নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যতদিন রবে নীল আকাশ ,তাল গাছ আর কাশবন ততদিন শরত হবে অবগাহন : জীবনে মরণে পরোপকারী তাল গাছ সমাচার (রকমারী তাল গাছ ও পিঠা ছবি ব্লগ)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫


ঐ দেখা যায় তাল গাছ ঐ আমাদের গা ,ঐ খানেতে বাস করে কাণী বগের ছা । কবিতায় ও গানে সবসময় আমাদেরকে টানে তাল তমাল ছায়া ঘেরা , নীল আকাশের নীচে সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে কাশবনের মায়াবী মৃদৃ মন্দ পরশে দাদী নানীর হাতে শরতের পাকা তালের সৌরভময় পিঠা পায়েশের স্বাদ নিতে । শরতের আগমনে গানে কবিতায় একে বরণ করে নিলেও দেখা যায় শরত বিলুপ্ত হল বলে অনেকেই আছেন আশঙ্কায় । এ প্রেক্ষিতে জোর দিয়েই বলা যায় যতদিন রবে নীল আকাশ ,তাল গাছ আর কাশবন ততদিন শরত হতেই থাকবে অবগাহন নীজ মহিমায় । তাল গাছই যেন শরতের প্রাণ ,নীল আকাশে মেঘের আনাগুনা সেসাথে বাজারে তালের সমারোহ দেখে সকলেই বুঝে যায় শরত এসে গেছে ।

তাল এক আজব উদ্ভিদ । পৃথিবীতে প্রায় ২৫০০ প্রজাতীর তাল/পাম জাতীয় বৃক্ষ আছে । বাংলাদেশেও বেশ কয়েক জাতের পামজাতীয় বৃক্ষ আছে যার মধ্যে কতক সৌখীন পাম , নারিকেল , শুপারী , খেজুর এবং তাল অন্যতম ।
ছবি-০২/২৪

এই ছবি ব্লগে মুলত দেশীয় তাল গাছ তার সাথে কিছু বিদেশী সৌখীন পাম জাতীয় বৃক্ষ পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে ।
পাম জাতীয় বৃক্ষগুলিকে তাদের আকার , কান্ড, পাতা , ফুল ও ফল দিয়ে স্বাতস্ত্র মন্ডিত ও চিহ্নিত করা যায় ।
পাম বা তাল জাতীয় বৃক্ষগুলি মুলত লম্বা সরু কান্ড বিশিস্ট হয় , তবে হ্রস্বাকৃতিও হয় । এর কোনটির পাতা হয় পাখীর পালকের মত কোন টির পাতা পাখার( ফ্যান ) মত ।
বীজ হতে তালগাছ জন্মায় । তাল এক পরম পরোপকারী বৃক্ষ , জন্মের পর বছর না পেরুতেই এই গাছ মানুষের সেবায় হয় নিয়োজিত । জন্মের পর হতেই এর পাতা থেকে পাখা তৈরীর কাজ হয়ে যায় শুরু , মানুষই নিয়ে যায় তা কিনে শান্ত শীতল বাতাস অনুভবের প্রয়োজনে ।
পাখা তৈরীর উপযোগী তালের চারা বৃক্ষ
ছবি-০৩/২৪ : ঘরে বসে তালের পাখা তৈরী

বাংলাদেশে খুব কম বাড়ীই আছে যেখানে একটি তালের পাখা নেই । বিদ্যুতের লোড শেডিংএর কারণে বলতে গেলে সবাই ঘরে একটি করে তালের পাখা রাখেন । ছোট বড় , ভাজ করা বা লম্বা হাতল বিশিস্ট হরেক রকমের তাল পাতার পাখা দেখতে পাওয়া যায় সর্বত্র। এটা এখন একটি কুটির শিল্প হিসাবে পরিগনিত । দেশের গ্রামাঞ্চলে ও সেমি আরবান এরিয়ায় অনেক জায়গায় পরিবারের সকলে মিলে এই কুটির শিল্পজাত পাখা তৈরী ও বিপননের কাজে নিয়োজিত আছেন ।
ছব-০৪/২৪

ছবি-০৫/২৪ : বাজারে তালের পাখা বিত্রয়

তাল গাছটি বড় হতে থাকে আর বিলুতে থাকে তার পাতা , গাছের কান্ডতে জড়িয়ে থাকা নীজ পাতার লস্বা বাটের প্রান্তদেশের চেপ্টা চাটি দুখানা পা বাড়িয়ে হাটি হাটি করে চলে যায় ছোবরা কারখানায় । পাতা যায় গরীবের কুটির রচনায় ।
ছবি-০৬/২৪ : তালের বেড়া, তালের ছাউনি , তালের খুটি তাল গাছের ফালীর মারুল আর টানায় তৈরী ঘর

শুধু কি মানুষই , তাল পাতার নীচে ও সে পাতা দিয়েই বাবুই পাখীও করে রচনা কারুকার্যময় মোহনীয় নীড়খানা , কুড়ে ঘর হলেও সে তো করতেই পারে অপরূপ শিল্পের বড়াই , যার দিকে চোখ তুলে সকলে তাকাই ।
ছবি-০৭/২৪ : তালগাছে বাবুই পাখীর নীড়

তাল পাতার ছোবরা যায় কারখানায় তৈরী হতে বিবিধ বাহারী নিত্য প্রয়োজনীয় দব্য সম্ভাবনা নীচে দেখানো হল তাদের কখানা ।
ছবি-০৮/২৪ : তালের ছোবরা দিয়ে তৈরী দ্রব্যাদি

জিও টেক্সটাইল হিসাবে তালের ছোবরা হতে তৈরী নেট/জালের এর রয়েছে বিশ্বব্যপী ব্যাবহার । নতুন রাস্তার ল্যন্ডস্কেপ , বাধ ও নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে এর রয়েছে সফল প্রয়োগ । এটা মাটির সাথে মিশে গিয়ে রোধ করে পরিবেশ বিপর্যয় । তালের ছোবরার জাল তৈরী করেছে নতুন এক সম্ভাবনা ।
ছবি-০৯/২৪ : তালের ছোবরা হতে তৈরী জাল :জিও টেক্সটাইল

তাল গাছটি খানিক বড় হলে ডোঙ্গা নৌকা করে একে অনেকেই ভাসায় বিলের জলে, নৌকা বাইচের কত আয়োজন কত ভাবে যে চলে, মেতে উঠে বানবাসী এলাকার মানুষ, পারি দেয় এ বাড়ী থেকে সে বাড়ীতে বর্ষাকালে তালের ডোঙ্গা মত নৌকায় ভেসে চলে ।
ছবি-১০/২৪ : তালগাছের ডোঙ্গার নৌকা বাইচ

তালের রস
তালগাছের মাথায় চড়ে গাছি সাহেব কোমরে কাছি বেধে তালের কুড়ি কিংবা মর্দা গাছের ফূলের ডগায় বিশেষ কৌশলে ঘটি বেধে তালের রস করেন আহরণ । কিছু তাজা রস তারা বিকায় , কিছু যায় তারির ভুবনে ( বিশেষ কায়দায় হাড়িতে ভরে রোদের তেজে চোলাই বাংলা মদের মত কিছু একটা উত্তেজক পানীয়) , রয়েছে এর চাহিদা বিকাল গড়ালে নিবৃত আনাচে কানাচের তারিখানায় কতক মানুষের কাছে ) ।
ছবি-১১/২৪ : তাল গাছ হতে রস আহরণ


কচি তালের শাঁস
ছবি-১২/২৪ : কচি তালের শাঁস কেটে পরিবেশন

এই তালের শাঁসে আছে অনেক গুণ , ১০০ গ্রামের একটি তালের শাঁসের ৯২ দশমিক ৩ শতাংশই থাকে জলীয় অংশ, ক্যালরি থাকে ২৯, শর্করা ৬ দশমিক ৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম, খনিজ শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪ মিলিগ্রাম। শারীরবৃত্তীয় কাজে অংশ নেওয়া এই তালশাঁস খুবই উপকারী, শরীরকে দ্রুত শীতল করে তালশাঁস।
এর বেশির ভাগ অংশ জলীয়। ফলে শরীরের পানির চাহিদা মেটাতে সক্ষম, তালশাঁস শরীরের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। এমনকি ক্ষয় হয়ে গেলে তা পূরণ করে , তারুণ্যকে ধরে রাখে।

তালের পিঠা
শরতের পাকা তালে ভরে গেছে বাজার। পিঠা তো খাওয়া হবেই, কেক বা ক্ষীর হলেও বা মন্দ কি
ছবি-১৩/২৪ : পাকা তাল হতে রস নির্যাস

তাল চিপে রস বের করা আর তা দিয়ে সুস্বাদু পিঠা তৈরীর পদ্ধতি সকলেরই জানা । এ ব্লগের আপুমনিরা তালের পিঠার বিষয়ে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ সেটা সকলেরই জানা । যারা এই মহুর্তে বিস্তারিত আরো জানতে চান তাঁরা পিঠা তৈরীর রেসিপিগুলো এখানে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন ।
ছবি-১৪/২৪ : রকমারী তালের পিঠা-১

ছবি-১৫/২৪ : রকমারী তালের পিঠা-২


তাল গাছের চাষ
তালের চারা রোপন করে তা থেকে ফল ও সারবান কাঠ পেতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয় । এ জন্য এ গাছটির চাষ করতে অনেকেরই অনিহা দেখা যায় । তবে এই তাল বৃক্ষটি তার শিশুকাল থেকেই এর রোপন ও পরিচর্চাকারীকে অর্থনেতিক কর্মকান্ডে বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে পারে, সে সম্পর্কে ব্যপক গন সচেতনতা ও তথ্যের আদান প্রদান আবশ্যক । তাল বা পাম জাতীয় বৃক্ষ যে শুধু ফলই দেয়না বরং এমন অনেক সৌখীন পাম বৃক্ষ রয়েছে যা বাড়ী কিংবা প্রতিষ্ঠান , পার্ক বা উদ্যানের শুভা বৃদ্ধি, রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে , প্রেসটিজিয়াস এধরনের একটি চারা গাছের মুল্যও অনেক বেশী । পৃথিবীর প্রায় সকল উন্নত দেশেই এখন অনেক পাম নার্সারীর বিকাশ লাভ হচ্ছে । আমিরিকার কালিফোরনিয়া পাম নার্সারিটি জগত জোড়া খ্যাতি অর্জন করেছে বিশ্বের দামী ও সৌন্দর্যময় পাম গাছের চারা উৎপাদনে । এ সমস্ত চারার কোন কোন টির দাম হাজার ডলারেও উপরে । কালিফোরনিয়া পাম নার্সারীর কিছু মুল্যবান পাম গাছের ছবি নীচে দেয়া হল ।
ছবি : ১৬/২৪ : কালিফোর্নিয়া পাম নার্সারী

ছবি -১৭/২৪ কালিফোর্নিয়া পাম নার্সারীর পাম গাছ -১

ছবি -১৮/২৪ কালিফোর্নিয়া পাম নার্সারীর পাম গাছ -২

ছবি -১৯/২৪ কালিফোর্নিয়া পাম নার্সারীর পাম গাছ -৩

ছবি -২০/২৪ কালিফোর্নিয়া পাম নার্সারীর পাম গাছ -৪

বাংলাদেশেও ইদানিং বেশ কিছু বৃক্ষ নার্সারীতে বিভিন্ন পাম জাতীয় গাছের চারা পাওয়া যায় । অনেক নার্সারির মত রাজদানীর অভিজাত এলাকা গুলশান লিংক রোডে ব্রেক ( BRAC) পরিচালিত একটি নার্সারীতেও বিভিন্ন ধরনের দেশী ও বিদেশী পাম প্লান্টের চারা পাওয়া যায় ।
ছবি-২১/২৪ : ঢাকার গুলশান লিংক রোডে ব্রেক ( BRAC) পরিচালিত নার্সারী

এছাড়া দেশের আনাচে কানাচে গ্রামীন জনপদের অনেকেই গড়ে তুলেছেন নার্সারী যেখানে বড় সুস্বাদু জাতের তালের চারা উৎপাদন করে সেগুলি আগ্রহী ক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করা হয় ।
ছবি-২২/২৪: গ্রামীন জনপদে একটি নার্সারীতে তাল গাছের চারা জন্মানো ও বিক্রয়

জন্ম থেকে মৃত্যুর পরেও মানুষের কল্যানে নিয়োজিত এই তাল বৃক্ষটিকে গ্রামীন জনপদের মানুষ সযত্নে করছেন রোপন যার যার সুবিধামত জায়গায় । ছায়াতলে ফসলের জমির কোন ক্ষতি হয়না বলে এর চাষের প্রসার ক্রমে চলেছে বেড়ে দিগন্ত যোজন ধরে ।
গ্রামীন জনপদে তাল গাছের পরিকল্পিত চাষ
ছবি-২৩/২৪ : জমির আইলে সারী করে তাল বৃক্ষ রোপন ও পরিচর্চা

ছবি-২৪/২৪ : চারা রোপনের পর করলে পরিচর্চা সারি সারি তাল গাছ হবে যে এমন

আশা করা যায় তাল বৃক্ষের বিকাশ বাংলার বুকে শরতকে করবে ধারণ হয়ে অনন্য সাধারণ, এটা কখনো যাবেনা হারিয়ে।

শুধু শরতের জন্যই নয় ,কৃষি অর্থনীতিতে তাল গাছের রয়েছে অপার সম্ভাবনা । রাস্তার দু'পাশের পতিতজমি, অনাবাদি জমি, জমির আইল, বাড়ির আশপাশের পতিত জমিতে তালগাছ রোপণ করে গ্রামীণ জনগণের বাড়তি আয়ের উৎস সৃষ্টি করা ছাড়াও চিনি ও গুঁড়ের ঘাটতি অনেকাংশ মেটানো সম্ভব। তালের আঁশ, পাতা, কাঠ এসব টেকসই যুথসই আর আকর্ষণীয় কুটির শিল্পের বিশেষ উপকরণ। পরিকল্পনা করে ঝুঁকি বিহীনভাবে তালগাছ ভিত্তিক কার্যক্রম হাতে নেয়া যায়।

গ্রামীণ অর্থনীতি ও পরিবেশ উন্নয়নে তালগাছ হবে আগামী দিনের কৃষি, কৃষক ও পরিবেশের পরমবান্ধব। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, আইলা, সিডর, নার্গিস, শেফালী মোকাবেলায় তালগাছ মাথা উঁচু করে বুক পেতে দেবে মানব আর মানব বসতি রক্ষায়। শুধু এতেই শেষ না, পাখিদের নিরাপদ নিবিড় আবাস গড়বে তালগাছের নিবিড় বনায়ন। তাল গাছের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্যই তো বাবুই পাখীরা পৃথিবীর এত সব গাছ থাকতে একমাত্র তাল গাছকে বেছে নিয়ে নান্দনিকতার বুননে শিল্পের গাঁথুনি দিয়ে নকশীজালের নীড় তৈরি করে।

তালের লেপা বা শাস, তালের সুস্বাদু রস, কাঁচাতাল, সিদ্ধতাল, তালের পিঠা, তালস্বত্ব, তালপাতার পাখা, তালের নৌকা, তালের ব্যঞ্জরিত কুটির আইটেম আমাদের জাতীয় জীবনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে । পরিপক একটি গাছ থেকে বছরে অন্তত ৫ হাজার টাকা আয় করা যায়। অর্থনৈতিক সুবিধার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়, ঝড়োহাওয়া ও জলোচ্ছ্বাস হতে উপকূলীয় বাড়িঘর, শস্য রক্ষা করতে পরিবেশ উন্নয়নে তালগাছের ভূমিকা অনন্য।


ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ।

মন্তব্য ৯৩ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৯৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: আপনার তাল সমাহার পড়তে পড়তে বে'তাল হয়ে পড়লেও চমৎকার একটা পোষ্ট। সবারই পড়া উচিৎ। বাঙালি পনা'র উল্লেখযোগ্য তাল সমাহার।
ভাল লাগল বস ..... ঈদ মোবারক

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ ,
তাল সমাহার বেতাল করলেও
পরে তালে ফিরে এসেছেন
দেখে ভাল লাগল
আপনার জন্যও
ঈদ মোবারক

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন:

এক উঠোন ভালোলাগা রেখে গেলাম ডঃ এম এ আলী ভাই।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এই ঈদের প্রাক্কালে অতি ব্যস্ততার মাঝেও
একটি অপেক্ষাকৃত বড় পোস্টের লিখা
পাঠ করাটাও কম পরিশ্রমী নয় ।

অনেক ধন্যবাদ
ঈদ মোবারক

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

শায়মা বলেছেন: বাপরে! এত কিছু!!!!!!!!!

তালের এতকিছু!!!!!!!!!!!!

তুমি সত্যিই ই ই ই ই জিনিয়াস!!!!!!!!!!!!!!!!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কি আর করা , কাজ নাই তে খই বাজ আর কি !!!
অনেকেই আমার আগের পোস্টে দেখলাম
শরত বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে অাসঙ্কা
প্রকাশ করেছেন । তা্‌ই ভাবলাম
বলি যতদিন নীল অাকাশ ,
তালগাছ আর কাশবন
আছে ততদিন হবে
শরত অবগাহন
এ বিবেচনায়
এ পোস্ট ।

তোমার আশির্বাদ পেলে জিনিয়াস হতে
না পারলেও জিনিস একটা হবোই ।
ঈদ মোবারক

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন।
----আশা করা যায় তাল বৃক্ষের বিকাশ বাংলার বুকে শরতকে করবে ধারণ হয়ে অনন্য সাধারণ, এ কখনো যাবেনা হারিয়ে ।-----
না কখনোই হারাবে না।
--"এক পায়ে দাঁড়িয়ে
সব গাছ ছাড়িয়ে
উঁকি মারে আকাশে।...."

"-- মা যে হয় মাটি তার,
ভালো লাগে আরবার
পৃথিবীর কোণটি।...."

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



শরতকে টিকিয়ে রাখার জন্য
লিখা অাপনার ছড়াটা
চমৎকার হয়েছে।
কামনা করি মনে
এমনি ভাবেই
শরত টিকে
থাকুক ।

ঈদ মোবারক

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: তালের উপরে এতসুন্দর একটা পোষ্ট দিয়েছেন যা অসাধারণ বলা যায়। পড়ে খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ ভাই ডাঃ এমএ আলী।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



তালের উপর পোস্টটি সুন্দর
ও অসাধারণ হয়েছে শুনে
খুব ভাল লাগল ।

ঈদ মোবারক

৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

পথহারা মানব বলেছেন: ভাই তাল গাছে ভুতের বাসা থাকে এটা বাদ দিলেন কেন?

তালের পিঠা খাইতে মন চায়!!! :((
অসাধারণ পোস্ট.....অনেক অনেক ভালো লাগা

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



জানতাম কেও না কেও ভুতকে তাল গাছের মাথায় বসাবে ।
তবে একটি কথা বলি , কাওকে ভুতে ধরলে পরে ওজা
এসে মন্ত্র পড়ে সে ভুতকে তারিয়ে নিয়ে তাল গাছের
মাথায় বসিয়ে দেয় । আর ভুত সেখান থেকে
ছটফট করে পরে গিয়ে দৌঁড়ে পালায় ।
তাই তাল গাছ দেখে ভয় পাবেন না
সেখানে বাবুই পাখীরা ঝাক বেধে
নীড় রচনা করে থাকে।কেবলি
তা দেখায় সুন্দর আর সুন্দর
পোস্ট অসাধারণ অনুভুত
হওয়ার জন্য রইল
অনেক ধন্যবাদ

ঈদ মোবারক

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

জুন বলেছেন: আমার অনেক অনেক প্রিয় এই গাছটি নিয়ে আপনার লেখাটি পড়ে মুগ্ধ হোলাম। আমার জীবনের একটা ইচ্ছেই ছিল কখনো নিজস্ব একটা বাড়ি করার সৌভাগ্য হলে সেখানে অবশ্যই তাল গাছ লাগাবো। কিন্ত আকাশ দীপিকার মত বহুতল ভবনে থেকে এ শখ জীবনে পুরন হবে কি না জানি না। ছোট বেলায় এক জায়গায় ছিলাম। বাড়ির পেছনে অবারিত মাঠ আর তাতে অসংখ্য তাল্গাছের সারি। শর শর আওয়াজ তুলে যেত বাতাস সেই তালের পাতায়। এখনো চোখ বন্ধ করলে যেন দেখতে পাই। ট্রেনে চিটাগাং যাবার পথে ফেনীর কাছাকাছি রেলপথেরদু ধারে প্রিয় গাছটি দেখার জন্য চোখ মেলে থাকি।
ইন্ডিয়ার বিশাখাপটনমের আরাকু ভ্যালি থেকে ট্যাক্সিতে আসার সময় আমি শুধু রাস্তার পাশের অসংখ্য তালগাছের সারি দেখে গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলাম।
খুব খুব ভালোলাগলো আপনার পোষ্টটি।
+

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ভাল লাগল এখানে এসে এটা দেখার জন্য ।
লিখাটিতে আপনার মুগ্ধতা আমাকে করেছে বিমুগ্ধ ।
আকাশ দীপিকার মত বহুতল ভবনে বসবাসে সু:খ দু:খ
দুটুই আছে সমান তালে। কামনা করি অনাকাংখিত দু:খকে
ছাপিয়ে সুখ উকি মারুক তাল গাছের মত সবকে ছাড়িয়ে।অচিরে্ই
আপনার একটা সুন্দর বাংলো টা্ইপ বড় বাড়ী হোক কানট্রি সাইডে এ
কামনা করি। লনের দুপাশে থাকুক সুন্দর সুন্দর পাম( তাল) গাছ। আপাতত
নীচে দেখানো টবের মত দুএকটা তাল গাছের চারা লাগিয়ে রাখুন আকাশ দিপীকায়।
দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ানো মানুষ আপনি সঠিক জানিনা এখন কোথায় আছেন। তবে বাড়ীটা
করার সময় পাম গাছ লাগানোর পুর্বে অবশ্যই একবার দেখে আসবেন কালিফোর্নিয়া পাম নার্সারী ,
সেখানে প্রায় ২৫০ প্রজাতীর ট্রপিকেল ও শীতসহা অপরূপ পাম গাছের সমাহার আছে । প্রায় এক কোটি
বঙ্গসন্তান আছেন এখন দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে , এর মধ্যে অনেকেরই সাধ্যের মধ্যেই আছে নীজ বাড়ীর লনের
বাগানে পাম জাতীয় গাছ লাগাবার। দেশে বিদেশে সর্বত্রই পাম (তাল) গাছের বাগান গড়ে উঠোক এই মোর কামনা।

ঈদ মোবারক


৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সুমন কর বলেছেন: আগে অর্ধেক পড়ে লাইক দিয়ে চলে গিয়েছিলাম। এখন সময় করে আবার আসলাম।

তাল পড়ে বেতাল হয়ে গেলাম। হাহাহা.......
পোস্ট নিয়ে বলব !! এক কথায় গ্রেট পোস্ট।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




অনেক ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । ভাদ্রমাসে পাকা তাল গাছের নীচ দিয়ে
অনেকেই যায়না ভয়ে, কখন টুপ করে একটা মাথায় যায় পরে । তাই দাদার
লা্‌ইক চিহ্নটুকু দেখে ভাবলাম এজন্যই হয়ত দাদাকে দেখা যায়নি তালতলায় !!!
যাহোক পোস্টটি গ্রেট অনুভুত হওয়ায় খুবই প্রিত হলাম ।
শারদিয় শুভেচ্ছা রইল

৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,



অনবদ্য .................................সুপার্ব ।
তবে অবাক লাগছে , এমন জ্ঞানগর্ভ লেখাতে মন্তব্যের অপ্রতুলতা দেখে । তবে যতদিন রবে নীল আকাশ... ততোদিন কিছু না কিছু পাঠক এমন লেখাতে মজে থাকবেই । তালের পিঠার মতো সোয়াদ খুঁজবে কোনও কোনও লেখকের লেখাতে । তাল পাখার বাতাসে যেমন স্বস্তি মেলে তেমন করেই স্বস্তি মিলবে তাদের ।

অনেকদিন পরে এসে এমন সব ছবি আর বিষয় নিয়ে লেখাটি দেখে খুব ভালো লাগলো ।

ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



তাল গাছ বাড়তে দীর্ঘদিন সময় লাগে, শুরুতে একপাতা দুপাতা করে গজায় , তেমনি এ পোস্টের লিখাতেও কমেন্ট আসে একটা দুটো করে কালে ভদ্রে । পোস্টের নীচে নামটি মোর দেখলে পরিচিত জনেরা ধরেই নেন এটা হবে যে অহেতুক লম্বা সাথে নিয়ে বিবিধ অনুস্বার । অনেকেই মাঝপথে ক্ষ্যন্ত দিয়ে ইতি টানেন মন্তব্য না দিয়েই, বুঝা যায় তা পাঠক সংখ্যা দেখেই । যাহোক যারা কস্ট করে এটা পাঠ করে মন্তব্য রেখে যান তাদেরকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই অকাতরে । অন্য সকল পাঠকদের প্রতিও রয়ে যায় শুভেচ্ছা ও ভালবাসা, তবে তা যায়না সহজ জানান দেয়া । এই অবসরে আপনার কথামালার কল্যানে তাঁদেরকে জানানো হল সে কথা ।
পোস্টের ছবি ও লিখা ভাল লাগায় রইল ধন্যবাদ ।

ঈদ মোবারক

১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার ও পরিবারের সকলের জন্য রইল ঈদ মোবারক।
ভাল থাকার শুভেচ্ছাও রইল

১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৪

আহা রুবন বলেছেন: এ তো তালের রাজ্য! ঘুরে ঘুরতে তাল হারিয়ে ফেলেছি। তালরাজকে ঈদ মোবারক।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বেতাল হওয়ার পরে তাল যে ফিরে পেয়েছেন তাতেই আমি মহাখুশী ।
রাজার রাজ্যে সবাই রাজা তেমনিভাবে তালের রাজ্যে সবাই তাল রাজা ।
ভাল লাগল নীজের রাজ্য মনে করে এ রাজ্য ঘুরে যাওয়ার জন্য ।
ঈদ শুভেচ্ছা রইল ।

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৬

সোহানী বলেছেন: ও মাই গড!!!!!!!! তাল নিয়ে এতো কিছু!!!!!!!! এতো কাছের ফল কিন্তু তা নিয়ে এ প্রথমই কোন উচ্ছাস নিয়ে লেখা পেলাম... ++++ দিলে ও কম হবে............. তালের কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য অবশ্য মনে মনে মাইনাস। তবে আমি কিন্তু তালের নৈাকায় চড়েছি.... আহ্ সে এক বিশাল কাহানি.........

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ভাল লাগল মন্তব্যের কথামালা শুনে ।
কোন তালে মাইনাছ সেকি গানের তালে
নাকি নাকি হরতালে । যদি হয় হরতালে
তাহলে কোন কথা নাই । যদি হয় গাছের
তালে তাহলে রেসিপি পাঠিয়ে দিলে ট্রাই
করে দেখব।আর যদি হয় গানের তালে
তাহলে কথাই নাই চলবে সমান তালে।

তালের নৌকা যেমন দোলা দোলে
ভয় পেয়ে কাহিনীতো কিছু হবেই।

ঈদ শুভেচ্ছা রইল ।

১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: তাল গাছ এক পায়ে দাড়িয়ে
সব গাছ ছাড়িয়ে
উঁকি মারে আকাশে


বাংলাদেশে অনেক গাছ থাকলেও তাল গাছের কথা উঠে এসেছে বারবার।

যে যা বলিস ভাই, আমার তালগাছ টি চাই। কথাটির প্রচলন আছে বহুকাল থেকে।

এছাড়া,

ঐ দেখা যায় তাল গাছ
ঐ আমাদের গাঁ
ঐ খানেতে বাস করে
কানাবগির ছা!
কবিতাটি কলবে বসে আছে!

গানও আছে তাল নিয়ে-
টক-ঝাল-মিঠা. তালের পিঠা, ঝালের পিঠা কে রেঁধেছে কে?
এক কামুড়ে একটুখানি আমায় এনে দে।

তাল গাছ নিয়ে আপনার এই লেখা খুব ভাল লেগেছে! আপনাকে অনুসরনে না নিলে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হব!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার সুললিত মন্তব্য
সাথে থাকা সুন্দর সুন্দর ছড়া
তালের প্রতি মনকে দেয় গভীর নাড়া
তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে,
উঁকি মারে আকাশে'এ কবিতাটা ছোটবেলায় হাত-পা
নাড়িয়ে আবৃত্তি করেনি, এমন লোক খুঁজেপাওয়া মুশকিল।
তারপর তালগাছে বাসা বেঁধে থাকা বাবুই পাখি আর বানর নিয়ে
ইশপের সেই যে মজার গল্প মনে পড়লেই মিস্টি হাসি চলে আসে।
তালগাছ নিয়ে কত শত যে কিচ্ছা-কাহিনি, নেই তার কেন সীমা পরিসীমা ।
রইল

১৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: বঞ্চিত হব এর জায়গায় হতাম পাঠ করবেন!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ঠিক আছে এভাবেই পাঠ করা হবে । ধন্যবাদ আবার এসে বলে যাওয়ার জন্য ।

১৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

বিজন রয় বলেছেন: ঈদ মোবারক।
আপনার এবং আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ,
আপনার এবং পরিবাবরের সকলের প্রতি রইল ঈদের শুভেচ্ছা ।

১৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২০

বিজন রয় বলেছেন: তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে।

আপনিও তালগাছের মতো সবাইকে ছাড়িয়ে অনেক উঁচুতে দাঁড়িয়ে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যতার্থ বলেছেন তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে
তবে আমি এখনো শিশু তালগাছ লাগবে শতবছর যেতে সব ছাড়িয়ে।

ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্টের জন্য।
শারদিয় ও ঈদ শুভেচ্ছা দুটুই রইল ।

১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
বাহ! তাল নিয়ে বিষদ পোস্টে দারুণ ভালো লাগা। তালের চটি ভালো লাগল। পিঠেতে লোভাতুর হলাম। :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




অনেকেই দেখলাম বলেছেন তাল দেখে বেতাল হলাম , আপনার তাল কাছে ভাল লেগেছে শুনে খুশী হলাম । মধুপুরের ভাওয়াল গড়ে ( শালবনে) নৃতাত্তিক জসগোস্টির প্রায় প্রত্যকের পায়ে দেখেছিলাম তাদের নীজেদের প্রযুক্তিতে তৈরী তালের চটি জুতা (১৯৭১ এর কথা, এখনকার কথা জানিনা , তার পর সেখানে যাওয়া হয়ে উঠেনি ) । রাজপুত্রের তালের পিঠা খাওয়ার লোভ হয়েছে শুনে খুশী হলাম ।
ঈদের শুভেচ্ছা রইল

১৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
তালের বড়া আমার দারুণ প্রিয়। শুধু আমার নয়। আমার দাদা'রো। একদিকে হয় অন্যদিক দিয়ে যায়। পুরোই আসা যাওয়ার সাম্যাবস্থা।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



একদিকে হয় অন্যদিক দিয়ে যায় :)
এক মুঠি গুর এক চিমটি নুন না লাগলে হয়
তবে শরীরটা তাগরা থাকলে নাহি কোন ভয়
আবার আসার জন্য ধন্যবাদটুকু এসাথে রয়।

১৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৭

জেন রসি বলেছেন: তালগাছ এবং তাল নিয়েও যে এমন অনবদ্য পোস্ট দেওয়া যায় এই পোস্ট না পড়লে তা জানা হতনা। তালের পিঠা খেতে ভালোই লাগে। সারিবদ্ধ তালগাছ দেখতেও ভালো লাগে। তবে তালের পাখার প্রচলন মনে হয় কমে যাচ্ছে এখন।


১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ
এই অতি ব্যস্ততার
মাঝেও এসে দেখার জন্য ।
আপনি যতার্থই বলেছেন দেশে
বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি ও লোড শেডিং
এর পরিমান কিছুটা কমে যাওয়ায় তাল পাতার
পাখার চাহিদা বেশ কমেছে । তার পরেও তো এখনো
যে পরিমান লোড শেডিং আছে তাতে বলতে গেলে ঘরে ঘরেই
একটি হাতপাখা লাগেই ।তবে সিনথেটিক ও কাপরের তৈরী পাখাও
কিছুটা স্থান করে নিয়েছে। তার পরেও দেশে কুটির শিণ্প হিসাবে টিকে আছে।

ঈদ শুভেচ্ছা রইল ।

২০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি তো আপনার এই বিখ্যাত পোস্ট প্রায় মিস করেছি; খুবই সুন্দর লাগছে ছবিগুলো, ভালো লাগছে আপনার কথাগুলো। তালের স্পন্জ কেক হয়তো বিশ্বে সবচেয়ে নেইচারেল কেক। এই কেকের কাছাকাছি কিছু আমি আজও দেখিনি।

এই পোস্টে আপনার উচ্চ ভাবনা ও দক্ষতার সমন্ময় ঘটেছে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ মুল্যবান সময় ব্যয় করে এই লিখাটি দেখার জন্য ।
প্রসংসাটুকু আমাকে অনুপ্রানীত করবে। সত্যিই তালের স্পন্জ কেক
নেচারেল কেক এর মধ্যে বেকিং জাতীয় আর্টিফিসিয়েল কিছুই নেই।

শুভেচ্ছা রইল

২১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৩

ভাবনা ২ বলেছেন: তালের পিঠা ও বিভিন্ন প্রজাতীর তাল জাতীয় বৃক্ষের ছবি দেখে ভাল লাগল ।
সুন্দর চমৎকার শিক্ষনীয় পোস্ট । প্রিয়তে নিয়ে গেলাম

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । তালের অনেক গুন । লাগিয়ে ফেলুন ঝটপট
কিছু তালের গাছ সেখানে সুবিধা হয় সেখানেই ।
শুভেচ্ছা রইল

২২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । তালের অনেক গুন । লাগিয়ে ফেলুন ঝটপট
কিছু তালের গাছ সেখানে সুবিধা হয় সেখানেই ।
শুভেচ্ছা রইল

২৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৭

ভাবনা ২ বলেছেন: তালগাছ তো লাগাতেই পারি । তবে শুনেছি একটি তাল গাছে ফল ধরতে অনেক বছর লাগে ।
দয়া করে জানাবেন কি একটী তালগাছ ফলবান হতে কত বছর লাগে ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । কৃষিবিদদের মতে সঠিকভাবে পরিচর্চা করলে একটি তাল গাছ ফলবান
হতে ১০-১২ বছর সময় লাগে তবে তা হতে হবে মাদি তাল গাছ , মর্দা গাছ হলে
শুধু জটা বা ফুল হবে তাতে কোন তাল হবেনা ।

২৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ । কৃষিবিদদের মতে সঠিকভাবে পরিচর্চা করলে একটি তাল গাছ ফলবান
হতে ১০-১২ বছর সময় লাগে তবে তা হতে হবে মাদি তাল গাছ , মর্দা গাছ হলে
শুধু জটা বা ফুল হবে তাতে কোন তাল হবেনা ।

২৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫২

বিলুনী বলেছেন: তাল বেতাল অনেক কথাই আছে পোস্টের লিখনিতে । পিঠা ভাল হয়েছে , খেতে লোভ হচ্ছে । ধন্যবাদ

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ । তাল কোন সময়ই বেতাল নয় এর
রয়েছে অনেক গুন যা পোস্টে বলা হয়েছে ।

২৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৬

বিলুনী বলেছেন: কেন পোস্টের লিখায়তো দেখলাম লিখেছেন এতে আছে সঙ্গিত তাল , আর হরতাল , সেগুলি কি বেতাল নয় ? তাছাড়া তালে শুনেছি আছে অনেক ঔষুধি গুন নে কথাতো বলা হয়নি কোথাও ।

২৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । সঙ্গিতের তাল আর হরতাল বেতাল হবে কেন , সেগুলিতেও আছে হরেক পদের তাল। পোস্টের লিখায় একটু ভাল করে তাকালে দেখতে পাবেন ।

আয়ুর্বেদিকগন বলেন তালে রয়েছে অনেক ঔষধি গুনাগুন । তাদের মতে তাল রস তিনটি আশয়ে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আমাশয় (Stomach),অগ্নাশয় (Duodenum) ও পচ্যমানাশয়ে (Intestine), তবে রোগের ক্ষেত্রে টাটকা তালরসই বেশী প্রয়োগ করা হয়।

তালরস একটি ভাল ঔষধী : এটা শীতল, বলকারক, শ্রমহর, উত্তেজক ও মূত্রকর। প্রত্যহ সকালে টাট্কা রস খেলে মৃদু বিরেচনেরকাজ করে। শোথ রোগীর পক্ষে উপকারী। তালরসকে সামান্য Fermented করিয়ে মধুমেহ রোগীকে খেতে দেওয়া হয়। Fermentation তালরস, যা চলতিকথায় তাড়ি, তা গণোরিয়া রোগে মূত্রকর হেতু পানীয়।

তালের শাঁস ও তালের আঁঠির শাঁসঃ- মূত্রকর এবং শরীরের পুষ্টিকারক। বিবিধ চর্মরোগে পাকা তালের শাঁসের প্রলেপ দেওয়া হয়।
পুস্পদন্ড বা তালের ঝটা : - অম্বল গলাবুক জ্বালা করলে সেক্ষেত্রে এটিকে ভস্ম করে ব্যবহার করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

অনিদ্রায়ঃ- কোন সময়েই ভাল ঘুম হয় না, তার ওপর মাঝে মাঝে বুক ধড় ফড়ও করে, সেক্ষেত্রে কচি তালপাতার ডাঁটা একটু থেতো করে, আগুনে সেকে, ডাঁটার দুই মুখ দুই হাতে ধরে মোচড় দিয়ে রস বের করে সেই রস দুই বা তিন চা-চামচ একটু দুধ মিশিয়ে খেলে ভাল ঘৃম হবে ।

অম্ল-অজীর্ণ ও পেটের ব্যথায়ঃ- এটা সাধারনতঃ অম্লপিত্ত রোগেই হয়, যাকে চলতি কথায় ‘অম্বলের রোগ’ বলে। এক্ষেত্রে কাঁচা তালজটা টুকরো করে কেটে, শুকিয়ে, হাঁড়িতে পুরে, সরা দিয়ে ঢেকে মুখ বন্ধ করে পোড়াতে হবে, একে বলে অন্তর্ধূমে পোড়ানো। এর দ্বারা অম্লরোগের উপশম হবে। তবে টক, ঝাল খাওয়া বারন।

মূত্ররোধেঃ- যেকোন কারনে প্রস্রাব আটকে গেলে, তালগাছের কচি শিকড়ের রস দুই বা তিন চা-চামচ, একটু দুধ মিশিয়ে সকালে ও বৈকাল দুবার খেলে উপকার, তবে যেখানে প্রোস্টেট্ গ্লান্ডের বৃদ্ধিতে মূত্ররোধ হয়েছে, সেক্ষেত্রে উপশম হবে না।

পুরনো কাসিতে: তাল মিশ্রী খেলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে ।

২৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

বিলুনী বলেছেন: বা: তালেরতো দেখা যায় অনেক গুণ । এটা সকলেই জানতে পারলে তো বজারে তালের দাম বেড়ে যাবে ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ অনুধাবনের জন্য ।

২৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ছেলেবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন । চাচাতো ভাইবোনদের সাথে একদা তাল কুড়াতাম...
পরিশ্রমলব্ধ চমৎকার পোস্ট!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এই লম্বা পোস্ট এর লিখাগুলো পাঠও কম পরিশ্রমের নয় ।
কস্ট করে পাঠের জন্য এবং এটা চমৎকার অনুভুত হওয়ার
জন্য ধন্যবাদ ।
ঈদ শুভেচ্ছা রইল ।

৩০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রীতিমত তালের এনসাইক্লোপিডিয়া ।
তাল গাছের চমৎকার তক্তা হয় , এক জায়গায় তাল তক্তার এক খাট দেখে আমি তাজ্জব হয়ে গেছি । পাথরের মত শক্ত ।
তালের টুপীর কথা পোস্টে আসেনি , এটা ভাসানীর পছন্দের ছিল ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ লিটন ভাই,
ঠিকই বলেছেন তাল গাছের কাঠ ও
তালের ত্ক্তা কঠিন পাথরের থেকেও শক্ত
এটাকে কোন মতেই ঘুনে বিনস্ট করতে পারেনা।
আমার মনে পরে ছোটকালে আমাদের দেশের বাড়িতে
নতুন একটি ঘরের জন্য কিছু কাঠ ও টিনের প্রয়োজনে দুরের
একটি গ্রাম থেকে একটি বড় সর পুরাতন ঘর ক্রয় করতে হয়েছিল
সে ঘরটা প্রায় ১৫০ বছরের পুরাতন একট হিন্দু বাড়ীতে ছিল। ঐ ঘরের
যাবতীয় কাঠ বিশেষ করে টানা দেয়ার ধনে যাকে বীম বলে) দেখে মনে হয়েছিল
একদম নতুন । গ্রামীন এলাকায় কাঠের দোকানে তাল গাছের কাঠ এখনো খুব দামী কাঠ ।
তালের টুপী পড়া আমার প্রিয় মজলুম জননেতা ভাষানীর একটি সৌমসুন্দর মুখচ্ছবি এখানে দিয়ে
আমার ব্লগবাড়ীটিকে গৌরবান্বিত করেছেন, এ জন্য আপনার প্রতি রইল বিশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

ঈদ শুভেচ্ছা জানবেন ।

৩১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আমি ব্লগে আসি স্রেফ বিনোদনের জন্য । তাই জ্ঞানের কথা দেখলে সটকে পড়ি । আবেগের কথা, হৃদয়ের কথা শুনলে কান পাতি - এ আমার এক ধরণের অক্ষমতা ।

তাই, ডঃ এম এ আলী ভাইকে আমার এ অপারগতার কথা বলেই বিদায় নিচ্ছি ।

ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে ।

ভাল থাকুন । সবসময় ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । সবিনয়ে জানাই ,
আবেগের কথা বলিতে ব্যকুল
জ্ঞানের অপারগতায় হই প্রতিকুল ।
এ ব্যর্থতার দায়ভার শুধুই যে আমার,
ব্লগের পাতায় লম্বা চওরা পোস্ট দিয়ে
বিরক্তিতে ফেলাই।তবে ছবি সুন্দর হয়েছে
জানতে পেরে আনন্দিত হয়েছি যার পরনাই ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৩২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

মোঃ ইউনুস আলী বলেছেন: আপনার লেখা পোস্টে তাতে তালে শুরু করে বেমাতাল হয়ে পড়ে ফেললাম লেখার শেষ তল।
অসাধারণ লিখেছেন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: এই পোস্টটি কিন্ত অন্যবদ্য পোস্ট হয়েছে । আগে কিছু অংশ পড়েছিলাম বাকিটা মানে পুরোটা এখন পড়ে শেষ করলাম।ভালো লাগল।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সম্পুর্ণটা পাঠের পরে লিখাটি ভাল লাগার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২০

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার একটি পোস্ট। বাপরে পৃথিবীতে এত এত তাল রয়েছে, আর আমি কিনা এতদিনে জানলামই না। এছাড়াও তাল ও তাল গাছের বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কেও জানলাম। খুব ভাল লেগেছে। প্রকৃতির সাথে লেখাটি মিলে কোথাও কোথাও একাকার হয়েছে। সুন্দর।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগার কথা শুনে খুশী হলাম । তালের আর কত আছে দৃস্টি নন্দন দৃশ্য ও গুণ তাহলে শুনুন:

শান্ত দুপুর, চারদিকে সুনসান। ভাপসা গরমে মানুষজন সব গৃহাভ্যন্তরে। মৃদুমন্দ বাতাসে গাছগাছালির পাতার মর্মর ধ্বনি হঠাৎ হঠাৎ শোনা যায়। পুকুরের জলে মৃদু কম্পন। পাড়ের নিমগাছটায় ক্লান্ত ঘুঘু থেকে থেকে ডেকে উঠছে। হ্যাঁ, গ্রামবাংলার কথাই বলছি। মনে করুন এমন একটা পরিবেশে পুকুরপাড়ের ঘরে চৌকির উপর শীতল পাটিতে নাক ডেকে ঘুমুচ্ছেন। ঠিক সেই সময় ঘটনাটি ঘটল।কী ঘটল? ধ-পা-স। বিশাল এক আওয়াজে আপনার মিষ্টিমধুর দিবানিদ্রাটি গেল ভেঙে। ঘটনা কী? ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি মেরে অলস নয়নে হয়তো তাকালেন একবার—
তাল পড়েছে পুকুরের জলে। ওপারের কুঁড়েঘরের হারু মণ্ডলের ছেলেটি জলে নেমে পড়েছে ততক্ষণে তালটি সংগ্রহ করতে।
আর একবার বাজার করতে গিয়ে যে ফলটাই কিনতে যাই মনে পড়ে ওষুধ দিয়ে ফল পাকানোর কথা। ফল আর হলো না কেনা। বিফল মনোরথে বাড়ির পথ ধরতেই চোখে পড়ল তাল। পাকা তাল নিয়ে রাস্তার ধারে বসে আছে ফল বিক্রেতা। বলল সে ‘নেন স্যার’। খাওনের এই একটাই ফল আছে। ফ্রেশ। নো মেডিসিন।’
শুভেচ্ছা রইল

৩৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৬

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: বাহ খুব সুন্দর মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন। তাল কে চমৎকারভাবে সাজিয়েছেন স্মৃতির পাতায়। তাল মানেই গ্রাম বাংলার সম্পদ। তালের ক্ষীর খেতে বেশ লাগে কিন্তু।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গল্পটা ভাল লাগার জ্ন্য ধন্যবাদ । গ্রাম বাংলার স্বুসাদু তালের ক্ষীর ক্ষেতে ভাল লাগে এ কথা আগে বলবেনতো, এটা কোন বিষয়ই না ,এক বাটি ক্ষীর পাঠিয়ে দেয়া হল এ সাথে ।

৩৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ। প্রচুর সময় দিয়েছেন এ পোস্ট সাজাতে- তা সহজেই বোধগম্য। পাঠকেরা এ পোস্ট পড়ে অনেকেই তৃপ্ত হয়েছেন, তা তাদের মন্তব্য পড়েই বেশ বোঝা যায়। তাই বলবো, আপনার শ্রম সার্থক হয়েছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে এ ফলটার সাথে খুব পরিচিত নই। উত্তরবঙ্গের মানুষ, আমাদের এলাকায় তালগাছ খুব সহজে চোখে পড়েনা। তবে তালের শ্বাস খেয়েছি এবং অনেক স্বাদ পেয়েছি। মাঝে মধ্যে বাজার থেকে পাকা তাল কিনে আনলেও এর প্রক্রিয়াকরণ সহজ নয় বলেই মনে হয়েছে। আর বাদ বাকী খাবারের যেসব ছবি দিয়েছেন, তার স্বাদ এখনো পাইনি। তবে তালের ওষধি গুণের কথা জেনে বিস্মিত হলাম। ছোটবেলায় অবশ্য তাল মিশ্রী প্রচুর খেতাম।
লেখাটার উপরের দিকের কিছু অনুচ্ছেদ বাদ দিলে এটা তালগাছের মত ছিমছাম ও সুউচ্চ হতে পারতো। তখন এখানে হয়তো আরও অনেক বেশী বাবুই পাখি বাসা বাঁধতো।
আপনি বলেছেন- কৃষিবিদদের মতে সঠিকভাবে পরিচর্চা করলে একটি তাল গাছ ফলবান হতে ১০-১২ বছর সময় লাগে। বিশেষজ্ঞদের কথা যেহেতু, সেহেতু হয়তো তা সঠিকই। তবে গ্রাম বাঙলায় একটা প্রবাদ প্রচলিত আছেঃ
যে গাড়ে তাল,
সে খায় বাল
(অভদ্রজনোচিত ভাষা উল্লেখ করার জন্য দুঃখিত)
তার ছেলে খায় ছাল
তার নাতি খায় তাল
- অর্থাৎ তাল গাছ রুয়ে তার ফল খেতে দুই পুরুষ অপেক্ষা করতে হয়।
বাবুরাম সাপুড়ে১, জুন, গিয়াস উদ্দিন লিটন আর শামছুল ইসলাম এর মন্তব্যগুলো (৪,৭,৩০ আর ৩১ নং) ভাল লেগেছে। ওগুলোতে 'লাইক'। আর ২৭ নম্বরের উত্তরে আপনার প্রতিমন্তব্যটাও ভাল লেগেছে। ওটাতেও এবং পুরো পোস্টটাতে 'লাইক'।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বিশ্লেষণী মন্তব্যের জন্য । উত্তরব্ঙ্গ খুব সুন্দর জায়গা । ১৯৮০ সনের দিকে উত্তর বঙ্গের রংপুর ও দিনাজপুরের গ্রামীন এলাকায় কাটিয়েছি প্রায় দীর্ঘ সময় , বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে একটি ভিলেজ স্টাডি কর্মসুচীর আওতায় রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বাউচন্ডি ও বিঞ্চুপুর গ্রামের উপরে ছাপার অক্ষরে আমার জীবনের প্রথম পুস্তক প্রকাশ । তাই উত্তরবঙ্গের সুখময় স্মৃতি সব সময় থাকে আমার মনের মনিকোঠায় ।
অনেকেই বলে বিশেষভাবে যে অজ্ঞ তাকে বলে বিষেষজ্ঞ । তাই তাদের সব কথায় যে সঠিক হবে তাত নয় । তাল এক অদ্ভুত বৃক্ষ এটা রসালো ফল দিতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করলেও প্রতিদান দিতে শুরু করে রোপন করার বছর খানেক পর থেকেই , পাখা ও ঘরের ছাওনির জন্য পাতা ও ছোবরা শিল্পের জন্য অাঁশ । রসালো ও সারবান কাঠ পেতে দীর্ঘকাল অপেক্ষা অনিবার্য ।
যেহেতু তালের কথা বলতে গেলে সর্বত্রই সাথের শব্দ বেতালটা চলে আসে সেহেতু তাল বিষয়ক লিখার উপরের দিকে দুই এক ছত্র বেতালের কথা প্রাসঙ্গিক ক্রমেই চলে এসেছে । লিখায় কেও খুঁজেন বিনোদন কেও খুঁজেন তথ্য , তাই হালকা করে একটু খানি বেতাল হয়েছে সংযুক্ত । যাহোক শ্রদ্ধেয় আহসান ভাইএর পরামর্শ শিরোধার্য । এডিট করে সে সব করা হল নির্বাসিত ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল রইল ।

৩৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

পবন সরকার বলেছেন: তাল কাঠ দিয়ে ঘর বানালে এক শত বছরের গ্যারান্টি। ঘর খুব শক্ত হয়। দারুণ ভালো লাগল তালের পোষ্ট।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ যতার্থ বলেছেন তাল কাঠ দিয়ে ঘর বানালে এক শত বছরের গ্যারান্টি।
পোস্ট টি দারুন অনুভুত হওয়ার জন্য হয়েছি প্রিত ।

৩৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার সাজেশন অনুযায়ী তাল থেকে বেতালের প্রসঙ্গটুকু ছেঁটে ফেলার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাবছি, এজন্য না আবার বেতালপ্রিয় পাঠকগণ আমার উপর তাল ঝারতে শুরু করেন! :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহসান ভাই , আবার আসার জন্য । তাল বিষয়ক লিখায় বেতাল হয়েই যাবে । ভয়ের কারণ নাই, বেতাল পাঠকগন খুঁজেও পাবেনা ছিল কি তথায় । তালের উপর এত সব কবিতা, ছড়া, লিখা, অগনিত পাঠকদের উচ্ছাশ , আবেগ, অনুভুতি, শরতের প্রতিক , বাবুই পাখির নিড়, দেখে আমি নিজেও বলতে গেলে অভিভুত বিস্মিত!!! । বিস্মিত এ জন্যই যে বেশ কয়েক জায়গায় দেখলাম গুগলে তাল বিষয়ক ইমেজ পেজে তাল গাছের ছবির সাথে পৃথক বক্সে দিয়েছে আমার সামুর নিকের ছবিটা। সেখানে ক্লিক করলে ভেসে আসে তাল গাছ নিয়ে আমার রচনাটি ।ভাবছি তাল গাছ নিয়ে লিখতে গিয়ে নীজেই হয়ে গেছি তাল গাছ !!! এখন কোন কিছু নিয়ে লিখতে গিয়ে তো ভয়ই লাগে!!! ভাবছিলাম বনে বাদারে, ঘরের ছাদে, দেয়ালের ফাটলে, তালগাছের কোটরে জন্ম নেয়া ও বেড়ে উঠা বট বৃক্ষ নিয়ে গড়ব রচনা একটা, কিন্ত হয়েছি ভীত , এটা নিয়ে লিখে গুগলের পাতায় হয়ে না যাই বট বৃক্ষের প্রতিক । কি যে হয় অনলাইনে তার নাই ঠিক বেঠিক ।
শুভেচ্ছা রইল

৩৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

শ্রমসাধ্য পোস্ট। তাল এবং তালজাতীয় কোনকিছু বাদ পড়েছে মনে হয় না। তালপাতার চটি এই প্রথম দেখলাম।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য । বছর চল্লিশেক আগে মধুপুরের ভাউয়াল গড়ে ( শালবন এলাকায়) নৃতাত্বিক জনগুস্ঠির মাঝে তালের চটির ব্যপক ব্যবহার দেখতে পেয়েছিলাম । এখনকার অবস্থা জানা নেই ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



দাদার বিনয়ী কথার জন্য অনেক ধন্যবাদ । তাল নিয়া দাদার যে অনেক জানা সে কি আর বলতে । সকলের জানা কথাগুলাই যতদুর পারা যায় একত্রিত করে গাথা হয়েছে শহুরে ও দেশ বিদেশে অবস্থানকারী আমাদের অনেক বঙ্গসম্তানের জন্য যাদের অনেকেই হয়ত বিবিধ কারণে এখনো তাল গাছই দেখেন নি ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল।

৪১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




দাদার বিনয়ী কথার জন্য অনেক ধন্যবাদ । তাল নিয়া দাদার যে অনেক জানা সে কি আর বলতে । সকলের জানা কথাগুলাই যতদুর পারা যায় একত্রিত করে গাথা হয়েছে শহুরে ও দেশ বিদেশে অবস্থানকারী অনেক বঙ্গসম্তানের জন্য যাদের অনেকেই হয়ত বিবিধ কারণে এখনো তাল গাছই দেখেন নি ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল।

৪২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুন পোস্ট ভাল লাগল

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট দারুন অনুভুত এবং ভাল লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার শরত বন্দনার এই তাল পর্বে ভালোলাগা আলী ভাই !
তাল মিছরি তো ছেলে বেলার অন্যতম প্রিয় খাদ্য ছিল ,আমি অফিস ট্যুরে খুলনা তে তালের সাদা গুড় ও খেয়েছি ।
সবচাইতে মজার অভিজ্ঞতাই লিখেন নাই , ছোট বেলায় তাল এর ফেলে দেয়া বীজ গুলো সযত্নে বাড়ির আশে পাশে মাটিতে ফেলে রাখতাম সেখানে শিকড় গজালে বীজ এর মাঝা মাঝি কাটলে ভিতরে চমৎকার মিষ্টি শাঁস পাওয়া যেত ।
আহা শৈশব !!!

ঝড়ের সময় অথবা বসন্ত বাতাসে সন্ধ্যা নামার আগে তাল গাছের পাতার ঝংকার শুনেছেন কখনো ?
একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তালের অর্থনৈতিক সুবিধা এবং পরিবেশগত অবদানের চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন আপনার লেখায় ।

ঈদ শুভেচ্ছা আপনার জন্য :)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক খুশী হয়েছি তালবনে ভ্রমনে অাসার জন্য । ভাল লাগল তালের আটির শাঁসের বিষয়টি তুলে ধরেছেন বলে , লিখার সময় এটা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম । মাটিতে স্তুপাকার করে রাখা তাল বীজ অঙ্কুরোধগমের সময় এর ভিতরে জন্ম নেয়া সাদা শাঁস সত্যিই খেতে খুবই সুন্বাদু । ছোট সময়ে দেশের বাড়ীতে মাটিতে ফেলে রাখা তালের আটির স্তুপ থেকে এগুলি নিয়ে এসে কেটে শাঁস বের করা, সে ছিল বেশ প্রয়াশসাদ্ধ ব্যপার । তবে শাঁস গুলি মুরীর সাথে খেতে খুব মঝাদার ছিল । এর অঙ্কুরোধগমের সময় নতুন গজানো শিকড়টাও দেখতে খুব সুন্দর প্রায় ১২-২০ ইঞ্চির মত লম্বা হত ।

বসন্ত বাতাসে তাল গাছের পাতার ঝংকার শুনিনি, তবে ছোটকালে শরতে আমাদের ছোট নদীর কুলে ডু্বন্ত বেলায় তালবনের বাকা তাল গাছে বসে বাঁশের বাশি বাজাবার কালে তাল পাতার ঝংকার শুনেছি । বাকা তাল গাছটির সাথে জড়িয়ে আছে অনেক স্মৃতি ।

শুনে খুশী হলাম , তাল গাছ আপনার স্মৃতিকেও নিয়ে গেছে সেই খুলনায় যেথায় খেয়েছিলেন তালের সাদা গুর আর মিস্টি মিছরী ।

ভালা থাকার শুভ কামনা রইল ।

৪৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

নীলপরি বলেছেন: এক কথায় অপূর্ব পোষ্ট । :)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পোস্টটিকে অপুর্ব অনুভুত হওয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল

৪৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পোস্টটিকে অপুর্ব অনুভুত হওয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল

৪৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তালগাছরে বড় একটা ব্যবহার বাদ গেছে!!!!

পুকুর ঘাটে ঘাটলা হিসাবে ;)

ভাল আবার বিপদজনকও..
কাপড় কাঁচতে গিয়ে একবার তালে কাটা নখে ঢুকে গেছিল! বাপরে... কি ব্যাথা

অসাধারন এক পোষ্ট! বাহালী পিঠার কয়েকটি নতুন লাগল!
আর পামট্রির রকমারীতে মুগ্ধতা-পুরা পোষ্টেও :)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তালবনে এসে কিছুক্ষন বিচরণ করার জন্য ।
তালের যে কত রকম রয়েছে ব্যাহার সব ভাষায় করতে
পারিনি প্রকাশ । জানা হচ্ছে তা অনেক গুণী জনের কাছ হতে ।
পুকুরঘাটে তাল গাছের ব্যবহার সত্যিই বিপজ্জনক । তাল গাছের
শালের অাঘাত বড়ই ব্যদনাদায়ক । গাছটিকে যারা পুকুরের
ঘাটের কাজে লাগায় তাদের ভাবা উচিত বিষয়টি বারবার ।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ভুলের জন্য সে ব্যদনা
দায়ক হলেও অনেক ক্ষেত্রেই জীবন দায়ী হিসাবে তার
জীবনটাও দিয়ে দেয় অকাতরে । আকাশের বিদ্যুত
ঝলকানী হতে সে রক্ষা করে আমাদের জীবন সকলের
অগোচরে, নীচে দেখেন কি ভাবে সে তা করে। বাচাতে
জীবন মোদের, নীজে সে পুড়ে হয় ছাড়খার ।
ধন্যবাদ ভাল থাকুন।

৪৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫৬

বিজু চৌধুরী বলেছেন: এতটা গুছিয়ে বিশদ লেখা খুব কম পেয়েছি বর্তমান কালে। এটি সংরক্ষন করে রাখা দরকার কোথাও।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর কথামালায় খুবই খুশী হয়েছি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৫২

মিরোরডডল বলেছেন: এতো অসাধারণ একটা পোষ্ট আগে পড়া হয়নি ।
শরতের নীলাকাশ আর সাদা মেঘ সত্যিই তুলনাহীন ।
পোষ্টে দেয়া প্রতিটি ছবি ইন আ ওয়ার্ড চমৎকার ।
আবারো সেই ছোটবেলায় নিয়ে যাওয়া ।
গ্রাম এ দেখেছি তালগাছ খেজুর গাছ ।
তালগাছে বাবুই পাখীর বাসা মুগ্ধ হয়ে দেখতাম ।
গ্রামে সকালের নাস্তায় তালের রস দিয়ে করা একটা মিষ্টান্ন পরিবেশন করা হতো ।
তালের পিঠা তালের বড়া কত যে মিস করি ।
সবচেয়ে পছন্দ তালশাঁস । এটার কোন তুলনাই হয়না ।
এখনো এখানে যে তালশাঁস কিনতে পাওয়া যায় সেটা দিয়ে আমি সুইট ডিসার্ট করি যেটা বন্ধুরা সবাই খুবই লাইক করে ।
এতো অসাধারণ একটা পোষ্ট আগে পড়া হয়নি ।
শরতের নীলাকাশ আর সাদা মেঘ সত্যিই তুলনাহীন ।
পোষ্টে দেয়া প্রতিটি ছবি ইন আ ওয়ার্ড চমৎকার ।
আবারো সেই ছোটবেলায় নিয়ে যাওয়া ।
গ্রাম এ দেখেছি তালগাছ খেজুর গাছ ।
তালগাছে বাবুই পাখীর বাসা মুগ্ধ হয়ে দেখতাম ।
গ্রামে সকালের নাস্তায় তালের রস দিয়ে করা একটা মিষ্টান্ন পরিবেশন করা হতো ।
তালের পিঠা তালের বড়া কত যে মিস করি ।
সবচেয়ে পছন্দ তালশাঁস । এটার কোন তুলনাই হয়না ।
এখনো এখানে যে তালশাঁস কিনতে পাওয়া যায় সেটা দিয়ে আমি সুইট ডিসার্ট করি যেটা বন্ধুরা সবাই খুবই লাইক করে ।
অনেক ভালো লাগলো ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




অনেক পুরান একটি পোষ্ট এসে দেখার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার তাল শাঁসের সুইট ডেজার্টের ছবিটি অপুর্ব হয়েছে।
তালের শাঁস আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। তালের শাঁসকে নারিকেলের মতই পুষ্টিকর বলে অনেকে বিবেচনা করেন। গরমের দিনে কচি তালের শাঁসের স্বাদই আলাদা। শুধু কি তাই মিষ্টি স্বাদের মোহনীয় গন্ধে ভরা তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানি শূন্যতা দূর করে প্রাকৃতিকভাবে দেহকে রাখে ক্লান্তিহীন। তালে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে। কচি তালের শাঁস লিভারের সমস্যা দূর করতেও সহায়তা করে। তালের শাঁসে থাকা ক্যালসিয়াম হাঁড় গঠনে দারুণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে অনেক ফল যখন ফরমালিনের বিষে নীল সেখানে তালের শাঁসে ফরমালিনের ছোঁয়া লাগেনি। কারণ, দীর্ঘদিন তাল রেখে দিলেও নষ্ট হয় না। বিবিধ উপকারীতার কারণে দেশে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ সকল বয়সী লোকের মাঝে এই তালের শাসের কদর দিন দিন বেড়েই চলছে। তালের শাঁস এখন বিদেশেও পাড়ি দিচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। বিদেশে এটা কিভাবে কোথা হতে সংগ্রহ করা যায় জানলে বাধিত হব। তালের শাঁসের সুইট ডেজার্টের সুন্দর ছবিটি আমার এই পোষ্টকে সমৃদ্ধ করেছে।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৪৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৫৫

মিরোরডডল বলেছেন: Oops!!! sent twice :- (

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আমি বুঝতে পেরেছি।
এমনটি আমারো হয় । ভুলক্রমে এন্টার বাটনে পড়ে গেলে অনেক সময় পুরা লেখাটি
কপি হয়ে মন্তব্যের ঘরে twice হয়ে যায় । মন্তব্য প্রকাশের পরে টের পাওয়া য়ায় ।
তখন করার আর কিছু থাকেনা । মন্তব্য প্রকাশ হয়ে গেলে ডিলিট বা এডিট করা
যায়না ।

৫০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন: তালশাঁসের ছবিটা নেট থেকে নেয়া ছিল : - )
নেক্সট টাইম বানালে ছবি তুলে রাখবো ।
এখানে সারাবছরই এশিয়ান শপে পাওয়া যায় চায়না ফিলিপাইন থাইল্যান্ড থেকে আসে ।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.