নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাকবি কালিদাসের মেঘদূত : একটি সচিত্র বর্ণন – ১ম পর্ব

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩৭


আজ হতে প্রায় ষোলশত বছর পুর্বে ৪র্থ শতকে হিমালয়ের পাদদেশে উজ্জয়িনিতে মহাকবি কালিদাসের জম্ম । তিনি সংস্কৃতে লিখে গেছেন কালজয়ী রচনা মেঘদূত ও শুকুন্তলার মত গ্রন্থ । তাঁর রচনাগুলি হিন্দু পৌরানিক কাহিনী সমৃদ্ধ ।

আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে মেঘের প্রতি বিরহী যক্ষের অর্ঘ্য নিবেদন ও তার মাধ্যমে রামগিরি হতে অলকাপুরীতে তার প্রিয়তমের কাছে বার্তা প্রেরণের ভাষাশৈলী , মেঘের ভ্রমন পথে দেখার মত নদ নদী, পাহাড় পর্বত, দেব দেবী ,আকাশ মাটি ও পানিতে বিচরণকারী জীববৈচিত্রের চারিত্রিক বৈশিষ্টের বিবরণ , সেই সাথে প্রেম লিলার এক অপুর্ব বর্ণন মেঘদুত কাব্য গ্রন্থটিকে করেছে । জগতের প্রায় সকল বিখ্যাত ভাষাবাষীদের কাছে এটি একটি উপভোগ্য কাব্য সম্ভার ।.

১৮১৩ সনে হায়মেন উইলসন একে প্রথম ইংরেজীতে অনুবাদ করেন । তার পর থেকে এই বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থটি পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদিত হয় । পৃথিবীর বিভিন্ন সাহিত্য পর্যালোচনা, যার মধ্যে মালিনাথার পর্যালোচনায় পাশ্চাত্যে এই কাব্যগ্রন্থটি পরিচিতি পায় সমধিক । এই অপুর্ব কাব্যটির বিভিন্ন চমৎকার বর্ণনার উপর ভিত্তি করে অনেক বিখ্যাত শিল্পী আঁকেন সুন্দর সুন্দর চিত্রকর্ম । এর মধ্যে বিখ্যাত চিত্র শিল্পী
নান্না জোসির আঁকা চিত্রকর্ম ব্যাপক পরিচিতি পায় । তার আঁকা ছবি

মেঘদুত এর রূপক গুলি প্রয়োগ হয়েছে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন রচনাতে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন অবয়বে । অনেক গ্রন্থে রয়েছে এর বর্ণনার আলোকে কিছু মনোহর চিত্রের সংযোজনা । বাংলাতেও রয়েছে মেঘদুতের অনেক অনুবাদ যা আমাদের সামুর অনেক পাঠকের নিকটই নিশ্চয়ই সুপরিচিত ।
বুদ্ধদেব বসু , ড: মুরারিমোহন সেন ও শক্তি চট্টোপধ্যায় এর রচনা হতে ক্ষেত্র বিশেষে খানিক সম্পাদনা করে মহাকবি কালিদাসের মেঘদূত এর একটি সচিত্র অনুলিখন তুলে ধরা হয়েছে এখানে । এটি মুলত: ড: মুরারিমোহন সেন এর অনুবাদ অনুকরণে প্রণীত । তাঁর প্রতি রইল অকৃত্তিম শ্রদ্ধা । ছবিগুলিও নেটের বিভিন্ন সুত্র থেকে সংগৃহীত এবং প্রাসংগীক স্থানে গ্রথিত ।
মেঘদুতের কাব্য বিবরণীতে দেখা যায় কোন এক যক্ষ অত্যধিক পত্নিপ্রেমবশত নীজ কর্তব্য কর্মে অবহেলা করায় তাকে তার প্রভু অলকাপতি কুবের রাজধানী অলকা হতে রামগিরি পর্বতে তরুছায়া নিবির আশ্রমে এক বছরের জন্য নির্বাসিত করেন।

ছবি ১ /২৩ কুবের কতৃক যক্ষকে নির্বাসনে যাওয়ার জন্য দন্ডাজ্ঞা দান

এই নির্বাসন যক্ষের পক্ষে প্রবল বিরহের কারণ হল ।এ সময় তার সকল অলৌকিক ক্ষমতা লোপ করা ছিল । বনবাসকালে রামসীতা এই রামগিরি পর্বতেই কিছুদিন ছিলেন । এখান কার নদনদী সব পুণ্যসলিলা । কালিদাসের মেঘদুতে এটা আসে সুন্দর গাথায়।
সংস্কৃত পন্ডিতগনের মতে মেঘদুত কাব্যে বর্ণিত এই যক্ষ কুবেরের শিবপুজার জন্য পুষ্পচয়নকারী ভৃত্য ছিল । যক্ষ দেবযোন মহিমা সম্পন্ন এবং বিবাহিত । সে তার স্ত্রীর প্রতি বিশেষ অনুরক্ত ছিল । দীর্ঘ এক বছরের বিরহ যক্ষের পক্ষে বড় বেদনাদায়ক ছিল । এই বিরহ বেদনাই মেঘদুত কাব্যের উপজীব্য।

আষাঢ়ের প্রথমদিনে যক্ষের বিরহের আটমাস অতিক্রান্ত হয় । যক্ষ ভাবল আষাঢ় শেষে শ্রাবন মাস আসলে প্রবল বিরহ বেদনায় তার প্রিয়ার প্রাণ সংসয় হতে পারে । এ সময় যদি প্রিয়াকে নীজের কুশল সংবাদ পাঠানো যায় তবে তাতে আশ্বস্ত হয়ে তার জীবন রক্ষা হতে পারে । এ কথা ভেবে যক্ষ মেঘের সাহয্যে নীজের কুশলবার্তা প্রেরণ করতে মনস্থ করল । এ জন্য সে কল্পনার মেঘকে নবপ্রস্ফুটিত গিরিমল্লিকাপুষ্পের অর্ঘ্য নিবেদন করল এবং প্রীতিপুর্ণ বাক্যে স্বাগত জানায়ে তার বক্তব্য পেশ করে ।
মেঘকে তোশামুদ করে বলা হয়েছে মেঘ , পুস্কর, আবর্ত্তক প্রভৃতি ভুবন বিখ্যাত বংশে তার জম্ম । মেঘের বংশের অনেক শ্রেণী আছে এর মধ্যে পুস্কর আবর্তক উচ্চ বংশীয় । তাকে বলা হচ্ছে তুমি দেবরাজ ইন্দ্রের অনুচর , তাঁর প্রধান পুরুষ । তুমি ইচ্ছেমত রূপ ধারণ করে সেখানে খুশী সেখানে বিচরণ করতে পার । তাই বিধির বিধানে যক্ষ প্রিয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে মেঘের সাহায্য প্রার্থনা করছে । বলছে মেঘের ন্যয় মহৎ হৃদয়ের কাছে প্রার্থনা করে বিফল হলেও তা অধমের নিকট হতে প্রাপ্ত সফলতার চেয়ে শ্রেয় ।

মেঘদুতে রয়েছে ১১১টি স্তবক এর পুর্বরাগে ৬৬টি স্তবক ও উত্তর রাগে রয়েছে ৫৫টি স্তবক ।
এই অপুর্ব কাব্যটিকে কয়েক পর্বে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে এখানে উপস্থাপনের প্রয়াস নেয়া হয়েছে ।
প্রথমে পর্বে পুর্ব রাগ হতে ৩০ টি স্তবক তুলে ধরা হয়েছে ।

পুর্বরাগ

কর্তব্য অবহেলার কারণে
প্রেমিক যক্ষ হল অভিসিক্ত
এক বছরের তরে ,
পত্নী বিরহিত জীবন
করতে হবে যাপন
রামগিরি আশ্রম পরে,
অভিশপ্ত যক্ষের
অলৌকিক ক্ষমতাও
ছিল যে অবলুপ্ত ।


অলকা হতে রামগিরি
যথায় রাম সিতার বনবাসের মাখা ছিল স্মৃতি
সেথায় সিতার সিনানে জল ছিল পবিত্র অতি
শ্যামল তরুর ছায়ায় স্নিগ্ধ ,সে তীর্থ ভুমেই
হল যক্ষের কস্টময় নির্বাসনের দিবস যাপন ।

মাসের পর মাস গেল কেটে
বিরহ দু:খে শীর্ণ যক্ষের বাহু হতে
স্বর্ণবলয় পড়ল খসে ,
এলো আষাড়ের প্রথম দিবস
দেখল সে পর্বতের সনে
আলিঙ্গনা বদ্ধ এক খন্ড মেঘ
মনে হল প্রমত্ত হস্তী যেন
শৃংগের আঘাতে আঘাতে
মত্ত হয়েছে ভুমি খননের খেলায়
দৃশ্যটি দেখায় বড়ই রমনীয় ।

ছবি-২/ ২৩ খন্ড মেঘ ; প্রমত্ত হস্তী যেন শৃংগের আঘাতে আঘাতে মত্ত ভুমি খননের খেলায়


কোনমতে থাকি চেয়ে কামনা উদ্দিপক জলধর পানে
রাজাধিরাজ অনুচর চিন্তাতগ্ন অশ্রুবাষ্প রাখি সংগোপনে
মেঘ দর্শনে সুখীজনেরও উদাস ব্যাকুল হয় চিত্ত
কি কহিব কন্ঠলিঙ্গনাকাহ্মিণী প্রিয়া হলে দুরে স্থিত্য ।

আসিলে শ্রাবণ যক্ষ ভাবে কেমনে রক্ষিবে দয়িতা জীবন
প্রেরিতে নিজ কুশলবার্তা মেঘদুতে করিল মনন
অভিনব গিরি মল্লিকার কপ্লিত অর্ঘ্য নিবেদিয়া জলধরে
প্রীতিবচনে কুশলাদি শুধাইয়া স্বাগত সম্ভাষণ করে ।

কোথা সেই মেঘ ধুম, জ্যোতি, সলিল আর মরুতের সমাহার
আর কোথায় বা সেই বার্ত-বহন চেতন প্রাণীর যাহা সমুচিত
না করি বিচার ঔৎসুক্যবশে যক্ষ যাচে কৃপা মেঘের সকাশে
চেতনাচেতন নাহি প্রকৃতিতে আর্ত যে জন কামের আবেশে ।

বক্তব্যের সুচনায় মেঘের একটু স্তুতি চাই! যক্ষ বলে বিনম্রতায়
ওগো মেঘ, ভুবনবিদিত পুস্কর আবর্ত্তকাদি বংশে জম্ম তোমার
আমি জানি দেবরাজের প্রধান পুরুষ তুমি কামরূপী অনুচর
বিধিবশে বঁধু হতে দূরে আমি সে কারণ কৃপা যাচি তোমার
অধমের কাছে প্রাপ্তির চেয়ে বিফলতাও শ্রেয় যেচে তা উত্তমে ।

ছবি -৩/২৩ বক্তব্যের সুচনায় মেঘের প্রতি যক্ষের স্তুতি বন্দনা


যারা সন্তপ্ত হৃদয়ে দহন তাদের তো তুমিই একমাত্র শরণ
ধনপতি কুবেরের ক্রোধে প্রিয়ার সান্নিধ্য হতে বিচ্ছিন্ন এখন
আমার কুসল তুমি প্রিয়ার নিকটে যাও নিয়ে করে বহন।
তোমাকে যেতে হবে অলকায় , অলকা যক্ষরাজগনের বিলাসভুমি
তীর্থ ভুমিও বটে ! চন্দ্রের দিপ্তিতে আলোকিত নগরের অট্টালিকা যত ।

ছবি -৪/২৩ চন্দ্রের দিপ্তিতে আলোকিত অলকা নগরের অট্টালিকা যত


তোমায় উড়ে যেতে দেখলে বায়ুপথে মীনকুমারী নারীদের মন
আশায় সঞ্চারিত হবে বুঝবে মিলনকাল এবার বুঝি সমাসন্ন
তারা এলোচুলের প্রান্ত ভাগ তুলে নিয়ে আগ্রহে দেখবে তোমায়
আমার মত পরাধীন ব্যক্তি ছাড়া আর কে আছে যে তোমার উদয়ে
তার বিরহ ব্যকুলা প্রিয়াকে উপেক্ষিপে ।
১০
মৃদুমন্দ বায়ুতে দেখবে গর্বিত চাতক তোমার বা দিকে মধুর কুজনে মত্ত
আকাশে মালার মত সজ্জিত নয়নমোহর বলাকাদল হবে তোমার সেবায়রত
কেননা তোমার সঙ্গে তাদের ক্ষনপরিচয় , তুমি না করলে রচনা আড়াল
বকমিথুনেরা পেতনা সহজে অবকাশ প্রিয়তমের সাথে মিলিত হবার ।

ছবি-৫/ ২৩ নয়নমোহর বলাকাদল দেখা যায় মেঘের চলার পথে সেবায়রত

১১
বাধা হীন বেগে এগিয়ে গেলে আমার পতিপ্রতা পত্নি
তোমার ভ্রাতৃজায়াকে তুমি দিব্য চোখে দেখতে পাবে
সে মিলনের আশায় গুনছে দিন, নিশ্চয় এখনো জীবিত সে আছে
বৃন্ত যেমন ফুলকে রাখে ধরে, আশাও তেমন জীবনকে বাঁচিয়ে রাখে
আশার বন্ধনটিই বিরহকালে নারীর ভঙ্গুর হৃদয়কে ধরে রাখে ।
১২
গর্জনে তোমার ভুমি ভেদ করে ভুকন্দলী ফুল উঠে এসে করবে ঘোষনা
এবার ধরা ‘অবন্ধ্যা’ অর্থাৎ শস্যশালিনী হবে তোমারই মধুর গর্জন শুনে
মানস যাত্রী রাজ হংসের দল মুখে মৃনাল শব্দ বহন করে কৈলাস পর্যন্ত
তোমার সফর সংগীদল হয়ে পাখার সমীরনে দিবে অনাবিল আনন্দ ।

ছবি-৬/২৩ মেঘের সফর সংগী হিসাবে রাজহংসী দল পাখার সমীরনে মেঘকে দিচ্ছে আনন্দ

১৩
এবার তোমার প্রিয়বন্ধু রামগিরি পর্বতকে আলিঙ্গন পুর্বক কর বিদায় গ্রহণ
রামগিরির পর্বত মেখলায় রয়েছে সব মানবের পুজ্য শ্রীরামচন্দ্রের পদাঙ্কন।
কালে –কালে তোমার সান্নিধ্য লাভেই তার দীর্ঘ বিরহের তাপ হয় নির্বাপন।

ছবি-৭/২৩ মেঘের সান্নিধ্যে রামগিরির পর্বত মেখলায় শ্রীরামচন্দ্রের পদাঙ্কমিশ্রিত স্থানের তাপ নির্বাপন ।

১৪
তোমার যাত্রা পথের যোগ্য সন্ধান দিচ্ছি বলে, এখন মধুর সংবাদ টি শুনে নাও,
যেতে যেতে যখনই তুমি ক্লান্ত হবে তখন শিখরে শিখরে একটু বিশ্রাম করে নিয়ো
যাত্রাপথে জলবর্ষণের ফলে ক্লান্ত হলে তখন একটু হালকা জলপান করে নিয়ো ।
১৫
আকাশ পথে যাওয়ার কালে সরলা সিধ্যাংগণ বিষ্মিত দৃষ্টিতে তোমার দিকে চেয়ে দেখবে
দেখবে আর ভাববে তাইতো ! ঝঞ্জারবেগে কোন পাহাড়ের চূড়া যাচ্ছে বুঝি উড়ে উত্তরে
দিকে দিকে আছে দিঙনাগ, তারা তোমার পথরূধ করতে পারে তুমি তাদের এড়িয়ে যেয়ো
বলা হল তোমার যাত্রা শুরু হবে এই বেতসকুঞ্জ থেকে আকাশ পথে সোজা উত্তর দিকে ।
১৬
তুমি যখন উত্তরে যাবে তখন তোমার দেহে লগ্ন হবে ইন্দ্রধনু,
তোমার দেহে কত শুভা বাড়বে বল তো ! কৃষ্ণ যেমন সুন্দর
ময়ুর পুচ্ছ গোপাল বেশে সাজতেন
তোমার সজ্জাও হবে ঠিক তেমন ।
ছবি-৮/২৩ : দেহলগ্ন ইন্দ্রধনুর শুভায় ময়ুর পুচ্ছ সম গোপাল বেশে মেঘের সাজ

১৭
কৃষিফল তো তোমারই অধীন, তাই জগত বধুরা তোমার দিকে প্রিতির আশায় উড়ে যেতে চাইবে
ছবি -৯/ ২৩ : জগত বধুরদের মেঘের দিকে প্রিতির আশায় উড়ে চলা

আগ্রহে ভরা গভীর দৃস্টিতে ফসলের মাঠ তোমাকে করবে পান !তুমিও হর্ষমনে তাদের উপরে উঠবে,
বর্ষণের ফলে সে ভুমি হবে সৌরবময় নিশ্চই তোমার ভাল লাগবে, সেই সৌরব আঘ্রাণ করতে করতে
একটু বেঁকে পশ্চিম দিকে যেয়ো তারপর আবার উত্তর দিকে তোমার যাত্রা চলতে থাকবে যথাযথ ।

ছবি-১০/২৩ : ফসলের মাঠ করবে জলধরের বারি পান !মেঘও হর্ষমনে তাদের উপরে উঠবে

১৮
একটু বেঁকে পশ্চিমে যেতে তোমার পথে পড়বে আম্রকুট পর্বত এরই অরন্য দাবানলে দগ্ধ হ ওয়ার সময় তোমারই বর্ষণে সে দাবদাব হয়েছিল নির্বাপন্য। পথশ্রমে ক্লান্ত দেখে কৃতজ্ঞ আম্রকোট তখন করবে তোমায় মস্তকে ধারণ ।

ছবি-১১/২৩ : মেঘকে আম্রকুট পর্বতের মস্তকে ধারণ

১৯
ঐ আম্রকুটের কুঞ্জবনে বনচরবধুরা করেন বাস , মহুর্তকাল সেখানে থেকে তুমি কিছু বর্ষণ কোরো – বর্ষণের পর নিশ্চয় তোমার গতি হবে লঘু; তখন তুমি দ্রুত গতিতে অগ্রসর হয়ো ; তখন দেখতে পাবে বিন্ধ পর্বতের পাদদেশে বিশীর্ণ রেবা নদী প্রবাহিতা । বিন্ধ গাত্রে বিচিত্র ধারা দেখলে মনে হবে যেন হস্তির গায়ে বিচিত্র রেখায় রচিত সজ্জা ।

ছবি - ১২/২৩ : আম্রকুটের কুঞ্জবনে বনচরবধুরা

২০
ওগো মেঘ তুমি তো সেখানে বর্ষণ করবেই ; কিন্তু বর্ষণের পর যখন হালকা হবে
তখন গজমত ধারায় সুবাসিত রেবার জরধারা পান করে নিয়ো, তুমি সারবান হলে
বায়ু আর তোমাকে যেখানে খুশী উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারবেনা ।
যে লঘু সেই সর্বাংশে রিক্ত, যে গুরুভারে পুর্ণ তার গৌরব সর্বত্র ।

ছবি-১৩/২৩ : পাহাড়ের বাকে বাকে চলা মনোরম রেবা নদীতে মেঘের জলপান

২১
তুমি যেতে যেতে দেখবে , কোথাও ভুইচাপা ফুটে উঠবে , তোমার বর্ষণ মাটি থেকে মধুর গন্ধ উঠতে থাকবে, সেই গন্ধ আঘ্রাণ করতে করতে বিচিত্র হরিনগুলি তোমার বর্ষণসিক্ত পথে ছুটবে ; সবাইকে তারাই বলে দিবে কোন পথে গিয়েছ তুমি।

ছবি - ১৪/ ২৩ : বিচিত্র হরিনগুলি মেঘের বর্ষণসিক্ত পথে ছুটবে আর সবাইকে বলে দিবে কোন পথে গিয়েছে যে মেঘ

২২
বর্ষণের সময় ভুমিতে পরার আগেই চাতক জলপান করে , এ সব জলবিন্দু গ্রহণে নিপুন চাতকদের দেখতে দেখতে সিন্ধেরা এক দুই করে গুনে যাচ্ছেন সারিবদ্ধ বলাকার দল । এমন সময় হঠাৎ মেঘের গর্জন ! চকিত ভীত ও সংকিত হবে সিধাঙ্গনরা ।
২৩
তোমায় দেখে সিদ্ধাঙ্গনরা সঙ্গে সঙ্গে দাঁয়তের বক্ষে আশ্রয় নেবে
অযাচিত এ আলিঙ্গনে সিদ্ধেরা খুশী হয়ে তোমাকেও সমাদর করবেন
তাছাড়া উৎফুল্য সিন্ধমিথুনদের দেখে তোমারও আনন্দ হওয়ারই কথা।

ছবি - ১৫/ ২৩ : উৎফুল্য সিন্ধমিথুনদের দেখে মেঘের আনন্দিত হওয়ারই কথা

২৪
ওগো বন্ধু আমার প্রিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে যে তুমি দ্রুত পথ চলবে তা আমি জানি
তবু মনে হয় , কুরচি ফুলের সুগন্ধে আমোদিত পর্বতে তোমার কিছু বিলম্ব হতেও পারে।
কুরচিফুলের সুগন্ধের কথা ছেড়ে দিলেও , আকাশে তোমাকে দেখে জলভরা চোখে
তোমার দিকে তাকিয়ে ময়ুরের দল যখন স্বাগত সম্ভাষণ জানাবে, তখন তুমি কষ্ট হলেও
না থেমে আমার দু:খের কথাটা দয়া করে ভেবে একটু তারাতারি চলবার চেষ্টা করবে ।

ছবি -১৬/২৩: মেঘকে ময়ুরের দলের স্বাগত সম্ভাশনের প্রস্তুতি

২৫
এরপর তোমার যাত্রাপথে পড়বে সুন্দর দশার্ণ দেশ। তুমি দশার্ণে উপস্থিত হলে
মানসযাত্রি সেই রাজহংসের দলও সেখানে কিছুদিন থেকে যাবে। দশার্ণের চারদিকে
শ্যামবন, তাদের ফল পরিপক্ক, বাইরে পান্ডূছায়া ভরা কেতকির বেড়া ঘেরা উপবন।
তুমি সেখানে এলে কেতকির কুঁড়ি ফুটে উঠবে ,পথের পাশে বৃক্ষে বৃক্ষে গৃহবলিতুক
পক্ষিরা দেখবে নীড় নির্মাণে রত, সে সকল অবলোকনে তোমার খুব ভাল লাগবে ।

ছবি -১৭/২৩ : বৃক্ষে বৃক্ষে গৃহবলিতুক পক্ষিরা নীড় নির্মাণে রত

২৬
দশার্ণ দেশেরই বিখ্যাত রাজধানী বিদিশা, সেখানে গেলে তোমার বিলাসী হৃদয়ের কামনা হবে পুর্ণ । সেখানে নীল নেত্রবতির স্বাধুজল খানিকটা পান করে নিয়ো, তোমার মনে হবে ঐ নদীরূপিনী নায়িকা ভ্রূভঙ্গে তোমাকে নিষেধ করছে , তার কন্ঠস্বর ব্যক্ত হবে চঞ্চল উর্মীর কলধ্বনিতে , ওদিকে শুনা যাবে তীরোপান্তে তোমারো মৃদু গম্ভীর গর্জন।

ছবি -১৮/ ২৩ : নীল নেত্রবতির স্বাধুজলাধার হতে মেঘের জলপান

২৭
বিদিশা নগরীর উপকন্ঠেই এক সুন্দর পাহাড় নাম নীচৈ: সেই পাহাড়ে বিশ্রাম নেবার জন্য কিছুক্ষন অপেক্ষা করো, তোমার সংস্পর্শে এলে সেখানে প্রস্ফুটিত কদম্ব পুলকিত হয়ে উঠবে । সেখানে নির্জন গিরিগুহা যৌবনবিলাসী প্রেমিকের দল বিলাসিনী রমণীদের সঙ্গে মিলিত হয় , তাদের সুবাসিত অঙ্গের পরিমলে গিরিগুহাগুলি সুগন্ধে হয়ে উঠে পুর্ণ ।

ছবি- ১৯/২৩ : নির্জন গিরিগুহায় যৌবনবিলাসিনী প্রেমিকা নারী

২৮
পাহাড়ে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর আবার তুমি যাত্রা করবে । বননদীর দুই তীরে দেখতে পাবে যুথিকার ঝাড়, সেখানে তুমি তোমার নতুন জলকণা একটু বর্ষণ করে যেয়ো । যে রমণীরা সেই পুষ্পবনে পুষ্পচয়ন করতে আসে ,তারা রৌদ্রে ক্লান্ত , ঘাম ঝরে পড়ছে , ঘাম মুছতে গিয়ে তাদের কর্ণে পরিহিত পদ্মফুলে লাগছে । তুমি তাদের ছায়া দিয়েছ বলেই তাদের ক্ষনপরিচিত বন্ধু , তাই পুষ্পচয়নকারিণীদের প্রসন্ন এবং কৃতজ্ঞ দৃষ্টিতে তুমি অভিসিক্ত হবে ।

ছবি – ২০/২৩: পুষ্পবনে রৌদ্রে ক্লান্ত পুষ্পচয়নকারিণী

২৯
উত্তরে তোমার যাত্রা কিন্তু সুজা উত্তরে গেলে চলবেনা পথ একটু বাকা হলেও তোমাকে উজ্জয়িণী দেখে যেতে হবে । উজ্জয়িনীর বিশাল অট্টালিকার ক্রোড়ে একটু বসে যেয়ো , প্রণয়ে বিমুখ হয়োনা সেখানে উজ্জয়নীর পুরললনাদের কি সুন্দর অপাঙ্গদৃস্টি । বিদ্যুত বিকাশের মত নৃত্যময় সে দৃষ্টিই যদি ভোগ না করলে তবে তোমার জীবন ব্যর্থ ।
ছবি - ২১/২৩ : নৃত্যরত উজ্জয়নীর পুরললনা

৩০
পথে নির্বিন্ধা নদী তরঙ্গে তরঙ্গে ছুটে যাচ্ছে , সঙ্গে চলছে হংসের শ্রেণী, ওরা যেন নদীর মেখলা ! হংসের কলরব জলের কলধ্বনি যেন সেই মেখলার মৃদু ঝঙ্কার
ছবি - ২২/২৩ হংসের কলরব জলের কলধ্বনি

বাধাহীন স্থানে সৃস্টি হয়েছে নদীর আবর্ত, ঐ আবর্ত যেন নদী সুন্দরীর নাভিকূপ ! তুমি একটু নেমে এসে এর রস আস্বাদন করে যেয়ো । অনেক কথা বলার শক্তি এদের নাই – নৃত্যের তালে ভাবের বিলাসই নারীর প্রণয়ভাষণ ।

ছবি -২৩/২৩ : নৃত্যের তালে তালে ভাবের বিলাসই নারীর প্রণয়ভাষণ


ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ।

ছবি সুত্র : অন্তর্জাল
কথা সুত্র : যথা স্থানে লিংক দেয়া হয়েছে ।

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখানে যে পদ্য দিয়েছেন, সেগুলো কি আপনি লিখেছেন? আমি পড়েছিলাম ৯ম, ১০ শ্রেণীতে, কার অনুবাদ ছিলো মনে নেই; তবে, বাক্যের গঠন অন্য রকম ছিলো

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এটা কস্টকরে পাঠ করার জন্য । আমি এ পোস্টের ভুমিকাতে সংক্ষপে বলেছি এর রচনা বিবরণ । মুল কাব্যটি সংস্কৃতে লিখা । বাংলাতে রয়েছে মেঘদুতের অনেক অনুবাদ যা আমাদের সামুর অনেক পাঠকের নিকটই নিশ্চয়ই সুপরিচিত । তাই অনেকদিন আগে ৯ম ১০ শ্রেণীতে বাংলা পাঠ্য বই এর সাথে এর সব কথা সা মিলাই স্বাভাবিক ।
বুদ্ধদেব বসু , ড: মুরারিমোহন সেন ও শক্তি চট্টোপধ্যায় এর রচনা হতে ক্ষেত্র বিশেষে খানিক সম্পাদনা করে মহাকবি কালিদাসের মেঘদূত এর একটি সচিত্র অনুলিখন তুলে ধরা হয়েছে এখানে । এটি মুলত: ড: মুরারিমোহন সেন এর অনুবাদ অনুকরণে প্রণীত ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসাধারন এই কাব্য !
বিরহী এক প্রেমিকের হৃদয় আলোড়ন প্রতি ছত্রে অপূর্ব দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক ,যেমনি ভাষার ব্যবহার উপম তে ও চমৎকার কারুকার্য ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ডঃ আলী মনোহর এই কাব্য সুধা রস আস্বাদনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।
আপনি সব ফুল ,পাখি সরোবরের সাথে ই আমাদের পরিচিত করিয়েছেন প্রায়
কেবল মাত্র
কুরচি ফুল

ভুঁইচাপা

আর কেয়া বা কেতকী ফুল

ছিলো না ,সেগুলো দিয়ে দিলাম !

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অতি মনযোগ সহকারে এটা পাঠ করার জন্য । এ ফুলগুলি অনেক খুঁজেছি ইমেজ পা্‌ইনি । ছোট সময় কুচরী ফুল গাছের পাতা ও ছালের রস আমাদের খেতে হত মাঝে মাঝে কৃমি নাশক হিসাবে । ফুলের সৌরভ পাওয়া যেত দুর হতেও । ভুকুন্দলী ফুলের কথা অনেক ভেবেছি , এটা জানি দেখতে কেমন , এখানে দেখে নয়ন জোড়ালো । আর কেতকী , আমাদের এলাকায় কেওরা নামে ছিল পরিচিতি । কাটা গাছ থেকে ফুল তুলা রিতিমত এডভেঞ্চার । তবে একটি ফুল ঘরে রাখলে সৌরভ দেয় মাস ছয়েক ।
অবাক হই মহাকবি কালিদাসের পান্ডিত্য দেখে । তার এই ১১১ স্তবকের কাব্যে ভারতের উত্তর থেকে দক্ষীনের প্রায় সকল উল্লেখ যোগ্য পাকৃতিক বিষয় ও জীব বৈচিত্রের বৈশিস্ট নিয়ে উপমা দিয়েছেন নিখুতভাবে কবিতার ভাষায় ।
ভুলি না্ই এটাকে একটু সহজ করে লিখার জন্য আপনারই ছোট একটা ঈঙ্গীত ছিল অনেক দিন আগের একটি লিখায় । সে জন্য সাথে প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানানো হল ।
মেঘদুতে আরো অনেক ফুলের কথা আছে । আপনার বেশ একটা লম্বা সময় ভারতে কাটানোর অভিজ্ঞতা আছে । মেঘদুতের ফুলগুলির অনেক গুলিই হয়ত আপনার দেখা । তাই এদের ইমেজ সহ একট পোস্ট দিলে ভাল হত , জানতে ও চিনতে পারতাম অনেক অচেনা ফুলকে ও তার পাকৃতিক পরিবেশকে ।
শুভেচ্ছা রইল

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম পড়ে মন্তব্য করবো ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ কবীর ভাই । প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৮

নীলপরি বলেছেন: আমিও পোষ্ট দিচ্ছিলাম । তাই দেরী হোলো ।

অসাধারণ পোষ্ট । খুব ভালো রিসার্চ । প্রিয়তে রাখার আর লাইক দেওয়ার চেষ্টা করছি । নিচ্ছে না । পরে আসবো । +++++

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
প্রিয়তে নেয়ার ইচ্ছের কথা শুনে খুবই খুশী হলাম ।
দেখা হবে আবার, শুভেচ্ছা রইল

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! আপাতত প্রিয়তে রাখছি পরে পড়বো বলে!

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ চমৎকার অনুভুত হওয়ায় ।
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১৮

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: আপনার পোস্ট মানেই বিশাল তথ্যের ভাণ্ডার। মেঘদূতের চমৎকার বর্ণনা পড়লাম। ধন্যবাদ এমন আরেকটি শ্রমসাধ্য পোস্টের জন্য। আপনার উপস্থাপনা খুব ভাল লেগেছে।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল লাগল কথা শুনে ।
আপনার লিখাতেও আছে অনেক তথ্যভান্ডার
দেখে এলাম কুসংস্কারে যা আছে প্রিয়তে ।

শুভেচ্ছা রইল

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার নতুন ফুল,গাছ এগুলোর সাথে পরিচিত হতে ভালো লাগে।
আপনার অনুরোধ রাখতে পারব কিনা জানি না, আমাদের অনুরোধে এই পোস্ট লিখে আপনি কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করে ফেলেছেন। আমি সম্ভবত রাইটার্স ব্লকে আছি, হাতে অনেক লেখার উপাদান কিন্তু লেখা হচ্ছে না :(
চেস্টা থাকবে :)

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আবার আসার জন্য ।
প্রিয় কবি নজরুলের উপরে পোস্টটি দেখে
বিমোহিত । দেখা হবে সেখানে অাবার ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আবার আসার জন্য ।
প্রিয় কবি নজরুলের উপরে পোস্টটি দেখে
বিমোহিত । দেখা হবে সেখানে অাবার ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট। পড়ে খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ ভাই ডঃ আলী।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ।
পড়ে ভাল এবং চমৎকার লাগায় খুশী হয়েছি।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:১৮

স্বপ্নের_ফেরিওয়ালা বলেছেন: মহাকবি কালিদাস নিয়ে দারুন লিখেছে !

পোষ্টা আবার পড়বো, ধন্যবাদ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ভাই । খুশী হয়েছি হেথায়এলেন বলে
শুনেছিলাম কালীদাস পন্ডিতের কথা - একটি তেতুল গাছে কয় শত পাতা-
তাঁর কবিতা পাঠ না করলে বুঝাই যায়না যে কবিতার একটি লাইনের
অর্থের যে কত ব্যপকতা । প্রতিটি শব্দ দিয়েই একটি টিকা রচনা চলে
আর এ কাজটি চলছে বিশ্বের বিভিন্ন মহলে ।

শুভেচ্ছা রইল

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ভাই । খুশী হয়েছি হেথায়এলেন বলে
শুনেছিলাম কালীদাস পন্ডিতের কথা - একটি তেতুল গাছে কয় শত পাতা-
তাঁর কবিতা পাঠ না করলে বুঝাই যায়না যে কবিতার একটি লাইনের
অর্থের যে কত ব্যপকতা । প্রতিটি শব্দ দিয়েই একটি টিকা রচনা চলে
আর এ কাজটি চলছে বিশ্বের বিভিন্ন মহলে ।

শুভেচ্ছা রইল

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৪৪

মশিউর বেষ্ট বলেছেন: একবারে পড়া সত্যেই একটু কষ্টকর। তাই প্রিয়তে নিলাম।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

বিজন রয় বলেছেন: সময় লাগবে। দিলেন তো মাথা ঘুরিয়ে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এসে দেখার জন্য ভাল লাগল ।
আবারো দু:শ্চিন্তায় পরা গেল
মাথা কোন দিকে ঘুরছে তা নিয়ে,
যদি সোজা দিকে ঘুরে তা্ইলে
কোন কথা নেই । যদি উল্টা
দিকে ঘুরে তা্ইলে দুইখান
কথা আছে । শুনতে চাইলে
আসতে হবে বারে বারে ।

আপাতত শুভেচ্ছা রইল

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এসে দেখারর জন্য ভাল লাগল ।
আবারো দু:শ্চিন্তায় পরা গেল
মাথা কোন দিকে ঘুরছে তা নিয়ে,
যদি সোজা দিকে ঘুরে তা্ইলে
কোন কথা নেই । যদি উল্টা
দিকে ঘুরে তা্ইলে দুইখান
কথা আছে । শুনতে চাইলে
আসতে হবে বারে বারে ।

আপাতত শুভেচ্ছা রইল

১৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:০৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: অসাধারণ উপস্থাপনা! খুব ভাল লেগেছে!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল ।

১৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল ।

১৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট জাস্ট অসাম। !:#P
উড়ন্ত পাখিগুলোার ছবি ভাল লাগছে, সাদা হাতির ছবি দেখেও মুগ্ধ হলাম। :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট অসাধারণ ও ছবিগুলি ভাল লাগার জন্য
রইল প্রিতি ও শুভেচ্ছা ।

১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট অসাধারণ ও ছবিগুলি ভাল লাগার জন্য
রইল প্রিতি ও শুভেচ্ছা ।

২০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:




মেঘদুতে'এর মতো ক্লাসিক্যাল কাব্যের জনপ্রিয়তা তেমন নেই আজ; মানুষ কেন হথাৎ অণু পরমাণু নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছে!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । আপনি ঠিকই বলেছেন । এটা শুধু ক্লাসিকেল নয় এটা প্রায় ১৬০০ বছরের প্রাচীন একটি কাব্য ।
অআমাদের প্রজন্মের কাছে এটা বলতে গেলে একেবারেই অপরিচিত । তবে এর কদর বা জনপ্রিয়তা আমাদের কাছে না থাকলেই সাহিত্যপ্রেমী পাশ্চাত্যদেশীয় লোকদের কাছে অনেক বেশী । পৃথিবীর অনেক সমৃদ্ধ ভাষাতেই এর অনুবাদ , ব্যখ্যা বিশ্লেষন ও টিকা সহকারে রয়েছে অনেক প্রকাশনা ।

২১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । আপনি ঠিকই বলেছেন । এটা শুধু ক্লাসিকেল নয় এটা প্রায় ১৬০০ বছরের প্রাচীন একটি কাব্য ।
অআমাদের প্রজন্মের কাছে এটা বলতে গেলে একেবারেই অপরিচিত । তবে এর কদর বা জনপ্রিয়তা আমাদের কাছে না থাকলেই সাহিত্যপ্রেমী পাশ্চাত্যদেশীয় লোকদের কাছে অনেক বেশী । পৃথিবীর অনেক সমৃদ্ধ ভাষাতেই এর অনুবাদ , ব্যখ্যা বিশ্লেষন ও টিকা সহকারে রয়েছে অনেক প্রকাশনা ।

২২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৪

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর ও বিশ্লেষণ ধর্মী এ বিশাল তথ্য সমৃদ্ধ লেখার জন্য। ভালো থাকুন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক খুশী হয়েছি অাপনার প্রসংসাবানী শুনে ।
শুভেচ্ছা রইল

২৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



অণু কবিতার পাঠকেরা বছর খানেক সময় হাতে নিয়ে পড়া শুরু করলে চলবে, শুধু ভীত না হলেই হলো!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মানুষের অতি ব্যস্ততার যুগে অনু কবিতা , চোঙ্গাগল্প, মিনি উপন্যাস এগুলিই তো ভাল লাগার কথা । অনেকের কাছে ভাল লাগবেনা জেনেও অতীত দিনের কিছু কাব্য গাথা যথ মনসামঙ্গল ,মেঘদুত প্রভৃতি কাব্য সম্ভার নিয়ে একটু সকলের সাথে মাঝে মাঝে শেয়ার করতে ইচ্ছে জাগে । জানি এগুলি বলতে গেলে একটি ব্যর্থ প্রয়াস ছাড়া কিছুনা । তবু ভাল লাগে সেকেলে কবিতার প্রতি প্রিতি রয়েছে এমন অনেক গুণীজন এসে এটা দেখে যান , অনুপ্রানীত করেন তাদের মুল্যবান প্রসংসাবানীতে ভাললাগার অনুভুতি প্রকাশে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মানুষের অতি ব্যস্ততার যুগে অনু কবিতা , চোঙ্গাগল্প, মিনি উপন্যাস এগুলিই তো ভাল লাগার কথা । অনেকের কাছে ভাল লাগবেনা জেনেও অতীত দিনের কিছু কাব্য গাথা যথ মনসামঙ্গল ,মেঘদুত প্রভৃতি কাব্য সম্ভার নিয়ে একটু সকলের সাথে মাঝে মাঝে শেয়ার করতে ইচ্ছে জাগে । জানি এগুলি বলতে গেলে একটি ব্যর্থ প্রয়াস ছাড়া কিছুনা । তবু ভাল লাগে সেকেলে কবিতার প্রতি প্রিতি রয়েছে এমন অনেক গুণীজন এসে এটা দেখে যান , অনুপ্রানীত করেন তাদের মুল্যবান প্রসংসাবানীতে ভাললাগার অনুভুতি প্রকাশে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এত বড় হইলে পড়ব কখন এমনিতে টাইমই পাই না :(

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সে জন্যইতো পুরাটা এক সঙ্গে দেয়নি।
অতি ব্যস্ততার মাঝেও যে কবি এসে
এটা দেখেছেন তাতেই হয়েছি যে ধন্য।
অপেক্ষার শেষ এবার হবে দ্বিতীয় পর্ব
তবে সেটাও হবে যে একই অবয়বপুর্ণ ।
ব্যস্ত থাকুন কবিতায় থাকুক লিখা পুর্ণ ।

২৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫১

জেন রসি বলেছেন: কালিদাসের লেখা আগে পড়িনি। এখন কিছুটা পড়লাম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুল্যবান সময় ব্যয় করে এসে দেখার জন্য । কিন্তু কালীদাসের কবিতার বেশ প্রভাব তো অআপনার কবিতায় দেখা যায় যেখানে প্রকৃতিকে ব্যবহার করেছেন বিমুর্তভাবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৭

শেয়াল বলেছেন: সুন্দর

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


কালীদাস পন্ডিতের কবিতা
প্রিয় শিয়াল পন্ডিত মহাশয়
এসে দেখে খুশী হয়েছেন শুনে
ভাল লাগল ।
শুভেচ্ছা রইল

২৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

বইপড়ুয়া বলেছেন: এত সুন্দর লেখনী ! সরাসরি প্রিয়তে

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ , প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল, সাথে

২৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




বহুজনে বহুবার কালিদাসের মেঘদূত মহাকাব্যের প্রসঙ্গে লিখে গেছেন । প্রত্যেকেরই লিখন শৈলী ভিন্নতর ।
যেমন ভিন্নতর আপনার এই লেখার শৈলীটিও । অনবদ্য ভাবে সচিত্র এই অপূর্ব লেখাটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে ।
তবে আপনার অনেক লেখাগুলোর মতো এ লেখাটিও দীর্ঘ । অনেক পাঠকই আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন । যদিও এটা পর্বে পর্বে লিখবেন তবুও দীর্ঘায়তনের আঁচল খানিকটা গোটাতে বলি যাতে সব পাঠকই আনন্দ পান । ( এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত )

ভালো থাকুন ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল লাগল আপনার প্রসংসাবাণি ।
আপনার মুল্যবান পরামর্শ শিরোধার্য ।
পরের পর্বগুলি অনেক ছোট করে পোস্ট দিব ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৩০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: এত গবেষণামূলক পোস্ট লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।আপনার পরিশ্রম সত্যিওই আমাকে মুগ্ধ করে।ভূমিকাটা পড়ে ফেলেছি।প্রিয়তে রেখে দিলাম,ধীরে সুস্থে পড়বো বলে।আর হ্যাঁ আপনি আমার সর্বশেষ করা পোস্টে মন্তব্য করেছিলেন।সংগত কারণে লেখাটি সরিয়ে রিপোস্ট করতে হয়েছে।যেহেতু লেখাটি প্রিয়তে নিয়েছিলেন তাই আপনাকে অবহিত করা উচিত বলে মনে হলো।

শুভকামনা জানবেন।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সংবাদটি দেয়ার জন্য । এ পোস্টটি ভাল লাগায় ও প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৩১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সংবাদটি দেয়ার জন্য । এ পোস্টটি ভাল লাগায় ও প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৩২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমি এই লেখাটা লিখলে আপনার লেখার দশ ভাগের এক ভাগ হতো | কিন্তু আপনার লেখাটার অসাধারণত্ব হলো প্রয়োজনীয় দৈর্ঘ্যও লেখাটা পড়তে খুবই ভালো লেগেছে, বড় মনে হয়নি, নিরস লাগেনি কখনো | তার মানে হলো আমি লিখলে সবাই ছিঃ ছিঃ করতো | ভাগ্যিস আমি লিখিনি ! আপনার কথা মনে কর এপোড়লাম এবং তাতেই মুগ্ধ ! হ্যাটস অফ ফর দিস গ্রেট পিস্ ! প্রিপারেশন নিচ্ছি দ্বিতীয় পর্ব পড়বার |

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আগের দেয়া প্রতি উত্তরটা ভুল বশত ডিলিট হয়ে গেছে । কারসার কখন যে এ এখানে চলে এসেছিল বুঝতে পারিনি , ক্লিক করে দেখি জবাবটি মুছে গেছে । যাহোক ভুল বসত মনে হয় কাজটি ভালই হয়েছে । দ্বিতীয় পর্ব পাঠে কেমন লাগল জানালে বাধিত হব ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মেঘদূত, প্রথম আমি পড়েছিলাম হাইস্কুলে | যক্ষের বিরহে সব সময়ই আমিও বিরহী হয়েছি সেই স্কুলেই | আমি যেটা বলতে চেয়েছিলাম তাহলো আমি হয়তো মূল কাহিনীটাই অল্প কর বলতাম | কিন্তু আপনি অনেক সুন্দর করে বলেছেন যেটা আমাকে দিয়ে কোনো ভাবেই হতো না | কোনো ভাবেই কিন্তু আমার কথার মানে নয় যে এই লেখা আমি লিখতে পারতাম সংক্ষেপে | আশাকরি ক্লিয়ার হলো আমি যা বলতে চেয়েছিলাম | আপনার কারণেই সবার পড়া হলো,আমারও | আবারো অনেক ধন্যবাদ |

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সে আমি আগেই বুজেছি , এ শুধু কথাচ্ছলে কথা বলা । মহাকবি কালিদাসের মেঘদুতকে নিয়ে কিছু বলতে গেলে কথা ফুরুবেনা শুধু লম্বাই হবে , তবে সংক্ষেপে বলতে পারা সত্যিই বেশ কঠীন কাজ । প্রসংসাটুকুর জন্য হলাম অনুপ্রানীত ।

৩৪| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসাধারণ একটা কাজ আলী ভাই
অভিভূত আমি।

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ধন্যবাদ, পোষ্টটি আসাধারণ ভেবে অভিভুত হয়েছেন শুনে ভাল লাগল ।

শুভেচ্ছা রইল

৩৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ একটি প্রাচীন কাব্য সংকলন! পোস্ট করার পর ছয় বছর পার হয়ে গেছে, এত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হবার কারণেই বোধহয় ছবিগুলো আর দেখা যাচ্ছে না। তা না যাক, তাতে কাব্য রসাস্বাদনে বিঘ্ন ঘটেনি।
পোস্ট প্রিয়তে তুলে রাখলাম। 'লাইক' তো অবশ্যই! + +

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বিলম্বিত প্রতি উত্তরের জন্য দু:খিত ।
আনেক পুরাতন একটি পোষ্ট দেখে
পাঠ করে মুল্যবান মন্তব্য দিয়ে একে
আবার প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা
জানবেন ।
শুভকামনা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.