নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

উত্তরের যাত্রা - ১ম পর্ব : মেরুজ্যোতি দর্শন

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১০


উত্তরের যাত্রা লিখাটি তিনটি পর্বে বিনির্মিত । প্রথম পর্বে মেরুজ্যোতি দর্শন , পরবর্তী পর্বের বিষয় যথা সময়ে বলা হবে ।

মেরুজ্যোতি দর্শনার্থে উত্তরে যাত্রা

উত্তরে যাত্রা নিয়ে লিখার ইচ্ছাটি জাগে মেরু জ্যোতি দেখার কৌতুহল থেকে । মেরুজ্যোতির কথা প্রথম জেনেছিলাম ছোটবেলায় গুরুজনের কাছ থেকে। পরে ভূগোল বইয়ে পড়েছি মেরুজ্যোতিকে ইংরেজিতে অরোরা (Aurora) বলে । উত্তর মেরুর কাছাকাছি জায়গায় দেখতে পাওয়া অরোরাকে ‘অরোরা বোরিয়ালিস বা নর্দার্ন লাইটস’ আর দক্ষিণ মেরুতে দেখতে পাওয়া মেরুজ্যোতিকে ‘অরোরা অস্ট্রেলিস বা সাউদার্ন লাইটস’ বলে । অরোরার জোন সাধারণত পৃথিবীর চৌম্বকীয় মেরুর অক্ষ দ্বারা সংজ্ঞায়িত, চৌম্বক মেরু থেকে ১০ ডিগ্রি হতে ২০ ডিগ্রির মধ্যে এর অবস্থান । ম্যাপ দেখে বুঝা যায় উত্তর গোলার্ধের কোন কোন জায়গা থেকে অরোরাকে ভাল দেখা যায় ।

ছবি-২ : উত্তর গোলার্ধের অরোরা জোন , সবুজ ও লাল চিহ্নিত অংশ


অরোরাকে দেখা যায় উত্তর আমিরিকার আলাস্কা , কানাডার উত্তর পশ্চিম অংশ বিশেষ করে ইয়েলোনাইফ, ইউকন নোনাভাট ও নর্থ ওয়েস্ট টেরিটরিস হতে । ইউরোপের নরওয়ে , সুইডেন , ফিনল্যান্ড , আইসল্যান্ড , গ্রীনল্যান্ড ও রাশিয়ার উত্তরাংশ হতেও অরোরা দেখা যায় ।

উত্তর আমিরিকার আলাস্কা ও কানাডা হতে অরোরা দেখার চেষ্টা করা হয়েছে এ যাত্রায় । কানাডাতে জানুয়ারিতে খুব শীত পড়ে। কিন্তু শীতেই তো দেখা যায় প্রকৃতির এই অনন্য সৃষ্টি অরোরা বোরিয়ালিসকে । উত্তর আমিরিকা বা কানাডায় যাদের বসবাস কিংবা সেখানে যাওয়া হয়েছে কোন কারণে, তাঁরা কানাডার রাজধানী অটোয়া হতে আরো প্রায় তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি উত্তর-পশ্চিমে যাত্রা করে যেতে পারেন ইয়েলোনাইফ শহড়ে । জায়গাটা আর্কটিক বেল্টের ২৫০ মাইল দক্ষিণে। ইয়েলোনাইফ ছাড়াও আরো একটা জায়গা আছে যা কানাডার ইউকন প্রদেশের হোয়াইটহর্স। এই জায়গাটাও খুব সুন্দর। তবে ইয়েলোনাইফ হোয়াইটহর্স থেকে আরও উত্তরে হওয়ায় ইয়েলোনাইফকেই বেছে নিলে অরোরা দেখার সম্ভাবনাই বেশী বলে জানা যায় এর ইতিহাস হতে ।

ফাসর্ট এয়ার বা এয়ার নর্থে ননস্টপ ফ্লাইটে প্রায় ৫ ঘন্টায় অথবা ওয়েস্ট জেট এয়ারলাইনসের কানেকটিং ফ্লাইট ধরে প্রায় দশ ঘণ্টার যাত্রায় অটুয়া থেকে ইয়েলোনাইফ পৌঁছা যায় । এয়ার পোর্ট হতে বের হলেই মেরু ভাল্লুকের (পোলার বিয়ার) একটা সুন্দর মূর্তি স্বাগত জানাবে।

ছবি- ৩ : আরোরা দেখার নিমিত্ত আগন্তকদেরকে স্বাগতম সম্ভাসনের জন্য দাঁড়ানো মেরু ভাল্লুকের মুর্তী


একটু তো ঘাবড়াতেই হয় যখন এয়ারপোর্ট হতে বের হয়েই দেখা যায় তাপমাত্রা - ৩২ C ডিগ্রী ইন্ডিকেট করছে । উল্লেখ্য ১৯৪৭ সনের ৩১ জানুয়ারীতে ইউলোনাইফের তাপমাত্রা -৫১.২C রেকর্ড করা হয়েছিল ।

ছবি-৪ : ইউলোনাইফের এয়ার পোর্টের বাইরে দিনের তাপমাত্রা ইন্ডিকেশন


তাই শিতাতপ নিয়ত্রিত গাড়ীতে করে হোটেলে পৌঁছে একটুখানি ওয়ারম্ড রিলাক্স । অরুরা টুর সার্ভিস গাইড সরবরাহকৃত বিশেষ ধরনের শীত প্রতিরোধক জেকেট পরিধান করে তাদের সাথে রাত ১০টার পরে অরোরা দেখার জন্য নিদৃষ্ট ভিউ পয়েন্ট প্রদি অরো উত্তরের দিকে যাত্রা শুরু । ভিউ পয়েন্টটা একটু নিরালা-নির্জন জায়গায়। শহরের আলো যাতে না পৌঁছায় । শহরের আলো-দূষণ না থাকায় রাতের আকাশে কত যে তারা দেখা যায়, তা উপলব্ধি করা যায় সেখানে গেলে । অরোরা-র দৃশ্য দেখতে পাওয়ার জন্য সাধারণত রাত ১২টা থেকে রাত ২টা হচ্ছে সবচেয়ে ভাল সময়। সোলার ফ্লেয়ার তথা সৌর বিস্তারণের সময় সূর্য থেকে নির্গত অভিযুক্ত কণা (চার্জড পার্টিকল) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এলে ‘অরোরা’ সৃষ্টি হয় ,যার প্রক্রিয়া নীচের চিত্রে দেখা যেতে পারে ।

ছবি-৫ : মেরু জ্যোতির সৃস্টি প্রক্রিয়া

সুত্র : Click This Link

রাত্রী ছাড়া দিবসে অরোরা দেখা যাবে না, তবে তাতে ক্ষতি নেই । এই ফাকে ঘুরে আসা যাবে বরফাচ্ছন্য ইয়োলোনাইফে সুর্যের আলো দেখতে । প্রথম এক দু্‌ই রাতে অরোরার দেখা না মিললেও দিনের বেলায় দেখা যাবে এমন রোদ্রজ্বল দৃশ্য , কেননা ইয়েলোনাইফ হচ্ছে কানাডার সবচেয়ে কোলডেস্ট সানিয়েস্ট সিটি ।

ছবি – ৬ : ইয়েলোলাইফে -৩০ হতে - ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গ্রেট স্লেভ লেকের পাইলট মনুমেন্টে দাঁড়িয়ে দেখা যাবে এমন দৃশ্য ।


অরোরা দেখার জন্য রাত গভীর হতে এখনো অনেক বাকী । এই ফাকে নাসা এবং ইউনিভার্সিটি অফ অসলোর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তথ্যের উপর ভিত্তি করে অরুরা সৃস্টি রহস্য একটু সংক্ষেপে দেখে নেয়া যেতে পারে ।
সূর্যই সৌর জগতের শক্তির আধার । জানা যায় সৌর বিস্তারনের সময় বিলিয়ন বিলিয়ন চার্জড পারটিকলস বা সৌর কনা ক্রমাগতভাবে সূর্যের চারিদিকে ছড়ায় । সূর্য অভ্যন্তরের প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রায় এই চার্জড পাটিকেল গুলো সারফেসে দিকে ধাবিত হয় , তারা তখন পৃথিবী সহ সকল গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র লাইনের পথ অনুসরণ করে ।

ছবি – ৭ : সূর্যের অভ্যন্তরে বিলিয়ন বিলিয়ন এনারজেটিক পাটরিকলস টগ বটিয়ে ছুটাছুটি করে ।


ছবি – ৮ : সূর্যের অভ্যন্তরের চার্জড পারটিকেলসগুলী নিউক্লিয়ার রিএকসনের ফলে প্রভুত শক্তিতে পরিনত হয়ে এর সারফেসের দিকে নিয়ত ধাবমান থাকে


ছবি - ৯ : সূর্য অভ্যন্তরে ইলেট্রনিকেলি চার্জড পারটিকেলস গুলি মেগনেটিক ফিল্ড সৃস্টি করছে ।


ছবি - ১০ : সুর্য হতে তৈরী চার্জড পারটিকেলস গুলি নিয়ে সৃস্টি হয় মেগনেটিক ওয়েভ


ছবি-১১ : চার্জড পারটিকলস সমৃদ্ধ মেগনেটিক ওয়েব গুলি রাবার ব্যন্ড এর মত হয় সম্প্রসারিত


চার্জড পারটিকলস গুলি এরকম ভাবে বাহির পানে ধাবিত হয় , এক পর্যায়ে সংকোচিত হয়ে নিন্মের মত আকার ধারণ করে ।
ছবি - ১২ : একসময় এই রাবার ব্যন্ড ভেঙ্গে যায় ।


উপরের চিত্রের প্রান্তভাগের রাবার ব্যন্ড অংশটুকু মুল হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রচন্ড বেগে বাহিরের দিকে ধাবত হয় ।
ছবি -১৩ : ছুটে যাওয়া এই ইলেকট্রনিকেলী চার্জড পার্টিকলসকে প্লাজমা বলে


ছবি - ১৪ : শত শত মিলিয়ন টনের প্লাজমা গুলি আরো বাহিরের দিকে ধাবিত হয় । এই ছুটে চলা প্লাজমা গুলিকে সোলার স্টর্ম বলে অভিহিত করা হয়


ছবি -১৫ : সুর্য হতে তৈরী হ ওয়া এই সোলার স্টর্ম বা সৌর ঝড় ঘন্টায় ৮ মিলিয়ন কিলোমিটার বেগে বাহির পানে ধাবিত হয়


ছবি-১৬ : প্রতি ৬ ঘন্টায় এই সোলার স্টর্ম বা সৌর ঝড় বুধ গ্রহ অতিক্রম করে


ছবি -১৭ : প্রতি ১২ ঘন্টায় সোলার স্টর্ম শুক্র গ্রহ অতিক্রম করে


ছবি – ১৮ : এই সোলার স্টর্ম ১৮ ঘন্টা চলারপর আমাদের পৃথিবীতে পৌঁছায় ।


এরা বিভিন্ন উচ্চতায় বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন পরমানুতে আঘাত হানে । এটা পৃথিবীতে পৌঁছানের পর শুরু হয় অদ্ভুত কর্মকান্ড ।

ছবি – ১৯ : পৃথিবীর মেগনেটিক ফিল্ড তখন সৌর ঝড়কে রিফ্লেস্ক করে আরোরা সৃস্টির পক্রিয়া শুরু করে দেয়


ছবি - ২০ : দুটো মেগনেটিক ফিল্ড একসাথে মিশে এবং পৃথিবীর অদৃশ্যমান গ্যাস মলিকুলসের সাথে সংঘর্ষে মেতে উঠে


ছবি -২১ : এই অদৃশ্যমান মেগনেটিক গ্যাস সংঘর্ষ মেরুর কাছাকাছি ঘনিভুত হয় এবং মেরুজ্যোতি তথা অরোরার সৃস্টি করে ।


পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষীন মেরুতে চৌম্বক ক্ষেত্র লাইন সবচেয়ে বেশী, তাই সেখানেই অরোরা দেখা যায় ।
ছবি – ২২ : পৃথিবীর দুই মেরুতে সৃস্ট আরোরা বা মেরু জ্যোতি


ছবি - ২৩ : উত্তর মেরুতে সৃষ্ট মেরুজ্যোতি বা অরোরা দৃশ্য


অনু পরমানুর মাত্রা ও উচ্চতার বিভিন্নতায় অরোরার রংও ভিন্ন ভিন্ন হয় ।

ছবি – ২৪ : চার্জড পার্টিকেলগুলি ভূ পৃস্টের ১৫০ মাইল উচ্চতায় অক্সিজেনে আঘাত করলে লাল রঙের আলো সৃষ্টি হয়


ছবি - ২৫ : চার্জড পার্টিকেলগুলি ভু পৃস্টের ১৫০ মাইলের উপরে অক্সিজেনে আঘাত করলে সবুজ অলোর সৃস্টি হয় ।


ছবি – ২৬ : ভূপৃষ্ঠের ৬০ মাইলের উপরে নাইট্রজেনে আঘাত করলে নীল ও তার নীচে আঘাত করলে পারপল (বেগনিলাল ) রং ধারণ করে ।


এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা অরোরা-দর্শনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে আগাম জানিয়ে দেয়। তবু সব কিছু সত্ত্বেও মনে রাখতে হবে, অরোরা একান্তই অননুমেয় এবং তাকে দেখা একেবারেই ভাগ্যের ব্যাপার! যাহোক, তাত্বিক আলোচনার বাইরে এবার যাওয়া যাক বাস্তবে আরোরা দেখার জগতে ।

অরোরা দেখার জন্য কমপক্ষে তিন দিন হাতে সময় নিয়ে যেতে হয় অরোরা জোনে । প্রথম দিনের চেষ্টায় অরোরা দেখতে ব্যর্থ হলেও থাকার হোটেলের জানালার পর্দা সরিয়ে বেশ কিছু অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখে মন ভরে যায় । দুরে দেখা যায় শুধু সাদা তুষার আর তুষার— যত দূর চোখ যায়, কেবলই বরফ! ‘স্প্রুস’ নামে এক ধরনের দেবদারু গাছ ছাড়া আর কোনও রকম গাছই চোখে পড়বেনা ইয়েলোনাইফে । সেই সব স্প্রুস গাছও জানুয়ারীতে থাকে বরফাবৃত। দূরে বরফে মোড়া কিছু বাড়ীও দেখা যাবে, প্রকৃতি ও বাড়ী ঘরের এত সুন্দর দৃশ্য দেখে মনে হবে যাক, এখানে আসাটা একেবারেই যায়নি বৃথা !

ছবি-২৭ : তুষারে ( Snow) ঢাকা ইউলোনাইফের গাছপালা ও বাড়ী ঘর


প্রথম এক দু্‌ই রাতে অরোরার দেখা না মিললেও দিনের বেলাটায় দেখা যায় একটি রোদ্রজ্বল দৃশ্য কেননা ইয়েলোনাইফ হচ্ছে কানাডার সবচেয়ে কোলডেস্ট সানিয়েস্ট সিটি ।

ছবি – ২৮ : ইয়েলোলাইফে -৩৫ হতে -৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও গ্রেট স্লেভ লেকের পাইলট মনুমেন্টে দাঁড়িয়ে দেখা যাবে সূর্যের এমন ছবি ।


প্রথম দিনের চেষ্টায় অরোরা দেখতে ব্যর্থ হলে পরের দিন গুলিতেও প্রচেষ্টা নিতে হয় এবং যেতে হয় আরো একটু উত্তরের কোন ভিউ পয়েন্টে এবং সে দুর্গম জায়গায় যাওয়ার জন্য রয়েছে স্নো-মোবাইল বাহন । চালকের পিছনে একজন কি দুজন তাতে একসাথে বসা যায় ।
ছবি- ২৯ : স্নো- বাইক মোবাইল বাহন


রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে সৌভাগ্যক্রমে আকাশ খুব পরিষ্কার থাকলে অরোরার দেখা মিলে ! ভাগ্য ভাল থাকলে তা দারুণ ভাবেই মিলে যায় ,দেখা যায় আকাশের উত্তর দিক থেকে সবুজ আলো হঠাৎ দক্ষিণের দিকে এগোতে এগোতে পুরো আকাশ ছেয়ে গেছে ! সেই সবুজ আকাশের মাঝেই আবার কোথা থেকে লাল আলো এসে যেন নৃত্য করতে থাকে ! সেসময় আনন্দ-উল্লাস ধরে রাখে কে। আকাশে আলোর এই খেলা চলে বেশ কিছুক্ষণ। অরোরাকে লং এক্সপোজারে ক্যামেরায় ধরে রাখতে কোন ভুল যে হবেনা তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে ।

তবে ডিজিটাল ক্যমেরায় বিভিন্ন রঙগের নৃত্যরত অরোরার দৃশ্য ধারণ করা হলেও তার সঠিক পরিস্ফোটন বেশ সমস্যাপুর্ণ । বিভিন্ন রংএর সমাহার ও চোখের নিমিশে অরোরার আকার ও রং পরিবর্তনের কারণে পরিস্ফোটনের পর ধারণকৃত দৃশ্য কতখানি কমনীয় হবে তা অনিশ্চিত । বিভিন্ন স্তরের হালকা মাত্রার অর্ধবৃত্ত ইমালসনের উপস্থিতি ছবিতে ফুটিয়ে তুলার বিষয়টি দারুনভাবে আনপ্রেডিকটেবল । অরোরার দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশিষ্টের কারণে লং এক্সপোজারে উঠানো ছবি অনেক সময় সঠিক চিত্র দেখাতে হয় ব্যর্থ । তাই ,অরোরার দৃশ্য দেখা ও ছবি তুলার জন্য সবসময় সার্ভিস টুর গাইডের সাথে ছবি তোলার জন্যও এক্সপার্ট ফটোগ্রাফার থাকে ।

ছবি-৩০ : এক্সপার্ট ফটোগ্রাফার কতৃক অরোরার ছবি ধারণ


অরোরার মনোমুগ্ধকর কিছু দৃশ্য করা হল সংযোযন ।
ছবি- ৩১ : ভুবন মোহিণী বোরিয়ালিস বা নর্দার্ন লাইটস এর দৃশ্য


অরোরাকে দেখা যায় উত্তর ইউরোপের স্কটল্যান্ড ( খুবই রেয়ার ও অনিশ্চিত) , নরওয়ে ও রাশিয়ার অরোরা জোন এলাকা হতেও ।

ছবি- ৩২ : গত ১২ বছর আগে ইউকের স্কটল্যান্ড হতে দেখা যাওয়া অরোরার একটি সুন্দরতম দৃশ্য ।


ছবি-৩৩ : নরওয়েতে দেখতে পাওয়া অরোরার ছবি


ছবি- ৩৪ : গ্রীনল্যান্ড হতে দেখা পাওয়া অরোরার ছবি


পৃথিবী ছাড়াও অন্য গ্রহের অরোরার ছবিও অধুনা হয়েছে ধারণ । বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতিতে অরোরার একটি দৃশ্য নাসা ( NASA) মাত্র দিন কয়েক আগে রিলিজ করেছে ,যা নিন্মের ছবিতে দেখা যেতে পারে ।

ছবি- ৩৫ : The infrared image of southern aurora of Jupiter, as captured by NASA's Juno spacecraft on August 27, 2016.

সুত্র: Click This Link

এমন দৃস্টিনন্দন অরোরার বিষয়ে রয়েছে অনেক মিথ ও বিশ্বাস । উত্তর আমিরিকার মেরুবাসিরা মনে করে তাদের মৃত স্বজনেরা আকাশে রাতে নৃত্য করে , এবং উজ্জল রংগ মেখে নাচতে দেখলে তারা মনে করে তাদের মৃত স্বজনেরা সুখেই আছে (Hearne, Samuel ,1958) ।

দক্ষীন মেরুতে রয়েছে ঠিক এর উল্টো বিশ্বাস অ দক্ষীন অস্ট্রেলিয়ার দাইরী জনগুষ্ঠির মানুষেরা অরোর অআলোক রশ্মি প্রদর্শনকে মনে করে এটা অসত অআত্মাদের বৃহদাকারের অগ্নি জ্বলন । অনুরূপভাবে দক্ষীন অস্ট্রেলিয়ার নাগারিনডেরী জনগোষ্ঠির লোকেরা সেখানকার ক্যাঙ্গারু দ্বীপে দেখতে পাওয়া অরোওআকে বলে মৃতদের দেশ (‘Land of the Dead’) ।

১৮৬২ সনের ১৩ ডিসেম্বর আমিরিকায় গৃহ যুদ্ধের সময় ভার্জিনিয়ার ফ্রেডারিকবার্জ যুদ্ধ ফিল্ড হতে রাতে অরোরাকে দেখা যায় । যুদ্ধটা হয়েছিল কনফেডারেট অআর্মী ও Confederate Army of Northern Virginia এবং Union Army of the Potomac এর মধ্যে । কনফেডারেট আর্মী রাতের আকাশের আরোরার দৃশ্যেকে ভগবান তাদের সাথে আছেন বলে মনে করেছে কেননা এ দৃশ্য কদাচিত উত্তর মেরুর অরোরা জুন হতে এত দুরে দক্ষীনে দেখা যায় । আমিরিকার আর্ট মিউজিয়ামে রক্ষিত ও প্রদর্শিত Frederic Edwin Church এর আঁকা অরোরা বোরিয়ালিস এর বিখ্যাত চিত্র কর্মটি আমিরিকার গৃহযুদ্ধের কনফ্লিক্টকে রিপ্রেজেন্ট করে বলে ব্যপকভাবে আলোচিত । অরোরাকে নিয়ে অংকিত বিখ্যাত চিত্র কর্মটি নীচে দেখা যেতে পারে ।

ছবি- ৩৬ : আমিরিকার আর্ট মিউজিয়ামে রক্ষিত ও প্রদর্শিত অরোরা বোরিয়ালিস

সুত্র : American Art Museum

বর্তমান যুগেও অরোরাকে নিয়ে বেশ কিছু দু:শ্চিন্তার আছে । বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এটা রেডিও ওয়েবে বিঘ্ন ঘটিয়ে রেডিও কমিউনিকেশনকে করতে পারে বিঘ্নিত , সোলার স্টর্ম বা সৌর ঝড় পৃথিবীর মেগনেটিক এনার্জিকে প্রভাবিত করে বিদ্যুত ব্যবস্থাকে করতে পারে বিপর্যস্ত । তবে সব কিছুর উপরে এটা এখনো মানুষকে দর্শন আনন্দই দিয়ে যাচ্ছে ।

উত্তর কিংবা দক্ষীন মেরুর অরোরা জোনে গিয়ে যারা এটা দেখতে অপারক তাদেরও হতাস হওয়ার কোন কারণ নেই । বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রতিটি মানূষের শরীরেই নাকি অরোরার মত আলোর সৃস্টি হয় । বর্তমানে হাইটেক ইলেকট্রনিক গ্যাজেট , যন্ত্র ও সরঞ্জামাদি উন্নয়নের ফলে আমাদের দেহের সূক্ষ্ম কম্পন ও আলোক রস্মি সনাক্ত করতে সক্ষমতা এসেছে । এর ফলে মানুষের দেহজ্যোতির ( human aura) ইমেজ কেপচার করা সম্ভব হচ্ছে । বিস্তারিত দেখার জন্য এখানে CLICK করুন Human BioEnergy Field : Click This Link

মহাবিশ্বের সুবিশাল শক্তি তরঙ্গের মত মানব দেহ ও মনেও মহাজাগতিক অরোরার মত নিন্মের চিত্রের মত অবস্থার সৃস্টি হয় নিয়ত ।

ছবি - ৩৭ : মানব দেহে অরোরার দৃশ্য !!!


শক্তি তরঙ্গের ভিত্তিতে ক্রমাগত ভাবে সচেতন বা অবচেতন স্তরে আমরা ইউনিভারসেল পরিবেশের সঙ্গে একটি মিথক্রিয়ায় রত । আমাদের মনের মধ্যে কিছু বিশেষ ক্ষমতা Extra sensory powers ( ESP ) যথা অলোকদৃষ্টি, টেলিপ্যাথি, দূরবর্তী দর্শন , ইত্যাদি ক্ষমতা আছে । যদি এই ESP ক্ষমতাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমরা পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের বাইরেও জ্ঞান লাভ করতে পারি । এই সমস্ত ক্ষমতার মধ্যে নিন্মবর্ণিত ক্ষমতা গুলির প্রয়োগ দেহের সুস্ব্যাস্থ্য ও মনের প্রশান্তব অর্জনে বেশ সহায়ক :
অলোকদৃষ্টি (স্পষ্ট দুরদৃষ্টি) - দূরে লোকচক্ষুর আড়ালে স্থান বা লুকানো কিছু দেখতে পাওয়া , শারীরিক চোখ ব্যবহার ছাড়াই মনের চোখ দিয়ে আলোকদর্শননে দৃশ্য ও মানসিক চিত্র উপলব্ধি করা ।

অরিক (Auric) দৃষ্টিশক্তি - এর ফলে দেহজ্যোতি রং দেখার সক্ষমতা লাভ হয় ও এর মাধ্যমে মুড, আবেগ, চিন্তা বা মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব বুঝার ক্ষমতা অর্জন করা যায় ।

এই আলো ও অরিক দৃস্টি শক্তিকে একটি চরকা আকারে নিন্মের চিত্রের মত ব্যলান্স করে দেহ - মনের সুস্বাস্থ্য ও প্রশান্তি বজায় রাখা সম্ভবপর হয়ে উঠে (Nishat Sharma 2016) ।
ছবি-৩৮ : চক্রাকারে মানব দেহে অরিকজ্যোতি শক্তি ও তার ভারসাম্য বজায়ের জন্য সাধনা

সুত্র: Click This Link

মহাজাগতিক ঘুর্ণন চক্রের মত মানব দেহের ঘুর্ণন চক্রে ভালবাসা ও শক্তি দুটোই প্রবাহিত । এ অবস্থায় দেহ ঘুর্ণন চক্রে সঠিক শক্তি প্রয়োগ আবশ্যক । মানব দেহের এই ঘুর্ণন চক্রে দেহজাত শক্তির সাথে ESP ক্ষমতাকে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করে ব্যালেন্স স্থাপনের মাধ্যমে দেহ মনে সুস্থতা ও প্রশান্তি বজায় রাখা সম্ভব , এই ভারসাম্য তৈরী করতে না পারলে শরীরে ব্যধি ও অসুখ বাসা বাধতে পারে । এমতাবস্থায়, আলোক-অরিক দৃস্টিতে দেহজ্যোতিকে শুধু যে অনুধাবন করা যাবে তাই নয়, এর মাধ্যমে মানবদেহে শারিরিক সুস্থতা এবং মানসিক প্রশান্তি আনাও সম্ভব হবে ।

এতক্ষন সাথে থেকে বিশ্ব ব্রম্মান্ড ঘুরে আসার জন্য ধন্যবাদ ।

তথ্য সৃত্র :
Nishat Sharma (2016), What Is Human Aura, at Click This Link
Hamacher, D.W. (2013). "Aurorae in Australian Aboriginal Traditions" (PDF). Journal of Astronomical History and Heritage. 16 (2): 207–219.
Hearne, Samuel (1958). A Journey to the Northern Ocean: A journey from Prince of Wales' Fort in Hudson's Bay to the Northern Ocean in the years 1769, 1770, 1771, 1772. Richard Glover (ed.). Toronto: The MacMillan Company of Canada. pp. 221–222
Space Weather Prediction Center. OVATION-Prime Auroral Forecast (N) at Click This Link
Wikipedia , at https://en.wikipedia.org/wiki/Aurora
ছবি সুত্র : গুগল অন্তরজাল

মন্তব্য ১১৭ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (১১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

শায়মা বলেছেন: মেরুজ্যোতি নামও যেমন সুন্দর!!!!!!!

দেখতেও তবে এত কঠিন পোস্ট মাথায় ঢুকাতে পারলাম না!!!!!

এই গবেষনালদ্ধ পোস্ট পড়তে গেলে সাত দিন সাত রাত লাগবে!

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
প্রথম মন্তব্যে আপুমনিকে পেয়ে খুব খুশী হলাম ।
Reading for pleasure a research overview শীর্ষক একটি আর্টিকেলে পড়েছিলাম এরকম আর্টিকেলের এক লাইনের অর্থ বুঝতেই নাকি মাস্টারদের ৭ দিন লাগে কারণ তাঁরা বিষয়টি অনেক খুটিয়ে খুটিয়ে দেখে । তবে আশা করছি সাত দিনের মধ্যেই মেরুজ্যোতি দেখা হয়ে যাবে ।

শুভেচ্ছা রইল

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

জেন রসি বলেছেন: অসাধারন পোস্ট এম এ আলী ভাই। সোজা প্রিয়তে।

আপনি খুব চমৎকার ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। আমি খুব মজা পেয়েছি। অলরেডি ইউটিউবে চলে গেছি! :P

কিছু না বুঝলে আবার আসব আপনাকে বিরক্ত করতে! :)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ, প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
বিষয়গুলি আমিউ তেমন ভাল বুঝিনা, আমি বিষয়টির
উপর শুধু ফ্লাগ পোস্ট করেছি । সামোতে অনেক বিজ্ঞ
পদার্থ বিজ্ঞানী আছেন, আশা করি তাঁদের নিকট হতে
অনেক মুল্যাবান কথা শুনতে পারব । সঠিক ও আরো
সুস্দর কথা উঠে আসবে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আগে সেভাবে ধারণা ছিল না। পোষ্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ , আমারো আগে তত ধারনা ছিলনা ।
হঠাত করে মেরু জ্যোতির বিষয়ে একটু কৌতুহলী হয়ে যা জানতে
পেরেছি তা সকলের সাথে শেয়ার করলাম।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

শায়মা বলেছেন: হায় হায় তাইলে আধা লাইনও বুঝার ট্রাই করবোনা!!!!!! জিনিভাইয়া পড়ুক আরও পাগল হোক! আমি দেখেই খুশি।

সুন্দরও বটে তব অঙ্গদ খানি
তারায় তারায় খচিত........


মেরুজ্যোতি দেখে এই গানই মনে পড়ছে আমার ভাইয়া।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুশী হওয়ার প্রসেস দেখে আমিউ খুশী ।
গানটা পুরাটা শুনতে পারলে ভাল লাগত।
তোমার মত গান শুনাতে পারলামনা ।
তবে নীচের লিংকটা ফলো করে দেখতে
পারা যায়, হয়ত ছাত্রদের বিষয়ে কাজে
লাগবে ।

Research evidence on reading for pleasure

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

শায়মা বলেছেন: আমার ছাত্ররা এতই পিচ্চিপাচ্চা এসব তাদের কেমনে কাজে লাগাবো ভাবছি!!!!!!!

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপুমনি তুমি তো বুঝতেই পারছ, এটা আসলে টিচারদের জন্য । ছাত্র শিক্ষক সকলেই জ্ঞানের জগতের ছাত্র , তাই আমি শিষ্টতা বজায় রেখে ছাত্র বলেছি । তবে একবার পড়ে দেখতে পার । এ লিংকটা আমি আরো দুএক জন টিচারকে পাঠিয়েছিলাম , তারা বলছেন এটা বেশ উপকারী, ছাত্রদেরকে গাইড দেয়ার জন্য ।
ধন্যবাদ , শুভেচ্ছা রইল ।

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলায় আপনি খুবই সহজ করতে পেরেছেন; খুবই উঁচু মানের দক্ষতা দেখায়েছেন, প্রশংসনীয়।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, প্রসংসা শুনে ভাল লাগল ।

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই চমৎকার এ পোস্টের জন্য আপনাকে জানাচ্ছি টুপিখোলা অভিনন্দন, ডঃ আলী! + +
আল্লাহ'র কি অপরূপ সৃষ্টি! এ জীবনে হয়তো চাক্ষুষ দেখতে পাব না, কিন্তু আপনার লেখা পড়ে আর ছবি দেখে প্রথমেই মুখে যে কথাটি এলো- সুবহানাল্লাহ!
সুর্য হতে তৈরী হ ওয়া এই সোলার স্টর্ম বা সৌর ঝড় ঘন্টায় ৮ মিলিয়ন কিলোমিটার বেগে বাহির পানে ধাবিত হয় - কি বিস্ময়!
ভূগোল এর ছাত্র হিসেবে ছোটবেলায় ‘অরোরা বোরিয়ালিস বা নর্দার্ন লাইটস’ এবং‘অরোরা অস্ট্রেলিস বা সাউদার্ন লাইটস’ সম্পর্কে কিছুটা জেনেছিলাম বটে, তবে তার চিত্র এতটা রঙিন ছিল না।
যদিও শেষের কথাগুলো পড়তে পড়তে আমার মাথাটা একটা চক্কর খেল, তবুও আমি রিকমেন্ড করবো আপনার এ সুলিখিত পোস্টটি বিজ্ঞানের ছাত্রদের পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করতে। এটা বিজ্ঞানের ছাত্রদের জিজ্ঞাসা ও অনুসন্ধিৎসা মেটাবে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহসান ভাই ।
বিশ্ব ব্রম্মান্ডের হাজার হাজার কোটি নক্ষত্রের মধ্য সুর্য একটি । এই সুর্যের মধ্যেই এত রূপলিলা বাকি গুলোই জানি কি আছে ।
আল্লার সৃস্টি লিলার সামান্য একটু নমুনা দেখে বদ্দমুল ধারনা হয় তাঁর ক্ষমতা ও সুক্ষ কলা কৌশল সম্পর্কে । শুনেছি অাল্লাহ মানুষকে সৃস্টি করেছেন সমস্ত বিশ্ব ব্রম্মান্ডের একটি ক্ষুদ্র নমুনা হিসাবে , ক্রমে ক্রমে তা বৈজ্ঞানিকভাবে কিছুটা প্রমানিতও হচ্ছে, সুবহানাল্লাহ! ্

আপনার অকুন্ঠ প্রসংসা শুনে অনুপ্রানীত হলাম

শুভেচ্ছা রইল

শুভেচ্ছা রইল

৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



মিশর, যেরুজালেম, ও সৌদী থেকে 'অরোরা' কি দেখা যায়?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । লিখাটির প্রথমে বলা হয়েছে গ্লোবে মানচিত্রে কা দেখায়ে ।
অরোরার জোন সাধারণত পৃথিবীর চৌম্বকীয় মেরুর অক্ষ দ্বারা সংজ্ঞায়িত, চৌম্বক মেরু থেকে ১০ ডিগ্রি হতে ২০ ডিগ্রির মধ্যে এর অবস্থান । এর বাইরে অরোরা দেখা যায় খুব রেয়ার। মিডল ইস্ট অরোরা জোন হতে হাজার হাজার মাইল দুরে থাকায় সেখানে অর্থাত মিশর, যেরুজালেম, ও সৌদী থেকে 'অরোরা' দেখার সম্ভাবনা নাই , যদি কোন মিরাকল না হয় ।

৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




চমৎকার ।
এমন বর্ণাঢ্য লেখা পড়ে শুধু একথাই বলা ------ রূপ- রস - রঙে ভরা এই ছোট্ট একটা পৃথিবী থেকে চোখ ফেরানোই দায় । তাই হয়তো কবি বলেছেন - “মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে .....” ।
আমরা যদি আসলেই রূপ- রস –রঙের সমঝদার হই তবে আমার- আপনার জন্যে এ বিশ্বে ছড়ানো আছে আরো শত শত চমক , আঁখি না ফেরানোর গল্প । চোখ মেলে দেখলে সে চমক ক্ষুদ্র এ পৃথিবীর সব রঙ কে ম্লান করে দিয়ে যাবে । আকাশের ক্যানভাসে অজানা এক চিত্রকরের আঁকা রঙে- রূপে স্পন্দিত , সশ্রদ্ধ বিস্ময় আর সম্ভ্রম জাগানো এই সব ছবি আমাদেরকে জানিয়ে যাবে আমাদের দেখা এই পৃথিবীর অতি নগন্যতার, অতি তুচ্ছতার এক একটি উপাখ্যান । আমাদের মাথার উপর রাতের আকাশের গায়ে রঙ-ধনু রঙের সুতোয় বোনা এই সব কারুকার্য্যময় ছবি আমার আপনার চোখ ধাঁধিয়ে দেবে রঙের দ্যুতিতে ।

অনেক তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট বলে আপনাকে হাল্কা করতে চাইনে , শুধু বলা ----- অনবদ্য, অপূর্ব !

আপনার এই লেখাটি দেখে সাথের লিংকটি দিলুম ---“মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে .....”

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাই ।
আপনার সুপ্রিয় কথা মালায় মুগ্ধ ও অভিভুত।

লিংক ফলো করে দেখে এসেছি মাগো তোমায়...।
নীজের উপরেই রাগ হচ্চে কেন যে এত সুন্দর লিখাটি
এতদিন চোখে পরেনি।অবশ্য এ ব্লগে আমার জন্মের
আগের লিখা ছিল সেটি । অপুর্ব সব ছবি , বিবরণ ও
কাব্যগাথায় পরিপুর্ণ সে লিখাটি বিশ্ব ব্রম্মান্ডকে জানার
ও দেখার সাধ মিটায় ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার এই লেখাটি পুরোটাই পড়েছি। একটা মন্তব্যও লিখেছিলাম। কিন্তু নেটের সমস্যার কারণে মন্তব্যটি প্রকাশ করতে পারলাম না। আগামীকাল আবার চেষ্টা করবো। আমার কিছু জানার আছে।

ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আশরাফুল ইসলাম ভাই।
লিখাটি মনযোগ দিয়ে পড়েছেন শুনে খুশী হয়েছি।
তবে দু:খ লাগল কস্টের লিখা মন্তব্য নেটের
কারণে পোস্ট করতে পারেননি বলে ।
অপেক্ষায় আছি আবার আসলে কথা
হবে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । লিখাটির প্রথমে বলা হয়েছে গ্লোবে মানচিত্রে কা দেখায়ে ।
অরোরার জোন সাধারণত পৃথিবীর চৌম্বকীয় মেরুর অক্ষ দ্বারা সংজ্ঞায়িত, চৌম্বক মেরু থেকে ১০ ডিগ্রি হতে ২০ ডিগ্রির মধ্যে এর অবস্থান । এর বাইরে অরোরা দেখা যায় খুব রেয়ার। মিডল ইস্ট অরোরা জোন হতে হাজার হাজার মাইল দুরে থাকায় সেখানে অর্থাত মিশর, যেরুজালেম, ও সৌদী থেকে 'অরোরা' দেখার সম্ভাবনা নাই , যদি কোন মিরাকল না হয় ।

১২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৩

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম!:)

পরে মন্তব্য করে যাব!:)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ রহমান ভাই
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

" মিডল ইস্ট অরোরা জোন হতে হাজার হাজার মাইল দুরে থাকায় সেখানে অর্থাত মিশর, যেরুজালেম, ও সৌদী থেকে 'অরোরা' দেখার সম্ভাবনা নাই , যদি কোন মিরাকল না হয় । "

-ভালো, আরবদের এনিয়ে মাথা ঘামাতে হয়নি।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বে তেলে ভাসার আগে এক সময় মিডল ঈস্টের বিজ্ঞানীরা মহাকাশ নিয়ে বেশ ভাবত ও গবেষনা করত , সে সময়ে নাসা কিংবা টলেমীয় মহাকাশ গবেষনা শুরুই হয়নি । বলা যায়
Islamic astronomy played a significant role in the revival of Byzantine and European astronomy following the loss of knowledge during the early medieval period, notably with the production of Latin translations of Arabic works during the 12th century.

A significant number of stars in the sky, such as Aldebaran, Altair and Deneb, and astronomical terms such as alidade, azimuth, and nadir, are still referred to by their Arabic names. A large corpus of literature from Islamic astronomy remains today, numbering approximately 10,000 manuscripts scattered throughout the world, many of which have not been read or catalogued. Even so, a reasonably accurate picture of Islamic activity in the field of astronomy can be reconstructed।


এর পরের সময়টা নীজেরা নীজেদের মধ্যে যুদ্ধ বিগ্রহ আর পরে তেল পেয়ে রাজকীয় ভোগে লিপ্ত থেকে মহাকাশ নিয়ে না ভেবে আরাম আয়েসে থেকে সে সব ভাবনা যায় ভুলে ।

১৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৮

জেন রসি বলেছেন: অরোরা নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে কিছু মিথ সম্পর্কে জানতে পারলাম। রোমান মিথে অরোরা হচ্ছে পাতালের দেবী। মধ্যযুগে এমন ধারনা করা হত যে, অরোরা যুদ্ধ এবং দূর্ভিক্ষের জানান দেয়। আলাস্কায় এমন ধারনা ছিল যে এ লাইট হচ্ছে তাদের শিকার করা প্রাণীর স্পিরিট। চীনে এমন ধারনা ছিল যে যখন ভালো এবং খারাপ স্পিরিট যুদ্ধ করে তখন এমন লাইট দেখা যায়।

মানুষের গল্প বানানোর ক্ষমতা আসলেই অসাধারন। যখন তাদের কাছে ব্যাখ্যা থাকেনা তখন তারা সেটাকে গল্প দিয়ে বুঝার চেষ্টা করে।

এটাও জানতে পারলাম ধাবমান ইলেক্ট্রিক্যালি চার্জড পার্টিকেল নভোচারীদের বিপদে ফেলে। যদিও আমাদের পৃথিবী এই সোলার স্টোর্মের কবল থেকে আমাদের রক্ষা করে। :)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, অরোরা সম্পর্কে আরো অনেক মিথ জানা গেল, এর ব্যখ্যাটাও ভাল লাগল । আপনি ঠিকই বলেছেন ধাবমান ইলেক্ট্রিক্যালি চার্জড পার্টিকেল নভোচারীদের বিপদে ফেলে। কারনটা জানা যায় যে The Earth's atmosphere actually expands slightly when aurorae are around. This means that any low-flying satellites can hit the upper atmosphere. This can slow them down enough to make them eventually come back down to Earth.

১৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:১৬

কালীদাস বলেছেন: তিনটা কারণে আমার অনেকদিনের ইচ্ছা আইসল্যান্ডে যাওয়ার, তার মধ্যে সেকেন্ডটা হল এই অরোরা। সঙ্গী খুঁজছি, দুইজন রাজি, কিন্তু টাইম ম্যাচ না করায় এখনও যাওয়া হয়নি :( আপনার পোস্ট দেখে আবার ইচ্ছাটা জেগে উঠল।

চমৎকার বর্ণনা, আর অরোরার তুলনা অরোরা নিজেই :) থ্যাংকস :)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এসে দেখে চমৎকার লাগার জন্য ধন্যবাদ ।
আইসল্যান্ডে গিয়ে অরোরা দেখার ইচ্ছার কথা শুনে খুশী হলাম ।
আইসল্যান্ড হতেও এই সময়ে অরোরা দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে
অরোরা ফোরকাস্ট ওয়েব সা্‌ইট হতে জানা যায় যেমনটা আজকের
ফোরকাস্ট নীচে দেখানো হল । তাই সেখানে যাওয়ার আগে অরোরা
সিইং ফোরকাস্ট থেকে জেনে যাবেন ।

১৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৪৩

ভাবনা ২ বলেছেন: অরোরার ছবি ও সুন্দর বিবরণ দেখে ভাল লাগল ।
অনেক নতুন কথা শুনা হল । ভাবতে অবাক লাগে
এটা কিভাবে সূর্য হতে পৃথিবীতে আসে ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।
ছবি ও বিবরন ভাল লাগছে জেনে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল

১৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৪৫

ভাবনা ২ বলেছেন: অরোরার ছবি ও সুন্দর বিবরণ দেখে ভাল লাগল ।
অনেক নতুন কথা শুনা হল । ভাবতে অবাক লাগে
এটা কিভাবে সূর্য হতে পৃথিবীতে আসে ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ছবি ও বিবরন ভাল লাগছে জেনে খুশী হলাম ।
আসলেই অরোরার কথা ভাবলে অবাক লাগে ।
শুভেচ্ছা রইল

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এটা সুর্য হতে পৃথিবীতে কিভাবে আসে তা এ পোস্টের ৭ নং ছবি
থেকে ২৫ নং ছবিতে সচিত্র ভাবে বর্ণিত হয়েছে । দয়া করে
একটু কস্ট করে আবার দেখে নিন ।

১৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:০১

বিলুনী বলেছেন: ভুগোল বইএ অরোরার কথা শুনেছি ,
কিন্তু এটা যে এমন করে আকাশ
থেকে নেমে আসে তা জানা ছিলনা ।
সুন্দর সুন্দর চিত্র দেখে খুব ভাল লাগল ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট এর ছবি দেখে ভাল লাগায় অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল

১৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:০৩

বিলুনী বলেছেন: অরোরাকে কি বাংলাদেশ হতে দেখার সম্ভাবনা আছে ?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বাংলাদেশ অরোরা জোন হতে প্রায় ৮ হাজার মাইল
দুরে বলে এখান হতে অরোরা দেখার সম্ভাবনা নাই
তবে কোন মিরাকল ঘটলে দেখা যেতে পারে ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বাংলাদেশ অরোরা জোন হতে প্রায় ৮ হাজার মাইল
দুরে বলে এখান হতে অরোরা দেখার সম্ভাবনা নাই
তবে কোন মিরাকল ঘটলে দেখা যেতে পারে ।

২০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বাংলাদেশ অরোরা জোন হতে প্রায় ৮ হাজার মাইল
দুরে বলে এখান হতে অরোরা দেখার সম্ভাবনা নাই
তবে কোন মিরাকল ঘটলে দেখা যেতে পারে ।

২১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:২৬

ভাবনা ২ বলেছেন: উত্তর মেরুর অরোরার ছবি তো দেখলাম ,
দক্ষীন মেরুর অরোরাও কি আএকই রকম
না ভিন্ন রকম জানালে খুশী হব ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দক্ষীন মেরু হতে দেখা যাওয়া অরোরার ছবি একই রকম ।
নীচে ছবিতে দেখুন । এটা বিভিন্ন রংগেরও হয় ।

২২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:২৭

ভাবনা ২ বলেছেন:
উত্তর মেরুর অরোরার ছবি তো দেখলাম ,
দক্ষীন মেরুর অরোরাও কি আএকই রকম
না ভিন্ন রকম জানালে খুশী হব ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দক্ষীন মেরু হতে দেখা যাওয়া অরোরার ছবি একই রকম ।
নীচে ছবিতে দেখুন । এটা বিভিন্ন রংগেরও হয় ।

২৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দক্ষীন মেরু হতে দেখা যাওয়া অরোরার ছবি একই রকম ।
নীচে ছবিতে দেখুন । এটা বিভিন্ন রংগেরও হয় ।

২৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:১২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর !:)

এবং অবশ্যই প্রশংসনীয় পোস্ট!:)


অরোরা সৃষ্টির কারন, পদ্ধতি সব কিছুই লেখক খুব সহজবোধ্য করে উস্থাপন করেছেন!:) ভ্রমণ নির্দেশনাও সাবলীল এবং পরিপূর্ণ। তবে পোস্টে কয়েকটা টাইপোও চোখে পড়েছে! যেমন-২১ নম্বর ক্যাপশনে গ্যস< গ্যাস, ২৩,২৩ ক্যাপশনে সৃস্ট<সৃষ্ট; দক্ষীন<দক্ষিণ, ২৪ নম্বর ক্যাপশনে ভু পৃস্টের< ভূপৃষ্ঠের ইত্যাদি।

পোস্ট আগেই প্রিয়তে নিয়ে ছিলাম!:)

এবার দিয়েগেলাম

লাইক!:)

প্লাস!:)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ রহমান ভাই ।
ভাল লাগল লাইকে ও প্লাসে ।
টাইপোগুলি সনাক্ত করার জন্য
কৃতজ্ঞ, এডিট করে দিয়েছি ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

২৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২২

মহা সমন্বয় বলেছেন: জাস্ট ওয়াও ড: ভাই্ , গ্রেট জব । B-)
সময় করে পোস্টটি পড়তে হবে, আনেক কিছু জানা যাবে নিঃশ্চই।
স্নিগ্ধ সকালের শুভেচ্ছা জানবেন। !:#P

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব খুশী হলাম
আপনাকে পেয়ে এখানে ।
আপনার প্রতিও রইল
স্নিগ্ধ সকালের শুভেচ্ছা ।

২৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
শুভ সকাল

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ফর ইউর টি এন্ড বিস্কিট ।
অনেক দেরী করে ঘুম থেকে জাগলেন মনে হয় ।
শুভ কামনা রইল ।

২৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখাটির নিম্নবর্ণিত বৈশিষ্ট্যগুলো আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

১) অরোরা সৃষ্টির তত্ত্বীয় ও প্রায়োগিক বিষয়গুলো অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যা এই ধরণের জটিল বিজ্ঞানভিত্তিক লেখার ক্ষেত্রে বিরল।
২) প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তগুলো যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
৩) উপযুক্ত ছবি সংযুক্ত করে দুর্বোধ্য বিষয়গুলো পাঠকের কাছে সহজবোধ্য করার প্রচেষ্টা লক্ষ্যনীয়। এই প্রচেষ্টায় আপনি শতভাগ সফল।
৪) বিজ্ঞান সম্পর্কে অনভিজ্ঞ সাধারণ পাঠক আপনার লেখার সাবলিলতা ও গুছিয়ে লেখার দক্ষতার কারণে অনায়াসে অরোরা রহস্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। যেমন আমি নিজে।


এখন কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে আমার জানার কৌতূহল হচ্ছে। দয়া করে জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।
১) মানব দেহে অরোরার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি কী তত্ত্বীয় ব্যাখ্যা, নাকি বিজ্ঞানভিত্তিক প্রায়োগিক গবেষণা দ্বারা প্রমানিত? এই অধ্যায়টি দুইবার পড়েও আমার কাছে ব্যাপারটা খোলাসা হয়নি। আসলে বিজ্ঞান সম্পর্কে আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে এমনটি হতে পারে।
২) অরোরার প্রভাবে রেডিও কমিউনিকেশনে বিঘ্ন ঘটা বা সৌর ঝড়ের কারণে পৃথিবীর চৌম্বকীয় শক্তি প্রভাবিত হয়ে বিদ্যুত ব্যবস্থার বিপর্যয় কী অতীতে কখনো ঘটেছে?
৩) সূর্যের আভ্যন্তরীন তাপমাত্রাকে আপনি ফারেনহাইট মাপে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আমার জানামতে এত বিপুল তাপমাত্রাকে কেলভিন মাপে উল্লেখ করা হয়। আমার জানার মধ্যে কী ভুল আছে?


অতি অসাধারণ একটি ক্ল্যাসিক পোস্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবারো আসার জন্য ।
আপনার প্রসংসামুলক কথায় অনুপ্রানীত ।
প্রশ্র করার ধরণ দেখে সহজেই বুঝা যায় বিজ্ঞানে
আপনি অনেক পরিপক্ক । সে হিসাবে বিজ্ঞানে আমি
একেবারেই অনভিজ্ঞ । তাই বিজ্ঞানীদের প্রদত্ত তথ্য হতে
কিছু জানার চেষ্টা করি মাত্র। আপনার বিজ্ঞতামুলক প্রশ্নগুলির
সঠিক উত্তর দেয়া আমার সাধ্যাতিত ।তবে এ সম্পর্কে যৎসামান্য
যা জানতে পেরেছি তা আপনার প্রশ্নের প্রেক্ষিতে শেয়ার করা হল মাত্র ।

১) প্রথম প্রশ্নের প্রেক্ষিতে বলা যায় আমার লিখাটির শেষ পর্যায়ে এসে মনে হল অরোরা সচক্ষে দেখার সুযোগ হয়তবা অনেকের হবেনা বিবিধ কারণে , তাই আপনার রম্য গল্পে অনুপ্রাণীত হয়ে তাঁদেরকে সে হিসাবেই কিছুটা শান্তনা দেয়ার জন্য আমার লিখার শেষে এসে একটু কৌতুকছলে বলতে চেয়েছিলাম যে, যারা অরোরাকে দেখতে যেতে অপারক তাঁরা নীজের দিকে তাকালেও অরোরাকে দেখতে পাবেন । আপনার রম্য গল্প থেকেই মনে হয় এটা আছর করেছে আমার উপরে :) । যাহোক, শুনেছি আল্লা মানব সৃস্টি করেছেন বিশ্বসৃস্টির একটি নমুনা হিসাবে । সুর্যের ভিতরে যেমন অনু পরমানুর মিথক্রিয়ার শক্তি উৎপন্ন হয় তেমনি মানব দেহেও সেভাবেই শক্তি উৎপন্ন হয় । যাহোক বিষয়টি এখনো তত্বীয় তবে ভারতে এর বাস্তব প্রয়োগের জন্য একটি সংগঠন কাজ করছে । এখানে ক্লিক Click This Link করে দেখতে পারেন । তবে এটা নিয়ে আমার তেমন বিশেষ কোন ইস্টারেস্ট নেই, শুধু গল্প ছলেই এখানে বলা, সেকারণেই সুত্র উল্লখ করে বলা হয়েছে এ রকমটা হতে পারে , হবেই যে তা ক্যটাগরিকেলী হয়নি বলা । ধরে নিতে পারেন এটা বিনোদনের জন্যেই মুলত বলা হয়েছে !!! তবে এটা নিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন । দেখা যাক তারা কি বের করেন এর থেকে । এ বিষয়ে আমার জানার পরিমান খুবই কম, তবে আপনার মত জানার আগ্রহটা আছে ।

২) দ্বিতীয় প্রশ্নের বিষয়ে বলা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী সংস্থা নাসার প্রতিবেদন হতে দেখা যায় অরোরার কারণে বিদ্যুত ও রেডিও কমিউনিকেশনে বিপর্যয় ঘটেছে । নিন্মে দু একটা অতীত ইভিডেন্স তুলে ধরা হল :

1. A huge solar flare on August 4, 1972, knocked out long-distance telephone communication across Illinois in USA.

2. On March 13, 1989, provoked geomagnetic storms that disrupted electric power transmission from the Hydro Québec generating station in Canada, blacking out most of the province and plunging 6 million people into darkness for 9 hours; aurora-induced power surges even melted power transformers in New Jersey. In December 2005

সুত্র : Click This Link


৩) তৃতীয় প্রশ্নের বিষয়ে আপনার সাথে সুর মিলিয়েই বলছি কেলভিন হল absolute scale এ তাপমাত্রা পরিমাপের একটি একক। গ্লাসগু বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানী উইলিয়াম লর্ড কেলভিন তাপমাত্রারপরিমাপের এই একক প্রবর্তন করেছেন বলে এটা কেলভিন একক হিসাবেই পরিচিত । একে ফারেন হাইট বা সেলসিয়াসে রুপান্তর করা যায় । তবে কেলভিনে কোন ডিগ্রী ব্যবহৃত হয়না পক্ষান্তরে কেলভিন এককে এটাকে K দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।

ফারেনহাইট থেকে কেলভিনে কনভার্ট করার ফর্মুলা হল

[K] = ([°F] + 459.67) ×  5/9

সে হিসাবে সুর্যের অভ্যন্তরের তাপমাত্রা কেলভিন এককে দাঁড়ায়

[K] = ([°15 million] + 459.67) × 5/9 = 8.33 K million

অর্থাৎ সুর্যের অভ্যন্তের ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রী ফারেন হাইট হলো ৮.৩৩ মিলিয়ন K (কেলভিন)

অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রের মত কেলভিন একক অনেক সময় আলোক উৎস থেকে আসা কালার টেমপারেচার প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয় । তবে তাপের সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট এককের সাথে সকলেই বহুল পরিচিত থাকায় সুর্যের তাপমাত্রাকে ফারেনহাইটেই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, এখানেও সকলের বুঝার সুবিধার্থে ফারেনহাইট ব্যবহার করা হয়েছে । তবে যে কেও ফর্মুলা প্রয়োগ করে একে কেলভিনে রূপান্তরিত করতে পারবে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: কি অপূর্ব অরোরার সৌন্দর্য!!!! আহা যদি আমাদের দেশ হতে দেখা যেত। সৌরঝড়ের পরিবর্তিত রূপ তাহলে এই অরোরা!!!
চমৎকার গবেষণালব্ধ একটা পোস্ট। অনেক কিছু জানতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রসংসামুলক কথায় আপ্লুত হলাম ।
অরুনি তো অরোরার কাছাকাছিই আছেন , তাই এক দৌঁড় দিয়ে এটা দেখে আসেন :)
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার বিবরণ ও অরোরার ছবি দেখে ভাল লাগল । এরকম পোষ্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব খুশী হলাম পোষ্ট চমৎকার অনুভুত হওয়ায় ও ছবি ভাল লাগায় ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

৩০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

পুলক ঢালী বলেছেন: অরোরা বোরিয়ালিস সম্পর্কে অনেক আগেই জানা ছিলো কিন্তু কিভাবে তৈরী হয় সে ব্যাপারে খুব হালকা ভাসা ভাসা জানা ছিলো আপনার পরিশ্রমী পোষ্টে মাধ্যমে আপনার সহজাত প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপনের কারনে ভাসা ভাসা জ্ঞান সামান্য(নিজের অযোগ্যতায়) গভীর হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুটিনাটি অনেক তথ্যের সমাহার সহ সুন্দর কিন্তু গভীর জ্ঞান সমৃদ্ধ পোষ্ট উপহার দেওয়ার জন্য । ভাল থাকুন।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় পুলক ঢালী
আপনার সুললিত প্রসংসায় আপ্লুত ও অনুপ্রানীত।
নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল ।

৩১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চমৎকার গবেষণালব্ধ একটা পোস্ট। এই বিষয়ে একদিন একজন জ্যোতিবীদ এর আলোচনা শুনেছিলাম কিন্তু এমন করে লোকটি বুঝাতে সক্ষম হয়নি। যদিও আপনার পোষ্টটি শতভাগ বুঝতে আরো কত বার পড়া লাগবে নিজে এখনো অবগত নয়। বিজ্ঞান বলে কথা। তবে আপনি যে শতভাগ সফল তা আপনার বিশাল আয়োজনে প্রকাশ করতে পেরেছেন। অতি অসাধারণ এবং চমৎকার এক কথায়।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন ।
আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বিভিন্ন সুত্র হতে পাওয়া তথ্যগুলিকে
একটু সহজ করে সকলের সাথে শুধু শেয়ার করেছি ।
এ ব্লগের বিজ্ঞ পদার্থবিদগন এ ব্যপারে অনেক অনেক বেশী জানেন
তাদের কাছ হতে আরো অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করি ।

শুভেচ্ছা রইল

৩২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
মেরু জ্যোতি সমন্ধে পড়ে কিছু হলেও বিস্তারিত জানতে পাড়লাম,একারেণ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এ সম্পর্কে বেসিক ধারণা ছিল ।


সূর্য থেকে ধেয়ে আসা বিদ্যুৎবাহী কণা যখন পৃথিবীর বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের সজ্জা ভেঙে ফেলে, মেরু অঞ্চলের আকাশ তখন অপরূপ বর্ণচ্ছটায় আলোকিত হয়ে ওঠে। এই ঘটনা উত্তর মেরুতে ঘটলে তার নাম হয় অরোরা বোরেলিস। কেবল উত্তর মেরুর কাছাকাছি এলাকাগুলো থেকে দেখা যায় বলে ইউরোপের মানুষ আদর করে এর নাম দিয়েছে উত্তরের জ্যোতি। তবে সাম্প্রতিক 'সোলার সুনামির' পর উত্তর মেরু থেকে অনেক দক্ষিণের দেশ জার্মানি বা যুক্তরাজ্য থেকেও এ জ্যোতির দেখা মিলছে। ফলে সাধারণের মনে প্রশ্ন উঠেছে, উত্তরের আলো কি দক্ষিণে সরে আসছে? বিজ্ঞানীরা এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে_সৌরঝড়ের পর সূর্য থেকে বৈদ্যুতিক চার্জবাহী বিপুল পরিমাণ কণা ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। তার কিছু অংশ পৃথিবীতেও এসে ধাক্কা দেয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় এসব চার্জযুক্ত কণার প্রভাবে সাময়িকভাবে ভেঙে যায় এই গ্রহের বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের সজ্জা। এ সময় মেরু অঞ্চলের আকাশে বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের সংস্পর্শে জ্বলে ওঠে চার্জবাহী কণা। এ সময় লাল ও সবুজ রঙের আলোকচ্ছটা তৈরি হয় অক্সিজেন গ্যাসের কারণে। আর এসব কণা নাইট্রোজেনের সংস্পর্শে এলে আকাশে নীল বা বেগুনি আলোর বিচ্ছুরণ দেখি আমরা। মুলার্ড স্পেস সায়েন্স ল্যাবরেটরির গবেষক ড. কলিন ফরসিথ বলেন, বড় ধরনের সৌরঝড়ের ফলে অনেক বেশি কণা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আঘাত হানে। এতে পৃথিবীর চৌম্বকীয় তরঙ্গের সজ্জাতেও বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। সাধারণত এ রকম পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এলাকাজুড়ে অরোরা দৃশ্যমান হয়। জার্মানি বা ইংল্যান্ড থেকে উত্তরের জ্যোতি দেখতে পাওয়ার এটাই কারণ। দক্ষিণ মেরুতেও এই নৈসর্গিক আলোর নাচন দেখা যায় মাঝেমধ্যে। তখন একে বলে অরোরা অস্ট্রালিস।
সূত্র: বিবিসি নিউজ অনলাইন।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ কবির ভাই,
আপনার দেয়া তথ্যগুলি খুবই মুল্যবান
এগুলি এ পোস্টকে সমৃদ্ধ করেছে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ডক্টর, এইটা আপনার পোস্ট না বই ? এতো বড় পোস্ট পড়তে হলে মুড়ি চানাচুর নিয়ে বসতে হইবো ! বিজ্ঞানের এতো সুন্দর বিষয় গুলো নিয়ে বই বের করেন।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




অনেক ধন্যবাদ টারজান ভাই, বই লিখার সাধ্য আমার নাই
তাইতো দুধের সাধ শুধু ঘুলে মিটাই, সামুতেই লিখে যাই ।
আপনার জন্য রইল চানাচুর সাথে ঘরে ভাজা তাজা
বস্তা বস্তা মুরি, যত পারেন খান আর পোষ্ট পড়েন ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।


৩৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

সাঈদ হাসান চউধুরী বলেছেন: description is interesting.Thank you.

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সাঈদ হাসান চউধুরী ভাই
এসে দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৩৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এই সোলার স্টর্ম ১৮ ঘন্টা চলারপর আমাদের পৃথিবীতে পৌঁছায় । এরা বিভিন্ন উচ্চতায় বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন পরমানুতে আঘাত হানে । এটা পৃথিবীতে পৌঁছানের পর শুরু হয় অদ্ভুত কর্মকান্ড ।

পৃথিবীর মেগনেটিক ফিল্ড তখন সৌর ঝড়কে রিফ্লেস্ক করে আরোরা সৃস্টির পক্রিয়া শুরু করে দেয়. দুটো মেগনেটিক ফিল্ড একসাথে মিশে এবং পৃথিবীর অদৃশ্যমান গ্যাস মলিকুলসের সাথে সংঘর্ষে মেতে উঠে।এই অদৃশ্যমান মেগনেটিক গ্যাস সংঘর্ষ মেরুর কাছাকাছি ঘনিভুত হয় এবং মেরুজ্যোতি তথা অরোরার সৃস্টি করে ।পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষীন মেরুতে চৌম্বক ক্ষেত্র লাইন সবচেয়ে বেশী, তাই সেখানেই অরোরা দেখা যায় । .
------ বাহ্‌!! ছবিসহ দারুণ বর্ণনা!!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ছবি সহ পোস্ট দারুণ লাগায় খুবই খূশী হয়েছি ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৩৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

নীলপরি বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পোষ্ট পড়লাম ও ছবি দেখলাম । খুব ভালো লাগলো ।
++++++++++++++++++++

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
নীলপরির মুগ্ধতার কথা শুনে আমারও খুব ভাল লাগছে।
অনেক অনেক অনেক প্লাস দেখে তো আমি আত্মহারা ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার প্রতিমন্তব্যে আমার প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর পেয়ে খুশি হলাম।

ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
প্রশ্নের উত্তর যথাযথ হয়েছে শুনে খুশি হলাম ।
ধন্যবাদ শ্রদ্বেয় ইসলাম ভাই ।

৩৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

জুন বলেছেন: আমিও আপনার মতই ছোটবেলাতেই অরোরা জোড়া ভাই /বোনদের নাম শুনেছিলাম। তারপর একটু বড় হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিশেষ করে এন্সাইক্লোপিডিয়ার মাধ্যমে একে আরো গভীর ভাবে জানার সুযোগ হয় । যখনকার কথা বলছি তখন তো আর ন্যাশ জিও চ্যানেল ছিলনা ডঃ এম আলী :)
কিন্ত আপনি এই জটিল বিষয়টিকে এত সহজ করে বলেছেন মনে হলো আমিও সাথে সাথে ইয়েলোনাইফে ঘুরে বেড়াচ্ছি । আচ্ছা আপনি কি নিজে গিয়েছিলেন এই উত্তরের সুন্দরী অরোরা বোরিয়ালিস দেখতে ?? এত সুন্দর বর্ননা নিজের চোখে না দেখলে লেখা কি সম্ভব ভেবে পাই না আমি।

এসব দেখলে আবার সৃষ্টিকর্তার প্রতি নতজানু হই । কত সুক্ষাতিসুক্ষ ব্যাপারগুলো কি অসামান্য দক্ষতায় পরিচালিত হচ্ছে । গ্রহ নক্ষত্রদের কক্ষ পথের ব্যাপারটা ভাবলেই মাথা ঘুরিয়ে উঠে । কি সুক্ষ সুতোর উপর ঘুরছে নিজের আবর্তে আবার সুর্যকে প্রদক্ষিন করছে । একটু এদিক ওদিক হলেই মহাশুন্যে আছড়ে পরবে অথবা সুর্য্যের গায়ে । আর সুর্য্যের যেই ছবি দিয়েছেন সেই প্রচন্ড তাপমাত্রার অগ্নিকুন্ডে প্রবেশের কথা স্বপ্নে ভাবতেও ভয় হয় ডঃ এম আলী ।
আর শেষে যে লিখেছেন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এটা রেডিও ওয়েবে বিঘ্ন ঘটিয়ে রেডিও কমিউনিকেশনকে করতে পারে বিঘ্নিত। আচ্ছা এটা তো প্লেন চলাচলকেও বিপদ্গ্রস্ত করে তুলতে পারে তাই নয়কি ??
তবে সব কিছুর উপরে এটা এখনো মানুষকে দর্শন আনন্দই দিয়ে যাচ্ছে । হ্যা এটাই শেষ কথা :)
আপনার প্রতিটি ছবি অপরূপ বিশেষ করে ৩৬ নং যেটা এক শিল্পীর আকা ।
কিছুদিন ব্যাস্ত থাকতে পারি তাই আমার মতন অজ্ঞ একজন আপনার এই অসামান্য পোষ্টটিতে তাড়াহুড়ো করে অপ্রাসংগিক কিছু কথা বক বক করে বলে গেলাম ।
প্লাস +প্রিয়তে
+

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জুন আপু অআমার মনে হচ্ছিল এই আপুনি এলেন বলে , অরোরার জ্যোতি ইবনে বতুতার চোখ এড়াবেনা সেটা ভাল করেই জানতাম । অরোরা সুন্দরী অআসলেই সুন্দর একে কাছ থেকে স্বচক্ষে দেখলে বুঝা যায় এটা বিধাতার কি অপুর্ব সৃষ্টি ।
আপনি দেশ বিদেশ ঘুরা মানুষ উত্তর বা দক্ষীন মেরু অরোরা জোনে গিয়ে এক দৌঁড়ে এ নাচনি আলোক সুন্দরীদের দেখে আসতে পারেন গিয়া। আপনার জন্য কক থেকে অষ্ট্রেলিয়াই কাছে হবে উত্তরেও যেতে পারেন তবে সেটা একটু দুর হবে ।
অআমার পোস্টে দেখার বিবরণ থেকে মনে হয়েছুল অআপনি ইয়েলোনাইফে থেকেই দেখেছেন তা , এটাই আমার লিখার স্বার্থকতা । বাকিটা থাকনা কিছুটা সাসপেস্স ।

আপনি ঠিকই বলেছেন সুস্টি কর্তার অপুর্ব সৃস্টি দেখলে বিস্মিত না হয়ে পারা যায়না । বিজ্ঞানীদের গননায় এখন পর্যন্ত এসেছে সুর্যের মত কিংবা তার থেকেও বড় ২৫০০০কোটি নক্ষত্রের সন্ধান , তাদের ধারনা পৃথিবীতে যত বালুকনা আছে বিশ্ব ব্রম্মান্ডে সুর্যের মত নক্ষত্রের সংখ্যা নাকি তার থেকেও বেশী । এর মধ্যে নক্ষত্র গুলির রয়েছে পৃথিবীর মত গ্রহ উপগ্রহ যার সংখ্যা নির্নয় দুরুহ । তাইতো দিব্যতই মনে হচ্ছে বিধাতার পক্ষে অনাদিকাল হতে সৃস্ট প্রতিটি মানবের এক এক জনকে তাদের কর্মফল অনুযায়ী একটি জলন্ত নক্ষত্রসম অগ্নিকুন্ডে কিংবা পুণ্যাত্মাদের এক এক জনকে একটি করে গ্রহ বা উপগ্রহ বেহেস্ত হিসাবে দেয়া তাঁর কিছুই নয় ।

সুর্য্যের যে ছবি দেখা যায় সেই প্রচন্ড তাপমাত্রার অগ্নিকুন্ডে যেন কাওকে প্রবেশ করতে না হয় সে কামনাই করি ।
আপনার কথা বিজ্ঞতায় পরিপুর্ণ একান্ত প্রাসঙ্গীক, আপনি বিনয়ের অবতার তাই বলতেই পারেন এমন কথা , আপনার লিখা গুলি হতে পাই প্রভুত জ্ঞানের কথা এগুলি কোন মতেই বক বকানি নয় বরং তাতে থাকে আনন্দের বারতা :)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৩৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সময় নিয়ে আসছি ;
শুভ কামনা :)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপুমনি
অপেক্ষায় থাকলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩২

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: আচ্ছা দেখে আসছি। তবে কেউ যেন বুধ বা শুক্র গ্রহ ভ্রমণে যাবেননা, নইলে আমার ঝড়ে জ্বলে পুড়ে যাবে সব। সেই ভাল সবাই পৃথিবীতে থাকুক :)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য ।
শুধু বুধ শুক্র কেন দেখেন বৃহস্পতি গ্রহেও কেমন আগুনের ঝড় তুলছেন :)
আশা করি সকলেই সচেতন হবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

বৃহম্পতি গ্রহে দেখতে পাওয়া অরোরার দৃশ্য

৪১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বড় কঠিন সাবজেক্ট ভাই। আমার মাথায় ঢোকে না। তবে ছবিগুলো দেখেছি অবাক চোখে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, ছবিগুলি ভাল লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্ট পড়তে পড়তে তো অরোরার প্রেমে পইড়া গেলামরে ভাই! এইবার দিয়ে আপনার পোস্টটা সর্বমোট তিনবার পড়লাম। আর সত্যি বলতে টপিক এতটাই ইন্টারেস্টিং যে, যতবার পড়ছি ততবারই ভাল লাগছে। পোস্টটাকে অনবদ্য বললে হয়তো কম বলা হবে! এটা তার থেকেও বেশি! বহুদিন পর ব্লগে এমন একটা ইন্টারেস্টিং টপিক নিয়ে লেখা চমৎকার পোস্ট পড়লাম!

"এই সোলার স্টর্ম বা সৌর ঝড় ঘন্টায় ৮ মিলিয়ন কিলোমিটার বেগে বাহির পানে ধাবিত হয়"- তারমানে আমাদের পৃথিবীর হিসাবের সর্বোচ্চ আলোর গতিও এরকাছে নেহাৎ দৃগ্ধপষ্য শিশু (মহা বিস্ময়ে ঢোক গেলা ইমো হবে)!

তবে যে যাই বলুক, এর সৌন্দর্যের কাছে কিন্তু আমাদের পৃথিবীর বিশ্ব সুন্দরীরা কিচ্ছু না! আমার মনে হয় পৃথিবীর মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলোর মধ্যে সম্ভাবত অন্যতম হল এই অরোরা!

চমৎকার পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন ডঃ আলী!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, অনেক খুশি হলাম মনোমুগ্ধকর কথা মালায় । আপনার লিখাগুলি আরো ইস্টারেস্টিং যদিও সেগুলি পড়তে অনেক সময় আমার মিস হয়ে যায় । একটু খেয়াল করে দেখলে দেখতে পাবেন আমার পোষ্টগুলি একটু বড় হয়ে যায়, সময়টাও দিতে নীজের লিখায়, তাই ব্লগের অনেক মুল্যবান লিখা সময়মত হয়ে উঠেনা দেখা যদিও তাঁরা আছেন প্রিয় তালিকায় ।

নীচের বোল্ড করা অংশটুকু অবশ্যই একটা ইয়া বড় বিস্ময়সুচক ইমো দাবী করে ।
"এই সোলার স্টর্ম বা সৌর ঝড় ঘন্টায় ৮ মিলিয়ন কিলোমিটার বেগে বাহির পানে ধাবিত হয়"- তারমানে আমাদের পৃথিবীর হিসাবের সর্বোচ্চ আলোর গতিও এরকাছে নেহাৎ দৃগ্ধপষ্য শিশু (মহা বিস্ময়ে ঢোক গেলা ইমো হবে)!

এ প্রসঙ্গে একটু যোগ করতে চাই । অালোর গতিবেগ সেকেন্ডে ১,৬০,০০০ মাইল যা কিলোমিটারের হিসাবে ঘন্টায় ১০৮০ মিলিয়ন কিলোমিটার যা সুর্য হতে পৃথিবীতে আসতে সময় নেয় মাত্র ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড যা অরবিটে পৃথিবীর অবন্থান ভেদে একটু কম বেশী হতে পারে । অপর পক্ষে সোলার স্টর্ম বা সৌর ঝড় ঘন্টায় মাত্র ৮ মিলিয়ন কিলোমিটার বেগে বাহির পানে ধাবিত হয় ও আঠার ঘন্টায় সুর্য হতে পৃথিবীতে পৌঁছে । তাই অাপনি ঠিকই বলেছেন পৃথিবীর হিসাবের সর্বোচ্চ আলোর গতির কাছে সোলার স্টর্মের গতি আসলেই দৃগ্ধপষ্য শিশু, ভাল লাগল আপনার মন্তব্য শুনে ।

শেষ কথাটি আরো ভাল, পৃথিবীর সব সুন্দরীরা এর কাছে হার মেনেছে । :)

শুভ কামনা রইল ।

৪৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমার লেখাগুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে!! উপদেশ পরামর্শ থেকে থাকলে সাহায্য করুন

বিস্তারিত

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ রহমান ভাই ।
কিছু কথা বলে এসেছি আপনার লিংকের পোস্টে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: ডঃ আলী, আমার পূর্বের মন্তব্যটাতে একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল থেকে গেছে! সেজন্য প্রথমেই আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত! ভুলটা আসলে বোল্ড করা অংশটুকুর পরে আমার বলা কথা গুলোর মধ্যেই বিরাজ করছে!

আমি আসলে ঐ কথাটুকু দ্বারা বুঝাইতে চাইছিলাম, সম্ভাবত আলোর গতির থেকে অরোরার গতি বেশি! তাই ফান করে ঢোক গেলা ইমো হবে বলছিলাম! কিন্তু হিসাবটা হবে ঠিক তার উল্টো! মানে অরোরার থেকে আলোর গতিটাই বেশি!

আসলে মন্তব্য করার সময় আমি আলোর গতিবেগ 'একলক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল'টা ঘন্টায় হবে না সেকেন্ডে হবে, সেটা বুঝতে পারছিলাম না! মানে মনে পড়ছিল না! আর সেকারণে ঐটা আমি আলোর গতিবেগ ঘন্টা হিসাব করেই মন্তব্যটা করেছিলাম! তবে সম্ভাবত আপনিও বিষয়টা ধরতে পারেন নাই!

যাহোক, তবে আপনার প্রতিউত্তরেও কিন্তু আনফর্চুনেটলি একটা ভুল তথ্য এসেছে! যতদূর জানি আলোর গতিবেগ সেকেন্ড একলক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল হবে, একলক্ষ ষাট হাজার মাইল নয়!

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর প্রতিউত্তরের জন্য! ভাল থাকবেন!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । আমি বুঝতে পেরেছিলাম কোথাও একটি কনফিউসন হয়েছে । তাই আমাকে গতি নিয়ে দু একটি কথা বলতে হয়েছে । আমার চোখে পড়ছে শুধু মনে হয়েছে

সর্বোচ্চ আলোর গতিও এরকাছে এই শব্দমালার মধ্যে শুধু গতিও হতে টা বাদ দিয়ে বসিয়ে দিলে বিষয়টা শুদ্ধ হয়ে যায় যথা
সর্বোচ্চ আলোর গতির কাছে । অামি মনে মনে তাই ধরে নিয়ে আপনার সাথে সুর ,মিলিয়েছি ।

কম্পিউটারে চোখ রাখতে রাখতে ইদানিং চোখের জ্যোতি মনে হয় অনেক কমে আসছে, তাই ১৮৬০০০ কে যে ১৬০,০০০ লিখেছি তা চোখেই পড়েনি, এ জন্য দু:খিত আছি ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল

৪৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাহ দারুণ লেখা হয়েছে। বিশ্ণেষণ সহ। ছবিগুলো দিয়ে আমার আবার মাথা নষ্ট করে দিলেন। কোন একরাত অরোরার আলোর নাচের নীচে আমিও নাচব। অপেক্ষায় আছি।
যে সব দেশের নাম দিয়েছেন তার সব জায়গাতে অরোরা দেখা যায় না। বছর তিন আগে আলবার্টায় সন্ধ্যা থেকে জেগে উঠেছিল আলো। যদিও সাধারানত অন্ধকারে দেখা যায় ক বছর আগে ভরা পূর্ণিমায় দেখা দিয়েছিল। আমার আগ্রহটা যেহেতু বিশাল সেজন্য সব সময় কোথায় হচ্ছে তার খবর রাখি। কানাডার তিনটি টেরিটরিতে দেখা যায়। দশটা প্রভিন্সে রোড ট্রিপের পর এক হাজার কিলোমিটার দূরে ছিল ইয়েলো নাইফ। আপনার মতন আমারও ফিরে আসা হয়েছিল শেষটা না দেখে।
একবার অনেক সাউথে নেমে এসেছিল। সে খবর পেয়ে সারারাত অপেক্ষা করে ছিলাম। তার উপর একটা লেখা আছে।
দেখতে পারেন। Click This Link
আর বাকিটা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ অবশেষে অরোরার সাক্ষাৎপ্রার্থীর দেখা পাওয়া গেল :) । মাথা নস্ট হ ওয়ার কথা শুনে কষ্টের মধ্যেও অআনন্দ পাওয়া গেল , তাই করেন, কামনা করব এবার অরোরা সুন্দরীকে দেখে ছাড়েন । তবে এবার যাওয়ার আগে ভাল করে নিন্মের মত ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টার সহায়তায় aurorawatch.ca কতৃক প্রনীত অরোরা ফোরকাস্ট দেখে নিবেন । যেমন আজ ১০ ই ফেব্রুয়ারী অরোরা দেখার সম্ভাবনা মাত্র ১৪% ।

সুত্র : http://www.aurorawatch.ca/

আপনি ঠিকই বলেছেন যে সমস্ত দেশের কথা বলা হয়েছে তার সকল জায়গা থেকে অরোরাকে দেখা যায়না এমনকি কানাডার দক্ষীন অংশ হতেও তা দেখা যায়না তবে দেশ হিসাবে কানাডার নামটি চলে আসে ।

লিংক ফলো করে দেখে এসেছি । খুব সুন্দর, যা বলার সেখানে বলে এসেছি ।

যাহোক , পরবর্তী পর্ব দেখায় অপেক্ষায় আছেন শুনে খুশী হলাম ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৪৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: হা হা হা মাথা নষ্ট করে দিয়ে আনন্দ হচ্ছে :( :(
ফোরকাস্ট গুলো এবং আরো অনেক ফেইসবুক পেইজ ফলো করি। নতুন ছবিগুলো সাথে সাথেই পাওয়া যায়। আমার পরিচিতজনরাও জানে এবং আগে ভাগে খবর দেওয়ার চেষ্টা করে আমাকে। সে সাথে আপনিও যোগ হয়ে হেলেন। :)
ফেব্রুয়ারীতে যাওয়ার চিন্তা করছি না। তবে এপ্রিল বা অক্টোবরের সময়টা ভালো।
শুভেচ্ছা

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মাথা এখন আর কি নষ্ট হইছে , অরোরা সুন্দররীকে দেখার পরে বুঝবেন মাথা কেমন করে ঘুরে!!! , এবার অরোরার দেখা পেলে তা দেখে এসে ইয়া বড় একটা কাব্যিক মেগা পোস্ট দিবেন, যেন সকলের মাথা ঘুরে :)

ফেস বুক বা আলবার্টা ট্রেভেলস এর মত বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আরোরা ফোরকাস্টকে আমলে নিবেন না, এটা তাদের ট্র্যভেল প্রপাগান্ডা টিকিট বিক্রির তালে । ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টার অরোরা ফোরকাষ্ট ওয়েব সাইটে গিয়ে অথবা সরকারী কোন ওয়েব সাইটে গিয়ে ফোরকাষ্ট দেখে নিবেন , তাহলে ঠকার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে ।

খুশী হলাম আবার এসে মুল্যবান মতামত রাখার জন্য ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৪৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



যেহেতু মিশর ও জেরুযালেম থেকে অরোরা দেখা যায় না, সেহেতু তোরাহ ও বাইবেলে আরোরা সম্পর্কে কিছু নেই মনে হয়; অরোরা সম্পর্কে থাকলে, বিরাট শানে নযুল থাকতো।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য ।
অআরব থেকে দেখা না গেলেও শানে নযুল যে একেবারে নেই তা নয় !!!!
নীচের কথামালা ও ছবির দিকে একটু খেয়াল করে দেখুন
বর্তমানের বিজ্ঞানীরা কি বলছে ।

The Prophetic Hadith about the straight way in Day of Resurrection is considered to be one of the scientific miracles in the prophetic Sunnah. In this Hadith the prophet says:( don't you see that the lightning comes and back in an eye blink) [Narrated by Muslim] .there is complete identification between our prophet saying and the most recent discovery concerning the lightning flash as scientists had found that the lightning flash happens when a ray of lightning get out of the cloud toward the ground and back again to the cloud! In that Hadith a sign that prophet
Mohamed (Peace be upon him) talked very carefully about phases of the lightning, and also he determined the time as it is the time of an eye blink!

Scientists had found that lightning has many phases and the most important phases are going down phase and going back phase. Time of the lightning flash is 25 Fraction of a second and this is the same as time of eye blink, isn't this the same as what prophet Mohamed said 1400 years ago?

Likewise, Aurora is created once solar storm interacts the magnetic wave of the earth and after crossing the earth, the magnetic wave containing solar storm come back to the earth and interacts with the magnetic wave of the earth and cause aura to happen . This is somewhat similar to the lightening come and back as described above, substantiating what prophet said 1400 years ago ।


৪৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



নিসন্দেহে বিশাল মিস আমার!

এত্তবড় একটা জ্ঞানের উৎসব! সেখানে আমি নেই! কি আজব ব্যাপার¬

এমনিতেই আলী ভাইর পোস্ট মানে অন্য কিছু।
মুখিয়ে থাকি, কখন নতুনের- জ্ঞানের- প্রজ্ঞার- আলোর প্রকাশ ঘটবে, আলী ভাইর ব্লগ কুটিরে।

অন্য রকম ভাললাগা শ্রমলব্দ অনন্য গবেষনায়।

ভাল থাকবেন প্রিয় ভাই।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রসংসামুলক কথা শুনে ভাল লাগল
অনেক অনুপ্রানীত হলাম ।
প্রতি উত্তর দেখতে আসলে উপরের ৪৭ মন্তব্যের
প্রেক্ষিতে প্রতি মন্তব্যটুকু দেখে কিছু বলার থাকলে বলে
গেলে খুশী হব ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৪৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

রানা আমান বলেছেন: আপনার পুরো পোস্ট এবং সবকটি মন্তব্য ও আলোচনা পড়লুম একটানে । খুবই ভালো লাগলো। অরোরা নিয়ে এর আগে ভিনদেশী একজনের লেখা পড়েছি কিন্তু আপনার লেখাটি ভালো হয়েছে বেশি ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রানা ভাই ।
পোস্ট ভাল লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম
সাথে অনেক অনুপ্রেরণাও পেলাম।
শুভেচ্ছা রইল ।

৫০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দেরী করে ঘুম থেকে জাগবো আরো অনেক দিন, আসলে ব্যস্ততা যাচ্ছে খুব, ব্লগে মন ও সময় দিতে পারছিনা বললেই চলে। তবে এটা সাময়িক.......

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
আবার আসার জন্য
পোস্টের ফ্রিকোয়েনসি
দেখে বুঝতেই পারছি
আপনার ব্যস্ততার হাল ।

শুভেচ্ছা রইল

৫১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

নীলপরি বলেছেন: আমার এবারের পোষ্ট আপনার মতামত পেলাম না যে ?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে
একটু ব্যস্ত থাকায় যেতে দেরী হয়ে গেল ।
তবে ঘুরে এসেছি ও যা বলার সেখানে বলে এসেছি ।
ধন্যবাদ আবার আসার জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

৫২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যে উত্তর দানে কৃতার্থ!

আর আপনার অনুরোধ রক্ষার চেষ্টা থাকবে। একটু ফ্রি হয়ে ৪৭ নং মন্তব্যের উত্তরে প্রদত্ত আপনার দীর্ঘ জবাবের উপরে কিছু বলার ইচ্ছে থাকল।

ভাল থাকবেন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, অপেক্ষায় রইলাম ।
শুভেচ্ছা থাকল ।

৫৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

শামীম সরদার নিশু বলেছেন:

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ। সময়করে দেখে আসব
শুভেচ্ছা রইল ।

৫৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩২

জাহিদ অনিক বলেছেন: অফ লাইনে পড়ে নিয়েছিলাম। বেশ ভালো লাগার মত ।
প্রিয়তে রেখে দিচ্ছি এবং প্লাস ।


উত্তরের যাত্রা চলতে থাকুক

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ।
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন
শুভেচ্ছা রইল ।

৫৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১২

কল্পদ্রুম বলেছেন: সকালেই আপনার এই লেখাটা পড়ে ফেলেছিলাম।বরাবরের মতই তথ্যসমৃদ্ধ গোছানো লেখা এবং ছবির উপস্থাপনায় মুগ্ধ হয়েছি।যথারীতি তাই পড়ার পরই লেখা প্রিয়তে চলে গিয়েছিলো।তবে তখন মন্তব্য করতে পারিনি।তাই এখন ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।সভালো থাকবেন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানালাম ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৫৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৮

সোহানী বলেছেন: ও মাই গড!!! এতো সুন্দর তার উপর আমার বাড়ির পাশে!!! ঘর বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে পড়তে হবে দেখছি ;)

অসাধারন.......... সাথে সবার মন্তব্য আরো মাত্রা যোগ করেছে। আপনার লিখা পড়া শুরু করলে সেদিনের বরাদ্দ সময় শেষ হয়ে যায় :P এখন আমার মারাত্বক সময় টানাটানি যাচ্ছে কিনা... এপ্রিলের আগে ফ্রি হতে পারবো না। ও ভালো কথা আমার টিউলিপে দারুন ফুল ফুটা শুরু করেছে... অসাধারন। ছবি যোগ করার মতো সময় পাচ্ছি না। দেখি কাল বন্ধ আছে......... পারি কিনা।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধনবাদ দেখার জন্য । ভাবতেছিলাম এটাতো আমার কানাডিয়ান আপুর নজর এড়ানোর কথানা , এর মধ্যেই দেখি অআপনার বারতা ।

দেরী করবেন না আজই বেরিয়ে পড়ুন । জানুয়ারী ফেব্রুয়ারীই ভাল সময় । শীতের আকাশেই অরোরাকে ভাল দেখা যায় । যাত্রা করার আগে ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টার অরোরা সিইং ফোরকাস্ট দেখে নিবেন তাদের ওয়েব সাইটে, তাহলে দিনক্ষন ঠিক করতে সুবিধা হবে । একা একা যাবেন না , অরোরা টুর সার্ভিসের মাধ্যমে যাবেন , তাহলে অনেক সুবিধা পাবেন । লং এক্সপোজারে অরোরার সুন্দর ছবি তুলাও একটা সমস্যা চোখের পলকে ঘটে যায় অরোরার রংএর খেলা । তাই অরোরা টুর সার্ভিসের এক্সপার্ট ফটোগ্রাফাররা আপনার জন্য এ কাজটা করে দিবে। অবশ্য ক্যমেরা ও নীজের ফটো তোলার হাত ভাল থাকলে কোন কথা নাই । তাছাড়া বরফের ভিতর দিয়ে রাত্রী নিশীতে স্নো মোবাইল বাহনে আরোরা সিইং ভিউপয়েন্টে যাওয়াও কিন্তু কম কথা নয় ।অবশ্য আপনার বাড়ীর কাছে বলে হয়তা বা এগুলি আপনার অজানা নয় :) । একে দেখার পর একটা দারুন অরোরা ভ্রমন কাহিনী আমাদেরকে জানাবেন, আপনার সুসাহিত্যিক লিখা পাঠে আমরা পাব প্রভুত আনন্দ ।

লিলি ফোটার কথা শুনে ভাল লাগল :) । আমার গাছে এগুলি এখন ফুটে আছে । লাগিয়েছিলাম রংগিন এমারেল লিলি কিন্তু ফুটেছে সবগুলি সফেদ সাদা !!! এটা আরো বেশী ভাল লাগছে :) । আপনার ফুলের ছবি দেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৫৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪১

সোহানী বলেছেন: এখন বেড়িয়ে পড়ার কোন উপায় নেই। বহুত ঝামেলায় আছি। ঝামেলা শেষের কোন সম্ভাবনাওে আপাতত দেখছি না ... :( :( :( আর ফটোগ্রাফি শুরু করবো বলে ডিসিএল ক্যামেরা কিনে রেডি হয়েছিলাম দু'বছর আগে বাট এখন পর্যন্ত ক্যামেরার প্যাকেট ও খুলে দেখি নাই। এর নাম দৈাড়ের জীবন। যাহোক লিলির ছবি দিলাম। আমার পয়সা উসুল... এতাে সুন্দর লিলি ফুটেছে...

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অাচ্ছা ঠিক আছে কোন সমস্যা নাই । সময়য় করে পরেই যান । জীবনের গতি আগে দেখতে হবে । বাক্স বন্ধি না করে ক্যমেরাটা খুলে একটু নাড়া চাড়া করে দেখবেন, তা না হলে এতে জং ধরে যাব পরে কাজ নাও করতে পারে !! তারমানে ক্যমেরার ভিতরের সফ্ট ওয়ার ব্যবহরের সাথে আপডেট হবে তা না হলে তা অফসলেট হয়ে যেতে পারে ।

লিলি ফুল দুটি খুব সুন্দর হয়েছে । আমার গাছের একটি মঝে গেছে কিন্তু পেলাম দুটা এক সাথে , ফলে চিত্তে অনেক আনন্দ ধরে :) :)

ফুল ফুটে গেলে গাছের বাল্বগুলি রেখে দিবেন যতন করে । তাহলে সামনের বারে কিনতে হবেনা আর পয়সা খরচ করে ।
দেখবেন শুধু ফুল আর ফুল , লাভেই লাভ বছর বছর যাবে তা আরো বেড়ে , কারণ একটি বাল্ব থেকে আরো বাল্ব জনম নিবে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৫৮| ২২ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: মেরুজ্যোতি'র ছবিটি দারণ। ভিডিও-তে কেমন দেখার ওগুলো?

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ২:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মেরুজ্যোতি'র ছবিটি দারণ অনুভুত হয়েছে বলে ।
মেরুজ্যোতি'র ছবি ভিডিউতে খুব সুন্দর দেখা যায় , এর উপরে অনেক ভিডিউ আছে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৫৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রায় ছয় বছর পর পুনরায় ফিরে এসে পোস্টটাকে "প্রিয়"তে তুলে নিলাম। সত্যিই অসাধারণ একটি পোস্ট!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোষ্টটিকে প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.