নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
আয়রে আয় টিয়ে
নায়ে ভর দিয়ে
না নিয়ে গেল বোয়াল মাছে
তাই না দেখে ভোঁদড় নাচে
ওরে ভোঁদড় ফিরে চা
খুকুর নাচন দেখে যা ।
শিশুদের জন্য ছড়ায় ভোঁদড় নিয়ে কথামালায় নীজ পরিবারের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কৌতুহলী প্রশ্নের উত্তরে নিজের জন্যই কিছু তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি । আমরা অনেকেই পাকৃতিক বন্য পরিবেশে ভোঁদড় দেখেনি, এর সম্পর্কে তেমন কিছু জানিওনা, শিশুদের জন্য ছড়ায় নিশাচর এই প্রাণীটি নিয়ে শিশুমনের কিছু প্রশ্ন যথা ভোঁদড় কোথায় থাকে , কি খায়, বাচ্চা দেয় না ডিম দেয়, নৌকা বড় না বোয়াল মাছ বড়, ভোঁদড় কিভাবে নাচে ইত্যাদি হরেক রকম প্রশ্নের মুখে নীজকে বড়ই অসহায় মনে হল । তাই কিছুটা অনুসন্ধানে ভোঁদড়কে নিয়ে যা পাওয়া গেল তা সকলের সাথে শেয়ার করার মানষে এই লিখার অবতারনা । আমরা অনেকেই জানি, ভোঁদড় একটি আধা জলচর মৎস্যভূক স্তন্যপায়ী প্রাণী। ছোট কান, চওড়া মাথা তেলতেলা শরীর, লম্বা লেজ , হাসের পালকের মত পা নিয়ে গঠিত প্রাণীটি দেখতে বেশ সুন্দর । অস্ট্রেলিয়া ও এন্টারটিকা ছাড়া পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশেই ভোঁদড় আছে, ভোঁদড়েরা পৃথিবীর বুকে আছে প্রায় ৩ কোটি বছর ধরে । বাংলাদেশে ভোঁদড়ের তিনটি প্রজাতি দেখা যায়; যথা ওরিয়নটাল ইন্ডিয়ান স্মল ক্লোড ওটার, ইউরেসিয়ান ওটার ও ইন্ডিয়ান স্মোথ কোটেড ওটার। উল্লেখ্য ভোঁদড়কে ইংরেজীতে ‘ওটার’ বলে । সবগুলির বাংলা নাম হচ্ছে উদ , উদবিড়াল ও ভোঁদড় বা মাছনেউল ।
ছবি- ২/২৮ : বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রজাতির ভোঁদড়
বাংলাদেশে যে ভোঁদড়টি বেশী পাওয়া যায় সেটা হলো ইন্ডিয়ান স্মোথ কোটেড ওটার । বাংলাদেশের প্রায় সব নদীতেই এদের পাওয়া যায় ।
ছবি -৩/২৮ : ইন্ডিয়ান স্মোথ কোটেড ওটার বা ভোঁদড়
ভোঁদড় সাধারণত লিপ্তপদী অর্থাৎ হাঁসের পায়ের মতো আঙ্গুলগুলো পাতলা পর্দা দিয়ে জোড়া লাগানো ফলে এরা সাতারে হয় পটু ।
ছবি -৪/ ২৮ : হাসের পায়ের মত ভোঁদড়ের পা
এদের লেজ মোটা আকারের এবং শরীর লম্বাটে গড়নের। বেশির ভাগেরই পায়ে ধারালো নখযুক্ত থাবা আছে। সাঁতার কাটার সময়ে ভোঁদড়ের নাক ও কানের ফুটো বন্ধ থাকে। এদের নাকের ডগায় লম্বা গোঁফের মতো খাড়া লোম থাকে। এদের শক্তিশালী ছুঁচালো দাঁত আর মাড়ি পিচ্ছিল শিকার ধরতে বা মাছের মুড়ো চিবোতে অত্যন্ত কার্যকর।এদের লেজ চ্যাপ্টা, ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি। ভোঁদড় লিপ্তপদী বলে পানির নিচে খুব ভালো সাঁতার কাটতে পারে এবং পানির উপরে মাথা না তুলে ডুব দিয়ে একবারে প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
ছবি- ৫/২৮ : পানিতে ডুব দিয়ে ভোঁদড়ের চলা
ভোঁদড় বা উদবিড়ালের একপ্রকার বিকট গন্ধ রয়েছে; অভিজ্ঞজনেরাও এ গন্ধকে বাঘের গন্ধ বলে ভুল করতে পারেন। ভোঁদড়েরা দলবেঁধে থাকলে প্রচন্ড চেঁচায়। অধিকাংশ সময় এরা বাচ্চা সাথে নিয়ে শিকার খোঁজে। ভোঁদড়ের মূল খাদ্য মাছ, তবে এরা অন্যান্য জলজ অমেরুদন্ডী প্রাণী, যেমন: কাঁকড়া, পানির ব্যাঙ ইত্যাদিও দলবেঁধে শিকার করে থাকে।
ছবি- ৬/ ২৮ : ভোঁদড়ের মাছ ও কাঁকড়া শিকার
বেশিরভাগ ভোঁদড় জলাশয়ের কিনারে, গর্তে বাস করে। শিকার করা বা ভ্রমণের উদ্দেশ্য ছাড়া এরা পানিতে নামে না, ডাঙাতেই বেশিরভাগ সময় কাটায়। ভোঁদড়, জোয়ারপ্রবণ এলাকায় বাসা তৈরি করে, জোয়ার-সীমানার উঁচুতে কোনো বড় গাছের তলায় গর্ত করে। গর্তের কয়েকটি মুখ থাকে, নদীর তলদেশ পর্যন্ত গর্ত থাকে , শত্রুর আক্রমন ঘটলে এই সুরঙ্গ পথে এরা পালিয়ে যায় । গর্তে ঢুকতে হয় জলের তলা দিয়ে। কিন্তু বাচ্চা প্রসবের জায়গাটি থাকে শুকনো এলাকায়।
ছবি- ৭/২৮ : গর্ত হতে ভোঁদড়দের সুরঙ্গ পথে নদীতে নেমে আসা ও প্রয়োজনে সে পথেই পলায়ন করা
ভোঁদড় সমাজবদ্ধ জীব। এরা বেশ ক্রীড়াপ্রবণও। বুদ্ধিমান এই প্রাণীগুলো বেশ বন্ধুবৎসল এবং সহজেই পোষ মানে। অনেক স্থানে, বিশেষত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও সুন্দরবন এলাকায় পোষা ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে শতাদ্বিকাল ধরে যা এই পোস্টের পরবর্তী অংশে দেখা যাবে ।
ছবি- ৮/২৮ : ভোঁদড়দের দলবদ্ধভাবে বসবাস
ছবি- ৯/২৮ : আমাদের সুন্দরবনে যে ভোঁদড়টি পাওয়া যায় সেটি হলো ওরিয়েনটাল স্মল ক্লৌড ওটার
ভোঁদড়ের গর্ভকাল ২ মাস । ভোঁদড় জলাজয়ের ধারে জোয়ার থেকে দুরে গর্তের ভিতরে লতাপাতার বিছানো সয্যায় প্রতিবারে ৩ থেকে ৪ টি বাচ্চা জন্ম দেয়।
ছবি- ১০/২৮ : নবজাতক ভোঁদড়ের বাচ্চা
ছবি- ১১/ ২৮ : জন্মের পর বাচ্চার চোখ বন্ধ থাকে
ছবি- ১২/২৮ : চার হতে পাঁচ সপ্তাহ পরে ভোঁদড়ের বাচ্চার চোখ ফুটে
জন্মের পর বাচ্চা ৬ মাস মায়ের সাথে থাকে , এ সময় বাবা মাছ ধরে বাচ্চাকে খাওয়ায় ও গর্তের বাহিরে থেকে পাহারা দেয় । ২ মাস বয়স থেকে মা বাচ্চাদেরকে শিকার ধরতে শিখায় এসময় বাচ্চাদেকে মা খেলা ও সাতার শিখায় ।
ছবি- ১৩/২৮ : বাচ্চার খেলা ও সাতার শিক্ষা
ছবি- ১৪/২৮ : ভোঁদড়েরা কাঁদায় গড়াগড়ি করতে বেশী পছন্দ করে
আগেই বলা হয়েছে ভোঁদড় সাতার ও মাছ ধরায় বেশ পটু । তাই বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চল বিশেষ করে নড়াইল ও সুন্দরবন এলাকার জেলেরা এদেরকে পোষ মানিয়ে ও প্রশিক্ষন দিয়ে মাছ ধরার কাজে লাগায় । ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরা প্রক্রিয়াটি বেশ টেকনিকেল । দু’জন জেলে নৌকা চালায়। দু’জন জাল ধরে রাখে। জেলেদের এক একটা নৌকায় ৪/৫ টা ভোঁদড় বা ধাইরা থাকে ( সুন্দরবন এলাকায় ভোঁদড়কে ধাইরা বলে) । ভোঁদড়কে জালের সঙ্গে পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদের গলায় রশি দিয়ে বাধা থাকে। জেলেদের প্রশিক্ষনলব্দ ভোঁদড় মাছকে তাড়িয়ে পানিতে পেতে রাখা জালের দিকে নিয়ে আসে । জেলেরা ভোঁদড়ের গায়ে রসি লাগিয়ে এর দিক নিয়ন্ত্রন করে ।জাল থাকে ভোঁদড়ের পিছনে ,জালের সামনে থাকা ভোঁদড়গুলি মাছকে জালের দিকে তাড়া করে , ঝোপ ঝারে , কোটরে বা মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকা মাছগুলি ভোঁদড়ের তাড়া খেয়ে বের হয়ে আসলে ভোঁদড় সেগুলিকে জালের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে আসে , সে গুলি পরিনামে জেলের জালে ধরা পরে । এসব ভোঁদড় যত বেশি মাছ খায় তার চেয়ে বেশী মাছ ধরে । এভাবে জেলেকে মাছ ধরার কাজে সাহায্য করে ।
ছবি- ১৫/ ২৮ : গলায় রশি বেধে ভোঁদড়কে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে নদীর পানিতে
এরা মাছ তাড়িয়ে এনে জালে প্রবেশ করায়। কখনো কখনো ডুব দিয়ে বড় মাছ ধরে এনে তুলে দেয় জেলের হাতে।
ছবি- ১৬/২৮ : মাছের সম্ভাব্য অবস্থান বিবেচনায় ভোঁদড় সমেত জেলেদের স্থান পরিবর্তন
ছবি- ১৭/২৮ : ভোঁদড় পানিতে থাকা মাছকে তাড়িয়ে জালের দিকে নিয়ে আসছে( ১)
ছবি- ১৮/ ২৮ : ভোঁদড় পানিতে থাকা মাছকে তাড়িয়ে জালের দিকে নিয়ে আসছে( ২)
ছবি- ১৯/ ২৮ : জেলেরা জালে আটকে পরা মাছকে নৌকায় টেনে তুলছে
নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম গোয়ালবাড়ি। এ গ্রামে জেলেরা খেয়ে না খেয়ে সংরক্ষণ করে চলেছে বিলুপ্তপ্রায় ভোঁদড়। স্থানীয় ভাষায় এদের ধেঁড়ে নামে ডাকা হয়। জেলেদের জীবিকার অন্যতম হাতিয়ার এই ভোঁদড়, কেননা এই ভোঁদড় দিয়ে তারা মাছ ধরে। তাই ভোঁদড় তাদের সন্তানের মতো। নিজের সন্তানকে খেতে দিতে না পারলেও ভোঁদড়ের বাচ্চাকে গরুর দুধ খাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে এই গ্রামের লোকেরা। ওই ভোঁদড়রাই জেলেদের জালে তুলে দিচ্ছে ট্যাংরা, পুটি, বাইন , শোল গজার বোয়ালসহ নানা জাতের মাছ । এ কারণে ভোঁদড় সেখানকার জেলেদের কাছে খুবই প্রিয় ।
ছবি- ২০/২৮ : নড়াইলের চিত্রা নদীতে ভোঁদড়ের সহায়তায় জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য ।
নড়াইল শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দুরে কলোড়া ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি নামক একটি গ্রামের জেলে পাড়ায় প্রায় শতাধিক পরিবার বসবাস করে। এদের অধিকাংশই খাল-বিল, নদী-নালা থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। পরিবারের মহিলারা বাড়িতে বসে জাল তৈরি, কোথাও জাল কেটে গেলে ঠিক করাসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকে। কত বছর ধরে তারা ভোঁদড়ের সাহায্যে মাছ ধরছে তার সঠিক তথ্য কেউ জানাতে না পারলেও তাদের বাবা, ঠাকুর দাদারা এর সাহায্যে মাছ শিকার করত বলে জানা যায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম হতে।
ছবি- ২১ /২৮ : পরিবারের মহিলারা বাড়িতে বসে জাল তৈরি করছে
ছবি- ২২/ ২৮ : নড়াইলের ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরা জেলে ও তাদের নৌকা
ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকারের এই পেশাটি বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়। প্রায় ২শ’ বছর ধরে মাছ শিকার করে আসছেন এলাকার জেলে পরিবারগুলো। প্রতিটি জেলে নৌকার একপ্রান্তে জেলেদের থাকার ঘর আরেক প্রান্তে ভোদড়ের জন্য আলাদা করে ঘর বানানো থাকে। এই ঘরে ওরা রাতে ঘুমায়। মাছ ধরার সময় হলে ঘরের ডালা খুলে দিলেই লাফিয়ে পড়ে পানিতে তারপর মাছ শিকার করতে থাকে। বছরের অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে নদীতে মাছ থাকে তাই ভোদড়দের খাবারের জন্য বাড়তি পয়সা ব্যয় করতে হয় না। জেলেদের ধরা মাছেই তাদের খাওয়া চলে যায়। কিন্তু বাকি সময়ে নদীতে মাছ কমে যাওয়ায় সে সময় বাইরে থেকে মাছ কিনে খাওয়াতে হয় এদের । জেলেরা ভোঁদড়গুলোকে সন্তানের মত লালন পালন করে।
জেলেদের পোষা একটি মা ভোঁদড় প্রতিবছর ৪/৫ টি বাচ্চা জন্ম দেয়। বাঁচ্চা ভোঁদড় মায়ের দুধ ও গরুর দুধ পান করে। এরা বাচ্চা গুলির সুন্দর সুন্দর নামও দেয়, নড়াইলের নদীর নাম যথা চিত্রা, নবগঙ্গা প্রভৃতি নামে এরা বাচ্চাদের নামকরণ করে । বাচ্চার বয়স ছয় মাস পার হলে এরাই মাছ ধরার জন্য পানিতে নামে।
ছবি- ২৩/২৮ : জেলেদের পোষা ভোঁদড়ের বাচ্চা চিত্রা ও নবগঙ্গা
নদীতে মাছের পরিমান কমে যাওয়ায় ভোঁদড়কে ঠিকমতে খাবার যোগান দেয়া জেলে পরিবারদের জন্য ক্রমেই দু:সাধ্য হয়ে পরছে । ভোঁদড়েরা সাধারণত তাদের শরীরের ওজনের তুলনায় ২০ পারসেন্ট পরিমাপের খাদ্য দৈনিক খায় । তাই মাছ আহরনের সিজনের বাইরে এদের জন্য মাছের যোগান দেয়া বেশ কঠীন হয়ে পরে । ক্ষুধার তাড়নায় ভোঁদড়েরা অনেক সময় অস্থির হয়ে উঠে, প্রচন্ড চিল্লা চিল্লি করে মাতিয়ে তুলে জেলে পাড়া ।
ছবি- ২৪/২৮ : ক্ষুধার্থ ভোঁদড়ের চিল্লা চিল্লির দৃশ্য ।
নদী-খালে পর্যাপ্ত পরিমানে মাছ না থাকায় ভোঁদড়দেরে উপযুক্তভাবে পরিচর্চায় অপারগতার কারণে অনেকে ভোঁদড় বিক্রি করে দিচ্ছে বলে জানা যায়। একটি ভোঁদড় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বিক্রি হয়।
ছবি- ২৫/২৮ : বিক্রয়ের জন্য রাখা ভোঁদড়ের পাল
ভোঁদড়ের চামরা খুবই মুল্যবান ও এর চাহিদা বিশ্বের সর্বত্র । তাছাড়া জেলেদের বন্ধু হিসাবে এর গুরুত্ব অপরিসীম । বিভিন্ন চিরিয়াখানায় ও সার্কাসে এদেরকে দিয়ে দেশে বিদেশে বিপুল সংখ্যক দর্শকের চিত্তবিনোদন ও মনোরঞ্জন ঘটানো হয় ।
ছবি-২৬/ ২৮ : ভোঁদড় দিয়ে চিড়িয়াখানায় দর্শক মনোরঞ্জন
বর্তমানে বাংলাদেশে ভোঁদড়ের সংখ্যা আশংকা জনকভাবে কমে যাচ্ছে । কারনে অকারণে এদেরকে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা করা হচ্ছে । তাই দিন দিন এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে । বাংলাদেশের রাজশাহী , বগুড়া , দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে প্রচুর সাওতাল নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠির বসবাস । এদের কাছে মাছ , কাঁকড়া , শুকর ,বন মোরগ মুরগি , বন জঙ্গলের পশু , পাখি , খরগোশ , গুইসাপ , ইঁদুর, বেঁজি ও ভোঁদড়ের মাংস খুবই প্রিয় খাবার । এরা পাকা শিকাড়িও বটে । এদের কাছেও এই উদবিড়াল তথা ভোঁদড়েরা মাঝে মাঝেই ধরা খেয়ে নিধন হচ্ছে । দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ময়মনসিংহ , নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের হাউর বাউর এলাকায় প্রচুর ইউরেশিয়া ভোঁদড় এর বসবাস । নীশাচর এই প্রাণীটি রাতের আধারে পুকুর জলাশয় ও মাছের খামার হতে মাছ খেয়ে ফেলে বলে এদেরকে সুযোগ পেলেই স্থানীয়রা নিধন করে ফেলে । একদিকে খারারের দুস্প্রাপ্যতা অন্যদিকে মানুষের হাতে পরে এরা সারাদেশেই দ্রুত বিলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে । বাংলাদেশে তাই ভোঁদড় এখন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী হিসাবে ঘোষিত । জীববৈচিত্র রক্ষার জন্য এদের জন্য প্রয়োজন নিরাপদ অভয়ারন্য ও কনজারভেশন ।
উল্লেখ্য যে জাপানে ২০১২ সনে ভোঁদড় বিলুপ্ত প্রাণী হিসাবে ঘোষিত হয়েছে , অধুনা তারা ভোঁদড়কে হোক্কাইডো দ্বীপের বনে বাদারে পুণর্বাসিত করার জন্য একটি কর্মসুচী হাতে নিয়েছে । International Otter Survival Fund (IOSF) নামে একটি সংগঠন এ লক্ষ্যে তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করছে ।
ছবি- ২৭/২৮ : জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপে বিলুপ্তঘোষিত ভোঁদড় পুর্নবাসন কার্যক্রম ।
জানা যায় IOSF সারা বিশ্বব্যপী বিলুপ্তপ্রায় ভোঁদড় সংরক্ষনের জন্যও সহায়তা করছে । এই প্রানীটিকে সংরক্ষনের জন্য IOSF এর সহায়তায় জাহাঙ্গীরনগড় বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের গবেষক শিক্ষক ড: ফিরোজ Wildlife Rescue Centre (WRC) এর অংশ হিসাবে একটি Otter Rescue Centre স্থাপন করেছেন বলে জানা যায় ।
দেশের সংস্লিস্ট সরকারী ও বেসরকারী এনজিওরাও সুন্দরবন এলাকাসহ দেশের অপরাপর স্থানে যথোপযুক্ত প্রকল্প প্রনয়নের মাধ্যমে IOSF এর কাছ হতে সহায়তা নিতে পারেন । নিন্মে তাদের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা দেয়া হল।
ছবি- ২৮/২৮ : International Otter Survival Fund (IOSF) এর অবস্থান ও ঠিকানা
বাংলাদেশের জীব বৈচিত্র হতে বিলুপ্ত প্রায় এই প্রাণীটি নীজেদের টিকে থাকার জন্য সহৃদয় মানুষের সাহায্য চায় ।
ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ।
সুত্র :
১) গুগল অন্তর জাল
২) প্রকৃতি ও ভোঁদড়, চ্যনেল আই, ঢাকা, বাংলাদেশ
৩) ভোঁদড় , এশিয়াটি সোসাইটি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
৪) IOSF : Available at Click This Link
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ কবীর ভাই, প্রথম মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
ফিরার আশায় থাকলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২
প্রামানিক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো । ধন্যবাদ
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক খুশী হলাম এসে দেখেছেন বলে ।
আপনার টাকি মাছের ছড়ার কথাটি ভুলিনি । ঐটা মাথার মধ্যে ঘুরছে ।
টাকি, লাটি, চেং, রাগগুয়া, শোল , গজার কত না এর প্রকার ও এদের
নিয়ে কিছছা কাহিণী, এদেরকে নিয়ে পড়াশুনা করছি, একটু ধারনাটা
পোক্তা হলে এগুলি নিয়ে হাজির হওয়ার আশা রাখি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
ভোঁদড় দিয়ে জেলেদের মাছ শিকারের কাহিনী অদ্ভুত লাগলো । আরও বেশী অদ্ভুত লাগলো আপনার সৃজনশীলতা ।
কোন বিষয়টা বাদ দেবেন বলেন তো ?
লেখায় ভোঁদড় সংরক্ষনের যে সচেতনতার কথা বলেছেন তা ভালো লাগলো ।
+++++
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই । আপনার প্রসংসায় অনুপ্রাণীত ।
ভোঁদড় সংরক্ষনের সচেতনতার বিষয়টি ভাল লেগেছে জেনে
অনেক খুশী হয়েছি । লিখায় প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
শুভেচ্ছা জানবেন ।
৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৪
ভাবনা ২ বলেছেন: ভোদর সমাচার পাঠে এই প্রাণীটির বিষয়ে অনেক কিছু জানা হল।
এর যথাযথ সংরক্ষন কামনা করি ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভোদর সমাচার ভাল লাগল জেনে খুশী হলাম ।
এর সংরক্ষনে নীজ অবস্থানে থেকে জনমত গঠনে
অআমরা সকলে সহায়তা করতে পারি
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের সাধারণ মানুষ বন্য প্রাণীকে মেরে ফেলতে সদা প্রস্তুত; এটা জঘন্য স্বভাব। শিয়াল, বনবিড়াল, বাঘদাশ কাউকে দেখলেই হলো, অমনি লাঠি নিয়ে প্রস্তুত।
মনে হয়, নোয়াখালী ও উত্তর চট্টগ্রামে "উদ" আর নেই, এরা উদ মেরে ফেলেছে চামড়ার জন্য।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: নোয়াখালী ও উত্তর চট্টগ্রামের উদের বিষয়ে গুরুত্বপুর্ণ তথ্যের জন্য ধন্যবাদ । এই প্রাণীদের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে গনসচেতনতা সৃস্টির জন্য সকলের ঐকান্তিক সহযোগীতা প্রয়োজন ।
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: চমৎকার! কী মায়াবী চেহারা। মন কেড়ে নেয়। এমন একটি পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ জল কাদায় বসবাসকারী জেলে বান্ধব এই ভোঁদড়দেরকে মায়াবী চেহারার বলে অনুভুত হওয়ার জন্য । কামনা করি সকলের চোখে এদেরকে মায়াবী অনুভুত হোক , সকলেই সহৃদয় হয়ে এদের সংরক্ষনে এগিয়ে আসুক ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০২
সোহানী বলেছেন: আলীভাই, আপনি এমনসব বিষয় নিয়ে আসেন যা আমার জ্ঞানের বাইরে। ভোদর সম্পর্কে এ প্রথম জানলাম। যদি জেলেরা মাছ ধরার জন্য এটা পালে তাহলেতো বিলুপ্ত হবার কথা না তাই না? ...তারপরও দেশে যেভাবে জলাশূন্য হচ্ছে এমনিতেইতো জেলে পরিবারই শূণ্য হবার দশা আর সাথেতো ভোদর বিলুপ্ত হবেই....
সবকথার আসল হলো জলাভূমি ঠিক করতে হবে কিন্তু কিভাবে?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সোহানী , ঠিক কথাই বলেছেন জলাভুমির সাথে ভোঁদড় ও জেলেদের বড় ধরনের কো-রিলেশন রয়েছে । জলাভুমির পরিমান কমে গেলে সাথে সাথে সবকিছুই এমনিতেই কমে যাবে । তাই জলাভুমি রক্ষা ও এদের নাব্যতার দিকে সযত্ন দৃস্টি দিতে হবে । নদী ড্রেজিং নিয়মিতভাবে করতে হবে , খাল পুণখনন করতে হবে , দেশের বদ্দ জলাসয়গুলিতে সারা বছর পানি থাকার পরিবেশ সৃস্টি করতে হবে, জলাসয় , নদী, খাল বিলের ধারে বনভুমিতে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে , খাল বিল নদীতে পরিকল্পিতভাবে মৎস চাষ বাড়াতে হবে । খাল বিলে মাছের পরিমান কমে যাওয়ায় জেলেরা ভোঁদড়দেরকে মাছের অফসিজনে পর্যাপ্ত পরিমানে মাছ খেতে দিতে পারছেনা বলে এদের ভরন পোষনে সমস্যার সন্মুখীন হচ্ছে , তাই জেলেদের কাছে এদের লালন পালনও কমে আসছে , অনেকে অভাবের তারনায় এদেরকে বিক্রি করে দিচ্ছে । এর হাত হতে বাচতে হলে আপনার কথামত জলাভুমি ঠিক করতে হবে আগে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৭
blackant বলেছেন: খুব ভাল পোস্ট লিখেছেন। উৎসাহ।।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম । ধন্যবাদ পোস্ট ভাল লাগায় ও উৎসাহ দেওয়ায় ।
শুভ কামনা রইল ।
৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লাগলো ,অতি সাধারন এক উদ বিড়াল এর কত কাহিনী ।
আজকাল গ্রামে গেলে এসব কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না
অট্টহাসির হায়না ,বাগদাশ , শুশুক, তক্ষক , এমন কি দাঁড়াস সাপ ও অনেক কম দেখি ,মায়ের কাছে গল্প শুনেছি সাজারু ও নিত্য চলাচল করত নাকি সেসব যায়গায় এক সময় ।
সংরক্ষণ সময়ের দাবী ।
শুভ কামনা
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব খুশী হলাম আপুমনি এসে দেখায় । সত্যিই গ্রামে এদের খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল । গ্রামের লোকেরা বিশ্বাস করে উদবিড়াল তথা ভোঁদড়েরা তাদের জন্য একটা আপদ বিশেষ করে যাদের বাড়ীর সামনে বা পিছনে ছোট পুকুর বা জলাসয় আছে । শীতকালে পানি শুকিয়ে যখন প্রায় তলানীতে চলে আসে তখন তারা মনে করে রাতের আঁধারে নিশাচর ভোঁদড়েরা তাদের জলাসয়ের মাছ খেয়ে যায়, তাই সুযোগ পেলেই এদের ধরে মেরে ফেলে , মনে করে আপদ দুর হলো । তাদের এই বিশ্বাস যুগ যুগ ধরে চলে আসছে । তাদেরকে তাই সচেতন করা প্রয়োজন সেই সাথে উপযুক্ত কর্মপন্থা গ্রহনও । বন্যপ্রাণী সংরক্ষনে নিয়োজিত সংস্লিস্টজনেরা খুঁজে বের করুন এ বিষয়ে কি করা যায় , আমরা শুধু এদের সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তার পতাকাটা তুলে ধরলাম ।
এদের সংরক্ষনের বিষয়ে সহমতের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনন্য! অসাধারন!
মুগ্ধ হয়ে পাঠ করলাম!
দারুন সব বিষয় নিয়ে অনন্য ব্লগিংয়ে আপনি অতুলনীয়
+++++++++++
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট অসাধারণ অনুভুত হওয়ায় আপ্লুত ও অনুপ্রাণীত ।
আমাদের চারপাশে থাকা ছোঠ খাট অনেক বিষয়ের খুটি নাটি
নিয়ে আমরা অনেক সময় তেমন বিস্তারিত কিছু ভাবিনা ।
তাই মনের মধ্যে একটি বাসনা থাকে কিছু বিষয় হারিয়ে
যাওয়ার আগে আমাদের নবপ্রজন্মের কাছে সেসবের
যতসামান্য বারতা তুলে ধরা । আমাদের ইয়ং
টেলেন্টেড জেনারেশন বিষয়গুলি নিয়ে আরো
অনেকদুর এগিয়ে যেতে পারবে বলে আমার
বিশ্বাস ।
লিখার উপর অসংখ প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।
১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৮
জীবন সাগর বলেছেন: সত্যিই ভোঁদড় সম্পর্কে এত জানতাম না। আসলে ভোঁদড় কি এটাই জানতাম না। বেজি বা নেউল জাতীয় কিছু হবে এইটুকুই জানতাম। আপনার পোষ্টটি পেয়ে ভালো হলো। আজ ভোঁদড় সম্পর্কিত পূর্ণ তথ্য ও ব্যাবহার জানতে পারলাম।
অনেক ভালো একটা পোষ্ট। যদিও আপনার সবগুলি পোষ্টই ভাল। আমি যে কয়েকট পড়েছি, তাতে বুঝেছি আপনার পোষ্ট গুলি খুবই জ্ঞানময়, তথ্যসংবলিত।
ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইল
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ জীবন সাগর । ভাল লাগল আপনার কথা শুনে ।
ভোঁদর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন শুনে খুশী
হলাম । ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৪
সুমন কর বলেছেন: ছোট করেই বলছি, আপনার পোস্টগুলো সামুর সম্পদ।
+।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দাদা । আপনার কথা শুনে দারুনভাবে অনুপ্রাণীত ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: দারুন পোষ্ট ভাইয়া । একবার ন্যাট জিও বা ডিসকভারীতে সুন্দরবনে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার একটা ডকুমেন্টারী দেখেছিলাম ।
আজ অনেক দিন পরে আপনার পোষ্ট দেখে আমার মনে পড়ে গেল,
ওরে ভোঁদড় ফিরে চা,
খোকার নাচন দেখে যা
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পোস্ট দারুন অনুভুত হওয়ায় । আপনি ঠিকই বলেছেন , দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সুন্দরবনে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার ডকুমেন্টারী দেখানো হয়েছে , গুগল অন্তরজাল ব্যবহার করে সেগুলি ধরে ধরে এনে এটা এখানে গ্রতিথ হয়েছে । মুল কৃতিত্বটা তাদেরই । তথ্য ও ছবিগুলিকে শেয়ার করে এই বিপন্ন প্রাণীকুলকে সংরক্ষনের জন্য জনমত গড়ার কাজে স্মৃতিকে জাগরুক করাই হলো মুল লক্ষ্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৬
পুলহ বলেছেন: ইউটিউব লিংকটা সম্ভবত কাজ করছে না আলী ভাই।
"ভোঁদড় বা উদবিড়ালের একপ্রকার বিকট গন্ধ রয়েছে; অভিজ্ঞজনেরাও এ গন্ধকে বাঘের গন্ধ বলে ভুল করতে পারেন। "-- ৬/২৮ ছবির ভোদড়টাকে বাঘের মতই লাগছে অনেকটাঃ চিতাবাঘ !
ভোদড় যদি নিশাচর প্রাণী হয়, তাহলে তাদেরকে দিয়ে রাতে মাছ শিকারটাই তো বোধহয় জেলেদের জন্য সহজ। নাকি?
সত্যি আপনার পোস্ট পড়ে আনন্দ পাই। শুভকামনা জানবেন ভাই!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । সম্ভবত ইউটিউবের কোন লিংকের শেষ কটি ডিজিট মুছে গিয়েছে অসাবধানতার কারণে , আমি একটু চেক করে ঠিক করে দিব । হাা ৬ নং চিত্রের ভোঁদড়টাকে বাঘের মতই দেখাচ্চে , চিতা বাঘের মত গায়ে হলুদের মাঝে টিক্কাপুরা দাগ থাকলে বাঘ বলে চালিয়ে দেয়া যেতো !!
ভোঁদর আসলেই নিশাচর প্রাণী , জঙ্গলে যখন এরা স্বাধিনভাবে থাকে তখন এরা রাতে বের হয় শিকারের খুজে, দিনে মানুষের কিংবা অন্য কোন ভয়ে বের হয়না, আর রাতেই এরা শিকার করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে । জেলেদের পোষা ভোঁদড় গুলি প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত , এদেরকে জেলেরা দিনে রাতে যখন প্রয়োজন পরে তখন সেভাবে ব্যবহার করে ।
পোস্ট পড়ে আনন্দ পান শুনে ভাল লাগল ।
আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল ।
১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: অতুলনীয়,, অনেক কিছু জানলাম...
শুভ কামনা রইলো।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । কিছুটা জানাতে পেরেছি শুনে খুশী হলাম ।
শুভ কামনা রইল ।
১৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:১২
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: অনন্য, অসাধারন!
মনোমুগদ্ধকর তথ্যপূর্ণ পোস্ট!
প্লাস!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট অসাধারণ অনুভুত হ ওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ রহমান ভাই ।
প্রাণডালা শুভেচ্ছা রইল ।
১৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:১৫
জীবন সাগর বলেছেন: সুপ্রভাত ভাই।
আছেন দেখেই সকালের শুভেচ্ছা দিতে আবার আসলাম।
ভালো থাকুন। শুভকামনা সবসময়
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার প্রতিও রইল সুপ্রভাত
দিনটি ভাল কাটুক এ কামনাই রইল ।
১৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৩
খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: ভোঁদড় নিয়ে একটা তথ্যবহুল পোস্ট দিলেন ভাইয়া।অনেক সুন্দর লেখেন আপনি।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বোন নাহার, আপনার সুললিত প্রসংসায় অনুপ্রানীত হলাম ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমি একবার গোপালগন্জের কাশিয়ানী থানায় দেখেছিলাম ভোদড় দিয়ে মাছ ধরা। দারুন একটা পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্টটি দারুন অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ সোহেল ভাই, গোপালগন্জের কাশিয়ানীতে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরা হয় শুনে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
২০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৮
নীলপরি বলেছেন: আয়রে আয় টিয়ে
নায়ে ভর দিয়ে
না নিয়ে গেল বোয়াল মাছে
তাই না দেখে ভোঁদড় নাচে
ছড়াটা প্রথমেই নস্টালজিক করে দিল । নস্টালজিয়ায় ভর করে পড়া শুরু করলাম আর অসাধারণ সব তথ্য জানলাম । অনবদ্য পোষ্টে +++++++++++++++++++++++++++++
শুভকামনা ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্টের তথ্য অসাধারণ অনুভুত হওয়ার কথা শুনে খুব খুশী হলাম ।
ছড়াটি বাংলাভাষি প্রথম শ্রেণীর শিশু থেকে শুরু করে প্রায় সকল
শিক্ষিত লোকের মুখে মুখে ঘুরে । তবে আনেকেই এই ভোঁদরটিকে
দেখেন নি কিংবা তেমন কিছু জানেন না । আমিও এ বিষয়ে তেমন
জানতামনা ।
পোস্টে অগনিত প্লাস দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমাদের এলকায় ভোঁদর হয়ত জীবনে দু’এক বার দেখেছি কিন্তু নড়াইলের লোহাগড়া, মাগুড়ার মোহাম্মদপুরে এবং কালিশংকরপুরে অনেকবার ভোদর দেখেছি। আমার কাছে নড়াইলের নবগঙ্গা নদীতে ভোঁদর দিয়ে মাছ শিকারের দৃশ্য দেখার মত ছিল।
নড়াইল ও মাগুড়ার কাঁঠ বিড়ালী আমার কাছে ছিল এক আকর্ষণীয় প্রাণীর নাম। সেখানে রাস্তায় ও গ্রামের গাছ/গাছালীতে কাঁঠ বিড়ালীর দোঁড়া-দৌঁড়ি আমাকে মুগ্ধ করত।
ধন্যবাদ, ভোঁদর কে ব্লগে ইনপুট দেয়ার জন্য।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাই শাহাদাৎ হোসাইন আপনি ভাগ্যমানদের একজন যারা ভোঁদড়কে পাকৃতিক পরিবেশে স্বচক্ষে দেখেছেন ।
নড়াইলের লোহাগড়া, মাগুড়ার মোহাম্মদপুরে এবং কালিশংকরপুরে ভোঁদড়ের অবস্থান আছে জেনে খুশী
হলাম । আমার মনে হয় নড়াইল এলাকার লোকদের কাছে ভোঁদর একটি প্রিয় প্রাণী , সে এলাকায় ভোঁদরের
জন্য অভয়ারন্য বা কনজারভেশন গড়ে তুলা যায় । বিষয়টি প্রাণী বিজ্ঞানীরা ভেবে দেখতে পারেন ।
কতেক নৃতাত্বিক জনগুষ্ঠির লোকেরা কাঠ বিড়ালী ধরে খেয়ে ফেলায় ও কাঠ বিড়ালী গাছের ফলমুল ও বিশেষ করে কচি ডাব খেয়ে কৃষকের ক্ষতি করে দেখে অনেক জায়গায় কৃষকেরা ফাদ পেতে কাঠবিড়ালী ধরে এই প্রাণীটিকেও দ্রুত বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে । এদের রক্ষার জন্যও জনসচেতনতা প্রয়োজন । এদেরকে নিয়ে আপনার সচেতনতা দেখে আমি মুগ্ধ ।
শুভেচ্ছা রইল
২২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০২
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ভোঁদড় নিয়ে একটা তথ্যবহুল পোষ্টে জন্য ধন্যবাদ ভাই । দিন দিন ভোঁদড় হারিয়ে যাচ্ছে। আর গ্রামের লোকজনের ধারণা করে যে, ভোঁদড়ের চর্বি দিয়ে বানানো তৈলে বাতের ব্যাথা উপশম করে। খুব সম্ভবত গ্রামের লোকজন ভোঁদড়কে অন্য নামে ডাকে। এ দিয়ে মাছ ধরার বিষয়টা জানা ছিল না ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: হ্যা ঠিকই বলেছেন ভাই, দিন দিন ভোঁদড় হারিয়ে যাচ্ছে । দেশের জীব বৈচিত্র রক্ষার জন্য এদের
সংরক্ষন প্রয়োজন । ভোঁদড়ের চর্বী দিয়ে বাতের ব্যথার উপশমের কথা জানা ছিলনা । তাহলে তো
দেখা যায় এরা মানবের জন্য আরো একটি গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখতে পারে । । ভোঁদড়কে বিভিন্ন
জায়গায় বিভিন্ন নামে ডাকে । সুন্দরবন ও নড়াইল এলাকায় এদেরকে ধাইর বা ধেরে নামে ডাকে ,
ময়মনসিংহ , জামালপুর, কিশুরগঞ্জ ও নেত্রকোনায় এদেরকে উদ বা মেছু বিড়াল নামে ডাকে ।
যাহোক আবার এসে অনেক মুল্যবান তথ্য দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১০
সামিয়া বলেছেন: ভালোলাগলো ভোঁদড় আর্টিকেল । অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া অনেক কিছু জানা গেলো।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভোঁদড় নিয়ে লিখাটি ভাল লাগল শুনে খুশী হলাম । নিকের হাতের মুঠোর ভিতরে ধরে রাখা বিষযটিকে অনেকটা ভোঁদরের বাচ্চার মুখের মত দেখা যায় !!! । ভোঁদড়ের বাচ্চা কোলে নিয়ে ছেলে মেয়েরা কত আদর করে তা নীচের একটি ছবিতে দেখা যায় । সকলের কাছে এমন ভোঁদর প্রিতি হলে ভোঁদড়রা বেচে যায় ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার পোষ্ট মানেই সব সময় বিশেষ কিছু, ডিসকভারিতে ভোদরদের দিয়ে মাছ ধরতে দেখেছিলাম। ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কামাল ভাই খুব খুশী হলাম এসে দেখার জন্য । আপনার পোস্টের ছবিগুলি সামুর জন্য খুবই মুল্যবান, কারন সে গুলি মৌলিক ও ছবির প্রাথমিক উৎস, যেখান হতে পাওয়া যায় ধারনা ও সচিত্র প্রাথমিক তথ্য । এটা অসামান্য প্রয়াস লব্দ অবদান , কৃতজ্ঞতা চিত্তে স্মরণ করি তা । পোস্টটি আপনার কাছে ভাল লাগায় আপ্লুত ।
নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল ।
২৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভোঁদড় দিয়ে আমাদের দেশেও যে মাছ ধরা হয় জানতাম না।
পরিশ্রমী পোস্ট, রীতিমত এন্সাক্লোপিডিয়া অব ভোঁদড় ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই , আপনার প্রসংসামুলক কথায় আমি মুগ্ধ । এ লিখাটি লিখার সময় আমার পরিচিত বেশ কয়েক জন স্কুল টিচারের সাথে ফোনে কথা বলে জানতে চেয়েছিলাম, ভোঁদড় নিয়ে বাচ্চাদের ছড়ার বইয়ে ছড়া আছে , এই ভোঁদড় নিয়ে কতটুকু তাঁরা জানেন । প্রায় সবাই বলেছেন তেমন কিছু জানিনা , অথচ ছড়াটি যুগ যুগ ধরে স্থান পেয়ে আসছে আমাদের শিশুতোষ পাঠ্য বইয়ে । দেশে বিদেশে সামুর প্রায় লক্ষাধিক পাঠক আছেন বলে জানা যায় , যারা বিভিন্নভাবে সামুতে আসা লিখা পাঠ করেন । তাই ভাবলাম ভোঁদড়কে নিয়ে একটি ছোটখাট রচনা লিখলে মনে হয় ভাল হয়। সেই ভাবনা থেকেই ছোট্ট এ প্রয়াস , অাপনাদের মত গুনী লিখকদের কলমের তুলিতে বিপন্ন এই প্রাণীটির সংরক্ষনের জন্য যে কোন ধরনের জন সচেতনতামুলক প্রয়াস অনেক উপকারে আসবে বলে বিশ্বাস ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
২৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৮
দি রিফর্মার বলেছেন: শুরু থেকে শেষ অসাধারণ একটি লেখা। পূর্ণাঙ্গ লেখা বলতে যা বুঝায় তা এই লেখা দেখে শিখে নিলাম। এমন সুন্দর ছবিসহ বিস্তারিত লেখা সত্যি অসাধারন। আমরা শহুরে মানুষেরা অনেক কিছু জানতে পারলাম।
আপনার প্রতি রইল অনেক শুভ কামনা, ধন্যবাদ ও সালাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট অসাধারণ অনুভুত হওয়ায় খুবই খুশী হলাম ।
সকলের সাথে শেয়ার করে আমরা অজানা কিংবা কিছু জানা বিষয়ে
আরো অনেক নতুন নতুন তথ্য পাই । পাঠকের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য হতে
অনুপ্রেরনার পাশাপাশি অনেক নতুন তথ্যও জানা যায় ।
ধন্যবাদ সাথে শুভ কামনা রইল
২৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: ভোঁদড় নিয়ে তথ্যপূর্ণ এই পোষ্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । আসলে এর আগে আমি নিজেও ভোঁদড়ের সাথে পরিচিত ছিলাম না। শুধু আমি নয়, আমার মত এমন অসংখ্য মানুষের সাথে ভোঁদড়ের বাস্তব রুপ তুলে ধরে আমাদেরকে কৃতজ্ঞ করেছেন আপনার প্রতি। পোষ্টটি অনেক অনেক ভালো লাগলো। আশাকরি নতুন কিছু নিয়ে সবসময় আপনার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শুভকামনা আপনার জন্য।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্টের ছবির দৃশ্য ও তথ্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ । ভোঁদড়ের সাথে পরিচিত হতে পেরেছেন জেনে খুশী হলাম ।
ভোঁদর সস্পর্কে গ্রাম বাংলার মানুষের মনে রয়েছে , ভীতি । গ্রামের মানুষ মনে করে ভোঁদর রাতে এসে তাদের পুকুর থেকে মাছ ধরে খায় ও ঘরের মুরগীর খোয়ার থেকে মুরগী ধরে নিয়ে যায় , তাই কোন রকম সুযোগ পেলেই তারা ভোঁদড়কে ধরে মেরে ফেলে । এ ভাবেই ভোঁদড়ের বংশ ধিরে ধিরে হচ্ছে ধংস । অাল্লার সৃস্টি এই ভোঁদর যেন মানুষের হাতে পরে বিলুপ্ত না হয় সে দিকে সকলের থাকা উচিত দৃস্টি ।
আপনার জন্যও রইল শুভ কামনা ।
২৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮
অতৃপ্তচোখ বলেছেন: এত্ত সুন্দর একটা পোষ্ট আমি মিস করেছি। দেরি হয়ে গেল পড়তে।
ভালো লাগলো ভাই, ভোঁদড় ইতিহাস জানতে পেরে। আমি আগে জানতাম না।
পোষ্টে কৃতজ্ঞতা রেখে গেলাম। লেখকের প্রতি ভালোবাসা
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দেরী হয়নি মোটে পোস্ট দেয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পাওয়া গেল এখানটাতে , আমি আপ্লুত ভীষনভাবে ।
ছোট সময় ভোঁদরের ছড়া পড়েছি কত মঝা করে । এরা যে কত সুন্দর উপকারী প্রাণী তা জানা হয়নি
ভাল করে । ভোঁদর নিয়ে যত বেশী লিখা লিখি হবে ততই জানা যাবে একে ভাল করে । বিধাতার
সৃস্টি সকল প্রাণীই জীব বৈচিত্রের জন্য অতি প্রয়োজনীয় , তাই এদের যথাযথ সংরক্ষন অতি
জরুরী ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০২
রাতু০১ বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম ।
পোস্ট চমৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল ।
৩০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫
জাহাজী বলেছেন: আফসোস ভোঁদড় দেখা হয় নাই কোনোদিন
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এই পোস্ট দেখার জন্য । ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত চিড়িয়াখানায় ভোঁদড় দেখা যাবে । নিন্মের লিংক ফলো করেও দেখতে পারেন , আশা করি আফছোছ থাকবেনা ।
https://www.youtube.com/watch?v=hTgk1uYYnVQ
শুভেচ্ছা রইল
৩১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভোঁদড় ইতিহাস জানতে পেরে ভালো লাগলো।
লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল।
ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ।
ব্লগে স্বাগতম
আপনার ভাল লাগায় আপ্লুত হলাম
শুভেচ্ছা রইল ।
৩২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট বললেও কম বলা হয়। এত তথ্যবহুল, ছবিসমৃদ্ধ ও শ্রমসাধ্য পোস্ট সামু ব্লগে খুব কম আসে। ভোঁদড়সহ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা সকল প্রাণীর জন্য রইল ভালোবাসা। এদের বেঁচে থাকার জন্য আমরা যেন সচেতন হই, এই প্রার্থনা করি।
অসংখ্য ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার মুল্যবান সময় নিয়ে এই পোস্টের লিখা দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ইসলাম ভাই । আপনার মুল্যবান ও অতি উচ্চমানের সাহিত্য কর্মের মাঝে অামার সাদা মাটা হাজার লিখাও তুল্য নহি কোন মতে । তাইতো সাহিত্যের রস সুধা
আহরন করি আপনার গভীর জীবন বোধসম্পন্ন লিখা হতে । আপনার লিখাগুলো সতত অনুপ্রেরনা যোগায় ভাল লিখার প্রয়াসে ।
বিলুপ্তির মুখে বিপন্নপ্রায় সকল প্রাণী কুলের জন্য আপনার মত গুণী লিখকের কলম হতে দরদমাখা কথাগুলো এই সমস্ত প্রাণীদের জন্য আমাদের অগনিত পাঠকের মনে মায়া জাগাবে বলে বিশ্বাস করি মনে প্রাণে । তাছাড়াও সুধী সমাবেশে ঘরোয়া আলোচনায় এই বিপন্ন প্রাণীদের বিষয় আলোচনায় উঠে আসলে গনসচেতনা ছড়িয়ে পড়বে অতি সহজে ।
কামনা করি এই প্রাণীকুলের জন্য আপনার প্রার্থনা যেন সুফল বয়ে আনে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৩৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
জুন বলেছেন: সুমন করের সাথে সম্পুর্ন সহমত পোষন করে বলছি আপনার লেখাগুলো সামহ্যোয়ার ইন ব্লগের সম্পদ ।
ভারী মিষ্টি দেখতে এই প্রানীটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ভাবতেও কষ্ট হয় ডঃ এম আলী । সামনা সামনি তো বহুবারই দেখেছি। পুরো সুন্দরবন তিন চার বার দেখা হয়েছে । সেখানে বন্য ভোঁদড় ছাড়াও জেলে সহ মাছ ধরা ভোঁদড়ের সাক্ষাৎ ও মিলেছে।
সুন্দরবনের গহীনে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরা জেলে আমার ছেলের ক্যামেরায়।
তাদের জীবন প্রনালী ও বাসাবাড়ীর ডিজাইন ও চমৎকার । ধারালো দাত দিয়ে গাছ কেটে তারা নদীর স্রোতকেও অবরুদ্ধ করে দিতে পারে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফীতে একে নিয়ে যখনই কোন ডকুমেন্টরী হয় তা একাধিক বার দেখা হলেও আবার দেখতে বসি। অত্যন্ত সামাজিক এই জীবটি তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে একই বাসার স্তরে স্তরে শুকনো ঘাস বিছানো শয্যায় শুয়ে ঘুম আর জেগে ওঠে রাতের আধারে । তবে দিনেও আমি তাদের বেরুতে দেখেছি বৈকি
নীচের ছবিটি দেখে কে বলবে প্রানীরা সন্তানদের প্রতি স্নেহ পরায়ন নয় ?
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো আপনার পোষ্টে ।
+
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মন্ত্যব্যের কথামালা ও ছবি দুটি অনেক কথা বলে । ভোঁদরের সাথে আপনার এতটা নিবীর পরিচয় আছে তা আগে জানা থাকলে এই বিষয়টি নিয়ে লিখার জন্য আপনাকে অনুরোধ জানাতাম । আপনার ছবি দুটি জীবন্ত ও বাস্তব । আমি ইন্টারনেটের এখান সেখান থেকে খুঁজে খুঁজে ছবিগুলি এনে জোড়াতালি দিয়ে এ পোস্টে সাজিয়েছি । আমার নীজের ও চাচাত খালাত ফুফাত আরো আরো সব মিলিয়ে কয়েক ডজন ভাগ্নে, ভাইপো ভাতিজা ছেকে ধরেছিল ভোঁদড় নিয়ে কিছু লিখার জন্য , তাদের অমর দাবীর প্রেক্ষিতে লিখাটিতে হাত দেই । ধারনা ছিল সামুর বিজ্ঞ লিখক ও পাঠকদের কাছ হতে মুল্যবান ফিডব্যাক পাব , আমার আশা সফল হয়েছে । আপনার মত একজন গুনীকে পেয়েছি যিনি খুব কাছ থেকে এই ভোঁদড়কে দেখেছেন । আশা করি সময় সুযোগ পেলে এদের সংরক্ষনের জন্য কলম হাতে তুলে নিবেন । আপনার সুন্দর সাহিত্যিক লিখার বিশাল পাঠক ভক্তকুল , তাই ভোঁদড় সংরক্ষনের জন্য আপনার লিখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস ।
ভোঁদড় নিয়া কালজয়ী ছড়াটির জনপ্রিয়তা ও দেশের প্রায় সকল শিশুদের মুখে মুখে ভোঁদড় নিয়ে ফিরা ছড়াটি দেখে বুঝা যায় এটা তাদের প্রিয় প্রাণীদের তালিকায় থাকা একটি । তাই আপুনি অতি সহজেই আপনার নীজের ছেলের অনুভুতির সাথে আরো অনেকের অনুভুতি মিশিয়ে অনায়াসেই রচনা করতে পারবেন এদেরকে নিয়ে অনন্য একটি পোস্ট যা আপনার তুং তুং বিড়ালের মতই অনন্য সাধারণ একটি লিখায় পরিনত হবে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৩৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০০
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: এতো কিছু তো জানতামই না। অসাধারণ পোস্ট।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ।
বাবুরাম সাপুড়ে১ ভাই এর অবগতির জন্য বলছি সাপ নিয়ে
আমার একটি সাগরের বুক চীরে নাগনাগিণীরা তুলছে ফনা নামে পোস্ট আছে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৩৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভোঁদড় নিয়ে তথ্যবহুল এই পোষ্টটি উপস্থাপন করার জন্য আপনার নিরলস পরিশ্রম করতে হয়েছে সেটা ঢের বুঝা যাচ্ছে! ছড়ার মধ্য দিয়ে ভোঁদড়ের সাথে বাল্যকালেই পরিচিত হয়েছিলাম। বেশ কৌতুহলও ছিল অবশ্য! কয়েক বছর আগে নেটে সার্চ দিয়ে সে কৌতুহল নিবৃত্ত করেছিলামও।
যাক, আপনার পোষ্টটি অনেক অনেক ভালো লাগলো। আশাকরছি আরো আরো নতুন জিনিস নিয়ে আপনার কার্যক্রম নব উদ্যমে চলতে থাকবে।
অেনক অনেক ধন্যবাদ রইলো!!!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব খুশী হয়েছি এই আতি ব্যস্ততার মাঝেও আপনার মুল্যবান সময় ব্যয় করে এই পোস্টের লিখা দেখার জন্য ।
মন্তব্যে দেয়া আপনার কথামালা আমাকে অতিশয় আনুপ্রেরনা যোগাচ্ছে নতুন লিখা লিখতে । আমি চাই বাংলাদেশ হতে বিলুপ্তির মুখামুখী এই ভোঁদড়টিকে রক্ষার জন্য সংস্লিষ্ট সকলে এগিয়ে আসুক । আপনাদের মত গুণী জনের যে কোন প্রয়াস জনমত গঠনে সহায়ক হবে ও সরকারী পর্যায়ের লোকদের টনক নড়বে বলে বিশ্বাস করি ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৩৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: একটি অসাধারণ পোস্ট, দারুণ একটা বিষয় নিয়ে অপুর্ব আর দুর্লভ একটা বিশাল গবেষনার ফল এই লেখা। মানুষ পৃথিবীতে সবচাইতে ভয়ংকর প্রানী, বাঙালীরা আরো ভয়ংকর। এদেশে অতিরিক্ত অশিক্ষিত আর নিষ্ঠুর মানুষের কল্যানে বহু প্রানী নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, যাচ্ছে। শেয়াল, মেছো বাঘ, উদ, বেজী, শকুন, বাঘ, ঘুঘু, চিল সব প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। দেখার কেউ নেই। সরকার কথায় কথায় শত শত গাছ নির্বিচারে কাটছে উন্নয়নের নামে। কেউ কিছু বলতে পারেননা বা বলতে জানেনা! ধন্যবাদ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনি যতার্থ বলেছেন,মানুষ পৃথিবীতে সবচাইতে ভয়ংকর প্রানী, বাঙালীরা আরো ভয়ংকর
এদেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষনের জন্য সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে কার্যক্রম খুবই সীমিত । সাময়ীক
স্বল্পমেয়াদী স্বার্থটাকেই বড় করে দেখা হয় , সরকারী প্রকল্প গ্রহনের সময় জীব বৈচিত্রের উপর
হুমকীর বিষয়টি যথাযথভাবে মুল্যায়ীত হয়না বলেই দেখা যায় , এর ভুরী ভুরী উদাহরণ
আমাদের চারপাশে আছে । আমাদের পরিবেশ , উদ্ভিদ ও প্রাণী বিজ্ঞানীরা তাঁদের
উদ্ভাবনী ও গবেষনামুলক কর্মকান্ড এবং তাতে সচেতন ছাত্র ও সুধীসমাজকে সম্পৃক্ত
করতে পারলে অবস্থার অনেক উন্নতি হবে বলে মনে করি । আমাদের সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমের বিজ্ঞ ব্লগার ভাই বোনেরা মিলেও এদের রক্ষার জন্য
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলতে পারি ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
৩৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ভোঁদড় সংরক্ষনের জন্য এর কেনাবেচা, শিকার, ফাদে ধরা, মাছ ধরার জন্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
এই মুল্যবান লেখায় যতই প্রশংসা করি না কেন তা কম হয়ে থাকবে!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভ্রমরের ডানা ভাই আপনার উপন্থিতিটাই আমার কাছে অনেক অনেক প্রসংসার তুল্য । আপনার মন্তব্যগুলি
আমাকে নিয়ত অনুপ্রেরণা যোগায় । ভোঁদড় সংরক্ষনের জন্য আপনার মুল্যবান পরামর্শটুকু বাস্তবায়নের জন্য
উদ্যোগ নিলে ভাল হয় । ইতিমধ্যে জানাশুনা একটি এনজিও কর্ণধার ভোঁদড় সংরক্ষনমুলক প্রকল্প প্রস্তাবনা
প্রণয়নে কিছুটা সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করছে । এ কাজে হাত দিলে আপনার পরামর্শটুকু বাস্তবায়নের
জন্য জোড়ালো বক্তব্য থাকবে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৩৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১
সাহসী সন্তান বলেছেন: ডঃ আলী, ভোঁদড় নিয়া দেখি লঙ্কা কান্ড ঘটাইয়া ফেলাইছেন! গ্রেট! এই না হইলে কি সেটা ব্লগ পোস্ট বলে! আপনার বর্ননা, উপস্থাপনা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ছবি মিলিয়ে একটা অনবদ্য পোস্ট! সেই সাথে সাথে তো নষ্টালজিকও করে দিলেন!
পিচ্চিকালে ভোঁদড় নিয়ে লেখা ছড়াটা আমার খুবই প্রিয় একটা ছড়া! প্রায় সময় গুনগুনাইয়া ছড়াটা আওড়াইতাম!
চমৎকার পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: হ্যা ভাই ছড়াটি নস্টালজিক করে দেয়াতেইতো এই পোস্টের জন্ম । ছড়াটি অাবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলের মুখে মুখে ফিরে দেখে বুঝা যায় ভোঁদড় সকলের কাছে কত প্রিয় , তার পরেও এরা আবার কিছু সংখ্যক মানুষের হাতেই হয় নিহত । তবে আমাদের সুন্দর বন নড়াইল এলাকার জেলেরা পরম মমতায় এদের করে লালন পালন । তাই সুন্দরবন ও নড়াইল এলাকায় এদের জন্য করা যায় অভয়াশ্রম । বিলুপ্তির মুখামুখী প্রাণীদের সংরক্ষনের বিষয়ে আমাদের দেশের ভার্সিটি গুলির প্রাণী বিদ্যা বিভাগের ছাত্র ও শিক্ষকগন গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারেন বিবিধ উপায়ে ।
পোস্টটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুবই খুশী হলাম ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।
৩৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৬
কালীদাস বলেছেন: ভোঁদর জিনিষটা এখন দেখা যায় না বললেই চলে। অনেকদিন আগে কারও কাছে ব্রিফলি শুনেছিলাম ভোঁদর দিয়ে মাছ ধরার গল্প, আপনার পোস্টে অনেক ডিটেইলড জানলাম। ধন্যবাদ
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভোঁদড় সম্পর্কে আপনার কৌতুহল আছে জেনে খুশী হলাম । এটা এখন বলতে গেলে বাংলাদেশে বিলুপ্তির পথে
একে সংরক্ষনের জন্য এগিয়ে না আসলে হয়ত অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এরা বাংলাদেশ হতে বিলুপ্ত হয়ে যাবে । তাই
International Otter Survival Fund (IOSF) এর মত সকলেরই এক বাক্যে উচ্চারণ করা উচিত ভোঁদড়েরা
নীজেদের টিকে থাকার জন্য সহৃদয় মানুষের সাহায্য চায় ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৪০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০১
আহা রুবন বলেছেন: আলী ভাইয়ের পোস্ট মানেই একটা চমক, নতুন অভিজ্ঞতা! অনেক কিছু জানলাম। এত দিন যা ভাসা ভাসা ছিল। প্রিয়তে রাখলাম, মেয়ের জন্য। ভাল থাকুন সব সময়, আপনি অসুস্থ হলে আমাদের ক্ষতি! ধন্য.........................বা......................দ!!!!!!!!!!!!!!!
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ রুবন ভাই । ভোঁদড় নিয়ে জানার কোন শেষ নেই ।
আপনার মেয়ের প্রতি রইল শুভেচ্ছা , তার জন্য রইল নীচের
ছবি ও ভিডিও লিংক ভোঁদরের সাথে ছোট্ট এক শিশুর খেলা
আমার জন্য আপনার দোয়া হৃদয়ে তুলে নেয়া হলো
আপনাদের জন্যও রইল অনেক শুভ কামনা ।
৪১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাংলাদেশের জীব বৈচিত্র হতে বিলুপ্ত প্রায় এই প্রাণীটি নীজেদের টিকে থাকার জন্য সহৃদয় মানুষের সাহায্য চায়--পোস্টের শেষের এ আবেদনটুকু নাড়া দিয়ে গেল। আশাকরি, সহৃদয় মানুষেরা এতে সাড়া দেবে।
চমৎকার তথ্য ও ছবিসমৃদ্ধ এ পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বাংলাদেশের জীব বৈচিত্র হতে বিলুপ্ত প্রায়
ভোঁদড়ের টিকে থাকার জন্য সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে
অকুন্ঠ সমর্থন দানের জন্য রইল অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
পোস্ট চমৎকার অনুভুত হওয়ায় অনুপ্রাণীত হলাম ।
নিরন্তর ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
৪২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
কালের আয়নায় মর্মর পাথরে খোদিত অমীয় বচনের মত কালোত্তীর্ন শিলালিপি -এ পোস্ট। বিলুপ্ত প্রায় প্রানী ভোঁদর নিয়ে গবেষনাধর্মী লেখায় উপহার দু'লাইনের ছড়াটি-
শীতের সকাল রঙের বাহার
ভোঁদর কথন মালা,
মিটিয়ে নিলুম জ্ঞানের পিয়াস
আকুল আবেগ জ্বালা।
ভাল লাগা অহর্নিশ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ, মন্তব্যের কথামালায় অভিভুত।
ভোঁদড় নিয়ে কবিতায় আমি মুগ্ধ ।
এ পোস্টের প্রথমেই উল্লেখিত
ভোঁদড় নিয়ে ছড়া ব্যতিত
এদেরকে নিয়ে আর
কোন উল্লেখযোগ্য
কবিতাই নজরে
পরেনি এখনো।
তাই কামনা করি
ভোঁদড়কে নিয়ে কবিতা
লিখা হোক শত শত । এরা
হৃদয়ে গেথে থাকুক লক্ষ কোটি
মানুষের , হোক সকলে দয়াবান
এদের জী্বন রক্ষার তরে । তারা পায়
যেন অভয়াশ্রম নীজেদের টিকে থাকার জন্য
বন ঘেরা, মাছে ভরা, খাল বিল আর নদীকুলে ।
কবিতার উপহার টুকু নেয়া হল করে হৃদয়ে ধারণ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৪৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আলী ভাই,
বিলুপ্ত পায় একটি প্রানীর প্রতি আপনার ভালোবাসায় সত্যিই মুগ্ধ।
চমকপ্রদ প্রতিমন্তব্যে অনিশেষ কৃতজ্ঞতা। এই প্রানীটিকে নিয়ে সত্যিই এরকম করে কখনও ভাবিনি। আর সঙ্গত কারনে ইতোমধ্যেই এর সম্ভাব্য বিলুপ্তির বিষয়টিও মাথায় আসে নি। এক হাদিসে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- "জমিনে যারা রয়েছে তাদের প্রতি তোমরা করুনাশীল হও। আসমানে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদের প্রতি করুনা বর্ষন করবেন।"
শুধু ভোঁদর নয় এই ধরনের নিরীহ সকল প্রানীর প্রতিই জেগে উঠুক মানুষের গভীর মমতা। এরা বেঁচে থাকুক আমাদের ভালবাসা-মমতা-সহমর্মিতায়- যে আঁকুতি গুমরে মরছে আপনার ছত্রে ছত্রে।
ভাল থাকবেন অহর্নিশ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ নির্সিত মুল্যবান হাদিসটি অবহিত করার জন্য ।
খুব খুশী হলাম উনার নামের সাথে পুরা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লিখার জন্য ।
প্রাণিটির প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের জন্যও খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৪৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শুধু নিরিহ প্রাণিই জমিনে থাকেনা। জমিনে তথাকথিত 'সংখ্যালঘু'রাও থাকে। বাংলাদেশে যাদের আমরা বিধর্মী নাস্তিক্যবাদ বলে গালি দেই। তাদের প্রতিও আমাদের মমতা থাকা আবশ্যক বলে আমি মনে করি।
অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করায় দুঃখিত ভাই।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, জগতের তাবৎপ্রাণী সুখী হোক এ কামনা রইল । মানুষ মানুষের জন্য ।
ধার্মিক অধার্মিক , অাস্তিক নাস্তিক , সংখাগুরু সংখ্যালঘু সকলকে বিধাতা
করুনা করছেন , জীবন জীবিকা রুজি রোজকারে ব্যবস্থা করছেন , প্রত্যকের
জন্য বিচরণ ক্ষেত্র নির্ধারন করে রেখেছেন । বুদ্ধি দিয়েছেন জ্ঞান দিয়েছেন।
সেজন্য আল্লার কাছে শুকরিয়া জানাই ।
আপনার কথা কোন মতেই অপ্রাসঙ্গিক নয় বরং মুল্যবান কথা বলেছেন
আমরা এক দিক দেখতে গিয়ে অন্য দিক যেন ভুলে না যাই, সকলকে
সমানভাবে গুরুত্ব দেই ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৪৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: জ্বি ভাই, সকল প্রাণের প্রতি মমতাময়ী হয়ে উঠুক মানুষ জাতি। আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি বাড়ুক ভালোবাসা। আমারা সবাই মানুষ জাতি হয়েই সুন্দর বাসযোগ্য আগামীর সন্ধানে নিজ দায়িত্বটুকু যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি এই আমার কামনা। কতটুকু পাবো না পাবো সে চিন্তা করিনা। নিজে কতটুকু নিজের দায়িত্বটুকুর মূল্যায়ন করতে পারি সেটাই ভাবি। আমাকে ভাবায়।
আপনার জন্যও রইল শুভকামনা। কৃতজ্ঞতা রাখি আপনার মন্তব্যে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ নাঈম জাহাঙ্গীর ভাই ,
ভাল লাগল সুন্দর কথামালা।
শুভচ্ছা রইল ।
৪৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
আলী ভাই,
সময় পেলে এ বিষয়ে আলাদা একটি পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে। সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরছালীন রহমাতুল্লিল আলামীন সাইয়্যিদুল কাউনাইনি ওয়াসসাক্কালাইন দু'জাহানের বাদশা মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নামের শেষে পুরোপুরি দরূদ সালামটুকু লিখতে গিয়ে আমাদের কাগজ কলমের ঘাটতি হয়ে পড়া- প্রকৃত বিচারে আমাদের ঈমানের ভিতরে ঘূনপোকা ধরারই নামান্তর! এই দৈন্যতা যদি আমাদের থেকে কেটে যেত!
পরিষ্কার সিদ্ধান্ত। যত দিন বাঁচবো, মুখে যা বলব কাগজেও তাই লিখব। আল্লাহ পাক তাওফীক্ক দান করুন।
বিষয়টি আপনার ভাল লেগেছে জেনে গভীরভাবে উল্লসিত।
ভাল থাকবেন নিরন্তর।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার পোস্ট দেখার আপেক্ষায় রইলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৪৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮
রানা আমান বলেছেন: যদি বলি অসাধারন একটি পোস্ট তাহলেও কিছুই বলা হয় না আপনার এ পোস্ট সম্পর্কে ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার প্রসংসামুলক মন্তব্যের জন্য ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
৪৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৯
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: শিশুরা তাহলে আপনাকে দিয়ে লেখাটি লিখিয়েই নিল । ছোটবেলায় এই ছড়াটা পড়ে আমিও প্রথম জেনেছি ভোঁদড় সম্পর্কে। তারপর চিড়িয়াখানায় প্রথম তাদের সাথে দেখা।
ভোঁদড়ের বাচ্চাগুলো দেখছি কিছুটা বিড়ালের বাচ্চার মত দেখতে।
বিক্রয়ের জন্য বেঁধে রাখা ভোঁদড়দের দেখে কষ্ট হল।
তবে প্রাণীটিকে ভালই লাগে আমার। হয়ত বিড়ালের সাথে চেহারায় মিল আছে সেজন্য।
সুন্দর এই পোস্টটির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল ব্লগে পেয়ে,নতুন কোন পোস্ট আছে কিনা তা দেখার জন্য বেশ কয়েকবার ঘুরে এসেছি আপনার ব্লগে, এবারই মনে হয় লম্বা গেপ । বাচ্চাদের সাথে পেরে উঠে এমন শক্তি দুনিয়াতে নেই । কন কনে শীতেও শিশুরা ধরে নিয়ে যায় সাগরের তীরে ।
যাহোক ভোঁদড়ের সাথে সাক্ষাত অাছে শুনে ভাল লাগল । ভোঁদড়কে অনেক কস্টেই এদের মহাজনেরা বিক্রয় করে দেয় , তাদের কস্টটুকু শেয়ার করার কথা শুনে ভাল লাগছে । ভোঁদড়কে মাছ বিড়ালও বলে, তাই এদের বাচ্চাকেও বিড়ালের বাচ্চার মত মনে হয়। আপনার মত বিড়াল প্রেমিকের কাছে তাই ভোঁদড়ের বাচ্চাও ভাল লাগারই কথা । পুরা ভোঁদড় পরিবারটি ভাল লাগায় খুশী হলাম ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৪৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৬
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আগে খালি শুনেই গেছি যে ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার করে জেলেরা। আজকে বুঝলাম কেমনে কি!
অনেক অনেক ধন্যবাদ বরাবরের মত তথ্যবহুল পোস্টের জন্য।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । বিষয়টা আমার কাছেও অজানা ছিল , একটু ঘাটাঘাটি যা পেলাম তা সকলের সাথে শেয়ার করলাম ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৫০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩১
অগ্নি সারথি বলেছেন: সামনা-সামনি ভোদর দেখবার সৌভাগ্য কখনো হয় নাই। আপনার পোস্টে ভোদর সম্পর্কে ব্যাপক জানাজানি হল। ধন্যবাদ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় অগ্নি সারথি , আপনি ঠিকই বলেছেন সামনা সামনি ভোঁদড় দেখা আসলেই খুব কঠিন
এটা নীশাচর প্রাণী কখন আসে আর কখন যায় তা শুধু সেই জানে ।
অনেক খুশী হলাম পোস্টের মাধ্যমে কিছুটা হলেও ভোঁদড় দেখার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৫১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৯
মো: ওসমান গনি তালুকদার বলেছেন:
অনেক অজানা কথা জানতে পারলাম। তাই আপনার জন্য ফুলের শুভেচ্ছা।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ ওসমান ভাই, ভোঁদড় নিয়ে অজানা কিছু কথা জানাতে পেরেছি বলে খুশি লাগছে ।
আপনার শুভেচ্ছা হৃদয়ে নিলাম ধারণ করে ।
আপনার জন্যও রইল ফুলের শুভেচ্ছা ।
৫২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: জুন এর মন্তব্য (৩৩ নং) এবং ছবি- দুটোই ভাল লাগলো।
নতুন নকিব এর উদ্ধৃত হাদিস এর জন্য (৪৩) তাকে ধন্যবাদ, এবং এর উত্তরে দেয়া প্রতিমন্তব্যের জন্য আপনাকেও।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনার ভাল লাগাটুকু জুন আপু বরাবরে জানিয়ে দিব । হ্যা নতুন নকিব উধৃত হাদিসটি খুবই মুল্যবান সাথে তাঁর রাসুলের প্রতি অতি শ্রদ্ধার সহিত পুর্ণ দুরুদ প্রকাশটিও ।
শুভেচ্ছা রইল
৫৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ লেখাটা যখন ল্যাপটপে পড়ছিলাম, তখন আমার সোয়া দু' বছরের নাতনিটা কোলে উঠে বসে। মাউস থেকে জোর করে আমার আংগুলটা টেনে নিয়ে ভোঁদরের ছবিটাতে লাগিয়ে বলে "এটা কী"? আমি বলি- ভোঁদড়। তখন বলে ভোঁদর? ভোঁদর কী? আমি তাকে তখন ভোঁদরের ছড়াটা শুনালাম আর স্ক্রল ডাউন করে করে সব ছবিগুলো দেখালাম। ছড়াটা কয়েকবার শোনাবার পর ও একগাল হেসে শেষের দু'লাইন নির্ভুলভাবে বললোঃ ওরে ভোঁদড় ফিরে চা খুকুর নাচন দেখে যা...
আমার নাতনি আনায়া'র দুষ্টুমির ছবি-
আপনার এ লেখাটা যখন ল্যাপটপে পড়ছিলাম, তখন আমার সোয়া দু' বছরের নাতনিটা কোলে উঠে বসে। মাউস থেকে জোর করে আমার আংগুলটা টেনে নিয়ে ভোঁদরের ছবিটাতে লাগিয়ে বলে "এটা কী"? আমি বলি- ভোঁদড়। তখন বলে ভোঁদর? ভোঁদর কী? আমি তাকে তখন ভোঁদরের ছড়াটা শুনালাম আর স্ক্রল ডাউন করে করে সব ছবিগুলো দেখালাম। ছড়াটা কয়েকবার শোনাবার পর ও একগাল হেসে শেষের দু'লাইন নির্ভুলভাবে বললোঃ ওরে ভোঁদড় ফিরে চা খুকুর নাচন দেখে যা...
আমার নাতনি আনায়া'র দুষ্টুমির ছবি-
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শিশুদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই আমার পোস্টের জন্ম । আপনার আদরের নাতনির কিউট ছবি দেখে খুব ভাল লাগল । ভোঁদড় নিয়ে ছড়াটির দুটি লাইন মুখস্ত করে ফেলেছে শুনে মনে হলো সে খুবই ব্রিলিয়েন্ট । তার প্রতি রইল এক রাশ ভালবাসা ও শুভেচ্ছা । এই লিংকে ক্লিক করে ভোঁদরের সাথে এক শিশুর খেলা তাকে দেখাতে পারেন, মনে হয় তার ভাল লাগতে পারে ।
আপনার প্রতিও রইল শুভেচ্ছা
৫৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮
সুবল চন্দ্র বর্মন বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে ছবি দিয়ে ভোঁদরের পরিচিতি। ভাল লাগল। কিন্ত আপনি আমার প্রোফাইল দেখে আসলেন, কিন্তু কিছুই
বললেন না। আপনি কি আমার উপর অনুরাগ করলেন।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কি যে বলেন দাদা , এ ব্লগে প্রিয় কবিদের মধ্যে আপনি একজন, অনুরাগ থাকারতো কোন প্রশ্রই উঠে না । আপনি হয়তবা খেয়াল করে দেখেন নি আপনার একটি কবিতা ২২শে ডিসেম্বর দেখে প্রিয়তে নিয়ে এসেছি ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৫৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬
অশ্রুকারিগর বলেছেন: ভোঁদড় সম্পর্কে তো কিছুই জানতাম না!
অক্লান্তভাবে নিত্যনতুন পোস্ট দিয়ে ব্লগারদের জানার পরিধি বাড়ানোর জন্য ধন্যবাদ।
৫৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৯
সাখাওয়াত ইমন বলেছেন: ভাই,আপনি কি লিখেছেন?
আপনি কি জানেন?
আমরা সবাই মুগ্ধ!
নাহ,এত সুন্দর লেখনীর জন্য শুধুমাত্র মুগ্ধ শব্দটি ব্যাবহার করলে যথার্থ হয় না।
আমরা বিমুগ্ধ,অভিভূত,পুলকিত.....+++
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আয়রে আয় টিয়ে
নায়ে ভর দিয়ে
না নিয়ে গেল বোয়াল মাছে
তাই না দেখে ভোঁদড় নাচে
ওরে ভোঁদড় ফিরে চা
খুকুর নাচন দেখে যা । দারুণ !
বিস্তারিত পড়তে হবে ! ফিরছি..