনি আরো বলেছেন,‘ কুল্লু বিদয়াতিন দলালাহ – প্রত্যেক নতুন আবিষ্কার পথ ভ্রষ্টতা’।
সাধারনত ছোটকে বড় থেকে ছোটকে আলাদা ধরা হয়। যেমন বলা হয়, আঙ্গুল থেকে নখ কাটা হয়, এটা বলা হয়না যে, নখ থেকে আঙ্গুল কাটা হয়। মাথা থেকে চুল কাটা হয় চুল থেকে মাথা কাটা হয় না। গরু থেকে লেজ কাটা হয়, লেজ খেকে গরু কাটা হয়না।মাছ থেকে আঁইশ ফেলা হয়, আঁইশ থেকে মাছ ফেলা হয়না। ফল থেকে খোসা ফেলা হয়, খোসা থেকে ফল ফেলা হয় না।
বাস্তবতা হলো, মোনাফেকরা সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) থেকে আলাদা হয়েছে, যারা ছিল ছোট দল এবং নতুন আবিষ্কার। জাকাত অস্বীকারকারী ও ভন্ড নবীর অনুসারীরা সাহাবয়ে কেরাম (রাঃ) থেকে আলাদা হয়েছে, যারা ছিল ছোট দল এবং নতুন আবিষ্কার।হজরত ওসমানের (রাঃ) হত্যাকারীরা সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) থেকে আলাদা হয়েছে,যারা ছিল ছোট দল এবং নতুন আবিষ্কার।খারেজী ও শীয়া সম্প্রদায় সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) থেকে আলাদা হয়েছে, যারা ছিল ছোট দল এবং নতুন আবিষ্কার।সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) পর শতকরা আশিভাগ মুসলমানের দল ইমাম আবু হানিফার (রঃ)অনুসারী দল থেকে যারা পৃথক হয়েছে তাদের প্রত্যেকে ছোট দল এবং নতুন আবিষ্কার।সুতরাং ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী দলকে পবিত্র ক্বোরআন ও হাদীস ইসলামের সঠিক ও মূল দল প্রমাণ করে এবং যারা এর বিপরীত তাদেরকে পথভ্রষ্ট প্রমাণ করে।
ইমামের ফতুয়াতে রয়েছে ক্বোরআন ও হাদীস, সুতরাং যারা হাদীসের অনুসারী আহলে হাদীস তাদেরকে সঠিক আর ইমামের অনুসারীদেরকে বেঠিক বলার কোন সুযুগ নেই। আর ইমামের কোন কোন ফতুয়া ক্বোরআন ও হাদীসের পরিপন্থি নয় বিধায় মুসলমানেরা ইমামের অনুসারী।ইমামের সকল ফতোয়া ক্বোরআন ও হাদীস সম্মত প্রমাণে আমি সক্ষম – ইনশাআল্লাহ।আর কোন ছহী মানসুখ হাদীসের সাথে ইমামের ফতোয়া না মিলাই স্বাভাবিক। কারণ ছহী মানসুখ হাদীসের বিধান রহিত। আর ছহী মানসুখ হাদীসের আমল ইবাদত বরবাদ করে। ইমামের ফতোয়া হাদীসের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া না গেলেও ক্বোরআনের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যাবে – ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদেরকে যাবতীয় ফেতনা থেকে হেফাজত করুন এবং সত্যের পথে অবিচল রাখুন আমিন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
দয়া করে ১৫ নং মন্তব্যের ঘরে প্রতি উত্তরটি দেখে নিন ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বাংলায় বলে দলাদলি, ইংরেজীতে বলে গ্রুপিং, আর আরবীতে বলে ফিতনা। ক্বোরআন ও হাদীস অনুজায়ী ফিতনা জঘন্যতম অপরাধ। এর দ্বারা মুসলমানদের যতটা ক্ষতি হয়েছে তা’ অপরিমেয়। কাজেই ফিতনা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এরসাথে যারা জড়িত তারা কঠিনতম হিসেবের সমক্ষীণ হবে। এবার তিনি যতবড় ইমাম ও আলেম হননা কেন তার রক্ষা নেই।
ফিতনা স্বাব্যস্ত হয়, ‘ওয়ালা তাফাররাকু – পৃথক বা আলাদা হয়োনা’ আয়াতাংশ দ্বারা।যেহেতু কম থেকে বেশী পৃথক হওয়া সম্ভব নয় সেহেতু বেশী থেকে কম পৃথক হওয়া সাব্যস্ত। কুড়ি বা বিশ থেকে আশি পৃথক হওয়া সম্ভব নয় কারণ আশি, কুড়ি বা বিশে নেই, আর আশি যদি কুড়ি বা বিশে না থাকে তবে পৃথক হবে কেমন করে? কিন্ত একশ থেকে কুড়ি বা বিশ পৃথক হওয়া সম্ভব কারণ কুড়ি বা বিশ একশ এর মধ্যে পাঁচবার রয়েছে। আর এ ভাবেই শতকরা একশ জন মুসলমান থেকে কুড়ি বা বিশ জন আলাদা হয়ে ফিতনা হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে।আর সঠিক শতকরা আশি জন ইসলামের মহা সড়কে রয়েছে যারা ইমাম আবু হানিফার অনুসারী।ইসলামের মহা সড়ক মহানবী (সঃ) থেকে শুরু হয়ে খোলাফায়ে রাশেদীন ও ইমাম আবু হানিফা (রঃ) হয়ে চলমান রয়েছে যা আমি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করেছি।
ফিতনা প্রথম করেছে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের দল, তারপর হজরত ওসমানের (রাঃ)হত্যাকারী আত্মস্বীকৃত পাঁচ হাজার খুনী, তারপর খারেজী, তারপর শীয়া, তারপর মুতাজেলা, তারপর কাদিয়ানী, বর্তমানে রয়েছে আহলে হাদীস।এছাড়াও ছোট খাট অনেক দল রয়েছে।
বিবাদ না করায় ও মুসলমানদের ক্ষতির আলামত না থাকায় মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বলীদের ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তবে এসব দলের অনুসারীদের যতদ্রুত সম্ভব মূল দলে মিশে যাওয়া দরকার।কারণ ইসলামের মহাসড়কের যাত্রীদল ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারীদের মাঝে ক্বোরআন ও হাদীসের খেলাফ কিছুই নেই।যে সব হাদীস দিয়ে ইসলামের মহা সড়কের যাত্রীদলের সাথে ইখতিলাফ করে মুসলমানদের সাথে বিভেদ তৈরীর অপচেষ্টা করা হয় সে সব হাদীস মূলত মানসুখ বা রহিত। যার উপর আমল করলে ইবাদত বরবাদ হবে।আর ইমাম আবু হানিফার (রঃ) ছাত্রদের তার সাথে মতভেদের কথা বেদরকারী কথা কারণ তাঁরা তাঁর ঘরের লোক।তাদের কাজ ভুল সংশোধন, ফিতনা নয় কারণ তারা দল থেকে আলাদা হয়ে পৃথক দলে সামিল হননি।ইমাম মালেক (রঃ), ইমাম শাফেয়ী ও আহমদ ইবনে হাম্বলের বেলায়ও যদি তেমন ঘটতো হবে ভাল হতো। আলাদা দল হয়ে সমস্যা হয়ে গেল। কারন ক্বোরআন ও হাদীস মুসলমানদের এক দলের বেশী অনুমোদন করে না।
ইমাম বোখারী (রঃ)সহ আইম্মায়ে মুহাদ্দেসীন (রঃ), আইম্মায়ে মুজতাহিদীন (রঃ) সহ যারা ইজতিহাদ করেছেন তারা ইজতিহাদ করায় ভুল করেও ছাড়া পাবেন। কিন্তু বিনা ইজতিহাদে ইজমা থেকে আলাদা হয়ে পৃথক দলে সামিল হলে ছাড়া পাওয়ার পথ থাকবেনা। এক্কেবারে সোজা জাহান্নামে যেতে হবে।কেউ নিজেকে মুজতাহীদ দাবী করলেও কাজ হবেনা, যদি না তাঁর মুজতাহীদ হওয়ার ব্যাপারে মুসলমানদের স্বীকৃতি না থাকে।আর মুজতাহীদ না হলে ‘ইকতাদাইতু বি হাজাল ইমাম’ ছাড়া মুক্তির ভিন্ন কোন পথ নেই। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে অবিচল রাখুন - আমিন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
দয়া করে ১৫ নং মন্তব্যের ঘরে প্রতি উত্তরটি দেখে নিন ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মহানবী (সঃ) বলেছেন তাঁর উম্মত তিহাত্তর দল হবে তার মধ্যে একদল জান্নাতি আর বাহাত্তর দল জাহান্নমী।কোন দল জান্নাতি আর কারা জাহান্নামী এটা সবচেয়ে ভাল বলতে পারেন মহান আল্লাহ, তিনি বলেছেন, ‘ওয়াতাসিমু বি হাবলিল্লাহি জামিয়াও ওয়ালা তাফাররাকু – তোমরা একত্রে আল্লাহর দড়ি ধর আলাদা হয়োনা’।তারমানে আল্লাহ বলেছেন যারা একত্রে আল্লাহর পথে চলে এবং আলাদা হয়না তারা জান্নাতি আর যারা আলাদা হয় তারা জাহান্নামী।ক্বোরআনিক এ সূত্রে যারা মহানবীকে (সঃ) মেনে চলতো সেইসব সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)জান্নাতি ছিলেন আর যারা মুসলমান পরিচয় দিয়েও সাহাবায়ে কেরাম (রঃ) থেকে আলাদা হয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই নামক মোনাফেককে মেনে চলে মোনাফেক হয়ে গিয়েছিল তারা জাহান্নামী ছিল।একই ভাবে জাকাত অস্বীকারকারী, ভন্ড নবীর অনুসারী, হজরত ওসমানের (রাঃ) হত্যাকারীরা, খারেজী ও শীয়া সম্প্রদায় সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) থেকে আলাদা হয়ে জাহান্নামী হয়েছে।সাহাবায়ে কেরামের পর শতকরা আশিভাগ মুসলমান ক্বোরআন ও হাদীস পালনে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী হয়ে জান্নাতি দলে সামিল হয়েছে।
উপরে যে ক্বোরআনিক সূত্রের কথা বলা হয়েছে এর নাম ইজমা বা সংখ্যা গরিষ্ঠ উম্মতের মত।মহানবী (সঃ) তাঁর সারা জীবন এর উপর আমল করেছেন। তিনি সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন তাঁর সংখ্যা গরিষ্ঠ সাহাবায়ে কেরামের মত বা ইজমা অনুযায়ী। এর মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত মহান আল্লাহ ভুল হিসেবে সনাক্ত করলেও তিনি তা বাতিল করেননি বরং সেই ভুল সিদ্ধান্তই তিনি অনুমোদন করেছেন এবং তা’ মহানবী (সঃ) কার্যকর করেছিলেন।সুতরাং মহান আল্লাহর নির্দেশ,অনুমোদন ও মহানবীর (সঃ) আমল অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হলো ইজমা ভুল হলেও অমান্য করার কোন সুযুগ নেই।সাহাবায়ে কেরামের যে ইজমা ভুল ছিল তা’ছিল বদরের যুদ্ধের বন্দীদের মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেওয়া সংক্রান্ত ইজমা। মহান আল্লাহ সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) ইজমায় সাব্যস্ত এ সিদ্ধান্তটি ভুল হিসেবে সনাক্ত করেছিলেন যদিও তা’ বাতিল না হয়ে কার্যকর হয়েছিল মহান আল্লাহর অনুমোদন সাপেক্ষে।সুতরাং ইজমায়ে উম্মত মহান আল্লাহ নির্দেশীত ও অনুমোদীত, মহানবীর (সঃ) ও সাহাবায়ে কেরামের আমলে স্বাব্যস্ত ইসলামের অকাট্য মূলনীতি যা অস্বীকার করে ইসলামে থাকার কোন সুযুগ নেই।
ইসলামের তৃতীয় মূলনীতি ইজমা যারা অস্বীকার করে তারা ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায়, আর যদি ইজমা মান্যকরা হয় তবে ইসলামের একমাত্র সটিক দল হিসেবে প্রমাণীত হয় ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারীবৃন্দ।তারমানে যারা ইমাম আবু হানিফা অনুসারী নয় তারা ইজমা না মানার কারণে যেমন ইসলামের বাইরে চলে যায়, তেমনি ইজমা মেনেও ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন না করায় তারা ইসলামের বাইরেই থাকে।সুতরাং ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী বৃন্দই মুসলমানদের একমাত্র সঠিক দল।
ইমাম আবু হানিফা (রঃ) যে রাস্তায় সে রাস্তা মহানবী (সঃ) থেকে শুরু হয়ে হজরত আলীর (রাঃ) মাধ্যমে কুফায় এসে ইমাম আবু হানিফার (রঃ)সাথে মিলিত হয়েছে, তারপর ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ও তাঁর অনুসারী বৃন্দের মাধ্যমে সে রাস্তা আমাদের পর্যন্ত পৌঁচেছে।সুতরাং এ রাস্তাটিই যে ইসলামের একমাত্র সঠিক রাস্তা তা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণীত বা সীরাতুল মুসতাকীম।
সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণীত বিষয় কেউ না মানলে তার দায় তাদের যারা এটা মানে তাদের এ সংক্রান্ত কোন দায়বদ্ধতা নেই।আর বিভ্রান্তদের আল্লাহ কি করবেন সে বিষয়টাও আমাদের ভাববার বিষয় নয়।ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন ছাড়া কারো অনুসরন আমি ক্বোরআন ও হাদীস দ্বারা সঠিক প্রমাণ করতে পারছিনা বিধায় আমি সে বিষয়ে ভাবছিনা।
ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে আমাদের পথ দেখিয়েছেন।কাজেই তাঁকে মানা ও ক্বোরআন-হাদীস মানা এক কথা। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন, তাঁর মতের বিপরীত হাদীস পাওয়া গেলে তাঁর মত বাদ দিয়ে হাদীসের আমল করতে হবে। কিন্তু এমন কোন হাদীস পাওয়া যায়নি, যা পাওয়া গেছে তা মানসুখ হাদীস যা আমল যোগ্য নয়। যা আমল করলে ইবাদত বরবাদ হবে। আর তাই শয়তানের অনুসারীরা সেই সব হাদীসের আমল করিয়ে ইবাদতকারীর ইবাদত বরবাদ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।আয়ুযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রাজিম, আল্লাহ এসব শয়তান থেকে আমাদের ইবাদত হিফাজত করুন – আমিন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
দয়া করে ১৫ নং মন্তব্যের ঘরে প্রতি উত্তরটি দেখে নিন ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আহলে হাদীস বলে, তারা ক্বোরআন ও ছহী হাদীস মানে। কিন্তু যে সব গ্রন্থকে তারা হাদীস গ্রন্থ বলে মানে সে সব গ্রন্থ যে হাদীস গ্রন্থ এ সংক্রান্ত ক্বোরআন ও হাদীস নেই। ছহী থাক দূরের কথা এ সংক্রান্ত কোন জাল হাদীসের কথাও শুনা যায়না।সুতরাং তাদের মতে বর্তমানে কোন হাদীস নেই। তবে তারা কি মান্য করে আহলে হাদীস হলো বুঝা মুসকিল।হাদীসে না থাকলে যদি বিদয়াত হয় তবে সবচেয়ে বড় বিদয়াত হলো তারা।
আহলে হাদীসের আহলে হাদীস হতে হলে তাদের ক্বোরআন হাদীস ও ইজমা মানতে হবে, আর তখন হাদীস পাওয়া যাবে। কারন তারা যে সব গ্রন্থকে হাদীস গ্রন্থ মানে সে সব গ্রন্থ ইজমা দ্বারা হাদীস গ্রন্থ হিসেবে সাব্যস্ত।কতিপয় বেউকুফ বলে আমরা মহানবীকে (সঃ) ছাড়া কাউকে মানিনা। আমার প্রশ্ন কি ভাবে মহানবীকে (সঃ) মানবী তিনি কি তোর কানে কানে হাদীস বলেছেন? এখন মহানবীকে (সঃ) মানতে গেলে ইজমা এবং বুখারী (রঃ), মুসলীম (রঃ), আবু দাউদ (রঃ), ইবনে মাযা (রঃ), নেছায়ী (রঃ), তিরমিযি (রঃ), হাকেম (রঃ), দারে কুতনি (রঃ), তাবরানী (রঃ), মালেক (রঃ), আহমদ ইবনে হাম্বল, বায়হাকী (রঃ) সহ আরো অনেককে মানতে হবে। কারণ ইজমা এদের সকলের হাদীসকেই হাদীস বলে এবং এটা বলেনা যে এদের একজনকেও অমান্য করা যাবে।
দেখা যাচ্ছে ইজমা ছাড়া আহলে হাদীস কোন প্রকারেই আহলে হাদীস হতে পারছেনা। আর শতকরা আশিভাগ মুসলমানের ইজমা হলো ইমাম আবু হানিফা (রঃ) কে মান্যকরা সুতরাং তাদের আহলে হাদীস হতে হলে ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) মান্য করা ছাড়া কোন গতি নেই।কারণ ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন অস্বীকার করতে হলে ইজমা অস্বীকার করতে হবে।আর ইজমা অস্বীকার করলে মান্য করার মতো কোন হাদীস পাওয়া যাবেনা। ইজমা অস্বীকার করলে বুখারীর (রঃ) কিতাব ও হুমায়ুন আহমদের কিতাব এক কথা হয়ে যায়। তারমানে তখন কোনটাই আর মহানবীর (সঃ) হাদীস হিসেবে সাব্যস্ত থাকেনা।
আর ইহাও ইজমা যে ইমামের মত হাদীস দ্বার প্রত্যাখ্যান করা যাবে না।কারণ ইমামের মত হলো ক্বোরআন ও হাদীসের যোগফল যা হাদীস থেকে বড়।চার মাজহাবের কথা ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেননি, কাজেই ইজমায় ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) ইমাম মানলে আর কাহাকেও মানার সুযুগ থাকেনা।সুতরাং ক্বোরআন হাদীস ইজমা ও কিয়াছ অনুযায়ী মুসলমানদের দল শুধুই একটি আর তা’হলো ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী বৃন্দ। আর ক্বোরআন ও হাদীসে মুসলমানদের একদলের কথা বলা আছে।সেই দল ইজমা সাব্যস্ত দল হওয়া ছাড়া উপায় নাই।এর বাইরের যারা তারা সবাই ভুল পথের পথিক। আল্লাহ তাদের ক্ষমা করলে তাদের মুক্তির উপায় আছে। নতুবা তাদের জাহান্নামে যাওয়া ছাড়া গতি নেই।
ইজমা ছাড়া ক্বোরআনও মান্য করা যায়না। কারণ আমি মহানবীর (সঃ) মুখ থেকে ক্বোরআন শুনিনি। সংখ্যা গরিষ্ট বা সকল মুসলমান একখানি গ্রন্থকে ক্বোরআন বলে। সেই সূত্রে সেই গ্রন্থখানিকে আমি ক্বোরআন জানি ও মানি।সুতরাং মহানবীর (সঃ) ইন্তেকালের পর থেকেই ক্বোরআন ও হাদীসের, ক্বোরআন ও হাদীস হওয়ার একমাত্র প্রমাণ ইজমা। কারণ আমরা মহানবীর (সঃ) মুখ থেকে ক্বোরআন ও হাদীস শুনিনি।এখন ইজমা অস্বীকার আর ইসলাম অস্বীকার এক কথা।আর ইজমা মানলে ইমাম আবু হানিফাকে না মেনে উপায় থাকে না।সুতরাং এখন ইসলাম এবং ইমাম আবু হানিফা (রঃ) একই পথে বিদ্যমান।এ পথ ছাড়া আর ইসলাম ছাড়াও এক কথা।আল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে অবিচল রাখুন – আমিন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
দয়া করে ১৫ নং মন্তব্যের ঘরে প্রতি উত্তরটি দেখে নিন ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইজমা মানলে ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) মানা ফরজ। কারণ শতকরা আশিভাগ মুসলমান ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) ইমাম মানেন।চার মাজহাব সংক্রান্ত ফতোয়া ইমাম আবু হানিফার (রঃ) নয় বিধায় সেটা বাতিল।এতে মুসলমানদের স্বীকৃত দল শুধু একটাই হয়। একাধীক কোন ভাবেই নয়।
ইজমা না মানলে কোন হাদীস গ্রন্থ ছহী নয়। কারণ সেগুলোর ছহী হওয়ার স্বীকৃতি ক্বোরআন ও হাদীসে নেই।তাহলে ইজমা অমান্য করে আহলে হাদীস ছহী হাদীস কোথায় পায় যা দিয়ে তারা ইমাম অস্বীকার করে?
যে ইজমা হাদীস গ্রন্থকে ছহী সাব্যস্ত করে আপনি সেই ইজমা মানবেন, আর যে ইজমা আবু হানিফাকে (রঃ) আপনার ইমাম সাব্যস্ত করে আপনি সেই ইজমা মানবেন না, এটা কোন নীতি? এটাতো পরিস্কার কূ-নীতি।
আর হাদীস হলো মহানবীর (সঃ) কথা কাজ ও অনুমোদন।যা মহানবীর (সঃ) হাদীস নয় বলে প্রমানীত নয় মহানবীর (সঃ) এমন সব হাদীস তাঁর হাদীস হিসেবে স্বীকৃত।যা হাদীস হিসেবে স্বীকৃত তা’ অবশ্য পালনীয়।প্রমান ছাড়া কোন হাদীসকে হাদীস নয় বলা কুফুরী।কোন হাদীসকে ছহী নয় বলা মহানবীর (সঃ) সাথে বেয়াদবী।কারণ যা মহানবীর (সঃ) হাদীস তা’ অছহী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। মহানবীর (সঃ) হাদীস অছহী বলা নবুয়ত অস্বীকার করার শামিল।কারণ যার হাদীস অছহী তাঁর নবুয়তের দাবীও অছহী।আর অছহী দাবীতে কেউ নবুয়তেরর স্বীকৃতি পেতে পারেনা।সুতরাং হাদীস শুধুই হাদীস এর বাইরে কিছু নয়।কেউ যদি কোন হাদীসকে অস্বীকারন করে তবে তাকে অবশ্যই সে হাদীস মহানবীর (সঃ) হাদীস নয় বলে প্রমাণ করতে হবে। নতুবা সেই হাদীস মান্যতার তালিকা থেকে কিছুতেই বাদ পড়বেনা।হাদীসের মধ্য হতে শুধু মানসুখ হাদীস সনাক্ত করতে হবে। কারণ মানসুখ হাদীসের আমল রহিত।
ক্বাব ইবনে আশরাফ নামক ইহুদী মুসলমানদের মহানবীর (সঃ) অনুসরন থেকে অমুসলমান বানানোর জন্য ব্যাপক কুৎসা রটনা করে কিন্তু সে সফল হয়নি কারণ তার ইহুদী পরিচয় তাকে অসফল করে। মহানবী (সঃ) ক্বাব ইবনে আশরাফকে মৃত্যু দন্ড দিয়েছিলেন।কিন্তু ইহুদী আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা ও তার দল বুজর্গ মুসলমানের ভেস ধরে, সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ), তাবেঈ (রঃ) ও তাবে তাবেঈগনের (রঃ) ব্যাপক কূৎসা রটনা করে। ফলে (১) একদল মুসলমান হজরত ওসমানকে (রাঃ) অপরাধী সাব্যস্ত করে (শহীদ) হত্যাকরে যাদের সংখ্যাছিল পাঁচ হাজার।ফলে (২) একদল মুসলমান হজরত আলীকে (রাঃ) কাফের ফতুয়া দিয়ে (শহীদ) হত্যাকরে। এদেরকে খারেজী বলে। এরা খুব বুজর্গ জীবন যাপন করতো।ফলে (৩) একদল মুসলমান হজরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) ও হজরত মুয়াবিয়া (রাঃ) কে কাফের ফতুয়া দিয়ে আলাদা দল ঘটন করে। এদেরকে শীয়া বলে।ফলে (৪) একদল মুসলমান তাবেঈ (রঃ) ও তাবে তাবেঈগনকে (রঃ) জয়ীফ স্বাব্যস্ত করে হাদীসে ছহী জয়ীফ ইত্যাদী শ্রেণীভেদ করে। এরাই কালক্রমে শক্তি সঞ্চয় করে এখন আহলে হাদীস নাম নিয়ে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে।এরা জয়ীফ ফতুয়া দিয়ে হাজার হাজার হাদীস অস্বীকার করে ইসলামের বিভিন্ন ইবাদতকে বিদয়াতন বলছে।
ইমাম বোখারীর (রঃ) অবস্থা দেখুন তিনি ছহী মনেকরে একলক্ষ হাদীস সংগ্রহ করে তিরানব্বই হাজার হাদীস বাদ দিয়ে মাত্র সাত হাজার হাদীস গ্রহণ করেন। এখন তাঁর চেলা আহলে হাদীস বলছে এটা হাদীসে নেই সেটা হাদীসে নেই, তো বাপু তোমাদের গুরু সব হাদীস ফেলে দিলে হাদীসে থাকে কেমন করে? কিন্তু প্রমাণ ছাড়া কোন হাদীস অস্বীকার করা সঠিক নয়।
যারা বিভ্রান্তিতে জড়ীয়ে পড়েছেন তারা ইমামের অনুসারী না হওয়াই স্বাভাবিক।সুতরাং সকল প্রমাণে মুসলমানদের অনুসরনীয় ইমাম একজন ইমাম আবু হানিফা (রঃ)। যাঁকে সব মুসলমান মানলে মুসলামানদের দল একটিই থাকে। আর মুসলমানদের একদল থাকতে আল্লাহ এবং তার নবী (সঃ) বলেছেন।যেহেতু ইমাম সব ফয়সালা ক্বোরআন ও হাদীস মতে প্রদান করেছেন সেহেতু তাঁকে মানলেই ক্বোরআন ও হাদীস মানা হবে। তিনি যে সব হাদীস মানেননি সেগুলো মূলত মানসুখ (বিধান রহিত) হাদীস।
ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরনের শতভাগ সঠিকতা প্রমাণ করা যায় এবং আমি এর বহু প্রমাণ দিয়েছি।আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে অবিচল রাখুন (আমিন)।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
দয়া করে ১৫ নং মন্তব্যের ঘরে প্রতি উত্তরটি দেখে নিন ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মেরাজের রাতে নামাজ ফরজ হওয়ার পর থেকে মুসলমানেরা নিয়মিত প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ পড়ে এবং প্রতিদিন পাঁচবার তারা ইমামের পিছনে নামাজ আদায় করে।কিন্তু সাহবা (রাঃ)যামানার পরপরই তাবেঈ যামানায় এসে হঠাৎ একদিন নামাজে তাদের হাত বুক থেকে নেমে গেল যা তারা টের পায় নাই। তারা যে রাফেউল ইয়াদাইন করতো সে কথাও তারা একদিন ভুলে গেল। বহুকাল পরে সংকলিত হাদীস পাঠ করে তারা অবশেষে তাদের ভুল বুঝতে পারল! এটাওকি সম্ভব? যদি হয় তবে সেটা কিভাবে সম্ভব? নাকি বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী হাদীস সমূহ মানসুখ। বাস্তবে আসলে কোনটা সম্ভব?
নামাজে মুসলমানদের হাত বুক থেকে নামা ও রাফেউল ইয়াদাইন ভুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটল চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (রাঃ) ও তাঁর সমর্থক আব্বাসীয় খেলাফতের রাজধানী কূফায়।আব্বাসীয় শাসনের শুরুতে।এটাও কি সম্ভব? নাকি মুসলমানেরা আবু হানিফা (রঃ) নামক একজন ইমাম বলেছিল বলে এটা করে ছিল? কেন তারা এমন করল, তারা কি মহানবীকে (সঃ) বাদ দিয়ে আবু হানিফাকে (রঃ) নবী মেনেছিল? নাউযুবিল্লাহ।
আপনারাকি বলতে পারেন প্রাত্যহীক একটা কাজে পথ ভ্রষ্ট হওয়া ছাড়া এমন কোন ঘটনা কি ঘটতে পারে? তাহলে এ পথ ভ্রষ্ট হওয়ার কারণ কি? নাকি কেউ ভুল বশত মানসুখ হাদীস দিয়ে মুসলমানদের চলমান নামাজ বদলাতে চেয়েছিল? কোনটা সম্ভব?
মুসলমানদের নিকট কে গুরত্বপূর্ণ ছিল হজরত আলী (রাঃ) না ইমাম আবু হানিফা (রঃ)? আর ঘটনা যদি এমন হয় যে হজরত আলীর (রাঃ) নামাজই ইমাম আবু হানিফা (রঃ) লিপিবদ্ধ করেছিলেন, তবে এর বিপরীতে হাদীসের অনুসন্ধানের দরকার আছে কি? হজরত আলী (রাঃ)কি হাদীসের বাইরের কেউ? যদি ঘটনা এমন হয় যে হজরত আলীর (রাঃ) নামাজই ইমাম আবু হানিফা (রঃ) লিপিবদ্ধ করেছিলেন তবে এর বিপরীত হাদীস অবশ্যই মানসুখ তাতে চুল পরিমান সন্দেহের অবকাশ নেই।কারণ মুসলমান হওয়ার আগে ও পরে হজরত আলীর (রাঃ) গোটা জীবনই কেটেছে মহানবীর (সঃ) সাথে।কারণ আব্দুল মোত্তালীব আবু তালেবের উপর মহানবীর (সঃ) লালন পালনের ভার দিয়েছিলেন যিনি ছিলেন হজরত আলীর (রাঃ) পিতা। তারমানে মহানবী (সঃ) ছিলেন হজরত আলীর (রাঃ) পরিবারের একজন সদস্য ও বড় ভাই। হজরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন তাঁর ভাবী। আর ভাবীর সাথেই তিনি প্রথম কাতারের মুসলমান।তারপর মহানবীর (সঃ) জামাতা হয়ে তিনি আবারো মহানবীর (সঃ) পরিবারের সদস্য ছিলেন। কাজেই হজরত আলীর (রাঃ) এমন কোন হাদীস অজানা থাকার কথা নয় যা অন্যরা জানতো।বাস্তব হলো হজরত আলীও (রাঃ) তাঁর নামাজের বিপরীত সেই ছহী হাদীস সমূহ জানতেন তবে মনসুখ হিসেবে। হাদীস বিশারদ ইমাম হাম্মাদের (রঃ) ছাত্র যিনি মক্কা ও মদীনায় ছয় বছর থেকে হাদীস সংগ্রহন করেছেন সেই ইমাম আবু হানিফারও (রঃ) সেসব হাদীস না জানার কথা নয়। সেই সব হাদীস জেনে শুনেই তারা সেই সব হাদীস দিয়ে চলমান নামাজ বদলাননি। এখন কতিপয় বলদ বলছে ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন তাঁর ফতুয়ার সাথে হাদীস যদি না মিলে তবে তাঁর ফতুয়া বাদ দিয়ে হাদীস মানতে হবে, তাই বলে যে হাদীস মানসুখ হওয়ার দায়ে ইমাম আবু হানিফা (রঃ) নিজেই মানেননি আমাদেরকে সেই হাদীস মেনে আমাদের নামাজ নষ্ট করতে হবে? সেই সব হাদীস যেহেতু মানসুখ তো সেগুলোর আমলতো আমলে কাছির, আর বাস্তব কথা হলো নামাজে আমলে কাছির করলে নামাজ ভঙ্গ হয়।
কে মহানবীর (সঃ) নামাজ পড়ছেনা তা’জেনে আমাদের দরকার কি? মহানবীর (সঃ) নামাজ কোন ছহী মানসুখ হাদীস দ্বারা স্বাব্যস্ত হবেনা, কারণ এ ইবাদত চলমান।যদি চলমান নামাজ শুধুমাত্র হজরত আলীর (রাঃ) সাথে মিলে থাকে তবে এ ক্ষেত্রে আর কোন শরীফের কোন হাদীসের দরকার নেই। কারণ শরীফের ইমামগন হজরত আলীর (রাঃ) পায়ের ধুলীরও তুল্য নয়।আর ইমাম আবু হানিফাও শরীফের ইমামগনের চেয়ে অনেক সিনিয়র ইমাম।শরীফের ইমামগন তাঁর অনুসরন না করলে কার কি আসে যায়।আমরা শরীফের ইমামগনের উপর ঈমান আনিনি। কাজেই তাদের অনুসরন করা ও না করার কথা আমাদের নিকট নেহায়েত বেদরকারী কথা। আল্লাহ তাঁদের ক্ষমা করুন এবং মানসুখ ছহী হাদীস দ্বারা আমাদের নামাজ নষ্ট হওয়া থেকে আমাদের হেফাজত করুন।
একটা মহা বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে দেড় হাজার বছর পরেও মুসলমান নামাজে কোথায় হাত বাঁধবে তা’ নিয়ে তর্ক করছে! তবে কি তাদের ক্বোরআন ও হাদীস তাদের পথ দেখাতে পারে না? অমুসলীমদের এসব প্রশ্নে বিব্রত হতে হয়।অথচ গোমরা লোকেরা ইসলামের রাজপথ ছেড়ে বিপথে হাঁটছে। আমার মধ্যে যে সব ত্রুটি আছে আমি সে গুলোকে ইসলাম বলি না বরং ওজর বলি এবং আল্লাহ নিকট ক্ষমা চাই। তা’ছাড়া আমি ইসলামের দলিল নই। ইসলামের দলিল হলো ক্বোরআন হাদীস ও সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) আমাল। এ তিনটাকেই আমি সত্যের মাপকাঠি মানি। সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) মাজহাব মানার দরকার নেই। কারন মাজহাবের ইমাম সাহাবায়ে কেরমকে মেনে চলেছেন।কাজেই সাহাবায়ে কেরামের অনুসরনই মাজহাব।মাজহাব বাদ দেওয়া মানে সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) অনুসরন বাদদিয়ে ছহী মানসুখ হাদীস মেনে আমল বরবাদ করা। আল্লাহ আমাদেরকে লা মাজহাবী ফেতনা ও ফের্কা থেকে হেফাজত করুন, আমিন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার সবগুলি সুন্দর মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । আমিও আমার অতি ক্ষুদ্র জ্ঞানে ইসলামে শুধুমাত্র কোরান ও হাদিস অনুসরনে একটি মাত্র মজহাব বা পদ্ধতি কিংবা মেথডলজির পক্ষপাতি । যেহেতু কোরান একটি এবং রাসুলের( স.) মুখ নিসৃত কথা বা কর্মপদ্ধতি বা জীবনধারার কোন দ্বিতিয়টি নেই সেহেতু আমাদের ইসলামিক ফিকাহও হবে শুধু মাত্র একটি পদ্ধতি বা মজহাব নির্ভর এর মধ্যে আর কোন ফিতনা থাকতে পারেনা । কোন বিষয়ে কারো যদি কোন দ্বিমত থাকে তবে তিনি যুক্তি দিবেন কোরান ও হাদিসের আলোকে , তাই বলে তিনি তিনি কোন ফিতনা, দল বা বিভক্তির সৃস্টি করতে পারেন না ।

আপনি এ বিষয়ে অনেক বিজ্ঞ, আপনার মন্তব্য হতে অনেক কিছু জানতে পারলাম । নতুন করে বলার কিছু নেই । তবে যেহেতু অনেক পাঠকই এ মন্তব্যের বিষয় পাঠ করেন সেহেতু ইমাম আবু হানিফা (র.) সম্পর্কে আরো কিছু কথা মালা এ মন্তব্যের প্রতি উত্তরে যোগ করতে চাই । যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তবে বললে তা শুদ্ধ করে নিব ।

ইমাম আবু হানিফা(রহ.) ইরাকের কুফায় ৫ সেপ্টেম্বর ৬৯৯ ইংরেজী মোতাবেক ৮০ হিজরীতে জন্ম গ্রহণ করেন।এবং ১৪ জুন ৭৬৭ ইংরেজী ১৫০ হিজরী ইন্তেকাল করেন। সাহাবী আনাস ইবনে মালিক (র.) এর সাথে সাক্ষাত হওয়ার কারনে তিনি একজন তাবেঈ। ইমাম আবু হানীফা রহ. অন্যুন আটজন সাহাবীর সাক্ষাত লাভ করেছেন।

আবু হানীফা( রহ.) ষোল বছর বয়সে পিতার সাথে হজ্বে গমন করে মসজিদুল-হারামের দরছের হালকায় বসে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন সাহাবীর জবানী হাদিস শ্রবণ করার মাধ্যমে এলমে-হাদিসের সাথে তাঁর সরাসরি পরিচিতি ঘটে। আবু হানীফা( রহ.) জীবনী পাঠে জানা যায় তিনি তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এশার নামাজের এক অযুতে ফজরের নামাজ আদায় করতেন এবং প্রায় রাতেই নামাজে দাঁড়িয়ে কোরান খতম দিতেন , তিনি যে কত সহয্রবার কোরান খতম দিয়েছেন তার কোন ইয়ত্তা নেই এবং বিচারক বাদশাহ মনসুরের আদালতের প্রধান বিচারক ( কাজী ) হওয়ার মত পুর্ণতা নেই বলে বাদশার অনুরোধকে তিনি প্রত্যাখান করেছেন , এবং সে জন্য তিনি দীর্ঘদিন কারাবাস করে নেখানেই শাহাদত বরণ করেছেন । এ হেন একজন ইমাম যে দ্বীনের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন তাতে কারো কোন সন্দেহ নেই ।

যাহোক , প্রথম যৌবনের সীমিত কিছুদিন ছাড়া ইমাম আবু হানীফার জীবনের শেষ মুহূর্তটি পর্যন্তটি ছিল ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটে কন্টকিত। তাঁর কর্মজীবনের শুরুতেই উমাইয়া শাসনের পতন এবং আব্বাসীয়দের খেলাফতের উত্থান ঘটে। আব্বাসীয়দের দাবী ছিল খোলাফায়ে-রাশেদীনের শাসন ব্যবস্হা পূনঃপ্রতিষ্ঠা এবং শাসন ক্ষমতায় আহলে-বাইতের প্রাধান্য স্হাপন। যে কারণে সমসাময়িক বিশিষ্ট আলেম ওলামাগণের পাশাপাশি ইমাম আবু হানীফাও রাষ্ট্রবিপ্লব ঘটানোর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় শরীক হয়েছিলেন।

সেই বিস্ফোরণমূথী রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পরিবেশের মধ্যেই ইমাম আবু হনীফা কুরআন-সুন্নাহ এবং সাহাবীগণের জীবনপদ্ধতি মন্থন করে এলমে-ফেকাহ বা বিধান শাস্ত্র রচনা করে গেছেন। সর্বকালের মুসলমানদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য বিজ্ঞান সম্মত বিধিবিধান সম্বলিত এগরো লক্ষাধীক মাসআলা সংকলিত করে গেছেন তিনি। তাঁর সংকলিত মৌলিক মাসআলা-মাসায়েলের সুত্রগুলির মধ্যে এমন একটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার সমর্থনে কুরআন, হাদিস বা সাহাবীগণের আছার এর সমর্থন নাই। এর দ্বারাই অনুমিত হয় যে, তাঁর জ্ঞানের পরিধি কতটুকু বিস্তৃত ছিল ।

যে কোন সমস্যার সমাধান অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানীফা (র. ) এর অনুসৃত নীতি ছিল, প্রথমে কুরআনের শরণাপন্ন হওয়া। কুরআনের পর হাদিস শরীফের আশ্রয় গ্রহণ করা। হাদিসের পর সাহাবায়ে কেরাম গৃহীত নীতির উপর গুরুত্ব দেওয়া। উপরোক্ত তিনটি উৎসের মধ্যে সরাসরি সামাধান পাওয়া না গেলে তিনটি উৎসের আলোকে বিচার-বুদ্ধির (কেয়াসের) প্রয়োগ করা।
The sources from which Abu Hanifa derived Islamic law; in order of importance and preference, are: the Qur'an, the authentic narrations of the Muslim prophet Muhammad (known as hadith), consensus of the Muslim community (ijma), analogical reasoning (qiyas), juristic discretion (istihsan) and the customs of the local population enacting said law (urf). The development of analogical reason and the scope and boundaries by which it may be used is recognized by the majority of Muslim jurists, but its establishment as a legal tool is the result of the Hanafi school. While it was likely used by some of his teachers, Abu Hanifa is regarded by modern scholarship as the first to formally adopt and institute analogical reason as a part of Islamic law।

তাঁর সুস্পস্ট বক্তব্য ছিল, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে কোন ধরনের হাদিস বা সাহাবীগণের অভিমতের সাথে যদি আমার কোন বক্তব্যকে সাংঘর্ষিক মনে হয়, তবে আমার বক্তব্য অবশ্য পরিত্যাজ্য হবে। হাদিস এবং আছারে সাহাবা দ্বারা যা প্রমাণিত সেটাই আমার মাযহাব। (তাফসীরে মাযহারী, খায়রাতুল-হেসান)।

ইমাম ইবনে হাযম ( র.) বলেন, আবু হানীফা( র. ) এর সকলল ছাত্রই এ ব্যাপারে একমত যে, নিতান্ত দূর্বল সনদযুক্ত একখানা হাদিসও তাঁর নিকট কেয়াসের তুলনায় অনেক বেশী মুল্যবান দলিলরূপে বিবেচিত হবে। (খায়রাতুল-হেসান) সম্ভবত এ কারণেই পরবর্তী যুগে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে যে সব কালজয়ী প্রতিভার জন্ম হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশ ইমাম আবু হানীফার (র.) মাযহাব অনুসরণ করেছেন।
As the fourth Caliph, Ali had transferred the Islamic capital to Kufa, and many of the first generation of Muslims had settled there, the Hanafi school of law based many of its rulings on the prophetic tradition as transmitted by those first generation Muslims residing in Iraq. Thus, the Hanafi school came to be known as the Kufan or Iraqi school in earlier times. Ali and Abdullah, son of Masud formed much of the base of the school, as well as other personalities from the direct relatives (or Ahli-ll-Bayṫ) of Moḥammad from whom Abu Hanifa had studied such as Muhammad al-Baqir (thus apparently creating a link between Sunnis and Shias). Many jurists and historians had reportedly lived in Kufa, including one of Abu Hanifa's main teachers, Hammad ibn Sulayman।

হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (র.) বক্তব্য হচ্ছে- এই ফকীরের উপর প্রকাশিত হয়েছে যে, এলমে-কালামের বিতর্কিত বিষয়গুলি মধ্যে হক হানাফী মাযহাবের দিকে এবং ফেকাহর বিতর্কিত মাসআলাগুলির অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হক হানাফী মাযহাবের দিকে এবং খুব কম সংখ্যক মাসআলাই সন্দেহযুক্ত। (মাবদা ও মাআদ)

শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দেস দেহলভী (র.) হারামাইন শরীফে কাশফ যুগে যে সব তথ্য অবগত হয়েছেন, সে সবের আলোকে লিখেছেন- হযরত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আমাকে অবগত করেছেনযে, হানাফী মাযহাব একটি সর্বোত্তম তরিকা। ইমাম বুখারীর সময়ে যেসব হাদিস সংকলিত হয়েছে, সেগুলোর তুলনায় আবু হানীফার র. সিদ্ধান্তগুলি সুন্নতে-নববীর সাথে অনেক বেশী সামন্জস্যপূর্ণ (ফুযুলুল-হারামাইন)।

সুতরাং যারা এ কথা বলতে চায় যে, হানাফী মাযহাব সহীহ হাদীসের সাথে সামন্জস্যপূর্ণ নয় বা ইমাম আবু হানীফা (র.) বহু ক্ষেত্রে হাদিসের প্রতিকূলে অবস্হান গ্রহণ করেছেন, তাদের বক্তব্য যে নিতান্তই উদ্ভট তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। বরং হানাফী মাযহাব হচ্ছে কুরআন-সুন্নাহর এমন এক যুক্তিগ্রাহ্য ও সুবিন্যস্ত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ যা সর্বযুগের মানুষের নিকটই সমভাবে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। বলা হয়ে থাকে বর্তমান মুসলিম বিশ্বে এখন প্ দুই তৃতিয়াংশ মুললমান হানাফী মজহাব আনুসরণ করে থাকেন । বাগদাদে অবস্থিত আবু হানিফা মসজিদটি নীচে দেখা যেতে পারে :



অরেকটি কথা বাতিল ডাক্তার নায়েকের মত আরো অনেকেই আসবে কারণ তারা পয়দা হয়না, তাদেরকে পয়দা করা হয় ইসলামে বিভক্তি ও ফেতনা সৃষ্টি করার জন্য । এরকম কিছু মানুষ আসবে আর ভেসে যাবে, সাথে তার কিছু অনুসারীকেও ভাসিয়ে নিয়ে যাবে ভ্রান্তির সাগরে ।


ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান তথ্যগুলির জন্য ।
অাল্লাহ আমাদের সকলকে সহজ সরল পথে চলার তৌফিক দান করুন । আমীন

১৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার কথার সাথে একমত। আত্মসুদ্ধিটাই জরুরী । আত্মসুদ্ধিই মুক্তি ও শান্তির উপায় এ শীরুনামে একটি প্রবন্ধ লিখার কাজ চলছে । লিখা শেষ হলে পোষ্ট করব । লিখার জন্য উৎসাহটা বেড়ে গেল ++


আপনার মন্তব্যটাকে ++ একবারে মনের কথা বলেছেন। আত্মসুদ্ধিটাই জরুরী




০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব রিফাত হোসেন । আত্মসুদ্ধির চেষ্টাতেই আছি দোয়া করবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ১৫ নং মন্তব্যের প্রতি উত্তরে আপনি যা লিখেছেন তা’ আমি পোষ্ট আকারে দিয়েছি একটু দেখে দিবেন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় ফরিদ ভাই । মন্তব্যের ঘরের লিখা একটি পোষ্টে দেয়ার মত করে লিখা হয়না । মন্তব্যের ঘরে একটি লিখা লিখে এডিট করার কোন সুযোগ থাকেনা তেমন আর সে রকমভাবে মনযোগ দেয়া হয়না , তাই লিখায় অনেক ভুল ভ্রান্ত থেকে যায় ।
যাহোক অআপনার পোষ্টে আপনি সুত্র উল্লেখ করে যে কোন লিখাই দিতে পারেন । যদি এর উপরে অআরো বড় অআলোচনা বা সমালোচনা হয় তাহলে এর মধ্যে আমরা সকলেই মুল্যবান অনেক তথ্য পেতে পারি ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আলী ভাই , ফরিদ ভাই মাজহাব বিষয়ের জটিল আলোচনা ধর্মীয় বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাপ্রাপ্ত ব্যাক্তিবর্গ করিলেই ভালো হয়। নচেৎ সাধারণ মানুষ হিসেবে নিজেদের এবং অন্যদের বিভ্রান্তিতে পড়ার সম্ভাবনা আছে। ধন্যবাদ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর করে বলেছেন ।
ধর্মীয় বিষয়ে যে কতখানি অজ্ঞতার মধ্যে আছি তা বুঝার মত জ্ঞানটুকুও আজো অর্জন করতে পারিনি ।
দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তা বুঝার তৌফিক দেন ।

ধর্মীয় কোন জটিল বিষয়ে কোরান, হাদিছ ( যার সহি সহজ সরল অনুবাদ ও তাফসির এখন বাংলা ও ইংরেজীতেও পাওয়া যায়) তা হতে সহজেই অনেক কিছু জানা যায়, আল্লাহ যেখানে বলেন কোরানে সব বিষয় আমি সহজ করে বলে দিয়েছি যেন সকলেই তা বুঝতে পারে, সেখানে আমরা কেন ধর্মীয় বিষয়গুলিকে জটিল বলে আরো জটিল করে তুলব তা সহজে বুঝতে পারিনা । বিভিন্ন ইসলামী স্কলারের লিখা পুস্তক ও বয়ান , ওয়াজ , নসিহত, সেই সাথে আমাদের এই ব্লগের যে সমস্ত গুনীজনের লিখা পাই ও তাদের মুল্যবান লিখা হতে যা জানতে পারি তা এখানে এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সকলের সাথে শেয়ার করে তার যতার্থতা বুঝার চেষ্টা করি। এই যেমন আপনার নিকের নামটি থেকে বুঝার কোন উপায় নাই আপনার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটি কি ,ফলে আমার জন্য এটাই সঙ্গত হবে ধরে নেয়া যে আপনি যে কোন বিষয় এমনকি ধর্মীয় বিষয়ে অগাধ প্রাতিষ্টানিক শিক্ষাপ্রাপ্ত একজন শ্রদ্ধেয় গুণীব্যক্তি । তাই আপনার মুল্যবান মন্তব্য হতেও শিখলাম কোন প্রসঙ্গে, কোন কোন বিশেষ যোগ্যতার লোকজন আলোচনা করতে পারেন । সে জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

অতি সাধারণ জ্ঞান হতে এটাও ধারনা করি এ ব্লগে যারা বিচরণ করেন তারা সকলেই যথেস্ট বিজ্ঞতার অধিকারী , কেও কারো কথায় প্রভাবিত হয়ে এখানে বিভ্রান্ত হবেন না বলেই বিশ্বাস করি । সকলেই নীজ নীজ বিজ্ঞতা দিয়ে কোন লিখার বিষয়বস্তু, সেটা যে কোন বিষয়ের উপরই হোক না কেন তা গ্রহন করবেন ও বর্জন করবেন । তাই, কেহ যদি কোন লিখা মনযোগ দিয়ে পাঠ করেন তাহলে তিনি লিখাটির উপরে যে সমস্ত বিষয়ে বিভ্রান্ত হতে পারেন তা যুক্তি দিয়ে ধরিয়ে দিলে তা মেনে নিয়ে নীজের লেখাটিকে যেখানে যেমন প্রয়োজন সংশোধন করে নিব, , সাথে সাথে সকৃতজ্ঞ চিত্তে সত্যিকার বিষয়টিও জেনে যাব । বিভিন্ন জনের মতের ও ভাবের , তত্ব ও তথ্যের আদান প্রদান হতে আমরা কোনটি সঠিক ও কোনটি সঠিক নয় তা জানতে ও শিখতে পারব । আমার জানা ও ভাবনার মধ্যে ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে। এ ব্লগে অনেকেই যেহেতো নীজের নামটি গোপন রেখে লিখালিখি করেন তখন ধরে নিতে পারি আমাদের মধ্যেই ধর্মীয় বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান সম্পন্ন অনেক বিজ্ঞ আলেম ওলামাও আছেন । তাই আশা করব এবিষয়ে যাদের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান আছে তাঁরা তাঁদের মুল্যবান আলোচনা দিয়ে আমাদেরকে আলোকিত করবেন । তাঁদের মুল্যবান আলোচনা হতে অনেক বিষয় জানা এবং নীজকে প্রয়োজনীয় সংশোধনের সুযোগ পাওয়া যাবে ।

যাহোক মুল্যবান সুপরামর্শের জন্য অনেক ধন্যবাদ । আল্লাহ সকলের সহায় হোন । আমীন

১৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:৩২

মানবী বলেছেন: পোস্টের প্রতিটি বক্তব্যের সাথে জোড়ালো ভাবে সহমত।

দীর্ঘদিন আগে এক আলোচনা সভায় জাকির নায়েককে বলতে শুনেছিলাম, "আমার কথা বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেই। Read the scripture, read Quran." সেই থেকে ভদ্রলোকের প্রতি শ্রদ্ধা জন্মেছে। জাকির নায়েক, বা কোন পীড় আউলিয়ার বক্তব্য মানার প্রয়োজন নেই, শুধু মনযোগ দিয়ে কুরআন অর্থসহ পড়লেই অনেক বিভ্রান্তি দূর হয়ে যায়।

কোন এক অদ্ভুত কারনে আমাদের অনেকের মাঝে ব্যক্তি পূজার প্রবণতা প্রবল যে কারনে মাজহাবে বিভক্তি করন এমনকি ভন্ডপীরদের দৌরাত্ম্যও সহজ হয়ে যায়। যাঁদের নামে বিভিন্ন মাজহাবের সৃষ্টি তাঁরা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আলেম ব্যক্তি ছিলেন তবে তাঁরা কখনও ইসলাম ধর্মকে মাজহাব বিভক্ত করে যায়নি, এটা সাধরান মানুষের কাজ।

ইদানীং কেউ কুরআন আর সহীহ হাদিসের কথা বললে অনেকে আশ্চর্যজনক ভাবে এর মাঝে ইহুদীদের ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পায়, কি অদ্ভুত এক বিকরগ্রস্থ ভাবনা। ভিন্ন ধর্মাবল্মীরা কুরআনে আস্থা বৃদ্ধি করলে বা মানুষকে কুরআনের প্রতি অটল থাকতে উপদেশ দিলে তাঁরা আর ভিন্ন ধর্মাবলম্বী থাকেনা, প্রকৃত মুসলিম হয়ে যায়।

এক শ্রেনীর ভন্ড হুজুর ইসলামের বিভক্তি বিভাজনের মাধ্যমে নিজেদের পকেট ভরে চলেছে। এসব হুজুরদের এরা এমন মহাপুরুষের পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে ডিফেন্সে শিরক করতেও দ্বিধা করছেনা। কিছু লোক কুরআন আর সহীহ হাদীস ছেড়ে এসব ভন্ডহুজুরদের দ্বারা সহজেই প্রভাবিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে, আর এর রেশ ধরেই দুর্বল ঈমানের লোকদের সহজেই জিহাদের নামে বিপথে ডেকে নিয়ে যাওয়া সহজ হয়েছে।
বিশ্বের মুসলিমরা যদি এক ও অ্ভিন্ন হয়ে শুধু কুরআন আর সহীহ হাদীসের প্রতি অবিচল থাকে তাহলে বিশ্বজুড়ে ইলামিক জঙ্গী বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকেনা।

অসাধরান গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ডঃ এম এ আলী।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী , সুন্দর ও মুল্যবান মন্তব্যের জন্য । আমাদের উচিত সহজ সরল ভাষায় নাযিল হওয়া পবিত্র কোরানকে অনুসরণ করা । আল্লাহ বলেছেন তিনি কোরানকে নাযিল করেছেন সহজ সরল ভাষায় যেন সকলেই তা সহজে বুঝতে পারে , এ বিশ্ব ব্রম্মান্ডে আর কে আছে যে আলাল্লার থেকে বেশী সহজ সরলভাবে বলতে পারে, আর কোরান তো আল্লারই মুখের বানী ।

হাদিছের ভাষাও অত্যন্ত সহজ ও সরল, এ গুলি পাঠে যে কেও বুঝতে পারবে তাতে কি বলা হয়েছে । তবে হা কোরান ও হাদিছ, পাঠে বুঝতে অসুবিধা না হলেও তা অনুসরনে কারো কারো জন্য বেশ অসুবিধা হতে পারে । যেমন হাদিছে আছে , "মিথ্যা কথা বলোনা" এ কথা কয়টি বুঝতে শিক্ষিত অশিক্ষিত কারো কোন অসুবিধা নেই তাতে কি বলা হযেছে , কিন্তু এই অতি সহজ কথাটা পালন করতে যে বেশ অসুবিধা হয় তা আমরা সকলেই জানি । এ জন্য প্রয়োজন সকলের আত্মপোলব্দি ও নীজকে নীজে মুল্যায়ন করে মিথ্যাকে বর্জন করে সত্যের পথে থাকা ।

আমাদের নবী রাসুলগন সহ সকল ইসলামী চিন্তাবিদ ও স্কলারগন বলেছেন কেও ভুল ভ্রান্তির উর্ধে নন , তাঁরা সকল সময় নীজের ভুলের জন্য আল্লার কাছে সর্বক্ষন কেঁদে কেটে ক্ষমা চাইতেন , সে তুলনায় অামি তো খুবই নগন্য মানুষ ,তাই ভুল ভ্রান্তি হতেই পারে , আর তাউবা করে শোধরানুর সুযোগতো আল্লাহ দিয়েছেন মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত । তাই দোয়া করবেন, কোন ভ্রান্তির মধ্যে থাকলে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ যেন ভুল শুধরানোর তৌফিক দেন ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল । আল্লাহ সকলের সহায় হোন । আমীন

২০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ডিসকাসনগুলো সময় সংকীর্নতার কারনে এই মূহুর্তে দেখা সম্ভব হল না। এক নজরে বুঝে নিলাম, চমতকার। পরে পড়ে নেব ইনশাআল্লাহ। যেহেতু মাযহাব এবং গাইরে মাযহাব নিয়ে কথা হচ্ছে। রিলেটেড বিষয়াদি সকলের সহজ বোধগম্যতার সুবিধার্থে এ বিষয়ে আপাতত: নির্ভরযোগ্য একটি বইয়ের লিঙ্ক দিচ্ছি। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে আরও আরও অনেক কিতাব কালেকশন করা যাবে।

মাযহাব কি ও কেন? -আল্লামা মুফতী তাকী উসমানী দা. বা.

ভাল থাকবেন প্রিয় আলী ভাই।

২১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:


আলী ভাই,
আরও দু'টি অত্যন্ত দামি এবং দরকারি বইয়ের লিঙ্ক দিচ্ছি। দয়া করে সময় করে দেখার অনুরোধ থাকল।

ইমাম আ'যম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহির অনবদ্য জীবনালেখ্য। হাদিস শাস্ত্রে তাঁর পান্ডিত্য, ইসলামের সকল শাখায় তাঁর অসামান্য অবদান, তাকওয়া পরহেযগারিতে তাঁর সীমাহীন উচ্চতাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ন, অখন্ডনীয় যুক্তির আলোকে অনুপম একটি গ্রন্থ 'হাদিস চর্চায় ইমাম আযম আবু হানিফা রহ. এর অবদান]'।

প্রত্যেক মাযহাবপন্থি জ্ঞানী ব্যক্তিদের অবশ্য পাঠ্য এই প্রামান্য বইটির লেখক মান্যবর জনাব মোহাম্মদ আবুল কাসেম ভূঁঞা। আল্লাহ পাক এই বইয়ের লেখক, সংকলক, প্রকাশকসহ হক্কপন্থী সকল মুসলমানের সকল ভাল প্রচেষ্টা কবুল করুন।

প্রথম বইটি:

হাদিস চর্চায় ইমাম আযম আবু হানিফা রহ. এর অবদান

অন্য বইটির লিঙ্ক:

দলিলসহ নামাজের মাসায়েল

২২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার একটি আলোচনা পাঠ করলাম। মূল আলোচনা এবং পাঠকের মন্তব্য থেকে অনেক কিছু জানলাম। প্রায় নিয়মিত মাসজিদে ব্যক্তিগত উপস্থিতি থেকে লক্ষ্য করে চলেছি, সারাটা জীবন যেভাবে নামায পড়া এবং অন্যান্য আদব কায়দা বা আচরণবিধি চর্চা করে আসলাম, এখন ব্যাপক হারে তার ব্যত্যয় ঘটছে। বুঝতে পারছি, পরিকল্পিত কর্মযজ্ঞ চলছে।
আমার খুব কাছের কিছু জ্ঞানী বন্ধুরাও হানাফী মাযহাব পরিত্যাগ করছে কিংবা এ মাযহাবের পরিপন্থী আচরণ করছে। এবং এটা ব্যাপক হারে ঘটছে। সন্দেহে পড়ে যাই, কে বা কারা ঠিক! এমতাবস্থায়, এমন একটি আলোচনা সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে।
মূল লেখককে এবং মন্তব্যে অংশগ্রহণকারী পাঠকদেরকে ধন্যবাদ, তাদের মতামতের জন্যে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ,শ্রদ্ধেয় আহসান ভাই , অনেক পুরাতন একটি লেখা দেখে মুল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য ।
শরীরটা ভাল যাচ্ছেনা । সুন্দর একটা প্রতিমন্তব্য লিখতে পারছিনা বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । দোয়া করবেন ।
শুভ কামনা রইল ।

২৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক পুরনো পোষ্ট!! পড়ে ধন্য হলাম।

মন্তব্য প্রতিমন্তব্য গুলোও খুবই গুরুত্বপূর্ণ

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দু:খিত বিলম্বিত উত্তরের জন্য । একটি পুরানো পোষ্ট পাঠ করে যাওয়ায় খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: শরীরটা ভাল যাচ্ছেনা । সুন্দর একটা প্রতিমন্তব্য লিখতে পারছিনা বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । দোয়া করবেন - এমন একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আপনি দিনাতিপাত করছেন, জেনে কষ্ট হচ্ছে। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন যেন আপনাকে দ্রুত সম্পূর্ণ আরোগ্য দান করেন, ব্যথা বেদনার উপশম করে দেন!
পুনরায় পূর্ণ উদ্যমে লেখালেখিতে এবং গবেষণায় ফিরে আসুন, এই প্রার্থনা!
ভাল থাকুন, ডঃ এম এ আলী

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহসান ভাই । কামনা করি আপনার দোয়া আল্লাহ কবুল করুন ।
ব্লগে বেশিক্ষন বিচরণ করতে পারছিনা বলে আপনার অনেক মুল্যবান পোষ্ট দেখা হয়ে উঠছেনা ।
একটু আরাম ফিল করলে আপনার ব্লগ বাড়িতে সুখ অন্বেষনে যাব ইনসাল্লাহ ।

শুভেচ্ছা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.