নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
এক সময় মনে হতো আকাশের মতন তুমি
বিকেলের মৃদু রোদ বৃষ্টিতে তোমায় দেখায়
রঙধনুর লাল নীল হলুদ বেগুনী সাত রংগে
কিংবা শেষ বিকালের স্নিগ্ধ কোমল আলোয়
সপুলক চেয়ে আছ রামধনু বাঁকা চোখে ।
কখনো মনে হতো মেঘের কোলে চড়ে
হিমালয় চুড়া পেরিয়ে অপ্সরা সাজে
নীচদিয়ে কেহ চলে গেলে দেখায় তোমার
নীল চন্দন মাখা মুখের মতন অবিকল ।
হাকালুকির স্বচ্ছ নীল জল রঙে ভাসে
তোমার নয়নাভিরাম স্নিগ্ধ শ্যামল মুখ
নীজের মুখের ঠান্ডা জলরং দিয়ে যাও চলে
পরিণত করে আমায় এক ভাসমান শুশুখ ।
মনে হয় অকস্মাৎ পৃথিবীর সব রক্ত উঠে এসে
আমার বুকের ভিতর জমাট বেধে হয় নিস্তবদ্ধ
ধমনীতে চলা শ্বেত রক্ত কনিকাগুলি সরে গিয়ে
মেঘে ধোয়া জল রঙকে বুকের মধ্যে টেনে নিয়ে
আমার মনের আকাশের রঙ হয়ে যায় উদ্দিপিত ।
রক্তের রং বদলের সাথে কবিতার রংটিও পাল্টায়
কবিতা সিনড্রমে আক্রান্ত আমার দেহতন্ত্র মূলে
পলিনিউপেথি, অগ্রোনমেগলী মলিকুল গামোপেথি
এন্ডোক্রাইনোপেথি আর ত্বকের বিষন্ন পরিবর্তন
এ রক্ত বিবর্তন আমাকে করে দেয় বিশুদ্ধ পাগল ।
অট : POEMS syndrome can cause reduced sensation leading towards mental disorder
POEMS stands for:
Polyneuropathy, Organomegaly ,Endocrinopathy ,Monoclonal gammopathy, Skin changes
০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবিতা ভাল লাগার জন্য ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।
২| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০৮
কালনী নদী বলেছেন: মনে হয় অকস্মাত পৃথিবীর সব রক্ত উঠে এসে
আমার বুকের ভিতর জমাট বেধে হয় নিস্তব্ধ
ধমনীতে চলা শ্বেত রক্ত কনিকাগুলু সরে গিয়ে
মেঘে ধোয়া জল রঙকে বুকের মধ্যে টেনে নিয়ে
আমার মনের আকাশের রঙ হয়ে যায় উদ্দিপিত ।
বাহ কবিতা যে প্রতিষেধকের কাজ করে জানা ছিল না ভাইয়া। ধন্যবাদ জানবেন।
০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তবে রক্তের মধ্যে কবিতা সিনড্রম পেয়ে বসলে উল্টো ফলও দেয় ভাইয়া । একটু বুঝে শুনে চলতে হবে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।
৩| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
সুলতানা রহমান বলেছেন: ডাঃ এম এ আলী … তার মানে আপনি ডাক্তার। সেইজন্যেই সিনড্রোম, পলিনিউপেথি, অগ্রোনমেগলী মলিকুল গামোপেথি
এন্ডোক্রাইনোপেথি আর ত্বক ……
কবিতায় প্রচুর বানান ভুল আছে।
০২ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: রং রঙ রঙ্গ যেখানে যেমন । ডাক্তারী লিখাতো বানান ভুল হয়ে যায় । অনেক ধন্যবাদ । বানান ভুল , কবিতা পড়া , বানান করা ধরা এধরনের হরেক প্রকার ভুলের হাত থেকে কবে যে বেরিয়ে আসতে পারব তা আল্লাই জানেন । কেন যে বানানটি ভুল আর কেনই বা তা শুদ্ধ এ সম্পর্কে কিছু পড়াশুনা করে দেখেছি এক জায়গায় যা শুদ্ধ আর এক জায়গায় তা ভুল যেমনটি রং এর বেলায় , পাখি ও পাখীর বেলায় । বানান সংক্রান্ত ব্যকরণের কিছু কিছু বিধান যথা ণত্ব বিধান , শত্ব বিধান ধাতু, প্রত্যয় , সন্ধি , কারক , সমাস প্রভৃতি ক্ষেত্রে শত বছরের পুরান ব্যকরণ রীতিতে কিংবা শৈলীতে বা চলনে কিছুটা সংস্কার আনা সময়ের প্রয়োজনে জরুরী হয়ে পরেছে বলে অনুভুত হয় । এগুলি কোন বাইবেল নয়, শত বছর আগে ঈশ্বরচন্দ্রের হাতে গড়া ব্যাকরণ । তাছাড়া কম্পিউটারে বাংলা টাইপিংএর ক্ষেত্রে হরেক ধরণের ফন্ট জনিত সফটঅয়ারগুলি যখন মাঝে মাঝে স্বয়ংক্রীয়ভাবে মিথক্রিয়ায় ব্যস্ত হয়ে পরে এবং লিখার পরে যে অক্ষরটি লিখা হয়েছিল এন্টার দেয়ার পরে তা হয়ে যায় অন্য বর্ণ তখন নিরোপায় হয়ে যেতে হয় । তা বলে এটা যে সবারই হয় তা কিন্তু নয়, একটু সচেতন হলে এ ধরনের বানান প্রমাদ হতে মুক্ত থাকা যায় অনায়াসেই । আমার সে ধরণের সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে বুঝা যায় । তবে ইংরেজী কিংবা অন্য কোন ভাষায় এ ধরনের ফন্ট জনিত সমস্যায় পরতে হয়না কিংবা ফন্ট জনিত সচেতনতার বিশেষ প্রয়োজনও হয়না। তাই বাংলা লিখতে গিয়ে এর কিছু তাছির এসে যায় অজান্তেই । এটাও বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে বাংলা বানানজনিত সংস্কারের পক্ষেই কথা বলে । তাই বলে ভাববেননা আমার নীজের বানান ভুলকে সাফাই করার জন্য কথাগুলি বলছি , সচেতনভাবে বানান ভুল নি:সন্দেহে গর্হিত কাজ । এ ব্যাপারে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই । এই সামুর পাতাতেই অারো কিছু পোস্টের লিখা পড়ে দেখুন না প্রায় ক্ষেত্রেই শ স ষ ন ণ য জ ঝ ড় ঢ় উ ঊ গ ঘ ই ঈ ুূ ূ ত্ত ো ি ী এধরনের কিছু কমন ভুল ধরা পরে । একটি কি প্যাডে দৈত বর্ণ থাকাটাও এ ধরণের ভুলের বড় কারণ কোন কারণে শিফট কিতে সঠিকভাবে চাপ না দিলে অনায়াসেই ভুল বর্ণটি চলে আসে, মাথায় যখন ভাবের বিষয় থাকে তখন বর্ণ প্রাধান্য পায় কম , অবশ্য এডিটিং এর সময় সে সুযোগ থাকে । তবে টাইপিং এ ডাবল খাটুনির সাথে সময়টাও বেশী লাগে। কিস্তু এর মধ্যে যা হবার তা হয়ে যায় চেতন কিংবা অসচেনতায় রচিত ভুল বানানটির কারণে পাঠকের বিরক্তি , ভাব ও বিষয় থেকে বানানে অাসক্তি ইত্যাদি বহুবিদ সিনড্রমে পেয়ে বসে আমাদেরকে ।
যাহোক, বানান ভুল নিয়ে আমি লজ্জিত । বাংলা বানান রীতিকে কিভাবে আরো সহজ করা যায় যে লক্ষে আমার একটি প্রকল্প এখন চলমান আছে । আমি চাই বাংলা বানান রীতিটা আর একটু সহজ হোক এবং দৃষ্টিকটু ভুলের মাত্রা সার্বজনীনভাবে কমে আসুক, আমার মত সহজেই কাওকে যেন লজ্জাস্কর অবস্থায় পড়তে না হয় ।
আবারো ধন্যবাদ বানান নিয়ে বিজ্ঞ মতামতের জন্য, এটা আমার প্রকল্পটিকে আরো উজ্জিবিত করবে । আমি একান্তভাবেই চাই বাংলা নানান প্রমাদ দুরিভুত হোক ।
ভাল থাকুন এ শুভ কামনা থাকল ।
৪| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৬
সুলতানা রহমান বলেছেন: বুঝতে পারছি না কী প্রকল্পের কথা বলছেন!
ফন্ট জনিত সমস্যা আমি নিজেই বুঝতে পারি। নরমালি আমি মোবাইলেই সব করি। কিন্তু আই প্যাডে কখনো সামুতে ঢুকলে দেখি আমার লেখাগুলো আমি নিজেই বুঝতে পারছি না। আ -কার, ই -কার, ঈ -কার গুলো এলোমেলো লাগে।
কিছু কিছু বানান আছে যেগুলো ভুল দেখলে হুট করে চোখে লাগে। বানান ভুল নিয়ে আমার তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই।
এ নিয়ে আমার নিজের একটা ঘটনা বলি। আমি একটা স্কুলে পড়াই। একদিন ক্লাসে যাওয়ার পর অন্যেরা বলতেছে, একটা চিঠি ব্যাগের নিচে পাওয়া গেছে। সেখানে ভুল বানানে অনেক কিছু লেখা। আমি হাসতে হাসতে বললাম, কে লিখছে এটা বের করা এক মিনিটের ব্যাপার। কিন্তু তারে ধরে প্রথমে জিজ্ঞেস করা হবে, এত বানান ভুল কেন?
আপনি যেরকম ব্যাকরণ নিয়ে আসছেন আমার মনে হয় অত ব্যাকরণ না শিখেও একটা গ্রহণযোগ্য মাত্রায় শুদ্ধ বানান শেখা যায়।
বানান ভুল নিয়ে এত লজ্জিত হওয়ার কারণ নেই। আপনি এভাবে বললেন বলে আমার নিজেরেই খারাপ লাগছে।
০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপুমনি চিনতে হয়নিক ভুল । অনেক ধন্যবাদ। প্রকল্পটি খুব সহজ । যে কোন প্রকল্পের জন্য যেমন প্রয়োজন সময়, মেধা ,শ্রম ও সম্পদ তেমনি যেহেতু বাংলায় আমি দুর্বল সেহেতু নীজের বাংলা বানান ভুল শুধরানোর জন্য লাগবে সময় ,মেধা, শ্রম ও সম্পদ ( বই পুস্তক অভিধান) তাই একেও আমি প্রকল্পই বলেছি । আমার নীজের জন্যই । তাই কেও আমার লিখায় ভুল দেখিয়ে দিলে তাকে জানাই হৃদয় গহীন থেকে অকৃত্তিম শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতা। এ ভুল ধরিয়ে দেয়াটা আমার প্রকল্পটিকে অর্থাৎ শুদ্ধ বানান চর্চায় করে উজ্জিবিত এটাই বলতে চেয়েছিলাম ।
শুদ্ধ বানান চর্চা বেশ প্রয়াস সাধ্য এই দেখুন না অপসরা শব্দটা ঠিকভা্বে লিখতে গিয়ে আমার কম্পিউটারে কত কসরত করতে হয়েছে । এটা লিখতে গিয়ে অপ লিখে প এর নীচে হসন্ত দিতে গিয়ে দাঁড়ায় অপ্সরা এটা সত্যিকার ভাবে কারো নামের সাথে মিলে গেলে হবে অারেক বিরম্বনা । তাই এড়িয়ে গিয়ে করে দিলাম অস্পড়া । উদ্দেশ্য দুটো র ও ড় এর উপর চড়াও হয়ে বাংলা বর্ণের দুর্বল দিক টিকে তুলে ধরা । অপসরা শব্দটিকে র কিংবা ড় দিয়ে লিখলে অপসরা সহজে দিবেনা ধরা বরং যখন হল অস্পড়া কেবল তখনি জল রঙ নিয়ে দিল ধরা না হলে যে সে থেকেই যেত অধরা ।
অনেক ভাল লাগল মন্তব্য বিররণীটি । ভাল থাকুন এ শুভ কামনা থাকল ।
৫| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৪
সুলতানা রহমান বলেছেন: আপনার শেখার আগ্রহ দেখে ভালো লেগেছে।
ভাষা শেখার আগে প্রথমে শুদ্ধ উচ্চারণ শিখতে হবে। আমাদের বিভিন্ন রকমের আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। প্রত্যেকটা আঞ্চলিক ভাষাতেই কিছু আঞ্চলিক উচ্চারণ এসে যায়। যেমন নোয়াখালী, ফেনীর দিকে প ফ চ ছ এ বর্ণগুলোতে সমস্যা রয়েছে। এবং উচ্চারণ ত্রুটি থাকার কারণে লেখাতেও ভুল এসে যাবে। অনেকে আমার নাম সুলতানাকে সোলতানা বলতো। নিজের নাম ভুল শুনলে খুব খারাপ লাগে। বাধ্য হয়ে উ - কার আর ও - কার বোঝাতে হয়।
বই পড়ে শেখাটা অনেক কঠিন। এ জন্য আপনি ফ্রেন্ড সার্কেলে হেল্প নিতে পারেন।
যে কোন বই আমরা গল্পের বইয়ের মতো দুই তিন ঘন্টায় শেষ করতে পারি। কিন্তু ব্যাকরণ যদি এরকম শেষ করি আদৌ কি কিছু হবে?
অপ্সরা শব্দটি কারো নামের সাথে মিলে গেলেই কী হবে!
আপনি বললেন বাংলা বর্ণের দুর্বল দিক … আমার কাছে কিন্তু তা মনে হয় না। বাংলা বর্ণমালায় সমৃদ্ধ কিন্তু এখনো শব্দ ভান্ডার সমৃদ্ধ নয়।
আশা করি আপনার ইচ্ছে শক্তিই আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছাবে।
০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ২:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অাবার ফিরে আসার জন্য । আপনার কথাগুলি খুবই মুল্যবান ও প্রনিধান যোগ্য । আমি শুদ্ধ বাংলা লিখনে খুবই দুর্বল , চেষ্টা করছি উন্নতির জন্য, এজন্যেই বাংলায় লিখে যাচ্ছি যদিও বাংলায় টাইপে খুবই কাঁচা , আপনাদের গঠনমুলক মন্তব্য আমাকে করে অনুপ্রাণীত ।
সামুর পাতায় বাংলা বর্ণমালা নিয়ে আমার দুটো পোষ্ট আছে একটি গদ্যে একটি পদ্যে যেখানে রয়েছে রম্য আঙগীকে কিছু বিক্ষিপ্ত ভাবনার প্রকাশ ।
'বর্ণমালা' কে যদি 'বর্নমালা' লিখি তাহলে সমউচ্চারণ মুলক শব্দের মধ্যখানে একই রকম উচ্চারণ মুলক সমবর্ণ প্রয়োগের জন্য ব্যকরণগত ভুলটা কোথায় এটুকু বুঝার জন্য মনে রয়েছে বড় খটকা ।
প্রথম ব বর্ণ ব্যঞ্জন পরের ণ বর্ণটিও ব্যঞ্জন এর পরের ম বর্ণটিও ব্যঞ্জন তাহলে একই নিয়মের অাওতায় সম উচ্চারিত এ্কই অর্থবোধক শব্দে ণ এর জায়গায় ন বসায়ে 'বর্ণমালার' জায়গায় বর্নমালা' লিখলে ভুলটা কোথায় ? কোন নবীন দেশী কিংবা বিদেশী যদি চ্যালেঞ্জ করে তাহলে জবাব কি হবে , শব্দের কনভেনশনাল প্রয়োগ না ব্যকরণগত প্রয়োগ, ভাষায় ব্যাবহৃত শব্দে বর্ণ প্রমাদের জবাবে ব্যকরণগত দিকটিই প্রাধান্য পাওয়ার কথা কনভেনশনাল প্রয়োগটি দ্বিতীয় প্রাধান্য । আবেগ তারিত হয়ে কনভেনশনাল প্রয়োগকে টেনে অানা যায় তাই বলে ব্যাকরণের দৃষ্টিতে একই উচ্চারণের বর্ণে গঠিত শব্দটিকে ভুল বানান বলে চিহ্নিত করলে তা কি ধোপে টিকার কথা!!! একটি শব্দের বানানকে ভুল বলার আগে আমরা কি আদতেই চিন্তা করি অাসলেই তা ভুল না শুদ্ধ । তাছাড়া লিখকেরা অনেক সময় নতুন নতুন শব্দ সৃস্টি করে ভাষাকে করেন সমৃদ্ধ , ভাষায় এভাবেই নতুন শব্দের সৃস্টি হয় , পুরাতন প্রচলিত কোন শব্দের সাথে তাকে মিলাতে গেলে যে কারো কাছেইতো তা ভুল বলে মনে হওয়াই স্বাভাবিক। এরকম ক্ষেত্রে নতুন শব্দ গঠনতো হয়ে যাবে স্তব্ধ । তবে বাক্যে প্রয়োগকৃত নতুন শব্দটিকে বাক্যে ব্যবহৃত অন্য শব্দের সাথে মিলিয়ে নিলে নতুন অজানা শব্দটির অর্থ বুজতে কারো কোন কষ্ট হওয়ার কথা না। একটি বাক্যে অস্ফুট বিপরিত ভাবকে আমরা সহজেই বুঝতে পারি, বলিনা তাকে লেখক তুমি ভুল বলেছ , যেমন জীবনানন্দ দাশ বলেছেন ' হাজার বছর ধরে ঘুরেছি আমি পৃথিবীর পথ ধরে" এখানে হাজার বছর কি তিনি ঘুরেছেন কেও কি বলেছে কবি তুমি ভুল বলেছ , ভুল বাক্যটিকেই যেখানে বলা হয়না কিছু সেখানে বাক্যে প্রয়োগকৃত একটি নতুন শব্দে একটি বর্ণ ভুলকে নিয়ে কেন এত টানাটানি ? একে কি সেই ভাবে যায় না দেখা !!! কিছু মনে করবেন না একটু রম্য করলাম মাত্র । প্রচলিত শব্দে বানান ভুল সত্যিকার অর্থে একটি গর্হিত কাজ , একে কোনভাবেই সমর্থন করা যায়না ।
একজন নতুন শিক্ষার্থী ( বিশেষ করে বিদেশী ভাই বোনেরা , এখানে উল্লেখ্য বিদেশে অনুষ্ঠিত বাংলা ভাষাবাসিদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন সভা সমাবেশে সুযোগ পেলে বাংলা ভাষাবাসি নবীন ছাত্রদেরকে বলি তোমরা স্কুলের পাঠ্য তালিকায় দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে বাংলাকে রেখো, এর ফলে একদিকে যেমন তোমাদের বাংলা শিখা হবে তেমনি সহজেই ভাল রিজাল্টও করতে পারবে । অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাকে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে নিয়েছে ও রিজাল্টও ভাল করেছে , তবে তাদের একটি অনুযোগ শুনা যায় তা হল শুদ্ধ করে বানান লিখা । ভাষার শুদ্ধতার জন্য তো ব্যকরণের দিকেই বেশী দৃস্টি দিবে, এটাই তার জন্য সহজ , সে কি দুনিয়ে হাতরিয়ে বেড়াবে শব্দটি কে কিভাবে কোথায় লিখেছে, কোন কাব্যে কবিতায় কিভাবে লিখা হয়েছে সে দিকে ?
ইত্যাদি বিভিন্ন দৃস্টিকোন থেকে একটি বিষয় বার বার অনুভুত হচ্ছে ব্যাকরণ সংস্করণের মাধ্যমে বর্ণ সংখ্যাকে কিছু কমিয়ে ও একই ব্যকরণ রীতিতে বাংলা শব্দে বর্ণ প্রয়োগ করতে পারলে হয়তবা বিষয়টা নতুন শীক্ষার্থিদের জন্য সহজ হয় , কিন্তু সমস্যা হলো তীব্র রক্ষনশীলতা । সংস্কৃত ভাষাও এককালে খুবই সমৃদ্ধ ছিল কিন্তু অতি রক্ষনশীলতার কারণে এখন শুধু মন্ত্রপাঠ আর পুজার বেদিতে নিয়েছে ঠাই । ভয় হয় অতি রক্ষনশীলতার কারণে বাংলার গতিও যেন না হয় তাই ।
ভাল থাকুন এ শুভ কামনা থাকল ।
৬| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৪
লক্ষ্মীছেলে বলেছেন: ভাচা চিকে আচছি , আঞ্চলিক ভাচা, হল কি !! মালেচিয়া আর ইন্দোনেচিয়া এই দুইটা দেচ ক্যাতায়
০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৩:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাইজান আপনের সাথে আমারেও নিয়েন ভাচা চিকে আচব ।
৭| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাকালুকির স্বচ্ছ নীল জল রঙয়ে ভাসে
তোমার নয়নাভিরাম স্নিগ্ধ শ্যমল মূখ
নীজের মুখের ঠান্ডা জলরং দিয়ে যাও চলে
পরিনত করে আমায় এক ভাসমান শুশুখ
চমৎকার মেটাফোর উপমা, ভাল্লাগসে
০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ২:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব ভাল লাগছে অাপু আপনার প্রসংসাবাণী । কবিতায় হাতে খড়ি নবীনদের জন্য এ যে কতবড় পাওয়া বুঝাব তা কেমনে । বাংলায় কবিতা লিখার বয়স মাত্র তিনমাস । কত যে শিখার বাকি , একদিকে বানান অন্যদিকে কথার তুফান ভাবিতেছি না যায় জানি কবিতা লিখার প্রাণ ।
ভাল থাকুন এ শুভ কামনা থাকল ।
৮| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল লাগল
০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য ।
৯| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১০:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: হাকালুকির স্বচ্ছ নীল জল রঙে ভাসে
তোমার নয়নাভিরাম স্নিগ্ধ শ্যামল মুখ
নিজের মুখের ঠান্ডা জলরং দিয়ে যাও চলে
পরিণত করে আমায় এক ভাসমান শুশুখ - (বানান শুদ্ধকৃত)
চমৎকার এ অনুচ্ছেদটি পড়তে খুব ভালো লাগলো।
০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় এডিট করে দিয়েছি । ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।
১০| ০৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
কালনী নদী বলেছেন: আবারও ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম, পেয়ারে ভাইয়া।
০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাইয়া আবার আইয়া কতখানি মসিবতে পড়ছেন বুঝেন এবার , একটা কথা জিগাইতে চাই দয়া করে উত্তরটা দিয়ে যাবেন কথাটা
হইল " বাংলার কবিরা কি ভাল আছেন কিংবা কোন দিন ছিলেন '' । উত্তরটা জরুরী কবিতা একটা লিখা হচ্ছে এ নামে উত্তরটা হেলপ করবে অনেকখানি ।
ভাল থাকুন ।
১১| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪
বিজন রয় বলেছেন: সালমা সুলতানা আর আপনার আলাপ ভাল লেগেছে।
দুজনই আমার খুব প্রিয়।
১২| ০৫ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮
কালনী নদী বলেছেন: " বাংলার কবিরা কি ভাল আছেন কিংবা কোন দিন ছিলেন '' বর্তমান সময়ে এই ব্যাপারে কথা বললে চাঁদগাজী খেতাব আমাকেও পেতে হতে পারে। আমি বাস্তবিক সাহিত্যিক দূরের কথা বরং এর বিপরীত অন্য কিছু।
যারা সত্যিকারভাবে দেশকে ভালোবেসে লিখে গেছেন তাদের অতীত মূল্যায়ণ করলে সুখকর কিছু পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।
প্রকৃতপক্ষ্যে কবিরা হোন রাজ বিখারী! এখন বোঝলেন তো কেন এই বিষয়ে আলোচনায় এই মুহূর্তে যেতে চাচ্ছি না।
তবে আপনার লেখার প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে গেলাম।
সবসময় আপনার নতুন লেখার অধির অপেক্ষায় থাকি।
০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পেয়ে গেছি সঠিক সংবাদ । অনেক ধন্যবাদ, চলছে লিখা , অচিরেই হবে তার প্রকাশ । শুভ কামনা থাকল ।
১৩| ০৫ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭
শায়মা বলেছেন: আমি কিন্তু সব দেখছি ভাইয়া। অপ্সরা বানান নিয়ে যা যা বলছো!
আর সুলতানা আপু কি আমার কাব্য পার্টনার ছিলো নাকি তার পুরব জনমে চিন্তায় পড়লাম তো!!!!!!!!!!
তাই তো বলো!!!!!!!!!!!!! তুমি আমার কত চেনা সেকি জানোনা!!!!!!!!!এই গান মনে পড়ে কেনো?
০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আগে বল কেমন আছ আপুমনি, হয়নি দেখা কতদিন জানি । সুলতানা আপুকে চিনিছি তার লিখায় পুর্বাপর জম্মকথা না জানি, তাই কাব্যের পার্টনার ছিল ছিল কিনা সে চিন্তা অবান্তর মানি তুমি অামার কত চিনা এ সত্য ঘটনা এর ইতিবৃত্ত রয়েছে বিভিন্ন রচনায় তব ব্লগে কিছু তার পাবে নমুনা। সুযোগ পেলে গানটি তোমার দিও শুনিয়ে।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০
প্রামানিক বলেছেন: রক্তের রং বদলের সাথে কবিতার রংটিও পাল্টায়
কবিতা সিনড্রমে আক্রান্ত আমার দেহতন্ত্র মূলে
পলিনিউপেথি, অগ্রোনমেগলী মলিকুল গামোপেথি
এন্ডোক্রাইনোপেথি আর ত্বকের বিষন্ন পরিবর্তন
এ রক্ত বিবর্তন আমাকে করে দেয় বিশুদ্ধ পাগল ।
চমৎকার কাব্য কথামালা। খুব ভালো লাগল।