নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বায়ো-মেডিকেল পরীক্ষা বনাম পর্যটন শিল্প বিকাশে বানরের অবদান সম্ভাবনায় থাইল্যান্ডের বানর ভোজ উৎসবের উদাহরণ

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৯


গত ১৯ শে নভেম্বর ২০১৬ তারিখে সামুর পাতায় দেখা রাজবন বিহারের বান্দরগুলু দেখে বানরের বিষয়ে বেশ কৌতুহলী হয়ে পড়ি । পোস্ট এর ছবি, বিবরণ ও লিংকে থাকা অন্য পোস্টের বানরগুলিকেও গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করি । খোলামেলা জায়গায় বানরদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা , চিত্তাকর্ষক অঙ্গভঙ্গী ও দর্শককে আনন্দ দেয়ার ক্ষমতা দেখে খুবই আনন্দ অনুভব করি । তবে অন্যত্র গবেষনা লেবে খাচায় বন্ধী অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের মারাত্বক ঝুকী পুর্ণ বায়ো –মেডিকেল পরীক্ষার কাজে বানরদেরকে ব্যবহারের কথাটি মনে বেজে উঠে । মনের ভিতর একটি অনুভুতি কাজ করতে থাকে ,এই প্রানোচ্ছল জীবগুলি যারা বিভিন্ন ধরনের মনোমুদ্ধকর আচরণ ও অঙ্গভঙ্গী দিয়ে মানুষকে দিতে পারে নির্মল বিনোদন, তারা কেন অনৈতিকভাবে এত নির্মম জীবনঘাতিমুলক ঝুকিপুর্ণ বায়ো-মেডিকেল গবেষনার জন্য অকাতরে বিলিয়ে দিবে জীবন। বানরের ছবি ও বিবরণ দেখে দেশের পর্যটন শিল্পে তাদের মুল্যবান অবদান রাখার সম্ভাবনা সস্পর্কে একটি অনুভুতি কাজ করতে থাকে দারুনভাবে । সে অনুভুতির প্রেক্ষিতে বায়ো-মেডিকেল পরিক্ষা কর্ম বনাম পর্যটনে বানরের অবদান সম্ভাবনা বিষয়ে আমার অনুসন্ধানী দৃষ্টিতে পাওয়া কিছু বিষয়াবলীকে সামুর ভাইবোনদের সাথে শেয়ার করার মানসেই এই পোস্ট । তাই লিখাটি শুরুর পুর্বে মুল্যবান তথ্য ও অনুভুতি জাগানিয়া বানরের মনোমুগ্ধকর ছবি দিয়ে এ বিষয়ে কৌতুহলী হতে সহায়তা করার জন্য পোস্টদাতা সুপ্রিয় সহ ব্লগারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।

বন্য প্রাণীর মধ্যে যে প্রজাতির প্রাণী আমরা সচরাচর বেশী দেখতে পাই তার মধ্যে বানর একটি। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমরা এই বানর প্রজাতিকে নানা ভাবে বিলুপ্তির দিকেই ঠেলে দিচ্ছি । কখনও উচুস্তরের বিজ্ঞানীরা তাদের ব্যবহার করছে বায়ো-মেডিকেল গবেষনার অজুহাতে, কখনো আবার দরিদ্র মানুষেরা তাদেরকে ব্যবহার করছে দৈনন্দিন জীবিকা অর্জনের নিমিত্তে ।

আমরা সকলেই জানি বানর, বান্দর বা বাঁদর এক প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী। অনুমান করা হয় বানরের উৎপত্তি সুদূর ৩ থেকে ৪ মিলিয়ন বছর পূর্বে। মানুষের বিবর্তনে বানরকে নিয়ে ডারউউন এর আলোচনার দিকে যাওয়ার বিশেষ প্রয়োজন বোধ করছিনা বিধায় এ সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলা হলোনা । তবে বানর বুদ্ধিমান জীব ; অধিকাংশ প্রজাতিই গাছে বাস করে। নিরামিষভোজী হলেও এদের বাসস্থান ও খাদ্যে পর্যাপ্ত বৈচিত্র্যতা আছে। পাইরেট পরিবারভুক্ত বানরের মধ্যে বাংলাদেশে রয়েছে ৬ প্রজাতির বানর। বানরের প্রজাতিগুলি হচ্ছে: রেসাস বানর, খাটোলেজি বানর, আসামি বানর, প্যারাইল্লা বা লম্বালেজী বানর, লজ্জাবতী বানর , মুখপোড়া হনুমান, চশমাপরা হনুমান ।

বিভিন্ন প্রজাতির বানরের সংক্ষিপ্ত একটি বিবরণ দিয়ে আমরা ফিরে যাব মুল আলোচনা পর্বে ।

রেসাস বানর

রেসাস বানর বা লাল বান্দর যার বৈজ্ঞানিক নাম Macaca mulatta । বানর প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত বানরবিশেষ। এ প্রজাতির বানরটি আইইউসিএন লাল তালিকায় ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত । বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সংখ্যায় এর বিস্তৃতি আছে এবং বাসস্থানের উপযোগী পরিবেশও বিদ্যমান। এরা মানব বসতির কাছাকাছি থাকতেও পছন্দ করে। লাল বান্দর জটিল মানসিক সক্ষমতার অধিকারী। বিচার-বুদ্ধি প্রয়োগ করে তারা নিজস্ব মানসিক রাজ্যে বিচরণ করতে সক্ষম। লাল বান্দর দ্বি-চারী প্রাণী হিসেবে বৃক্ষ এবং ভূমি - উভয় স্থানেই চলাচল করতে পারে। এরা মানুষের ন্যায় কিছুটা হাঁটতেও পারে। এরা প্রধানতঃ গাছের ফল খায়। এছাড়াও এদের খাদ্য তালিকায় বীজ, শিকড়, গাছের ছালও রয়েছে। গাছের পাতায় প্রাপ্ত শিশিরকণা ও বৃষ্টির পানির মাধ্যমে তৃষ্ণা নিবারণ করে। ঘাস ফড়িং, পিঁপড়াও এদের শিকারের অন্তর্ভুক্ত। লাল বান্দর কলহ প্রিয় জাতি। দলের প্রধান পুরুষ বানর অনুপ্রবেশকারীকে চোখ বড় বড় করে ও মুখ হা করে ভয় দেখায়। ভয় পেলে কাশির মত খক খক শব্দ করে ডাকে। তীব্র চিৎকার ও দাঁত বের করে একে অপরকে হুঁশিয়ার করে দেয়।
ছবি-২/৩৩ : রেসাস বানর , বুদ্ধিতে প্রখর


খাটোলেজি বানর

খাটোলেজি বানর বা ছোটলেজী বানরের বৈজ্ঞানিক নাম Macaca arctoides । এটা দক্ষিণ এশিয়ার ম্যাকাকু গণের একটি বানর প্রজাতি। খাটোলেজি বানর আইইউসিএন লাল তালিকায় সংকটাপন্ন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত । বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী সংরক্ষিত । খাটোলেজি বানর বিভিন্ন ধরনের বনে বাস করে এবং কদাচিৎ মানব বসতির ধারে থাকে।। মাঝে মাঝে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জুম ক্ষেতে দেখা যায়, তবে এরা গহীন বনে থাকতেই পছন্দ করে।
ছবি-৩/৩৩ : খাটোলেজি বানর , চোখের দৃস্টি বড় প্রখর


আসামি বানর

আসামি বানর বা আসাম বানর বৈজ্ঞানিক নাম Macaca assamensis । ভারতের আসাম রাজ্যে বেশী দেখা যায় বলে এদের নাম ‘আসামি’ । বাংলাদেশে সংরক্ষিত ।
ছবি৪/৩৩ : আসামি বানর , অস্তিত্ব নিয়ে বড়ই চিন্তিত


আসামি বানর পাতাঝরা বন ও চির সবুজ বনে বাস করে । বাংলাদেশের রেমা-কালেঙ্গা সাতছড়ি বনে এখনো এদের দেখা পাওয়া যায়। আসামি বানর দেখতে অনেকটা রিসাস বানরের মতো, তবে আকারে বড় কিন্তু পুরোপুরি জংলি প্রাণী। অনেকেই বলে থাকেন সুন্দরবনে আসামি বানর দেখা যায় । আসলে সুন্দরবনে রিসাস বানর ছাড়া আর কোনো ধরনের বানর নেই। আসামি বানর দেখতে রিসাস বানরের মতো হওয়ায় এমন বিভ্রান্তি। মুখের পশমের রং বাদামি ছাই রঙের। পুরুষগুলোর গালে দাড়ির মতো বড় লোম গজায়। বুকের পশম সাদাটে, বাকি দেহের রং মরচে বাদামি অথবা হালকা বাদামী । এর ওজন ১০ থেকে ১২ কেজির মত ।এরা পোকামাকড়, ফল, পাকুড়, তরিতরকারি খায়। কখনো খেতে হামলা চালায়। বনের পাশের গৃহস্থবাড়িতে ঢুকে পড়ে। এরা লাজুক ও তটস্থ। হুলো বানর লেজ উঁচিয়ে চলে। বাংলাদেশে জঙ্গল সাফ হওয়ার মধ্য দিয়ে আসামি বানর নিশ্চিহ্ন হচ্ছে। আসাম, নেপাল ও মিয়ানমারে কিছু কিছু নৃগোষ্ঠী আসামি বানর মেরে খেয়ে নেয়। এসব নৃগোষ্ঠীর বিশ্বাস আসামি বানরের দেহে ঔষধি গুণ আছে ।
কাঁকড়াভুক বানর

কাঁকড়াভুক বানর বা লম্বালেজি বানর, বৈজ্ঞানিক নাম Macaca fascicularis , এরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ম্যাকাকু গণের একটি বানর প্রজাতি।
ছবি-৫/৩৩ : কাঁকড়াভুক বানর, শিকারের আশায় বসে আছে চুপ করে ।

কাঁকড়াভুক বানর আইইউসিএন লাল তালিকায় বিপদগ্রস্ত নয় তবে বাংলাদেশে বিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত । বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী সংরক্ষিত । কাঁকড়াভুক বানর নিম্ন অঞ্চলের বৃষ্টিপ্রধান বন, নদী ও উপকূলীয় এলাকার বন ও প্যারাবনসহ বিভিন্ন আবাসস্থলের ভূমি ও গাছে দেখা যায়। থাইল্যন্ডে বহুল সংখ্যায় দেখা যায় যা লিখাটির পরের অংশে দেখা যাবে ।

মুখপোড়া হনুমান

মুখপোড়া হনুমান বা লালচে হনুমান এর বৈজ্ঞানিক নাম Trachypithecus pileatus । বাংলাদেশ নেপাল, ভূটান চীন , ভারতএবং মায়ানমারে ও এদের দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে বন্প্রাণী আইনে এরা সংরক্ষিত ।
ছবি-৬/৩৩ : লাওয়াছড়া বনে মুখপোড়া হনুমান, গাছের ডালে বসে লেজ ঝোলায়


মুখপোড়া হনুমান হচ্ছে বৃক্ষচারী প্রাণি। চলাফেরা, খাবার সংগ্রহ, ঘুম, খেলাধুলা, বিশ্রাম, প্রজনন সবকিছু গাছেই সম্পন্ন করে। মুখপোড়া হনুমানের খাদ্যের ৬০% হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের পাতা এরা বিভিন্ন উদ্ভিদের পরাগায়ন ও বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করে। গাছের গর্ত ও পাতায় জমে থাকা পানি দিয়ে জলপান ও গোসল করে। এরা খেলাধুলা ও লাফালাফি করতে অনেক পছন্দ করে। বাচ্চা বুকে নিয়ে মা সহজেই এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফিয়ে পড়ে। অন্য কাউকে ভয় দেখাতে মুখে ভেংচি কাটে। বাংলাদেশে যে তিন প্রজাতির হনুমান পাওয়া যায় তার মধ্যে মুখপোড়া হনুমানের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। টাঙ্গাইলের পাতাঝরা বন এবং সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মিশ্র চিরসবুজ বনে এদের দেখা যায়। তবে বন-জঙ্গল ধ্বংসের কারণে দিনে দিনে প্রাণিটি আশঙ্কাজনকহারে হারে কমে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বে এরা বিপন্ন বলে বিবেচিত ।

চশমাপরা হনুমান

চশমাপরা হনুমান আকারে অনেক ছোট। এদের দেহের তুলনায় লেজ বড় হয়ে থাকে। অন্য হনুমানের চেয়ে এরা লাজুক প্রকৃতির। দিনের বেলায় ঘন বনের ছায়াযুক্ত স্থানে বিচরণ করতে পছন্দ করে। সহজে এরা মাটিতে নামে না। এরা দল বেঁধে চলাফেরা করলেও সহসা এদের চোখে পড়ে না। দলে বাচ্চাসহ সাত-আটটি হনুমান থাকে একটি পুরুষ হনুমানের নেতৃত্বে। তবে দলে কোনো পুরুষ হনুমান দলপতি হবার যোগ্যতাসম্পন্ন হয়ে উঠলে বিদ্যমান পুরুষ দলনেতা অনেক সময় নেতৃত্ব বজায় রাখতে মা হনুমানকে দ্রুত ঋতুমতি করার জন্য বাচ্চাদের মেরে ফেলে। এই পরিকল্পনায় আগের দলপতির বংশ নাশের একটি পরিকল্পনাও থাকে এই হত্যাকান্ডে।
চশমাপরা হনুমান গাছের কচি পাতা, ফুল, ফল, বীজ, কীটপতঙ্গ, পাখির ডিম খেয়ে জীবনধারণ করে। পানির চাহিদা মেটাতে এরা শিশির লেগে থাকা পাতা চাটে অথবা পানিবহুল লতাগুল্ম খায়। বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তবর্তী বন, বিশেষ করে লাউয়াছড়া রেমা-কালেঙ্গা, সাতছড়ি পাবলাখালি কাপ্তাইয়ের বনে চশমাপরা হনুমান দেখতে পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশের জঙ্গলগুলো ছোট আর ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় চশমাপরা হনুমান আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।
ছবি-৭/৩৩ : চশমাপরা হনুমান কতই না ভঙ্গী ধরে


লজ্জাবতী বানর

লজ্জাবতী বানরের বৈজ্ঞানিক না Nycticebus bengalensis । বাংলাদেশের বানরকুলে লজ্জাবতী বানরই আকারে সবচেয়ে ছোট । ২৬ থেকে ৩৮ সেমি, ওজন ১.৫ কেজি । লেজ খুব ছোট। হাত –পায়ে আঁকড়ে ধরার শক্তি বেশ ভাল । চোখ দেহের তুলনায় বড় বড় । ফল, কীটপতঙ্গ , পাখির ডিমও খায় । স্বভাবে লাজুক নিশাচর , বৃক্ষবাসী । নিজ এলাকা পেশাপ ছিটিয়ে সনাক্ত করে । বছরে একটি , কদাচিৎ দুটি বাচ্চা দেয় । বাচ্চা মা বা বাবার পেটের সাথে ঝুলে থাকে । বাংলাদেশের সিলেট , চিটাগাং পাহাড়ি বনে এরা আছে ।
ছবি -৮/৩৩ : লজ্জাবতী বানর বাচ্চা কুলে নিয়ে গাছের ডাল ধরে ঝুলে আছে


বানর নিয়ে দেশে দেশে বায়ো-মেডিকেল পরিক্ষা

বানরের নিয়ে দেশে দেশে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা বিজ্ঞানীয় গবেষনা ও পরীক্ষন চলছেই । বানরের উপর ঔষদের প্রয়োগ ফলাফল যথা টক্সিসিটি টেস্টিং , ইসফেকসাস ডিজিস , HIV and hepatitis, নিউরো সার্জিকেল স্টাডিজ , রিপ্রডাকশন , জেনিটিক্স ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত । শুধুমাত্র যুক্তরাস্টেই প্রতি বছর ৬৫০০০ বানরের উপর এ ধরনের ডাক্তারী পরীক্ষা চালানো হয় , ইউরোপিয় ইউনিয়নেও এ সংখ্যাটা প্রায় ৭০০০।
ছবি - ৯/ ৩৩ : মার্কিন যুক্তরাস্টের ন্যাশনাল ইনসটিটিউট অফ হেলথ এর গবেষকগন বানরের উপর ট্রেস ইফেক্ট নিয়ে স্টাডি করছেন


বানরের এই ধরনের জীবনঘাতি কিছু অনৈতিক অপ ব্যবহারের বিরোদ্ধে দুনিয়া জোড়ে প্রতিবাদও কিন্তু কম নয় । ওয়াশিংটন ভিত্তিক কুক্ষাত Shin Nippon Biomedical Laboratories (SNBL) এর একজন প্রত্যক্ষ দর্শী কর্মী যুক্ত রাজ্য ভিত্তিক বন্যপ্রাণী অধিকার রক্ষা সংগঠন PETA (People for the Ethical Treatment of Animals (PETA) এর কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন যে এই লেবরেটরীতে অনৈতিকভাবে বানরকে মাসের পর মাস খাচায় বন্দি করে রেখে বিভিন্ন ধরনের মরনঘাতি বায়ো-মেডিকেল পরিক্ষন কর্ম পরিচালনা করে আসছে । ঐ কর্মী তার লিখিত অভিযোগ পত্রে জানান যে It force-feeds animals experimental chemicals to intentionally sicken and kill them and infects them with debilitating diseases. খাচায় বন্দী বানরেরা অসয্য যন্ত্রনায় কাতরায়, মুখ হা করে হৃদয় বিদারক ক্রন্দন করে । যদিও আমিরিকান ফেডারেল এনিমেল ওয়েলফেয়ার এক্ট অনুযায়ী বন্য প্রাণীদের উপরে কোন নির্যাতন এলাও করেনা তথাপি এই লেবরেটরী সে দিকে কর্ণপাত না করে বিধি ভেঙ্গে বানরকে নিয়ে মরনঘাতি পরিক্ষন অব্যাহতই রাখে । এই SNBL প্রতি বছর চীন , ইন্দোনেশিয়া , ইজরাইল ও কম্বোডিয়া হতে প্রায় ৩০০০ বানর বায়ো-মেডিকেল পরিক্ষনের নিমিত্ত আমদানী করে । বিষয়টি চরম অনৈতিক বিবেচনায় PETA বিশ্ববাসীর প্রতি এই অনৈতিক কাজ বন্ধের জন্য সোচ্চার হতে আবেদন জানায় , তারা বিভিন্ন এয়ার লাইনসকেও পরিক্ষনের নিমিত্ত বানর পরিবহন না করার জন্য আবেদনময়ী প্রচারনা চালায় ।
ছবি ১০/৩৩ : বায়ো-মেডিকেল পরিক্ষনের নিমিত্ত খাচায় বন্দী যন্ত্রনাকাতর বানরের করুন আর্তনাদ


তবে PETA এর প্রতিবাদী মুভমেন্টের প্রেক্ষিতে ডিসেম্বর ২০০৬ এ অক্সফোর্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের এমিরিটাস প্রফেসর স্যার ডেভিড উইথরাল এর সভাপতিত্বে গঠিত একটি ইনকোয়ারী টিম তাদের গবেষনার উপসংহারে বলেছেন যে there is a strong scientific and moral case for using monkeys in some research. এই প্রেক্ষিতে সহজেই অনুমেয় হয় যে বানরদেরকে নিয়ে পরিক্ষনের বিপক্ষে যতই প্রতিবাদি কার্যক্রমই থাকুক না কেন তা অব্যাহতই থাকবে , একটা বিকল্প বের না হওয়া পর্যন্ত । তবে এটা যেন নৈতিকতার মাত্রাকে ছাড়িয়ে না যায় সে বিষয়টার দিকে সকলের খেয়াল রাখা একান্তই কাম্য ।

আমাদের বাংলাদেশও বানর নিয়ে গবেষনায় পিছিয়ে নেই ।২০০৬ সালে বাংলাদেশে বানর নিয়ে গবেষণা শুরু করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞানী ড. মোস্তফা ফিরোজ ও কামরুল হাসান। আমাদের রেসাস বানরের জাত নিশ্চিত হওয়ায় পৃথিবীব্যাপি বায়োমেডিক্যাল রিসার্চের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। বানর থেকে মানুষের রোগ সংক্রমণ নিয়েও গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা । আমাদের দেশে বিলুপ্তপ্রায় বানর-জাতীয় ছয়টি প্রজাতির মধ্যে রেসাস ম্যাকাকু একমাত্র বানর যার ডিএনএর গঠন মানুষের বেশ কাছাকাছি। এ জন্য সারা বিশ্বে বায়ো-মেডিক্যাল গবেষণার জন্য এই বানরের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা, কারণ এর গঠন সরল তথা হোমোজেনাস প্রকৃতির। এদেরকে মানুষের মত মুখ দিয়ে ঔষধ সেবন করানো যায় ।
ছবি-১১ /৩৩ : বায়ো- মেডিকেল পরীক্ষার নিমিত্ত বানরকে ঔষধ খাওয়ানোর দৃশ্য


পুরান ঢাকা, গাজীপুরের বরমী বাজার এলাকা , সিলেটের চাশনী পীরের মাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বন থেকে রেসাস বানরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বন্য প্রাণী শাখায় একটি অত্যাধুনিক গবেষণাগারও স্থাপন করা হয়েছে। গবেষণার ফলে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশ এমনকি ভারতের চেয়েও বাংলাদেশের রেসাস বানরের ডিএনএ ডাবল হ্যালিক্স গঠন হোমোজেনাস কাছাকাছি জাতের। অর্থাৎ আমাদের দেশের রেসাস বানরের ওপর বায়োমেডিক্যাল টেস্ট করলে অন্য যেকোনো দেশের রেসাস বানরের চেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে। ক্যাপটিভ ব্রিডিং সেন্টারে রেসাস বানরের কৃত্রিম প্রজনন ঘটিয়ে বিভিন্ন ওষুধ, ভ্যাকসিন, রিপ্রোডাকটিভ ড্রাগ, অ্যান্টি ক্যান্সার কিংবা এইচআইভির পরীক্ষা করা যেতে পারে। সাধারণত ওষুধের কার্যকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি পর্যবেক্ষণের জন্য মানুষের আগে রেসাস বানরে পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাই বলা যায়, বাংলাদেশের রেসাস বানরের ডিএনএর হোমোজেনিটি নিশ্চিত হওয়ার ফলে সারা বিশ্বে বায়োমেডিক্যাল গবেষণার জন্য একটি নতুন দ্বার উন্মোচন হলো। তবে এই সম্ভাবনাটুকু যেন অনৈতিকতার মাত্রা ছাড়িয়ে না যায় তা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন ও নিয়ন্ত্রনের মধ্যেই রাখা প্রয়োজন ।

বানর থেকে মানুষে কোনো রোগ সংক্রমিত হচ্ছে কি না তা নিয়েও গবেষণা করছেন বাংলাদেশর বিজ্ঞানীরা । বাংলাদেশে একমাত্র রেসাস বানরই মানুষের বসতির আশপাশে বাস করে। পুরান ঢাকা, তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার, সাভারের ধামরাই, বরমী বাজার , মাদারীপুরের চরমুগুরিয়া, নারায়ণগঞ্জের বন্দর কিংবা সিলেটের চাশনী পীরের মাজারে গেলে দেখা মেলে এসব বানরের। লোকালয়ের বানর খাবারের অভাবে মারা যাচ্ছে। এই খবরে সরকারী একটি প্রকল্প থেকে বানরদের খাবার সরবরাহ করা হয় ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত। তবে খাবার সরবরাহে পরিকল্পনার অভাব ছিল। যথেচ্ছ খাবার দেওয়ার ফলে বানরের দ্রুত বংশবিস্তার ঘটে। ফলে বানরের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যায়। তাই হঠাৎ যখন খাবার দেওয়া বন্ধ করা হয় তখন বানর মানুষে দ্বন্দ্ব বেঁধে যায়। বানরগুলো শসা ও কলার ক্ষেত ধ্বংস করতে থাকে। জানালা দিয়ে খাবার চুরি করে, ভাতের হাঁড়ি নিয়েও দৌড় দেয় কখনো। বাধা দিলে ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। বানরের কামড়, আঁচড় বা এঁটো খাবার খেলে বানর থেকে কোনো রোগ মানুষে সংক্রমণ হয় কি না তা নিয়ে দেশে চলছে গবেষণা। দীর্ঘমেয়াদি গবেষণার পাশাপাশি চলছে সচেতনতামূলক কার্যক্রমও। বানর আছে এমন লোকালয়ের আশপাশের স্কুলগুলোতে গিয়ে ছাত্র, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের বানর ও অন্যান্য বন্য প্রাণী সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্কুলে বিলি করা হচ্ছে লিফলেট। বানর মানুষের শত্রু নয়, বন্ধু এ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা যায় । বানরকে বায়ো-মেডিকেল পরিক্ষনের বিপরীতে এদের প্রতি আরো অনেক বেশী নৈতিক ও মানবীয় আচরণের মাধ্যমে বানরদের জীবনকে মধুর ও আনন্দময়ী করে পরিবেশ , মানবজাতী দেশের অর্থনীতিতে এক মুল্যবান সম্পদে পরিনত করা যায় যদি তাদেরকে পর্যটন শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত করা যায় যথোপযুক্ত উপায়ে ।

পর্যটন শিল্পে বানর

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যুগে যুগে ভ্রমণকারীরা মুগ্ধ হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে এ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প উন্নয়নের সম্ভাবনা অপরিসীম। নতুন করে কৌশল ঠিক করে সম্ভাবনার সবটুকুকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পর্যটনে মডেল হতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন দেশের প্রাচীন যুগের ইতিহাস ও শিল্প, সাহিত্য, কালচার ও প্রথার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ঐতিহাসিক স্থান দেখার জন্যও পর্যটকরা নিজ দেশের সীমানা পেরিয়ে দূর-দূরান্তে ছুটে চলে প্রতিনিয়ত। পর্যটন শিল্পের উপাদান ও ক্ষেত্রগুলো দেশে ও বিদেশে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের অধিকতর বিকাশ ঘটানো সম্ভব । এ কাজটি সরকারী , বেসরকারী ও ব্যক্তি পর্যায়ে করা যায় ব্যপকভাবে । উদাহরণ হিসাবে বলা যায় আমাদের এই সামুরই একজন অতি জনপ্রিয় ব্লগার সাদামনের মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দর্শনীয় ও পর্যটক আকর্ষনীয় বিষয়াবলী নিয়ে পোস্ট দিয়ে চলেছেন অনবরত । অগনিত দেশী বিদেশীরা দেখছেন সেগুলি, অনেকেই গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সরজমিনে ভ্রমন করে সেগুলি দেখার জন্য । সাম্প্রতিককালে সামুতে দেয়া তাঁর পোস্ট রাজবন বিহারের বান্দরগুলো অগনিত পাঠকের সাথে আমারো নজর কারে , তাঁর ব্লগের ছবিগুলি দেখে অভিভুত হয়ে মনে হল বানরও হতে পারে দেশে পর্যটক আকর্ষনের একটি অন্যতম সহজ মাধ্যম । সে নিরিখেই অন্যান্যরা বানরকে দিয়ে পর্যটক আকর্ষনের জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে তা করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ । প্রতিবেশী দেশ ভারত , মায়ানমার, ও কাছাকাছির দেশ থাইল্যন্ডে দেখা যায় বানর নিয়ে চলছে ইউনিক আয়োজন । এখানে এই পোস্টে পর্যটক আকর্ষনে সিলেটের বান্দর টিলার বানর ও থাইল্যন্ডের লুপবুরী প্রদেশের কাঁকরা বানর নিয়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের আয়োজন সম্পর্কে করা হবে কিছুটা আলোকপাত ।

থাইল্যান্ডের উদাহরণটি টানার পুর্বে দেশের অবস্থানটি একটু দেখে নেয়া যাক সংক্ষেপে । সামুর পাতায় আসা বান্দরদের একটি ফটো পোস্ট দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন CLICK THIS LINK দেখাযাবে
নরসিংদী জেলার মনোহরদি থানার অন্তরগত রামপুর গ্রামে যাকে অনেকেই বানরের গ্রাম বলেও জানে , যেখানে শত শত বানর থাকে এবং তারা অনেক পর্যটকদের নজর কাড়ে , শুধু কি তাই, দর্শকগন সেখানকার বানরদেরকে নীজ হাতে খাদ্যোও করেন পরিবেশন।

অনুরূপভাবে সামুর একটি পোস্টে থাকা রাজবন বিহারের বান্দরগুলো দেখার জন্য CLICK THIS LINK
দেখা যাবে রাঙামাটি শহরের অদুরে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৃহত্তম বিহারে উন্মোক্ত জায়গায় বিচিত্র অনেক বানরের সমাহার । চিরিয়াখানার কৃত্রিম পরিবেশের বাইরে খোলা জায়গায় বানরদের বিচরণের অনেক সুন্দর সুন্দর মনমাতানো দৃশ্যও দেখা যায় সেখানে ।

বানরের টিলা সিলেট

সিলেট নগরের গোয়াইটুলা এলাকায় চাষনী পীর মাজারের আশপাশে টিলায় বাস করে প্রায় তিন শতাধিক বানর। বানরগুলি সেখানকার চাষনি পিড়ের মাঝারের কাছে গাছে গাছে চড়ে বেড়ায় ।
ছবি-১২/৩৩ : সিলেটে বানরের টিলায় গাছে গাছে বানর চড়ে বেড়ায় ।


বানরগুলোর প্রতি অন্যরকম একটা টান আছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। বানরগুলোকে পবিত্রতা ও মঙ্গলের প্রতীক বলে মনে করেন অনেকে। তাই মাজারের বানরকে কষ্ট দিতে চান না কেউ। স্থানীয় লোকজনের ধারণা, এই টিলায় বানরগুলোর বসবাস সেই হযরত শাহজালাল (রহ.) এর সময় থেকে। যে টিলাজুড়ে বানরগুলোর বাস সে টিলাতেই শুয়ে আছেন সিলেট বিজয়ী বীর সাধক পুরুষ শাহজালালেরই সফরসঙ্গী হযরত চাষনি পীর (রহ.)। অনেকের ধারণা, চাষনি পীর হয়তো বিপন্ন কোনো বানরযুগলকে তার কাছাকাছি আশ্রয় দিয়েছিলেন । টিলাজুড়ে থাকা এখনকার হাজার হাজার বানর সে বানরগুলোরই বংশধর। কৃতজ্ঞতা জানাতে তারা রয়ে গেছে মাজারের পাশে। নইলে যান্ত্রিক কোলাহলের মাঝে কেন ছেড়ে যায় না তারা এ টিলা । নগর জীবনে ক্লান্ত অনেকেই বানরের লাফঝাঁপে একটু বিনোদন খুঁজে নিতে বেড়াতে আসেন এখানে। আবার পুণ্যাত্বদের সানি্নধ্যেরও সন্ধানে আসেন অনেকে। এক সাথে দ্বিবিধ বাসনা পুরনের সুযোগই যেন এখানে। স্থানীয়দের কাছে 'বানরের টিলা' নামে পরিচিত হলেও এর রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব। হযরত শাহজালালের অন্যতম সঙ্গী একজন চাষনি পীর শুয়ে আছেন এখানেই। হজরত শাহজালালের সিলেট বিজয়ের অধ্যায়ে চাষনি পীর এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বলা হয়ে থাকে হযরত শাহজালের আধ্যাতিকতার পরিচয় পেয়ে তার মামা ও মুর্শিদ সৈয়দ আহমদ কবির তাঁকে হিন্দুস্তানের দিকে ধর্মপ্রচারের নির্দেশনা দেন। পথের দিশা পাইয়ে দিতে সে সময় তিনি হযরত শাহজালালের হাতে পবিত্র মক্কা শরিফের একমুঠো মাটি তুলে দিয়েছিলেন। বলে দিয়েছিলেন এ মাটির সঙ্গে যেখানে বর্ণে-গন্ধে-স্বাদে যে স্থানের মাটি মিলবে সেখানেই তার গন্তব্য। সে মাটি নিয়ে ভারতবর্ষের পথে পা বাড়ান হযরত শাহজালাল।

অভিযাত্রা শুরুর সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ১২ জন সফরসঙ্গী। এদের একজনের ওপর দায়িত্ব পড়ে মাটির তদারকি আর পথে পথে চেখে (চুষে) মাটি মিলিয়ে নেওয়ার। অনেক পথ, অনেক জনপদ পাড়ি দেওয়ার পর সিলেটের মাটির সাথে সঙ্গে আনা সিলেটের মাটি স্বাদে-গন্ধে-বর্ণে মিলে যায়। ধর্মপ্রচারে সিলেটে ঠিকানা গাড়েন হযরত শাহজালাল। মাটি চেটে চুষে পরীক্ষা করেছিলেন বলেই মাটি পরীক্ষাকারী সে সফরসঙ্গীই ইতিহাসে পরিচিতি পান চাষনি পীর হিসেবে। এ যদিও এ পরিচয়ের নামে আড়াল পড়ে গেছে তাঁর মূল পরিচয় তার পরেও তাঁর ও বানরের কারণে সেখানে পর্যটক আকর্ষনটাও বেড়ে গেছে অনেক গুনে ।

সিলেট নগরের ব্যস্ততার মাঝেও বিচলিত নয় বানরগুলো। গাছে গাছে দল বেঁধে ছোটাছুটি করছে তারা।মাঝেমধ্যে আশপাশের বাসার জানালা দিয়ে উঁকি মারছে। সুযোগ পেলে বাসার ভিতর থেকে পাউরুটি, কলা, ভাতের হাঁড়ি নিয়ে দেয় দৌড়। কোনো কিছুতেই ভয় নেই তাদের। নির্ভীক, বেপরোয়া তাদের চলাফেরা। বানরের এই বাঁদরামি গা সয়ে গেছে এলাকার মানুষের। তাই এই বাঁদরামির শাস্তি পেতে হয় না বানরগুলোকে। উল্টো মানুষের মমতায় তাদের ভাগ্যে জুটে খাবার। চৈত্রের দাবদাহে অতিষ্ঠ হয় প্রাণিকুলও, হাঁপিয়ে উঠে তারাও, তাই খরতাপে হাঁপিয়ে ওঠা বানরদেরকে স্থানীয়রা তরমুজও খাওয়ায় ।
ছবি - ১৩ / ৩৩ : খরতাপে হাঁপিয়ে ওঠা বানরদেরকে তরমুজ খাওয়াচ্ছেন স্থানীয় একজন নারী।

ছবি সুত্র : প্রথম আলো, ২০১৪

বানর দেখার জন্য অনেক দুর দুরান্ত হতে ঘটে লোক সমাগম । পর্যটকেরা সাধারণত বানর দেখতেই যান সেখানে ।

থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বাৎসরিক মাংকী বাঙকোয়েট ফেসটিভাল ( Annual Monkey Banquet Festival )

পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য বানরদেরকে নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী মজার উৎসব উপভোগের জন্য চলুন একটু থাইল্যন্ড ঘুরে আসি । জায়গাটি থাই ল্যন্ডের লুপবুরী শহড় , যেখানে প্রতি বছর নভেম্বরে ‘’ মাংকি বাঙকোয়েট ফেসটিভাল ’’ অনুষ্ঠিত হয় । আর হা এটা সত্যই মানকি বাঙকোয়েট যেমনটি ছবিতে দেখা যায় । থাইল্যন্ডে পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য এই ব্যপক আয়োজন ।
ছবি -১৪/৩৬ : ২০০৪ সনে লুপবুরীতে প্রাচীন মন্দির প্রাঙ্গনে মাংকী বাঙকোয়েট উৎসবে বানরদের ফলাহার দৃশ্য


সেখানকার বানরদের জন্য এই বাঙকোয়েট উৎসব আয়োজন নিয়ে কিছু বলার আগে লুপবুরীর( Lopburi ) ইতিহাস সম্পর্কে ছোট্ট একটু বিবরণ দিয়ে শুরু করা যায় । লুপবুরী হচ্ছে থাইল্যন্ডের Lop Buri প্রদেশের রাজধানী যা থাই কেপিটেল ব্যংকক হতে ১৮০ কিলোমিটার (প্রায় ১১১ মাইল) দুরে উত্তর-পূর্ব অবস্থিত । বলা হয়ে থাকে এটা থাইল্যান্ডের একটি প্রাচীনতম বসতি যা প্রায় ১০০০ বছর পুর্বে ভারতের উত্তর পুর্ব অঞ্চল (যা এখন পাকিস্তানের অন্তর্গত) থেকে আগত রাজা Kalavarnadish কতৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । চতুর্দশ শতকে অযুদ্ধা রাজ্যত্ব প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে Lopburi সে রাজ্যের একটি শক্ত ঘাটিতে পরিনত হয় এবং ১৭ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাজা নারাই দি গ্রটের রাজত্বকালে Lop Buri এর রাজধানীতে পরিনত হয় । রাজা নারাই বছরের আটমাসই লুপবুরীতে কাটাতেন ।

এই বানরগুলিকে ঐ প্রদেশের সর্বত্রই দেখতে পাওয়া যায় , এরা দলবদ্ধ হয়ে সেখানে বসবাস করে । দলে তাদের বাচ্চা কাচ্চা সংগী সকলই থাকে, তবে দলে পুরুষের চেয়ে মেয়ে বানরই বেশী থাকে এবং মহিলা বানরই দলের বস বা সর্দারনীর ভুমিকা পালন করে ।
সেখানকার বানরেরা কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সহবস্থান করে আসছে , তারা বানর নিয়ে মোটেও ভীত নয়, যদিও বানরেরা তাদের খাবার প্লেট থেকে স্যান্ডউইচ বা নুডল ছিনিয়ে নিয়ে যায় মাঝে মধ্যে । স্থানীয়রা একে কিছুটা বানরের উৎপাত হিসাবে মনে করলেও সেখানে এখন প্রায় ৩০০০ বানর রয়েছে শহড়ের উপকন্ঠে বানব বসতি জুরে । কিন্তু বানরেরা অনস্বীকার্যভাবে একটি ভাল আয়ের উৎস হিসাবে পরিগনিত হয়েছে পর্যটন বাণিজ্যে তাদের অবদান রেখে ।

যদিও থাইল্যান্ডের এই প্রদেশটিতে সিংহভাগ জনতাই বৌদ্ধ (থাই জনসংখ্যার প্রায় ৯৫% বৌদ্ধ ) কিন্তু সেখানেও বানর নিয়ে ধর্মীয় মুল্যবোধের একটি ইতিহাস আছে , যা প্রাচীন হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাসের মুলে গ্রতিথ । খৃস্টিয় দশম শতাব্দিতে খেমার সাম্রাজ্যকালে (Khmer Dynasty) অনেক হিন্দু মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল , এবং কেও যদি কাম্বোডিয়ার অ্যাংকর ওয়াট (Angkor Wat) পরিদর্শন করে থাকেন তাহলে অনুরূপ বেশ কিছু স্থাপত্য শৈলী দেখে তিনি চিনতে পারবেন । প্রায় ১৬১.৬ হেকটর জায়গা নিয়ে Angkor Wat পৃথিবীর বৃহত্তম হিন্দু ধর্মীয় মনুমেন্ট । আদিতে এটা খেমার সাম্রাজ্যের আমলে দেবতা বিঞ্চু স্বরণে খেমার রাজা সুর্যবর্মন-২ কতৃক নির্মিত হয়েছিল পরে ক্রমান্বয়ে তা শতকে বুদ্বিস্ট টেম্পলে পরিনত হয়
ছবি – ১৫/৩৩: খ্রিস্টিয় দ্বাদশ শতকে কম্বুডিয়ার Angkor Wat হিন্দু মন্দীর কমপ্লেক্স এর ছবি


Angkor Wat এর মত কিছু হিন্দু মন্দির সদৃশ স্থাপত্যশৈলীমন্ডিত মন্দির রয়েছে পুরাতন শহড় লুপবুরীতে যা পর্যটনের দর্শনীয় বিষয় হিসাবে আকর্ষনীয় করে তুলেছে । সেখানে বিশেষ করে এই স্থানের আশেপাশেই মাক্কাক তথা কাঁকড়া বানরেরা তাদের হেড কোয়ার্টার গড়ে তুলেছে এবং মন্দিরের যেখানে সেখানে নির্ধিধায় আরোহন ও বিচরণ করে, ফলে ঐ জায়গায় তাদের ছবি তোলার চমৎকার সুযোগ রয়েছে ।
ছবি-১৬/৩৩ : মন্দিরের যেখানে সেখানে নির্ধিধায় বানরের আরোহন ও বিচরণ করে


লুপবুরী শহড় থেকে এই বানরেরা কেন বিতাড়িত হয়না এবং কেন তারা স্থানীয়দের প্রশ্রয় পায় এটা জানতে হলে ফিরে যেতে হবে হিন্দু ঋষি বাল্মীকি রচিত প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়নে । এই মহাকাব্যে দেখা যায় যে, হনুমান নামে মানুষের বৈশিষ্টধারী একটি বানরের বীরত্বপূর্ণ নববধূ সীতা উদ্ধার গল্প কাহিনী , যে দশমাথা দৈত্য রাবনের হাত হতে লংকা পুরীকে লন্ডভন্ড করে সীতা উদ্ধারে করেছিল সহায়তা ।
ছবি-১৭/ ৩৩ : মানবের বৈশিষ্টধারী বীর হনুমানের লংকাপুরী লন্ডভন্ড করে সীতাকে উদ্ধার অভিযান


এটা ধারনা করা হয় যে হনুমান সংস্লিস্ট বিশ্বাসটি লুপবুরীতে ভাল ভাবেই আজ প্রতিষ্ঠিত এবং বিশ্বাস করা হয় যে লুপবুরীর মাক্কাকগুলি সেই হনুমানেরই রক্ত বইছে তাদের শরীরে অর্থাৎ তারা সেই হনুমানেরই সাক্ষাত বংশধর । এটা সত্য না মিথ্যা সে বিষয়টি তেমন বিবেচনায় না গিয়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের উদ্যোগতারা এই হনুমান উপাক্ষানটিকে পর্যটকদের প্রলুব্ধ করে তোলার জন্য কাজে লাগিয়েছেন দারুনভাবে । যদিও লুপবুরীর বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা ধর্মীয় অনুশীলনের দিক দিয়ে হিন্দুধর্মের অনুসারী নন তবু তারা বানরের সতীনারী উদ্ধারের মানবিক গুনাবলিকে ধারন করেছেন তাদের বিশ্বাসের মুলে, ফলে বানরের উৎপাতকে তারা নেননি বিশেষ আমলে যদিও বানরেরা সুযোগ পেলেই পর্যটকদের মোবাইল ফোন ও ক্যেমেরা নেয় চুরী করে !!! , সংগত কারনে তাদের প্রতি কিছুটা রাগ ধরলেও স্থানীয় অভিবাসীদের মত বিদেশি পর্যটকেরা কিছুটা বিশন্ন মনে হলেও মেনে নেয় সহজে ।

এই ধর্মীয় বিশ্বাসটিকেই পুজী করে লুপবুরী শহড়ে বানরের বাফেট উৎসবের আয়োজনটি যথেস্ট ছিল বলে মনে করা হয়ে থাকে । শহরবাসীর সঙ্গে প্রাচীন বানরপ্রিতীর সংযোগটির কারণেই বানরদের জন্য আয়োজিত বাৎসরিক ভোজ উৎসব আসলে একটি প্রশংসনীয় নতুন উদ্যোগ হিসাবে হয় বিবেচিত । এই উদ্যোগটি ঘুমকাতুর এই শহরে পর্যটক আকর্ষণে নজর কাড়ে , যার সঙ্গে স্থানীয় পর্যটন শিল্প সংস্লিস্ট ব্যবসায়ীদেরও ঘটে অপুর্ব সংযোগ । রাজধানী ব্যাংকক হতে আকাশ , সড়ক ও রেলপথে জায়গাটিতে যাওয়ার রয়েছে সহজ সুযোগ ।ফলে পর্যটকদের যাতায়াত সহজলভ্য হওয়ায় সেখানে বানর ভোজের আয়োজনটাও সহজ হয়েছে পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য । বিষয়টি আমাদের জন্যও বিশেষ বিবেচনার দাবী রাখে । কারণ সিলেটের বান্দর টিলার বানর গুলির সাথেও একটি ধর্মীয় অনুভুতি জড়িত রয়েছে , তাছাড়া রাজধানী ঢাকা হতে সড়ক , রেল ও আকাশ পথে সেখানে যাওয়ার সহজ ব্যবস্থাও আছে। এমনিতেই সিলেটকে বলা হয় পর্যটনের নগড় সেখানে বানরদেরকে নিয়ে বছরের কোন এক সময়ে বিশেষ কোন আয়োজন দিতে পারে বাড়তি আকর্ষণ ।

বানরের জন্য বাৎসরিক বাফেট উৎসব আয়োজনের পিছনের প্রতিভাধর ব্যক্তিটির নামটি নিশ্চয়ই জানতে চাইবেন । এ জন্য Mr. Yongyuth Kitwattananusont কে তো ধন্যবাদ জানাতেই হয় তার এই উদ্ভাবনীমুলক এ কাজের জন্য । এই কাজের জন্য ১৯৮৯ সনে হোটেল ব্যবসায়ী Kitwattananusont কে TAT (Tourism Authority of Thailand ) থেকে সহায়তা ও স্পনসর করা হয়েছিল । এখন এই বানর ভোজের উৎসবটি প্রতিবছর নভেম্বর মাসে সেখানে বর্নাঢ্যভাবে উদযাপন করা হয় । বানরদের ভোজে শরীক হওয়ার জন্য দেশ বিদেশের হাজার হাজার পর্যটক এসে হাজির হন যা সেখানকার হোটেল ব্যবসাসহ পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করে তুলে কিছুদিনের জন্য । এর সুদুর প্রসারী ফলটাও থেকে যায় স্থানীয় এলাকায় ও জাতীয় অর্থনীতিতে বিবিধভাবে ।

এই মাংকী বাফেট ফেসটিভালটিকে দৃস্টি নন্দন ও আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য বছর থেকে বছরান্তে আয়োজনটাও হয় বিভিন্নভাবে। বানরের জন্য উদ্ভাবন করা হয় বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরিচ্ছদ ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বানরের আগমন ঘটানো হয় দৃস্টি নন্দনভাবে যেমন ২০১৩ সনে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বানরের বেসে অবতরন হয়েছিল প্যারাসুটের মাধ্যমে।
ছবি-১৮/৩৩ : থাইল্যান্ডের লুপবুরীতে মাংকী বাঙকোয়েট ফেসটিভালে বানর বেসে প্যারসুটে করে অবতরন


অন্যদিকে ২০১৩ সনে বানরের জন্য বাঙকোয়েট উৎসবে বানরদেরকে পরিবেসনের জন্য জন্য রাখা হয়েছিল ৪০০০ কেজি বিভিন্ন ধরনের ফল ও খাদ্য । বানরদের জন্য এই খাদ্য পরিবেসনে স্থানীয় শহড়বাসীরাও সাহয্য করেছেন খোলা মনে ।
ছবি -১৯/৩৩ : বানরদের জন্য মন্দীর প্রাঙ্গনে টেবিলে টেবিলে খাদ্য পরিবেসন।


বানরদের জন্য এই খাদ্য পরিবেসনে স্থানীয় শহড়বাসীরাও সাহয্য করেন খোলা মনে । কেও কেও অংশগ্রহন করেন বানরের ভোজের টেবিল ফুল ও ফল দিয়ে সাজানোতে
ছবি -২০/ ৩৩ : ফল ও ফুল দিয়া সাজানো খাবারের টেবিল দেখে বানর বেজায় খুশী


খাবারের টেবিলে থাকে প্রচুর পাকা কলা , আম. ড্রাগন ফল , আপেল , আনারস ও অন্যান্য অনেক ধরনের ট্রপিকেল ফল । কোন কোন ফল বড়ফের চাই দিয়ে থাকে মোরা সেগুলি খাওয়ার জন্য যেন বানরকে করতে হয় অপেক্ষা , সেই সুযোগে দর্শনার্থীরা বানরের ছবি তুলে নিতে পারে ভালমত ।

লম্বা অথবা গোলাকার বড় টেবিলে কাপড়ের উপরে ফল রাখা হয় সাজিয়ে । আবার মাঝে মাঝে গড়া হয় ফল দিয়ে সাজানো পাহাড় যেমনটি দেখানো হয়েছে প্রচ্ছদ চিত্রে ।
ছবি -২১ / ৩৩ : বানরেরা লাফালাফি করে উঠছে তাদের জন্য তৈরী ফল পাহাড়ের শীর্ষে


দিনের আলোতে বানরদের ক্যমেরা ও মোবাইল চুরী একটি কমন ব্যপার । সকলেই জানি বানর খুবই অনুকরন প্রিয় প্রাণী । দর্শনার্থীদেরকে মোবাইলে কথা বলতে ও ক্যমেরায় ছবি তুলতে দেখে তাদেরো মনে সখ জাগে , আর তাই সুযোগ পেলেই এ দুটো নেয় তারা তুলে, সে সাথে পার্স কিংবা ভেনেটি ব্যগ পেলে , তাও তারা নেয় হাতিয়ে । তাই বিষয়গুলি যদি এই বানরের তরে দর্শকের পক্ষ হতে দানের ভাবনা না হয়ে থাকে তবে এই সমস্ত বস্তুর প্রতি খেয়াল রাখার জন্য পর্যটকদেরকে সাবধান করে দেয়া হয় আগে ভাগে ।

ছবি -২২ /৩৩ : অনেক সময় বানরেরা হঠাৎ করে উঠে পড়ে দর্শকের কোলে পিঠে , সে সময়ে তারা কিছু চৌর্য কর্মও করে , হাতিয়ে নেয় তাদের মোবইল কিংবা ক্যমেরা ।


বানরেরা কি জানে শহড়বাসী তাদের ব্যাংক ব্যলান্স খালী করে খাদ্য এনেছে তাদের জন্যে ?!!! এটাওতো তারা জানেনা যে পর্যটকেরা তাদের ছবি তুলে ঘরে নিয়ে যাবে কিংবা ছাপাবে বেসবুকে বা টুইটারে, তারা শুধু এ টুকুই জানে বছরের এই দিনে তারা তাদের উদর পুর্তি করতে পারবে মাত্রার বেশী খাদ্যে । বানরেরা অবশ্য একটু বেশী খুশী হয় সেদিন অযত্নে রাখা পর্যটকদের মোবাইল কিংবা ক্যমেরা যদি কৌতুহল নিবারনার্থে তুলে নিতে পারে তাদের করে ( বানরেরা চোর এই অপবাদটা না দিলেই কি নয় ) । বানরেরা কি এই তুলে নেয়া মালকে সঞ্চিত করে রাখবে অন্যত্র !!!, নাকি তা তা দিয়ে তার বাচ্চাদের ছবি তুলবে ও ইস্টগ্রামে আপলোড করবে, বানরেরা কি তা জানে ?!!!
ছবি -২৩/৩৩ : মনে তো হয় ছবিটা কেমন কেমন লাগে , একটু হাসি হাসি থাকলে বোধ হয় ভালই হইত


এখন বানরের এই ভোজন উৎসব চলাকালীন কিছু কৌতুকময় দৃশ্য সাথে বানরদের নিজস্ব ভাবনার বিষয়গুলি দেখা যেতে পারে ।

ছবি -২৪/৩৩ : আমিই এই বিশাল ফল পাহাড়ের রাজা


ছবি -২৫/৩৩ : এত হৈ হুল্লোর করোনা শান্তিমতে দইটা খাইতে দাওনা বাছাধনেরা


ছবি -২৬/৩৩ : এরকম আয়োজন বছরে একবারই হয় , তাই কেও টেবিল হতে ফল চুরী করোনা , বানরেরা এটা পছন্দ করেনা ।


ছবি - ২৭ / ৩৩ : বানর হলে কি হবে আমিও আইসক্রিম খাইতে পারি


ছবি-২৮/৩৩ : কে বলেছে বানর কোকা কোলা খায়না , চিয়ার্স !!!


বানরেরা সমাজ বিরোধি চৌর্যকর্ম করলেও এটাকে তাদের ক্রিমিনাল কাজ হিসাবে দেখা হয়না । দেয়ালের কার্নিশ ধরে , লাইটপোস্টের তার ধরে হেটে , ধুম করে পথচারির উপর আছরে পরে , তাদের কাধে চেপে মাথার চুল টেনে ধরে , হঠাত করে কাধে চড়াও হয়ে উকুন বাছায় লেগে গিয়ে কতভাবেই না কৌতুকময় দৃশ্যের অবতারনা করে দর্শকদেরকে ছবি তোলা ও ও মুখরোচক কাহিনীর জন্ম দেয় ।
ছবি -২৯ / ৩৩ : বাচ্চা দুটার তামশা দেখে আর বাচিনা , ফল খাব না এদের সামলাব


ছবি - ৩০/৩৬ : লাফ দিয়ে তো টাসকি খাইলাম ,সত্যিই সুন্দর হয়েছে বানরের মুর্তী দুইটা !!!


ছবি -৩১ /৩৩ : বাহ! সাজানো ফলের মালা খাইতে যে ভালা লাগে !!!


ছবি -৩২/৩৩ : ২০০৫ সনে লুপবুরী মন্দির প্রাঙ্গনে বানরদের জন্য ভোজ উৎসবে দর্শকদের ভীর


বাঙকোয়েট ফেসটিভাল শেষ হওয়ার পরে পর্যটকগন কি করবে , কোথায় থাকবে , কি দেখবে , আরো দু এক দিন কোথায় থাকতে পারবে, বাজেট হোটেল কোথায় পাবে সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে থাকে বিবিধ রকম আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপন, স্পেশাল অফার , ডিসকাউন্ট বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধার কথা ও আকর্ষনীয় ঐতিহাসিক পর্যটন স্থানের বিবরন যথা Prang Khaek ( শিব মন্দীর ) San Phra Kan (কালা মন্দির ) প্রভৃতি এবং সে সমস্ত জায়গায় যাওয়ার সহজ উপায় , থাকে বিভিন্ন হসপিটালিটি সেকটর কোম্পানীর বিজ্ঞাপন যেমনটি নীচের ছবিতে দেখা যায় । এটাই মুলত এই বানর ফেসটিভাল উৎসবের মুল বানিজ্যিক লক্ষ্য ,যার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পকে বিকসিত করা হয় ।
ছবি - ৩৩/ ৩৩ : শেষ মিনিটের সবচেয়ে কমদামের অফার, সুযোগ আছে কিনা দেখে নিন , All roads lead to Hotel Hilton


থাইল্যন্ডের বানরদেরকে কেমন সুন্দরভাবে পর্যটন শিল্প বিকাসের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে তা দেখলে বিস্ময়াভিভুত না হয়ে পারা যায়না । প্রাচীন ধর্ম বিশ্বাস , ঐতিহ্য , স্থাপত্যশৈলী , প্রাগৈতাহাসিক কাহিণী প্রভৃতির সংমিশ্রন ঘটিয়ে স্থানীয় অধিবাসী নর ও বানরকে সম্পৃক্ত করে ও একইসাথে পর্যটন শিল্প সংস্লিষ্ট ব্যবসায়ী , হসপিটালিটি সেকটরের নামী দামী পাঁচতারা হোটেল কোম্পানী যথা হিলটন , মেরিয়ট , পরিবহন কোম্পানী যথা থাই এয়ার ও অন্যান্যদেরকে উৎসবের পৃষ্টপোষকতা করার জন্য TAT (Tourism Authority of Thailand) যেভাবে সমন্বিত উপায়ে একত্রিত করে নীজ দেশে পর্যটন শীল্পের বিকাশ ঘটিয়ে চলেছে তা আমাদের জন্য হতে পারে একটি অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত । আমাদের সিলেটের বান্দর টিলার বানরগুলির সাথেও একটি ধর্মীয় আবেগ অনুভুতি জড়িত আছে । স্থানীয়সহ দেশের অপর অংশের অগনিত মানুষেরও রয়েছে সে সমস্ত বানরদের প্রতি সহানুভুতি ও দরদ । দেশে বন বাদারের পরিমান কমে যাওয়ায় ও বানরেরা মানুষের খাবারে ভাগ বসানোর কারনে অনেক জনপদেই বানরেরা হয়রানী ও নিগ্রহের শীকার হয়ে বিলুপ্তির পথে দ্রুত ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু একটুখানী ভিন্নভাবে এই বানর বাহিনীকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ড তথা পর্যটন শিল্পের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে পারলে তারা আপদ না হয়ে প্রকৃতি, পরিবেশ ও জাতীয় অর্থনীতির জন্য সহজেই হয়ে উঠবে অমুল্য সম্পদ । বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন নিতে পারে এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ।

ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ।

ছবি সুত্র : গুগল নেট
তথ্য সুত্র :
উইকিপিডয়া ( ২০১৬) : বানর, উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে ।
Groves, C. (২০০৫) Mammal Species of the World ( তৃতীয় সংস্করণ । Johns Hopkins University Press.
Das, J., Molur, S. & Bleisch, W. (2008). Trachypithecus pileatus , IUCN Red List of Threatened Species. IUCN 2008.
জিয়া উদ্দিন আহমেদ ( ২০০৯) , বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও স্তন্যপায়ী প্রাণী জ্ঞানকোষ , বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি , ঢাকা
টুরিজম অথরিটি অফ থাইল্যান্ড : মাংকী বাফেট ফেসটিভাল
http://www.tourismthailand.org/Events-and-Festivals/Search?lifestyle_id=&cat_id=7&subcat_id=&view=&start=&end=&keyword=Monkey+buffet+festival

মন্তব্য ৯০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৯০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



যাক, বন্ধু-বান্ধবদের ভুলে যাননি।
এত বড় পোস্ট লিখলেন কি করে; আমাকে আবারো আসটে হবে পড়ার জন্য।

********বায়োমেডিক্যাল নিপাত যাক, মানুষের জন্য ঔষধের সব এক্সপেরিমেন্ট মানুষের উপে করতে হবে; বানরের উপর ঔষধ প্রয়োগকারীদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড হওয়া উচিত।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এসে কস্ট করে এই মাপের পোস্টটি দেখার জন্য । বন্ধুদের কথা কি ভুলা যায় , তারা আছেন আমাদের সাথে
সর্বদাই । পোস্ট টি এত বড় হয়ে যাবে ভাবতে পারি নাই । বিশেষ একটি উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে লিখা, চেস্টা করেও ছোট করতে পারি নাই , মনে হল আরো অনেক কথা বলার আছে , সেগুলি এখানে বললে পরিসর শুধু বেড়েই যাবে , অনেকেরই হয়ত বিরক্তি ধরে যাবে ।
যাহোক, আপনার সাথে একমত । বানরকে বায়ো-মেডিকেল পরীক্ষার কাজে ব্যবহারকারী সিন্ডিকেট এতই শক্তিশালী যে তারা আমিরিকান ফেডারেল এনিমেল ওয়েলফেয়ার এক্ট এর আওতায় প্রয়োগযোগ্য কঠোর নিয়ন্ত্রন মুলক ব্যবস্থাকেও ক্রমাগতভাবে ভায়োলেট করে চলছে । বিশ্বের প্রতিবাদী কর্ঠগুলি তাদের সাথে পেরে উঠছেনা । জনসচেতনতা প্রয়োজন ।
অনেক ধন্যবাদ আবার আসবেন শুনে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

কলাবাগান১ বলেছেন: "বায়োমেডিক্যাল নিপাত যাক" বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ই গত ৫ দশকে মানুষের গড় আয়ু প্রায় ডাবল করেছে

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য । বানর নিয়ে বায়ো-মেডিকেল পরীক্ষা নিরীক্ষার পক্ষে বিপক্ষে জোগালো যুক্তি আছে । তবে বিপক্ষদের মুভমেন্টের প্রক্ষিতে অক্সফোর্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের এমিরিটাস প্রফেসর স্যার ডেভিড উইথরাল এর সভাপতিত্বে গঠিত একটি ইনকোয়ারী টিম তাদের গবেষনার উপসংহারে বলেছেন যে there is a strong scientific and moral case for using monkeys in some research. তাদের এই উপসংহারটিকেও এক কথায় উড়িয়ে দেয়া কস্টকর ।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,



আপনারও বাঁদরামী আর গেলোনা !!!! :P বিজ্ঞানীরা না হয় বানর নিয়ে গবেষণা করছেন , আপনি দেখি আমাদের নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন । :(( আমাদের ধৈর্য্যের, একাগ্রতার, পঠনশক্তির পরীক্ষা আর কতো নেবেন ? !:#P

সোজা প্রিয়তে ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য । ভুল হয়ে গেছে ,বানর নিয়ে লিখতে গেলে যা হয় তাই হয়েছে্ । শিখার কোন শেষ নেই , বিচিত্র সব শিক্ষা লাভ হচ্ছে । আমাদের পাঠকেরা খুবই উচ্চমার্গের , অসীম ধৈর্যশালী , তাঁরা দৈনিক শত শত পোস্ট পড়ছেন , ও মুল্যবান কমেন্ট দিচ্ছেন , সকলের প্রতি রইল অপরিসীম শ্রদ্ধা । কোন বিষয়ে একটু গবেষনা করলে প্রাসঙ্গীক সকলের কথা আলোচনায় আসা স্বাভাবিক। যাহোক, বুঝা গেল আরো সচেতন হতে হবে । সামুতে বলতে গেলে এখনো একান্তই নবীন , তাই আপনাদের মত
শ্রদ্ধেয়দের কাছ হতে প্রতিনিয়তই শিখছি ও জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করছি ,ভবিষ্যতের লিখার বিষয়ে দিক নির্দেশনা পাচ্ছি ।

লিখাটিকে প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

শুভেচ্ছা রইল

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

কলাবাগান১ বলেছেন: আধুনিক রিসার্চে যে সব ইদুর/বানর ব্যবহার করা হয়, তাদের জন্য পেপার ওয়ার্ক এবং পারমিশন এপ্রুভ করার জন্য যে কমিটি থাকে, তারাই এনসিউর করে কিভাবে কোন ব্যাথা না দিয়ে, হিউমেইনলি ট্রিট করতে হবে রিসার্চ এনিম্যাল গুলিকে। এন আই এইচ হল সবচেয়ে আমেরিকার বড় সংস্হা যারা রিসার্চ জন্য ফান্ডিং দিয়ে থাকে আমেরিকাতে। কোন প্রপোজাল যদি কোন এনিম্যাল ব্যবহার করার প্রপোজ করে, তার জন্য IACUC protocol (NIH link for IACUC guide)এপ্রুভ না থাকলে ফান্ডিং এর জন্য কনসিডার ই করবে না। ল্যাবে নিজেদের সেফটি এর চেয়ে বেশী চিন্তায় থাকতে হয় ল্যাবের এক্সপেরিমেন্টের জন্য যে এনিম্যাল গুলি ইউজ করা হয় তাদের সেফটির জন্য। যদি প্রটোকলের কোন ব্যাতয় হয় বা এনিম্যাল এবিউজ করার কোন অভিযোগ উঠে...শুধু আপনার নিজের ল্যাব না, পুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেডেরাল ফান্ডিং পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তাই সব বিশ্ববিদ্যালয় নিজ উদ্দোগে শক্তিশালী কমিটি তৈরী করে সার্বক্ষনিক ভাবে রিসার্চ এনিম্যালের ওয়েলফেয়ার এর দিকে চোখ রাখার। এনিম্যাল লালন পালন এর ঘর যত সন্দুর ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় গুলি তৈরী এবং মেইনটেইন করে, কিন্তু শিক্ষকদের রিসার্চ ল্যাব নিয়ে তত জোর দেয় না।

আমি নিজেও চাইব না পাশের ল্যাবে কোন এক্সপিরিমেন্টের জন্য কোন এনিম্যালকে এবিউস করা হোক, কেন না তার ফল ভোগ করতে হবে আমাদের সবাইকে (নো ফান্ডিং ফর রিসার্চ)। যে কোন ল্যাবের 'খারাপ' কাজের জন্য ল্যাব টা কালো তালিকা ভুক্ত হয় না, পুরা বিশ্ববিদ্যালয় কালো তালিকা ভুক্ত হয়।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ বানর নিয়ে বায়ো-মেডিকেল বিষয়ে
পরীক্ষা সংক্রান্ত মুল্যবান তথ্য দেয়ার জন্য ।
অনেক গুরুত্বপুর্ণ কথা জানা গেল ।
শুভেচ্ছা রইল

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক কষ্ট করেই পোষ্টটি দিয়েছেন সে জন্য ধন্যবাদ। আমি তো ছোট একটা কিছু লিখতে গেলেই হাফিয়ে যায়।
অনেক কিছু জানলাম। চশমা পরা বানর এই প্রথম দেখলাম । আমার খুব ভাল লেগেছে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার ভাল লাগার কথা শুনে খুব ভাল লাগল । কামনা করি লিখতে গিয়ে যেন হাফিয়ে না উঠেন , সাবলিল গতিতে যেন লিখে যেতে পারেন । এই পোস্ট নিয়ে লিখতে গিয়ে আমারো জানা হল অনেক । অরো অনেক কিছু শিখছি মুল্যবান মন্তব্যগুলি থেকেও ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

আলোরিকা বলেছেন: ওরে বাবা , এত দেখছি লঙ্কাকাণ্ড ! :)

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ । কথা শুনে ভাল লাগল । আসলে লঙ্কাকাণ্ডতো ঘটিয়েছিল বানরই , তাইতো নাম হয়েছে এটার লঙ্কাকাণ্ড ।
তার ( হনুমানের ) লেজের আগুনে লঙ্কাপুরীকে পুড়িয়ে লন্ডভন্ড করে অবরূদ্ধ সতি নারী সীতা উদ্ধারে করেছিল সহায়তা ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ ধরণের গবেষণাধর্মী লেখাগুলো পড়ে সামু'র পাঠকেরা সমৃধ হন। এ জন্য এ দীর্ঘ, কষ্টলব্ধ পোস্টের জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য রিসাস প্রজাতির বানরের ব্যবহারের কথাগুলো পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। মানুষের সুবিধে করে দেবার জন্য এ অসহায় প্রাণীগুলোকে কতই না নির্মমতার শিকার হতে হয়!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই অনুপ্রাণীত হলাম আপনার প্রসংসাবাণীতে । চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য রিসাস প্রজাতির বানরের ব্যবহারের বিষয়ে অপনার ব্যতিথ হৃদয়ের কথা শুনে অাশান্বিত হলাম এই নিগৃহীত প্রাণীদের ব্যথা লাগবের জন্য সহানুভুতিশীল শদ্ধেয় গুনী একজন গুণী কবির সমব্যথি অনুভবে । যুক্ত রাজ্য ভিত্তিক বন্যপ্রাণী অধিকার রক্ষা সংগঠন PETA (People for the Ethical Treatment of Animals) খুবই খুশী হবে বন্য প্রাণীর প্রতি সহানুভুতিশীণ আপনার মত একজন গুণী লোককে তাদের পাশে পেলে ।

শুভেচ্ছা রইল

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপাতত দেখে গেলাম, পরে সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করবো।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পরে আবার আসবেন শুনে খুশী হলাম ।

৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পুরো পোষ্টে আমার নামটা অনেক বার উচ্চারিত হওয়ায় আমি বিব্রত বোধ করছি.............. :(

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কিছুটা ভুল হয়ে গিয়েছিল । আর একটু সময় নিয়ে এডিট করলে নামের এই রিপিটেশনগুলি হতোনা । লম্বা এই লিখাটি লিখে কিছুটা ক্লান্ত হওয়ায় এডিট কর্মটি সঠিকভাবে করতে পারিনি , বিরক্তি উৎপাদনের জন্য ভীষণভাবে দু:খিত । যে সমস্ত জায়গায় নামের রিপিটেশন আছে সে সমস্ত জায়গা এডিট করে দেয়া হয়েছে । তবে লিংকগুলি বলবত আছে যাতে উৎসাহী পাঠকেরা সহজে তা দেখতে পারেন । একই বিষয়ে আপনার পোস্টের সুন্দর সুন্দর ছবিমালা ও মুল্যবান বিবরণী প্রাসঙ্গীকভাবেই উঠে আসায় পরম শ্রদ্ধার সাথে আমার এ পোস্টে তাদের কিছু রেফারেন্স দেয়া হয়েছে । সম্পাদিত লিখাটিতে এখনো যে সমস্ত রেফারেন্স , আশা করি নীজ মহানুভতায় যেটুকু নিবেন সহজভাবে । আবারো কৃতজ্ঞতা জানানো হলো আপনার সুন্দর অনুপ্রেরণা জাগানিয়া লিখাগুলীর জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল

১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পর্যটনে বানরের অবদান হতে পারে অপরিসীম, আপনার পোষ্টের আগে এই বিষয়টা আমার মাথায়ই আসেনি। গবেষণামূলক পোষ্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আবারো এসে ধন্যবাদ জানানোর জন্য খুব খুশী হয়েছি । বানর নিয়ে সুন্দর সুন্দর পোস্ট দিয়ে পর্যটন শিল্পে গুরত্বপুর্ণ অবদানতো রেখেই চলেছেন নিরলসভাবে । আপনি আপনার মর্ম নীজে কি বুঝবেন , এটা বুঝব আমরা ভক্ত পাঠকগনে । আপনার অবদান নিয়ে এ পোস্টে লিখা যেতো পাতার পর পাতা, কিন্তু সযতনে তা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বিবিধ কারনে । মনের মধ্যে একটি ধারনা ছিল পোস্টটি উৎসর্গ করা হবে আপনারই নামে । ধারনাটি এখনো মনেই আছে , জানানো হবে জনগনে যথাসময়ে ।

শুভেচ্ছা রইল

১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

রানা আমান বলেছেন: একটানে পুরোটা পড়লুম । চমৎকার লিখেছেন ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লিখাটি চমৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল

১২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

পুলহ বলেছেন: আপনার পোস্টগুলোতে ইতিহাস, সমাজ, কিংবদন্তী, সংস্কৃতি কি না থাকে! খুব ভালো লাগলো আবারো।
পর্যটন শিল্পে বানরের অবদানের বিষয়টা নিয়ে ভাবা যেতেই পারে আর অনুসরণ করা যেতে পারে সংশ্লিষ্ট দেশের আইডিয়া ও তার ইপ্লিমেন্টেশন।
শুভকামনা জানবেন ভাই

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপ্লুত হলাম অনুপ্রেরনাদায়ক প্রসংসামুলক কথাতে ।
অপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক , সংস্লিস্টরা
এগিয়ে আসুক বানরের অবদান পর্যটন শিল্প
বিকাশে ব্যবহার করতে ।
শুভেচ্ছা রইল

১৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ছোটবেলায় চিড়িয়াখানায় গেলে দীর্ঘক্ষণ বানরের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। বড় এবং উঁচু খাঁচার মধ্যে তাদের দৌড় ঝাপ, লাফালাফি, দুষ্টুমি দেখতে কি ভালোই না লাগতো। এই বড়বেলাতেও চিড়িয়াখানায় গেলে বানর দেখার আনন্দ কমেনি। আমার মাও বানর, হনুমান দেখতে খুবই পছন্দ করেন। কিন্তু আমার মনে হয় আমি ছোট থাকতে চিড়িয়াখানায় অনেক বেশি সংখ্যায় বানর দেখেছি। এখন বানরও কম আর তারা দুষ্টুমি করার চেয়ে মনমরা হয়ে বসে থাকে যেন। আমার এক ফুপুর বাসা ছিল পুরান ঢাকার জিন্দাবাহার। ছোটবেলায় সেখানে প্রচুর বানর দেখতাম। রান্নাঘরের জানালার ধারে বেশি বসে থাকতো। এখন তো আর দেখাই যায়না। আমাদের দেশে এতগুলো বানর প্রজাতির মধ্যে চশমা পড়া বানরের খুনে বৈশিষ্ট্য পড়ে খুব চমকে উঠলাম। ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য নিজের সন্তানদের এরকম হত্যাকাণ্ড তো মানব বৈশিষ্ট্যর মত নৃশংস। অন্যান্য আরও অনেক প্রাণী আছে যারা নিজেদের সন্তানদের হত্যা করে কিন্তু তারা সেটা করে খাওয়ার জন্য। সন্তান লালন পালনের মত মায়াময় আচার সেখানে নেই। কিন্তু বানরের মত সন্তানবৎসল প্রাণীর আদর দিয়ে সন্তান লালন পালন করে বড় হলে আবার খুন করা উফ ভাবা যায় না। বছর দুই কি তিন আগে প্রথম আলোয় পড়েছিলাম, খুব সম্ভব মাদারীপুরের(বা কেশবপুর) একদল বানর মিছিল করে থানার সামনে এসে সমাবেশ করেছিলো। তাদের এক সঙ্গীকে কোন মানুষ যেন পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল। তার প্রতিবাদে তারা পুলিশের থানায় এসেছিলো। তাদের বসে থাকা, চিৎকার চেঁচামেচি, অঙ্গভঙ্গিতে মনে হচ্ছিলো যেন স্লোগান দিচ্ছে। পরে ঘটনাটির কি সুরাহা হয়েছে আর জানতে পারিনি। আজকের পোস্টে আপনার ধারনাটি সত্যিই চমকপ্রদ। বানর দিয়ে পর্যটন আকর্ষণ আসলেই খুব সম্ভাবনাময়। চমৎকার একটা পোস্টের জন্য ধন্যবাদ কম হয়ে যায় ভাই। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য এভাবেই একের পর এক নিত্য নতুন আইডিয়া নিয়ে গবেষণা সমৃদ্ধ লেখা আমাদের উপহার দেবার জন্য।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ছোটবেলায় চিড়িয়াখানা গিয়ে দীর্ঘক্ষণ বানরের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে বানরদের দুস্টুমীভরা লাফালাফি দেখার কথা শুনে ভাল লাগল । বড়বেলাতেও বানর দেখার আনন্দ কমেনি এ কথাটি শুনে একে নিয়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের সম্ভাবনাটা গিয়েছে যে আরো বেড়ে । মা ও মেয়ে সহ পরিবারের সকলে হনুমান দেখতে খুবই পছন্দ বলে , এই সম্ভাবনাটুকু ছড়িয়ে দেয়া যায় আরো বিস্তৃতভাবে । ঠিকই বলেছেন আগে চিড়িয়াখানায় অনেক বেশি সংখ্যায় বানর দেখা যেতো এখন বানরও কম আর তারা দুষ্টুমি করার চেয়ে মনমরা হয়ে বসে থাকে যেন। হয় তাদেরকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হয়না অথবা তারা বিলুপ্তির আসংকায় আছে ।
আমরা তাদেরকে বন থেকে ধরে নিয়ে ভরছি খাঁচাতে কিংবা ল্যবে মরণঘাতি পরীক্ষার কাজে । আমাদের দেশের বানর প্রজাতির মধ্যে চশমা পড়া বানরের খুনের বৈশিষ্ট্যের কথা শুনে আমিউ চমকে উঠেছিলাম ইন্টারনেটে পাওয়া সুত্রে খবরটি দেখে । আসলেই বানরের মত সন্তানবৎসল প্রাণীর আদর দিয়ে সন্তান লালন পালন করে বড় হলে আবার খুন করা উফ ভাবা যায় না। মাদারীপুরের(বা কেশবপুর) একদল বানর মিছিল করে থানার সামনে এসে সমাবেশ করেছিলো সঙ্গীকে মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল বলে এই খবরটি শুনে জানতে বড়ই ইচ্ছে করছে এর পরে কি হয়েছিল । বানর দিয়ে পর্যটন আকর্ষণভ কার্যক্রম হাতে নিলে বানরেরা পাবে সমাদর সকল মহলে যা প্রকারান্তরে ভাল হবে সকলের তরে ।

আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা রইলো

১৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: চমৎকার বানরময় পোস্ট। বাপরে এরা যা দুষ্টু। অনেক বছর আগে মানে আমারও জন্মের আগে আমাদের বাসায় বানরের খুব উৎপাত ছিল। রান্নার পর চুরি করে হাড়ি কড়াই নিয়ে যেত। খুব জ্বালাত।
আচ্ছা মুখ পোড়া হনুমান আর বানর কি একই জাতের? বানরের নাম গুলো খুব ইন্টারেস্টিং। আসামি বানর, চশমাপরা হনুমান, লজ্জাবতী বানর খুব মজার নাম গুলো। ফলের সাথে ফুলও সাজিয়ে দেওয়া হয় উৎসবে দারুণ ব্যপার। পর্যটন শিল্পের কথা পড়ে মনে হল এই প্রাণীটি দেখার মাঝে এক আলাদা আনন্দ আছে। এরা মানুষকে হাসাতে পারে। ছোটবেলায় আমিও চিড়িয়াখানায় যেতে চাইতাম শুধু বানর দেখার জন্য।
আপনার পোস্ট শুধু পোস্ট নয়, ধৈর্যের অসামান্য উদাহরণ। ভাল লেগেছে বরাবরের মতই। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটির জন্য।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মূলত সিমিয়ান প্রাইমেট গণের তিনটি দলের মধ্যে দুইটির সদস্যরা সাধারণ ভাবে বানর নামে পরিচিত। এই দলগুলি হলো, নতুন পৃথিবীর বানর, পুরাতন পৃথিবীর বানর, এবং নরবানর।পৃথিবীতে বর্তমানে বিদ্যমান ১৯ প্রজাতির বানরের মধ্যে
মুখপোড়া হনুমান বা লালচে হনুমান একটি , এর ইংরেজী নাম Capped langur, Capped Monkey, Capped leafed monkey, বা Bonneted Langur । এরা মুলত: বানর প্রজাতিরই একটি স্তন্যপায়ী প্রানী এর বৈজ্ঞানিক নাম Trachypithecus pileatus ।
বানর দেখার মধ্যে অআলাদা আনন্দ আছে শুনে খুশী হলাম ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

১৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৮

প্রামানিক বলেছেন: বানর নিয়ে অনেক সুন্দর পোষ্ট। বানর সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক খুশী হয়েছি প্রামানিক ভাই
এসে দেখেছেন বলে ।
শুভেচ্ছা রইল

১৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৭

সোহানী বলেছেন: ওয়াও আলী ভাই... বানর নিয়েতো দেখি মহাকাব্য লিখেছেন। মহাকাব্য পড়ে শেষ করেছি যেহেতু পরীক্ষা শেষ.....

আমাদের পর্যটন শিল্পে বানর সহ অনেক কিছুই যোগ করতে হবে, যদি পর্যটন মন্ত্রনালয়ের দয়া হয় বা বলতে পারেন অনেক কাজের ভীড়ে সময় হয়। যাহোক দিনে দিনে জনসংখ্যা আর অব্যবস্থাপনার ভীড়ে ভয় হয় দেশের যা কিছু সুন্দর আছে তা না জানি ধ্বংস হয়ে যাবে...

বানর নিয়ে গভেষনা নতুন বিষয় নয় এবং সত্যিই মেনে নেয়া কষ্টকর। তবে এটা ও সত্য তাদের জীবনের বলি কিন্তু আমাদের নতুন জীবন, নতুন চিকিতসা। বানরের উপর প্রয়োগ না করলে তো তারা হয়তো ৩য় বিস্বের মানুয়ের উপর প্রয়োগ করতো। যা এখন শেষের স্তরে করে আর তা না হলে ১ম স্টেজেই করতো। .............. অসাধারন+কঠিন ধৈর্য্য+পরিশ্রমী পোস্টে ++++++++++

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খূশী হলাম পরীক্ষা শেষে এই লিখাটি দেখা ও পাঠের জন্য । কামনা করি পরীক্ষায় ভাল রিজাল্ট করুন । পরীক্ষার পাঠিটি অনেক আগেই চুকিয়ে ফেললেও নিয়মিত বিষয়টির সাথে সংস্লিণ্ট থাকতে হয় ।

ব্যাংকক যাওয়ার একটা পরিকল্পনা থাকায় দিন কয়েক আগে থাই টুরিজম অথরিটিটর ওয়েব সাইট ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে হঠাৎ করে এই বানর বাফেট উৎসবের বিষয়টি জানতে পারি । অবাক হয়ে যাই তাদের ওয়েব সাইটের সমৃদ্ধতা দেখে । বিপরীতে আমাদের দেশের পর্যটন করপোরেশনের সরকারী ওয়েবসাইটটি প্রথম পৃষ্ঠার স্ক্রীন শটটি একটু দেখতে পারেন নীচে।

প্রথম পৃষ্ঠা শুরু বাংলায় তাদের জনবলের নিয়োগ বদলীর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাও আবার এতমাত্র বাংলায় ।
কথাহলো পর্যটনের মুল লক্ষ্য থাকে বিদেশী পর্যটক আকর্ষণ করা । এখন ধরুন কোন কানাডিয়ান নাগরিক বাংলাদেশে যেতে চায়
সে পর্যটন করপোরেশনের ওয়েব সাইটে গিয়ে প্রথমেই কি দেখবে । প্রথম কথা হলো এটাতে প্রথমে একটি ইংলিশ অপসন খাকার কথা ছিল, প্রায় সকল দেশের সরকারী পর্যটন সংস্থার ওয়েব সাইটে এরকম বাই লীংগুয়েল অপসন আছে তার পরের কথা হলো বাংলাদেশ ওয়েব সাইটের লিংকগুলিও খুবই ইল ডিজাইনড । যাহোক বিজ্ঞ লোকেরা সেখানে বসে আছেন , আমাদের আর কিই বা করার আছে শুধু কিছুটা খারাপ লাগার অনুভুতি প্রকাশ করা ছাড়া ।

আপনি ঠিকই বলে গল্পে, কাহিণী সংবাদপত্রে অনেক সময় দেখি মানুষের উপরে মেডিকেল পরীক্ষা করে , তাই মুযোগ পেলে বানরকে বাদ দিয়ে হয়ত দুর্দশাগ্রস্ত নরের উপর দিয়েই তা চালিয়ে দিত । তবে কামনা করি এই অবস্থা যেন না হয় , এবিষয়ে আপনার সচেতনতা জাগানিয়া কথামালার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

১৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০০

ভাবনা ২ বলেছেন: খুব ভাল লাগল বানরময় এ পোস্টটি । বানরকে পর্যটন বিকাশে
পরিনয় করার সম্ভাবনার কথায় বেশ আশান্বিত হলাম ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য । ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৪৯

সোহানী বলেছেন: আলী ভাই, আপনার উত্তর দেখে আবার আসলাম। ১) কঠিন পরীক্ষা ভালো দিয়েছি আর সহজ পরীক্ষা খারাপ দিয়েছি...হাহাহাহা হিসেব খুব সহজ। যেহেতু প্রফেশনাল এক্সাম তাই ভয়ে আছি শুধু পাশ না.... ৮০% এর উপর পেতে হবে।

২) মানবের উপর পরীক্ষা এটা নতুন বিষয় না। আমার থেকে ও আপনার নিশ্চয় ভালো জানা আছে যে ভারতীয় ও আফ্রিকার কিছু গ্রামে এখনো রোগ ছড়িয়ে তারপর ওষুধ দিয়ে পরীক্ষা করে। তারচেয়ে ও বড় কথা আমাদের দেশে ও এ ধরনের পরীক্ষা হয়েছে এবং হচ্ছে (দেশের হেলর্থ সেক্টরে কিছুদিন কাজ করার কারনে এ বিষয়ে কিছুটা জানি)।

৩) এবার আসেন আসল বিষয়। এক সময় আমি দেশের বিভিন্ন ওয়েবসাইট তৈরীর সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলাম। কিছু স্বার্থপর আর লোভী মানুষের কারনে যারা ভালো কাজ করতে চায় তারা পারে না। কি পরিমান ইন্টাফেয়ারেন্স যে সরকারী মহলে আছে তা ঢুকলে বোঝা যায় না। কোনদিন ও সে সব লোভী মানুষ থেকে দেশকে মুক্ত করতে পারবেন না তাই সব ওয়েব সাইটের চেহারা এরকমই থাকবে...........

ভালো থাকেন.......

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক খুশী হলাম আবার এসে অনেক গুরুত্বপুর্ণ তথ্যমুলক মন্তব্য দানের জন্য । আমার বিশ্বাস You are talent enough to secure more than percent marks । তাই প্রফেশনাল এক্সাম নিয়ে ভয়ের কোন কারণ নাই ।
ভারতীয় ও আফ্রিকার কিছু গ্রামে এখনো রোগ ছড়িয়ে তারপর ওষুধ দিয়ে পরীক্ষা করে, এর জন্য উদ্ভিগ্ন না হয়ে পারা যায না । সকলকে সচেতন হতে হবে । আমাদের দেশের কথা শুনেতো বেশী চিন্তা লাগছে ।
ঠিকই বলেছেন মেধাবীদের সৃজনশীল কাজে সরকারী হস্তক্ষপের কারণে দেশে অনেকেই ভাল কাজ করতে পারছেন না । জানিনা এই অবস্থার উন্নতি কখন হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক খুশী হলাম আবার এসে অনেক গুরুত্বপুর্ণ তথ্যমুলক মন্তব্য দানের জন্য । আমার বিশ্বাস You are talent enough to secure more than percent marks । তাই প্রফেশনাল এক্সাম নিয়ে ভয়ের কোন কারণ নাই ।
ভারতীয় ও আফ্রিকার কিছু গ্রামে এখনো রোগ ছড়িয়ে তারপর ওষুধ দিয়ে পরীক্ষা করে, এর জন্য উদ্ভিগ্ন না হয়ে পারা যায না । সকলকে সচেতন হতে হবে । আমাদের দেশের কথা শুনেতো বেশী চিন্তা লাগছে ।
ঠিকই বলেছেন মেধাবীদের সৃজনশীল কাজে সরকারী হস্তক্ষপের কারণে দেশে অনেকেই ভাল কাজ করতে পারছেন না । জানিনা এই অবস্থার উন্নতি কখন হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫২

বিলুনী বলেছেন: চমতকার পোস্ট । বানরদেরকে নিয়া এক দারুন লিখা । বানর দিয়া দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ
ঘটানো যাওয়ার কথা শুনে ভাল লাগল । দেশের সংস্লিস্ট সকলে বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন ।
ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্ট টির জন্য ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ড: এম এআলী।।। পোষ্ট টি বড় হলেও অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেক কষট করেছেন ভাই। শীত কালে এতো লেখা জোখা।।।। এবার একটু রেস্ট নিন।।।। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বোন লিলিয়ান গভীর মমতা মাখানো সহানুভুতিশীল কথামালার জন্য । একমাত্র কবিতার মত লিখাগুলি ছাড়া এ পোস্টের বাকী সব লিখাই একটু বড় হয়ে গেছে । পাঠক বিরক্তি ধরে যাবে বিবেচনায় অনেক কথা লিখাই হয়না অথচ আমার কাছে মনে হয় সে সমস্ত সকল কথাই বলা প্রয়োজন, আজকের জন্য না হলেও আগামীর জন্য । পাঠকের মুল্যবান মমন্তব্যগুলি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে প্রতিস্ঠিত জার্নালে দেয়ার সময় লিখাটির মানউন্নয়নে অনেক সহায়ক হয় । কোন লিখার উপরে ক্রস সেকসন অব পিপলের মতামত খুবই গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে । আপনার উপদেশটুকু, আমলে নিলাম , চারটা বালিশে ঠেস দিয়ে শুয়ে কুলের উপরে লেপটপ নিয়ে আরাম করে লিখছি ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ডঃ এম এ আলী

তথ্যবহুল পোস্টের জন্য আপনাকে স্বগতম!:)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই বিলিয়র রহমান মনযোগ দিয়ে লিখাটি পাঠের জন্য । তথ্যগুলি প্রায় সকলেরই জানা তবু সকলের সাথে শেয়ার করার আনন্দটুকু উপভোগ করলাম ।

২৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

বিজন রয় বলেছেন: তাইলে আমরা ব্লগাররা বান্দর??

ব্লগে একজন ছিল........ ডিসকো বান্দর।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ নীজ অনুভুতি প্রকাশ ও

মুল্যবান তথ্য টুকু জানানোর জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ নীজ অনুভুতি প্রকাশ ও

মুল্যবান তথ্য টুকু জানানোর জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



"কলাবাগান১ বলেছেন: "বায়োমেডিক্যাল নিপাত যাক" বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ই গত ৫ দশকে মানুষের গড় আয়ু প্রায় ডাবল করেছে "

-আপনার মতো একজন মানুষ যদি ১০০ বছর বেশী বাঁচে, তাতে মানব জাতির লাভ কোথায়, যদি প্রকৃতির ভারসাম্য চলে যায়? নিউটন, রাসেল, হকিং সাধারণ মানুষের সমান বেঁচেছিলেন, বা বেঁচে আছেন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার এসে দেখে মুল্যবান মন্তব্য দেয়ার জন্য । আমার লিখাটির শীরোনামটাই হলো বানর দিয়ে বায়ো-মেডিকেল পরীক্ষা বনাম পর্যটন শিল্প বিকাশে এর ব্যবহার । এ বিষয়ে আমাদের অগনিত পাঠককুলের বহুমূখী মতামত আমার কাছে গুরুত্বপুর্ণ । আমার মুল লক্ষ্য যুক্ত রাজ্য ভিত্তিক বন্যপ্রাণী অধিকার রক্ষা সংগঠন PETAয় (People for the Ethical Treatment of Animals) দেয়ার জন্য একটি আর্টিকেল লিখা , যার কাজ এগিয়ে চলছে । লিখাটির জন্য তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেশনের নিমিত্ত Qualilitaive research method এর আওতায় Grounded theory approach অনুসরন করা হচ্ছে । তাই পাঠকদের প্রতিটি মন্তবই আমার কাছে খুবই গুরুত্বপুর্ণ । প্রাপ্ত ক্রস সেকশন অফ পিপলের মতামতসমুহ এবং এ বিষয়ে অন্যান্য প্রাসঙ্গীক লিটারেচারের আলোকে যথাযথভাবে বিশ্লেষন করে ফলাফল আর্টিকেলে অন্তর্ভুক্ত হবে ।

আবারো ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ণ মন্তব্য দানের জন্য ।

২৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

সুবল চন্দ্র বর্মন বলেছেন: খুবই ভালল লাগল দাদা। অনেক দিন পর।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক দিন পরে হলেও এসেছেন দেখে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক দিন পরে হলেও এসেছেন দেখে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৮

নীলপরি বলেছেন: অসামান্য পোষ্ট । প্রিয়তে রাখলাম ।

পোষ্টে ++++++++++++++++++++

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এত এত প্লাস ও প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১১

সুমন কর বলেছেন: এতো কষ্ট কিভাবে করেন !!

পোস্টে ৯ম +।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দাদা এসে দেখে নয়টি যোগ নম্বর দিয়ে যাওয়ায় অনেক অনেক খুশী হয়েছি । কি আর বলব দাদা, পেটের টানে একটি ফরমায়েসী কাজে Composite product নিয়ে Global Marketing strategies এর বিষয়ে একটি পেপার লিখছি, সে কস্টের তুলনায় এখানে ব্লগের জন্য লিখা তেমন বেশী কস্টকর নয় । তবে কস্ট কিঞ্চিত লাগে, যখন প্রিয় পাঠককে খুশী করতে পারিনা তখন ।
ভাল থাকার জন্য রইল শুভ কামনা ।

৩১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

জুন বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়ে আফসোস বেড়ে গেলো ডা: এম আলী। পোষ্ট করার সাথে সাথেই পড়েছি । কিন্ত টেকনিক্যাল কারনে মন্তব্য দিতে পারছিলামনা ।
সারা নভেম্বর লোপবুড়ি যাবার পরিকল্পনা করে শুধু বানরের ভয়ে পরিত্যাক্ত হলো এই প্রোগ্রামটি । তবে বানর উৎসবের ব্যাপারটি আমার অজানা ছিল যা আরো দুঃখ বাড়িয়ে দিল । এত সুন্দর এই উৎসব এটা জানলে রাখে আল্লাহ মারে কে বলে অবশ্যই বেড়িয়ে পরতাম লোপবুড়ির উদ্দ্যেশ্যে। আগামী বছর ইনশাল্লাহ সুস্থ আর বেচে থাকলে লোপবুড়ির বানর উৎসবে যাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না :)
তাছাড়া সারা নভেম্বর প্রচন্ড বৃষ্টিও আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে /:)
আপনি এত সুন্দর করে আমার প্রিয় একটি প্রানীর জীবন বৈচিত্র তুলে ধরেছেন যার জন্য বিশাল এক ধন্যবাদ ।
চুপি চুপি বলি এখনও চিড়িয়াখানায় গেলে ছোটবেলার মত বেশিটা সময় কাটাই বানরের খাচার সামনে । তবে সিমলার জাখু মন্দির দেখতে গিয়ে বানরের হাতে ক্যামেরা চলে যাবার পর তা উদ্ধারের হ্যাপা পোহানোর পর এখন মুক্ত বাঁদর দেখলে সত্যি বলতে কি একটু ভয় পাই ।
সামান্য জিনিসকে কি করে পর্যটকদের সামনে উপস্থাপন করা যায় তার উদাহরন শুধু থাইল্যান্ড নয়, আরো অনেক দেশেই দেখা যায়। মালয়েশিয়ায় একটি ট্যুর প্রোগ্রাম ছিল ওয়াচিং ফায়ার ফ্লাইস । না দেখলে বুঝতাম না সামান্য জোনাকী পোকা দেখার জন্য কত আয়োজন, কত পরিকল্পনা । সময় থাকলে আমার প্রথম দিকের এই পোষ্টটি দেখতে পারেন ।
জোনাকীর ঝিকিমিকি (মালয়েশিয়া ভ্রমন)!!!
১০ +

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: উত্তরের ঘরে ছবি লোড হচ্ছিল না তাই নীচে দেয়া হল । দয়া করে নীচের ৩২ নং মন্তব্যটি দেখে নিবেন সেটা আপনার মন্তব্যেরই উত্তর ।

৩২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক খুশী হলাম আপনি এসে দেখেছেন বলে । এখন ঢাকায় আছেন জেনে ভাল লাগছে , অনেক ভালভাবে স্বদেশ ভ্রমন উপভোগ করুন , অনেক তথ্য, উপাত্ত ও ছবি নিয়ে যাবেন ক্যমেরায় করে যা ফিরে আসবে আমাদের পরে আপনার সুন্দর সুন্দর লিখার ভিতরে করে । আমার এ পোস্টটা লিখার আগে একবার ভেবেছিলাম এই বানর ফেসটিভালটার কথা নিয়ে কিছু লিখার জন্য আপনাকে বলব , পরে ভাবলাম আবার কোন না বিরম্বনায় ফেলে দিই আপনাকে ।
যাহোক, লুপবুরীর কিছুই আমি তুলে ধরতে পারিনি শুধু একটু আবাস দিতে পেরছি । আপনি আগামীতে লুপবুরী দেখে এসে আমাদেরকে সচিত্র দেখালে খুব ভাল লাগবে ।

আমি আপনার লিংক ধরে জোনাকীর ঝিকিমিকি (মালয়েশিয়া ভ্রমন)!!! দেখে এসেছি । আমার কিছু কথা সেখানে বলে এসেছি।
আপনাকে একটি অনুরোধ রাখতে চাই । আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে আমাদের মঙ্গল শোভাযাত্রা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে । আগামীতে এটা এখন বিশ্বজুরেই পালিত হতে পারে । এদিকে একটি থাই সরকারী ওয়েব সাইটে নিন্মের ছবিটি দেখেছি যা মঙ্গল শোভাযাত্রার মত দেখতে । এই ফেসটিভালটির বিস্তারিত জানার জন্য অনেক খুজেছি । হদিছ করতে পারিনি । তাই অনুরোধ থাকল যদি এর কোন হদিস জানা থাকে তবে এ বিষযে বিস্তারিত দিয়ে সম্ভব হলে একটি পোস্ট দিলে খুশী হব । নীচে ছবিটি দেখুন


শুভেচ্ছা রইল

৩৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বাদর বা বান্দর কথাটিই ভিন্ন কিছুর ঈঙ্গিত করে।। তবে আমি ভুলি নি ইসলামপুরে থাাকার সময় আমার হাতের খাবার কেড়ে নেবার কথা!! এত বছর পরও।। সাথে ছিল কাউয়া।। তবে এই প্রজাতি কে সন্মান দেখাতে দেখেছি একমাত্র থাইদের।।
আমরা যাকে বান্দর বা পাজী হিসাবেই চিনি।।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ঠিকই বলেছেন বাদর বা বান্দরকে সচরাচর ভিন্ন কিছু ঈঙ্গীত করতে ব্যবহৃত হয় । এটার সাথে আমার বিলক্ষন পরিচয় আছে,
এটা আমার নীজের জন্যও সেই ছোটকাল থেকেই প্রয়োগ হয়েছে । ইসলামপুরে থাাকার সময় হাতের খাবার কেড়ে নেবার কথা ভুলেন নি , সেটা কি মধুর ছিল না ছিল ব্যথাতুর । আমারো মনে পড়ে ছোটকালে বানরের সাথে গাছে বসে একসাথে পাকা কাঠাল ভাগ করে খাওয়ার কথা , সে ছিল খুবই মধুর স্মৃতি। ভাল কথা বলেছেন থাইরা বানরকে চিনেছে তবে আমাদের দেশেও কিন্তু বানর খুব প্রিয় যা দেখা যায় প্রায় পাঠকের কথাতেই । বানরের নাচ দেখে মানুষে পয়সা দিয়ে ।।

ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল

৩৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বান্দর বা গিরগিটি, আমরা এই মানুষেরা কি এর বাইরে??

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রশ্নের জন্য । মানুষেরা বান্দর না গিরগিটি সে বিরাট তত্ব কথা , এ বিষয়টি নিয়ে ডারউইন রচনা করেছেন মানবের বিবর্তনের ইতি কথা । এ বিষয়ে আপনার নিজন্ব চিন্তাভাবনা জানতে পারলে খুশী হব ।
শুভেচ্ছা রইল

৩৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৩

শায়মা বলেছেন: হ্যাপী নিউ ইয়ার আমার জিনিয়াস ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কিছু দিন ধরেই মনে হচ্ছিল ইউ আর ভেরী বিজি উইথ সামথিং সিরিয়াস ।
গিয়ে দেখে আসলাম আসলেই তাই , কর্মটি যে সহজ নয় বড়ই কঠিন
সে কথাটি সেখানেই হয়েছে বলা ।
হেপী নিউ ইয়ার ফর ইউ টুওও । :)

৩৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কিছু দিন ধরেই মনে হচ্ছিল ইউ আর ভেরী বিজি উইথ সামথিং সিরিয়াস ।
গিয়ে দেখে আসলাম আসলেই তাই , কর্মটি যে সহজ নয় বড়ই কঠিন
সে কথাটি সেখানেই হয়েছে বলা ।
হেপী নিউ ইয়ার ফর ইউ টুওও । :)

৩৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বানর বিষয়ক বিরাট গবেষণা কর্ম! সমৃদ্ধ হলাম ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুনে খুব খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: বানর নিয়ে গবেষণাধর্মী লেখা পড়ে ভালো লাগলো।
বর্তমানে দুই দলের বানর রয়েছে। যারা হল নব বিশ্বের বানর আর পুরাতন বিশ্বের বানর। নব বিশ্বের বানরেরা দক্ষিণ আমেরিকায় বাস করে। পুরাতন বিশ্বের বানরেরা আফ্রিকা এবং এশিয়ায় বাস করে। নব বিশ্বের বানরেরা পুরাতন বিশ্বের বানরদের থেকে ছোট। বানরদের লম্বা হাত ও পা আছে যার সাহায্যে এক গাছ থেকে অন গাছে লাফ দেয়। যেসব বানরদের লম্বা লেজ আছে তারা তাদের লম্বা লেজ দিয় গাছে ঝুলে থাকতে পারে। বানরদের প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে ছোট প্রজাতি হল পাইগিমিই মারমোসেট। লেজ বাদে এদের দৈঘ্য ১৪ থেকে সেন্টিমিটার। এদের ওজন প্রায় ১২০গ্রাম। এরা ব্রাজিল,কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরে বাস করে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ , মুল্যবান তথ্য জানার জন্যেইতো সকলের সাথে শেয়ার করা । এ বিষয়ে আপনার মুল্যবান তথ্য অআমাদের জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে অনেক সহায়তা করবে । বানর নিয়ে আরো অনেক বেশী গবেষনা হওয়া প্রয়োজন বিবিধ কারনে । এরা বিভিন্নভাবে মানুষের কেবল উপকারই করে যাচ্ছে । নীজের জীবন বিপন্ন করে এরা বায়ো- মেডিকেল টেস্টের উপাদান হয়ে আমাদের জন্য কি সেবাটাই না দিচ্ছে । তার পরেও মানুষের কোন কোন আচরণকে কেও কেও তাচ্ছিল্য করে অন্য কিছু না বলে বলে বাদরামি!!!কামনা করি বানরেরা এর হাত থেকে মুক্তি পাক ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

জুন বলেছেন: আপনার দেয়া ছবিটী থাইল্যান্ডের বিখ্যাত উৎসব লয়ক্রাথং এর । এটা নিয়ে লেখার জন্য আমি নিজেও আগ্রহী। আপনার অনুরোধ মনে থাকলো ডঃ এম আলী :)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুন আপু । আপনার কাছ হতে জানতে পারলাম এই ছবিটা থাইল্যান্ডের বিখ্যাত Loi Krathong ফেসটিভালের । গুগল সার্চ দিয়ে কিছু নজর কাড়া ছবিও দেখে আসলাম । নিন্মের মত ছবি গুলি দেখে আমি মুগ্ধ ।



খুব খুশী হলাম আপনার আগ্রহের কথা শুনে । আমি জানি আপনি ইতিহাসের ছাত্রী , তাই আশা করব এ বিষযটা নিয়ে লিখার সময় সুন্দর সুন্দর ছবির সাথে এর ইতিহাস ও মনমাতানো বিবরন আমরা জানতে পারব ।

যতদুর জেনেছি তাতে এই উৎসবটা হয় প্রতি বছর নভেম্বরের শেষ দিকে । এবছর হয়েছে ১৪ নভেম্বরে । আমাদের দেশে মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে ১লা বৈশাখে, আর আজ ১৩ পৌষ । উৎসব দেখে পোস্ট দিলে দেরী হয়ে যাবে । আমি চাই এটা আমাদের ১লা বৈশাখের আগেই আসুক ।

আমাদের দেশে নতুনের কেতন ওড়ে বৈশাখে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সে কথাই বলেছেন- 'ওই নতুনের কেতন ওড়ে কালবোশেখির ঝড় তোরা সব জয়ধ্বনি কর।' বৈশাখের প্রথম দিন থেকেই আমাদের নতুন বছরের শুরু। পুরনো বছরের অতীত পেছনে ফেলে নব প্রত্যাশায় এগিয়ে চলার শুরু হয় এ দিন থেকেই। এসব বিষয়কে সামনে রেখেই এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি পর্ব চলছে। বরাবরের মতো হাতি, ঘোড়া, ময়ূর, পাখির কাঠামো তো থাকছেই। সবই হবে লোকজ মোটিফে।' আমাদের দেশের চারুকলার 'শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পরিশ্রমে এই শোভাযাত্রা সর্বজনীন রূপ পাবে । সংস্কৃতির ভেতর দিয়ে এটা এগিয়ে চলেছে । কোন এক বছরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানোতে দেশের অনেকেই নাখোশ হয়েছিলেন হিন্দু কালচার বলে । কিন্তু এটা যে শুধু হিন্দু নয় দেশে দেশে বিভিন্ন ধর্ম বিশেষে উদযাপিত হয় তাও জানা গেল সবিশেষ । যেমন মিয়ানমারে হয় এটা Tazaungdaing festival নামে , শ্রী লঙকায় হয় Il Full Moon Poya নামে, কম্বোডিয়ায় হয় Bon Om Touk নামে ।

আমার ধারনা আপনি যখন ঐ ফেসটিভালের পোস্ট দিবেন তখন আমাদের দেশের চারুকলার শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ অগনিত মানুষ হবে প্রলুব্দ । মঙ্গল শোভাযাত্রার দিনে অনেকেই হয়ত রমনা লেকে লয়ক্রাথং ফেসটিভালের মত মঙ্গল প্রদীপ জ্বালাবে ।
তাই এ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলে রাখা ভাল । কথাটা হলো লয়ক্রাথং ফেসটিভালের পরের দিন থাই নদী হতে Bangkok Metropolitan Administration (BMA ) ৬ টন রাবিস ক্লিন করেছিল । তবে এই ৬ টনের ভিতর 661,935 ছিল মঙ্গল প্রদীপ, আর এই সংখ্যার মধ্যে শতকরা ৯৩ ভাগই ছিল বায়ো ডিগ্রোডিবল কাগজের তৈরী বাক্স, এতে থাকে পাতা, লতা ও ফুল যা নদীর মাছেরও খাদ্য,যা পরিবেশের বিশেষ কোন ক্ষতি করে না । তাই পানিতে দ্রবনীয় পরিবেশ বান্ধব কাগজের ঠোংগায় যেন মঙ্গল প্রদীপ ভাসানোর কথাটি মনে রাখে সকলেই ( যদি কেও তা ভাষাতেই চায় ) । আশা করি এটাও উঠে আসবে আপনার লেখাতে ।

শুভেচ্ছা রইল

৪০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

আহা রুবন বলেছেন: বাপরে বাপ! এ যে বানরের জগতে এনে পাঠককে ছেড়ে দিয়েছেন। অনেক লম্বা লেখা, কিন্তু নতুন নতুন তথ্য উপস্থিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত, তাই আগ্রহের সঙ্গেই পড়েছি। আপনার স্বাস্থ্য কামনা করছি।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এত কস্ট করে এই লম্বা লিখাটি পাঠের জন্য ।
আগ্রহ ভরে পাঠের কথা শুনে ভাল লাগল ।

আপনার জন্যও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

৪১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

কালীদাস বলেছেন: লেখার টপিকটা সত্যিই ইন্টারেস্টিং। থাইল্যান্ডে একবারই গিয়েছিলাম (একটা কনফারেন্সে), আমি তেমন একটা দেখিনি আমার ডোমেইনে। হ্যাংওভার ২ মুভিটাতে থাইল্যান্ডের আন্ডারওয়ার্ল্ডে বানরের খুবই চমকপ্রদ ইউজ ফোকাস করেছে।
টাইটেলে এবং ভেতরের কনটেন্টে কিছু বানান ভুল আছে। এডিট করে নেবেন প্লিজ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার কাছে ইন্টারেস্টিং অনুভুত হওয়ায় ।
লিখাটির মনযোগী পাঠ ও বানান প্রমাদের কথা উল্লেখ করায়
কৃতজ্ঞতা জানবেন । দীর্ঘ দিন ধরে অটো গ্রামার ও বানান
চেকের আওতায় লিখে ইদানিংকালে বাংলা লিখায় বেশ
মনোনিবেশ করায় বানান প্রমাদের হাত হতে বেরিয়ে
আসতে পারছিনা বলে খারাপ লাগে সর্বদাই । তবে
আপ্রান্ত প্রচেষ্টা আছে এ বিষয়টা উতরাবার । শিরোনামে
থাকা মারাত্বক বানান প্রমাদ সংশোধন করে এসেছি
লিখার কনটেন্টের বিষয়টি সময় করে দেখব ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৪২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আমিই মিসির আলী বলেছেন: বাপরে!!!
এ দেখি বানরের বিশ্বকোষ!
ছবি গুলা চমৎকার।
+++

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ
মিসির আলী ভাই
বিশ্বকোষে প্রতিদিনই
যুক্ত হয় অনেক বিষয়
আপনার এই মুল্যবান
কথাটিও যুক্ত হল তথায়
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৪৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুন দারুন সব ছবি আর তথ্যসমৃদ্ধ বিস্তারিত বর্ণনা আপনার পোস্ট কে করে তুলেছে অন্যতম !!!!!!!
শুভ কামনা :)

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । এমন প্রসংসাবাণীতে
একধারে মুগ্ধ ও অনুপ্রানীত ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৪৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৫

জেন রসি বলেছেন: বানর নিয়ে মেগা পোস্ট। চমৎকার পোস্ট।

বায়ো মেডিকেল গবেষনা নিয়ে কিছু বলা যায়। নিষ্ঠুর হলেও কিছু ক্ষেত্রে এমন গবেষনা যৌক্তিক। মানে আমাদের মানুষদের জন্য। অতীতের এমন অনেক নিষ্ঠুর গবেষনার জন্যই আমরা এখন কিছু সুবিধা পাচ্ছি। তবে অপ্রয়োজনে বানর হত্যা বা বিলুপ্ত প্রাণী হত্যা করা অবশ্যই অপরাধ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য । সে জন্যইতো অক্সফোর্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের এমিরিটাস প্রফেসর স্যার ডেভিড উইথরাল এর সভাপতিত্বে গঠিত একটি ইনকোয়ারী টিম তাদের গবেষনার উপসংহারে বলেছেন যে there is a strong scientific and moral case for using monkeys in some research. তবে আপনকন এই কথাটি "অপ্রয়োজনে বানর হত্যা বা বিলুপ্ত প্রাণী হত্যা করা অবশ্যই অপরাধ" বিশেষ ভাবে প্রনিধান যোগ্য ।
শুভেচ্ছা রইল

৪৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ফার্মাসিউটিক্যালে বানরের উপর ঔষধ পরীক্ষার বিপক্ষে একটা কিছু লিখুন।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্য সু পরামর্শের জন্য । চেষ্টা করব, বেশ পড়াশুনা করতে হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ
অআপনার জন্যও রইল
নববর্ষের শুভেচ্ছা ।

৪৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

বানরের মহাকাব্য পড়লাম। ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক, টেকনাফ গেম রিজার্ভ, রেমা কালেংগা, চুনতি, চর কুঁকড়িমুকড়ি অভায়ারন্য সহ দশটি অভয়ারন্যে ও ন্যাশনাল পার্কে এছাড়া অন্যান্য বনেও এই স্তন্যপায়ীদের দেখা মেলে। বিপন্নপ্রায়, বিপন্ন, আশংকাজনক প্রানীদের সংরক্ষনে বন বিভাগ ও বন ও পরিবেশ বিভাগ এগিয়ে আসুক। সে কামনা করি।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য । আপনার কথায় দেশের বিভিন্বান স্থানে বানরদের অবস্থানের কথা সবিশেষ জানতে পারলাম ।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল ।

৪৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৩

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আপনার একেকটি পোস্ট এতো ইনফরমেটিভ! সত্যি অবাক হয়ে যায় পোস্টে ঢুকার পরেই!! দারুণ!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনুপ্রানীত অআপনার প্রসংসামুলক কথা শুনে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.