নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈমান ও ইহসানের উৎকর্ষতাই ইহকাল ও পরকালের মুক্তি: মৌলবাদী ইসলামী দলগুলির কর্মপন্থায় তা কি সঠিকভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে ?

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭


এ আলোচনার প্রারম্ভে মৌলবাদ সম্পর্কে দু একটি কথা বলে শুরু করাই সংগত মনে করি । মৌলবাদ মূলত একটি কঠুর নীতি বা শৃংখলার অনুগত ।এটি মূলত ধর্মীয় মুল নীতির সাথে রক্ষনশীলদের বুঝাতে ব্যাবহৃত হয় । মৌলবাদকে আবার প্রায়শই একটি সংগবদ্ধ জঙ্গি প্রচার আন্দোলনের সাথে গুলিয়ে ফেলা হয় । মৌলবাদ শব্দটি মুসলমান ,খৃষ্টান কিংবা অন্য ধর্মাবলম্বীদের বেলাতেও সমভাবে প্রযুয্য । মৌলবাদ আবির্ভাব সম্পর্কে Oxford Dictionary এর সংজ্ঞাটি বেশ প্রনিধান যোগ্য, যেখানে বলা হয়েছে :
Modern Christian fundamentalism arose from American millenarian sects of the 19th century, and has become associated with reaction against social and political liberalism and rejection of the theory of evolution.
Islamic fundamentalism appeared in the 18th and 19th centuries as a reaction to the disintegration of Islamic political and economic power, asserting that Islam is central to both state and society and advocating strict adherence to the Koran (Qur’an) and to Islamic law (sharia
মৌলবাদ এবং মুক্তচিন্তাবাদীদের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো এই যে মৌলবাদীরা অতিমাত্রায় রক্ষনশীল ও মুক্তবাদীদের বিপক্ষে কঠোর অবস্থান নিতেও পিছপা হয়না আর মুক্তবদীরা সকলের প্রতি সহনশীল ও উদার মনোভাবের প্রকাশ ঘটায় কাজে কর্মে ও মননশীলতায় । কোরান এর আয়াত থেকে জানা যায় মানুষকে আল্লা বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন করে ( rational) সৃস্টি করেছেন । এজন্যই মানুষকে বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণী (rational human being ) আসরাফুল মাখলুকাত তথা সৃস্টির সেরাজীব বলা হয়ে থাকে ।

মানুষ সৃষ্টির পর থেকেই তার বিশ্বাসের গভীরতা পরখের বিষয়টি পরিলক্ষিত হয় । ভাল মন্দ বিবেচনাবোধ সম্পন্ন মুক্তচিন্তার অধিকারী করে সৃষ্ট আদি পুরুষ হযরত আদম (আঃ) ও আদি মাতা বিবি হাওয়াকে সৃস্টিলগ্ন থেকেই বেহেস্তে বসবাস করতে দেয়া হয়েছিল। তবে আল্লা তাঁদেরকে বেহেস্তের সকল বৃক্ষের ফল খাওয়ার অনুমতি দিলেও গন্দম বৃক্ষের ধারে কাছে না যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন । কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় তাঁরা নিষেধ আমান্য করে অবাধ্য এবং অবিশ্বাসী হিসাবে পরিণত হন । অনুতপ্ত আদম ও হাওয়ার আকুল আকুতির ফলে আল্লাহ তায়ালা তাঁদেরকে এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেন । পৃথিবীতে প্রেরণের পর তাঁদেরকে ভাল মন্দ ,সৎ অসৎ, জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ , সেগুলির প্রাপ্তি তথা আবাদ পদ্বতি ও প্রক্রিয়া সম্পর্কেও জ্ঞান দান করেন । পৃথিবীর ক্ষনস্থায়ী জীবন শেষে তাঁদের তথা প্রতিটি মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে আল্লার কাছে আবার প্রত্যাবর্তন করতে হবে বলেও অবহিত করেন । আল্লার সমীপে প্রত্যাবর্তনের পর পৃথিবীতে বসবাসকালীন সময়ে মানুষের কৃত কর্মের তথা ভাল ও মন্দ কর্মের ভিত্তিতে পুরস্কার কিংবা শাস্তির বিধান দেয়া হবে বলেও জানান । পুরস্কার প্রাপ্তদের বসবাসের জন্য় রয়েছে বিভিন্ন রকমের আরামদায়ক ও সুখদায়ক ব্যবস্থা সস্বলিত বেহেস্ত আর পাপীদের জন্য নির্ধারিত স্থান হলো জাহান্নাম বা দোজখ যেখানে রয়েছে ভয়াবহতম শাস্তির আয়োজন ।

যারা আল্লাহ, রাসুল, আখিরাত ও তাঁর বিধি বিধান সমুহে বিশ্বাস করবে, পবিত্র কোরানে তাদেরকে বিশ্বাসী হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে আর এর অন্যথা কারীদেরকে অবিশ্বাসি হিসাবে অভিহিত করা হবে বলেও পরিস্কার উল্লেখ রয়েছে। পুর্বেই বলা হয়েছে আল্লাতায়ালা মানুষকে সৃস্টি করেছেন বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণী হিসাবে । তারপর বয়:বৃদ্ধির সাথে কতক হয়েছে অদৃশ্যে ( সৃস্টিকর্তা আল্লা ও পরকাল সম্পর্কে) বিশ্বাসী আর কতক হয়েছে অবিশ্বাসি ।

আল্লার একত্বে এবং হযরত মোহাম্মদ ( সা:) কে আল্লার সর্বশেষ প্রেরিত রাসুল হিসাবে বিশ্বাসী এবং কোরানের বিধানের প্রতি নিষ্ঠাবান মানব সম্প্রদায় আল ইসলামের অন্তর্ভুক্ত । যে সমস্ত মানুষ কিংবা জাতি ইসলামকে অনুসরণ করে তাদের কে ধর্মীয় জগতে মুসলিম হিসাবে অভিহিত করা হয়। আল ইসলাম এর আলোকেই ঈমান হয় শক্তিশালী আর ইহসান হয় উকর্ষমন্ডিত । তাই ইসলাম, ঈমান ও ইহসান এই তিনটি পরস্পর গভীর সম্পর্কযুক্ত।

ইসলামী ধর্মবিশ্বাস অর্থাৎ আল্লার প্রতি সম্পুর্ণভাবে সমর্পিত ঈমানের বলে বলিয়ান হয়েই মুমিনের পথচলা । মূল লক্ষ্য হলো ঈমানের সকল আবশ্যকীয় বিষয়াবলি ( যথা আল্লা ফেরেসতা, রাসুল, কোরান, আখেরাত এবং আল্লাহ নির্ধারিত ভাল মন্দ ভাগ্যের উপর বিশ্বাস) সঠিকভাবে হৃদয়ে ধারণ , পোষন ও বাস্তব জগতে কর্মের মধ্যে প্রতিফলন করে ইহকালেই পরকালের মুক্তির পাথেয় অর্জনের জন্য মানব জীবনের পরিপুর্ণতা ও উৎকর্ষতা সাধন করা । যেমনটি দেখানো হয়েছে প্রচ্ছদের ডায়াগ্রামে ( আলোচনার সুবিধার্থে পুন:উপস্থাপন করা হলো ।

নীজকে আল্লাহ তে সমর্পিত ইসলাম মূলত একটিই । এই ইসলাম থেকে যা বিকশিত হওয়ার কথা তাহল ঈমান ও ইহসান । কিন্তু বাস্তবে কি দেখছি আমরা । অমরা দেখছি ইসলাম থেকে প্রথমেই বিকশিত হচ্ছে বিভিন্ন নামের ইসলামী সংঠন । যেমনটি নিম্মের চিত্রে দেখা যায় ।

তাই বলছি নাম দিয়ে কাম কি , বরং কর্মেই হোক পরিচয় । যেমন হতে পারে 'মানুষের জন্য মানুষের দল, সত্য সেবক দল , মুক্তির পথযাত্রি দল, মানবিক মূল্য বোধের দল । দলের মেনোফেস্টো বা গঠন তন্ত্রে থাকবে একটি মাত্র শব্ধ কোরান ও সুন্নার আলোকে কর্মপরিচালনার বিধি বিধান ( গঠন তন্ত্রের শেষাংশে কিংবা প্রারম্ভে সংলঘ্নী আকারে সমগ্র কোরান শরীফ কে যুক্ত করে দিলে আর কোন বিভ্রান্তি থাকবেনা , কেননা কোরান তো একটিই ্‌এবং সকলের কাছেই শ্রদ্ধার সহিত গ্রহণযোগ্য ) সবাই ধরে নিবে সকলের লক্ষ উদ্দেশ্য একটাই। তখন আর নাম দেখে বিভ্রানত না হয়ে বরং কাম ও দলের নেতাদের ব্যাক্তিগত চরিত্র , পুর্ব ইতিহাস ও কৃতি , আচার আচরণ , সততা , দক্ষতা ও নিষ্ঠা দেখে মানুষ ঠিক করে নিবে নীজের, সমাজের ও দেশের ভালর জন্য কোন দলটি অনুসরনীয় ।

আলোচনার এ পর্যায়ে ইসলামী সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিনয় প্রদর্শন পুর্বক অনুরোধ করব বিভিন্ন নামে বিকশিত ইসলামী সংগঠনগুলি তাদের বিভিন্ন মাত্রার ভিশন মিশন বাস্তবায়নের জন্য এক ও অভিন্ন ইসলামকে বিভিন্ন নামের আবহে কি ভাবে দ্বিধান্বিত করছে তা, একটু বিবেচনা করে দেখার জন্য । সাধারণ মানুষ কোন ইসলামের পতাকাতলে সমবেত হবে তা নিয়ে আজ চরম বিভ্রান্তির মধ্যে নিপতিত। কেও কিন্তু বলছেনা যে, ইসলামী নাম সংবলিত যেকোন একটি সংগঠনে যোগ দিয়ে দ্বীন ও দুনিয়া হাছিল করুন। সবাই বলছে তাদের ইসলামের পতাকাতলে যোগ দিলেই মুক্তি, সকলেরই একটি করে সতন্ত্র পতাকা রয়েছে, রয়েছে লগু, নীতিমালা ও আদর্শ ।

কিন্তু শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে এদেশে ইসলামের প্রচার, প্রসার ও বিকাশ হয়েছে কোন রূপ রাজনৈতিক মতাদর্শী ইসলাম নামদারী সংগঠনের অবর্তমানেই । শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে শত নিপীড়ন ও নির্যাতনের পরেও লক্ষ/কোটি মানূষ সমবেত হয়েছে ইসলামের পতাকাতলে । তারা ইসলামে দিক্ষিত হয়েছে ইসলামকে শান্তির ধর্ম হিসাবে পথ চলতে দেখে । তারা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে ইসলামের আলোকে আলোকিত আলেম উলামা সুফি দরবেশদের সহজ সরল শান্তিময় জীবনা দর্শন দেখে ।
ইসলামের নীতি দর্শনের আলোকে একজন ব্যক্তির জন্য বরং নীচের পথ পরিক্রমাই অধীক যুক্তিযুক্ত দেখা যায় ।

ইসলামে সমর্পিত ব্যক্তি থেকে বিকশিত হবে ঈমান, বিকাশ ঘটবে পরিপুর্ণতা ও পাবে উৎকর্ষতা, ইসলামী আলোতে উদ্ভাসিত মানুষ নিজেই নীজ উদ্যোগে ব্রতি হবে অপরের জন্য মংগল কামনায়, নীজের সৎকাজ ও উত্তম গুনাবলী প্রদর্শনের মাধ্যমে বিশ্বমানবতাকে নিয়ে যাবে ইসলামী বিশ্বাসের সর্বোচ্য সোপানে। নিয়ে যাবেনা বিশেষ কোন ইসলামী সংগঠনে বরং তাকে নিয়ে যাবে এক ও অদ্বিতীয় ইসলাম ধর্মের মূল ধর্মাচারে । এরকম কাজের জন্য প্রয়োজন হবে নীজের উত্তম চারিত্রক গুনাবলীর। তবে প্রশ্ন থেকে যায় একটি বিশেষ কোন দলের কর্মী, সমর্থক ও অনুসারী না হয়ে একজন মানুষ কি উত্তম চারিত্রিক ও ধর্মপ্রাণ মানুষে পরিনত হতে পারবে না । বলা হয়, প্রয়োজনীয় উৎকর্ষতা অর্জনের জন্য বিশেষ বিশেষ ইসলামী সংগঠন গুরুত্বপুর্ণ সহায়ক ভুমিকা পালন করে । তাই এরকম ইসলামী সংগঠনের প্রয়োজন আছে ।

এক্ষেত্রে তাহলে সংগতভাবেই আরো একটি বড় প্রশ্ন সামনে চলে আসে। তাহল এসমস্ত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা/প্রবত্তাগণ কিভাবে নিজেদেরকে ঈমানদার আলোকিত ব্যাক্তি হিসাবে গড়ে তোলেছিলেন সংগঠন গড়ে তোলার পুর্বেই । নীজেরা যদি কোন সংগঠনের সদস্য/কর্মী/অনুসারী না হয়েও উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে পারেন, গড়তে পারেন সংগঠন,আহবান করতে পারেন অন্যকে সে সংগঠনে যোগ দিতে ,তাহলে অন্যদের বেলাতেও তা প্রযুয্য হবেনা কেন? বুঝাই যাচ্ছে সাচ্চা ঈমানদার ও সত্যের আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে জীবন গড়ার জ্‌ন্য বিশেষ কোন ইসলামী নামদারী দল গঠনের বা তার অনুসারী হওয়ার আবশ্যকীয়তা নেই, যদিনা অন্তরে অন্য কোন খায়েশ থাকে । এ ক্ষেত্রে নীজেকে কোরান ও সোন্নার আলোকে একজন বিশ্বাসী ঈমানদার মুসলমান হিসাবে গড়ে তুলাই মুখ্য কাজ , তখন ইসলামের সত্যের আলোকেই পথ পাথেয় ও কর্ম ঠিক করে নিবে ।

এখানে আরো উল্লেখ্য যে, শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে এদেশে ইসলাম যখন রাস্ট্র ধর্ম হিসাবে স্বিকৃত ছিলনা তখনই এর প্রচার ও প্রসার হয়ছে ব্যাপকতর । কিন্তু যখনই বিভিন্ন ইসলামী নামের বাতাবয়নে এটা ব্রেকেট বন্ধী হয়েছে তখন থেকেই দেখা গেছে বিভিন্ন মতানৈক্যের । সৃষ্টি হয়েছে বিভন্ন উগ্রপন্থী, চড়মপন্থী, মধ্যপন্থী ও নরমপন্থীর । পরিনামে যা হচ্ছে তা তো দেশাবাসী জগতবাসী আজ স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করছে । তবে সূখের কথা অনেক বাগ বিতন্ডা ও ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে ইসলাম এখন এ দেশের রাষ্ট ধর্ম , মহান সৃস্টি কর্তা আল্লাই এর রক্ষক ।

তাই আল্লাতে সমর্পিত ইসলামী মতাদর্শে বিশ্বাসী প্রতিটি মানবের উচিত হবে সর্বশক্তিমান আল্লাকে সর্বান্তকরনে সর্বোতভাবে বিশ্বাস করা । বিশ্বাস করা আল্লার বাণিতে । আল্লার কালামের মুল লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও প্রয়োগ ক্ষেত্র চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী জীবনাদর্শ পরিচালনা করা । আল্লার দ্বীনকে আল্লা নীজে স্বহস্তে রক্ষা করবেন, প্রসার করবেন ও মহামান্বিত করবেন এ বিশ্বাস অটুট রাখা । দুনিয়ার তাবত মানুষই আল্লার সৃষ্ট, তার সীমাহীন রহমতের গুনেই তারা এ দুনিয়ায় বসবাস করছে । কেননা এটা আল্লার অভিপ্রায় নয় যে তার সৃস্টিকুলের কোন অনিষ্ট হয় । তাদের মংগলের জন্য আল্লাহ প্রেরণ করেছেন রাসুল, নাযীল করেছেন স্বব্যখ্যাত কোরান , যেখানে পরিস্কার ভাবে বলা হয়েছে জীবনাচারের বিধানাবলী, যা হাতে কলমে শিখিয়ে দিয়েছেন রাসুল । আল্লাহ দ্বীন কে করে দিয়েছেন পরিপুর্ণ সহজ সরল, যাতে করে যে কেও তা পালন করতে পারে অতি সহজেই । আল্লাহ তার দ্বীনকে রক্ষার জন্য কারো মুখাপেক্ষি নহেন । তবে যার যার নীজের ঈমানকে মজবুত ,পরিপুর্ণ এবং সকল প্রকার মানবিকগুনে গুনান্বিত করার দায়ীত্ব আল্লাহ প্রতিটি ব্যাক্তি সত্তার উপরই ছেড়ে দিয়েছেন তাকে বুদ্ধিমত্তা ও মুক্তচিন্তার অধিকারী মানব হিসাবে সৃষ্টি করে ।

মুক্ত চিন্তার অধিকারী মানবের ইসলামী জ্ঞান অর্জন ও তা প্রতিপালনের জন্য আজ রয়েছে বিভিন্ন মাধ্যম। রয়েছে মুল অবিকৃত কোরান ও হাদিস গ্রন্থের বিশাল সমারোহ দুনিয়া ব্যপী । মুসলিম, নন -মুসলিম জগতের যে কোন প্রান্ত থেকেই আজ পালন করা যায় ইসলাম ধর্ম । ইষ্ট লন্ডন তো বলতে গেলে এখন দুনিয়াব্যপী ইসলাম ধর্ম বিকাশের একটি শক্তিশালি কেন্দ্রে পর্যবেশিত । যেখানে রাস্ট ধর্ম ইসলাম নেই এমনকি নেই পবিত্র ঈদের দিনে ও জুম্মার দিনেও কোন ছুটি সেখানেও ইসলাম ধর্ম পালনে কোন বিশেষ অসুবিধা হয়না বরং উল্টাটাই দেখা যায় , যেমন বিভিন্ন ইসলাম অধ্যুসিত দেশে/ জনপদে বিভিন্ন ইসলামী ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে মতানৈক্য, বিভ্রান্তি এমনকি উগ্র ও হিংস্র কার্যকলাপ যা দিন ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে।

এ অবস্থা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে তাই আসুন পবিত্র কোরানে সহজ সরল ও নমনীয় যে সমস্ত নির্দেশাবলী রয়েছে ( আল্লা তায়ালার সকল নির্দেশনাবলীই সমভাবে সমান গুরুত্ব দিয়ে পালন করা আবশ্যকীয়, তবে মানুষকে তিনি যে সমস্ত আয়াতে হেদায়েতের সুরে পরম মমতায় ( a kind of flexibility) সত্য পথে আসার জন্য আহবান জানিয়েছেন, দেখিয়েছেন মহাপুরস্কারের প্রলোভন, উদাহরণ দেখিয়েছেন পথভ্রষ্টদের তিনি কিভাবে নীজ হাতে শাস্তি দিয়েছেন ভ্রান্তপথে ও গোমরাহীতে নিমজ্জিত থাকার জন্য, কারণ পুরস্কার ও শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা একমাত্র তারই উপর ) এবং রাসুল (সাঃ) কিভাবে বিধর্মী কাফেরদেরকে এমনকি যে বা যারা তাঁর চলার পথে কাটা বিছিয়ে রাখতো, তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য নাংগা তলোয়ার নিয়ে পথে প্রান্তরে খুঁজে ফিরত অবিরত তাদেরকেও কি ভাবে ভালবেসে , আদর সোহাগ দিয়ে শান্তির ধর্ম ইসলামের পতাকাতলে নিয়ে এসেছেন, বর্তমান বাস্তবতায় এ বিশ্বায়নের যুগে সেগুলিকেই প্রয়োগের জন্য নিজেদেরক গড়ে তুলা আশু কর্তব্য । কোরান ও হাদিসের নমনীয় ও উদার বিষয়গুলিকে ধর্মী- বিধর্মী সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ভাবে (অবশ্যই অবিকৃতভাবে) প্রয়োগের কর্মসূচী নিয়ে ব্যক্তিগত, সামাজিক, জাতীয় ও বিশ্বজনীন সার্বিক মুক্তি ও কল্যান সাধনের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হবে এখনকার সময়ের দাবী । আর এ লক্ষেই আমাদেরকে উত্তম, আদর্শবাদী ও মুক্তবাদী চিন্তার চারিত্রিক বৈশিষ্টের অধিকারী হিসাবে গড়ে তোলে কলমের যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে শত প্রতিকুলতা মধ্যেও ভিতরে (আত্ম শুদ্ধি) ও বাইরে (বৃহত্তর কর্মপরিসরে)।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২১

বিজন রয় বলেছেন: ইসলাম নিয়ে আপনার লেখাগুলো এত নিরপেক্ষ, এত তথ্যবহুল, এত সুন্দর বিশ্লেষণধর্মী হয় যে, আমি অন্য ধর্মের হয়েও মুগ্ধ হয়ে পড়ি। জ্ঞান অর্জনের তো কোন শেষ নেই।

এই ভাবেই মানুষকে পথ দেখান।
শুভকামনা রইল।

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তখন এ ব্লগে নতুন হওয়ায় ভুলে প্রতিউত্তর বাটনে চাপ না দিয়ে উত্তর লিখে পোষ্ট করেছিলাম তাই নোটিফিকেশন পাননি । তাই বিলম্বিত হলেও সে উত্তরটা পুণ:পাঠালাম । এভুলের জন্য দু:খিত ।

"ধন্যবাদ বিজন রয় । আপনার লেখাগুলিও আমাকে অনুপ্রানিত করে, আন্দোলিত করে । বাংলা লিখায় আমি খুবই দুর্বল । টাইপে বেশ সমস্যা হয় । মাঝে মাঝে কোন কোন শব্ধ তিন/চার বারের মত টাইপ করতে হয় । তার পরেও পোষ্ট করার পর দেখা যায় যেমনটি লিখেছি টাইপে তেমনটি আসেনি । বানান ভুল খেকেই যায় । ভয়ে ভয়ে থাকি, নীজের খাছেই খারাপ লাগে । আশা করি ক্ষমার চোখে দেখবেন ।"

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন রয় । আপনার লেখাগুলিও আমাকে অনুপ্রানিত করে, আন্দোলিত করে । বাংলা লিখায় আমি খুবই দুর্বল । টাইপে বেশ সমস্যা হয় । মাঝে মাঝে কোন কোন শব্ধ তিন/চার বারের মত টাইপ করতে হয় । তার পরেও পোষ্ট করার পর দেখা যায় যেমনটি লিখেছি টাইপে তেমনটি আসেনি । বানান ভুল খেকেই যায় । ভয়ে ভয়ে থাকি, নীজের খাছেই খারাপ লাগে । আশা করি ক্ষমার চোখে দেখবেন ।

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা .......... ব্যাপার না।

এই প্রতিউত্তরটি আমি যখন দেখেছিলাম তখনই বুঝে নিয়েছিলাম।

শুভকামনা প্রিয় ডঃ।

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।
দাদার প্রতি শুভ কামনা রইল ।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:০৩

কালনী নদী বলেছেন: শুভ কামনা, ভাই।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ।

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে ভাল লাগল।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লেখাটি পাঠে ভাল লাগার জন্য খুব খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে যকটুকু পড়েছি তাতে আপনার সাজেশন হলো, হানাফী মাজহাবকে মানদন্ড ধরে এর প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য একটা মানদন্ডে পৌঁছানো যেন সবাই সেটা একবাক্যে মানতে পারে। তো এর জন্য কাজ করার প্রথমে একটা টিম লাগবে। প্রচুর অর্থায়ন লাগবে। সে টিমে আমি এবং আপনি থাকতে পারলে মনে হয় আমরা ভাল কিছু দিতে পারব। সেই সাথে লাগবে আরো এক ঝাঁক লোক। প্রতিষ্ঠান এমন ভাবে সাজাতে হবে যেন হঠাৎ একজন চলে গেলোও ধাক্কাটা সহজে সামলানো যায়।
আমি আপনার মন্তব্য নিয়ে যে পোষ্টটা করেছি। সেটা ফেসবুকেও ছেড়েছি। আমি আবার সব বড় বড় গ্রুপের সদস্য। পোষ্ট দিলেই সাথে সাথে এপ্রুব হয়। তো পোষ্টটাতে সন্তোষ জনক সাড়া মিলেছে। যদি এখন যা লিখলাম সে বিষয়ে ভাল মন্তব্য পাই তাও ফেসবুকে দেব আশাকরি। অনেকেই আমার নিকট আপনার সাক্ষাত চেয়েছে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সবিনয়ে জানাতে চাই ইসলামী বিষয়ে আমার জ্ঞান অতি সীমিত । আমি ইমাম হানিফা (র.) এর উপর এই মহুর্তে শুধু পড়াশুনাই করছি । উনার মজহাব ও উনার উপরে লিখিত পুথি পুস্তিকাদি যতটুকু পারছি পাঠ করছি । আমি খুবই স্লো লারনার কোন একটি লাইন বুঝতে আমার কয়েকদিন লেগে যায় । জানিনা , তাঁর বিশাল কর্মভান্ডার কতদিনে কতটুকু পাঠ করতে পারব । দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাঁর মত গুণীজনের বিষয়ে জানার তাওফিক দেন ।

আমি উনার পদ্ধতির বিষয়ে বেশী আগ্রহী । হানাফী মজহাব সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যতটুকু জানতে পেরেছি তাতে দেখা যায় এতে সংস্কারের কোন অবকাশ নেই এবং এটা সংস্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় ইসলামী জ্ঞান, গরীমা ও বিচক্ষনতা এখন পর্যন্ত কারো মধ্যে দেখা যায়নি , আর আমার জ্ঞানাতো এব্যপারে একেবারেই নেই । আমি শুধু বিভিন্ন গুণীজনের লিখা পাঠ করে কিছু জানতে পারি , এটুকুই আমার জানার দৌঁড় ।

হানাফি পদ্ধতির বিষয়ে বিভিন্ন গুণীজনের লিখা পাঠে যতটুকু জেনেছি তাতে দেখা যায় হানাফি ফিকাহ নিন্মলিখিত কিছু বৈশিষ্টের জন্য বিশ্ব মুসলিম সমাজে বহুলভাবে অনুসৃত এবং ভবিষ্যতেও অবিকলভাবে অনুসরণযোগ্য :
১)হানাফি পদ্ধতিতে ( মজহাবে ) যুক্তির সামসঞ্জতা রয়েছে অনেক বেশী
২) হানাফি পদ্ধতি অপরাপর পদ্ধতির তুলনায় সরল ও সহজে প্রতিপালন যোগ্য ।
৩) কৃষ্টি –কালচারের জন্য যা প্রয়োজন তা অন্যান্য পদ্ধতি( মজহাবের) তুলনায় হানাফি পদ্ধতিতে রয়েছে অনেক বেশী।
৪) হানাফি পদ্ধতিতে বাস্তব জীবন ব্যবস্থার অংশ ব্যপক , সুদৃঢ় এবং নিয়মতান্ত্রিক ।
৫) হানাফি পদ্ধতি অনুযায়ী রাস্ট্র ও বিচার ব্যবস্থা পরিচালনা করা অত্যন্ত সহজ, কারণ এতে প্রজা সাধারণ বিশেষত অমুসলিম প্রজাদের দাবী ও চাহিদার প্রতি যথাযথ লক্ষ্য রাখা হয়েছে ।
৬) কোরান ও সুন্না হতে আহরিত মাসয়ালা- মাসায়েল হানাফি ফিকাতে অত্যন্ত সুদৃঢ় ও যুক্তিসঙ্গতভাবে অনুসারিত ও বর্ণিত ।
৭) হানাফি ফিকাতে কোরান ও হাদিস এবং একাধিক হাদিসের সংষ্লিষ্টতার ক্ষেত্রগুলি এমনভাবে সমন্বয় করা হয়েছে যার ফলে হাদিস ও কোরানের সংস্লিষ্ট কোন আয়াতই আমলের আওতা বহির্ভুত থাকেনি ।

হানাফি মজহাবের বিষয়গুলি আরো ভাল ভাবে বুজার জন্য তাঁর বিষয়ে প্রপ্ত তথ্যগুলি এখানে এই সামুতে ও অন্যান্য প্রকাশ মাধ্যমে খুব সহজেই খুলাখুলিভাবে একে অপরে শেয়ার করতে পারি । তাই এই প্রক্রিয়াতেই আমরা পরস্পরের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারি ও তাঁর মজহাব সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারি ।

যেহেতু ইমাম হানিফা (রহ,) এর বিষয়ে আমি এখনো মাত্র জানার পর্যায়ে আছি সেহেতু আমি তাঁর উপরে কোন পোষ্ট বা পৃথকভাবে কিছু লিখার যোগ্যতা একেবারেই রাখিনা বলে দ্ব্যর্থহীনভাবে মনে করি ।

আশা করি আমাকে কোন ভুল বুঝবেন না । অাল্লাহ আমাদের সহায় হোন । আমীন

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইমাম আবু হানিফা কাজ অনেক সহজ করে গেছেন। আমার মনে হয় এ বিষয়ে কাজ করলে কিছু ফল বেরিয়ে আসবেই- ইনশা আল্লাহ। অর্থায়নের জন্য প্রাথমিক ভাবে তুর্কী প্রেসিডেন্টের সাথে যোগাযোগ করা যেতেপারে। তারপর আস্তে আস্তে হয়তো অন্যদেরকেও পাশে পাওয়া যাবে। ইন্টারনেট আমাদের বেশ কাজে লাগবে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমার উরের ৬ নং প্রতিমন্তব্যটি সদয় অবলোকনের জন্য অনুরোধ করা হল ।

৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি বেশ উৎসুক অবস্থায় আছি। আপনি আমার মন্তব্য পড়ে থাকলে আমাকে অবহিত করেন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমার উরের ৬ নং প্রতি মন্তব্যটি সদয় অবলোকনের জন্য অনুরোধ করা হল ।

৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার এই পোস্টটি কোন কারণে আমার চোখে পড়েনি, আজ পড়লাম।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পাঠের জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



জেনে আনন্দিত হলাম, ইমাম আ'যমকে নিয়ে অাপনি স্টাডি করছেন।
আপনার 'ঈদের জামাত নিয়ে ডাক্তার জাকের নায়েকের উপর লিখা এবং এ সম্পর্কিত কতিপয় মন্তব্য প্রসংগে' পোস্টে যদিও দিয়ে রেখেছি, তবু এখানেও লিঙ্কটি আবার যুক্ত করলাম। দয়া করে পড়ে দেখার অনুরোধ থাকল। ইমাম আ'যম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহির অনবদ্য জীবনালেখ্য। হাদিস শাস্ত্রে তাঁর পান্ডিত্য, ইসলামের সকল শাখায় তাঁর অসামান্য অবদান, তাকওয়া পরহেযগারিতে তাঁর সীমাহীন উচ্চতাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ন, অখন্ডনীয় যুক্তির আলোকে অনুপম একটি গ্রন্থ 'হাদিস চর্চায় ইমাম আযম আবু হানিফা রহ. এর অবদান]'।

হাদিস চর্চায় ইমাম আযম আবু হানিফা রহ. এর অবদান

ভাল থাকবেন, প্রিয়বরেষু।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য । ধর্মশাস্ত্র (Theology) এখন আমাদের দেশে যত গুরুত্ব দিয়ে পড়াশুনা হয় তার থেকে অনেক বেশী গুরুত্ব সহকারে পাশ্চাত্তের বিশ্ব বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে । এখন এটা সকলের কাছে অতি স্বীকৃত যে , ধর্মশাস্ত্র (Theology ) বিষয়ক শিক্ষা কার্যক্রম সমাজের ও রাস্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করে এবং অবদান রাখতে সক্ষম । তাই অক্সফোর্ড , কেমব্রিজ , হার্ভার্ড সহ বিশ্বের প্রায় সব নামী দামীঊ বিশ্ববিদ্যালয়েই Theology and Religion বিষয়ে তাদের প্রসপেকটাসে প্রথমেই বড় বড় অক্ষরে লিখা থাকে ধর্মশাস্র নিয়ে পড়াশুনা করলে এবং এ বিষয়ে ডিগ্রী নিলে সকল ডিসিপ্লিনেই কেরিয়ার গড়া যায় । বলা হয়ে থাকে While some Theology and Religion graduates go on to further academic study, other recent graduates have pursued careers in law, the Civil Service, social work, education, the media, publishing, banking, management consultancy, accountancy, personnel management, teaching, the police force and the churches । তাই এ দেশেও , একটি প্রবল জনমত গড়ে তোলা প্রয়োজন, সকলের মাঝে এই বিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে হবে যে ধর্যশাস্র নিয়ে পড়াশুনা করলে উপরের বর্ণনার মত সকল ডিসিপ্লিনেই কেরিয়ার গড়ে তুলার সুযোগ পাওয়া যাবে , এ সুযোগ সমাজ ও রাস্ট্রকেই করতে হবে , তবে তার জন্য সমাজের ক্রস সেকসন অফ পিপলের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন সক্রিয়ভাবে । প্রয়োজন প্রবল জনমত সে সাথে সকল ডিসিপ্লিনে কেরিয়ার গড়ার জন্য ইসলামী মজহাবের বিভিন্ন দিকের উপর আলোনা ও এর সহজ সরল প্রাঞ্জল বাংলা ভাষায় আমাদের দেশের ছাত্র ছাত্রী ও সকল শ্রেণীর সাধারণ পাঠকের জন্য যথাপযুক্ত পুস্তকের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে ।

ইমাম হানিফা ( রহ.) এর উপরে আপনার দেয়া সব গুলি লিংক অনুসরন করে আমি গত দুদিন ধরে গভীর মনযোগ দিয়ে পাঠ করেছি । পুস্তকগুলিতে নি:সন্দেহে মুল্যবান তথ্য ও আলোচনা স্থান পেয়েছে । কিন্তু আমার কাছে একটি বিষয় মনে হয়েছে পুস্তকগুলির আলোচনাকে আরো একটু সহজ ও সংক্ষিপ্ত করা যেতো । অনেক আরবী শব্দমালা অছে যে গুলিকে গ্লসারী হিসাবে বই এর শেষে দিয়ে এর বাংলা প্রতি শব্দগুলিকে বোল্ড অক্ষরে লিখার মধ্যে ব্যাবহার করা হতো তাহলে এগুলির পাঠ আরো বেশী হৃদয়গ্রাহী ও আমাদের নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে আরো বেশি আকর্ষনীয় হতে পারতো । যাহোক, এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত ।

পুস্তকের লিখার মাঝে রেফারেন্স হিসাবে যে নাম ও বই এর কথামালা এসেছে তাকে হার্ভার্ড কিংবা অন্য কোন বহুল অনুসারিত পদ্ধতিতে ব্যাবহার করলে বই এর পাঠ অনেক সাবলবিল হত । সেই রেফারেন্স পুস্তক গুলিকে বই এর শেষে দিলে বই এর কনটেন্ট আরো অনেক বেশী সংক্ষেপিত ও পাঠে সাবলিলতা আসতে পারত । নতুন সংস্করনে এই বিষয়গুলি এখনো করা যায় । বই এর পরম শ্রদ্ধেয় লিখকদেরকে বা পাবলিসারদে এ বিষয়ে অনোরোধ করা যেতে পারে । তবে হাদিস চর্চায় ইমাম আযম আবু হানিফা রহ. এর অবদান শীর্ষক বইটির শেষে যে তথ্য সুত্র দেয়া হয়েছে তা সমৃদ্ধ তথ্য সুত্র হিসাবে বিবেচিত । এই বইগুলি পাঠের জন্য মনের মাঝে প্রবল ইচ্ছা জাগছে । যদি সম্ভব হয় তাহলে এই পুস্তকগুলির কোন ওয়েব লিংক দিতে পারলে বাধিত হব ।

আরো একটি বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে, যেহেতু এই বইগুলি মুল লক্ষ্য বাংলা ভাষাভাষি মুসলিম জনগোষ্টীর কাছে বিষয় গুলিকে তুলে ধরা ও ব্যপক ভাবে প্রচার ও প্রসার করা সেহেতু পাঠক মনতোষ করে এই মুল্যবান গ্রন্থগুলিকে এই ব্লগেও ধারাবাহিকভাবে ছোট ছোট পর্বে প্রকাশ করা যেতে পারে । প্রয়োজনে লিখাগুলির ফাকে ফাকে ( বক্স আকারে সে সময়কার তথ্য চিত্র বা সুন্দর সুন্দর কেলিগ্রাফি যুক্ত করে কিংবা ইমেজ যুক্ত করে মুল লিখাটিকে আরো বেশি পাঠক মনোরঞ্জন করা যায় ) । এ ভাবে ধর্মশাস্র পাঠকে একদিকে করা যায় আকর্ষনীয় অন্যদিকে করা যায় মনোগ্রাহী । তবে তা আবার হতে হবে সম্পুর্ণ নিরপেক্ষ দৃ্স্টি কোন হতে লিখা । লিখার ভিতরে থাকা যুক্তি ও তথ্যমালা হতে পাঠক নিজেই নির্ধারণ করে নিতে পারবেন তারা কোনটা গ্রহণ করবেন ও কোনটা বর্জন করবেন ।

যাহোক, অনেক কথা হয়ত অযাচিত ভাবে বলা হয়ে গেছে । কোন কিছু ভুল বলা হলে নীজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন ।

শুভেচ্ছা রইল । আল্লাহ সকলের সহায় হোন । আমীন

১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার ৬নং প্রতি মন্তব্য পেসবুকে অনেকগুলো সুপার গ্রুপে পোষ্ট করেছি এবং তা যথারীতি হিট হয়েছে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ফরিদ ভাই শুনে খুশি হলাম ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অবশ্য যা পোষ্ট করেছি তা আমার ব্লগেও পোষ্ট করেছি একটু দেখে দিবেন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ফরিদ ভাই , দেখে এসেছি । কিছু কথা সেখানে বলে এসেছি ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
আল্লাহ আমাদের সকলের মঙ্গল করুন । আমীন

১৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন:
তবে আল্লা তাঁদেরকে বেহেস্তের সকল বৃক্ষের ফল খাওয়ার অনুমতি দিলেও গন্দম বৃক্ষের ধারে কাছে না যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন । কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় তাঁরা নিষেধ আমান্য করে অবাধ্য এবং অবিশ্বাসী হিসাবে পরিণত হন ।

আল্লা তো সর্বশক্তিমান। শয়তান কে প্ররোচনা দিতে দিলেন কেন ? নাকি শয়তান আল্লার নিয়ন্ত্রণে নেই???


যারা আল্লাহ, রাসুল, আখিরাত ও তাঁর বিধি বিধান সমুহে বিশ্বাস করবে, পবিত্র কোরানে তাদেরকে বিশ্বাসী হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে আর এর অন্যথা কারীদেরকে অবিশ্বাসি হিসাবে অভিহিত করা হবে

কেনোরে বাবা !! অন্য ধর্মের লোকেরা তো মুসলমানদের অবিশ্বাসী /কাফের ইত্যাদি বলে না। মুসলমানরা বলে কেন ? এটা কি অন্য ধর্মাবলম্বী দের অপমান করা নয় ??

ইষ্ট লন্ডন তো বলতে গেলে এখন দুনিয়াব্যপী ইসলাম ধর্ম বিকাশের একটি শক্তিশালি কেন্দ্রে পর্যবেশিত ।

এটা তো ব্রিটিশ -খ্রীষ্টান দের মহানুভবতা। ..তারা ওখানে সেটা allow করেছে। কোন মুসলিম মেজোরিটি দেশ কি ভিন্ন ধর্মকে তাদের দেশে শক্তিশালী বিকাশ কেন্দ্রের এর অনুমতি দেয় ?? অবস্য দেবেই বা কেন ? আপনিই তো লিখেছেন :পবিত্র কোরানে তাদেরকে বিশ্বাসী হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে আর এর অন্যথা কারীদেরকে অবিশ্বাসি হিসাবে অভিহিত করা হবে। পবিত্র কোরান !!
লন্ডন বাসীদের মহানুভবতা কে কাজে লাগিয়ে মুসলমানরা কি ভাবে তার প্রতিদান দিচ্ছে তা এখানে এবং এখানে দেখুন।

অমরা দেখছি ইসলাম থেকে প্রথমেই বিকশিত হচ্ছে বিভিন্ন নামের ইসলামী সংঠন । ..............তাই বলছি নাম দিয়ে কাম কি , বরং কর্মেই হোক পরিচয় ।
আমি বলি কি ধর্ম দিয়ে কাম কি ?? বরং কর্মেই হোক পরিচয় ।
অবশ্য যুক্তি দিয়ে লাভ কি ?
বিশ্বাস যেখানে তীব্র ,reason সেখানে whore .

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মনযোগ দিয়ে পোষ্ট টি পরার জন্য ।
যে সমস্ত প্রসঙ্গের অবতারনা করেছেন তার প্রতিটিই চিন্তার যোগ্য ।
সবগুলি বিষয়ই চিন্তা করে দেখব ।
আপনার দেয়া লিংক গুলো ফলো করে দেখে এসেছি
সুযোগের ভাল ব্যবহার না করলে যা হয় তাই হচ্ছে !!!
আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুন এ কামনাই রইল ।

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামের প্রথম অংশের সাথে একমত। দ্বিতীয় অংশের প্রশ্নটির উত্তরঃ মোটেই না।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্টটি মনযোগ সহকারে পাঠের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:০৫

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়তে হলে ভিতরে (আত্মশুদ্ধি) ও বাইরে (প্রকাশ্য জীবনাচরণ) সমানতালে হতে হবে।

০২ রা মে, ২০২১ রাত ৯:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

ধন্যবাদ , সঠিক কথা বলেছেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.